শূন্য আবিষ্কার করেন কে | শূন্য আবিষ্কারের ইতিহাস [বিস্তারিত]

শূন্য আবিষ্কার করেন কে : (Who discovered Zero) আজকে আমি আপনাকে ভিন্ন একটি টপিক সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

শূন্য আবিষ্কার করেন কে | শূন্য আবিষ্কারের ইতিহাস [বিস্তারিত]
শূন্য আবিষ্কার করেন কে
মূলত আমরা যে হিসেব করার সময় শূন্য (০) ব্যবহার করি। সেই শূন্য আবিষ্কার করেন কে সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।

তো এই শূন্য আবিষ্কার করেন কে, কিভাবে এই শূন্যের উৎপত্তি হয়েছিল। সেই বিষয় গুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তো আপনি যদি শূন্য সম্পর্কে এই যাবতীয় তথ্য গুলো জানতে চান। তাহলে আপনাকে আজকের পুরো লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

তাহলে আপনি শূন্য আবিষ্কার হওয়ার সকল ইতিহাস জেনে নিতে পারবেন। তো চলুন আর দেরি না করে সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

শূন্য কাকে বলে?

আপনি যদি আজ থেকে 300 বছর আগের কথা চিন্তা করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই সময়ে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ।

সংখ্যা কিভাবে লিখতে হয়, সে সম্পর্কে জানত না। কিন্তু এখন যদি আপনি একটি ছোট বাচ্চাকে বলেন যে, শূন্য থেকে দশ পর্যন্ত লিখতে।

তাহলে সেই বাচ্চা টি খুব সহজেই এটি সম্পর্কে লিখতে পারবে। এছাড়াও এখন একজন যারা শিক্ষিত মানুষ।

তারা এখন ইচ্ছা করলে, ১ থেকে ১ হাজার কোটি পর্যন্ত লিখতে পারবে এ বিষয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই।

কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, প্রাথমিক সংখ্যা হিসেবে, ০ থেকে ৯ পর্যন্ত ধরা হয়ে থাকে। আর সে কারণে এই সংখ্যা গুলো কে বলা হয়ে থাকে, মৌলিক সংখ্যা।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

কিন্তু এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেই প্রশ্ন টি হল, শূন্য কে সংখ্যা বলা যাবে কি না? আবার অনেকেই জানতে চায় যে, শূন্য মানে কি?

আর আপনি যদি শূন্য কাকে বলে সে সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি শুধুমাত্র জানতে পারবেন যে, শূন্য হল একটি বিন্দু। কিন্তু আপনি যদি অংক শাস্ত্রের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেন।

তাহলে কখনোই শূন্য মনে একটি বিন্দু এই বিষয় টি জানবেন না। বরং গোটা অঙ্ক শাস্ত্রের মধ্যেই রয়েছে, শুন্যের বিরাট অবদান। যা আপনি আজকের আলোচনা থেকেই জানতে পারবেন।

শূন্য আবিষ্কার করেন কে ? (Who discovered Zero)

উপরের আলোচনা তে আমরা জানতে পেরেছি, শূন্য কাকে বলে। তো আমাদের মূল যে বিষয় টি জানার প্রয়োজন। সেটি হল, শূন্য আবিষ্কার করেন কে।

আর আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাকে শূন্য আবিষ্কার এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর আপনি যাতে করে সঠিক তথ্য জানতে পারেন।

সে কারণে এবার আমি শূন্য আবিষ্কারের ইতিহাস কে তুলে ধরব। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন যে, শূন্য আবিষ্কার করেন কে।

এবং কিভাবে এই শূন্যের আবিষ্কার করা হয়েছিল। তো চলুন এবার ধাপে ধাপে শূন্য আবিষ্কার এর ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক।

জিরো শব্দের বুৎপত্তি

তো আমরা বাংলা ভাষায় যাকে শূন্য বলি। ইংরেজিতে তাকে বলা হয়ে থাকে, জিরো। কিন্তু এবার আমরা জানবো, এই জিরো বা শূন্য কিভাবে এসেছে।

এবং কিভাবে এর ব্যবহার প্রচলিত হয়েছে তা সম্পর্কে এবার জেনে নিব। তো প্রাচীন ইতিহাস থেকে জেনে নেওয়া যায় যে, ভারতের মধ্যে একটি বিশেষ সভ্যতা ছিল।

