মনিটর কি । মনিটর এর কাজ কি । What is monitor in bengali ?

মনিটর কি : এই ডিজিটাল যুগে এসে  Monitor কি ( what is monitor in bangla ), তা জেনে নেয়াটা বেশ জরুরী একটি বিষয়।

কেননা, এখনকার দিনে প্রায় অধিকাংশ মানুষ কম্পিউটার এবং টিভি ব্যবহার করে থাকে।

মনিটর কি । মনিটর এর কাজ কি । What is monitor in bengali ?
মনিটর কি । মনিটর এর কাজ কি

আর এমন অনেক মানুষ কে খুজে পাবেন, যারা মূলত Monitor এবং TV কে একই বিষয় মনে করে।

আদতে এই দুটো কখনই এক বিষয় নয়। তো আপনার মধ্যেও যেন এই ভ্রান্ত ধারনা না থাকে, সে কারনেই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

হ্যালো বাংলা আইটি ব্লগ রিডার, Bangla it blog এর নতুন একটি এপিসোডে আপনাকে স্বাগতম ।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

আজকের এই মূল্যবান আর্টিকেলে আপনি মনিটর এর যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জানতে পারবেন। যেমন , Monitor ki, মনিটর কয় প্রকার, মনিটর দাম সহ অনেক কিছু জানতে পারবেন।

চলুন মূল আর্টিকেলে চলে যায়।

মনিটর কি ? | Monitor কি ? 

আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস আছে। তার মধ্যে মনিটর হলো কম্পিউটারের একটি আউটপুট ডিভাইস।

এবং প্রযুক্তির ভাষায় এই ডিভাইস কে বলা হয়, ভিজুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট। আর আমরা আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার গুলোতে যে যে কমান্ড গুলো দেই।

সবার আগে সেই কমান্ড গুলো CPU তে যায়। এবং সেই কমান্ড গুলো সিপিইউ তে প্রসেস হওয়ার পর আমরা মনিটর নামক আউটপুট ডিভাইসে দেখতে পাই।

তবে মনিটর কে দেখতে অনেকটা টিভির মতো লাগে। যে কারনে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ এই দুটো ডিভাইস কে একই মনে করে থাকে।

যারা এমনটা মনে করেন তাদের বলবো যে, আপনার ধারনা সম্পূর্ন ভুল।

কারণ, আমাদের ব্যবহার করা টিভি গুলোতে এক ধরনের বিশেষ টিভি টিউনার থাকে। আর এই ধরনের Tunner কম্পিউটারে ব্যবহার করা মনিটর গুলোতে থাকেনা।

তবে আপনি যদি কম্পিউটার মনিটরে টিভি দেখতে চান। তবে আপনাকে আলাদা করে টিভি টিউনার ব্যবহার করতে হবে। 

মনিটর এর কাজ কি ?

Monitor ki, আশা করি উপরের আলোচনা থেকে সে বিষয়ে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন ৷ তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, মনিটর এর কাজ কি

যখন আপনি এই বিষয়টি জানতে পারবেন। তখন আপনার মনিটর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হবে। তো চলুন এবার তাহলে মনিটর এর কাজ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

তো আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটারে CPU এর সাথে মনিটরকে ডিসপ্লে এডিটর হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর আমাদের ব্যবহৃত প্রতিটা কম্পিউটারে একটি করে গ্রাফিক্স কার্ড সংযুক্ত করা থাকে। আর এই Graphics Card এর মাধ্যমে যে সব ইনফরমেশন গুলো প্রসেস হয়।

সেই তথ্য গুলো আমরা মনিটর এর মাধ্যমে দেখতে পাই।

আর একটি মনিটরে প্রদর্শিত এই ইনফরমেশন গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, Video, Image কিংবা অন্য কোনো ইনফরমেশন।

আর সে কারনে মনিটর কে আলাদা ভাবে সংঙ্গায়িত করা যায়।

সেটি হলো, মনিটর এমন একটি আউটপুট ডিভাইস যা Graphics Adepter এর সকল ইনফরমেশন কে প্রদর্শন করে থাকে। 

কম্পিউটারে মনিটরের কাজ কি ?

