ড্রোন কি | ড্রোন কিভাবে কাজ করে | what is drone-in bengali

প্রযুক্তির উন্নয়নে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হতে পেরেছি। আগের দিন গুলো তে আমরা যা কিছু কল্পনা করতাম। তা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

ড্রোন কি | ড্রোন কিভাবে কাজ করে | what is drone-in bengali
ড্রোন কি | ড্রোন কিভাবে কাজ করে

আর সেই সব প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম একটি আবিষ্কার হলো ড্রোন। আমাদের অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে যে, এই ড্রোন কি (What Is Drone in Bengali).

এর পাশাপাশি আমরা অনেকেই এই ড্রোনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চাই। কেননা বর্তমান সময়ে আপনি যদি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, এই ড্রোনের প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এটি হল আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম একটি উড়ন্ত রোবট।

যার মাধ্যমে আপনি মাটি থেকে উপরে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তবে এই ড্রোন শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

বরং অনেক সময় দেখা যায় যে, এই ড্রোন নামক রোবট গুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে। যা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মত।

আর সে কারণে মূলত আজকের আর্টিকেলে ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আজকে আপনি জানতে পারবেন যে এই, Drone কি (Drone ki), ড্রোন এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি।

আর বর্তমান সময়ে মার্কেটে কত টাকা দামের ড্রোন কিনতে পাওয়া যায়। তো আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তাহলে আজকের এই আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। আর সেজন্য অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

তাহলে আপনি ড্রোন সম্পর্কে যে সকল বিষয় রয়েছে। তার প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি ড্রোন এর জগতে হারিয়ে যাওয়া যাক।

ড্রোন কি বা কাকে বলে ?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোবট দেখে থাকি। এবং এই রোবট গুলো কে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তো আপনি যদি কোন উড়ন্ত রোবটের কথা চিন্তা করেন। তাহলে সর্বপ্রথম আসবে ড্রোন এর নাম। কারণ ড্রোন কে এক ধরনের উড়ন্ত রোবটের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।

আর এই উড়ন্ত রোবট কে আপনি মাটির নিচ থেকে উপরে নিয়ন্ত্রণ করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি ড্রোন নামক এই উড়ন্ত রোবট কে মাটি থেকে উড়িয়ে দিবেন।

এবং সেই রোবট উপরে থাকা অবস্থায় আপনি নিচে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এবং আপনার নির্দেশ মোতাবেক সেই ড্রোন টি কাজ করবে।

তবে এই ড্রোন শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অর্থাৎ আপনি চাইলে এ ধরনের ড্রোন নামক উড়ন্ত রোবট কে স্বয়ংক্রিয় ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

কেননা এই ড্রোন গুলোর মধ্যে বিশেষ এক ধরনের সিস্টেম রয়েছে। যা কোন প্রকার বাহক ছাড়াই এরা নিজে থেকে উড়তে পারে।

আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল কিভাবে ড্রোন হিসেবে জনপ্রিয় হল ?

এবার আপনাকে একটি মজার তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। সেটি হল যে আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করা এই Drone শব্দের বাংলা অর্থ খুঁজতে চান।

তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, এই Drone এর বাংলা অর্থ হল গুঞ্জন ধ্বনি অথবা পুরুষ মৌমাছি। কারণ একটি মৌমাছি যখন উড়ার সময় ভো ভো শব্দ করে।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন একটি ড্রোন উড়তে থাকে। তখন ঠিক একই রকম শব্দ হয়ে থাকে। মূলত এই ড্রোন সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়।

কারণ এই ড্রোনের মাধ্যমে খুব সহজেই আকাশ পথে আসা শত্রুদের বিমান গুলো কে পর্যবেক্ষণ করা যেত। আর এই ড্রোন এর মাধ্যমে আগে থেকে জেনে নেওয়া যেত।

আকাশ পথে শত্রুরা কি পরিমান সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করতে আসছে। আর এই যুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীরা এই উড়ন্ত রোবটের নাম দিয়েছিল “রিমোটলি পাইলটেড ভেহিকেল”।

কিন্তু এই নাম টি উচ্চারণ করতে অনেক সময় লাগতো বলে। এর খুব ছোট্ট একটা নাম দেয়া হয়েছে যেটি হল, ড্রোন।

ড্রোন এর কাজ কি?