যে সভ্যতার নাম হলো, মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। তো এটা অনুমান করা হয় যে, সংস্কৃত ভাষায় যাকে বলা হয় শূন্যয়া।

অপরদিকে আরব দেশ রয়েছে সেই দেশে এই শূন্যকে বলা হত, সাফাইরা। যার মূল অর্থ হলো, সাফাইরা এর কোন অর্থ নেই।

আর যখন আরব দেশদের মধ্যে এই সাফাইরা নামক শব্দ ব্যবহার করা হয়। তখন সেই শব্দটি ক্রমাগত ভাবে গ্রীস থেকে রোম এর মধ্যে গিয়ে পৌঁছায়।

আর তার পরবর্তী থেকে অপভ্রংশ শব্দটির পরিবর্তন হয়ে এর নাম রাখা হয়, জেভিরো। মূলত এই শব্দ থেকেই আধুনিক ইংরেজি শব্দের মধ্যে জিরো শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।

কিন্তু এই জিরো শব্দের উৎপত্তি নিয়ে অনেক ভাষা তাত্ত্বিকদের দ্বিমত রয়েছে। কেননা এমন অনেক ভাষা তাত্ত্বিক মনে করেন।

আধুনিক ইংরেজি ভাষা টা এসেছে, সেক্সন থেকে। অপরদিকে সেক্সন এর সূচনা হয়েছে রোমান থেকে।

সেই সাথে রোমানদের আবার গ্রীকদের সাথে সংযোগ রয়েছে। মূলত যখন আলেকজান্ডার দ্বিতীয়বার পারস্য দখল করেন। তখন গ্রীস এবং পারস্যের মধ্যে যে সংস্কৃতি ছিল, তার মধ্যে যোগ শুরু হয়।

আর এখান থেকে এটা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, শুন্য শব্দটি মূলত লোকে মুখে ব্যবহার করার কারণে। তা আজ জিরো নামে পরিণত হয়েছে।

যা আপনি আজকের শুন্য উৎপত্তির ইতিহাস থেকে আরো গভীর ভাবে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

শূন্যের মান কত ?

তো উপরের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আমরা ০ শুন্য এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছি। তো এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, বলুন তো শূন্যের মান কত।

তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন? থাক! আপনাকে কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না। বরং আমি আপনাদের বুঝিয়ে বলছি যে, শূন্যের মান কত।

আর সে সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে নিচের আলোচনায় নজর রাখতে হবে।

দেখুন, সত্যি বলতে অঙ্ক শাস্ত্রের দিক থেকে শূন্যের কোন মান নেই। তবে কোন সংখ্যার পরে যদি এই শূন্যের ব্যবহার করা হয়।

তাহলে সেই সংখ্যার মান বৃদ্ধি পায়। আর অবাক করার মতো বিষয় হলো যে, এই শূন্য যদি কোন সংখ্যার আগে বসানো হয়। তাহলে কিন্তু তার কোন মান থাকে না।

অর্থাৎ ০ শূন্যর কোন ধরনের মান নেই। তবে এটি যদি সংখ্যার আগে বসে তাহলে অপরিবর্তীত থাকে। আর এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। শূন্য কখনোই ধনাত্মক কিংবা ঋণাত্মক হয় না।

আবার অনেক সময় শূন্য কে সাহায্যকারী সংখ্যা হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। কেননা শূন্যের নিজের কোন মান নেই। কিন্তু যখন কোন সংখ্যার পরে শূন্য ব্যবহার করা হয়।

তখন শূন্য ওই সংখ্যাটির মান বৃদ্ধি করে। অপরদিকে শূন্য যদি কোন সংখ্যার আগে বসে। তাহলে কিন্তু শূন্যের মান এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের পরিবর্তন হয় না।

অর্থাৎ সংখ্যার আগে যত গুলো শূন্য থাকুক না কেন, তা আসলে মানহীন।

শূন্যের আবিষ্কার

ধীরে ধীরে আমরা মূল আলোচনা তে ফিরে যাচ্ছি। কেননা এখন আমরা জানতে পারবো, শুন্য আবিষ্কার করেন কে।

তো শূন্য আসলে কবে আবিষ্কার হয়েছিল তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মত এবং দ্বিমত রয়েছে। কারণ এমন অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে, শূন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশ এর মধ্যে।

