কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায় | গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়ম

কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায় : How to create google form in Bengali ? আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তারা একটা কথা বেশ ভালো করে জানি।

কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায় | গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়ম
গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়ম

সেটি হলো, ইন্টারনেটের মধ্যেগুগল হল সবচেয়ে জায়ান্ট একটি কোম্পানি। আর এই কোম্পানি থেকে বিভিন্ন প্রকারের প্রোডাক্ট রিলিজ করা হয়।

যে গুলো আপনার বা আমার মত সাধারন মানুষেরা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারে। আর গুগলের অন্যান্য সব প্রোডাক্টের মধ্যে অন্যতম একটি প্রোডাক্ট হলো,গুগল ফর্ম।

যারা ব্যবহার করার জন্য আমাদের কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করা প্রয়োজন হয়না। এর পাশাপাশি এই গুগল ফর্ম ব্যবহার করার মাধ্যমে।

আমরা কিন্তু নানাবিধ দিক থেকে সুবিধা ভোগ করে আসছি। আপনি যদি অনলাইন ফরম তৈরি করার কথা চিন্তা করেন তাহলে এই সার্ভিস অনেক ভাল।

তো আমরা এখনও অনেকে জানিনা যে,গুগল ফর্ম কি, কিভাবে একটি Google ফর্ম তৈরি করবেন এবং কিভাবে এইগুগল ফর্ম তৈরি করা যায়।

আপনি আরোও জনাতে পারবেন…

আর আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে করে আপনি গুগল ফর্ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন।

আর কিভাবে আপনি এই ধরনের গুগল ফর্ম তৈরি করবেন। চলুন এবার তাহলে সরাসরি আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। 

গুগল ফর্ম কি – (What Is Google Form in Bengali)

কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায় সে বিষয় গুলো নিয়ে আজকে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব।

তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে যে, এই গুগল ফর্ম আসলে কি। আর যখন আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তখন আপনার আজকের পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে। তাই চলুন সবার শুরুতেই আমরা জেনে নেই. গুগল ফর্ম কি।

গুগল ফর্ম পৃথিবীর বিখ্যাত জায়েন্ট কোম্পানি গুগলের নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট। আর এই বিশেষ প্রোডাক্ট  গুগল 2014 সালের রিলিজ করেছিল।

এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে এই বিশেষ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে আসছি।

তবে যখন মানুষের মধ্যে এই গুগল ফর্ম ব্যবহার করার প্রবণতা বেড়ে গেছিলো। তখন 2017 সালের মধ্যে উক্ত প্রোডাক্টের বিভিন্ন দিক আরো ডেভলপ করা হয়েছিল।

এই ধরনের গুগল ফর্ম দিয়ে আপনি খুব সহজেই যেকোনো টাইপের ফর্ম তৈরি করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি আপনার প্রয়োজনে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম, অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম, অনলাইন ডকুমেন্ট সহ। আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ গুলো এই গুগল ফর্ম থেকে করতে পারবেন।

এছাড়াও অবাক করার মত বিষয় হল, এই বিশেষ প্রোডাক্ট এর সাহায্য আপনি বিভিন্ন প্রকার মানুষের কাছ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ফিডব্যাক গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।

তো এই ধরনের বিভিন্ন ফিচার সমৃদ্ধগুগল প্রডাক্ট কে বলা হয়ে থাকে, গুগল ফর্ম। আশা করি, আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

Google form এর কাজ কি?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, গুগল ফর্ম কি। আর এই বিষয় টি জানার পরে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেটি হলো. এই গুগল ফর্ম এর কাজ কি।

যদিও বা উপরের আলোচনায় আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে স্বল্প আকারে ধারণা দিয়েছি। তবে যারা গুগল ফর্ম এর কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে চান।

তারা নিচের আলোচনা নজর রাখুন। কারণ এবার আমি আপনাকে গুগল ফর্ম এর সকল কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