Drone কি এবং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল কিভাবে ড্রোন হিসেবে জনপ্রিয় হল। সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তো এই ড্রোন নামক উড়ন্ত রোবটের ব্যবহার সর্বপ্রথম চালু হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। এবং এটি ছিল সেই সময়ের মানুষ বিহীন এক ধরনের আকাশযান।

তবে এখন হয়তো বা অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, এই ড্রোন এর কাজ কি। আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আপনাকে নিচের আলোচিত আলোচনায় নজর রাখতে হবে। কারণ এবার আমি আপনাকে ড্রোন এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।

কারন আমরা যেসব উড়ন্ত ড্রোন দেখতে পাই। সে গুলো মূলত বেশ কিছু বিষয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এবং এই ড্রোন গুলো বিশেষ সিস্টেম এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

তো আমি উপরেই আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো যে এই ড্রোন হলো এক ধরনের উড়ন্ত রোবট।

আর এর মূল কাজ হল নিচে থেকে প্রদান করার নির্দেশ গুলো কে উপর থেকে পালন করা। যেমন ধরুন, আপনার নিকট একটি ড্রোন আছে।

এবং আপনি উপর থেকে নিচের একটা ছবি তুলতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনি সেই ড্রোন কে উপরে উড়ালেন।

এবং নিচ থেকে নির্দেশ করলেন যে উপর থেকে যেন ক্যামেরার মাধ্যমে নিচের নির্দিষ্ট একটা অংশের ছবি তুলে দেয়।

তাহলে কিন্তু সেই ড্রোন টি আপনার সেই নির্দেশ মোতাবেক ছবি তুলবে। এর পাশাপাশি আপনি যদি নিচ থেকে উপরের কোন অংশ দেখতে চান।

সে ক্ষেত্রে আপনি ড্রোনের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন। মূলত এটি হলো ড্রোনের মূল কাজ।

ড্রোন কিভাবে কাজ করে ?

যখন আপনি আকাশে কোন উড়ন্ত ড্রোন দেখবেন। তখন কোন না কোন সময় অবশ্যই আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

আর সেই প্রশ্নটি হল যে, এই ড্রোন আসলে কিভাবে কাজ করে। তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, এই ড্রোন গুলো মূলত জয়স্টিক এবং জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। আপনি যখন ভিডিও গেম খেলেন তখন যেভাবে জয়স্টিক এর ব্যবহার করেন।

ঠিক একইভাবে আপনি এই ড্রোন গুলো কে একই সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারবেন। একটি ড্রোনের মধ্যে আপনি বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তি দেখতে পারবেন।

যেমন, এক্সিলোমিটার জাইরো স্কোপ সহ আরো অনেক ধরনের প্রযুক্তি সংযুক্ত করা থাকে। যার ফলে আপনি জিপিএস সিস্টেম কে কাজে লাগিয়ে একটি ড্রোন কে নিচে থেকে উপরে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

এবং সেই ড্রোন টি আপনার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে থাকে। আশা করি ড্রোন কিভাবে কাজ করে তা আপনি এই স্বল্প আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন।

ড্রোন উড়ানোর নিয়ম

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি ড্রোন কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে আপনি কি জানেন এই ড্রোন উড়ানোর জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে।

কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশের ড্রোন ব্যবহার করার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ ছিল। কেননা এই সময় শুধুমাত্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই ড্রোন তাদের কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারত।

কিন্তু সেই আইনের মধ্যে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু শিথিলতা নিয়ে আসা হয়েছে। চলুন এবার তাহলে ড্রোন উড়ানোর নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যাতে করে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার পরিস্কার ধারণা থাকে।

