মোবাইল ব্যাংকিং কি | কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং করে ? (Mobile banking in bengali)

মোবাইল ব্যাংকিং কি : Mobile banking introduction – প্রযুক্তির বদৌলতে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ক্রমাগত ভাবে সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠছে।

মোবাইল ব্যাংকিং কি | কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং করে ? (Mobile banking in bengali)
মোবাইল ব্যাংকিং কি | কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং করে

আর সেই উন্নত বিশ্বের ছোঁয়া থেকে বাদ পড়েনি মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রতিষ্ঠান গুলো।

আর সে কারনে বর্তমানে আমাদের অতি প্রয়োজনীয় টাকা লেনদেন করার অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে Mobile Banking.

এইতো কয়েক বছর আগের কথা, যখন আমাদের ব্যাংক কতৃক কোনো প্রকার সেবা নেয়ার প্রয়োজন হতো।

তখন আমাদের কে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হতো।

কিন্তুু প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে ব্যাংকে যাওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া ব্যাংকে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাটাও বেশ বিরক্তিকর একটা কাজ।

কিন্তুু সময় অনেক বদলে গেছে।

আজকের দিনে ইন্টারনেট এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। আর এর পুরো প্রভাব পড়েছে ব্যাংক ব্যবস্থা গুলোর উপরে।

সেই কারণে, এখন আর আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হবেনা ৷

বরং এখন আপনি নিজের ঘরে বসেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অনেক কাজ করতে পারবেন।

তবে এই সময়ের প্রযুক্তির উন্নয়ন থাকার পরেও এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এখনও জানেনা যে, মোবাইল ব্যাংকিং কি (What is mobile banking in bengali).

আপনার জন্য আরো লেখা…

আর সে কারনে আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

আজকে আপনি জানতে পারবেন mobile banking কি, মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা কি কি ? types of mobile banking and advantages of mobile banking, 

এই সমস্ত বিষয়ে স্টেপ বাই বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

মোবাইল ব্যাংকিং কি ? (What is mobile banking)

মোবাইল ব্যাংকিং কি (mobile banking ki) – what is Mobile Banking Definition ?

যদি এই বিষয় কে সহজভাবে বলা যায়, আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ব্যাংকিং রিলেটেড যাবতীয় কাজ গুলো করার পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হবে, মোবাইল ব্যাংকিং।

তবে এখানে আমি ব্যাংকিং রিলেটেড কাজ বলতে বুঝিয়েছি Bank balance check, Money Transfer, Bill Payment ইত্যাদি ইত্যাদি।

তবে মোবাইল ব্যাংকিং কি (mobile banking in bangla) কে আরো একটু আলাদা ভাবে সংঙ্গায়িত করা যায়।

সেটি হলো, আপনার ব্যাংক একাউন্টের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন করার কার্যকলাপ গুলো মোবাইল এর মাধ্যমে সম্পন্ন করার গোটা পদ্ধতিকে বলা হবে মোবাইল ব্যাংকিং।

বলা বাহুল্য যে, মোবাইল দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট কে পরিচালনা করার সুবিধাটি মূলত ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে সরাসরি প্রদান করা হয়ে থাকে। 

Mobile banking apps কি ?

আমাদের হাতে থাকা এন্ড্রয়েড ফোন গুলো কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের Apps ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর যখন আপনি আপনার কোনো ব্যাংক একাউন্ট কে পরিচালনা করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো Apps ব্যবহার করবেন।

তখন সেই অ্যাপস কে বলা হবে, Mobile Banking Apps.

