কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা যায় ? – Bangla it blog

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম : আমরা যারা ইউটিউব সেক্টরে কাজ করি ৷ তাদের প্রত্যেকর একটা স্বপ্ন থাকে। সেটি হলো কোনো একটা সময়ে তার চ্যানেল এর ভিডিও ভাইরাল হবে।

কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা যায়
কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা যায়

কারন আমরা সবাই জানি যে, যখন আপনার চ্যানেল এর কোনো একটি ভিডিও ভাইরার হয়ে গেলে৷ সেই ভিডিও এর হাত ধরে আপনার চ্যানেলটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। 

কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা সবাই আমাদের ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চাইলেও।

সবাই কিন্তুু তাদের ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে পারে না। তবে প্রশ্ন হলো যে, কেন সবাই তাদের ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে পারিনা?

এর প্রধান কারন হলো, কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস। যেগুলো সম্পর্কে যারা বিস্তারিত জানে। শুধুমাএ তারাই যেকোনো চ্যানেল এর ভিডিওকে ভাইরাল করতে পারে।

কিন্তুু যারা এসব টিপস সম্পর্কে এখনও অবগত হতে পারেনি। তারা শত চেস্টার পরেও ইউটিউব প্লাটফর্মে সফলতা অর্জন করতে পারে না।

তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, কোন টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো ফলো করলে আপনিও আপনার চ্যানেল এর ভিডিওকে ভাইরাল করতে পারবেন?

– হুমম! আজকে মূলত ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

আর আপনি যদি সেই গোপন টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো জানতে চান। যদি আপনি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে চান।

তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কেননা, আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। 

ভিডিও ভাইরাল মানে কি?

যেহুতু আজকে আমাদের মুল টপিক হলো ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় নিয়ে। সেহুতু এই “ভাইরাল”- শব্দটির মানে কি এবং কেন আপনার youtube video viral করা উচিত।

সে সম্পর্কে একটু হলেও ধারনা নেয়া দরকার। তাহলে আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

অর্থগত ভাবে Viral শব্দটির বাংলা কোনো অর্থ না থাকলেও। ইউটিউব প্লাটফর্মে এই শব্দটি কিন্তুু বেশ পপুলার একটি শব্দ।

যখন কোনো একটি চ্যানেলের এক বা একাধিক ভিডিও হঠাৎ করেই জনপ্রিয়তা পায়। তখন সেই ভিডিওকে বলা হয়ে থাকে ভাইরাল ভিডিও।

আপনি আরো পড়ুন…

কারন যখন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তখন সেই ভিডিও গুলোতে রাতারাতি এতো বেশি ভিউ আসে ৷ যা আপনি কখনও কল্পনাও করতে পারবেন না।

আমি নিজের একটি চ্যানেলে ৩ মাস আগে আপলোড করা একটি ভিডিওতে ভিউ ছিলো মাএ 1K এর মতো।

কিন্তুু যখন সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। তখন পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সেই ভিডিওতে ভিউ আসে প্রায় ২ মিলিয়ন এর মতো।

যা দেখে আমিও রিতীমতো অবাক হয়ে গেছিলাম। এবং সেখান থেকে আমিও বেশ কিছু অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পেরেছিলাম।

আর সেই অভিজ্ঞতা টুকুই আজকে শেয়ার করবো আপনার সাথে। 

কেন ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করবেন?