  1. যখন আপনি কোন সভা কিংবা সমাবেশ এর ভিডিও করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করবেন। তখন অবশ্যই সেই ড্রোন ২ কিলোমিটার এর ভেতরে ৩ দিন আগে থেকে ড্রোন উড়ানো একেবারেই নিষিদ্ধ।
  2. যদি আপনি নির্দিষ্ট কোন স্থানে ড্রোন উড়াতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে পারমিশন নিতে হবে। এবং সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।
  3. যে ব্যক্তি ড্রোন উড়াবে সেই ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস করতে হবে।
  4. একজন সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ 100 মিটার উচ্চতায় ড্রোন উড়াতে পারবে। এর বেশি উচ্চতায় ড্রোন উড়ালে তা আইনগত ভাবে অপরাধ।
  5. ড্রোন কিনার সময় যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে। তা আপনাকে ড্রোন ব্যবহার করার সময় সাথে রাখতে হবে।
  6. যখন আপনি নির্দিষ্ট কোন স্থানে ড্রোন উড়ানোর পরিকল্পনা করবেন। তখন সেই স্থানে থাকা নিকটস্থ থানা থেকে পারমিশন নিতে হবে। না হলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতায় পড়তে হবে।

তো একজন ব্যক্তি যখন ড্রোন উড়াবে। তখন অবশ্যই তাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর সেই নিয়ম গুলো কে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

আপনি যখন ড্রোন উড়ানোর কথা চিন্তা করবেন। তখন অবশ্যই এই নিয়ম গুলো মাথায় রেখে তারপরে ড্রোন ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। অন্যথায় আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

ড্রোন কত ধরণের আছে?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ড্রোন কি। এবং ড্রোন উড়ানোর নিয়ম গুলো কি কি। তো এবার আপনাকে আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি হলো, বর্তমান সময়ে ড্রোন কত ধরনের আছে তা আপনাকে জেনে নিতে হবে। যদিও বা বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ড্রোন দেখতে পারবেন।

তবে এবার আমি আপনাকে মোট দশ টি ড্রোনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। যেগুলো আপনি নিজেও কিনে ব্যবহার করতে পারবেন। আর সেই ড্রোন গুলো হল:

  1. DJI Mavic Air 2
  2. DJI Mavic Air 2 Pro
  3. DJ Mini 2
  4. DJI Mavic 2 Zoom
  5. DJI Mavic Mini
  6. Ryze Tello
  7. DJI Phantom 4 Pro V2.0
  8. Power Vision PowerEgg X
  9. Parrot Anafi
  10. DJI Mavic Pro

তো বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন থাকার পরেও উপরে আমি আপনাকে মোট দশ টি ড্রোন এর নাম শেয়ার করেছি। মূলত এ গুলো আজকের দিনে অনেক জনপ্রিয়।

এবং এই ড্রোন গুলো ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই চাইলে আপনিও আপনার ড্রোন ব্যবহার করা শখ পূরণ করার জন্য।

এই দশ টির মধ্যে যে কোনো একটি বা একাধিক ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি যখন আপনি এই ড্রোন গুলো ব্যবহার করবেন। তখন আপনার অনেক ভালো লাগবে।

ড্রোনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?

এতক্ষণ থেকে আপনি ড্রোন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ড্রোনের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। কারণ এবার আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে।

ড্রোনের মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর আপনি যদি ড্রোন কেনার কথা ভাবেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

তো চলুন আর দেরি না করে এবার তাহলে ড্রোনের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দক্ষতা

আমরা সবাই জানি যে, ড্রোন দেখতে অনেক ছোট একটি প্রযুক্তি। তবে এই ড্রোন দেখতে অনেক ছোট হলেও এগুলো অনেক মজবুত হয়।

আর সে কারণে এই ড্রোন এর মাধ্যমে অনেক উঁচু পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়। আর এই ধরনের ড্রোন গুলোর সাহায্য চলাচল করতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।

