মোবাইল কে আবিষ্কার করেছে | মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস

মোবাইল কে আবিষ্কার করেছে : বর্তমান সময়ে আমরা প্রায় অধিকাংশ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। আবার আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা মূলত এক বা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।

মোবাইল কে আবিষ্কার করেছে | মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস
মোবাইল কে আবিষ্কার করেছে

কিন্তু আপনি কি জানেন, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন (Who invented the mobile) আপনি কি জানেন, মোবাইল কত সালে আবিষ্কার করা হয়েছিল?

মূলত আজকে আমি আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব। অর্থাৎ মোবাইল আবিষ্কার এর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোবাইল রিলেটেড যে সকল অজানা বিষয় রয়েছে।

তার প্রতিটি বিষয় নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করব। আর আপনি যদি সেই অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

মোবাইল কে আবিষ্কার করেছে । মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন?

যারা এখন পর্যন্ত জানেন না যে, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন। তারা শুনে রাখুন, মার্টিন কুপার নামের একজন ব্যক্তি ছিলেন। যিনি সর্বপ্রথম মোবাইল আবিষ্কার করেছিলেন।

এবং তার মোবাইল আবিষ্কার করার সময় টি হল 1973 সালের এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ। এই সময় তিনি তার তৈরি করা সর্বপ্রথম মোবাইল রিলিজ করেছিলেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

এবং এই মার্টিন কুপার নামক ব্যক্তি টি দীর্ঘদিন থেকে মটোরোলা কোম্পানি তে একজন গবেষক হিসেবে কাজ করেছিলেন।

তবে শুধুমাত্র মোবাইল কে আবিষ্কার করেন সেই বিষয় টি জানলে হবে না। বরং এর বাইরেও আপনাকে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে হবে।

যেমন ধরুন, আমরা এখন জানতে পারলাম মার্টিন কুপার 1973 সালে মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেছিলেন। এবং তিনি যখন মোবাইল আবিষ্কার করেন।

তখন তিনি সর্ব প্রথম কাকে কল দিয়েছিলেন? আপনি কি সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? আমি নিশ্চিতভাবে বলতে বলব যে, আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন না।

তো যখন সর্বপ্রথম মোবাইল আবিষ্কার করা হয়েছিল। এবং সেই মোবাইল দিয়ে প্রথম কল দেওয়া হয়েছিল, Dr. Joel S. Enhel নামক একজন ব্যক্তিকে।

কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হলো, এই ব্যক্তি ছিল মার্টিন কুপার এর চরম প্রতিদ্বন্দ্বী একজন। আর সে কারণে মার্টিন কুপার যখন সর্ব প্রথম মোবাইল আবিষ্কার করেন।

তখন তিনি তার প্রথম কলটি এই ব্যক্তিকেই দিয়েছিলেন। আর যখন এই প্রথম মোবাইল তৈরি করা হয়। তখন সেই মোবাইলের নাম দেওয়া হয় মটোরোলা ডায়ানাটেক (Motorola DynaTAC).

কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা যে মোবাইল গুলো ব্যবহার করি। সেগুলো কিন্তু আকারের দিক থেকে অনেকটাই ছোট।

অর্থাৎ আমরা ইচ্ছা করলেই আমাদের সাথে করে এই মোবাইল গুলো নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু যখন বিশ্বের প্রথম মোবাইল আবিষ্কার করা হয়েছিল।

তখন সেই মোবাইলের আকার ছিল একটি ইটের সমান। তাহলে একবার ভেবে দেখুন যে বর্তমান সময়ের তুলনায় বিশ্বের প্রথম মোবাইলটির আকার কত বড় ছিল।

এখন আপনি জানতে পারলেন যে, বিশ্বের প্রথম মোবাইল এর আকার একটি ইটের সমান ছিল। আর এই বিষয়টি জানার পরে এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেই প্রশ্নটি হল যে, বিশ্বের প্রথম মোবাইল যেহেতু আকারের দিক থেকে অনেক বড় ছিল। সেহেতু সেই মোবাইলের ওজন কত ছিল? এবং সেই মোবাইল টি লম্বায় কতটা বড় ছিল?