যাক এতোক্ষনে উপরের আলোচনা থেকে ” Viral”- শব্দটির অর্থ কি। সে সম্পর্কে আপনি পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তো ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে আরও একটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। সেটি হলো কেন আপনি আপনার youtube video viral করবেন।

তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

দেখুন একটি ইউটিউব চ্যানেলকে পরিচালনা করার জন্য যে কি পরিমান কষ্ট করতে হয়। সেটা শুধুমাএ তারাই ভালো বুঝবে। যারা মূলত রাত দিন এক করে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করে ভিডিও তৈরি করে।

এখন আপনি যে এই সময় ও শ্রম ব্যয় করে ভিডিও তৈরি করবেন। সেই কষ্ট দিয়ে তৈরি করা ভিডিও গুলো যদি মানুষের নিকট পৌঁছাতে না পারেন।

তাহলে কিন্তুু আপনার শ্রমের বিনিময়ে সঠিক ভিডিও ভিউ পাবেন না। আর এটা সত্য যে, যতক্ষন না আপনার ভিডিওতে হিউজ পরিমানে ভিউ আসবে না ৷

ততোক্ষন আপনি আপনার শ্রমের বিনিময়ে কোনো প্রকার টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।

আর যেহুতু আমাদের ইউটিউব সেক্টরে কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো টাকা ইনকাম করা ৷ সেহুতু অবশ্যই আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করার জন্য আপ্রান চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অন্যথায় আপনি এই প্লাটফর্মে শুধু কলুর বলদের মতো পরিশ্রম করে যাবেন। কিন্তুু তার বিনিময়ে কোনো সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। 

কিভাবে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা যায়?

আমি উপরেই একটি কথা ষ্পষ্টভাবে বলেছি যে, যদি আপনি আপনার সদ্য তৈরি করা একটি ইউটিউব চ্যানেল এর কোনো ভিডিও কে ভাইরাল করতে চান।

তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং ভিডিও ভাইরাল করার এমন কিছু গোপন টিপস এন্ড ট্রিকস আছে। যেগুলো আপনাকে প্রতিনিয়ত প্রয়োগ করতে হবে।

তো এতক্ষনে আমরা ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলোর শিরোনাম সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি সেই বিষয় গুলো বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কিন্তুু এখন আপনি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জানতে পারবেন।

তো এখন যদি আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি যে, ইউটিউব কেন আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করবে? -আমার বিশ্বাস যে আপনি এই প্রশ্নের উওর দিতে পারবেন না ৷

কারন যদি আপনার কাছে এই প্রশ্নের উওর থাকতো। তাহলে কিন্তুু আপনি এতোক্ষন ধরে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তেন না।

সত্যি বলতে যখন আপনি এটা বুঝতে পারবেন যে, Youtube কখন এবং কেন একটি ভিডিওকে ভাইরাল করে। তখন কিন্তুু আপনিও আপনার চ্যানেল এর যেকোনো ভিডিওকে দ্রুততার সাথে ভাইরাল করতে পারবেন ৷

তবে এখন প্রশ্ন হলো যে, ইউটিউব কখন এবং কেন একটি ভিডিওকে ভাইরাল করে? -তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

ইউটিউবে ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম

তো দেখতে দেখতে আমরা আর্টিকেল এর মূল টপিকে ফিরে এসেছি। এবার আপনি জানতে পারবেন যে, কিভাবে আপনি আপনার স্বপ্নের ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও ভাইরাল করতে পারবেন ৷

এবং কেন আপনার ভিডিওকে ইউটিউব ভাইরাল করবে।

সবার প্রথমে একটা কথা বলবো যে, যদি আপনি আপনার ভিডিওতে প্রচুর পরিমানে ভিউ নিয়ে আসতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনাকে অবশ্যই ইউটিউব এসইও সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারনা থাকতে হবে ৷

আর এই Youtube SEO এর কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে। যেগুলো আমি আজকে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করবো। 

  • যদি আপনি না জেনে থাকেন যে, ইউটিউব এসইও কি। তাহলে এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

এবার চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই কাঙ্ক্ষিত টপিক সম্পর্কে। যে টপিকের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করতে পারবেন।

এবং আপনার ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ নিয়ে আসতে পারবেন।

০১| ইউটিউব চ্যানেলের নাম

আপনি কি জানেন একটি ইউটিউব চ্যানেল এর নাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে? – যদি না জেনে থাকেন তাহলে শুনুন..