যেমন ধরুন, রাস্তায় যদি কোন জ্যাম থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই রাস্তার উপর দিয়ে উড়িয়ে নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার বাধা পড়বে না।

এবং আপনি আপনার ড্রোন কে কাঙ্ক্ষিত লোকেশনে পৌঁছাতে পারবেন।

মনুষ্যহীন ও রিমোটের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত

ড্রোন কে মূলত একটি চালক বিহীন উড়ন্ত রোবট বলা হয়ে থাকে। কারণ এই ধরনের উড়ন্ত রোবট কে উপরে উড়ানোর জন্য কোন প্রকারের চালক প্রয়োজন হয় না।

বরং আপনি নিচে থেকে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্য এই ধরনের ড্রোন গুলো কে ব্যবহার করতে পারবেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ড্রোন গুলো নিজে থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলাচল করতে পারে।

তবে অধিকাংশ সময় এই ধরনের ড্রোন গুলো কে আকাশে উড়ানোর জন্য রিমোট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাতে করে সেই ড্রোনটি কে নির্দিষ্ট লোকেশন পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়।

সহজেই বহনযোগ্য

আমরা সবাই জানি যে, ড্রোন অনেক ছোট হয়ে থাকে। সে কারণে আমরা খুব সহজেই এই ধরনের ড্রোন গুলো কে বহন করতে পারি।

যেহেতু এই উন্নত প্রযুক্তি গুলো আকারের দিক থেকে অনেক ছোট হয়। সেহেতু ওজনের দিক থেকেও এই ধরনের ড্রোন নামক উড়ন্ত রোবট গুলো অনেক পাতলা হয়।

যার ফলে আপনি খুব সহজেই এই ধরনের ড্রোন কে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে পারবেন

কম ব্যয়সাপেক্ষ

মনে করুন, আপনি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে কোন একটি পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করবেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অনেক বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি এই কাজ টি করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করেন। তাহলে কিন্তু আপনার খরচের দিক থেকে অনেক কম ব্যয় হবে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

আর সে কারনে মূলত বর্তমান সময়ে অনেকেই আছেন যারা তাদের ছোট খাটো পণ্য ডেলিভারি করার জন্য এই ধরনের ড্রোন কে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত

যখন আপনি কোন কম্পিউটারের মাধ্যমে একটি ড্রোন কে পরিচালনা করবেন। তখন সেই ড্রোন টি একবারে নির্ভুল ভাবে কাজ করবে।

কারণ একটি কম্পিউটার দিয়ে ড্রোন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে। ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না বলা যায়।

আর এভাবেই সেই তারবিহীন উন্নত প্রযুক্তি কে আকাশে ওড়ানো হয়ে থাকে।

ড্রোনের মূল উপাদান গুলো কি কি?

উপরের আলোচনা তে ড্রোন কিভাবে কাজ করে, সেখানে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম। আর সেই কথাটি হল যে এই ড্রোনের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের উপাদান রয়েছে।

যে উপাদান গুলোর সমন্বয়ে একটি ড্রোন আমাদের নির্দেশ মতাবেক কাজ করে থাকে। তো এই উপাদান গুলো আসলে কি কি সে সম্পর্কে আমি সেই আলোচনা তে কোন কিছু উল্লেখ করিনি।

তবে এবার আমি আপনাকে বলব যে, একটি ড্রোনের মধ্যে যে সকল মূল উপাদান রয়েছে। সেই উপাদান গুলো সম্পর্কে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

আর একটি ড্রোনের মধ্যে মূলত চার টি মূল উপাদান থাকে। সে গুলো হলো:

কানেক্টিভিটি

যদি আপনি নিয়মিত ড্রোন ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার জানা থাকবে যে এই ধরনের ড্রোন গুলো কে আকাশে ওড়ানোর জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না।