একটি কম্পিউটার এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস যুক্ত করা থাকে। আর বিভিন্ন এই ডিভাইস গুলোকে এক একটি ইউনিট হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

ঠিক তেমনিভাবে মনিটর কে কম্পিউটার এর ডিসপ্লে ইউনিট হিসেবে ধরা হয়। কারন এটি হলো Computer এর একটি Output Unit.

যা আমাদের দেয়া কমান্ড গুলো কে ডিসপ্লের মাধ্যমে প্রদর্শন করে থাকে।

মনে করুন, আপনি আপনার কম্পিউটারে ভিডিও গান দেখতে চাচ্ছেন। এখন আপনি সবার আগে কম্পিউটার কে একটি ভিডিও প্লেয়ার চালু করার কমান্ড প্রদান করবেন।

এবং আপনার পছন্দের ভিডিও গানটি সিলেক্ট করার পর কম্পিউটার কে সেই গানটি প্লে করার জন্য নির্দেশনা দিবেন।

এরপর আপনার কম্পিউটারে থাকা CPU সেই কমান্ডকে প্রসেস করার পর গ্রাফিক্স কার্ডের মাধ্যমে আপনার দেয়া কমান্ড অনুসারে তৈরি হওয়া আউটপুট মনিটরে দেখতে পারবেন। 

মনিটর এর বৈশিষ্ট্য কি ? 

একটি মনিটর এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। আর মনিটর কি -তা জানার পাশাপাশি আপনাকে এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারনা থাকতে হবে।

তো চলুন এবার তাহলে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০১| Resulation (রেজুলেশন)

প্রতিটা মনিটর এর বিশেষ একটি দিক হলো রেজুলেশন। কারন কোনো একটি Monitor এর মধ্যে যতো ভালো Resulation ভালো থাকবে।

সেই মনিটরে দৃশ্যমান দৃশ্য গুলো ততো ভালো হবে। এদের সাইজ গুলোকে মূলত লম্বালম্বি এবং আড়াআড়ি ভাবে হিসেব করে রেজুলেশন নির্ধারন করা হয়ে থাকে।

এবং এদের সাইজ গুলো মূলত (৬৪০×৬৮০, ১০৭৪×৭৬৪) এই আকারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 

০২| Pixel (পিক্সেল)

কোনো একটি মনিটর এর আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি সাইজের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের cross-section থাকে। আর এই ক্রস সেকশনে থাকা ডায়ামিটার কে বলা হয় পিচ বা পিক্সেল।

জেনে রাখা ভালো যে, কোনো একটি মনিটর এর পিক্সেল এর পরিমান যতো কম হবে।

সেই মনিটর এর কোয়ালিটি ততোই ভালো হবে। তবে আজকের দিনে বেশির ভাগ মনিটর গুলোতে ০.২৮ মিলিমিটার এর Pixel ব্যবহার করা হচ্ছে।

০৩| Non Interlased (নন ইন্টারলেসড)

এটি হলো প্রতিটা মনিটর এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

সচারচর একটি মনিটর এর মধ্যে থাকা দৃশ্যমান বস্তু গুলো পরিস্কার ভাবে প্রদর্শন করা এবং গতিময় করার জন্য বিশেষ ধরনের ফ্রেম করা হয়ে থাকে।

আর একেকটি ফ্রেম এর মধ্যে মোট ২৫ টি করে লাইন থাকে। তবে প্রতিটা মনিটর Non Interlased থাকা ভালো, এতে করে আমাদের চোখ ভালো থাকবে। 

০৪| Low Radiation (লো রেডিয়েশন)

আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, একটি মনিটর এর মধ্যে রেডিয়েশন যতো কম থাকবে। তা ব্যবহারকারীর জন্য ততোই ভালো।

কেননা, এর মাধ্যমে মনিটর এর ডিসপ্লের দৃশ্যমান বস্তুগুলোর উজ্জলতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি এর আলো আমাদের চোখের অনেক কম ক্ষতি করবে।

আর সে কারণে বর্তমান সময়ের মনিটর গুলোতে Low Radiation দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে। 

মনিটর এর প্রয়োজনীয়তা কি ?

