অ্যামাজন এর মালিক কে | অ্যামাজন কোম্পানির ইতিহাস

অ্যামাজন এর মালিক কে : who is owner of amazon? আপনি যদি অ্যামাজন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।

তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

অ্যামাজন এর মালিক কে | অ্যামাজন কোম্পানির ইতিহাস
অ্যামাজন এর মালিক কে | অ্যামাজন কোম্পানির ইতিহাস

কেননা আজকে আমি আমাজন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করব আপনার সাথে।

যেমন, আমরা অনেকেই জানতে চাই যে অ্যামাজন এর মালিক কে, অ্যামাজন কোন দেশের কোম্পানি

সেই সাথে আমরা অনেকেই আছি যারা মূলত আমাজনের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে চাই। আবার আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন।

যারা এখনো জানে না যে, এই আমাজন আসলে কি। আর সেই অজানা মানুষ গুলো কে নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

যদিও বা আমি আমার এই ওয়েব সাইটে বিভিন্ন রকম টেকনোলজি বিষয়ে টিপস শেয়ার করি।

তবে আজকে আমি একটু ভিন্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন এবার সরাসরি amazon এর দুনিয়া তে হারিয়ে যাওয়া যাক।

দেখুন আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে, অ্যামাজন নামক একটি বড় জঙ্গল রয়েছে। যাকে মূলত এই পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়ে থাকে। তবে আজকে আমি সেই পৃথিবীর ফুসফুস নিয়ে কোন কথা বলবো না।

বরং আজকে আমি কথা বলব পৃথিবীর জায়ান্ট একটি ই-কমার্স কোম্পানি নিয়ে। মূলত যখন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কোন জিনিস পত্রের দরকার হয়।

তখন আমরা সরাসরি মার্কেটে যাই, এবং সেখান থেকে উক্ত জিনিসপত্র গুলো কিনে নেই।

তবে কেমন হয় যদি আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে এ ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো অর্ডার করতে পারেন।

এবং সেই সাথে যখন আপনি উক্ত জিনিস পত্র গুলো অর্ডার করবেন। তখন তারা সরাসরি আপনার বাড়িতে এসে সে গুলো কে পৌঁছে দেবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে… 

নিশ্চয়ই বিষয় টা অনেক ভালো হবে তাই না? হ্যাঁ! এটিই হল ই-কমার্স এর মূল কাজ। আর বর্তমান বিশ্বে আপনি এমন অনেক ধরনের ই কমার্স প্রতিষ্ঠান দেখতে পারবেন।

তবে আজকের দিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হল, amazon (অ্যামাজন)। তবে আজকের দিনে আমরা যে অ্যামাজন নামক বিশ্বের জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান টি দেখতে পাচ্ছি।

সেই প্রতিষ্ঠান টি কিন্তু এত সহজে আজকের এই অবস্থানে আসতে পারেনি। তার পেছনে রয়েছে বিরাট একটা ইতিহাস।

মূলত আজকে আমি এই বিষয় গুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, amazon এর মালিক কে এবং amazon এর ইতিহাস সম্পর্কে।

অ্যামাজন কি? What is Amazon?

বর্তমান সময় আপনি এই বিশ্বের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দেখতে পারবেন। এবং এই ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

আর তাদের মধ্যে জায়ান্ট একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম হল amazon. যে প্রতিষ্ঠান এর বিস্তৃতি গোটা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। আপনি যদি একজন বাংলাদেশী হয়ে থাকেন।

এবং যদি আপনার অনলাইনে কেনাকাটা করার মত অভ্যাস থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই এই আমাজন নামক প্রতিষ্ঠানে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো অর্ডার করতে পারবেন।

এবং আপনি ঘরে বসেই সেই পণ্য গুলো আপনার হাতে পাবেন। মূলত এটি হল amazon নামক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর মূল কাজ।

অ্যামাজন কোম্পানির মালিক কে?

