ভিসা (visa) কি | ভিসা কত প্রকার ও কি কি | VISA meaning in Bengali

ভিসা কি : What is visa in bengali. আপনি বিদেশ ভ্রমণ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটির প্রয়োজন পড়বে, সেটি হল ভিসা।

ভিসা (visa) কি | ভিসা কত প্রকার ও কি কি | VISA meaning in Bengla
ভিসা (visa) কি | ভিসা কত প্রকার ও কি কি

কেননা ভিসা ছাড়া আপনি কখনোই একটি দেশ থেকে অন্য দেশে বৈধ পথে যাতায়াত করতে পারবেন না।

আর সে জন্যই মূলত যখন আপনি এক দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে যাবেন। তখন যে দেশে আপনি গমন করবেন, তখন অবশ্যই আপনার নিকট সেই দেশের ভিসার প্রয়োজন হবে।

আর যখন আপনার নিকট উক্ত কোন দেশের ভিসা থাকবে, তখন আপনি খুব সহজেই সে দেশে যাতায়াত করতে পারবেনম এবং বর্তমান সময়ে যারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করে, তারা মূলত সবাই ভিসা ব্যবহার করে থাকে।

তবে একটি দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন হয়, এ বিষয়টা আমরা সবাই জানি।

কিন্তু এই ভিসা কি (what is visa in bangla) এবং ভিসা করার জন্য আসলে কি কি প্রয়োজন হয় আর বর্তমান সময়ে আসলে কত প্রকারের ভিসা রয়েছে। এই বিষয় গুলো সম্পর্কে অজানা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

আর এই অজানা মানুষ গুলোকে ভিসা সম্পর্কিত নানা বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, visa কি, ভিসা কত প্রকার ও কি কি এবং আপনি যদি ভিসা করতে চান তাহলে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তো যদি আপনি ভিসা রিলেটেড এই যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

তাই আপনার ভিসা সম্র্কিত অজানা মন নিয়ে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো লেখাটি মনোযোগ সহকারে করার।

এবং আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার মধ্যে থাকা অজানা বিষয় গুলো কে খুব সহজ ভাবে আলোচনা করার। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি চলে যাওয়া যাক ভিসা সম্পর্কিত সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় গুলোর আলোচনায়।

ভিসা কি | What is visa

সহজ কথায় বলতে গেলে ভিসা হলো এক ধরনের বিশেষ অনুমতি পত্র, যার মাধ্যমে কোন একটি দেশ সেই দেশে অন্য কোন দেশের নাগরিকদের প্রবেশ করার অনুমতি প্রদান করে থাকে।

যেমন আপনি একজন বাংলাদেশী নাগরিক, এখন আপনি চাচ্ছেন আমেরিকায় যেতে। তো সেক্ষেত্রে আপনাকে আমেরিকার ভিসার নিতে হবে, এবং যদি আমেরিকা আপনাকে ভিসা প্রদান করে।

তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে, আপনি আমেরিকা যাওয়ার জন্য অনুমতি পেয়েছেন। এবং এটি কাগজে লিপিবদ্ধ করার বিশেষ একটি প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে ভিসা।

মূলত এই ধরনের কাগজে লিপিবদ্ধ বিষয় গুলোতে পাসপোর্ট পারমিট দিয়ে অথবা সাক্ষর দেওয়া হয়। 

ই-ভিসা কি

একটি ই-ভিসা হল একটি ইলেকট্রনিক ভিসা যা নির্দিষ্ট দেশের যোগ্য নাগরিকদের পর্যটন বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রবেশ করতে এবং থাকার অনুমতি দেয়।

ই-ভিসা সাধারণত প্রচলিত ভিসার তুলনায় স্বল্প সময়ের জন্য বৈধ এবং আরও দ্রুত জারি করা যেতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশে ই-ভিসা চালু করা হয়েছে।

আগামী বছরগুলোতে ই-ভিসা প্রদানকারী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিসা কত প্রকার ও কি কি

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে ভিসা কি। আশা করি সেই আলোচিত আলোচনাটি জানার পর আপনার মনে ভিসা সম্পর্কে আর কোন প্রশ্নের অবকাশ নেই।

তো এবার আপনাকে আরও একটি বিষয় জেনে নিতে হবে আর সেই বিষয়টি হলো যে বর্তমান সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে।