মূলত ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক অনুযায়ী এই ধরনের Mobile Banking Apps গুলোও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

আর যেহুতু প্রতিটা ব্যাংক একই নিয়মে চলেনা, সেহুতু এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস গুলোর বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

যেমন, আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক কতৃক প্রদত্ত Banking Apps টি যেভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

সেই ভাবে কিন্তুু অন্য কোনো ব্যাংকের অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবেন না।

আর আপনি যদি আপনার মোবাইল দিয়ে ব্যাংকিং এর কাজ গুলো সম্পন্ন করতে চান।

সেক্ষেত্রে আপনাকে ঐ Bank এর Official Website থেকে দেওয়া ব্যাংকিং অ্যাপ টি ব্যবহার করতে হবে।

তবে সচারচর আপনি যদি গুগল প্লে স্টোর সার্চ করেন, তাহলেও আপনি একবারে আসল ব্যাংকিং অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো, সেটি হলো এই ধরনের Banking Apps গুলো আপনার নির্দিষ্ট কিছু পারসোনাল ডেটা সংগ্রহ করে রাখবে।

যেমন, আপনার নাম, আপনার আইডি এবং আপনার দেয়া গোপন সংখ্যার পাসওয়ার্ড।

আর আপনি যখন এই ব্যাংকিং অ্যাপস গুলো মাধ্যমে কোনো আর্থিক লেনদেন করবেন ৷ তখন আপনার পূর্বে দেওয়া ডেটা গুলো প্রদান করতে হবে। 

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে কোন ব্যাংক ?

ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতার ফলে এখন অধিকাংশ মানুষ তার নিজের ফোন থেকে Mobile Banking সেবা গ্রহন করে আসছে ৷

তো এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে কোন ব্যাংক ?

তাহলে কি এই প্রশ্নের উত্তরটা আপনি দিতে পারবেন। থাক আপনাকে এই উত্তর দিতে হবেনা, বরং আমি এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

আমাদের দেশে অনেক স্বনামধন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোর তুলনায় সবার পরিচিত ডাচ্ বাংলা ব্যাংক সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে।

আর সে কারনে এই ব্যাংক প্রচুর পরিমানে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো।

যার রেশ এখনও বিদ্যমান রয়েছে। তবে এটা শুধুমাএ বাংলাদেশ ব্যাংকিং এর দিক থেকে তুলে ধরা হয়েছে।

অবাক করার মতো বিষয় হলো, যখন আমাদের দেশে মোবাইল ব্যবহার ততোটা জনপ্রিয়তা পাইনি।

সেই সময়ে অর্থ্যাৎ, ১৯৯৯ সালে ইউরোপীয়ান ব্যাংক গুলোতে এই Mobile Banking System চালু করা হয়েছিলো।

এবং উক্ত সময়ে এই পদ্ধতিকে মোবাইল ওয়্যাপ এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছিলো।

যার মূল উদ্দেশ্যে ছিলো, গ্রাহক যেন তার হাতে থাকা মোবাইল অথবা ট্যাবলেট দিয়ে ব্যাংক এর আর্থিক লেনদেন করার কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারে।

তবে আমাদের দেশে সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০১০ সালে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মাটিতে মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু করতে সক্ষম হয়। 

কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং করে ?

উপরের ছোট্ট আলোচনার মাধ্যমে আমি মোবাইল ব্যাংকিং কি এবং Mobile Banking Apps কি তা নিয়ে পরিস্কার ভাবে আলোচনা করেছি।

এর পাশাপাশি আমাদের দেশে কোন ব্যাংক সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু করে সে নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তো এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং করা হয় (mobile banking examples).

চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

দেখুন আমি শুরুতেই বলেছি যে, আপনি যদি কোনো ব্যাংক এর আথিক লেনদেন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে চান।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

তাহলে সবার আগে আপনাকে ঐ ব্যাংক এর অফিসিয়াল Banking Apps কে আপনার ফোনে ইনস্টল করে নিতে হবে। কিন্তুু ব্যাংক ভেদে এই অ্যাপ গুলোর বৈশিষ্ট্য আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

এই ধরনের ব্যাংকিং অ্যাপ গুলোতে আপনি বিভিন্ন বিষয় দেখতে পারবেন ( features of mobile banking ).

