টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন | টেলিফোন আবিষ্কার এর ইতিহাস

টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন : (Who Invented the telephone) যদিও বা বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হওয়ার কারণে।

টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন | টেলিফোন আবিষ্কার এর ইতিহাস
টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন

আমরা এখন অনেকেই টেলিফোন ব্যবহার করি না। কারণ যোগাযোগ করার জন্য এখন মোবাইল, কম্পিউটার এর পাশাপাশি রয়েছে।

অনলাইনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া। তবে তারপরও আমাদের বিভিন্ন সময় টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর আজকে আমি আপনাকে এই বিষয় টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

টেলিফোন কি?

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে অবশ্যই জানব। তবে তার আগে আমাদের টেলিফোন কি সে সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা রাখতে হবে।

আর বর্তমান সময়ে আমরা উন্নত প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। সেহেতু এই সময়ে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য নাও হতে পারে।

আপনি আরোও পোড়তে পারেন…

কিন্তু অতীতের দিন গুলো তে যোগাযোগ করার মতো এমন কোন মাধ্যম ছিল না। কেননা সেই সময় গুলো তে চিঠির মাধ্যমে নিজের প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ করা হতো।

তবে মানুষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল যেন এই যোগাযোগ পদ্ধতি আরও সহজ দেখে সহজতর করা যায়। সে কারণে বিশেষ এক ধরনের টেলিফোন নামক এই যোগাযোগ এর যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়েছিল।

যার মাধ্যমে এক প্রান্তে থাকা মানুষ দূরবর্তী কোনো একজন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারতো।

টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন ?

তো আমাদের মূল বিষয় হলো টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া। আর যে ব্যক্তি টেলিফোন আবিষ্কার করেন।

সে ব্যক্তির নাম হল, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। যদিও বা আমরা ছোট থেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানি। তবুও অনেক সময় আমরা ভুলে যাই যে, টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন।

মূলত আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল নামক এই ব্যক্তি শব্দ কে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করার জন্য। বৈদ্যুতিক অনিয়ম ঘটাতে তিনি বিশেষ এক ধরনের যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন।

যার নাম দিয়েছিলেন, টেলিফোন। আর যেহেতু তিনি এই টেলিফোন এর সূচনা করেছিলেন। সে কারণে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল কে টেলিফোন এর আবিষ্কারক বলা হয়ে থাকে।

টেলিফোন কত সালে আবিষ্কার হয়?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন। আর এই বিষয় টি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো, টেলিফোন কত সালে আবিষ্কার হয়। সেটা জেনে নেওয়া আপনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। তো এই টেলিফোন আবিষ্কার করা হয়েছিল, ১৮৭৬ সালে।

মূলত সেই সময় আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এর মাধ্যম সহজ করার জন্য। বিশেষ এক ধরনের যন্ত্র আবিষ্কার করার কথা চিন্তা করেছিলেন।

তবে তিনি ভেবে পাচ্ছিলেন না যে, কিভাবে মানুষের গলার স্বর কে এক স্থান থেকে অন্য আরেক টি স্থানে প্রেরণ করবেন। তো সেই সময় তার একজন সহকারি ছিলেন।

তিনি মূলত টেলিগ্রাফ ট্রান্সমিটার কে নতুন ভাবে সংযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। আর সেই সময় বিশেষ এক ধরনের শব্দ উচ্চারিত হচ্ছিল।

আর এই শব্দ শুনেই আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল বুঝতে পেরেছিলেন যে, তিনি যে কণ্ঠস্বর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করার জন্য সমস্যায় পড়ছিলেন।

তার সমাধান তিনি খুজে পেয়েছেন আর তারপরেই তিনি একটি সাধারণ বিদ্যুৎ প্রবাহ কে বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রেরণ করতে হয় তা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।

আর এভাবেই তিনি টেলিফোন আবিষ্কার করেন। যার ফলে উক্ত সময়ের মানুষ টেলিফোনের সাহায্য খুব সহজেই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছিল।

টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস

আমরা এতক্ষণ থেকে জানতে পারলাম যে, টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন। এবং কত সালে টেলিফোন আবিষ্কার করা হয়।

তো আপনি যদি এভাবে একটি একটি করে বিষয়ে সম্পর্কে না জেনেম সম্পূর্ণ টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস জেনে নেন। তাহলে কিন্তু আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়ে যাবেন।

তো সে কারণেই এবার আমি আপনাকে টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস কে ধাপে ধাপে উল্লেখ করার চেষ্টা করব।

যেখান থেকে আপনি টেলিফোন এর আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