  1. গুগল ফর্ম হলো এমন একটি প্লাটফর্ম, যেখানে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে এনালাইজ করতে পারবেন।
  2. এই প্ল্যাটফর্ম মোবাইল অথবা কম্পিউটার, যে কোনো ডিভাইস  থেকে ব্যবহার করতে পারবেন।
  3. যদি আপনার কোন কোম্পানি থাকে। এবং আপনি যদি আপনার কাস্টমারের কাছে ফিডব্যাক নিতে চান। তাহলে এই গুগল ফর্ম আপনার এই কাজটি অনেক সহজ করে দিবে।
  4. কোন কারনে যদি আপনার প্রচুর পরিমাণ মানুষের সার্ভে করার প্রয়োজন হয়। তাহলে গুগল ফর্ম এর মাধ্যমে অনেক সহজেই অধিক পরিমাণ মানুষের সার্ভে নিতে পারবেন।
  5. অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কুইজ, টাস্ক ইত্যাদি যাবতীয় কাজ গুলো। আপনি এই গুগল ফর্মের মাধ্যমে তৈরি করতে পারবেন।
  6. গুগল ফর্ম এর সাহায্য আপনি খুব সহজেই আপনার কাংখিত ব্যক্তিদের ইমেইল নোটিফিকেশন সম্পর্কে জানতে পারবেন।

জনপ্রিয় গুগল নামক কোম্পানির অন্যতম একটি প্রোডাক্ট, গুগল ফর্ম এর কাজ কি। সে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মূলত আপনি আসলেই কি কি কারণে গুগল ফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি, আপনি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

তো চলুন কিভাবে একটি নতুন গুগল ফর্ম তৈরি করবেন। এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

কীভাবে একটি নতুন গুগল ফর্ম তৈরি করবেন – (গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়ম)

দেখুন অনলাইনের মধ্যে আপনি যখন গুগলের কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন। তখন একটা বিষয় খুব ভালো লক্ষ্য করতে পারবেন।

সেটি হল, গুগল তাদের প্রোডাক্ট গুলো কে এমন ভাবে তৈরি করে। যাতে করে সব ধরনের মানুষ তাদের প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করতে পারে।

আর এই বিষয়টির দিকে গুগল যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। ঠিক তেমনিভাবে গুগল ফর্ম ব্যাবহার করার জন্য খুব বেশি কিছু জানার প্রয়োজন হয়না।

বরং আপনি চাইলে মাত্র কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করার মাধ্যমে। খুব সহজেই আপনার পছন্দমত নতুন গুগল ফর্ম তৈরী করতে পারবেন।

আর কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায়, গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়মগুলো কি কি এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে সে সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

Open your google form (apps or website) 

তো আপনি যদি গুগল ফর্ম তৈরী করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সবার প্রথমে এই গুগল ফর্ম ওপেন করতে হবে। আর আপনি মোবাইল থেকে গুগল ফর্ম তৈরী করতে চাইলে।

অবশ্যই প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপস টি ডাউনলোড করে নিবেন। অথবা আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার কম্পিউটার এ ব্রাউজার থেকে গুগল ফর্ম তৈরী করতে পারবেন।

তবে সেজন্য আপনাকে forms.google.com  এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তাহলে আপনি সরাসরি এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী গুগল ফর্ম তৈরি করতে পারবেন।

Choose your form template

আর যখন আপনি গুগল ফর্ম এর মধ্যে প্রবেশ করবেন। তখন আপনাকে প্রথমেই টেমপ্লেট নির্বাচন করতে হবে।

অর্থাৎ আপনি আসলে কোন ধরনের কাজের জন্য ফরম তৈরি করবেন। সেই কাজের উপর ভিত্তি করে এর আপনাকে বিভিন্ন প্রকারের টেমপ্লেট সিলেক্ট করতে পারবেন।

আর সে গুলো কে ব্যবহার করে আপনি আপনার পছন্দমত গুগল ফর্ম তৈরী করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনি যদি আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তিদের সার্ভে করতে চান। তাহলে কিন্তু এখানে আপনি সার্ভে করার টেমপ্লেট দেখতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি অধিক পরিমাণ মানুষের কন্টাক্ট নম্বর সংগ্রহ করতে চান। তাহলে আপনি এই কাজটি করার জন্য নির্দিষ্ট  টেমপ্লেট সিলেক্ট করতে পারবেন।