যেমন, আপনার একাউন্টে মোট কত টাকা ব্যালেন্স আছে, আপনি কোথায় কোথায় আর্থিক লেনদেন করেছেন, সেই আর্থিক লেনদেন এর পরিমান কত ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি।

আবার কিছু কিছু ব্যাংকিং অ্যাপ গুলো এই আর্থিক লেনদেন করার ডেটা গুলো কে পরবর্তী সময়ে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার ও সুবিধা দিয়ে থাকে। 

মূলত যেসব Bank থেকে এমন মোবাইল ব্যাংকিং এর সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

তাদের যুক্তি অনুসারে, Mobile Banking পদ্ধতিতে একজন গ্রাহক তার আর্থিক লেনদেন করার জন্য ব্যাংকের শাখায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কে অনেক গুন কমিয়ে দেয়।

তাছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং কোনো প্রকার নগদে অর্থ লেনদেন করেনা। কিন্তুু আপনি যদি নগদে অর্থ্যাৎ, ক্যাশ টাকায় লেনদেন করতে চান ৷

সেক্ষেত্রে আপনার আশেপাশে থাকা এটিএম বুথ কিংবা সরাসরি ব্যাংকের শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে ৷ 

চলুন এবার জানা যাক advantages of mobile banking মানে মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা কি ? 

মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা কি ? 

আমি বরাবরই একটা কথা বলে থাকি, সেটি হলো উন্নত প্রযুক্তি সর্বদাই মানব কল্যানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

আর মানুষ যেন আর্থিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে ৷ সেই লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে ৷

আর এটি মানুষের আর্থিক লেনদেন করার কাজকে এতোটাই সহজ করে দিয়েছে যে, এখন ব্যাপক পরিমান মানুষ এই Mobile Banking ব্যবস্থার উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে।

তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, আজকের দিনের এই মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি মানুষের জীবনে কি কি সুযোগ সুবিধা এনে দিতে পেরেছে।

তো চলুন এবার তাহলে Benefits of mobile banking service গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। তাহলে আপনার মনে একটা ক্লিয়ার ধারনা চলে আসবে। 

Benefits of mobile banking service

বলা বাহুল্য যে, আপনি যদি আজকের দিনের মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমনঃ 

  1. হয়তবা আপনার জানা থাকবে যে, মোবাইল ব্যাংকিং করার জন্য নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে অনায়াসেই যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করা সম্ভব। 
  2. কিন্তুু এমন অনেক মানুষ থাকবেন, যারা একবারে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করেন। সেক্ষেত্রে তাদের দুর্বল ইন্টারনেট কানেকশন এর ফলে যে মোবাইল ব্যাংকিং থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই কারনে তারা USSD কোডের মাধ্যমেও আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। 
  3. কোনো একটি ব্যাংক এর কার্যক্রম মূলত নির্দিষ্ট একটা সময় অনুযায়ী চালু থাকে।
  4. আর সেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তুু মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে আপনি দিনের ২৪ ঘন্টা বছরের ৩৬৫ দিন অবিরাম আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। 
  5. আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ইন্টারনেট এর বিষয়ে তেমন পারদর্শী নয় ৷
  6. তবে Mobile Banking এতোটাই সহজ ও সুরক্ষিত হওয়ার কারনণে যেকোনো মানুষ এই পদ্ধতিতে টাকা লেনদেন করতে পারবে। 
  7. নিরাপত্তার দিক থেকেও মোবাইল ব্যাংকিং হলো অন্যতম। কারণ, এখানে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন করার জন্য পিন কোড, ট্রান্সজেকশন কোড ইত্যাদি দেয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  8. যার ফলে আপনার অনুমতি ব্যাতিত অন্য কেউ আপনার একাউন্টে লেনদেন করতে পারবে না। 
  9. হঠাৎ করে প্রয়োজন হলে আপনাকে আর ব্যাংকে যাওয়ার দরকার হবেনা। কারণ, আপনি তখন আপনার নিজের মোবাইল থেকেই সব ধরনের লেনদেন মোবাইল থেকেই করতে পারবেন। 
  10. অতীতের দিন গুলোতে আপনার নিজের Bank Account এ কত টাকা ব্যালেন্স আছে তা লিখে রাখতে হতো। এখন আপনি Mobile Banking এর সুবিধার্থে যেকোনো সময় আপনার Bank Account Balance Check করে নিতে পারবেন। 