তো চলুন এবার এই বিষয় গুলো সম্পর্কেও জেনে নেওয়া যাক। আর বিশ্বের প্রথম যে মোবাইল টি তৈরি করা হয়েছিল। সেই মোবাইল টি আকার এর দিক থেকে লম্বায় ছিল ৯ ইঞ্চি।

এবং এই মোবাইল এর ওজন অনেক বেশি ছিল। কেননা বিশ্বের প্রথম মোবাইলের ওজন ছিল ১.১ কিলোগ্রাম (কেজি)।

তো এখন হয়তো বা আপনি ভাবছেন যে, এত বড় মোবাইল কিভাবে ব্যবহার করা হতো? তো আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে ভেবে থাকেন। তাহলে শুনুন……

  1. যখন বিশ্বের প্রথম মোবাইল তৈরি করা হয়। তখন সেই মোবাইল টি সেলুলার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হতো।
  2. আর এই মোবাইলটির মধ্যে যখন ফুল চার্জ করা হতো। তখন এর মাধ্যমে শুধুমাত্র 30 মিনিট পর্যন্ত কথা বলা যেত। এরপরে পুনরায় সেই মোবাইল টি চার্জ করতে হতো।
  3. আর আপনি যদি অবাক হয়ে যাবেন, কারণ বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফুল চার্জ করতে সময় লাগতো ১০ ঘণ্টা। যা শুনে আপনি রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন।

আর যেহেতু এটি ছিল বিশ্বের মধ্যে তৈরি করা সর্বপ্রথম মোবাইল। তাই এই ফোন টি ব্যবহার করতে প্রচুর পরিমাণ টাকা ব্যয় করতে হতো।

এর পাশাপাশি যে কোম্পানি থেকে এই ধরনের মোবাইল তৈরি করবে। সেই কোম্পানির ও এটা বুঝতে পেরেছিল যে, এই ধরনের মোবাইল তৈরি করতে অনেক অর্থ ইনভেস্ট করতে হবে।

আর সে কারণে তারা সেই সময়ে এমন একটি মোবাইল তৈরি করার কথা চিন্তা করেছিল। যেটি তৈরি করতে তুলনামূলক খরচ কম হবে।

কিন্তু এত কিছু হওয়ার পরেও জনসাধারণ এর জন্য এই মোবাইল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি। বরং ১৯৭৩ সালে বিশ্বের সর্বপ্রথম মোবাইল আবিষ্কার হলেও।

জনসাধারণের জন্য মোবাইল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় 1983 সালে। এবং এই সময়টা ধরে যারা মোবাইল আবিষ্কার করেছিল।

তারা সর্বদাই চেষ্টা করেছিল মোবাইল তৈরি করতে কম ইনভেস্ট করার। এবং সেই মোবাইলের মাধ্যমে অধিক সুবিধা পাওয়ার জন্য।

এবং যখন সর্বপ্রথম বিশ্বের মানুষের কাছে মোবাইল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন সেই মোবাইলের নাম দেওয়া হয়েছিল, Motorola DynaTAC 8000X.

চলুন এবার তাহলে এই মোবাইল টি সম্পর্কে আর একটু বিস্তারিত ধারণা নেয়া যাক। যাতে করে আপনি সঠিক তথ্য টা জেনে নিতে পারেন।

  1. যখন ১৯৮৩ সালে জনসাধারণের জন্য মোবাইল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন সেই মোবাইলের নাম দেওয়া হয়েছিল, Motorola DynaTAC 8000X.
  2. এবং সেই সময় এই মোবাইলের দাম ছিল, ৩৯৯৫ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায়, ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা।
  3. আর সেই মোবাইলের মধ্যে যদি একবার ফুল চার্জ দেওয়া হতো। তাহলে সেই মোবাইল টি একটানা ছয় ঘন্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত।
  4. কিন্তু আপনি যদি সেই মোবাইল টি দিয়ে কথা বলতে চান। তাহলে আপনি সর্বোচ্চ 30 মিনিট পর্যন্ত কথা বলতে পারবেন।
  5. এছাড়াও এই মোবাইলের মাধ্যমে সর্বমোট ৩০ টি নম্বর সেভ করে রাখা যেত।

তো এতক্ষণ আপনি জানতে পারলেন মোবাইল কে আবিষ্কার করেন। এবং বিশ্বের তৈরি করা প্রথম মোবাইলের নাম কি।

সেই সাথে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে, ১৯৮৩ সালে জনসাধারণের জন্য মোবাইল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এবং সেই মোবাইলের কি বৈশিষ্ট্য ছিল সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

মোবাইল ফোন এর ইতিহাস । History of mobile phone in Bangla

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন।

তো এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে মোবাইল ফোন এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