আজকের দিনে আমরা বিশ্বের মধ্যে অনলাইনে যে সব বড় বড় প্রতিষ্ঠান দেখতে পারি। সেই প্রতিষ্ঠান গুলো কিন্তু আপনার বা আমার মত কোন মানুষ তৈরি করেছে।

ঠিক তেমনি ভাবে আমরা যে বিশ্বের জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্টান অ্যামাজন কে দেখতে পাই।

সেটিও কিন্তু কেউ না কেউ তৈরি করেছে। আর সে কারণেই আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, amazon এর মালিক কে।

তো আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই আমাজনের মালিক কে তা জেনে নিতে চান।

তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। কেননা এবার আমি আপনাকে amazon এর মালিক সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

মূলত এই আমাজন কোম্পানির সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল ১৯৯৪ সালে।

আর অবাক করার মতো বিষয় হলো যে, এই জনপ্রিয় ই-কমার্স কোম্পানি টি মূলত ওয়াশিংটনের মধ্যে থাকা সিয়াটেলে একটি গ্যারেজের মাধ্যমে এই এই ই-কমার্স প্রতিষ্টানের সূচনা হয়।

আর [su_highlight background=” #ffd4a1″]অ্যামাজন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম হল, জেফরি প্রেস্টন বেজোস। তবে পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ ছেড়ে দেন।[/su_highlight]

এবং এই পদ ছেড়ে যাওয়ার পরে তিনি amazon এর চেয়ারম্যান পদে নিজে কে নিযুক্ত করেন।

আর বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর নাম হল amazon. কেননা এই প্রতিষ্ঠান টি এত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

যে, আজকের দিনে আপনি যদি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, সেই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যামাজনের মালিকের নাম।

কেননা এই অ্যামাজন হল জেফরি প্রেস্টন বেজোস এর অধিক লাভ জনক একটি প্রতিষ্ঠান। তবে তিনি যখন 2021 সালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ ছেড়ে দেন।

তখন তিনি বিশেষ আনুষ্ঠানিক ভাবে অ্যান্ডি জেসি নামক একটি ব্যক্তি কে উক্ত কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন।

অ্যামাজনের ইতিহাস – (History of Amazon)

অ্যামাজন এর মালিক কে – সে সম্পর্কে আপনি উপরে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। তবে এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপনাকে amazon এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

কেননা আজকের দিনে আমরা এই অ্যামাজন কে যতটা জনপ্রিয় হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। শুরুর দিকটা ঠিক ততটাই কঠিন পথ অনুসরণ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়েছে।

কেননা বর্তমান সময়ের অ্যামাজনের মালিক বেজোস ১৯৮৪ সালে যখন অধ্যানরত ছিল।

তখন তিনি প্রচুর পরিমাণে চেষ্টা করেছিলেন ফিজিক্স কিংবা অংক বইয়ের উপর নির্ভর করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য।

কিন্তু সেই সময়ে তিনি কোনো ভাবেই তার নিজের ক্যারিয়ারের স্বপ্ন পূরণ করতে পারছিলেন না। আর সে কারণে তিনি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তা করেন।

তবে এর মধ্যেই তিনি ১৯৮৬ সালের মধ্যে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। এবং তার গ্রাজুয়েশন ডিগ্রীর বিষয় ছিল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

এবং সেই সাথে তিনি কম্পিউটার সাইন্স নিয়েও গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে।ন এর পরবর্তীতে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন।

এবং সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল, ওয়াল স্ট্রিট ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক উইশ এন্ড কোং। যখন তিনি নিজেকে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করেন।

তার কয়েক বছর পরেই তিনি এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন যে। তিনি কিছু দিনের মধ্যেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট এর পদ লাভ করেন।

তবে তিনি চাচ্ছিলেন যেন নিজেই কোন কিছু একটা করা যায়।

সেজন্য উক্ত কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক বছর পরেই তিনি সেই চাকরি টি একবারই ছেড়ে দেন।

এবং এই চাকরি টি ছেড়ে দেওয়ার পরে তিনি 1994 সালে চলে যান সিয়াটলের এর মধ্যে।

যদিও বা শুরুর দিকে তিনি সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি একটি গ্যারেজ তৈরি করেন।

এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এমন অব্যবহৃত সম্ভাবনা কে কাজে লাগিয়ে তিনি বিশেষ একটি উদ্যোগ শুরু করেন। এবং সেখানে তিনি অনলাইনের মাধ্যমে একটি বইয়ের দোকান চালু করেন।

যেখান থেকে মানুষ অনলাইনে বই অর্ডার করতো এবং তিনি সেই অর্ডার করা বই গুলো কে নির্দিষ্ট স্থানে পাঠিয়ে দিতেন।

তবে শুরুর দিকে তার এই অনলাইনে বই বিক্রি করার ব্যবসাটি তেমন একটা সফলতা পায়নি। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি বরং তিনি বারংবার চেষ্টা করেছিলেন।