কিন্তু আজকের দিনে আমরা যেসব ভিসা কে ব্যবহার করি সেই ভিসা গুলো কত প্রকার ও কি কি সেটি জেনে নেওয়াটা আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে ভিসা কত প্রকার ও কি কি।

আমি উপরেই একটা কথা বলেছি যে, বর্তমান সময়ে আমাদের ব্যবহার করা ভিসা গুলোর মধ্যে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। অর্থাৎ আপনি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভিসা দিতে পারবেন যেমন:

  1. ব্যাবসায়িক কিংবা পর্যটন ক্ষেত্রে ভিসা
  2. ছাত্র কিংবা স্টুডেন্ট ভিসা
  3. কর্মক্ষেত্রের জন্য ভিসা 
  4. এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসা 
  5. ট্রান্সি ভিসা 
  6. গৃহকর্মীর জন্য ভিসা 
  7. ধর্মীয় কর্মীর জন্য ভিসা 
  8. সংবাদমাধ্যম কিংবা সাংবাদিকদের জন্য ভিসা

তো উপরে আপনি মোট 8 প্রকারের ভিসা দেখতে পারছেন। এবং বর্তমান সময়ে যারা একটি দেশ থেকে অন্য দেশে গমন করে, তারা মূলত এই ৮ প্রকারের মধ্যে তাদের প্রয়োজন অনুসারে যে কোন একটি ভিসা ব্যবহার করে থাকে।

এবং আপনি যদি কখনো কোনো সময়ে অন্য কোন দেশে যাতায়াত করতে চান। তাহলে আপনাকে এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ভিসা কে ব্যবহার করতে হবে।

এন্ট্রি ভিসা কি ?

ভিসা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর এবার আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই বিষয়টি হলো যে এন্ট্রি ভিসা কি

কারন যখন আপনি ভিসা রিলেটেড কোন কিছু জানতে আসবেন, তখন অবশ্যই আপনি কোন না কোন সময় এন্ট্রি ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তো সেই মুহুর্তে আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, এই এন্ট্রি ভিসা কি (What is the meaning of entry visa)। আর ভিসার সঙ্গে এন্ট্রি কিসের পার্থক্য কি।

এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে এন্ট্রি ভিসা কাকে বলে।

যদি আপনি জানতে চান যে এন্ট্রি ভিসা কি তাহলে বিষয়টি আপনাকে একটু উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে।

মনে করুন আপনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক, কিন্তু আপনার বাবা ইন্ডিয়াতে থাকেন। এখন আপনি চাচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে কিছুদিনের জন্য আপনার বাবার সাথে ইন্ডিয়াতে গিয়ে দেখা করবেন।

তো সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার যে ভিসার প্রয়োজন হবে সেটি হল, এন্ট্রি ভিসা।

অপরদিকে মনে করুন আপনি ইন্ডিয়া তে লেখাপড়ার জন্য গেছেন। এখন আপনার বাড়ি থেকে আপনার বাবা অথবা আপনার মা চাচ্ছে যে ইন্ডিয়াতে গিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার বাবা অথবা আমাকে এন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে ইন্ডিয়া তে যেতে হবে। মূলত এই ধরনের স্বল্পমেয়াদী কিংবা দীর্ঘমেয়াদী ভিসা গুলো কে বলা হয়ে থাকে এন্ট্রি ভিসা।

আশা করি এই উদাহরন থেকে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে এন্ট্রি ভিসা কাকে বলে।

ভিসা কার্ড কি ?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ভিসা কি এবং ভিসা কত প্রকার ও কি কি। এর পাশাপাশি আমি চেষ্টা করেছি এন্ট্রি ভিসা কি সে সম্পর্কে আলোচনা করার।

আশা করি আলোচিত এই আলোচনা গুলো আপনি খুব সহজ ভাবেই বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভিসা হলো অন্য কোনো দেশে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি পত্র।

তাহলে ভিসা কার্ড কি আর মাস্টার কার্ড এর সঙ্গে ভিসা কার্ড এর কোন সম্পর্ক আছে কি না।

তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভিসা কার্ড কাকে বলে। তাহলে এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা চলে আসবে।

সহজ কথায় বলতে গেলে, ভিসা কার্ড হল যুক্তরাষ্ট্রের থেকে একটি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি দ্বারা প্রদত্ত কার্ড।

মূলত এই ভিসা কার্ড এর মাধ্যমে আপনি গোটা বিশ্বের সাথে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।

মূলত এই ধরনের ভিসা কার্ড এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন দেশের টাকা তোলা এবং কেনা কাটা করতে পারবেন। কেননা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে মূলত ভিসা ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড, প্রদান করে থাকে।

যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে আর্থিক লেনদেন এর কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি ?