কেননা যেহেতু আপনি মোবাইল কে আবিষ্কার করেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনেছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনার মোবাইল ফোনের ইতিহাস সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা রাখা উচিত।

তো চলুন এবার মোবাইল ফোনের ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্যটা জেনে নেওয়া যাক।

Year Of 1926: যেহেতু সেই সময়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল না। সেহেতু ১৯২৬ সালে সর্বপ্রথম বিশেষ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এবং সেই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল যে, যারা জার্মানি তে রেলের মাধ্যমে ভ্রমণ করেন। তাদের প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের মোবাইল ফোনের পরিষেবা দেওয়া হবে।

যেখানে প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা এই পরিষেবা ভোগ করতে পেরেছিল। এবং তারা বুঝতে পেরেছিল যে, মোবাইলের মাধ্যমে কত দ্রুত একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা যায়।

Year Of 1946: এবার আমি আপনাকে ১৯৪৬ সালের একটি তথ্য জানিয়ে দিবো। মূলত এই সময়ে এর মধ্যে মানুষ তখনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল না।

তবে শিকাগো নামের একটি জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে কার রেডিও টেলিফোন এর মাধ্যমে সর্ব প্রথম একটি কল করা হয়েছিল।

এবং তারা বুঝতে পেরেছিল যে, এই মোবাইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন জায়গা থেকে। অনেক দূরবর্তী মানুষের সাথে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখা যায়।

Year Of 1956: তবে মোবাইল আবিষ্কার হওয়ার পর যখন মানুষ টুকি টাকি ভাবে মোবাইল সম্পর্কে জানতে পারে। ঠিক সেই সময় সুইডেন নামের একটি জায়গা রয়েছে।

সেই জায়গা তে একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত যানবাহনের মধ্যে। স্বয়ংক্রিয় ভাবে মোবাইল ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করেছিল।

এবং এই কাজ টি করার জন্য তাকে বিশেষ একটি ডিভাইস ইনস্টল করে রেখেছিল। যার মাধ্যমে যানবাহন থেকেই স্বয়ংক্রিয় মোবাইলের সুবিধা নেওয়া যেত।

Year Of 1969: তবে এতদিনে অনেক কোম্পানি এটা বুঝতে পেরেছিল যে। তারা যদি মোবাইল উৎপাদন করে, তাহলে কিন্তু মানুষ ব্যাপক ভাবে তাদের উৎপাদিত হওয়া এই মোবাইল গুলো ব্যবহার করবে।

আর সে কারণে তারা বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে। এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, মোবাইল এর মধ্যে যে সিস্টেম রয়েছে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

সেই সিস্টেম গুলো কে আরো অধিক পরিমাণে উন্নত করা। যাতে করে মানুষ এই মোবাইল দিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে।

Year Of 1973: আমি শুরুতেই একটা কথা বলেছি। যিনি মোবাইল আবিষ্কার করেছেন, তার নাম হলো মার্টিন কুপার। এবং তিনি ছিলেন মটোরোলা কোম্পানি এর একজন জেনারেল ম্যানেজার ও গবেষক।

এবং তিনি সেই সময় সর্বপ্রথম মোবাইল দিয়ে একটি কল করেছিলেন। আর যে মোবাইল দিয়ে কল করেছিলেন সেই মোবাইলের ওজন ছিল ১.১ কেজি।

এবং সেই মোবাইল টি দেখতে ইটের মত বড় সাইজের ছিল। কারণ লম্বার দিক থেকে সেই মোবাইলটির দৈর্ঘ্য ছিল ৯ ইঞ্চি।

Year Of 1987: তবে অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন কোম্পানি মোবাইল এর উন্নতিকরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।

আর সে কারণে ১৯৮৭ সালে GSM Standard থেকে যে সকল Technical Specification ছিল। তার সব গুলো কে এপ্রুভড করা হয়েছিল।

Year Of 1992: এরপরে মোবাইল এর মধ্যে বিশেষ একটি ফিচার যুক্ত করা হয়। যা ছিল সেই সময় UK তে বিশ্বের প্রথম একটি এসএমএস পাঠানো হয়।

এবং যে ব্যক্তি এই এসএমএস টি পাঠিয়েছিল, তার নাম হলো, Neil Papworth. এবং উক্ত সময়ে এই ব্যক্তির বয়স ছিল 22 বছর।

এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন টেলিকম ডেভলপার। যার কারণে তিনি এই মেসেজিং পদ্ধতি কে আরো অনেক বেশি বিকশিত করতে পেরেছিলেন।

এবং তিনি যে বিশ্বের প্রথম মেসেজ টি পাঠিয়েছিলেন। সেই মেসেজ টি তে লেখা ছিল, “Merry Christmas”.

