জেনে নিন জীবন বীমা কেন করবেন এর ১০ কারণ

জীবন বীমা কেন করবেন : (Life Insurance in Bangla) আপনি যদি ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন।

তাহলে অবশ্যই বীমা সম্পর্কে জেনে থাকবেন। তবে অন্যান্য সকল বীমার মধ্যে জীবন বীমা হল অন্যতম।

জেনে নিন জীবন বীমা কেন করবেন এর ১০ কারণ
জীবন বীমা কেন করবেন

আর সে কারণে আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, জীবন বীমা কি, বীমার সুফল এবং এই জীবন বীমা কেন করবেন।

মূলত আজকে আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিবো যে, আপনি কেন জীবন বীমা করবেন।

সেই সাথে আপনাকে মোট দশ (১০) টি কারণ উল্লেখ করবো। যে কারণ গুলোর জন্য আপনার জীবন বীমা করা উচিত।

তো চলুন এবার তাহলে, জীবন বীমা কেন করবেন , জীবন বীমা কর্পোরেশন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

জীবন বীমা কি | জীবন বীমা কাকে বলে

সবার শুরুতেই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, জীবন বীমা কি। যাতে করে আজকের পরবর্তী আলোচনা গুলো আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারেন।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, জীবন বীমা কি। সহজ ভাষায় আমরা লাইফ ইন্সুরেন্স কে জীবন বীমা বলে থাকি।

যেখানে আপনি বা আমার মত কোন একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট। একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানি এর মধ্যে সময় অনুযায়ী প্রিমিয়াম জমা দেন।

আপনি আরোও দেখুন…

যাতে করে ভবিষ্যতে কোন দুর্ঘটনা হলে সেই ইন্সুরেন্স কোম্পানি থেকে একটি ভালো পরিমাণের আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়।

আর যখন আপনি এই ধরনের বীমা করবেন। তখন তাকে বলা হবে, জীবন বীমা।

জীবন বীমা কেন করবেন?

উপরের ছোট আলোচনা থেকে জীবন বীমা কি সে সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। তো এবার আমরা মূল বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আর সেই বিষয় টি হল, জীবন বীমা কেন করবেন। অর্থাৎ এমন কোন প্রয়োজন রয়েছে, যে প্রয়োজন গুলো পূরণ করার জন্য আপনার জীবন বীমা করা উচিত।

সে গুলো নিয়ে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

এবং এবার আমি জীবন বীমা করার দশ (১০) টি কারণ উল্লেখ করবো। আর যখন আপনি এই কারণ গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তখন আপনিও নিজে থেকে বলবেন যে, ভবিষ্যতে নিরাপত্তা এবং সহায়তার জন্য অবশ্যই আমাদের জীবন বীমা করা উচিত।

তো চলুন এবার জীবন বীমা কেন করবেন তার কারণ গুলো নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করা যাক।

নিজের মনের শান্তির জন্য

এখন যদি আপনি আমাকে প্রশ্ন করেন যে, ভাই আপনি জীবন বীমা কেন করবেন? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরে আমি সরাসরি বলব।

আমার নিজের মনের শান্তির জন্য জীবন বীমা করব। কেননা ভবিষ্যতের কথা আমরা কেউ বলতে পারি না।

অর্থাৎ আমরা বর্তমানে সুখে থাকলেও ভবিষ্যতে যে আমাদের এই সুখ বিরাজমান থাকবে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। বরং ভবিষ্যৎ সর্বদাই পরিবর্তনশীল হতে পারে।

তো এই দিকটা বিশেষ ভাবে বিবেচনা করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, জীবন বীমার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু।

কেননা যখন আপনি জীবন বীমা করবেন। যখন আপনার ছোট কিংবা বড় একটি বা দুইটি পলিসি থাকবে।

তখন কিন্তু ভবিষ্যৎ সময়ে আপনার অবর্তমানে পরিবারের সদস্য সহ কাছের আত্মীয় স্বজনের জন্য একটা সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হবে।

আর যখন আপনি নিজে থেকেই এটা বুঝতে পারবেন যে। আপনি আপনার পরিবারের সুরক্ষার জন্য কোন একটা ব্যবস্থা করেছেন।