তো এই ধাপে আপনাকে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট একটি টেমপ্লেট সিলেক্ট করতে হবে। 

Make a google form title

যখন আপনি গুগল ফর্ম এর মধ্যে প্রবেশ করার পরে টেমপ্লেট নির্বাচন করবেন। তার পরবর্তী ধাপে আপনাকে সেই ফর্ম এর একটি টাইটেল লিখতে হবে।

কেননা নতুন অবস্থাতে আপনার গুগল ফর্ম এর টাইটেল এর মধ্যে Untitled Form এই নামটি থাকবে।

কিন্তু এখানে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে যে নামটি উপযুক্ত। সেটি আপনি গুগল ফর্ম এর মধ্যে ব্যবহার করবেন।

যেমন ধরুন, আপনি যদি কারো জন্মদিন উপলক্ষে গুগল ফর্ম তৈরী করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার গুগল ফর্ম এর টাইটেল Birthday Party রাখতে পারেন।

কারন এই ধরনের গুগল ফর্ম গুলোর লিংক শেয়ার এর মাধ্যমে অন্য আরেকজন ব্যক্তি এই ফর্ম ‍গুলো দেখতে পারে। তো আপনি যদি এই ফর্মের টাইটেল যক্ত করে না দেন।

তাহলে আপনার লিংকে ক্লিক করার পর। মানুষ আপনার গুগল ফর্ম এর কোনো কিছুই বুঝতে পারবে না। সেজন্য অবশ্যই আপনি আপনার কাজের সাথে মিল রেখে ফর্ম টাইটেল দিবেন।

Add your form QNA & Answer

যদি আপনি উপরের ধাপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে আপনি গুগল ফর্ম তৈরি করার কাজটি অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবেন।

কারণ এবার আপনাকে আপনার গুগল ফর্ম এর মধ্যে নির্দিষ্ট টপিক সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন-উত্তর তৈরি করতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যদি কোনো ধরনের কুইজ তৈরী করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে কুইজ এর মধ্যে থাকা প্রশ্নটি লিখতে হবে।

এরপরে গুগল ফর্ম এর সাহায্যে সেই প্রশ্নের অপশন গুলো যুক্ত করে দিতে হবে।

কারন গুগল ফর্ম এর মধ্যে আপনি মাল্টিপল অপশন যুক্ত করার একটি ফিচার দেখতে পারবেন।

আর সেই ফিচার কে ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দমত কুইজ তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই কুইজের মাল্টিপল উত্তর এড করে দিতে পারবেন।

তবে এর বাইরেও গুগল ফর্ম এর মধ্যে আপনি আরও বেশ কিছু ফিচার দেখতে পারবেন। আর সেগুলো হলো:

  1. প্রথমত এখানে আপনি প্রশ্ন যুক্ত করে দিতে পারবেন। 
  2. এবং আপনি যে প্রশ্ন করবেন, উত্তরদাতা সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ ফাঁকা রাখতে পারবেন।
  3. কখনো যদি আপনার এক কথায় উত্তর নেয়ার প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনি এমন চেক বক্স তৈরি করতে পারবেন। যেখানে শুধুমাত্র ইয়েস অথবা নো এর অপশন থাকবে।
  4. এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত ভাবে লেখার অপশন যুক্ত করে দিতে পারবেন।
  5. আপনি চাইলে গুগল ফর্ম এর মধ্যে এক বা একাধিক মিডিয়া ফাইল যুক্ত করতে পারবেন। যেমন, ভিডিও, অডিও, পিকচার ইত্যাদি।

গুগল ফর্ম এর মধ্যে থাকা তথ্য গুলো আপনি কিভাবে ইনপুট করবেন। এবং কোন কোন পদ্ধতি গুলো অনুসরন করে এই ধরনের গুগল ফর্ম তৈরী করতে পারবেন। সে বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো। 

