www কে আবিষ্কার করেন | www এর পূর্ণরূপ কি

www কে আবিষ্কার করেন : আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তারা একটা বিষয় লক্ষ্য করি যে। ব্রাউজার দিয়ে একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে।

www কে আবিষ্কার করেন | www এর পূর্ণরূপ কি
www কে আবিষ্কার করেন

সেই ওয়েবসাইটের নামের শুরুতে www ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই www ব্যবহার করার কারণ কি? আপনি কি জানেন, www কে আবিষ্কার করেন?

হয়তো আপনি এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানেন না। চলুন! এবার তাহলে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

www কে আবিষ্কার করেন?

টিম বারনারস নামের একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টিম ছিলো। যিনি সর্বপ্রথম www আবিষ্কার করেছিলেন। এবং তিনি যখন এটি আবিষ্কার করেন, তখন সময় ছিল ১৯৯০ সাল।

আর তখন থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাপক ভাবে এই www এর ব্যবহার হয়ে থাকে। তো এই www কে সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বলা হয়ে থাকে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

আর যখন আপনি আপনার ব্রাউজার দিয়ে কোন একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে ভিজিট করবেন। তখন আপনি সেই ওয়েবসাইটের নামের শুরুতেই www দেখতে পারবেন।

তবে এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে একটি কম্পিউটার কে সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। যেটি আপনি পরবর্তী আলোচনা গুলোর মাধ্যমে ধাপে ধাপে জানতে পারবেন।

www এর পূর্ণরূপ কি?

তো www কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, www এর একটি ফুল মিনিং রয়েছে।

আবার অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে, www এর full form কি তার উত্তর এখান থেকে পেয়ে যাবেন।

যদি আপনি না জেনে থাকেন, তাহলে শুনুন,,  www এর পূর্ণরূপ হল, World Wide Web. আর যখন আপনি এই পূর্ণরূপ এর পূর্ণ অর্থ খুঁজতে যাবেন।

তখন আপনি জানতে পারবেন যে, গোটা বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার গুলো কে সংযুক্ত করার অন্যতম একটি নেটওয়ার্ক হলো, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব।

www বলতে কী বোঝায়?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, www কে আবিষ্কার করেন। তো এই বিষয়টি জানার পরে এখন আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকবেন।

যাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, www বলতে কি বুঝায়। তো শুনে রাখুন, যখন আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি।

তখন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য ব্রাউজার ব্যবহার করি।

আর যখন এই ধরনের ব্রাউজারের মাধ্যমে কোন একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করা হয়। তখন সেই ওয়েব পেজ গুলো এক্সেস করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রটোকল হয়ে থাকে।

আর যখন এই কাজটি সম্পন্ন হয়। তখন একজন ইউজার উক্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে থাকা যাবতীয় ডেটা গুলো দেখতে পারে।

এখন সেই ডেটা গুলো হতে পারে টেক্সট, ইমেজ কিংবা ভিডিও। কেননা যখন ব্রাউজার এর মধ্যে একটি ওয়েবসাইটে যে প্রটোকল হয়।

তার মাধ্যমে আমরা সেই ওয়েবসাইটের যাবতীয় ডেটা গুলোর লোকেশন এর সাথে কানেক্ট হতে পারি। এবং তারপরে আমরা উক্ত ওয়েবসাইটের যাবতীয় ডেটা গুলো এক্সেস করতে পারি।

যার কারণে www কে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বলা হয়ে থাকে।

www কত সালে আবিষ্কৃত হয়?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, www কে আবিষ্কার করেন। তো এই বিষয় টি জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেটি হলো, www কত সালে আবিষ্কৃত হয়। মূলত www আবিষ্কৃত হয় 1989 সালের শেষের দিকে। আর সে সময়ে ১৭০০ এর বেশি বিজ্ঞানী মিলে এটি বিশেষ দল ছিল। যারা পৃথিবীর ১১০ টি দেশের মধ্যে বিস্তৃত ছিলেন।

আর সেই সময়ই তারা তাদের যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখতে চাইছিলেন। মূলত তারা যেন একে অপরের সাথে খুব সহজ ভাবে যোগাযোগ করতে পারে। সে কারণে তারা এই ধরনের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর আবিষ্কার করেন।

www এর কাজ কি?

অন্যান্য বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে www এর কাজ গুলো জেনে নিতে হবে। তো যদি আপনি www এর কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন প্রকারের তথ্য গ্রহণ এবং বিনিময় করার জন্য www ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্তে থেকে অন্য প্রান্তে খুব সহজেই নিজেদের তথ্য গুলো আদান প্রদান করতে পারি।

এর পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্য যেকোনো দেশের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারি। যেমন, আপনি যদি এখন আমেরিকায় থাকেন, তারপরেও ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন।

অপরদিকে আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন। তাহলেও কিন্তু আপনি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন। তো বিভিন্ন কম্পিউটার কে নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে কানেক্ট করার এই প্রক্রিয়ার জন্য www এর গুরুত্ব অপরিসীম।

Internet এর সাথে www এর পার্থক্য কি?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মনে করেন যে, Internet এবং www একই কাজ করে থাকে।

তো যদি আপনিও এই বিষয় টি ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা এই দুটোর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে।