এবং ভারতীয় উপমহাদেশের যে ব্যাক্তি এই শুন্যের আবিষ্কার করেছিল। সেই ব্যক্তির নাম হল, আর্যভট্ট। এবং তার এই শুন্য আবিষ্কারের পর থেকেই গণিত শাস্ত্র আরো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

কারণ যখন শূন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল। তখন দশমিক পদ্ধতিতে যে সকল অংক রয়েছে। সেই অংক গুলো সহজ হয়ে গিয়েছে।

এর পাশাপাশি পাটিগণিতের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। তো এই কারণে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকে।

সেটি হলো, যখন শূন্য আবিষ্কার হয়নি, তখন কি কোন ধরনের অংক শাস্ত্র ছিল না? নাকি আবিষ্কার হওয়ার পরেই অংক শাস্ত্রের সূচনা হয়েছে?

তো আপনার মনেও যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনে রাখুন,, আমরা অনেকেই মনে করি যে শূন্য আবিষ্কার হওয়ার পরে।

অংক শাস্ত্র এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু আসলে এই তথ্য টি সম্পন্ন ভুল। কেননা শূন্য আবিষ্কার হওয়ার অনেক আগে থেকেই অংক শাস্ত্র ছিল।

এবং যখন শূন্য আবিষ্কার করা হয়, ঠিক তখন অঙ্ক শাস্ত্রের মধ্যে শুন্য কে স্থান দেওয়া হয়েছিল। আর এখান থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায়। অংক শাস্ত্রের অনেক পরে শূন্যের আবিষ্কার করা হয়েছিল।

কেননা আমরা যে গণিত শব্দের ব্যবহার করি। সেই শব্দটি কিন্তু গণনা নামক একটি শব্দ থেকে এসেছে। যদিও বা ইতিহাসের সভ্যতা গুলোর মধ্যে এক থেকে দশ পর্যন্ত সংখ্যা মালা ছিল।

এবং পরবর্তী সময়ে যখন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার শুরু হয়। তখনকার মানুষ ১ থেকে ৬০ পর্যন্ত সংখ্যা গুলো কে বিভিন্ন অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করতে শিখেছিল।

ছাড়াও রোমানরা তাদের নিজস্ব অক্ষর দিয়ে এই সংখ্যা গুলোর প্রকাশ করত। কিন্তু এখানে আপনি যদি একটা বিষয় লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, অঙ্কশাস্ত্র তৈরি হওয়ার পরে শূন্যের যে আলাদা একটি সংখ্যা। সে সম্পর্কে কিন্তু অতীত ইতিহাসের মানুষরা অনেকেই জানতো না।

কারণ আপনি যদি গ্রীক সভ্যতার দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই সময়ের মানুষরা সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য বিটা, আলফা, গামা ইত্যাদির ব্যবহার করত।

তবে সুমেরোর মধ্যে দশমিক পদ্ধতির শুরু হয়েছিল। এছাড়াও তারা একটি বিশেষ ভিত্তি তৈরি করেছিল। যা মূলত ৬০ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর সে কারণে আমরা এখন পর্যন্ত জানি যে, ৬০ সেকেন্ডে এক মিনিট হয়, ৬০ মিনিটে ১ ঘন্টা হয়। তবে শুধুমাত্র এ গুলোর মধ্যে শূন্য সীমাবদ্ধ নয়।

কেননা আমরা বর্তমান সময়ে যে হিসেব করি, একক, দশক, শতক হিসেবে। তা মূলত এই শূন্য এর মাধ্যমে অনেক সহজ হয়েছে।

কিন্তু আপনি একটা তথ্য জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারণ এমন অনেকে আছেন, যারা মনে করেন যে শূন্য আবিষ্কার করেছেন পন্ডিত ব্রহ্মগুপ্ত।

আবার আপনি যদি পিঙ্গল কতৃপক্ষ রচিত ছন্দ সূত্র দেখেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, এখানেও কিন্তু শূন্যের ব্যবহার রয়েছে।

যা মূলত খ্রিস্টপূর্ব ২০০ শতকে রচিত হয়েছিল। এর পাশাপাশি আপনি যদি আর্যভট্ট বরাহমিহীর এর গণিত বই গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে সেখানেও কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে শূন্যের ব্যবহার রয়েছে।