বরং আপনার কাছে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে অথবা আপনার নিকট যদি একটি ট্যাবলেট থাকে। তাহলে আপনি তার মাধ্যমে এই ধরনের ড্রোন গুলো কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

তবে এই ড্রোন গুলো তে মূলত এক ধরনের কানেক্টিভিটি থাকে। যার ফলে কোন প্রকার তারের সংযোগ ছাড়াই এই ড্রোন গুলো আমাদের নির্দেশ মোতাবেক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে।

আর একটি ড্রোনের মধ্যে সেই কানেক্টিভিটি ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সেই ড্রোনের মধ্যে চার্জ থাকবে।

রোটর্স

তো আমরা দেখি যে একটি ড্রোন সরাসরি আকাশের মধ্যে উড়তে পারে। কিন্তু কখনো কি আপনি ভেবে দেখেছেন যে এই ড্রোন টি আসলে কিভাবে আকাশে উড়তে পারে।

তো আপনি যদি এ বিষয় টি সম্পর্কে না ভেবে থাকেন। তাহলে শুনুন এই ড্রোনের মধ্যে মূলত রোটার থাকে। আর এ গুলোর সাথে মোটর যুক্ত করে দেওয়া হয়।

এর পাশাপাশি তার সাথে একটি প্রোপেলার থাকে। আর যখন একজন ড্রোন ব্যবহারকারী একটি ড্রোনের মধ্যে থাকা রোটার গুলো কে অধিক পরিমাণে গতিতে ঘোরানোর চেষ্টা করে।

তখন সেই ড্রোন গুলো ক্রমাগত ভাবে উপরের দিকে উঠতে থাকে। আর এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত যে। একটি ড্রোনের মধ্যে মোট চারটা রোটার থাকে।

সে গুলোর মধ্যে দুইটি ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে এবং বাকি দুটি ঘড়ি কাটার উল্টো দিকে ঘুরে। এর ফলে ড্রোন তার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

অ্যাক্সিলোমিটার ও অল্টিমিটার

মনে করুন, আপনি একটি ড্রোন উড়াচ্ছেন। এবং আপনি চাচ্ছেন যে আপনার সেই ড্রোন টি আপনার বিল্ডিং থেকে অন্য আরেক টি বিল্ডিং এর ছাদে দিয়ে ছবি তুলবে।

তো এই যে ড্রোন টি আপনাদের নির্দেশ মোতাবেক এক স্থান থেকে কোন আরেক টি স্থানে গেল। এটা মূলত সম্ভব হয় অ্যাক্সিলোমিটার এর কারণে।

কেননা অ্যাক্সিলোমিটার মূলত একটি ড্রোন এর গতি সম্পর্কে জানান দেয়। সেই সাথে দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে। সেই সাথে কোন একটি ড্রোন কত উচ্চতা পর্যন্ত উপরে উঠতে পেরেছে।

সেটি মূলত অল্টিমিটার এর সাহায্য বুঝতে পারে। এবং তার উচ্চতা কে পরিমাপ করতে পারে।

ক্যামেরা

যদি আপনি নিয়মিত ড্রোন ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনার বেশ ভালো করে জানা থাকবে যে। ড্রোনের মধ্যে মূলত একটি ইনবিল্ট ক্যামেরা যুক্ত করা থাকে।

আর এই ক্যামেরার মাধ্যমে আপনি আপনার ড্রোন এর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং আপনি সঠিক পর্যবেক্ষণ করার পরে সেই ড্রোনটি কে পরিচালনা করতে পারবেন।

ড্রোন এর ব্যবহার

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ড্রোন কি। এবং সেই সাথে আমি আপনাকে বেশ কয়েকটি উন্নত মানের ড্রোন সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

তো আপনি যদি উপরের আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার আর কোন ধরনের প্রশ্নের অবকাশ নেই।

তো আপনি যাতে ড্রোন সম্পর্কে আরো বিশদ ভাবে জানতে পারেন। সে কারণে এবার আমি আপনাকে ড্রোন এর ব্যবহার গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