আর এবার আমি আপনাকে সেই পার্থক্য গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে Internet এর সাথে www এর পার্থক্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  1. আমরা জানি যে, ইন্টারনেটের সম্পূর্ণ নাম হলো, Interconnected Network. 
  2. কিন্তু আপনি যদি www এর পুরো রূপ দেখেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, www পুরো নাম হলো World Wide Web.
  3. এবার আমরা জানি যে, ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৫০ সালে। অপরদিকে ইন্টারনেট আবিষ্কার হওয়ার অনেক দেরিতে www আবিষ্কৃত হয়েছিল। কেননা www আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৮৯ সালে।
  4. যখন ইন্টারনেট সর্বপ্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। তখন এর নাম ছিল, আরপানেট।
  5. কিন্তু যখন www আবিষ্কার হয়, তখন এর নাম ছিল, NFSNET.
  6. যদি আপনি ইন্টারনেট ছাড়া www কল্পনা করেন। তাহলে আপনি কোনভাবেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। কেননা এই দুটো একই অপরের পরিপূরক।

তো ইন্টারনেটের সাথে www এর যে পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি। যেখান থেকে আপনি এই দুটোর মধ্যে থাকা যাবতীয় পার্থক্য গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

www এর ইতিহাস?

গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন যে, www কে আবিষ্কার করেন। তো এই বিষয় টা জানার পাশাপাশি এবার আমি আপনাকে www এর ইতিহাস জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

দেখুন বর্তমান সময়ে আপনি যে গুলো উন্নত প্রযুক্তি দেখতে পাচ্ছেন। সেই উন্নত প্রযুক্তি গুলো আবিষ্কার হওয়ার পিছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে।

ঠিক তেমনি ভাবে www আবিষ্কার হওয়ার একটি বৃহৎ ইতিহাস রয়েছে। যেটা আমাদের জেনে নেওয়া অতি প্রয়োজনীয়। তাই চলুন এবার www এর ইতিহাস সম্পর্কে বিশদভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বেশ কয়েকজন সদস্য মিলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করার পর একটি বৈজ্ঞানিক টিম গঠন করেন। আর তারা এই টিমের নাম দেয়, টিম বারনারস।

এই টিম এর মধ্যে যে সকল বৈজ্ঞান যুক্ত ছিল, তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিস্তৃত ছিল। এবং তারা যেন খুব সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

আপনার জন্য আরোও আছে…

সে কারণে সেই বৈজ্ঞানিক টিম www আবিষ্কার করেন।

তবে এই বৈজ্ঞানিক টিম থেকে www এর সর্বপ্রথম প্রস্তাবনা এসেছিল ১৯৯০ সালের মার্চ মাসে। এবং যখন প্রথম প্রস্তাবনা দেওয়া হয়, তার পরবর্তীতে অর্থাৎ ১৯৯০ সালের মধ্যে পুনরায় দ্বিতীয় বার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

তবে এই www সর্বপ্রথম স্বীকৃতি পেয়েছিল ১৯৯০ সালের নভেম্বর মাসে। এবং সেই সময়ে www এর গ্রহণযোগ্যতা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল।

FAQs

কিছু জনপ্রিয় www সংক্রান্ত FAQs সম্পর্কে নিম্নলিখিত উত্তরগুলি দেওয়া হল

Q: www কি বোঝায়?

WWW হল “ওয়েব ডাবলিউ ডাবলিউ ডাবলিউ” এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পেজ সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

Q: একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা কি সবসময় www দিয়ে শুরু হয়?

না, একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা সবসময় www দিয়ে শুরু হতে হয় না।

Q: ওয়েব সাইট ঠিকানার জন্য কখন এবং কেন www ব্যবহার করা হয়?

মূলত, www প্রথমে ওয়েব সাইট এ যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো। এছাড়াও, এটি বিশ্বব্যাপী ওয়েব প্রোটোকল সিস্টেমের একটি অংশ যা ওয়েব ব্রাউজারকে একটি ওয়েব সাইটের ঠিকানার সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে।

কিছু ক্ষেত্রে, ওয়েব সাইটের অপ্রয়োজনীয় লোড টাইম কমানোর জন্য ওয়েবসাইট ঠিকানার পূর্বে www ব্যবহৃত হয়।

Q: ওয়েব সাইট ঠিকানার জন্য www না ব্যবহার করলে কী হতে পারে?

ওয়েব সাইট ঠিকানার জন্য www ব্যবহার না করলে অনেক সময় ওয়েব ব্রাউজার এরর দেখা দিতে পারে। এটি কারণে হতে পারে যে সার্ভারটি ওয়েব ব্রাউজারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওয়েব প্রোটোকলের উপযোগী না।

তবে, এখন অনেক ওয়েবসাইট WWW ছাড়াই ভিজিট করা যায়।

www নিয়ে আমাদের শেষ কথা

যেহেতু আপনি www কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে জানতে এসেছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনি একজন টেক লাভার।

আর আপনার জন্য আজকের এই লেখা টি একবারে উপযুক্ত। কারণ আজকে আমি www নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কারণ সবার শুরুতেই আমি জানিয়ে দিয়েছি যে, www কে আবিষ্কার করেন।

এর পাশাপাশি www নিয়ে অনেক অজানা বিষয়ে আলোচনা করেছি।

আশা করি, আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি www সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন। আর এই ধরনের টেকনোলজি আপডেট গুলো সবার আগে পেতে চাইলে।

আমাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আর যদি আমাদের লেখা সম্পর্কে আপনার কোন ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে।

তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, পুরো লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top