উপরের আলোচনা থেকে মনিটর কি এবং মনিটর এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তো এবার আপনাকে আরো একটি বিষয়ে জেনে নিতে হবে।

সেটি হলে, আমরা কেন মনিটর ব্যবহার করবো। এবং মনিটর এর প্রয়োজনীয়তা কি। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

দেখুন Monitor ব্যবহার করার বেশ কিছু কারন আছে। যেমন, 

  1. সত্যি বলতে মনিটর ছাড়া কম্পিউটারে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। কারন আপনি আপনার কম্পিউটারে কি কাজ করছেন, তা যদি দেখতে না পারেন। তাহলে আপনি সেই কাজটি সম্পূর্নভাবে করতে পারবেন না। 
  2. গ্রাফিক্স থেকে শুরু করে প্রোগ্রামিং এর কাজ গুলো একবারে নিঁখুতভাবে করার জন্য অবশ্যই মনিটর এর দরকার হবে। 
  3. বিভিন্ন প্রকার প্রকাশনী কাজ গুলো দেখে দেখে করতে হয়। তো এই সময়ে আপনার নিকট একটি মনিটর থাকা আবশ্যক। 
  4. আপনি যদি ভিডিও দেখা কিংবা গেম প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন ৷ তবে আপনি মনিটর ছাড়া চলতে পারবেন না ৷
  5. কারণ আপনার এই কাজ গুলো মনিটর এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে। 
  6. অপরদিকে আপনি যদি টিভি দেখতে পছন্দ করে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার মনিটরে থাকা টিভি কার্ড যুক্ত করে উক্ত মনিটরকে টিভি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। 

তো একটি মনিটর ব্যবহার করার যেসব প্রয়োজনীয় দিক রয়েছে। সেগুলো আমি উপরের দিকে উল্লেখ করে দিয়েছি।

আর আপনি যদি উপরোক্ত কাজ গুলো করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই মনিটর ব্যবহার করতে হবে। 

আপনার জন্য আরো লেখা আছে…

মনিটর কয় প্রকার ও কি কি | Kind Of Monitor 

উপরের আলোচনা থেকে আপনি মনিটর কি এবং কেন আপনার মনিটর ব্যবহার করা উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি এ সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

এখন আপনাকে জানতে হবে যে, মনিটর কত প্রকার এবং কোন কোন ধরনের মনিটর পাওয়া যায়।

মনিটরের কালার প্রদর্শনের দিক থেকে প্রথমত মনিটর কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

  • মনোক্রম মনিটর এবং (Monochrome Monitor)
  • কালার মনিটর (Color Monitor)

# মনোক্রম মনিটর কি (Monochrome Monitor)

আপনি যেহেতু জেনে গেছেন যে মনিটর প্রথমত দুই প্রকার আর তাদের মধ্যে প্রথমটি হলো মনোক্রম মনিটর।

আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে মনোক্রম মনিটর কি বা মনিটর মনিটর কাকে বলে ?

মনোক্রম মনিটর শুধুমাত্র সাদা কালো কালার প্রদর্শন করে। বর্তমান সময়ে মনোক্রম মনিটরের ব্যবহার খুব কম এবং না বললেই চলে।

অর্থাৎ, শুধুমাত্র সাদা-কালো ছবি প্রদর্শন করে এমন মনিটরকে মনোক্রম মনিটর বলে। এখন আর কোন মনোক্রম মনিটর ব্যবহার করা হয় না।

# কালার মনিটর কি (Color Monitor)

তো দুই প্রকার মনিটরের ভিতরে আরেকটি মনিটর হচ্ছে কালার মনিটর। আপনি যদি জানতে চান কালার মনিটর কি বা কালার মনিটর কাকে বলে?