যে, অনলাইনের মাধ্যমে এই ব্যবসাটি কে চালিয়ে যাওয়ার। এবং যখন তিনি এই ব্যবসা টি সর্বপ্রথম শুরু করেছিলেন।

তখন তার এই ব্যবসা কে Amazon.com নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হতো। আর বর্তমান সময়ে তার এই ব্যবসাটি কে আমরা গোটা বিশ্বের মানুষ চিনতে পারছি।

মূলত এটি হলো অ্যামাজন এর সূচনার ইতিহাস। যদি সেই সূচনা টি সঠিক ভাবে সম্পন্ন না হতো।

তাহলে আমরা আজকের দিনের বিশ্বের জনপ্রিয় এই ই-কমার্স কোম্পানিটি কে দেখতে পেতাম না।

অ্যামাজন কোন দেশের কোম্পানি

অ্যামাজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি। কোম্পানিটি 1994 সালে জেফ বেজোস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর সদর দপ্তর সিয়াটল, ওয়াশিংটনে।

রাজস্ব এবং বাজার মূলধন দ্বারা পরিমাপিত হিসাবে Amazon হল বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স খুচরা বিক্রেতা।

কোম্পানিটি ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সও উৎপাদন করে- বিশেষ করে কিন্ডল ই-বুক রিডার-এবং ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবার একটি প্রধান প্রদানকারী।

আমাজন কোম্পানির কিছু বিশেষ ইতিহাস

উপরের আলোচনা থেকে আপনি অ্যামাজন এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তবে এই ইতিহাস জানার পাশাপাশি অ্যামাজন এর আরও বিশেষ কিছু ইতিহাস রয়েছে। যা অবশ্যই আপনাদের জেনে রাখা উচিত।

মূলত এই অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস শুরু থেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন।

বলা যায় তিনি 1994 সাল থেকেই এই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়ে ভাবতে থাকেন। এবং তিনি বেশ ভালো করে লক্ষ্য করতে পারছিলেন।

যে, সময় অতিবাহিত হচ্ছে ঠিক ততটাই মানুষ ইন্টারনেটের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আর এই ইউজার এর বৃদ্ধি হওয়ার দিক থেকে তিনি বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

যে, তিনি যদি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কোন ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে তার ব্যবসা কতটা সফলতা পাবেন।

তবে তিনি যখন এই amazon নামক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর সূচনা করেছিলেন। তখন তিনি নিজে থেকেই ১০,০০০ ডলার দিয়ে এই আমাজন এর সূচনা করেছিলেন।

মূলত শুরুর দিকে তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রী, সেই সাথে তিনি আরো বেশি কর্মী এর সহায়তায় একটি গ্যারেজ থেকেই এই অ্যামাজন পরিচালনা করতেন।

এবং পরবর্তী সময়ে আজকের দিনে আমরা সেই বিশ্বের জনপ্রিয় ই-কমার্স কোম্পানি কে দেখতে পাচ্ছি। যা মূলত এই গোটা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।

বলা বাহুল্য যে, আজকের দিনের যে সব উন্নত দেশ রয়েছে। তারা প্রায় অধিকাংশ সময়ে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো এই অ্যামাজন নামক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা করে থাকে।

সেই সাথে বাড়ছে amazon এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংখ্যা। যার মাধ্যমে অ্যামাজন থেকে পণ্য ক্রয় করার প্রবণতা আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অ্যামাজন এর কাজ কি / আমাজন কি করে

Amazon হল সিয়াটল, ওয়াশিংটনে অবস্থিত একটি বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যেটি ই-কমার্স, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ফোকাস করে।

অ্যামাজন হল বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম যা আয় এবং বাজার মূলধন দ্বারা পরিমাপ করা হয়।

জেফ বেজোস দ্বারা 1994 সালে প্রতিষ্ঠিত, অ্যামাজন মূলত একটি অনলাইন বইয়ের দোকান ছিল কিন্তু তারপর থেকে এটি বিভিন্ন ধরণের ভোগ্যপণ্য এবং ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ করতে প্রসারিত হয়েছে।

এর প্রাইম মেম্বারশিপ পরিষেবা লক্ষাধিক আইটেমে বিনামূল্যে দুই দিনের শিপিং, মিউজিক এবং ভিডিও কন্টেন্ট স্ট্রিমিং এবং এক্সক্লুসিভ ডিল এবং ডিসকাউন্টে অ্যাক্সেস অফার করে।

