অ্যালগরিদম কি | Algorithm এর কাজ কি | What is an algorithm in Bangla

অ্যালগরিদম কি : (What is an algorithm in bengali) অ্যালগরিদম হলো বিশেষ কিছু কাজের স্টেপ। যদিও বা বর্তমান সময়ে প্রায় অধিকাংশ মানুষ অ্যালগরিদম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানে না।

অ্যালগরিদম কি | Algorithm এর কাজ কি | What is an algorithm in Bangla
অ্যালগরিদম কি

তবে যদি আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করেন। তাহলে খুব সহজেই এই algorithm কি সে সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। মূলত অ্যালগরিদম কি এবং অ্যালগরিদম এর কাজ কি।

সে বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। তো আপনি যদি জানতে চান যে, অ্যালগরিদম কি (What is algorithm in Bangla).

তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। দেখুন যখন আপনি কোন কাজ করেন, তখন আপনাকে সেই কাজের সকল প্রকার ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে হবে।

আর যখন আপনি উক্ত কাজের মধ্যে থাকা ধাপ গুলো কে সঠিকভাবে অনুসরণ করবেন। তখন আপনি সেই কাজ টি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। ঠিক তেমনি ভাবে একটি কম্পিউটারের কথা চিন্তা করে দেখুন।

একটি কম্পিউটার মূলত বিভিন্ন প্রকারের নির্দেশ কিংবা ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করে থাকে। আর নির্দিষ্ট কোন এটি কম্পিউটার যখন নির্দিষ্ট কিছু ফর্মুলা এবং নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে।

মূলত সেই কাজ করার পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে, অ্যালগরিদম। তবে এই অ্যালগরিদম কি (algorithm ki) তা মূলত এত ছোট আলোচনার মাধ্যমে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়।

আপনি আরোও পড়ে দেখুন…

আর আপনি যদি অ্যালগরিদম কাকে বলে সে বিষয়ে একেবারে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিতে চান। তাহলে আপনাকে নিচের আলোচিত আলোচনা গুলো তে নজর রাখতে হবে।

তাই অবশ্যই আপনি আজকের এই আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। এবং আমি যথাযথ ভাবে চেষ্টা করব, অ্যালগরিদম কি।

সে বিষয়ে আপনার সাথে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করার। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

অ্যালগরিদম কি – (What is algorithm)

যেহেতু আজকের আর্টিকেল এর মূল আলোচিত বিষয় হলো, অ্যালগরিদম কি। সেহেতু সবার আগে আপনার মধ্যে এই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে।

আর যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, অ্যালগরিদম কাকে বলে। তখন আপনার আজকের পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

তো চলুন সবার আগে জেনে নেওয়া যাক যে, অ্যালগরিদম কিদেখুন আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি।

তারা বেশ ভালো করেই জানে যে, আমাদের ব্যবহার করা সেই কম্পিউটার গুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের প্রোগ্রাম লেখা হয়ে থাকে। 

এবং সেই প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আমরা আমাদের কম্পিউটার গুলো কে নির্দেশ মোতাবেক পরিচালনা করতে পারি। তবে এর বাইরেও আপনার আরেকটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

সেটি হল যে, দৈনন্দিন জীবনে আমাদের ব্যবহার করা এই কম্পিউটার গুলোর মধ্যে যেসব প্রোগ্রাম লেখা থাকে। সেই প্রোগ্রাম গুলোর ভিতরে বিভিন্ন প্রকারের স্টেপ থাকে।

এবং এই প্রোগ্রাম এর স্টেপ গুলো কে এমন ভাবে সাজানো হয়। যাতে করে পরবর্তী সময়ে কোন একটি কম্পিউটার সেই স্টেপ অনুযায়ী সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে।

মূলত একটি কম্পিউটার যাতে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। এবং সেই কাজ করার জন্য যেসব স্টেপ তৈরি করা হয়। এবং সেই স্টেপ মেনে কাজ করার জন্য যেসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়।