যেহেতু আপনি ভিসা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। সেহেতু আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই বিষয় টি হলো যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি।

তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কাকে বলে, এবং এই ধরনের ভিসা গুলো আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মনে করুন বিদেশি একটা কোম্পানি রয়েছে। এবং তাদের সেই কোম্পানি তে প্রচুর পরিমাণে জনবল এর প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে তারা কোন দেশ থেকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মীদের নিয়োগ দিল।

এখন আপনি যদি সেই নিয়োগে সিলেক্টেড হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে সেই কোম্পানি থেকে আপনার যাবতীয় খরচ গুলো বহন করলো।

যেমন, আপনি আপনার বিমান খরচ, ভিসার খরচ বা পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য যেগুলো প্রয়োজন আছে সবগুলো খরচ হয় কোম্পানি থেকে বহন করা হলো।

মূলত এই ধরনের ভিসা গুলো করার জন্য আপনাকে কোন প্রকার ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না। কেননা এই ধরনের ভিসা গুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। আর এই ভিসা গুলোকে বলা হয়ে থাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

ভিসা কিভাবে করতে হয় ?

তো যেহেতু আপনি ভিসা কি সে সম্পর্কে গুগলে সার্চ করেছেন, সেহেতু অবশ্যই আপনার বা অন্য কারো ভিসা করার প্রয়োজন রয়েছে।

তো সেজন্য আপনাকে ভিসা কিভাবে করতে হয় সে বিষয়টি জেনে নিতে হবে।

কেননা শুধু ভিসা কি সেটি জানলে হবেনা। বরং যখন কোনো প্রয়োজনে আপনি আপনার দেশ থেকে অন্য কোন দেশে গমন করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনি কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করবেন।

এবং তার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে সেই বিষয় গুলো আপনাকে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে। তো এবার আমি সেই ভিসার বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করব।

মূলত আপনি একজন ব্যক্তি হয় কিভাবে ভিসা করবেন, সে বিষয় গুলো এবার ধাপে ধাপে আলোচনা করব। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভিসা কিভাবে করতে হয়।

Step-1 For Apply Visa

মূলত ভিসার আবেদন করার জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। এবং সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভিসার জন্য আবেদন করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যেমন, অভিবাসী কিংবা অ-অভিবাসী দের বেশ কিছু আলাদা আলাদা নিয়ম আছে।

যদি আপনি সেই নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে। শুধু তাই নয় বরং প্রত্যেকটা ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু ওয়েভার প্রোগ্রাম রয়েছে।

এবং সেই ওয়েভার প্রোগ্রাম গুলো তে বেশকিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। আর যেহেতু আপনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই ওয়েভার প্রোগ্রাম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

আর যদি আপনি সেই ওয়েভার প্রোগ্রাম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চান, তাহলে আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে।

Step-2 For Apply Visa

এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। মূলত এই ফর্ম কে বলা হচ্ছে ডিএস ফরম-১৬০, মূলত এই ফর্ম টিতে আপনাকে বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।

আর আপনি যখন এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো প্রদান করবেন, তখন একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যে, এখানে দেওয়া তথ্য গুলো যেন কোন প্রকার ভুল না থাকে।

কেননা আপনি যদি আপনার কোনো দুর্ঘটনা বশতো ফর্মে আপনার কোন তথ্যটি ভুল প্রদান করেন। তাহলে কিন্তু সেটি আপনি পরবর্তী সময়ে আর পরিবর্তন করতে পারবেন না।

কিন্তু যদি কোনো কারণে এই ফর্মে আপনার দেওয়া তথ্য গুলো ভুল হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ভিসা ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

এর পাশাপাশি এই ধরনের ডিএস ফরম পূরণ করার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা বলী রয়েছে। আপনি যদি সেই নির্দেশনাবলী গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন।