তার অনলাইন খুচরা ব্যবসার পাশাপাশি, অ্যামাজন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (AWS) পরিচালনা করে, একটি ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম যা বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ব্যবসা এবং ওয়েবসাইটকে ক্ষমতা দেয়।

AWS স্টোরেজ, ডাটাবেস, নেটওয়ার্কিং, ডেভেলপার টুলস, অ্যানালিটিক্স এবং মেশিন লার্নিং সহ বিভিন্ন পরিষেবার স্যুট অফার করে।

অ্যামাজনের সংগ্রাম ও সাফল্য – (Struggles & Achievements of Amazon)

এতক্ষণ থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, অ্যামাজন এর মালিক কে। সেই সাথে আমি আপনাকে স্পষ্ট ভাবে অ্যামাজনের ইতিহাস সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আপনি যদি উপরোক্ত আলোচনা গুলো পড়ে থাকেন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এতক্ষণে আপনি উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তবে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি। এবার আমি আপনাকে অ্যামাজন সম্পর্কিত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব।

মূলত কোন একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। আর যখন আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠান সঠিক ভাবে দাঁড় করাতে পারবেন।

তখন আপনার সাফল্য আসবে। আর এবার আমি আপনাকে অ্যামাজন এর সংগ্রাম এবং সাফল্য গুলো কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

যাতে করে আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন।

১৯৯৭ সাল: জনসাধারণকে যুক্ত করা হয়

বর্তমান সময়ে আমরা অ্যামাজনের যতটা সাফল্য দেখতে পাই। এই সাফল্য পর্যন্ত আসার জন্য অ্যামাজন প্রতিষ্ঠান কে যথেষ্ট পরিমাণে সংগ্রাম করতে হয়েছে।

কেননা যখন ক্রমাগত ভাবে অ্যামাজন নামক এই জনপ্রিয় ই-কমার্স কোম্পানি টি মানুষের মন জয় করতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়ে আরো বিভিন্ন কোম্পানির রয়েছেন।

যারা এই অ্যামাজন নামক ই-কমার্স কোম্পানির উপর মামলা করেছিল। আর মামলা করা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কোম্পানির নাম হলো, বার্নস এন্ড নোবেল, ওয়ালমার্ট।

এদের মত জনপ্রিয় কোম্পানিরা অ্যামাজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মামলা করেছিল। কিন্তু এত কিছুর পরও amazon থেমে থাকে নি।

বরং অ্যামাজন প্রাণপণ চেষ্টার মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ বিক্রির অনুমতি দিয়ে থাকে। যার ফলে অ্যামাজন এর কোন প্রকারের ক্ষতি হয়নি।

বরং উল্টো জনপ্রিয় এই ই-কমার্স কোম্পানির ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো ২৫ লক্ষেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০০৫ সাল: উদ্ভাবনী লয়াল্টি প্রোগ্রাম “প্রাইমিং”

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারণ বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বের মধ্যে এই amazon এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১২০ লক্ষেরও বেশি।

তবে আজকের দিনে আমরা অ্যামাজনের যতটা বেশি ইউজার দেখতে পারছি। তার পিছনে রয়েছে বিরাট একটি ট্রিকস। যা মূলত জেফ বেজোস তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করেছিলেন।

মূলত তিনি তার ব্যবসার ব্যবহারকারী বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ একটি প্রোগ্রাম ঘোষণা করেন। যে প্রোগ্রামের নাম হলো amazon প্রাইম।

আর এই প্রোগ্রাম এর মূল বিষয়বস্তু ছিল যে। কোন একজন সাধারণ ব্যক্তি যখন অ্যামাজন এর মধ্যে কোন ধরনের প্রোডাক্ট অর্ডার করবে।

তখন তার সেই অর্ডার করা প্রোডাক্ট টি একেবারেই বিনামূল্যে দুই দিনের মধ্যেই শিপিং করে দেওয়া হবে।

সেই সাথে আরো কিছু বাড়তি সুবিধা অ্যামাজন প্রাইম এর মধ্যে প্রয়োগ করা হয়। তবে একজন সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে যদি amazon prime এর সুবিধা ভোগ করতে চায়।