টেলিফোন আবিষ্কার এর পূর্বকালীন ইতিহাস

তো যখন টেলিফোন আবিষ্কার করা হয়নি তখনও কিন্তু মানুষ বিশেষ একটি পদ্ধতির মাধ্যমে। দূরে অবস্থান করা একজন মানুষ আরেক জন মানুষের সাথে কথা বলতে পারতো।

তবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে কথা বলার জন্য বিশেষ এক ধরনের পাইপ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করা হতো। যার মধ্যে অনেক টান টান করে দুই দিকে তার বা তন্তু লাগানো থাকতো।

এবং সেই তারের সাথে বিশেষ এক ধরনের পাতলা আবরণ দেওয়া হতো। আর যখন যান্ত্রিক কম্পন সৃষ্টি হতো। তার মাধ্যমেই একজন ব্যক্তির উচ্চারণ করা শব্দ গুলো অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি শুনতে পেত।

তবে এই ধরনের শব্দ প্রেরণ করার জন্য কোন প্রকারের বৈদ্যুতিক প্রবাহ সংঘটিত হতো না। আর এই পদ্ধতি গুলো খুব একটা সফলতা অর্জন করতে পারে নি।

কেননা ব্রিটিশ পদার্থবিদ রবার্ট হুক নামক একজন ব্যক্তি। যিনি ১৬৬৪ সাল থেকে ১৬৮৫ সাল পর্যন্ত মানুষের উচ্চারণ করা শব্দ গুলো কে প্রেরণ করার জন্য।

বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা মূলক গবেষণা চালিয়েছিলেন। এবং অবাক করার মতো বিষয় হলো যে, তিনি ১৬৬৭ সালে বিশেষ এক ধরনের একোস্টিক ফোন তৈরি করেছিলেন।

যদিও বা সেই ফোন গুলো খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেনি।

টেলিফোন আবিষ্কার এর শুরুর ইতিহাস

সত্যি কথা বলতে কোন কিছুর আবিষ্কার এর আবিষ্কারক খুঁজে বের করা অনেক কঠিন একটা কাজ। কেননা আপনি অধিকাংশ সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর সেই বিষয় টি হল, যখন কোন কিছু আবিষ্কার করা হয়। তখন কিন্তু তার পূর্বে থেকেই অনেকেই এটি আবিষ্কার করার চেষ্টা করে।

এবং সবশেষে যে ব্যক্তি ব্যবহারিক দিক থেকে সফলতা পায়। মূলত তাকেই সেই আবিষ্কারক এর সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। তেমনি ভাবে আপনি যদি টেলিফোন আবিষ্কার এর ইতিহাস দেখেন।

তাহলে কিন্তু একই চিত্র লক্ষ্য করতে পারবেন। কেননা টেলিফোন আবিষ্কার এর ইতিহাস এর মধ্যে প্রকৃত আবিষ্কার নিয়ে রয়েছে মত এবং দ্বিমত।

যদিও বা আমরা অনেকেই জানি যে, টেলিফোন এর আবিষ্কারক হলো আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। কেননা যখন তিনি টেলিফোনের নকশা তৈরি করেছিলেন।

তখন তার তৈরি করা এই নকশা কে পেটেন্ট হিসেবে ধরা হয়েছিল। তবে এটা নয় যে তিনি একমাত্র এই ধরনের টেলিফোনের নকশা তৈরি করেছিলেন।

বরং তার আগে আরো এমন অনেকেই ছিলেন যারা টেলিফোন এর নকশা তৈরি করেছিলেন। এবং টেলিফোন আবিষ্কার করার জন্য চেষ্টা করেছেন।

আর এই সত্যটা আপনি তখনই জানতে পারবেন। যখন আপনি 1849 সালের একজন ইতালীয় অভিবাসীর টেলিফোন এর নকশার কথা জানতে পারবেন।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইতালির এই অভিবাসী তার তৈরি করা টেলিফোন এর নকশা। সঠিক ভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেনি।

যার কারণে লোক চক্ষুর আড়ালেই থেকে যায় তার তৈরি করা টেলিফোন এর নকশা। এবং আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল যখন তার তৈরি করা টেলিফোন এর নকশা প্রচার করে।

তখন কিন্তু মানুষ তাকেই প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার এর জনক হিসেবে চিনে। আর এখন আমরা সবাই মনে করি যে, টেলিফোন এর আবিষ্কারক হল, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল।

টেলিফোন কিভাবে কাজ করে?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি, টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন। সেইসাথে আমি আপনাকে টেলিফোন আবিষ্কার এর ইতিহাস কে সঠিক ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

তবে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি। এবার আপনাকে জানতে হবে, টেলিফোন কিভাবে কাজ করে। মানুষ যোগাযোগ করার জন্য যে টেলিফোন ব্যবহার করত।

