WhatsApp কে আবিষ্কার করেন – হোয়াটসঅ্যাপ এর ইতিহাস

WhatsApp কে আবিষ্কার করেন : Whatsapp Discover হোয়াটস্যাপ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। যেটি গোটা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয়।

WhatsApp কে আবিষ্কার করেন - হোয়াটসঅ্যাপ এর ইতিহাস
WhatsApp কে আবিষ্কার করেন

এবং আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার করা অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে। হোয়াটসঅ্যাপ ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।

কিন্তু আপনি কি জানেন, whatsapp কে আবিষ্কার করেন? আপনি কি জানেন, এই জনপ্রিয় ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম whatsapp কত সালে আবিষ্কার করা হয়েছিল? –

যদি আপনি না জেনে থাকেন। তাহলে আজকের আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

Whatsapp কি?

হোয়াটসআপ হল বিশেষ এক ধরনের চ্যাটিং বা মেসেজিং করার অনলাইন প্লাটফর্ম। যাকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই দূর-দূরান্তে থাকা মানুষের সাথে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

সেই সাথে এই অনলাইন প্লাটফর্ম কে কাজে লাগিয়ে। আপনি দূরবর্তী মানুষের সাথে ভিডিও কল এবং অডিও কলে কথা বলতে পারবেন। আর বিশেষ এই সুবিধা প্রদানকারী মেসেজিং অ্যাপস এর নাম হল, হোয়াটসঅ্যাপ।

Whatsapp কে আবিষ্কার করেন?

বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম whatsapp আবিষ্কার করা হয়েছিল ২০০৯ সালে। এবং যে ব্যক্তি এই প্লাটফর্ম টি আবিষ্কার করেছিল।

সে ব্যক্তির নাম হল, Brian Acton এবং Jan Koum. মূলত এই দুজন হল সেই ব্যক্তি যারা সর্বপ্রথম হোয়াটসঅ্যাপ নামক এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিল। যেটি এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।

হোয়াটস্যাপ-এর স্বল্প বৃত্তান্ত

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, whatsapp কি। এবং whatsapp কে আবিষ্কার করেন।

তো এবার আমি আপনাকে হোয়াটস অ্যাপ এর স্বল্প বৃত্তান্ত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যেখান থেকে আপনি উক্ত অনলাইন প্লাটফর্ম সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। দেখুন, আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে আপনি স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশ এর অধিকাংশ মানুষ যাদের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। তারা এখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে।

এর প্রধান কারণ হলো, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই অন্য আরেকজন ব্যক্তির সাথে। মেসেজ কিংবা ভিডিও, অডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়।

আর এই বিষয়টির সত্যতা আপনি তখনই পাবেন। যখন আপনি গোটা পৃথিবীর পরিসংখ্যান দেখবেন। কারণ বর্তমান সময়ে গোটা পৃথিবীর মধ্যে প্রায় 180 টি দেশের মানুষ।

এখন হোয়াটসঅ্যাপ নামক এই অনলাইন প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে থাকে। আর ঠিক তখন আপনার চোখ একবারে কপালে উঠবে।

যখন আপনি জানতে পারবেন যে, গোটা বিশ্ব জুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটি এর বেশি।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জনসংখ্যার কথা হয়তো বা আপনার অবশ্যই জানা থাকবে। তো এত বড় একটা দেশে এত বেশি জনসংখ্যা কে একবারে বিনামূল্যে ডাউনলোড এবং পরিষেবা দিয়ে আসে এই অনলাইন প্লাটফর্মটি।

তবে শুধুমাত্র ভারতের মধ্যে নয়। পৃথিবীর মধ্যে এমন আরো অনেক দেশে এভাবেই বিনামূল্যে ডাউনলোড এবং পরিষেবা দিয়ে whatsapp নামক এই বিশেষ প্ল্যাটফর্ম টি। যা সত্যিই অবাক করে দেয়ার মত।

তবে আপনি যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূরবর্তী কোনো মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে চান। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি মাধ্যম হবে, হোয়াটসঅ্যাপ।

কেননা এর মাধ্যমে আপনি কোন প্রকার অর্থ ব্যয় করা ছাড়াই। শুধুমাত্র আপনার ডিভাইসের মধ্যে যে ডাটা কানেকশন দিয়ে।

খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন। যার কারণে হোয়াটসঅ্যাপ গোটা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

হোয়াটসঅ্যাপ এর ইতিহাস

এতক্ষণ এর আলোচনা থেকে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছেন। যেমন, সবার শুরুতেই আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, WhatsApp কে আবিষ্কার করেন।