অর্থাৎ সেই সময় আপনি যদি না থাকেন, তাহলে কিন্তু সেই সুরক্ষা টি আপনার পরিবার পাবে।

তাহলে কিন্তু আপনার নিজের মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি আসবে এবং আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।

প্রিয়জন এর দিক বিবেচনা করে

আমি শুরুতেই আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হল, যখন আপনি জীবন বীমা করবেন।

তখন আপনি আপনার পরিবার এর সুরক্ষার পাশাপাশি। আপনার যে সকল নিকটস্থ আত্মীয় রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রেও আপনি যথেষ্ট সুরক্ষা তৈরি করতে পারবেন।

কেননা জীবন বীমার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার কাছের মানুষ গুলো কে যথেষ্ট বিবেচনার মধ্যে রাখতে পারে।

আর সেই সময় আপনার অবর্তমানে প্রিয় মানুষ গুলো জীবন বীমার মাধ্যমে বিশেষ একটা সুরক্ষা পাবে।

মনে করুন, আপনি পরিবারের মূল ব্যক্তি। এবং আপনার পরিবার এর যাবতীয় কাজ গুলো আপনাকেই করতে হয়। অর্থাৎ আপনার উপরেই আপনার পরিবার টি নির্ভরশীল।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি কোন দুর্ঘটনা বশত মৃত্যুবরণ করেন। তাহলে কিন্তু এই জীবন বীমা আপনার পরিবার কে যথেষ্ট পরিমাণে সুরক্ষা প্রদান করবে।

অর্থাৎ আপনার পরিবারের মধ্যে আপনি মূল মানুষ হওয়ার পরেও। আপনার অবর্তমানে পরিবারের সকল প্রিয় মানুষ গুলো যেন দিশেহারা হয়ে না পড়ে।

সে জন্য আপনাকে অবশ্যই জীবন বীমা করতে হবে। এতে করে আপনি আপনার প্রিয় মানুষ গুলোর কথা বিবেচনায় নিয়ে আসতে পারবেন।

ট্যাক্স কর থেকে বাঁচতে পারবেন

যখন আপনার জীবন বীমা থাকবে। তখন আপনি আপনার পরিবারের সুরক্ষার পাশাপাশি আরও একটি বিশেষ সুবিধা পাবেন।

সেটি হল, আপনি ট্যাক্স অথবা কর থেকে বাঁচতে পারবেন। কেননা একজন ব্যক্তির জীবন বীমা থাকা অবস্থায় সে যখন প্রিমিয়াম দেয়।

তখন কিন্তু সেটা আয়কর আইনের ধারায় আপনার যে পরিমাণ আয় থাকবে। সেই আয়ের উপর ধার্য করা কর অনেকটাই ছাড় দেওয়া হয়। মূলত এটা হল জীবন বীমার অন্যতম একটি দিক।

আর এই দিকটা থেকে এটা আপনি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবেন যে। জীবন বীমা কিন্তু আপনার আয়ের উপর যথেষ্ট পরিমাণে চাপ কমিয়ে দেয়।

সেই সাথে আপনি একজন ব্যক্তি হয়ে যদি আপনার প্রতি বছরের আয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা হয়।

তাহলে কিন্তু আপনি জীবন বিমার মাধ্যমে কর থেকে অনেকটাই ছাড় পাবেন। এসবের পাশাপাশি যদি আপনি মৃত্যুবরণ করেন।

তাহলে কিন্তু এই জীবন বীমার কারণে আপনি একবারে করমুক্ত হওয়ারও সুযোগ পাবেন।

শিক্ষার পরিকল্পনা

পিতা মাতার দায়িত্ব হল তার সন্তান এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করা। সে কারণে তার সন্তান কে সঠিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।

আর আপনি তো জানেন বর্তমানে সময়ে একটি সন্তান কে পড়ালেখা করার জন্য কি পরিমাণ টাকা ব্যয় করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি যদি আপনার সন্তানের শিক্ষার পরিকল্পনা করেন। যদি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন। তাহলে কিন্তু জীবন বীমা আপনার এই চিন্তা কে অনেকটাই দূর করে দিতে পারে।

এখন হয়তোবা আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, জীবন বীমার মাধ্যমে কিভাবে আপনি আপনার সন্তানের লেখাপড়ার পরিকল্পনা করবেন?

তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনে নিন, মূলত যখন আপনি জীবন বীমার মাধ্যমে প্রিমিয়াম দিবেন।

তখন কিন্তু আপনার প্রদত্ত অর্থ সঞ্চয়ের ভালো একটি মাধ্যম তৈরি হয়ে যাবে। এবং এর সাহায্যে আপনি আপনার সন্তানের জন্য ভবিষ্যৎ শিক্ষার পরিকল্পনা করতে পারবেন।

কারণ যখন আপনি জীবন বীমা করবেন। এবং আপনার সন্তানেরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করবে।

তখন আপনি যদি না থাকেন অর্থাৎ আপনার অবর্তমানে আপনার সন্তানেরা লেখাপড়া করার জন্য প্রয়োজনীয় এডুকেশন লোন নিতে পারবে।

এবং এই ধরনের এডুকেশন লোন এর যে পরিমাণ হবে। সে গুলো কিন্তু এই জীবন বীমা থেকে শোধ করার একটা সুযোগ থাকবে। যা আসলে খুব ভালো একটা দিক।

বীমা পলিসির কাভারেজ অনেক সস্তা

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত জীবন বীমা করতে অনেক ভয় পায়। কেননা তাদের ধারণা হলো, জীবন বীমা করলে অত্যাধিক পরিমাণে খরচ হয়ে থাকে।

তো আপনি যদি এমনটা ভেবে থাকেন। তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা যখন আপনার জীবন বীমা থাকবে।

তখন কিন্তু আপনি বীমা পলিসির কাভারেজ অনেক সস্তা এটা লক্ষ্য করতে পারবেন। কেননা জীবন বীমার ক্ষেত্রে পলিসি কাভারেজ সহজলভ্য এটা কিন্তু বিশেষ একটা গুণ।

এর পাশাপাশি আপনি একজন সাধারণ ব্যক্তি হয়ে যদি আপনার বয়স তুলনা মূলক ভাবে কম হয়। এবং যদি আপনার স্বাস্থ্য অনেক ভালো হয়।

তাহলে কিন্তু আপনার জীবন বীমার প্রিমিয়াম এর পরিমাণটা অনেক কমে আসবে। যা থেকে আপনি বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি কোন ধরনের ধূমপান কিংবা নেশা না করেন। এবং আপনার যদি পূর্ববর্তী কোন ধরনের অসুস্থতা না থাকে।

সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি আরো অনেক বেশি সস্তায় জীবন বীমার কাভারেজ পেতে পারেন।

জীবন বীমা অবসরকালীন লক্ষ্য কে পূরণ করে

বর্তমান সময়ে আপনি যত গুলো মানুষ কে দেখতে পারবেন। তাদের সবার মনে একটি ইচ্ছা থাকে।

আর সেই ইচ্ছাটি হলো, যখন তারা বয়স্ক হবে। তখন তারা যেন তাদের বাকিটা জীবনের সঞ্চয় কাজে লাগাতে পারে। আর আপনার যদি জীবন বীমা থাকে।

তাহলে কিন্তু আপনি আপনার জীবন বিমার মাধ্যমে অবসর কালীন লক্ষ্য গুলো কে পূর্ণ করতে পারবেন। 

কেননা জীবন বীমা থাকা অবস্থায় যখন আপনি বৃদ্ধ বয়সে পা দিবেন। তখন কিন্তু আপনার প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করার সোর্স তৈরি হবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

যার ফলে আপনি যখন রিটায়ারমেন্ট করবেন কিংবা আপনার বয়স অধিক হবে। তখন আপনি প্রতি মাসে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করা টাকা গুলো খরচ করতে পারবেন।

এবং সেই সময় আপনার প্রয়োজন গুলো কে মেটাতে পারবেন। আর সে কারণে একজন মানুষের জন্য অবশ্যই জীবন বীমা করা উচিত।

যাতে করে সে তার পরিবারের সুরক্ষার পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজেরও সুরক্ষা রাখতে পারে।

কর্মচারীদের সুবিধার জন্য

জীবন বীমা কেন করবেন যদি কখনো আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে জেনে রাখুন, জীবন বীমা করার অন্যতম আরও একটি কারণ হলো কর্মচারীদের সুবিধা বজায় রাখা।

তো এখন হয়তো বা আপনি ভাবছেন যে কর্মচারীদের সুবিধার জন্য আপনার জীবন বীমা করার প্রয়োজন কি? আর যদি আপনি এমনটা ভেবে থাকেন, তাহলে শুনুন…..