তো পাঠক, আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে আপনার মূল্যবান আর্থিক লেনদেন করেন।

তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত সুযোগ সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন ৷ 

মোবাইল ব্যাংকিং দ্বারা কি কি করা যাবে ? (features of mobile banking)

তো এতক্ষনে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং কি এবং Benefits of mobile banking service সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

এখন আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, মোবাইল ব্যাংকিং দ্বারা কি কি করা যাবে।

মানে যদি আপনি Mobile Banking এর সাথে যুক্ত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি এর মাধ্যমে কি কি আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন ৷ চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  1. Money Transection: আপনি বিভিন্ন প্রকারের আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।  
  2. Previous Transection History:আপনি মোট কত টাকা লেনদেন করেছেন। তার সম্পূর্ন ডেটা দেখতে পারবেন। 
  3. Mobile Balance Recharge: কোনো কারনে যদি আপনার মোবাইল এর ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়। তাহলে আপনি আপনার মোবাইলে রিচার্জ করে নিতে পারবেন ৷ 
  4. Apply For Loan: যদি আপনার কোনো লোন নেয়ার দরকার হয়, তাহলে আপনার মোবাইল থেকে সেই লোন নেয়ার জন্য Apply করতে পারবেন। 
  5. Bill Payment: বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ এখন প্রতি ঘরে ঘরে রয়েছে। আর এই বিদ্যুৎ খরচের যে বিল আসে, সেটিও আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে Payment করতে পারবেন৷ 
  6. Online Ticket Booking: মনে করুন আপনি কোনো দুরপাল্লার জার্নি করবেন ৷ সেজন্য আপনাকে আর লাইন ধরে টিকেট কাটার প্রয়োজন পড়বে না।
  7. কারণ, আপনি নিজের ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টিকেট বুকিং দিতে পারবেন ৷ 
  8. Bank Statement Download: আপনি যে কোনো সময় আপনার ব্যাংক এস্টেটমেন্ট কে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

তো উপরে যে বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো বাদেও আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।

তবে এতো কিছু আসলে লিখে শেষ করা যাবেনা। বরং যদি আপনি নিজে থেকে Mobile Banking ব্যবহার করেন। তাহলে সবগুলো কাজ সম্পর্কে অবগত থাকবেন। 

মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো কি কি ?

Disadvantages of mobile banking মুদ্রার যেমন এপিঠ ওপিঠ আছে, ঠিক তেমনি ভাবে এই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে ৷

আর আপনি যখন এই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিজেকে যুক্ত করবেন ৷ তখন আপনিও বেশ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হবেন ৷

চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে, মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো কি কি।

  1. যেহুতু আপনি আপনার Bank Balance কে নিজের মোবাইল থেকে ব্যবহার করতে পারবেন৷ সেহুতু আপনার খরচ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ৷
  2. কারণ, এতে করে আপনি সামান্য প্রয়োজনে টাকা ব্যায় করা শুরু করে দিবেন৷ 
  3. যদিওবা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অনেক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা হয়। তারপরেও কেউ যদি আপনার গোপন Pin Code জানতে পারে ৷
  4. তাহলে কিন্তুু সেই ব্যক্তি আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার একাউন্টকে ব্যবহার করতে পারবে। 
  5. অপরদিকে বাস্তবিক জীবনে যেভাবে জমিয়ে রাখা টাকা গুলো চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে মোবাইল থেকে টাকা চুরি করার জন্যও হ্যাকারের ভয় সর্বদাই থাকবে। 
  6. আপনি যখন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন করেন। তাহলে কিন্তুু আপনার লেনদেন এর পরিমানের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা চার্জ (Charge) দেয়ার প্রয়োজন হবে। 
  7. যদি কোনো কারণে আপনার মোবাইল হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায়। তাহলে কিন্তুু আপনাকে বেশ বিপাকে পড়ে যেতে হবে।
  8. কারণ, যার হাতে মোবাইল থাকবে, সে আপনার একাউন্টের বারোটা বাজিয়ে দিবে। 

