Imo কে আবিষ্কার করেন | IMO এর প্রতিষ্ঠাতা কে | Imo কোন দেশের তৈরি

Imo কে আবিষ্কার করেন : ডিজিটাল এই যুগে Video Call যেন আমাদের কাছে সহজলভ্য একটি বিষয়। আর আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন।

Imo কে আবিষ্কার করেন | IMO এর প্রতিষ্ঠাতা কে | Imo কোন দেশের তৈরি
Imo কে আবিষ্কার করেন

কারণ যখন সর্বপ্রথম মোবাইল দিয়ে ভিডিও কল করা হতো। তখন যে অ্যাপস টি জনপ্রিয় ছিল, সেই অ্যাপস এর নাম হল ইমু (Imo).

আর ভিডিও কলের জন্য ইমু নামক এই জনপ্রিয় অ্যাপস টি জাপানি একজন নাগরিক এর তৈরি। মূলত ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে imo video calling app এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল।

কিন্তু আমরা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় এই অ্যাপস কে ভুলে যেতে শুরু করেছি। আমরা এখন অনেকেই জানিনা যে, Imo কে আবিষ্কার করেন।

এবং আমরা এটাও জানিনা যে, Imo কোন দেশের কোম্পানি। তো আজকে আমি আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন, Imo কে আবিষ্কার করেন এবং ইমো কোন দেশের কোম্পানি।

Imo কি?

সহজ কথায় বলতে গেলে ইমো হলো একটি বিশেষ ধরনের অ্যাপস। আর এই অ্যাপসটির গুণাগুণ হল, আপনি চাইলে এর মাধ্যমে অন্য একজন ব্যক্তির সাথে সরাসরি ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন।

সেই সাথে আপনি ইমো অ্যাপস দিয়ে ফেসবুকের মত মেসেজ করতে পারবেন।

এবং অবাক করার মত বিষয় হলো যে, আমরা ফেসবুক কিংবা ইউটিউব এর মতো প্ল্যাটফর্মে। যেমন, স্টোরি (Story) নামক নতুন একটি অপশন দেখতে পাই।

সেই স্টোরি অপশন টি ইমুর মধ্যেও রয়েছে, যা আপনাকে অবাক করে দিবে। তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

যে একজন অ্যান্ড্রয়েড ইউজারের কাছে যখন imo ভিডিও কলিং অ্যাপস টি থাকবে। তখন কি সে যে কোনো ব্যক্তি কে imo থেকে কল দিতে পারবে কি না।

তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, না! আপনি শুধুমাত্র সেইসব মানুষদের Imo এর মাধ্যমে কল দিতে পারবেন।

যার কাছে আপনার মত একটি Imo অ্যাপস ইনস্টল করা থাকবে। আর তখনই আপনি একে অপরের সাথে কথা বলতে পারবেন।

Imo কে আবিষ্কার করেন?

উপরের স্বল্প আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন ইমু কি। ২০০৫ সালে একটি ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ্ল তৈরি করা হয়েছিল Imo নামে ।

এবার আপনাকে জানতে হবে যে, Imo কে আবিষ্কার করেন।  কারণ Imo হলো একটি জাপানি কোম্পানি। হয়তোবা আমরা অনেকেই মনে করি যে, ইমো চীনের তৈরি।

কিন্তু আসলে সেটা নয় বরং জাপান থেকে একজন ব্যক্তি এই ইমো তৈরি করেছিলেন। আর ইমু এর আবিষ্কারক এর নাম হল, শিগেতাকা কুরিতা।

মূলত ইনি হলেন সেই ব্যক্তি, যার মাথায় সর্ব প্রথম অ্যাপস দিয়ে ভিডিও কল করার চিন্তা ভাবনা এসেছিল।

আর সে কারণেই তিনি 1999 সালের শেষের দিকে Imo নামক একটি অ্যাপস তৈরি করার কথা ভাবেন। এবং তার পরেই তিনি ইমো এর বাস্তবায়ন শুরু করেন।

আর অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলো। যখন তিনি ইমু সর্ব প্রথম চালু করেছিলেন। সেই সময়ে এটি ছিল ভিডিও কল করার জন্য একমাত্র অ্যাপস।

আর সে কারণেই অধিকাংশ এন্ড্রয়েড ইউজাররা ভিডিও কলের সুবিধা নেয়ার জন্য ইমো ব্যবহার করতে শুরু করে।

তবে যখন ইমু ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে। ঠিক তখনই imo এর মতো আরও বিভিন্ন ধরনের Alternative video calling apps তৈরি হতে শুরু করে।

Imo কত সালে আবিষ্কার হয়?

