ইউটিউব মার্কেটিং কি ? কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করবেন ?

ইউটিউব মার্কেটিং (Youtube marketing)  হলো বর্তমানে কোনো পণ্য (product) বা সার্ভিসকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার কিংবা মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সেরা উপায়। ইউটিউব হচ্ছে  বর্তমানে সবচেয়ে সক্রিয় একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। 

গুগল সার্চ ইঞ্জিনের পরের অবস্থানেই আছে এই ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন, যেখানে  বিশ্বের প্রায় সব মানুষই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ করে থাকে।  বিনোদন বলুন কিংবা শিক্ষণীয় কোনো বিষয়, এমন কী নেই  ইউটিউবে? 

ইউটিউব মার্কেটিং কি
ইউটিউব মার্কেটিং কি

যেহেতু ভিউয়ারা তাঁদের নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী খুব সহজেই  Youtube  এ সব ধরনের ভিডিও পেয়ে যান, মূলত এই কারণেই ইউটিউবে এতো এতো মানুষের আনাগোনা।

তবে ইউটিউবে মানুষের এই সক্রিয়তাটাকেই কিন্তু কাজে লাগাচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। যেহেতু খুব সহজেই বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষকে এই ইউটিউবে পাওয়া যায়,

তাই এই ইউটিউবকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের পণ্য কিংবা সার্ভিসকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পথ অবলম্বন করেছেন অনেক সফল ব্যবসায়ী। 

আপনিও নিশ্চয়ই ইউটিউব ভিডিওয়ের মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করার চিন্তা করছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।

আমরা এই আর্টিকেলে ইউটিউব মার্কেটিং কি? কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং?  এর সবকিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

ইউটিউব মার্কেটিং কি? ( What Is Youtube Marketing In Bangla?)

Youtube marketing কি? এটা জানার পূর্বে মার্কেটিং কি? এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক। মার্কেটিং বলতে বুঝায় কোনো পণ্য (Product) কিংবা সার্ভিস (service)  কে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কিংবা যেকোনো উপায়ে প্রচার করে ঐ পণ্য কিংবা সার্ভিসকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

পূর্বে এই প্রচারের কাজটি ফেরিওয়ালা,  খবরের কাগজ কিংবা টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে করা হতো। তবে বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের যুগে মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং করতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

ইউটিউব মার্কেটিং ও এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। ইউটিউব মার্কেটিং বলতে বুঝায় কোনো পণ্য কিংবা সার্ভিস বা ব্যান্ডকে ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার করে বিশ্বের সকল প্রান্তের মানুষের কাছে  পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে  নিজের বিজনেসের প্রসার করা।

 আপনি আরো পড়ুন…

এই প্রচারের কাজটা ইউটিউবে ভিডিওয়ের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে বলে একে অনেক সময় ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিংও বলা হয়ে থাকে।

ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং কি বা ইউটিউব মার্কেটিং  কেন করবেন?

YouTube video marketing  বর্তমানে যেকোনো সফল ব্যবসায়ীর কাছে প্রথম পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।  এর নিশ্চয়ই কিছু কারণ আছে? চলুন এক পলকে জেনে নেয়া যাক কারণগুলো;

  • বর্তমানে আর্টিকেল পড়ার মতো ধৈর্য্য থাকেনা অনেকের। অনেকে আর্টিকেল পড়ার চেয়ে ভিডিও দেখতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করে।  তাই নিজের পণ্যকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে সহজেই সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
  • একজন নিরক্ষর মানুষ কিংবা বাচ্চারা আর্টিকেল পড়তে না পারলেও ভিডিও সব মানুষই দেখতে পারে।
  • ভিডিওর মাধ্যমে যেকোনো বিষয়ই খুব সহজে বুঝানো যায়।  তাই ভিউয়াররা খুব সহজেই পণ্যের গুণাগুণ কিংবা পণ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারে।
  • গুগল সার্চ ইঞ্জিনের পরের অবস্থানেই ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। তাই এখানে ভিউয়ার পাওয়া নিয়ে খুব একটা ভাবতেই হয় না।
  • ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং খুব একটা ব্যয়বহুল না হওয়ায় যেকেউ এই মার্কেটিং করতে পারবে। নতুন উদ্যোক্তারাও এর মাধ্যমে খুব সহজেই মার্কেটিং করতে পারবে। 
  • এখান থেকে আজীবন ভিউয়ার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। 
  • ইউটিউব মার্কেটিং এতোটাই সহজ যে, আপনি নিজেই এটি করতে পারবেন। 

কিভাবে করবেন ইউটিউব মার্কেটিং?