তো উপরে যেসব মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো দেখতে পাচ্ছেন ৷

এগুলো তেমন একটা বিষয় না যদি আপনি সতর্ক থাকেন। কেননা, এই ধরনের সমস্যা গুলো তখনি হবে যখন আপনি অসর্কতা অবলম্বন করবেন। 

ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?

What is mobile banking and internet banking ? তো মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে জানতে এসে আপনার আরো একটি বিষয়ে ধারনা রাখা উচিত।

সেটি হলো ইন্টারনেট ব্যাংকি, কেননা Mobile Banking এবং Internet Banking এই দুটোই মূলত একই পদ্ধতি এবং একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তুু স্বল্প কিছু ক্ষেত্রে এই দুটোর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। যেমনঃ 

  1. আপনি মোবাইল ব্যাংকিং করুন অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং করুন। এই দুটো পদ্ধতিতে আপনার নিজের কাছে একটা মোবাইল ডিভাইস থাকতে হবে। 
  2. যখন আপনি Internet Banking করবেন তখন আপনার মোবাইল ডিভাইসে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। 
  3. কিন্তুু মোবাইল ব্যাংকিং করার সময় আপনি ussd code ডায়াল করেও আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। 
  4. ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে আপনি মোবাইল থেকে শুরু করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়েও লেনদেন করতে পারবেন। 
  5. অপরদিকে মোবাইল ব্যাংকিং এর জন্য আপনার নিকট অবশ্যই একটি মোবাইল ফোন থাকতে হবে। 

আসলে Mobile Banking এবং Internet Banking এর মধ্যে তেমন বেশি পার্থক্য নেই।

আর যেটুকু বিভেদ আছে তা আমি স্বল্প আকারে উপরেই আলোচনা করলাম। আশা করি এই আলোচনা থেকেই পার্থক্যটা পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

আপনার জন্য আরো লেখা আছে…

মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর 

চলুন এবার কিছু ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর জেনে নেয়া যাক। মূলত এই ধরনের প্রশ্ন গুলো প্রতিনিয়ত Google এ সার্চ হয়ে থাকে। যেমনঃ 

০১| বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে কোন ব্যাংক?

উত্তর :  ডাচ্ বাংলা ব্যাংক (Dutch Bangla Bank).

০২| মোবাইল ব্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত? 

উত্তর : পুরো বিশ্বে মোবাইল ব্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান সবার শীর্ষে।

০৩| মোবাইল ব্যাংকিং প্রচলন হয় কোন যুগে?

উত্তর : ১৯৯৯ সালে আর বাংলাদেশে ২০১০ সালে প্রচলন হয়।

০৪| ই ব্যাংকিং কি?

উত্তর : ই ব্যাংকিং হল ইলেক্ট্রিক ব্যাংকিং। 

মোবাইল ব্যাংকিং আমাদের শেষকথা 

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশে ক্রমাগত ভাবে মোবাইল ব্যাংকিং এর চাহিদা বেড়ে উঠছে।

যার কারণে বাংলাদেশ Mobile Banking এর দিক থেকে সবার শীর্ষে অবস্থান করে আছে।

আর সে কারনে আজকে আমি মোবাইল ব্যাংকিং কি তা নিয়ে আজকে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

বাংলা আইটি ব্লগ বাংলা ভাষায় নির্মিত একটি ভিন্ন ব্লগ। যেখানে আপনি টেক রিলেটেড অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে পারবেন।

আর সেজন্য আপনাকে Bangla it blog এর সাথে থাকতে হবে। পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top