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কালার মনিটর সম্পর্কে।

কালার মনিটর সাধারণত রঙিন ছবি প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থাৎ কালার মনিটর এর সকল কিছু রঙিন প্রদর্শন বা রঙিন ছবি দেখা যায়।

কালার মনিটর এর মাধ্যমে যে কোনো ধরনের কালার যুক্ত ছবি প্রদর্শন করানো যায় । এধরনের মনিটর এর ভিতরে  (RGB color) বা  লাল, সবুজ, নীল বর্ণ দেখা যায়।

আর এরকম মনিটরকে বলা হয় কালার মনিটর।

তো প্রকারভেদ এর দিক থেকে কালার মনিটর কে ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

এবং আমরা যেসব মনিটর ব্যবহার করি, তারা সবাই এই ৩ প্রকারের মনিটর ব্যবহার করে থাকি। যেমন, 

  1. সি আর টি মনিটর (CRT Monitor)
  2. এল সি ডি মনিটর (LCD Monitor)
  3. এল ইডি মনিটর (LED Monitor)

এখন এই তিন প্রকারের মনিটর এর মধ্যে আবার বেশ কিছু ভাগ রয়েছে। আর সেই সবগুলো সম্পর্কে জানতে হলে একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে হবে।

চলুন এবার সব ধরনের মনিটর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

০১| CRT Monitor (সি আর টি মনিটর কি)

সহজ কথায় বলতে গেলে যেসব মনিটরে Cathode Ray Tube যুক্ত করা থাকে। সেগুলো কে বলা হয় সি আর টি মনিটর

এখানে যে টিউবটি রয়েছে, তার মধ্যে বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের প্রলেপ থাকে।

সেই রাসায়নিক পদার্থের নাম হলো, ফসফরাস। এই ধরনের মনিটর গুলোতে মোট ৩ টি রঙ্গের মিশ্রন থাকে। সেগুলো হলো, Red, Green এবং Blue.

এই তিনটি রঙ্গ এর মিশ্রন কে আবার ইলেকট্রিক গান বলা হয়ে থাকে।

এই ইলেকট্রিক গান গুলো যখন ফসফরাস এর উপর আঘাত হানে তখন ফসফরাস এর দানা গুলো আলোকিত হয়।

আর এই আলোকিত হওয়ার কারনে আমরা কোনো কিছুকে দৃশ্যমান অবস্থায় মনিটর এর মধ্যে দেখতে পাই।

তবে এই ধরনের CRT Monitor গুলোর বেশ কিছু অসুবিধা আছে। যেমন, এগুলো ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি হয়। এর পাশাপাশি এগুলো অন্যান্য মনিটর এর তুলনায় অনেক উজ্জল হয়। আর এগুলো আকারের দিক থেকে অনেকটা বড় হওয়ার কারনে বহন করার সময়েও বেশ অসুবিধা হয়। তাই বর্তমান সময়ে এই ধরনের মনিটর ব্যবহার করা হয়না বললেই চলে। 

০২| LCD Monitor (এল সি ডি মনিটর কি)

কম্পিউটারে ব্যবহার করা একটি অন্যতম ডিসপ্লে ইউনিট এর নাম হলো, LCD Monitor. এই LCD শব্দের পূর্নরুপ হলো, Liquid Crystal Display.

এই ধরনের মনিটর গুলো তে সমতল আকৃতির পর্দা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার কারনে বিভিন্ন সময় একে ফ্ল্যাট প্যানেল মনিটর ও বলা হয়ে থাকে।

এল সি ডি তে মূলত বিশেষ এক ধরনের তরল ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার ফলে এলসিডি অনেকটা স্বচ্ছ মনে হয়।

আর এর ডিসপ্লে গুলো অন্যান্য ডিসপ্লের তুলনায় অনেকটা উজ্জর হয়। যার কারণে আজকের দিনের অনেক ধরনের ক্যালকুলেটর এবং ডিজিটাল ঘড়ির মধ্যে এই ধরনের এল সি ডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি আজকের দিনের ল্যাপটপ থেকে শুরু করে নোটপ্যাড পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের ডিভাইসে এই ধরনের ডিসপ্লের ব্যবহার বেড়ে উঠছে। 

০৩| LED Monitor (এল ইডি মনিটর কি)

বর্তমান সময়ে আপনি যতগুলো মনিটর দেখতে পারবেন ৷ তার মধ্যে LED হলো অনেক উন্নত ভার্সন ৷ LED এর পূর্নরুপ হলো, Light Emitting Diode.