Imo Initial release April 2007.

আর সেই সময়ে জাপানি একজন ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই অ্যাপস নিয়ে কাজ করা শুরু করেছিলেন। মূলত এই ব্যক্তির নাম হল, শিগেতাকা কুরিতা।

তিনি মূলত জাপানের একজন নাগরিক। এবং তার মাথায় সর্ব প্রথম এই ধরনের ভিডিও কলিং অ্যাপস তৈরি করার চিন্তা ভাবনা এসেছিল।

কেননা তিনি চেয়েছিলেন যেন এন্ড্রয়েড ইউজাররা, কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই একে অপরের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে।

আর এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য তিনি 1999 সাল থেকে ইমু নিয়ে কাজ করা শুরু করে দেন।

কিন্তু যখন তিনি গোটা বিশ্বব্যাপীর কাছে ইমো নামক এই এপ্স টি উন্মুক্ত করে দেন। তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এই অ্যাপস কে ব্যবহার করা শুরু করে।

এবং আপনি যদি বর্তমান সময়ের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, আমাদের দেশের মধ্যেও কিন্তু অনেক মানুষ। ভিডিও কলিং অ্যাপস হিসেবে ইমো ব্যবহার করে থাকে।

Source: wikipedia

Imo কোন দেশের কোম্পানি?

দেখুন এতক্ষন থেকে আমরা ইমো কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছি। যেমন, সবার শুরুতেই আমার জানতে পেরেছি Imo কে আবিষ্কার করেন।

এবং তারপরে আমরা জেনেছি, ইমু কত সালে আবিষ্কার হয়। তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেই বিষয় টি হলো, imo কোন দেশের কোম্পানি।

কেননা আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মনে করে যে, ইমো হল চীনা একটি কোম্পানি। কিন্তু তাদের কে বলতে চাই যে, ইমো চীনা কোম্পানি নয়।

বরং Imo হলো একটি জাপানি কোম্পানি। আর জাপানের মধ্যে ১৯৯৯ সালে একজন জাপানি নাগরিক যার নাম, শিগেতাকা কুরিতা। তিনি এই ইমু নামক ভিডিও কলিং অ্যাপ টি তৈরি করেছিলেন।

এবং এই অ্যাপ টি জাপানের মধ্যে তৈরি হলেও। বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বের মানুষ এখন ভিডিও কল করার জন্য Imo ব্যবহার করে থাকে।

এবং আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যেও প্রচুর পরিমাণ মানুষ এখন মোবাইল দিয়ে ভিডিও কল করার জন্য ইমু ব্যবহার করে।

Imo এর সুবিধা গুলো কি কি?

ইমু এর নাম শোনার পর এখন অনেকেই মনে করবেন যে। ভিডিও কলে কথা বলার জন্য এখন তো অনেক ধরনের অ্যাপস রয়েছে।

তাহলে আমরা সেই সকল অ্যাপস গুলো কে বাদ দিয়ে কেন Imo ব্যবহার করব। তো যাদের মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাদের বলবো, আপনি যদি ইমু ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। চলুন এবার তাহলে imo এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Imo work with slow internet

আমাদের বাংলাদেশের ইন্টারনেট অনেক স্লো, এটা তো আমরা অনেকেই জানি। অপরদিকে আপনি যখন মোবাইল দিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলবেন।

তখন অবশ্যই আপনার ইন্টারনেট কানেকশন টি অনেক স্পিড থাকতে হবে। কিন্তু এই সবকিছুর তোয়াক্কা না করে ইমু খুব সহজেই স্লো ইন্টারনেটের মধ্যেও কথা বলা যায়।

যা আপনি অন্যান্য কোন অ্যাপস এর মধ্যেই এই সুবিধাটি পাবেন না। অপরদিকে আপনাকে আর ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

Low Package Data

যখন আপনি আপনার স্মার্ট ফোন দিয়ে ভিডিও কলে কথা বলার চেষ্টা করবেন। তখন আপনাকে গুগল প্লে play store থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কলিং অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে।