Theme customize feature

দেখুন কোন একটি গুগল ফর্ম দেখতে আসলে কতটা আকর্ষণীয় লাগবে। সেটা নির্ভর করবে আপনি আপনার গুগল ফর্ম এর মধ্যে কোন ধরনের থিম ব্যবহার করেছেন।

কারণ এই গুগল ফর্ম এর মধ্যেই আপনি বিভিন্ন প্রকারের থিম দেখতে পারবেন। আর অবাক করার মত বিষয় হলো।

আপনি যদি এই থিম গুলো আপনার গুগল ফর্ম এর মধ্যে ব্যবহার করেন। তাহলে কিন্তু আপনার সেই ফর্ম এর লুক অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যাবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

এর পাশাপাশি উক্ত ফর্ম এর মধ্যে থাকা টেক্সট এর কালার, ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার ইত্যাদি যাবতীয় কিছু আপনি পরিবর্তন করে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারবেন।

Check google form preview

তো যখন আপনার গুগল ফর্ম পুরোপুরি ভাবে তৈরি হবে। এবং আপনি আপনার সেই ফর্ম এর মধ্যে যাবতীয় তথ্য গুলো ইমপোর্ট করার পর থিম কাস্টমাইজেশন করবেন।

তখন আপনার গুগল ফর্ম আসলে দেখতে কেমন হবে। তা আপনি প্রিভিউ হিসাবে দেখতে পারবেন। তো যখন আপনি আপনার গুগল ফর্ম এর মধ্যে যাবতীয় তথ্য গুলো ইনপুট করবেন।

তার পরবর্তী সময়ে আপনি গুগল ফর্ম Preview নামক অপশন থেকে। আপনার ফর্ম এর যাবতীয় তথ্য গুলো চেক করে নিতে পারবেন।

এর পাশাপাশি যদি আপনার ফর্ম এর মধ্যে কোন ধরনের ভুল থাকে। তাহলে আপনি পরবর্তী সময়ে প্রিভিউ থেকে তা সমাধান করে নিতে পারবেন। 

কিভাবে গুগল ফর্ম লিঙ্ক তৈরি করবেন ও ইমেলের মাধ্যমে শেয়ার করবেন ?

কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায় ? গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়ম কিসে বিষয় গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এবং আপনি যদি উপরের আলোচিত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে এতক্ষনে আপনি বুঝে গেছেন যে, কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায়।

তবে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেই প্রশ্নটি হল. কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায়। এবং কিভাবে ইমেইল এর মাধ্যমে সেই লিংক শেয়ার করা যায়?

তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনুন, আপনি চাইলে খুব সহজেই গুগল লিংক তৈরী করতে পারবেন।

এবং সেই লিঙ্ক আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ইমেইলের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন। কারণ যখন আপনি একটি গুগল ফর্ম তৈরি করবেন।

তখন আপনি সেই গুগল ফর্ম এর মধ্যে Send  নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। তো যখন আপনি এই অপশনের মধ্যে ক্লিক করবেন।

তখন আপনি শেয়ার করার অপশনে ক্লিক করলে। আপনি সেই গুগল ফর্ম টি কিভাবে শেয়ার করতে চান তার বিভিন্ন অপশন দেখতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার গুগল ফর্ম এর লিংক ইমেইলের মাধ্যমে শেয়ার করতে চান। তাহলে ইমেইল এ ক্লিক করবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি অন্য কোন প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে আপনার গুগল ফর্ম টি শেয়ার করতে চান। তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই ফর্মটি অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে এম্বেড করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার গুগল ফর্ম এর লিংকটি সরাসরি কপি করে ফেসবুক কিংবা হোয়াটস অ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম গুলো তে।

আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তিদের কাছে সেই গুগল ফর্ম এর লিংক শেয়ার করতে পারবেন। তো আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, গুগল ফর্ম এর বিভিন্ন ভাবে শেয়ার করা যায়।

আর সে কারণেই বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য গুগল ফর্ম ব্যাবহার করছে।

গুগল ফর্ম ব্যবহারের সুবিধা (Advantage of Google form)

কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায়, গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