অনেকেই ভাবেন ইউটিউব মার্কেটিং করা খুব কঠিন একটা কাজ। আসলে কিন্তু এমনটা নয়। যারা ইউটিউব মার্কেটিংয়ের সাথে জড়িত তাঁরা কিন্তু আহামরি কেউ না। উনারাও আপনার, আমার মতোই সাধারণ মানুষ।

ইউটিউব মার্কেটিং করা খুবই সহজ  একটা কাজ। যেকেউ, হ্যাঁ যেকেউ চাইলেই ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু স্টেপস অনুসরণ করতে হবে।

চিন্তার কিছু নেই। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এখন কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারবেন তা স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরবো। 

১. নিজের একটি  Youtube channel তৈরি করুন

ইউটিউব মার্কেটিং করতে হলে প্রথমে আপনার নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল বানাতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলেন না তো?

হা হা, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা খুবই সহজ একটি কাজ।  এর জন্য আপনার দরকার পরবে শুধু মাত্র একটি Google account  কিংবা  Gmail account  এর।

এরপর আপনি YouTube  এ গিয়ে নিজের gmail account  টি দিয়ে খুব সহজেই Youtube  account  টি খুলে ফেলতে পারবেন।

এরপর create channel  অপশনটি ব্যবহার করে আপনি আপনার নিজের একটি video channel  তৈরি করে নিতে পারবেন। 

এই  চ্যানেলটি আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তৈরি করতে পারবেন।

২. Setup your channel 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি বানানো হয়ে গেলে এ পর্যায়ে আপনাকে আপনার চ্যানেলের একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় নাম দিতে হবে। মনে রাখবেন আপনার মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে চ্যানেলের নাম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

আপনি আপনার চ্যানেলটির নাম নিজের পণ্য, ব্যান্ড কিংবা বিজনেসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এমন নাম দিবেন যা দেখে ভিউয়রা বুঝতে পারে আপনি কিসের উপর ভিডিও বানিয়েছেন।

আপনার চ্যানেলের নাম দেখেই যেন ভিউয়াররা আপনার পণ্য কিংবা বিজনেস সম্পর্কে অনেকটা ধারণা নিতে পারে। 

এছাড়াও ডেসক্রিপশনে নিজের পণ্য, ব্যান্ড কিংবা বিজনেস সম্পর্কে সুন্দরভাবে কিছু তথ্য তুলে ধরবেন, যেনো ভিউয়াররা ডেসক্রিপশন দেখে আপনার পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

অবশ্যয় পড়ুন…

৩. নিজের বিজনেস রিলেটেড ভিডিও আপলোড করুন

চ্যানেল সেট-আপ করার পর আপনাকে আপনার চ্যানেলে ভালোমানের ভিডিও আপলোড করতে হবে।  আপনার বিজনেসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভিডিও বানাতে চেষ্টা করবেন।

আপনার ভিডিও দেখে ভিউয়াররা যেনো আপনার পণ্য বা বিজনেস সম্পর্কে একটা ভালো আইডিয়া পায় সে বিষয়টা খেয়াল রাখবেন।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোডে যেসব জিনিস খেয়াল রাখবেন ;

  • আপনাকে নিজের তৈরি সম্পূর্ণ ইউনিক ভিডিও আপলোড দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি অন্য কারো ভিডিও এনে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন না।
  • এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক,  ছবি সবই নিজের বানানো হতে হবে।
  • এমন বিষয়ে ভিডিও বানাতে চেষ্টা করবেন যা সব বয়সের মানুষের জন্যই প্রযোজ্য হবে।
  • আপনাকে ভালো কোয়ালিটি এবং রেজুলেশনের ভিডিও বানানোর উপর জোর দিতে হবে।
  • ভিডিও বানাতে ক্যামেরা আবশ্যক,  এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই কিন্তু। বর্তমানে কিছু মোবাইলে এতো ভালোমানের ক্যামেরা যুক্ত থাকে যে ভিডিওর কাজটা আপনি মোবাইলেও চালিয়ে নিতে পারবেন। 
  • ভিডিওর টাইটেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেক সময় দেখা যায়, ভিডিও কন্টেন্ট খুব একটা ভালো না হলেও আকর্ষণীয় টাইটেলের জন্য ভিউয়ার বেড়ে যায়।
  • টাইটেল যতোটা সম্ভব ছোট এবং আকর্ষণীয় করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে টাইটেল যেনো অবশ্যই আপনার ভিডিওর সাথে মিল রেখে দেওয়া হয়। 
  • ভিডিও যতোটা সম্ভব শর্ট লেন্থে রাখার চেষ্টা করবেন। ৩-৭ মিনিটের ভিডিও করে আপলোড দিবেন, এতে ভিউয়ার সংখ্যা বাড়বে। অনেক সময় দেখা যায়।
  • বেশি লেন্থের ভিডিও হলে অনেকে দেখতে অনীহা করে চলে যান। তাই এ বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
  • ভিডিওতে আপনার চ্যানেলের লগো ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেনো।