সেই টেলিফোন আসলে কিভাবে কাজ করে, এবার আমি আপনাকে সে সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

তো যেহেতু বর্তমান সময়ে আপনি মোবাইল ব্যবহার করেন। সেহেতু অবশ্যই আপনার একটা বিষয় জানা থাকবে। সেটি হল, মোবাইল এর মধ্যে কথা বলার জন্য দুইটি স্পিকার থাকে।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

একটি হল মাউথ স্পিকার, যার সাহায্য আপনার কথা গুলো শোনা যাবে। এছাড়াও আপনি মোবাইলের মধ্যে আরও একটি স্পিকার দেখতে পারবেন।

যার মাধ্যমে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথা গুলো শোনা যাবে। আর আপনি যদি টেলিফোন এর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে আপনি একই বিষয় দেখতে পারবেন।

টেলিফোন কিভাবে কাজ করে, এই বিষয় টি আপনি যদি খুব সহজভাবে জানতে চান। তাহলে আপনাকে খুব ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই।

মনে করুন, আপনার কাছে দুটো কাগজের কাপ রয়েছে। এবং সেই দুটো কাগজের কাপের দুই প্রান্তে তারের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হল।

এখন আপনি যদি সেই কাপের মধ্যে কথা বলেন। এবং অপর প্রান্তে থাকা কাপের মধ্যে যদি আরো একজন ব্যক্তি কথা বলে। তাহলে কিন্তু এক ধরনের শব্দ তরঙ্গ তৈরি হবে।

যার মাধ্যমে আপনার বলা কথা গুলো অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি শুনতে পারবে। ঠিক একই ভাবে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি কোন ধরনের শব্দ বা কথা বললে আপনি শুনতে পারবেন।

চলুন এবার এই বিষয়টি কে একটু অন্য ভাবে চিন্তা করি। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন, আসলে টেলিফোন কিভাবে কাজ করে।

দেখুন যখন আপনি একটি টেলিফোন এর মধ্যে কথা বলবেন। তখন কিন্তু আপনার গলা থেকে যে সকল শব্দ আসবে। সে গুলো ছোট ছোট তরঙ্গ আকারে আপনার টেলিফোন এর মধ্যে থাকা ডায়াফ্রাম এর মধ্যে পৌঁছাবে।

এবং যখন আপনার বলা শব্দ গুলো ছোট ছোট তরঙ্গ আকারে ডায়াগ্রাম এর মধ্যে পৌঁছাবে। তখন কিন্তু এই শব্দ তরঙ্গ গুলো এক ধরনের বিশেষ কম্পনের সৃষ্টি করবে।

যার ফলে এই শব্দ তরঙ্গ গুলো ক্রমাগত ভাবে তারের মাধ্যমে অপর প্রান্তে যেতে শুরু করবে।

এর ফলে অপর প্রান্তে থাকা টেলিফোন এর মধ্যে স্থায়ী ম্যাগনেট এবং ইলেক্ট্রো ম্যাগনেট এর সাহায্য। বৈদ্যুতিক শক্তির কে পুনরায় শব্দ তরঙ্গের রূপান্তর করা হয়।

আর এভাবেই মূলত টেলিফোন এর মাধ্যমে এক প্রান্তে থাকা ব্যক্তির বলা কথা গুলো। অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি টেলিফোন এর মাধ্যমে শুনতে পারে।

তো আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন যে টেলিফোন কিভাবে কাজ করে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, টেলিফোন কি কি উপাদান নিয়ে তৈরি।

টেলিফোন কি কি উপাদান নিয়ে তৈরী?

আমরা এতক্ষণে টেলিফোন সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জেনেছি। যেমন, সবার শুরুতেই জানতে পেরেছি টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন।

এরপরে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, টেলিফোন কিভাবে কাজ করে। তো ধারাবাহিক ভাবে এবার আমাদের জানতে হবে, টেলিফোন কি কি উপাদান নিয়ে তৈরি।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেওয়া যাক।

  1. প্রতিটা টেলিফোন এর মধ্যে ইলেকট্র্যাগনেট এর ব্যবহার করা হয়। কারণ এর সাহায্য টেলিফোন এর মধ্যে হওয়া তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করা হয়।
  2. টেলিফোন এর মধ্যে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করা হয়। যার ফলে টেলিফোন এর মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাইক্রোফোন গুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
  3. এর পাশাপাশি টেলিফোন এর মধ্যে ব্যবহার করা ট্রান্সমিটার গলার স্বর এর মাধ্যমে যে কম্পন সৃষ্টি হয়। তাকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তির মধ্যে রূপান্তর করে থাকে।
  4. আপনি প্রত্যেক টা টেলিফোন এর মধ্যে রিংগার দেখতে পারবেন। কেননা এর মাধ্যমে যখন কোন একজন ব্যক্তি অপর একজন ব্যক্তি কে কল দেয়, তখন রিংটোন বাজতে থাকে।
  5. আপনি কাকে কল দিবেন সেই নম্বর ডায়াল করার জন্য প্রত্যেক টা টেলিফোন এর মধ্যে একটি করে ডায়াল প্যাড থাকে।