Year Of 1996/97: আর যখন মোবাইল এর কথা মানুষ জানতে পারে। সেই সময় UK তে বসবাস করার প্রায় ১৬% মানুষ নিজের প্রয়োজন।

এবং নিজের পরিবারের প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করা শুরু করেছিল। কেননা তারা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছিল যে। মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে দূরের মানুষদের সাথে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যোগাযোগ করা যায়।

Year Of 1998: এই সময়ে দেখতে দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোবাইল ব্যবহার করা শুরু হয়ে যায়। এবং এই মোবাইল গুলো তে শুধুমাত্র একটি কন্টেন্ট ডাউনলোড করা যেত।

আর সেটি ছিল ফিনল্যান্ডের রেডিও লিন্জা দ্বারা চালু করা বিশেষ একটি রিংটোন। যেটি কে উক্ত সময়ে ডাউনলোড করা যেত।

Year Of 1999: আর যখন ইতোমধ্যেই মানুষ মোবাইল ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময় জাপানের শিকাগো তে কুরিতা নামের একজন ব্যক্তি ছিলেন।

যিনি সর্বপ্রথম ইমোজিস আবিষ্কার করেছিলেন। যে ইমোজি গুলো এখন পর্যন্ত আমরা ব্যবহার করে থাকি।

মোবাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস

এতক্ষণ এর আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন। এবং সেইসাথে আমি আপনাকে মোবাইল এর ইতিহাস জানিয়ে দিয়েছি।

তো এই বিষয় গুলো জানার পরে, এবার আমি আপনাকে খুব ছোট্ট আকারে মোবাইলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জানিয়ে দিব।

যে গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া টা আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। তো চলুন এবার সেই মোবাইল এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  1. AT&T নামক বিশেষ একটি কোম্পানি ছিল। যে কোম্পানি থেকে তাদের গ্রাহকদের জন্য রেডিও টেলিফোন ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
  2. মূলত বর্তমান সময়ে আমরা যে ওয়াকি টকি দেখতে পাই। ঠিক সেরকম পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সীমিত পরিসরে রেডিও টেলিফোন ব্যবহার করার সুযোগ ছিল।
  3. আর যেহেতু এটা সীমিত পরিসরে ছিল। সেহেতু অনেক মানুষ তাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটাতে পারছিল না।
  4. এর পাশাপাশি ওই মোবাইল গুলো আকারের দিক থেকে অনেক বড় ছিল। এবং ওজনের দিক থেকে অনেক বেশি ভারী ছিল।
  5. আর বর্তমান সময়ের মতো সেই বড় বড় মোবাইল গুলো পকেটের মধ্যে রাখা সম্ভব ছিল না।
  6. এরপর মার্টিন কুপার পুনরায় তার গোটা টিম নিয়ে ভিন্ন ধর্মী সেলফোন ডিজাইন করা শুরু করে। 
  7. এবং তারা যখন প্রথম মোবাইল উন্মুক্ত করে দেয়। সেই মোবাইলের নাম দেয়, Motorola DynaTAC.

তো এই ছিল মোবাইল এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইতিহাস। যদি আপনি উপরে উল্লেখিত ইতিহাস টি সম্পর্কে না জেনে থাকেন।

তাহলে এই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার জেনে নেওয়া উচিত। আর সে কারণেই আমি পুনরায় আরেক বার মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস কে তুলে ধরেছি।

স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন ?

এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন। তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে উত্তর দিতে পারবেন, মোবাইল আবিষ্কার করেন মার্টিন কুপার নামের একজন ব্যক্তি।

তো এখন আপনি কি বলতে পারবেন, স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন? হয়তো বা এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার জানা নেই।

আর আপনার জানা না থাকলে শুনে নিন। স্মার্ট ফোন এর প্রথম দিকে বিশেষ এক ধরনের বৃহৎ আকারের টাচস্ক্রিন স্মার্ট ফোন রিলিজ করা হয়েছিল। যার নাম ছিল Simon.