৪. ভিডিও এসইও (SEO) অপটিমাইজড করুন

আপনার মার্কেটিংয়ের মূল টার্গেট কারা? নিশ্চয়ই ভিউয়াররা? আর ইউটিউব ভিডিওতে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনার একটি ধারুণ কার্যকরী উপায় হলো এই এসইও কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

SEO এর কাজ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের মাধ্যমে  বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন (যেমন; গুগল, ইয়াহু, বিং, ইউটিউব ইত্যাদি )

গুলোতে কোনো ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলকে একদম প্রথম পেইজে কিংবা সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে এসে ওয়েবসাইট / ব্লগ  কিংবা ইউটিউব ভিডিওর ট্রাফিক বা ভিজিটর বাড়ানো।

আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিওটি ভালোভাবে এসইও অপটিমাইজড করে দিতে পারেন, তবে গুগল সার্চ ইঞ্জিন কিংবা ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন আপনার চ্যানেলটিকে সহজে ট্র্যাক করে ভিউয়ারদের সামনে নিয়ে যাবে।

ফলে আপনার চ্যানেলে ভিজিটর বেড়ে যাবে। আর আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করতে চান তাহলে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে একটি বেসিক ধারণা অবশ্যই থাকতে হবে তা না হলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল গ্রও করতে পারবেন না।

তাহলে বুঝলেন তো, আপনার ইউটিউব ভিডিওটি এসইও ফ্রেন্ডলি করা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ? 

৫. ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে শেয়ার করুন

আপনি আপনার ভিডিও এসইও অপটিমাইজড করলে সহজেই বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর চলে আসবে। তবে সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও আরও কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিওতে ভিউয়ার বাড়াতে পারেন।

বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে ফেসবুক,  ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।

বিশ্বের সকল প্রান্তের, সব বয়সের মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে প্রতিদিন এক্টিভ থাকে। আপনি এই প্লাটফর্মগুলোতে খুব সহজেই বিভিন্ন বয়সের ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।

আপনার কাজ হলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে নিজের বিজনেসের জন্য গ্রুপ বা পেইজ খুলে সেখানে আপনার ভিডিওর লিংক শেয়ার করা। এর মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনার পণ্য বা ব্যবসার প্রচার করতে পারবেন। 

এছাড়াও ইন্টারনেটের অন্য ওয়েবসাইট যেমনঃ Forum, quora ( question and answer website),  কিংবা ব্লগ খুলে সেখানেও নিজের ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যমে নিজের পণ্যকে প্রমোট করতে পারবেন । 

৬. ইউটিউবে এড ব্যবহার করুন

আপনি যদি আপনার ভিডিওটি খুব দ্রুত ভিউয়ারদের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান তবে এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।

এই ইউটিউব এড কিংবা গুগল এডের মাধ্যমে খুব অল্প টাকা খরচ করে আপনি আপনার পণ্য,  ব্র্যান্ড,  সার্ভিস কিংবা বিজনেসকে খুব সহজেই প্রচার করতে পারবেন। 

এই মাধ্যমে আপনার ভিডিওর বিষয়ের সাথে জড়িত এমন ভিডিওতে  আপনার ভিডিওটিকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেখানো হয়ে থাকে।

অর্থাৎ অন্য কারো ইউটিউব ভিডিওতে আপনার ভিডিওকে বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করা হয়। এর ফলে খুব দ্রুত টার্গেটেট ভিউয়ার পাওয়া যায়।

তাই আপনি যদি আপনার ভিডিওকে দ্রুত অধিক সংখ্যাক মানুষের কাছে পৌঁছাতে চান, তবে ইউটিউব এড হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটা উপায়।

ইউটিউব মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

ইউটিউব মার্কেটিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম। অনেকেই ঘরে বসে এই ইউটিউব মার্কেটিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন।  আপনিও চাইলে ঘরে বসে এই ইউটিউব মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।  

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী উপায়ে ইউটিউব মার্কেটিং করে আয় করা যায়;

১. গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম

বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার সবচাইতে বড় এবং বিশ্বাসযোগ্য এড নেটওয়ার্ক মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স।