কিন্তু এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। আজকের দিনে আমরা যে, শূন্য কে চিনি। আগের দিনে এই শুন্য কে এভাবে (●) লেখা হতো। যা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মত।

(●) শূন্যের যাত্রাপথ

তো উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, শুন্য কিভাবে আবিষ্কার করা হয়েছিল। এবং শূন্য আবিষ্কার করেন কে।

কিন্তু এবার আমি আপনাকে ভিন্ন একটি টপিক সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আর সেটি হল, এবার আমি আপনাকে শুন্য এর যাত্রা পথ সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

অর্থাৎ শূন্য আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে কিভাবে এর ব্যবহার শুরু হল। এবং বর্তমান সময়ে কিভাবে গোটা বিশ্বব্যাপী এই শুন্যের ব্যবহার পরিচিত হল। সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো।

আর আপনি যদি আলবেরুনীর ভ্রমণ বৃত্তান্ত দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, সেই সময় শূন্য সংখ্যাটি উক্ত ভ্রমণ বৃত্তান্তের মধ্যে উল্লেখ করা ছিল।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন লিপির মধ্যে এই শূন্য সংখ্যার অবস্থান ছিল। আর সে কারণে মনে করা হয় যে, ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে শূন্য সংখ্যাটির সম্পর্কে সর্বপ্রথম জ্ঞান লাভ করেছিল দুজন ব্যক্তি।

আর শূন্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা সেই দুজন ব্যক্তির নাম হল, কিন্দির এবং আল খোয়ারি জমি। তবে শূন্য এর যাত্রা পথ মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু হলে।

পরবর্তী সময়ে গোটা ইউরোপের মধ্যে এর ব্যাপক পরিমাণ ব্যবহার শুরু হয়েছিল।

শূন্য আবিষ্কারের আগে ভারতবর্ষ

আমরা শুন্য আবিষ্কারের ইতিহাস থেকে জানতে পারলাম যে, শূন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে।

কিন্তু এই শূন্য আবিষ্কার হওয়ার আগে ভারতবর্ষে থাকা মানুষেরা কিভাবে সংখ্যার ব্যবহার করত? কিভাবে অংক করতো তার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা অতীত প্রয়োজনীয়।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, শূন্য আবিষ্কারের আগে ভারতবর্ষ কিভাবে হিসেব করত।

এখনো আমাদের অনেকের পরিবারে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বয়োজ্যেষ্ঠ। এবং তাদের মুখ থেকেই আপনি জানতে পারবেন যে, তাদের অতীত ইতিহাসে এক আনা, দুই আনা এর হিসাব ছিল।

এবং আপনি যদি তাদের হিসাব টি একটু ভালোভাবে খেয়াল করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, তাদের হিসেবে ষোল আনা হলো, এক টাকা।

আর এখান থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে, সেই সময়ে তারা আনা দিয়ে হিসাব করলেও। তারা কিন্তু সংখ্যার ব্যবহার করত।

এর পাশাপাশি মহেঞ্জোদারো সভ্যতা থেকে জানা যায়। সেই সময় মানুষরা বিনিময় করার জন্য এই ধরনের সংখ্যার ব্যবহার করত।

এর পাশাপাশি বৈদিক যুগের ক্ষেত্রে এক কোটি সংখ্যা পূর্ণ হওয়ার পরে, প্রযুত, অর্বুদ, সমুদ্র, অনন্ত, পরার্থ এই জাতীয় শব্দ গুলো দেখতে পাই।

এবং পরবর্তী সময়ে এই বৈদিক যুগের সময় ৫৪ এবং ১৯৮ সংখ্যা দেখতে পাওয়া যায়। এবং এই সংখ্যা গুলো থেকে এটা সহজে অনুমান করা যায়।

এই সংখ্যা গুলো কোন ভাবেই শুন্য ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না। আবার আপনি যদি কোটির হিসাব করতে যান। তাহলে কিন্তু অবশ্যই শুন্যের ব্যবহার করতে হবে।

আর এই ইতিহাস থেকে এটা সহজেই জানা যায়। ভারতবর্ষে অনেক আগে থেকেই শূন্য এর ব্যবহার ছিল

আর্যভট্ট কে ?