এর পাশাপাশি আমি হোয়াটস অ্যাপ সম্পর্কে খুব স্বল্প বৃত্তান্ত তুলে ধরেছি। তবে এবার আমি আপনাকে হোয়াটস অ্যাপ এর ইতিহাস জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

যেখান থেকে আপনি এমন কিছু জানতে পারবেন। যা আপনার আগে কখনোই জানা ছিল না। তো চলুন এবার whatsapp এর ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক।

হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠা হওয়ার শুরুর ইতিহাস

আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি, whatsapp প্রতিষ্ঠা হওয়ার পেছনে দুজন মানুষের হাত রয়েছে।

আর সেই দুজন ব্যক্তির নাম হল, Brian Acton এবং Jan Koum. তবে এখন আপনি হয়তো বা ভাবছেন যে।

এই দুজন ব্যক্তি কিভাবে whatsapp এর মত একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারলো। তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে শুনুন…..

এই দুজন ব্যক্তি সর্বপ্রথম একটি সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানিতে কাজ করত। আর সেই সার্চ ইঞ্জিন এর নাম হল, ইয়াহু। আমরা যেমন বর্তমান সময়ে google সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করি।

ঠিক তেমনি ভাবে এমন অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। আর তার মধ্যে অন্যতম হলো, ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিন। তো যখন তারা এই কোম্পানি তে কাজ করতো।

তখন তারা চাকরি ছেড়ে দেয়। এবং পরবর্তী সময়ে ফেসবুকে চাকরি করার জন্য আবেদন করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তারা ফেসবুকে চাকরি করতে ব্যর্থ হয়।

কিন্তু Jan Koum ছিল নাছোড়বান্দা একজন মানুষ। যিনি চেয়েছিলেন তার নিকট থাকা অর্থ দিয়ে এমন কিছু করার। যার মাধ্যমে সে যেন গোটা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করা যায়।

আর সে কারণে তিনি যখন সর্বপ্রথম একটি iphone কিনেছিলেন। তখন সেই iphone এর মধ্যে থাকা বিশেষ একটি ফিচার ছিল, অ্যাপ স্টোর।

যা দেখে তিনি নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এবং তার পরিকল্পনা টা কতটা সঠিক সেটি যাচাই করার জন্য Brian Acton নামক সেই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন।

এবং দেখা করার পরেই তিনি এমন একটি অ্যাপস তৈরি করার কথা চিন্তা করেন। যার মাধ্যমে যেন গোটা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করা যায়।

কিন্তু এমন একটি অ্যাপস তৈরি করার জন্য অবশ্যই একজন দক্ষ অ্যাপস ডেভেলপার এর প্রয়োজন। এবং যখন তারা একজন ভালো দক্ষ ডেভেলপার এর সন্ধান পায়।

তখন তারা তাদের অ্যাপস এর নাম দেয় হোয়াটসঅ্যাপ। যে শব্দটির একটি ইংরেজী ব্যবহার রয়েছে।

Whatsapp এর উদ্বোধন ইতিহাস

দেখুন whatsapp যে ডেভেলপার এর সাহায্য তৈরি করা হয়েছিল। তিনি ছিলেন একজন রুশ ডেভেলপার। যার মাধ্যমে বিশ্বের জনপ্রিয় এই হোয়াটসঅ্যাপ নামক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টি তৈরি করা হয়েছে।

আর যখন সফল ভাবে এই প্লাটফর্ম টি তৈরি করা হয়। তখন 2009 সালে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে এই প্ল্যাটফর্মের শুভ উদ্বোধন হয়।

এবং তখন থেকেই এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম গোটা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত থাকা মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

কিন্তু বিষয় টা দুঃখজনক হলেও সত্য যে। প্রথম দিকে যখন মানুষ whatsapp ব্যবহার করা শুরু করে। তখন অধিকাংশ মানুষের ফোনে এই বিশেষ অ্যাপস টি খুব ক্রাশ করতো।

অর্থাৎ মানুষ কোনো ভাবেই ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারত না। আর যখন হোয়াটসঅ্যাপ ইন কর্পোরেট কোম্পানি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে পারে।

ঠিক তখনই তারা তাদের অ্যাপসের মধ্যে থাকা বাগ ফিক্স করে দেন। যাতে করে মানুষ কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই whatsapp নামক এই অনলাইন প্লাটফর্ম টি ব্যবহার করতে পারে।

Whatsapp এর জনপ্রিয়তার সূচনা ইতিহাস

বিষয় টা অবাক করার মতো হলেও সত্য যে। whatsapp শুরুর দিক থেকেই ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছিল।