তাহলে সেই ব্যবহারকারী কে অবশ্যই প্রতিবছর 79 ডলার করে প্রদান করতে হবে।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে, অ্যামাজন প্রতিষ্ঠান যখন তাদের ই-কমার্স ব্যবসায় এই amazon prime চালু করে। তখন তাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো অধিক পরিমাণে বাড়তে থাকে।

এবং এই প্রতিষ্ঠান টি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে। তারা পরবর্তী সময়ে লয়াল কাস্টোমারে পরিণত হয়ে যায়। আর জেফ বেজোস বেশ ভালো ভাবে লক্ষ্য করছিলেন।

যে, amazon prime এর মাধ্যমে কাস্টমাররা যেন শুধুমাত্র সুবিধা ভোগ করতে পারে।

এর ফলে তার কাস্টমারদের যেন কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়। সেই সাথে তিনি তার প্রতিষ্ঠান থেকে অর্ডার করা পণ্য গুলোর উপর বিশেষ ছাড় প্রদান করছিলেন।

যার ফলে কাস্টমার অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কেনার জন্য আরও বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে।

২০১৫ সাল: পরিষেবার মান বৃদ্ধি করা

প্রযুক্তির এই যুগে আমরা সবাই চাই নতুন নতুন সব আবিষ্কার করা ডিভাইস গুলো কে ব্যবহার করার জন্য।

আর এই সুযোগটা কে বিশেষ ভাবে ব্যবহার করেছিল জেফ বেজোস। মূলত তিনি তার কাস্টমারদের চাহিদার উপর যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

আর সেজন্য তিনি প্রচুর পরিমাণে ইকো ডিভাইস গুলো কে তার মার্কেটে নিয়ে আসেন। যেমন ধরুন, অ্যালেক্সা এর কথা।

বর্তমান সময়ে এই জনপ্রিয় ইকো ডিভাইসটির ব্যাপক পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। কেননা এই ধরনের ডিভাইস টি যেমন অভিনব পদ্ধতি তে তৈরি করা হয়েছে।

ঠিক তেমনি ভাবে একজন ব্যবহারকারী হিসেবে অবশ্যই আপনার পাশে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হবে।

আর এই ধরনের ইকো ডিভাইস গুলোর ফলে amazon আরও অধিক পরিমাণে মুনাফা লাভ করতে সক্ষম হয়।

বলা বাহুল্য যে, আজকের দিনে আপনি যদি একটু ভালো ভাবে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, বর্তমান সময়ে amazon থেকে উৎপাদিত হওয়া এই অ্যালেক্সা কে বহু হোম স্মার্ট ডিভাইস এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

সেই সাথে এই এলেক্সার মধ্যে থাকা যেসব ফাংশন রয়েছে। ব্যবহার কারীদের সুবিধায় সেই ফাংশন গুলো কে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয়।

যার ফলে কাস্টমাররা এই ডিভাইস গুলোর প্রতি আরো বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে। সেই সাথে অ্যামাজনের অধিক পরিমাণে মুনাফা লাভ করতে সহায়তা করছে।

২০২০ সাল: কোভিড-১৯-এর সময়ে ব্যাপক পরিষেবা প্রদান (২০২১-২০২২)

আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন যে, ২০১৯ সালে যখন করোনা মহামারী চলছিল।

তখন প্রায় অনেক কোম্পানি ধ্বংসের মুখে চলে গেছিল। অপর দিকে আপনি যদি অ্যামাজন নামক এই ই-কমার্স কোম্পানির দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, এই কোম্পানি টি করোনা মহামারীর সময় ও তার ব্যবসায়িক পরিষেবা সমান ভাবে বাড়িয়ে চলছিল।

যদিও বা সেই সময় অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন যে। অ্যামাজন তার কর্মীদের সঠিক সুরক্ষা দিতে পারে না।

কিন্তু এই বিষয় গুলো কে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা তেমন একটা গুরুত্ব দেননি।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

বরং তিনি সবদিক বিবেচনা করে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রসার করার নিমিত্তে কাজ করে গেছেন।

আমাদের শেষকথা

অ্যামাজন এর মালিক কে আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

কারণ Amazon এর মালিক কে তা আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি। সেই সাথে আপনি যাতে অ্যামাজনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন।

সেজন্য আমি অ্যামাজন এর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে সমস্ত বিষয় রয়েছে। তার প্রত্যেকটি বিষয়কে ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি।

তো আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো খুব সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Article Info Source collects from Wikipedia.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top