এটি মূলত LCD এর মতোই কাজ করে, তবে এলইডি তে যে ব্যাকলাইট গুলো থাকে সেগুলো একটু ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যার ফলে আপনি এই মনিটর গুলো ব্যবহার করে অনেক দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

বিশেষ করে LED মনিটর গুলো পরিবেশ বান্ধব। যার কারণে এগুলো আমাদের চোখের অনেক ক্ষতি করে না।

এর ফলে আপনি যদি এই মনিটর ব্যবহার করেন, তাহলে এর আলো আপনার চোখের কোনো প্রকার ক্ষতি করবে না।

এর পাশাপাশি অন্যান্য মনিটর এর তুলনায় এর বিদ্যুৎ খরচও অনেক কম। তাই বর্তমান সময়ে এই ধরনের LED Monitor গুলো ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে। 

কোন মনিটর সবচেয়ে ভালো ?

তো মনিটর কি – এ বিষয়ে নিশ্চই আপনার মনে কোনো প্রশ্ন নেই। কারন মনিটর কি বাংলা ভাষায় খুব সহজভাবে তুলে ধরার চেস্টা করেছি।

তবে এতকিছু জানার পর আপনার মনে আরো নতুন একটি প্রশ্নের উদয় হতে পারে ৷ সেটি হলো, উপরে আমি মোট ৩ প্রকারের মনিটর এর কথা বলেছি। এখন এগুলোর মধ্যে কোন মনিটর সবেচেয়ে ভালো হবে।

এবার আমি সেই বিষয়ে একটু ক্লিয়ার ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো।

দেখুন, যখন আপনি কোনো মনিটর কেনার জন্য সিন্ধান্ত নিবেন। তখন আপনাকে উক্ত মনিটর এর বেশ কিছু দিক বিবেচনা করতে হবে ৷

আর যখন সেই বিবেচিত দিক উক্ত মনিটর এর বিরাজমান থাকবে। তখন আপনার সেই মনিটর কে কিনে নেয়া উচিত। যেমনঃ 

০১| Connection Type : 

একটি নতুন মনিটর কেনার আগে যে দিকটা বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হয়। সেটি হলো, কানেকশন টাইপ কি ধরনের আছে।

কেননা, কোনো একটি Monitor কেনার পরবর্তী সময়ে নানা রকম পোর্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর আপনার কেনা মনিটরে যদি উক্ত পোর্ট গুলো না থাকে।

তবে আপনার এমন ধরনের Monitor কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত। 

০২| Monitor Size : 

হুটহাট করে মনিটর না কিনে, তার সাইজের দিকে আপনার যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, তার সাইজ যদি অনেক বড় বা অনেক ছোটো হয়ে থাকে ৷

তাহলে সেটিকে Setup করার সময় আপনাকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই সবার আগে আপনার সেটআপ নিয়ে ভাবতে হবে।

আর তারপরে আপনাকে Monitor এর Size এর ব্যাপারে সিন্ধান্ত নিতে হবে। যদিওবা এই সাইজের উপর ভিওি করেই এর দাম নির্ধারন করা হয়ে থাকে৷ 

০৩| Expect Ratio : 

কোনো একটি মনিটর এর স্ক্রিন প্যানেলের আকার কতটুকু হবে তা মূলত এ্যাসপ্যাক্ট রেশিও এর উপর নির্ভর করে থাকে। অতীতের দিন গুলো তে যেসব Monitor তৈরি করা হতো।