আর এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এবার আমি আপনাকে গুগল ফর্ম এর বেশ কিছু সুবিধা সম্পর্কে বলবো।

অর্থাৎ আপনি যদি গুগল ফর্ম ব্যাবহার করেন। তাহলে বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

তো চলুন, এবার সেই গুগল ফর্ম এর ব্যবহারের সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. প্রথমত গুগল ফর্ম কম্পিউটার এবং মোবাইলের যে কোন ডিভাইস থেকে ব্যবহার করা সম্ভব।
  2. এই ধরনের গুগল ফর্ম এর মধ্যে আনলিমিটেড ডাটা ইনপুট করা যায়। এখানে কোন প্রকারের সীমাবদ্ধতা নেই।
  3. একটি গুগল ফর্ম তৈরী করার পরে আপনি আপনার সেই গুগল ফর্ম এর লিংক বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন। এবং প্রয়োজন অনুসারে এম্বেড করে নিতে পারবেন।
  4. একটি গুগল ফর্ম তৈরি করার পাশাপাশি আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে সেই ফর্ম এর প্রিভিউ দেখে নিতে পারবেন।
  5. যদি আপনি অনেক গুলো তথ্যকে একসাথে ইনপুট করতে চান। তাহলে আপনি গুগল স্প্রেড শীট ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন।
  6. যদি আপনার মোবাইল কিনবা ইন্টারনেট সম্পর্কে কোন ধরনের ধারণা না থাকে। তারপরেও আপনি খুব সহজেই গুগল ফর্ম ব্যাবহার করতে পারবেন।
  7. এটি হলো গুগলের একটি ফ্রি টুলস। যেটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না।

আসলে গুগল ফর্ম এর কি কি সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধা গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তবে গুগল ফর্ম এর সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

যে গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল। যেন আপনার গুগল ফর্ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকে। 

গুগল ফর্ম ব্যবহারের অসুবিধা (Disadvantage of google form)

আমি উপরের আলোচনায় আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হলো, গুগল ফর্ম ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

আর এবার আমি আপনাকে সেই অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব। যাতে করে আপনার গুগল ফর্ম ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকে।

চলুন. এবার তাহলে গুগল ফর্ম ব্যবহারের অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. আপনি যদি গুগল ফর্ম ব্যবহার করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ডিভাইসের মধ্যে ইন্টারনেট কানেকশন বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। তাছাড়া আপনি এই গুগল ফর্ম ব্যাবহার করতে পারবেন না।
  2.  এছাড়া এর মধ্যে সীমিত পরিসরে টেমপ্লেট রয়েছে। যার কারণে আপনার গুগল ফর্ম ডিজাইন করতে হিমশিম খেতে হবে।
  3. এই ধরনের গুগল ফর্ম এর মধ্যে আপনি সর্বোচ্চ 500 কেবি এর টেক্সট যুক্ত করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি যদি ছবি যুক্ত করেন। তাহলে তার সাইজ 2 মেগাবাইটের মধ্যে হতে হবে।
  4. এছাড়াও আপনি যদি আপনার গুগল ফর্ম এর মধ্যে স্প্রেডশিট ব্যবহার করেন। তাহলে তার সর্বোচ্চ ৪০ টি শীট তৈরি করা যাবে।

মূলত গুগল এর কি কি অসুবিধা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি, আপনি গুগল ফর্ম ব্যবহারের সুবিধা গুলো জানার পাশাপাশি। গুগল ফর্ম ব্যবহারের অসুবিধা গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

গুগল ফর্ম নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে কিভাবে গুগল ফর্ম তৈরি করা যায়, গুগল ফর্ম তৈরি করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

আশা করি, আজকের আলোচিত আলোচনার মাধ্যমে আপনি গুগল ফর্ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন। 

আশা করি আপনার আর মনে প্রশ্ন জাগবে না গুগল ফর্ম তৈরি করবো কিভাবে।

আপনি আরোও জনাতে পারবেন…

আর আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন।

কারণ আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি এই ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন আপডেট তথ্য গুলো প্রকাশ করার।

সবশেষে ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top