একটি Youtube Channel এর নাম কিন্তুু অনেক অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। তো কি কি কারনে এই Channel Name এতোটা গুরুত্বপূর্ণ।

এবার সে সম্পর্কে একটু জেনে নিন।

দেখুন একটি চ্যানেল এর নাম কিন্তুু সেই চ্যানেল এর সম্পূর্ণ পরিচয় বহন করে থাকে। তাই চ্যানেল এর নাম দেয়ার সময় এমন একটি নামকে নির্বাচন করবেন।

যেন, সেই নামের সাথে আপনার ভিডিওর টপিক একেবারে পুরোপুরি মিলে যায়।

যেমন, আপনি যদি ক্রিকেট রিলেটেড ভিডিও নিয়ে YT তে কাজ করেন ৷ তাহলে এমন একটি নাম নির্বাচন করতে হবে।

যেন সেই নাম শুনলেইমানুষ আপনার ভিডিও এর টপিক সম্পর্কে বুঝতে পারে।

💡PRO TIPS: আর হ্যাঁ! আরেকটা কথা না বললেই নয়৷ সেটি হলো যখন আপনি আপনার চ্যানেল এর জন্য নাম সিলেক্ট করবেন। তখন চেস্টা করবেন যেন আপনার সিলেক্ট করা নামটি অবশ্যই ইউনিক হয়।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক চালাক ব্যক্তি আছেন। যারা অন্য কোনো জনপ্রিয় চ্যানেলে যে নাম দেয়া থাকে। তার চ্যানলেও ঐ একই নাম দেয়ার চেস্টা করে ৷ এটা কিন্তুু মারাত্মক একটা ভুল ৷

কেননা, যদি আপনি এই কাজটি করেন। তাহলে কিন্তুু দর্শকরা আপনার চ্যানেলের নাম লিখে সার্চ করার পর ঐ পপুলার চ্যানেলটি কে শো করবে।

কিন্তুু আপনার চ্যানেল এর কোনো হদিস থাকবে না। তাই আপনি এই ভুলটি কখনই করবেন না। 

০২| নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন

যদি আপনি ইউটিউব প্লাটফর্মে আপনার তৈরি করা ভিডিওকে ভাইরাল করতে চান।

তাহলে কিন্তুু আপনাকে এই ইউটিউব সেক্টরকে সিরিয়াসলি নিতে হবে। যদি আপনি ইউটিউব কে সিরিয়াসলি নিতে না পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনার এখান থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে।

এখানে ইউটিউব কে সিরিয়াসলি নেয়া বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে, আপনাকে প্রতিনয়ত ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে।

অনেক সময় দেখা যায় যে, একজন মানুষ শখের বসে নতুন একটি Youtube Channel তৈরি করে। এরপর আবেগের বশে টানা কয়েকদিন ভিডিও আপলোড করে। এবং কয়েকটা দিন যাওয়ার পর তাকে আর খুজে পাওয়া যায়না।

কিন্তুু এই বদভ্যাস যদি আপনারও থাকে। তাহলে বলবো আজ থেকে ইউটিউবকে সিরিয়াসলি নেয়ার চেস্টা করবেন।

এবং নির্দিষ্ট একটা সময়ে আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার পর আপনার সাধের চ্যানেলটিকে আপডেট রাখার চেস্টা করবেন ৷

💡PRO TIPS: মনে রাখবেন যখন আপনি আপনার নতুন চ্যানেলে যে টাইম মেইনটেইন করে ভিডিও আপলোড করার চেস্টা করবেন। তখন সেই সময় অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ভিডিও আপলোড করা কন্টিনিউ করবেন।

যেমন, আপনি যদি মাসে ১ টি ভিডিও আপলোড করেন। তাহলে চেস্টা করবেন প্রতি মাসে ১ টি করে ভিডিও আপলোড করার। 