কারণ যখন Brian Acton পুরোপুরি ভাবে whatsapp এ কাজ করা শুরু করে দেন। তখন ইয়াহু তে কর্মরত অনেক কর্মচারীদের তিনি তার নিজের কোম্পানি তে কাজ করার জন্য অফার করেন।

এবং সবাইকে তিনি দুই লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর যখন তারা পুরোপুরি ভাবে তাদের whatsapp নিয়ে কাজ শুরু করেন।

ঠিক তখনই whatsapp এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ লক্ষ এর বেশি ছাড়িয়ে যায়।

হোয়াটস্যাপ 1.0-এর সূচনা ইতিহাস

তবে হোয়াটসঅ্যাপ গোটা বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরে যেভাবে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

অপর দিকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণে Brian Acton এবং Jan Koum ব্যাপক অর্থ সংকট এর মধ্যে পড়ে যায়।

আর তারা যখন তাদের এই মেসেজিং অ্যাপস তৈরি করেছিল। তখন যে পরিমাণ ব্যবহারকারী আশা করেছিল। সে তুলনায় অনেক কম ব্যবহারকারী পেয়েছিল।

যার কারণে তারা এক প্রকার উভয় সংকট এর মধ্যে পড়ে যায়। আর তাদের সংকট এতটাই বৃহৎ আকার ধারণ করেছিল।

যার ফলে একটা সময় তারা তাদের এই কার্যক্রম বন্ধ করার কথা চিন্তা করেছিল। কিন্তু সেই কোম্পানি তে থাকা অন্যান্য কর্মচারীরা।

এই অনলাইন প্লাটফর্ম whatsapp নিয়ে কাজ করতে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে। কেননা তারা বিশেষ এক ধরনের ফান্ডিং এর মাধ্যমে অ্যাপস ডেভলপ করার কাজ চালু রেখেছিল।

এবং একটা সময় তারা এই পথে সফলতার আলো দেখতে পায়। কারণ সে সময় তারা সম্পূর্ণ ভাবে এই অ্যাপস কে ডেভলপ করতে পেরেছিল।

হোয়াটস্যাপে পুশ নোটিফিকেশ যুক্ত করার ইতিহাস

পুশ নোটিফিকেশন এর ফিচার টি এখন আমরা আমাদের মোবাইল গুলোতে দেখতে পাই। তো এই আকর্ষণীয় ফিচারটি সর্বপ্রথম ব্যবহার হয়েছিল আইফোন এর মধ্যে।

এবং ২০০৯ সালে অ্যাপল কোম্পানি এই পুশ নোটিফিকেশন লঞ্চ করে। তখন হোয়াটসঅ্যাপ কোম্পানি তাদের নিজের প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উক্ত ফিটার টি ব্যবহার করা শুরু করে দেয়।

এই পুশ নোটিফিকেশন এর মূল উদ্দেশ্য হলো। যারা হোয়াটসঅ্যাপ এর অ্যাপস ব্যবহার করবে না। তখন সেই ব্যবহারকারী কে একটি নোটিফিকেশন পাঠানো হবে।

যেন সে পুনরায় whatsapp এর মধ্যে প্রবেশ করে। আর এই বিশেষ ফিচার কে বলা হয়ে থাকে, পুশ নোটিফিকেশন। যার মাধ্যমে ইউজারদের রিমাইন্ডার দেওয়া হয়।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

আর অবাক করার মতো বিষয় হলো। যখন whatsapp এর মধ্যে এই ফিচার টি যুক্ত করা হয়। তখন গোটা বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে এটি অনেক জনপ্রিয়তা পায়।

এবং মানুষ আরো ক্রমাগত ভাবে whatsapp ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। কারণ সেই সময় যারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করত। তারা যদি তাদের স্ট্যাটাস আপডেট করত। তাহলে তার সাথে যুক্ত থাকা whatsapp ব্যবহারকারীরা বিশেষ একটি নোটিফিকেশন পেতো।

হোয়াটস্যাপ 2.0 কি?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, whatsapp কে আবিষ্কার করেন। তো এবার আমরা জানবো, হোয়াটসঅ্যাপ ২.০ কি।

দেখুন আমরা বর্তমান সময়ে অর্থাৎ ডিজিটাল যুগে যে whatsapp ব্যবহার করতে পারি। সেটি হল, whatsapp 2.0 যার মাধ্যমে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে কাউকে মেসেজ করতে পারি। আর এটি হল এর মূল বৈশিষ্ট্য।

Whatsapp যখন আবিষ্কার হয়, তার শুরুর দিকে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার আরো বিভিন্ন ধরনের উপায় ছিল। যেমন google এর জি টক নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম ছিল।