আপনি খুব সহজে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন তার জন্য অবশ্যই আপনার নিজের বানানো ভিডিও কনটেন্ট থাকতে হবে।

ইউটিউব এর নির্দিষ্ট ট্রামস এবং কন্ডিশন গুলো পূরণ করার পরই ইউটিউব এর মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা যায়।

একটা ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই আপনার কোয়ালিটিফুল ভিডিও কন্টেন্ট বানাতে হবে যাতে ভিউয়ার্স রা খুব সহজে আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে।

কেননা একটি নির্দিষ্ট পরিমান সাবস্ক্রাইব ছাড়া এবং ওয়াচ টাইম ছাড়া কখনই গুগল এডসেন্স এর প্রোগ্রাম এ জয়েন হতে পারবেন না।

এডসেন্স প্রোগ্রামের জয়েন হওয়ার পর আপনি প্রত্যেক মাসে সর্বনিম্ন ১00 ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৮000 টাকা ব্যালেন্স হলেই বিভিন্ন ব্যাংক এবং ডিবিএল ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

২. নিজের কোনো প্রডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করা

আপনার  কোনো পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে হলে নিশ্চয়ই তাদেরকে সবার সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাই তো? আর এই যে প্রচারণার কাজটা আপনি ইউটিউব মার্কেটিং করে খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন।

ধরুন আপনার একটি বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকের দোকান রয়েছে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে বেশ কিছু সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। আপনি চাইলে সে সকল কসমেটিকের একটি করে ভিডিও রিভিউ করে আপলোড করতে পারবেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে।

আর এই ভাবে প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে বোঝাতে পারবেন ওপর দিকে আপনি অনলাইনে বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইনে থেকে আয় করতে  পারবে।

ইউটিউব মার্কেটিং করে আপনি আপনার পণ্য বা সার্ভিসকে প্রমোট করে এদের বিক্রি বাড়িয়ে নিতে পারেন। 

৩. ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করা

বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা ইউটিউবের সবচেয়ে লাভজনক এবং জনপ্রিয় একটি উপায়। একে অনেক সময় ইউটিউব মার্কেটিংয়ের আওতায় ফেলা হয়ে থাকে।

আপনি আপনার ভিডিওতে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে এড লাগিয়ে আজীবন আয় করতে পারবেন ঘরে বসেই।

অনেকেই আছে যারা তাদের কোম্পানির এডভান্সমেন্ট অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার কনটেন্ট এর আগে অথবা পড়ে কয়েক সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন করতে বলবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি টাকা পে করতে হবে।

আর এর জন্য অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি একটি বড়সড় সাবস্ক্রাইবার নিতে হবে তা না হলে এরকম স্পনসর্শিপ প্রোগ্রাম পাওয়াটা খুব একটা সহজ হয়ে ওঠে না।

আরো পড়ুন মার্কেটিং নিয়ে…

৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

Affiliate marketing হলো অন্য কোনো কোম্পানি কিংবা ই-কমার্স সাইটের পণ্য আপনি আপনার ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করিয়ে দিবেন।

কোনো পণ্য বিক্রি করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে। আর এ কাজটি আপনি ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

ধরুন আপনি একটি অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে কোন একটি মাইক্রোফোন ক্রয় করেছেন এবং মাইক্রোফোনের আনবক্সিং থেকে শুরু করে সকল ডিটেলস ভিডিওর মাধ্যমে বর্ণনা করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করলেন।

আপনার ভিডিও ডিসক্রিপশন বক্স এর নিচে আপনি যেখান থেকে কিনেছেন সেই ওয়েবসাইটের একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংকটা দেবেন।

সেই লিঙ্ক থেকে যারা এই মাইক্রোফোন টি কিনার পর আপনার রেফারেল অ্যাফিলিয়েট লিংকের কারণে মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি কমিশন পেয়ে যাবেন।

আমাদের শেষ কথা

ইউটিউব মার্কেটিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি বিজনেস।  অনেক সফল ব্যবসায়ী বর্তমানে তাঁদের পণ্যকে প্রমোট করতে এই পথকে বেছে নিয়েছেন।

অনেকেই আবার ইউটিউব মার্কেটিংকে নিজেদের ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। আপনিও চাইলেও কিছু নিয়ম অনুসরণ করে খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন এই ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং।

আমরা এই আর্টিকেলে ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।  এছাড়াও যদি আপনাদের মনে আর কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। 

1 thought on “ইউটিউব মার্কেটিং কি ? কিভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করবেন ?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top