গ্রুপ জীবন বীমা হল বিশেষ একটি উপায়। যার মাধ্যমে আপনি আপনার কোম্পানির মধ্যে থাকা যাবতীয় কর্মচারীদের কল্যাণ করতে পারবেন।

কেননা এই জীবন বীমার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন এটি কোম্পানি তে থাকা কর্মচারীদের নগদিকরণ করা হয়। এবং তাদের ছুটির বন্দোবস্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে থাকে।

আর আপনি যদি একটি কোম্পানি পরিচালনা করেন। এবং আপনি যদি জীবন বীমা করেন। তাহলে কিন্তু সেই কর্মচারীদের পাশাপাশি নিজের ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

মূলত এই সকল সুবিধা গুলো ভোগ করার জন্য একজন ব্যক্তির অবশ্যই জীবন বীমা করা উচিত।

জীবন বীমা সুরক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ

দেখুন আমরা যারা জীবন বীমা করে থাকি। তাদের সবার একটা কথা জেনে রাখা উচিত।

আর সে কথাটি হলো, বীমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বীমা পরিচালনা করা কোম্পানি গুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম জারি করেছে।

যে গুলো কে আমরা যদি কঠোর নিয়ম বলে থাকি তাহলে কিন্তু ভুল হবেনা।

এবং সেই নিয়ম এর মধ্যে এটা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে। যে সকল বীমা কোম্পানি গুলো তাদের বীমা করা ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।

যার ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতেই এই বীমা কোম্পানি গুলো সেই সকল মানুষদের বিপদের সময় সহায়তা প্রদান করতে হবে।

তো এখান থেকে এটা স্পষ্ট করেই অনুমান করা যায় যে। জীবন বীমা করলে আপনি নিশ্চিন্তে একটা সুরক্ষা পাবেন।

কেননা আপনি যে কোন কোম্পানি থেকেই জীবন বীমা করুন না কেন।

সেই কোম্পানি কে অবশ্যই বীমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কঠোর নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে।

আর সেই নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বীমা করেছে এমন মানুষদের সুরক্ষা প্রদান করা।

অর্থ বিনিয়োগের উত্তম জায়গা

যখন আপনি জীবন বীমা করবেন তখন আপনি বিশেষ একটি বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। আর সেটি হল টপ আপ প্রিমিয়াম।

মূলত অধিকাংশ বীমা কোম্পানি গুলোর মধ্যে এই টপ-আপ প্রিমিয়াম নামের একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে।

তো এখন এই সুবিধা টি জানার পর আপনি হয়তো ভাবছেন যে। এর কাজ কি এবং এর মাধ্যমে আমরা কি কি সুবিধা ভোগ করব।

তো যদি আপনি এমন টা ভেবে থাকেন, তাহলে আপনাকে নিচের আলোচনায় নজর রাখতে হবে।

তো আমরা সবাই ভালো করেই জানি যে, জীবন বীমা করার সময় নির্দিষ্ট একটি প্রিমিয়াম ধার্য করা হয়ে থাকে।

এবং যখন আপনি বীমা করবেন তখন অবশ্যই এই প্রিমিয়াম সময় মত পরিশোধ করে দিতে হবে। কিন্তু যদি আপনার নিকট অতিরিক্ত পরিমাণে অর্থ থাকে।

সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি এই টপ আপ প্রিমিয়াম এর সুবিধা টি ভোগ করতে পারবেন। কেননা এই সুবিধাটির মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত কিছু অর্থের কাভারেজ পাবেন।