মূলত সে গুলো কে বলা হয়ে থাকে, অ্যালগরিদম। এখন হয়তো বা আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে অ্যালগরিদম কি।

সে সম্পর্কে আমরা ধারণা নিতে পেরেছি। তবে কেন একটি কম্পিউটার এর মধ্যে বিভিন্ন কাজের স্টেপ তৈরি করা হয়। এবং কেন সেই স্টেপ গুলো কে মেনে চলার জন্য নির্দেশনা তৈরি করা হয়।

তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে পরবর্তী আলোচনা গুলো তে নজর রাখতে হবে। কারণ এখন আমি সেই বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

অ্যালগরিদম এর সংজ্ঞা – (Definition)

আপনি যদি উপরের আলোচনা টুকু পড়ে থাকেন। তাহলে অ্যালগরিদম কি, সে সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা নিতে পেরেছেন। তবে আপনার এই ধারণা কে আরও মজবুত করার জন্য।

এবার আমি অ্যালগরিদম এর সংজ্ঞা শেয়ার করার চেষ্টা করব আপনার সাথে। কেননা অ্যালগরিদম কি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি।

আপনাকে অ্যালগরিদম এর সংজ্ঞা সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সহজ ভাষায় বলতে গেলে অ্যালগরিদম কিছু কাজের সমষ্টি বা নির্দিষ্ট কিছু ফর্মুলা।

যার মাধ্যমে আমরা বিশেষ কিছু কাজের সমাধান খুঁজে নিতে পারি। মূলত এই কাজের ধাপ গুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ প্রদান করা হয়।

আর যখন সেই নির্দেশ গুলো কে মেনে কাজ করা হয়। এবং নির্দিষ্ট কোন একটি কাজ কে সম্পন্ন করা হয়। মূলত তখন তাকে বলা হবে, অ্যালগরিদম। তবে অ্যালগরিদম এর সংজ্ঞা টি আরেকটু ভিন্ন হওয়া উচিত। যেমন,

অ্যালগরিদম বলতে নির্দিষ্ট কোন সমস্যা এর সমাধান করার জন্য বিশেষ কিছু স্টেপ এর প্রক্রিয়ার সমন্বয়। তবে এই স্টেপ গুলো কিন্তু বিনা কারণে তৈরি করা হয় না।

বরং নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য সাধন করার জন্যই এই অ্যালগরিদম এর স্টেপ গুলো তৈরি করা হয়ে থাকে। যাকে আমরা সহজ ভাষায় বলে থাকি, অ্যালগরিদম।

অ্যালগরিদম এর জনক কে ?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি অ্যালগরিদম কি এবং অ্যালগরিদম এর সংজ্ঞা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, উপরের আলোচনা থেকে আপনি যে অ্যালগরিদম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

সেই অ্যালগরিদম এর জনক এর নাম কি। তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। যদি আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারেন।

তাহলেও কোন সমস্যা নেই, কারণ এবার আমি আপনাকে সেই অ্যালগরিদম এর জনক এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, অ্যালগরিদম এর জনক কে

ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯ম শতাব্দী তে একজন বিখ্যাত মুসলিম গাণিতবিদ ছিলেন। এবং সেই ব্যক্তির নাম ছিল, মোহাম্মদ মুসা আল খাওয়া রিজমি।

আর ইনি হলেন এমন একজন ব্যক্তি যার নাম থেকেই মূলত এই অ্যালগরিদম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। আর এই বিশেষ ব্যক্তির দেয়া তথ্য অনুযায়ী।

যখন ক্রমে ক্রমে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষ পদ্ধতির সৃষ্টি হয়। তখন সেই পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে, অ্যালগরিদম।

মূলত কোন একটি কাজ সম্পন্ন করা কিংবা কোন একটি কাজের মধ্যে আসা সমস্যা কে সমাধান করার জন্য এই ধরনের স্টেপ বা অ্যালগরিদম এর সৃষ্টি হয়ে থাকে।