যার মাধ্যমে দূরত্বে থাকা মানুষের সাথে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে যোগাযোগ করা যেত। এর পাশাপাশি স্কাইপ নামের আরও একটি অনলাইন প্লাটফর্ম ছিল। যার সাহায্য সহজেই যোগাযোগ করার মত সুযোগ ছিল।

কিন্তু সেই সময় এই ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করার জন্য প্রতিবার একটি করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হতো।

এবং সেই একাউন্ট এর লিংক অপর আরেকজন ব্যক্তি কে পাঠানোর পরে যোগাযোগ করা যেত। কিন্তু মানুষ এই বিষয় গুলোর প্রতি বেশ বিরক্ত ছিল।

অপরদিকে whatsapp এর মধ্যে এরকম কোন ধরনের ঝামেলা ছিল না। বরং এই প্লাটফর্ম এর মধ্যে শুধুমাত্র একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে একাউন্ট করলেই আর কোন কিছু করতে হতো না।

কারণ তার মোবাইল এর মধ্যে থাকা যত গুলো নম্বর সেভ করা রয়েছে। তারা যদি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করত। তাহলে অটোমেটিক কল লিস্ট এর মধ্যে তাদের নাম গুলো আসতো।

মালিকানার হাতবদল

Whatsapp ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তারা তাদের যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ কে কিনে নেওয়ার অফার করে।

এবং মার্ক জুকারবার্গ ১৯ বিলিয়ন ডলার এর বিনিময়ে জনপ্রিয় এই মেসেজিং প্লাটফর্ম কে কিনে নেয়। আর আপনি তো বেশ ভালো করেই জানেন যে।

২০১৪ সালের দিকে ফেসবুক গোটা বিশ্বজুড়ে কতটা জনপ্রিয়তা লাভ করতে পেরেছিল। কারণ তারা সেই সময়ে ফেসবুক বিশ্বের মধ্যে বৃহৎ একটি কোম্পানি তে পরিণত হয়েছিল।

তবে এখানে আপনার একটা কথা জেনে রাখা উচিত। দেখুন সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা রয়েছে আর এই প্রতিযোগিতায় যারা টিকে থাকে। তারা সফলতা লাভ করতে পারে।

ঠিক তেমনি ভাবে ফেসবুক যখন জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করেছিল। সেই সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।

আর সে কারণে whatsapp যেন তাদের প্রতিদ্বন্দিতার লিস্ট থেকে সরে যায়। সে কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ মার্ক জুকারবার্গ ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপ কে কিনে নেয়।

হোয়াটস্যাপ এর উদ্দেশ্য কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, whatsapp কে আবিষ্কার করেন। তো এখন যদি আপনাকে বলা হয় যে, whatsapp এর উদ্দেশ্য কি।

তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? থাক আপনাকে কোন ধরনের উত্তর দিতে হবে না।

বরং আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি যে, হোয়াটসঅ্যাপ এর কি উদ্দেশ্য রয়েছে। চলুন এবার তাহলে এই উদ্দেশ্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  1. Whatsapp এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষ যেন অনলাইন এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।
  2. যখন কেউ whatsapp ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করবে। তখন সেই তথ্য গুলো অনেক সুরক্ষিত থাকবে।
  3. কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মেসেজ কিংবা ভিডিও কল এর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা যাবে।
  4. Whatsapp ব্যবহার করার দুই ধরনের নিয়ম রয়েছে। একটি হল, ফ্রী প্লাটফর্ম এবং অপর টি হল, পেইড প্ল্যাটফর্ম।
  5. মানুষ যেন তাদের প্রয়োজনে পেইড কিংবা ফ্রি প্ল্যাটফর্ম থেকে whatsapp ব্যবহার করতে পারে।
  6. পৃথিবীর সব মানুষ একই অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ব্যবহার করে না। সে কারণে সব ধরনের মোবাইলের জন্য whatsapp ভার্সন রয়েছে।
  7. Whatsapp ব্যবহার করতে কোন প্রকার ঝামেলা নেই। কেননা এটি তৈরি করা হয়েছে মানুষ যাতে করে সহজেই ব্যবহার করতে পারে।

তো হোয়াটসঅ্যাপ এর মূল উদ্দেশ্য গুলো কি কি। সেই উদ্দেশ্য গুলো সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

আর এই আলোচিত আলোচনা থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে। দূর দূরান্তে থাকা মানুষের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করার জন্য উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম হল, হোয়াটসঅ্যাপ। 

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

Whatsapp নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে আমি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি।

যেমন, সবার শুরুতেই বলেছি whatsapp কে আবিষ্কার করেন। এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরেছি।

তো আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি whatsapp এর সকল অজানা বিষয় গুলো জানতে পেরেছেন।

আর এমন ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top