তার সবগুলোর এ্যাসপ্যাক্ট রেশিও ছিলো ৪ঃ৩. তবে বর্তমান সময়ে এই রেশিওকে পরিবর্তন করে ১৬ঃ৯ এ তৈরি করা হচ্ছে।

সচারাচর যারা ভিডিও দেখা কিংবা গেম খেলতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই ধরনের মনিটর গুলো বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। 

০৪| Resulation : 

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত মনিটর এর সাইজ এবং রেজুলেশন কে একই বিষয় মনে করে থাকেন।

কিন্তুু যারা এমনটা ভেবে থাকেন, তাদের ধারনা একেবারে ভুল। কেননা, রেজুলেশন এর মাধ্যমে কোনো একটি মনিটরে প্রদর্শিত দৃশ্যগুলো কতটা স্পষ্ট দেখাবে তা নির্ভর করে থাকে।

তাই যখন আপনি কোনো নতুন মনিটর কিনবেন, তখন অবশ্যই তার অভ্যন্তের থাকা রেজুলেশন এর পরিমান টা দেখে নিবেন। 

০৫| Colour Display : 

নতুন কোনো মনিটর কেনার সময় বর্তমান সময়ে আর কালার ডিসপ্লে নিয়ে ভাবতে হয়না। কারণ আজকের দিনের মনিটর গুলোকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়।

যেগুলোর বেশিরভাগ ই ২৪ বিট এর কালার কে পিক করতে পারে। তবে এই ধরনের মনিটর গুলো থেকে আপনি যে পরিমান সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ৷

এর উপর ভিত্তি করে এদের দামের দিক থেকেও অনেক বেশি টাকা গুনতে হবে। 

টেলিভিশন এবং মনিটরের মধ্যে পার্থক্য

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত টেলিভিশন (TV) এবং কম্পিউটার মনিটর কে একই বিষয় মনে করে থাকেন।

সত্যি বলতে এই দুটো কখনই একই বিষয় নয় ৷ তাই এবার আমি আপনাকে উদাহরণ স্বরূপ এই দুটো ডিভাইস এর মধ্যে থাকা পার্থক্য গুলো কে তুলে ধরার চেস্টা করবো। 

  1. ব্যাবহারিক দিকঃ CPU থেকে আসা প্রসেসিং ডেটা গুলোকে প্রদর্শন করা হলো কম্পিউটার মনিটর এর মূল কাজ। আর মুভি, ভিডিও দেখার জন্য টেলিভিশন ব্যবহার করা হয়। 
  2. প্রদর্শিত তথ্যঃ কম্পিউটারে ব্যবহার করা মনিটর গুলো মূলত রিসিভার এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে। অপরদিকে টিভির মধ্যে ফাইলের মাধ্যমে প্রদর্শন করে থাকে। 
  3. মূল্যঃ কম্পিউটারে ব্যবহার করা মনিটর গুলোর মূল্য তুলনামূলক ভাবে বেশি আর টেলিভিশন এর মানের উপর মূল্য নির্ধারন করে থাকে। 

তো এগুলো ছাড়াও আরো অনেক দিক থেকে মনিটর এবং টেলিভিশন এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

যখন আপনি এগুলো ব্যবহার করবেন, তখন আপনি নিজে থেকে এই পার্থক্য গুলো বুঝতে পারবেন। 

আপনি আরো দেখতে পারেন…

মনিটর কি নিয়ে আমাদের শেষকথা  

আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলে আমি মনিটর কি এবং মনিটর এর কাজ কি – সে নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

এই বিষয় গুলোর পাশাপাশি Monitor রিলেটেড যে আরো কিছু বিষয় আছে। তা নিয়েও স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করেছি।

যেমন, মনিটর কয় প্রকার ও কি কি, কোন মনিটর সবচেয়ে ভালো, মনোক্রম মনিটর কাকে বলে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আশা করি এই বিষয় গুলো নিয়ে আপনার মনে আর অন্য কোনো প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না।

তবে যদিওবা কোনো ধরনের প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আর Bangla it blog এর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top