তো এতক্ষণ আপনি জানতে পেরেছেন যে, আমরা আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে যে অ্যালগরিদম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

সেই অ্যালগরিদম এর জনক হল, মোহাম্মদ মুসা আল খাওয়া রিজমি। তো এই বিখ্যাত ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৭৮০ খ্রিস্টাব্দে।

আর তার জন্মস্থান এর নাম হলো, বৃহত্তর খোরাসান এর খাওয়ারেজম অঞ্চল। তবে বিশেষ এই ব্যক্তি শুধুমাত্র অ্যালগরিদম এর সৃষ্টি করেই শান্ত হননি।

বরং তিনি গণিত বিজ্ঞানের বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। এর পাশাপাশি তিনি জ্যোতি র্বিজ্ঞানী এবং ভূগোল বিদ ছিলেন।

অ্যালগরিদম তৈরির নিয়ম

অ্যালগরিদম কি এবং অ্যালগরিদম এর জনক কে সে নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি উপরের এই আলোচিত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস রয়েছে যে, এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি একেবারে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। তবে এ গুলো জানার পাশাপাশি এখন আপনাকে অ্যালগরিদম তৈরির নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

কারণ এই অ্যালগরিদম তৈরির (অ্যালগরিদম প্রণয়নের উপায়) বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। চলুন এবার তাহলে সেই নিয়ম গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।

মূলত কোন একটি অ্যালগরিদম কে নির্দিষ্ট কোন স্থান কিংবা নির্দিষ্ট কোন সময় এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। এবং সেটি কোন সু সংজ্ঞায়িত আনুষ্ঠানিক ভাষার মাধ্যমেও উক্ত অ্যালগরিদম কে প্রকাশ করা যেতে পারে।

তবে আপনি যদি কোন কিছুর অ্যালগরিদম তৈরি করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রাথমিক অবস্থা এবং প্রাথমিক ইনপুট সম্ভবত খালি থেকে শুরু করতে হবে।

এর পাশাপাশি এই অ্যালগরিদম মূলত বিশেষ কিছু নির্দেশনা বলির মধ্যে যে গণনা রয়েছে। সেই গণনা কে কার্যকর করে থাকে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

এরপর থেকে সেই সেই সু সংজ্ঞায়িত অ্যালগরিদম ধারাবাহিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর যখন এই সু সংজ্ঞায়িত অ্যালগরিদম ধারাবাহিক অবস্থান এর মধ্যে দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

তখন একটা সময় সেটি আউটপুট এর মধ্যে প্রবেশ করে। এবং উক্ত কার্যের সমাপ্তি ঘটে। তবে এই অ্যালগরিদম এর মধ্যে আপনি এমন অনেক ধরনের অ্যালগরিদম খুঁজে পাবেন।

যে গুলো কে মূলত এলোমেলো অ্যালগরিদম বলা হয়ে থাকে। মূলত এই ধরনের অ্যালগরিদম গুলো ইনপুট এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে। 

ফ্লোচার্ট কি ? (What is flowchart in bangla)

যেহেতু আপনি অ্যালগরিদম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে এসেছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনার ফ্লোচার্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।

কারণ অ্যালগরিদম এর সাথে এই ফ্লোচার্ট এর সম্পর্ক গভীর। আর সে কারণেই এবার আমি এই  ফ্লোচার্ট কি। সে সম্পর্কে একটু আলোকপাত করার চেষ্টা করব।

যাতে করে আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে ধারণা নিতে পারেন। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, ফ্লোচার্ট কি।

মূলত আমরা সবাই জানি যে, কোন একটি সিস্টেম বা program নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসারে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। আর এই সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় বিশেষ কিছু কাজ সম্পন্ন করে থাকে।

যখন আপনি সেই কাজ গুলো কে নির্দিষ্ট একটি চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন। তখন সেই বিশেষ চিত্র কে বলা হবে, ফ্লোচার্ট।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ফ্লোচার্ট কে আবার প্রবাহ চিত্র বলা হয়ে থাকে।

অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট এর মধ্যে পার্থক্য

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি অ্যালগরিদম কি সে সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন। এবং উপরের আলোচনায় আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি।

আর সেই কথাটি হল যে, এলগরিদম এর সাথে ফ্লোচার্ট এর বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে মিল রয়েছে তবে এখন হয়তো বা অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে এই অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি। 

অর্থাৎ যদিও আমি উপরে আলোচনায় বলেছি যে। এ দুটোর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে মিল রয়েছে।

তবে মিল থাকার পরেও আপনি এই দুটোর মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন। আর এবার আমি সেই অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট এর মধ্যে থাকা পার্থক্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

অ্যালগরিদম এর বৈশিষ্ট্য

  1. কোনটি সমস্যার সমাধান করার জন্য নির্দিষ্ট ধাপ অতিক্রম করার সঠিক পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে অ্যালগরিদম।
  2. অ্যালগরিদম কোন সমস্যা কে সমাধান করার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু ধাপ।
  3. অ্যালগরিদম এর মূল উদ্দেশ্য হলো কোন কিছুকে সঠিক ভাবে বর্ণনা করা 
  4. কোন একটি নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম এর উপর ফ্লোচার্ট তৈরি করা সম্ভব।

ফ্লোচার্ট এর বৈশিষ্ট্য

  1. অ্যালগরিদম কে সঠিক ভাবে প্রকাশ করার জন্য যখন প্রবাহ চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তখন তাকে ফ্লোচার্ট বলা হয়ে থাকে।
  2. অ্যালগরিদম এর চিত্র রূপ হল ফ্লোচার্ট।
  3. অ্যালগরিদম হল চিত্রের সমন্বয়।
  4. ফ্লোচার্ট এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন প্রোগ্রাম কে রচনা করা হয়ে থাকে।

তো অ্যালগরিদম এবং ফ্লোচার্ট এর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে। সেই পার্থক্য গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আর আপনি যদি আলোচিত এই আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অ্যালগরিদম এর ব্যবহার / গুরুত্ব

অ্যালগরিদম কি সে বিষয় টি জানার পাশাপাশি। এবার আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

অর্থাৎ অ্যালগরিদম এর ব্যবহার সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখতে হবে। আর আপনি যাতে অ্যালগরিদম সম্পর্কিত কোন কিছু অজানা না থাকে।

সে কারণে এবার আমি অ্যালগরিদম এর ব্যবহার গুলো কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব। যেখান থেকে আপনি অ্যালগরিদম সম্পর্কিত আরো অনেক অজানা বিষয় জেনে নিতে পারবেন।

তো চলুন এবার সেই অ্যালগরিদম এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Computer Programming

দেখুন আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বেশ ভালো করে জানা থাকবে যে। একটি কম্পিউটার এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের প্রোগ্রাম সংযুক্ত থাকে।

আর এই ধরনের প্রোগ্রাম গুলো প্রথমত তৈরি করে নিতে হয়। আর যখন আপনি অ্যালগরিদম ছাড়াই কোন একটি প্রোগ্রাম তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

তখন সেই প্রোগ্রামের ভিতর বিভিন্ন প্রকারের ভুল থাকার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু আপনি যদি অ্যালগরিদম এর মাধ্যমে কোন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করার চেষ্টা করেন।

তাহলে সেখানে ভুল থাকার সম্ভাবনা থাকবে না।

Flowchart

উপরের আলোচনা গুলো থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে। অ্যালগরিদম হলো বর্ণনামূলক এবং ফ্লোচার্ট হলো চিত্রের সমন্বয়।

তো এই ফ্লোচার্ট তৈরি করার আগেও অ্যালগরিদম লেখা হয়। যদি আপনি এই কাজ টি না করেন। তাহলে আপনার উক্ত প্রোগ্রাম এর ভেতরে অনেক ভুল থাকার সম্ভাবনা থাকবে।