মূলত আপনি যদি শূন্য আবিষ্কার করেন কে তার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি মোট দুজন ব্যক্তির নাম জানতে পারবেন।

সেই দুজন ব্যক্তি হলো, আর্যভট্ট এবং ব্রহ্মগুপ্ত। আর এই বিষয়টি জানার পরে আপনার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে। যে, এই দুজন ব্যক্তি কারা?

তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনে রাখুন, এই দুজন ব্যক্তি হলো ভারতের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গণিতবিদদের মধ্যে অন্যতম।

কারণ অতীতের ইতিহাস এর মধ্যে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কেরালায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, আর্যভট্ট। আর এরপরে তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে তার শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেছিলেন।

আর অবাক করার মতো বিষয় হলো, তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে অধ্যাপনা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

এবং তিনি অংক শাস্ত্রের মধ্যে এতটাই দক্ষ এবং পটু ছিলেন। যার কারণে তার এই বুদ্ধি দেখে সম্রাট বুদ্ধগুপ্ত আর্যভট্ট কে নালন্দার প্রধান পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে, তার বয়স যখন ২৩ বছরের ছিল। তখন তিনি আর্যভট্টী নামক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।

যেখানে মোট চার টি পরিচ্ছেদ ছিল। এর পাশাপাশি ১১৮টি শ্লোক ছিল। এবং এই পুস্তকের মধ্যে তিনি বিভিন্ন ধরনের অংক সমাধান দিয়েছিলেন।

যেমন, ত্রিকোণমিতি, জ্যামিতি, বীজগণিত, পাটিগণিত, দ্বিঘাত সমীকরণ, ঘাতের অংক ইত্যাদি।

এর পাশাপাশি আপনি আর্যভট্ট এর গ্রন্থ থেকে জানতে পারবেন, সূর্যের ব্যাস, বৃত্তের ক্ষেত্রফল, গোলকের আয়তন, ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল সহ বিভিন্ন অংকের সমাধান রয়েছে।

তবে এ গুলোর আবিষ্কারক হিসেবে আর্যভট্ট কতটা গ্রহণযোগ্য। তা নিয়ে কিন্তু এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মত এবং দ্বিমত রয়েছে।

ব্রহ্মগুপ্ত কে ?

উপরে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। মূলত আপনি যখন শূন্য আবিষ্কার করেন কে সে সম্পর্কে জানতে যাবেন।

তখন আপনি আরও একটি ব্যক্তির নাম জানতে পারবেন। আর সেই ব্যক্তির নাম হল, ব্রহ্মগুপ্ত। মূলত তিনি ভারতের গুজরাট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন,

এ ছাড়াও তিনি গণিত শাস্ত্রে বিপুল অবদানে রেখেছেন। যেমন, ক্ষেত্রফল, আয়তন, সমতল সহ বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক উপপাদ্য বিষয়ক সমস্যার সমাধান করে গেছেন।

এবং তিনি হলেন এমন একজন ব্যক্তি। যিনি সর্বপ্রথম শুন্য এর গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছিলেন।

এর পাশাপাশি তিনি এটাও প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন যে, শূন্যের সাথে যোগ বিয়োগ করলে। যে কোন সংখ্যার মান অপরবর্তিত থাকে।

এর পাশাপাশি তিনি আরও একটি বিশেষ সমস্যার সমাধান করে গেছিলেন। সেটি হল, ০ শূন্য এর সাথে যখন কোন সংখ্যা কে গুণ করা হয়। তখন তার মান শূন্য হয়।

শূন্য আবিষ্কার করেন কে তা নিয়ে আমাদের শেষ কথা

আজকে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যে আলোচনায় আমি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি, শূন্য আবিষ্কার করেন কে।

এর পাশাপাশি আমি আপনাদের শূন্য আবিষ্কারের সঠিক ইতিহাস কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আশা করি, আজকের আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি এই যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তবে এর পরেও যদি আপনার মনে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে। তাহলে তা নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য গুলো আর্টিকেল আকারে পাবলিশ করে থাকি।

যদি আপনি খুব সহজ ভাষায় সেই সকল তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন।

এর পাশাপাশি আমাদের এই লেখা গুলো সম্পর্কে আপনার যদি কোন ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে। তাহলে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য। আজ আর নয়, দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top