০৩| ইউটিউব চ্যানেলের জন্য বিষয়

আপনি মূলত যে টপিক এর উপর নির্ভর করে ভিডিও তৈরি করবেন। তাকে বলা হবে, ইউটিউব নিস। এখন আপনাকে একটি চ্যানেলে শুধুমাএ নির্দিষ্ট কোনো একটি নিস নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত চ্যানেল এর শুরুতে একটি নিস নিয়ে ভিডিও আপলোড করে।

কিন্তুু কোনো একটা সময়ে গিয়ে বিভিন্ন নিস নিয়ে একই চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে থাকে।

কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যদি আপনি এমনটা করে থাকেন। তাহলে কিন্তুু আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন কমে যাবে।

কারন যখন আপনি একই চ্যানেলে বিভিন্ন নিস এর ভিডিও আপলোড করবেন। তখন ইউটিউব বুঝে উঠতে পারবে না যে, আপনি আসলে কি ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করছেন।

আর তখনি মূলত আসল সমস্যার শুরু হবে।

💡PRO TIPS: একই চ্যানেলে বিভিন্ন নিসের ভিডিও আপলোড না করে। বরং চ্যানেল শুরু করার আগেই আপনাকে নির্ধারন করে নিতে হবে যে, আপনি উক্ত চ্যানেলে কি টপিক নিয়ে কাজ করতে চান।

এবং সেই টপিক নিয়েই আপনার উক্ত চ্যানেলটি কে কন্টিনিউ করে যেতে হবর। 

০৪| Trending বিষয়ের ওপর ভিডিও বানান

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার সবচেয়ে কার্যকরি টিপস হলো ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করা। কারন যখন কোনো একটি বিষয়ে অনলাইনে Trand হয়।

তখন কিন্তুু মানুষ ঐ বিষয় নিয়ে প্রচুর পরিমানে সার্চ করে থাকে। এখন আপনি যদি সেই বিষয় গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন। তাহলে আপনার ভিডিও তে হিউজ পরিমানে ভিউ আসবে এটাই স্বাভাবিক। 

তবে আপনি যদি শুধুমাএ ট্রেন্ড নিয়ে কাজ করেন। তাহলে কিন্তুু আপনার ভিডিও গুলো সাময়িক সময়ের জন্য ভাইরাল হবে ৷ কারন যখন কোনো বিষয়ে অনলাইনে ট্রেন্ড চালু হয়।

শুধুমাএ মানুষ তখনি উক্ত বিষয়ে জানার চেস্টা করে। এরপরে কিন্তুু সেই বিষয় গুলোর প্রতি মানুষের তেমন কোনো আগ্রহ থাকে না।

💡PRO TIPS: যখন আপনি জানতে পারবেন যে, ট্রেন্ডিং টপিকে ভিডিও তৈরি করলে তা খুব সহজেই ভাইরাল করা যায়। তখন আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জাগবে।

সেটি হলো, ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার জন্য এই Tranding Topic গুলো কোথায় খুজে পাবেন।

তো এটা মূলত অনেক সহজ একটি কাজ। কারন এখন আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকি। তো যখন এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে কোনো বিষয় ট্রেন্ডে আসে ৷

তখনি কিন্তুু মানুষ এই বিষয় গুলো জানার জন্য অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে থাকে। তাই আপনি চাইলে এই সোশ্যাল প্লাটফর্ম গুলোকে ব্যাবহার করতে পারবেন। 

০৫| Audio Quality ঠিক করুন

একটি ইউটিউব ভিডিও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সেই ভিডিওতে থাকা অডিও। কারন কোনো একটি ভিডিও তখনি দর্শকরা দেখবে।

যখন আপনার ভিডিওতে থাকা অডিওটি শুনতে শ্রুতিমধুর হবে। কিন্তুু আমাদের মধ্যে যারা নতুন ইউটিউবার তারা কিন্তুু এই বিষয়টিকে তেমন কোনো গুরুত্ব দেই না।