Computer Scientist এবং  Software Engineer

দেখুন অ্যালগরিদম এর বিভিন্ন প্রকারের ব্যবহার রয়েছে। তবে যারা কম্পিউটার সাইন্টিস্ট কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তারা অধিকাংশ সময় এই ধরনের অ্যালগরিদম এর ব্যবহার করে থাকে।

মনে করুন আপনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এবং আপনাকে একটি সফটওয়্যার তৈরি করতে বলা হলো। এখন আপনি যদি অ্যালগরিদম বিহীন ভাবে সেই সফটওয়্যার তৈরি করতে চান।

তাহলে আপনাকে অনেক শ্রম দিতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে। কিন্তু যদি আপনি অ্যালগরিদম এর ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার শ্রম এবং সময় দুটোই হ্রাস পাবে।

Mathematical Problem Solve

অবাক করার মত বিষয় হলো যে, এই এলগরিদম এর মাধ্যমে অনেক বড় বড় ম্যাথমেটিক্যাল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তো কখনো যদি আপনার অনেক বড় ম্যাগনেটিক্যাল সমস্যা হয়।

এবং আপনি যদি এই সমস্যার সমাধান করার জন্য অ্যালগরিদম এর ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই তার সমাধান খুঁজে বের করে নিতে পারবেন।

AI, space research

অ্যালগরিদম এর অন্যান্য ব্যবহার গুলোর পাশাপাশি AI, space research এর ক্ষেত্রেও অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অ্যালগরিদম এর বৈশিষ্ট্য – (Characteristics Of Algorithm)

এবার আপনাকে নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। দেখুন অ্যালগরিদম কি এবং অ্যালগরিদম এর ব্যবহার গুলো সম্পর্কে এতক্ষন আলোচনা করা হয়েছে।

তবে আপনি কি জানেন অ্যালগরিদম এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যদি আপনি না জেনে থাকেন, তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

আপনি আরোও দেখুন…

কারণ এবার আমি অ্যালগরিদম এর বৈশিষ্ট্য গুলো কে নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে অ্যালগরিদম এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. যখন আপনি কোন কিছুর অ্যালগরিদম লিখবেন। সে গুলো অবশ্যই সঠিক এবং স্পষ্ট হতে হবে। এবং প্রত্যেকটা অ্যালগরিদম এর স্টেপ গুলোর নির্দিষ্ট কিছু মিনিং থাকা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
  2. অ্যালগরিদম এর আরো একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো। যখন আপনি কোন একটি অ্যালগরিদম তৈরি করার চেষ্টা করবেন। তখন সেটি নির্দিষ্ট একটি অংশে গিয়ে সমাপ্ত হবে। এবং প্রয়োজন অনুসারে অ্যালগরিদম নির্দিষ্ট অংশ কে পুনরায় রিপিট করবে।
  3. প্রতিটা অ্যালগরিদম এর মধ্যে আপনি ইনপুট স্টেপ এবং আউটপুট স্টেপ দেখতে পারবেন।
  4. অ্যালগরিদম এর মাধ্যমে কোন একটি প্রোগ্রাম কে খুব কম সময়ের মধ্যে এবং কম শ্রম দিয়ে সম্পূর্ণ করা সম্ভব।

উপরে আপনি বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছেন। মূলত এগুলো হলো অ্যালগরিদম এর বৈশিষ্ট্য। তো যারা মূলত অ্যালগরিদম এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান।

তাদের এই উপরে আলোচিত আলোচনা গুলো তে নজর দেওয়া উচিত।

অ্যালগরিদম কি নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, অ্যালগরিদম নিয়ে আমাদের মনে যে প্রশ্ন গুলো ছিল। সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।

মূলত এই আর্টিকেলে আমি অ্যালগরিদম কি এবং অ্যালগরিদম এর জনক কে। এর পাশাপাশি অ্যালগরিদম এর ব্যবহার ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করি এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি অ্যালগরিদম সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো খুব সহজ ভাবে জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top