এবং এই টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন টি ডেভেলপ করা হয়েছিল IBM এর সাহায্য। আর এই মোবাইলের বিশেষ কিছু গুণাবলী ছিল। প্রথমত এই মোবাইল টি টাচ করে ব্যবহার করা যেত।

এর পাশাপাশি উক্ত মোবাইলের মাধ্যমে ইমেইল আদান প্রদান করা যেত। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ের মতো ওই স্মার্টফোনের মধ্যে ক্যালকুলেটর সহ আরো বিভিন্ন রকমের ফিচার যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

বাজারে কত রকমের মোবাইল উপলব্ধ রয়েছে ?

আপনি যদি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যাচাই করতে চান যে, বাজারে কত ধরনের মোবাইল রয়েছে। তাহলে আপনি মোট তিন ধরনের মোবাইল দেখতে পারবেন।

আর সেই তিন ধরনের মোবাইল গুলো হলো, Cell Phone, Smart Phone, Feature Phone. তো এখন অনেকেই ভাবতে পারেন যে মোবাইল তো একই জিনিস।

তাহলে মোবাইলের এতগুলো ভাগ হলো কেন? তো এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে এবার নিচের আলোচনায় একটু নজর রাখুন।

Cell phone

প্রথম থেকে যে ধরনের মোবাইল গুলো তৈরি করা হতো। সেই মোবাইল গুলো কে সেল ফোন বলা হয়ে থাকে।

কেননা এই মোবাইল গুলোর মধ্যে খুব বেশি কিছু ফিচার যুক্ত করা ছিল না। বরং এই ফোন গুলো দিয়ে শুধুমাত্র কথা বলা যেত। এর পাশাপাশি টুকটাক দু একটা গেম খেলা যেত।

আর সে কারণে দামের দিক থেকে এই মোবাইল গুলো তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামে বিক্রি করা হতো। আর বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করার কারণে।

এই ধরনের সেল ফোন ব্যবহারের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে।

Feature phone

ফিচার ফোন গুলো দেখতে অনেকটা সেল ফোনের মত লাগে। কেননা একটি সেলফোনের মধ্যে যে সকল বাটন এবং ডিসপ্লে ছিল।

ঠিক একই ভাবে ফিচার ফোন গুলোর মধ্যে বাটন এবং ডিসপ্লে ছিল। তবে এই ফোন গুলোর ভেতরে বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

যেমন, এই ধরনের ফিচার ফোন গুলোর মাধ্যমে সেই সময় ছবি তোলা যেত। অডিও গান শোনা যেত, ভিডিও গান দেখা যেত।

এর পাশাপাশি এই ধরনের ফিচার ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেত। যার ফলে সেলফোন এর তুলনায় এই ধরনের ফিচার ফোন গুলোর চাহিদা ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকে।

Smartphone

প্রসঙ্গ যখন স্মার্ট ফোন তখন আমাদের হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলোর কথা অবশ্যই আসবে। কেননা আমরা যে এন্ড্রয়েড ফোন গুলো ব্যবহার করি।

সে গুলো কে বলা হয়ে থাকে, স্মার্টফোন। আর এই ধরনের স্মার্ট ফোন গুলো কে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

কেননা কম্পিউটার দিয়ে যেভাবে কাজ করা যায়। একই ভাবে বর্তমান সময়ে তৈরি করা স্মার্টফোন গুলো তেও কাজ করা সম্ভব।

আর আজকের দিনের স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার ফলে পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ের এই স্মার্টফোন গুলো ব্যাপক পরিমাণে উন্নতি লাভ করতে পেরেছে। এবং মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

মোবাইল আবিষ্কারক নিয়ে আমাদের কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, বিভিন্ন সময় আমাদের জানার প্রয়োজন হয় যে, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন। তো যদি এরপর কখনো আপনার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে যে, mobile কে আবিষ্কার করেন।

তাহলে মাথায় রাখবেন, মোবাইল আবিষ্কার করেছিলেন মার্টিন কুপার নামের একজন ব্যক্তি। তো এর বাইরে ও আজকে আমি আপনাকে মোবাইল সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানিয়ে দিয়েছি।

যে বিষয় গুলো এতদিন আপনার কাছে অজানা ছিল।  আর আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের টেকনোলজি রিলেটেড বিষয় গুলো সবার আগে শেয়ার করার চেষ্টা করি।

যদি আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করেন। তাহলে কিন্তু আপনি এই অজানা বিষয় গুলো সবার আগে জেনে নিতে পারবেন।

তাই চেষ্টা করবেন আমাদের সাথে থাকার জন্য। এবং এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top