আপনার জন্য আর লেখা…

আর এই কথাটা শুধুমাএ আমার নয়, বরং এটা কিন্তুু প্রত্যেক অভিজ্ঞ ইউটিউবার বলে থাকে। যে একটি ভিডিও সুন্দর করার পাশাপাশি যেন সেই ভিডিও তে থাকা অডিও কোয়ালিটি অনেক মানসম্মত হয়।

তাই এটা বাধ্যতামূলক যে, আপনার ভিডিও তে থাকা অডিও টি যেন কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়।

💡PRO TIPS: যখন আপনি অডিও রেকর্ড করবেন ৷ তখন সবসময় নয়েজ মুক্ত জায়গাতে সাউন্ড রেকর্ড করার চেস্টা করবেন।

আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে অবশ্যই ভালো মানের মাইক্রোফোন ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক মানসম্মত হিসেবে বিবেচিত হবে। 

০৬| ভিডিও Quality ঠিক করুন

যেহুতু আপনি ইউটিউব এ ভিডিও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করবেন। সেহুতু আপনার ভিডিও কোয়ালিটি যেন শতভাগ মানসম্মত হয়।

সেই দিকটা তে যথেষ্ট নজর রাখতে হবে। কেননা, আপনি যদি আপনার ভিডিওকে কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে না পারেন। তাহলে কিন্তুু দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

কারন এই দিকটা আপনি নিজেই থেকেই একটু ভেবে দেখুন। আপনি মূলত ইউটিউব এ কোন ধরনের ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন।

নিশ্চই আপনার যে ভিডিও গুলো ভালো লাগে সেগুলোই তো দেখবেন, তাইনা ?  ঠিক একইভাবে এবার দর্শকদের কথা চিন্তা করে দেখুন। এখন দর্শকদের যদি আপনার ভিডিও দেখতে ভালো লাগে।

তাহলেই কিন্তুু দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখবে। 

💡PRO TIPS: যদি আপনি আপনার ভিডিও কে কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে চান। তাহলে আপনাকে কিছু টিপস অনুসরন করতে হবে। যদি আপনি সেই টিপস গুলো জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। 

০৭| আকর্ষণীয় Thumbnail বানান

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন একটি ভিডিওতে কি পরিমান ভিউ হবে। তার প্রায় ৬০ শতাংশ নির্ভর করবে আসলে আপনার ভিডিওতে কতটুকু মানসম্মত থাম্বনেইল আপলোড করেছেন।

কেননা যদি আপনার ভিডিও এর থাকা Thumbnail যদি মানসম্মত না হয়। তাহলে কিন্তুু আপনার ভিডিওতে তেমন ক্লিক আসবে না।

আর আপনি যদি থাম্বনেইল এর মাধ্যমে দর্শকদের আপনার ভিডিওতে ক্লিক আনতে না পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার ভিডিওতে তেমন ভিউ আসবে না।

তাই অবশ্যই আপনার ভিডিও তে থাকা থাম্বনেইল কে যথেষ্ট পরিমান আর্কষন করার চেস্টা করবেন।

💡PRO TIPS: যদি আপনি অন্যদের মতো আর্কষনীয় থাম্বনেইল তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

০৮| ইউটিউব ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

কোনো একটি ভিডিও কে ভাইরাল করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো ভিডিওকে সোশ্যাল ভিডিওতে শেয়ার করা। যা এসইও করার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

কেননা, এটি খুবই কার্যকরি একটি টিপস। তাই অবশ্যই আপনাকে টি টিপস টি অনুসরন করতে হবে।

কেননা, যখন আপনার ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করা হবে। তখন ইউটিউব বুঝে নিবে যে আপনার ভিডিওতে নিশ্চই ভালো কিছু আছে।