ঋণের সাথে মোকাবেলা করা যায়

জীবন বীমা করার অন্যান্য সকল সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঋণের সাথে মোকাবেলা করা।

অর্থাৎ জীবিত থাকা অবস্থায় আপনি যখন জীবন বীমা করবেন। তখন কিন্তু আপনার অবর্তমানে যদি আপনার পরিবারের মধ্যে কোনো ধরনের ঋণ থাকে।

তাহলে কিন্তু জীবন বীমার মাধ্যমে সেই বকেয়া ঋণ গুলো পরিশোধ করার একটা বিশেষ সুযোগ থাকবে।

কেননা একটি সংসার চালাতে আমাদের বিভিন্ন প্রকারের লোন নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

যেমনঃ ব্যক্তিগত লোন, গাড়ির লোন, ক্রেডিট কার্ড এর লোন ছাড়াও হোম লোন ইত্যাদি।

তো আপনি কখনোই চাইবেন না যে, আপনার অবর্তমানে আপনার পরিবারের লোকজন এই লোনগুলো শোধ করুক। এ

বং আপনি দুর্ঘটনা বশত মৃত্যুবরণ করার পরে আপনার পরিবার এই লোন গুলো শোধ করতে বিপাকে পড়ুক।

তো এখন যদি আপনি জীবন বীমা করেন। তাহলে কিন্তু আপনার পরিবার এই লোন শোধ করতে খুব বেশি টেনশন করার প্রয়োজন হবে না।

কেননা জীবন বীমা থাকা অবস্থায় আপনি যে সকল লোন করবেন। সে গুলো আপনার অবর্তমানে জীবন বীমা কোম্পানি থেকে বকেয়া ঋণ গুলো পরিশোধ করে দিবে।

আর আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে। মূলত এই সুবিধা টি ভোগ করার জন্য অবশ্যই আপনার জীবন বীমা থাকা উচিত।

FAQ – Jibon Bima

Q: বীমা কত প্রকার ও কি কি?

A: আপনি বিভিন্ন ধরনের বীমা দেখতে পারবেন। যেমন, সম্পত্তি বীমা, ঘরের বীমা, অগ্নি বীমা, ভ্রমণ বীমা, দুর্ঘটনা বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, জীবন বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি।

Q:সরকারি বীমা কয়টি কি কি?

A: আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, সরকারি বীমা কয়টি ও কি কি। তো বর্তমান সময়ে আপনি মোট দুইটি সরকারি বীমা দেখতে পারবেন।

তার মধ্যে একটি হলো, জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্য আরেক টি হলো সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। মূলত সরকার কর্তৃক সরাসরি এই বীমা কোম্পানি গুলো কে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

Q: জীবন বীমার অসুবিধা গুলো কি কি?

A: আপনি যখন জীবন বীমা করবেন। তখন বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো, ভুয়া কোম্পানির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা।

এছাড়াও জীবন বীমার জটিল প্ল্যান গুলো আপনার বুঝতে অসুবিধা হবে। সেই সাথে টাকা ফেরত নেওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।

এগুলো ছাড়াও জীবন বীমার আরো বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

জীবন বীমা সম্পর্কে আমাদের কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

অর্থাৎ আমরা যে জীবন বীমা সম্পর্কে জানি সেই জীবন বীমা কেন করবেন এবং এই বীমা করার প্রয়োজনতা কি। সেই বিষয় গুলো নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আপনি আরোও পড়ুন…

তো আপনি যদি আজকের এই লেখাটি পড়ে থাকেন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এতক্ষণ আপনি বুঝতে পেরেছেন আপনি আসলে জীবন বীমা কেন করবেন।

তো আপনি যদি ব্যাংকিং রিলেটেড যাবতীয় তথ্যগুলো সবার আগে জেনে নিতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে হবে। 

এর পাশাপাশি যদি আপনি বীমা সম্পর্কে আরো অজানা কিছু জানতে চান। তাহলে আপনার প্রশ্নটি নিজে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে আমার লেখা টি পড়ার জন্য।

2 thoughts on “জেনে নিন জীবন বীমা কেন করবেন এর ১০ কারণ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top