চলুন এবার তাহলে ড্রোন এর ব্যবহার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Use of Drone

আমরা জানি যে ড্রোন আকারের দিক থেকে অনেক ছোট আর সে কারণে এই ড্রোন অনেক ছোট ছোট জায়গাতে প্রবেশ করতে পারে যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা বোমা সনাক্ত করার কাজে এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে থাকে।Use of Drone

কোন একটি দেশ তার দেশের সকল কিছুতে নজরদারি রাখতে হয় আর এই নজরদারি রাখার ক্ষেত্রে ড্রোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আকাশ পথে যুদ্ধের ক্ষেত্রে এই ধরনের ড্রোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এই ড্রোন গুলো কে চালানোর জন্য কোন প্রকারের চালক প্রয়োজন হয় না। বরং এ গুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে।

Use of Drone

আপনি যদি একজন সিনেমা পাগল হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই দেখতে পারবেন যে সেই সিনেমা গুলো শুট করার জন্য এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আবার অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কোন ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে থাকে।

Use of Drone

যদি আপনি উন্নত দেশ গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই দেশ গুলো তে বর্তমান সময়ে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করার জন্য।

এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ এই ধরনের ড্রনের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি করতে খুব কম ব্যয় হয়। এবং সময় অনেক কম খরচ হয়।

Use of Drone

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়ে থাকে। আর এই দুর্যোগ গুলো যখন হয় তখন দুর্যোগ প্রবণ এলাকা তে থাকা মানুষ খুব কষ্টে জীবন যাপন করে।

যেমন ধরুন, কোন একটি এলাকাতে যখন বন্যা হয়। তখন সেই এলাকা তে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে এই ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য ড্রোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Use of Drone

অবাক করার মতো বিষয় হলো যে, বিভিন্ন ধরনের উদ্ধার কাজ এবং স্বাস্থ্য সেবা করার জন্য। এ ধরনের ড্রোন কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কারণ যখন একটি স্থানে দুর্যোগ সংঘটিত হয়। তখন মানুষের ক্ষেত্রে সেই স্থানে যাওয়াটা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে।

আর সেই সময়ে আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ড্রোন কে সেখানে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। এবং সেই স্থানের যাবতীয় তথ্য আপনি ঘরে বসে নিতে পারবেন। এবং প্রয়োজনে তাদের কে সহায়তা প্রদান করতে পারবেন।

ড্রোন এর দাম কত?

যেহেতু আজকে আমরা ড্রোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেহেতু ড্রোন এর দাম কত সে সম্পর্কে যদি কোন কিছু না বলি।

তাহলে আজকের এই আলোচনা টি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আর সে কারণে এবার আমি আপনাকে ড্রোনের দাম কত সে সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

তো আপনি যদি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে ড্রোন কিনতে চান। তাহলে দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ড্রোন এর দাম হল ১,৮০০ টাকা।

আর এই ধরনের ড্রোন দিয়ে আপনি খুব বেশি একটা কাজ করতে পারবেন না। মূলত এই ধরনের কম টাকার ড্রোন গুলো দিয়ে শুধুমাত্র ছোট বাচ্চারা খেলনা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

আপনার জন্য আরোও আছে …

তবে আপনি যদি আপনার কমার্শিয়াল কাজের জন্য ড্রোন কিনতে চান। তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা থেকে শুরু করে।

এর উপরে যত বেশি রয়েছে। সেই ধরনের ড্রোন গুলো কিনে নিতে হবে।

ড্রোন নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে ড্রোনের ব্যবহার ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সে কারণে এই ড্রোন সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন জাগ্রত হয়।

আর আপনি যাতে এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পান। সে কারণে আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে ড্রোন কি।

এবং ড্রোন এর ব্যবহার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই স্বল্প আলোচনা থেকে আপনি ড্রোন সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন।

আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো কে খুব সহজ ভাষায় জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top