মূলত একটি টেলিফোন এর মধ্যে আরও ছোট ছোট অনেক ধরনের সার্কিট ব্যবহার করা হয়। তবে আমরা বাহ্যিক দিক থেকে যে সকল উপকরণ দেখতে পাই।

সে গুলো উপরে উল্লেখ করেছি। আশা করি, এখান থেকে আপনি একটু হলেও ধারণা নিতে পারবেন যে, টেলিফোন আসলে কি কি উপকরণ নিয়ে তৈরি হয়।

টেলিফোন দিয়ে কল দেওয়ার নিয়ম কি?

তো আমরা যারা মোবাইল ব্যবহার করি। তারা জানি যে, বর্তমান সময়ে থাকা মোবাইল গুলো তে টাচ করে কলিং অপশন এর মাধ্যমে।

আমাদের কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের নম্বরে কল দিতে পারি। তো আমরা যারা টেলিফোন ব্যবহার করি না। তাদের প্রত্যেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

আর সেই প্রশ্নটি হল যে টেলিফোন দিয়ে কল দেওয়ার নিয়ম কি। অর্থাৎ কিভাবে টেলিফোন দিয়ে কল দিতে হয়।

আর আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি বলব যে, আপনি খুব সহজেই টেলিফোন দিয়ে কল দিতে পারবেন।

সে ক্ষেত্রে আপনাকে টেলিফোনের মধ্যে থাকা রিসিভার টি তুলতে হবে। এরপর আপনাকে টেলিফোন এর ডায়াল প্যাড থেকে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির নম্বর টি তুলতে হবে।

রপর আপনি কলিং অপশনে থেকে সরাসরি উক্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারবেন।

সেই সাথে যদি আপনার টেলিফোন এর মধ্যে অন্য কোন ব্যক্তি কল দেয়। তাহলে আপনি শুধুমাত্র রিসিভার তুললেই উক্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারবেন।

আশা করি টেলিফোন দিয়ে কল দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। চলুন এবার তাহলে টেলিফোন নিয়ে অন্যান্য বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আধুনিক টেলিফোন কি?

টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে আমরা এখন সবাই জানি। তবে আপনি কি জানেন, আধুনিক টেলিফোন কি।

হ্যাঁ! টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন সে বিষয়টি জানা যেমন গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক তেমনি ভাবে আধুনিক টেলিফোন কি এই বিষয়টি জেনে নেওয়া আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

তাই চলুন, এবার তাহলে উক্ত বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়া যাক।

আমরা যেমন একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে কল দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। ক্যালকুলেটর, টর্চ লাইট, গান শোনা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করতে পারি।

তো এই সব কিছুর মূলে রয়েছে টেলিফোন। কেননা যখন ১৯৭৩ সালে টেলিফোন এর ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছিল। ঠিক সেই সময় মানুষ কোন ভাবেই বুঝে উঠতে পারছিল না।

আসলে কিভাবে তারের সাহায্য ছাড়াই এক প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথা গুলো অন্য প্রান্তে গিয়ে পৌঁছায়।

আর এই সময়ে ইন্টারনেট, আধুনিক প্রযুক্তির কম্পিউটার এবং টেলি যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে। টেলিফোন কে এতটাই উন্নত করা হয়েছিল যা আসলে কল্পনার বাইরে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর এই ধরনের টেলিফোন গুলো কে বলা হয়ে থাকে, আধুনিক টেলিফোন। অর্থাৎ এই টেলিফোন গুলো তে কল দেওয়ার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যেত।

আশা করি আধুনিক টেলিফোন কি সে সম্পর্কে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

টেলিফোন নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন সময়ে জানার দরকার হয়।

তো আপনি যেন খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন যে, টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন। সে জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

এর পাশাপাশি আজকে আমি আপনাকে টেলিফোন সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা বিষয় জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি টেলিফোন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জেনে নিতে পেরেছেন।

আর আপনি যদি এই ধরনের টেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এবং এই ওয়েবসাইটে যে সকল আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়, সেগুলো পড়বেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার লেখা এই আর্টিকেল টি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top