যখন আপনি সেই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করবেন। তখন আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজ এর লিমিট তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।

কারণ এই ধরনের অ্যাপস গুলো কে এক ঘন্টা ব্যবহার করার জন্য। কমপক্ষে ১০০ থেকে ২০০ এমবি এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আপনার জন্য আরও আছে… 

কিন্তু আপনি যদি ভিডিও কলে কথা বলার জন্য ইমো নামক অ্যাপস টি ব্যবহার করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, এই অ্যাপ টি ব্যবহার করার সময় খুব বেশি একটা ইন্টারনেট প্যাকেজের প্রয়োজন হয় না।

অর্থাৎ আপনার কাছে ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেট থাকলেই। আপনি ইমো দিয়ে কমপক্ষে 20 থেকে 30 মিনিট পর্যন্ত কথা বলতে পারবেন।

Easy Interface

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা এখন পর্যন্ত ঠিকমতো স্মার্টফোন ব্যবহার করতে জানে না। আর সেই মানুষ গুলোর ক্ষেত্রে ভিডিও কলিং অ্যাপস এর মাধ্যমে কাউকে।

ভিডিও কল করার কাজটা অনেকটাই কঠিন মনে হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি সেই মানুষ গুলো কে এই imo অ্যাপসটি ইন্সটল করে দেন। তাহলে কিন্তু তারা খুব সহজেই এই অ্যাপস টি কে ব্যবহার করতে পারবে।

কারণ এই ইমো অ্যাপস কে এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যাতে সব ধরনের মানুষ এই অ্যাপস টি ব্যবহার করতে পারে। এবং পৃথিবীর সকল মানুষ যেন তাদের প্রিয়জনের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে।

Imo Voiceprint Feature 

ইমু ব্যবহার করলে আপনি ভয়েস প্রিন্ট নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। এখন হয়তোবা আপনার মাথায় এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খেতে পারে।

যে ইমো ভয়েস প্রিন্ট ফিচার এর মাধ্যমে আপনি কি সুবিধা ভোগ করবেন। তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আপনাকে বলব যে, ইমু ভয়েস প্রিন্ট এর কারণে যদি অন্য কেউ আপনার ইমো অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ড এবং নম্বর জানে। তারপরও কেউ আপনার ইমু একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।

কেননা imo ভয়েস প্রিন্ট এর মাধ্যমে আপনাকে নিজের ভয়েস দিয়ে একটি 8 সংখ্যার কোড নম্বর বলতে হবে। আর যখন কেউ আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে চাইবে।

তখন অবশ্যই আপনার ভয়েস দিয়ে সেই আট সংখ্যার পিন কোড বলতে হবে। আর যখন সেই কোড টি প্রদান করা হবে। ঠিক তখন অন্য কেউ আপনার ইমু একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে।

সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে, আপনি ছাড়া আপনার নিজের ইমো একাউন্টে। অন্য আর কোন ব্যক্তি লগইন করতে পারবে না। মূলত এই সিকিউরিটির দিকটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

Imo আপনি আমাদের শেষ কথা

বর্তমান সময়ে অন্যান্য সব ভিডিও কলিং অ্যাপস এর মধ্যে imo হলো জনপ্রিয়। আর সে কারণেই এই ইমু সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন জেগে ওঠে। তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রশ্ন হল Imo কে আবিষ্কার করেন।

মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। কারন আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে আমি জানিয়ে দিয়েছি যে, ইমো কে আবিষ্কার করেন। এবং ইমো কোন দেশের কোম্পানি।

আর আপনি যদি এই ধরনের টেকনোলজি রিলেটেড তথ্য গুলো সবার আগে জানতে চান। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে ভিজিট করবেন।

যাতে করে আমাদের আপডেট পোস্ট গুলো আপনি সবার আগে পড়তে পারেন। আর পুরো লেখা টি পড়ার জন্য রইল অসংখ্য ধন্যবাদ।

3 thoughts on “Imo কে আবিষ্কার করেন | IMO এর প্রতিষ্ঠাতা কে | Imo কোন দেশের তৈরি”

  1. আতিয়ার

    আসসালামুয়ালাইকুম আমি ইমু কিছু কাজ করতে চাই জেমন ইমু আইডি রেজিস্ট্রেশন করা বা গ্রুপ আইডি সট করা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top