যার কারনে আপনার ভিডিও এসব সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করা হচ্ছে। এবং তখন কিন্তুু ইউটিউব নিজে থেকে চাইবে আপনার ভিডিও কে ভাইরাল করার।

💡PRO TIPS: মনে রাখবেন, বর্তমান সময়ে যেসব সোশ্যাল মিডিয়া গুলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে। সেইসব সাইটে আপনার ভিডিওকে শেয়ার করার। তাহলে আপনি অনেক গুন বেশি বেনিফিট পাবেন। 

০৯| ভিডিও Title, Tags, Description Optimize করুন

যদি আপনি ইউটিউব এসইও নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে সবার প্রথমে যে বিষয়গুলো আসবে। সেগুলো হলো ভিডিও Title, Tags, Description Optimize.

যেগুলো ছাড়া একটি ভিডিও কে কোনো ভাবেই ভাইরাল করা সম্ভব নয়। বলা যায় এগুলো হলো কোনো একটি ভিডিও এর মূল প্রানকেন্দ্র।

তো এই বিষয় গুলো নিয়ে আমি আমার ওয়েবসাইটে ইউটিউব এসইও নিয়ে একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে ইউটিউব এসইও নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি একবার পড়ে নিবেন। তাহলে আপনি অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

০১| কিওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার 

ইউটিউব এসইও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো কিওয়ার্ড। অর্থ্যাৎ আপনি যে টপিকে ভিডিও তৈরি করছেন। সেই টপিক নিয়ে মানুষ ইউটিউবে কি কি লিখে সার্চ করে।

সেগুলো কে বলা হয় কিওয়ার্ড। এখন এই কিওয়ার্ড গুলো কে আপনাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

যেমন, আপনার ভিডিও তে যে যে অংশ গুলোতে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে। সেগুলো কে আপনাকে সঠিক সঠিক জায়গাতে প্লেস করে দিতে হবে।

💡PRO TIPS: যদি আপনি কিওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চান। তাহলে এখানে ক্লিক করে কিওয়ার্ড এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

আপনি কি কি শিখতে পারলেন? 

আজকের আর্টিকেলে আপনি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কিন্তুু আপনি যেন আজকের এই গোপন টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো কোনোভাবে ভুলে না যান।

সেজন্য ঐ বিষয় গুলো পুনরায় আরেকবার রিপিড করবো।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি এমন অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ভিডিও কে ভাইরাল করতে পারবেন। যেমনঃ

  • কিভাবে ভিডিও তৈরি করা যায় সে বিষয়ে পূনাঙ্গ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 
  • ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে। বর্তমানে কোন টপিকে ভিডিও তৈরি করলে দ্রুত সফলতা পাওয়া যাবে। সে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 
  • ইউটিউবে ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম গুলো কি কি। সে নিয়ে প্রত্যেকটা বিষয় স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হয়েছে। 
  • ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে। সে নিয়ে ধারনা দেয়া হয়েছে।
  • ইউটিউব ভিডিও তৈরির আইডিয়া গুলো কি কি। সে সম্পর্কেও বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 
  • ইউটিউব চ্যানেল ক্যাটাগরি কিভাবে মেইনটেইন করতে হয়। সে সম্পর্কেও বলা হয়েছে।

আপনি আরো দেখুন…

তো আশা করি যদি আপনি উপরোক্ত এই বিষয় গুলো ভালোভাবে বুঝে থাকেন। তাহলে আমার বিশ্বাস আপনিও খুব দ্রুততার সাথে আপনার সদ্য তৈরি করা নতুন ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিওকে ভাইরাল করতে পারবেন। 

আমাদের শেষকথা

আজকের আর্টিকেলে আমি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

এরপরও যদি আপনার কোনো সমস্যা থাকে। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি সর্বদাই প্রস্তুুত থাকবো আপনার সমস্যার সমাধান করার।

Bangla it blog এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

1 thought on “কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা যায় ? – Bangla it blog”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top