Step-3 For Apply Visa

তো যখন আপনি উপযুক্ত ধাপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করবেন। তখন আপনাকে আপনার ভিসার যাবতীয় কার্যক্রম অনুযায়ী যে পরিমাণ ফি আসবে, আপনাকে সেই ফি প্রদান করতে হবে।

মূলত আপনি চাইলে সেই ভিসা ফি ব্যাংক এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে আপনার যদি ব্যাংক পেমেন্ট করতে কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

তাহলে আপনি ব্যাংক পেমেন্ট এর বিকল্প উপায়ে ফি প্রদান করতে পারবেন। আর ব্যাংক পেমেন্ট এর বিকল্প পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আপনাকে এখানে ক্লিক করে যাবতীয় তথ্য গুলো জেনে নিতে হবে।

এবং আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী উল্লেখিত পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে ভিসা ফি প্রদান করতে পারবেন।

Step-4 For Apply Visa

যখন আপনি একটি ভিসা করার জন্য যে পরিমাণ টাকা প্রদান করার দরকার হয়ে থাকে, আপনি যখন সেই টাকাটি প্রদান করবেন।

তখন আপনাকে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এবং এই ধাপে আপনাকে আপনার তৈরি করা একাউন্টে লগইন করতে হবে।

আপনি যদি আপনার তৈরি করা একাউন্টে লগইন করতে চান, তাহলে আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে। যদি আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করেন, তাহলে আপনি একটা ড্যাশবোর্ড দেখতে পারবেন।

ড্যাশবোর্ড এর সবার উপরের বামপাশের মেনুতে সিডিউল এপোয়েটমেন্ট নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে মূলত সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এবং সেই অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। চলুন এবার তাহলে সেই ধাপ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

  1. তুমি যখন আপনি উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে বেশ কিছু তথ্য যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে। যেমন প্রথমত আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর নম্বরটি দিতে হবে।
  2. এবার আপনি যে ভিসা তৈরি করার জন্য মূল্য প্রদান করেছেন, সেই রিসিপ্ট এর নম্বরটি প্রদান করতে হবে। তবে আপনার যদি সেই নম্বরটি খুঁজে পেতে সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে আপনি এখানে ক্লিক করে আপনার রিসিপ্ট নম্বরটি পেয়ে যাবেন।
  3. এরপরে আপনি যে ডিএস ফর্ম টি পূরণ করেছিলেন, সেই ফর্মে একটি 10 সংখ্যার কোড নম্বর থাকবে, সেটি আপনাকে প্রদান করতে হবে।

তো এই তিনটি তথ্য আপনাকে অবশ্যই সাবধানতা সহিত প্রদান করতে হবে। তবে এর বাইরে কিন্তু আরও বেশ কিছু তথ্য প্রদান করার প্রয়োজন হবে, এবং আপনি অবশ্য সেই তথ্য গুলো কি সঠিক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

Step-5 For Apply Visa

এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে ভিসা সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে সাক্ষাৎকার এর প্রয়োজন হবে। আর এই সাক্ষাৎকার করার জন্য আপনাকে নির্ধারিত সময় এবং নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী u.s. দূতাবাস এ গিয়ে দেখা করতে হবে।

এবং তারা সেখানেই আপনার সাক্ষাৎকার নেবে।

Step-6 For Apply Visa

তো যদি আপনি উপরের ধাপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন এবং আপনার ভিসা টি যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে ইউএসএ দূতাবাসে গিয়ে আপনার প্রাপ্য ভিসা টি সংগ্রহ করতে হবে। এবং তারপর আপনি সেই ভিসা টিকে ব্যবহার করে আপনার কাংখিত দেশে গমন করতে পারবেন।

visa card করতে কি কি লাগে?

ভিসা কি এবং ভিসা কিভাবে করতে হয়, আশা করি সে সম্পর্কে এ পর্যন্ত আসার পর আপনার সমস্ত বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে ধারণা চলে এসেছে।

তবে একটি বিষয় সম্পর্কে এখন পর্যন্ত আলোচনা করা হয়নি। আর সেই বিষয় টি হলো যে ভিসা কার্ড করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে আপনি আসলে এই ধরনের ভিসা কার্ড তৈরি করবেন।

তো চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

  1. যদি আপনি ভিসা কার্ড করতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় আপনাকে এমন কোন ব্যাংকে যেতে হবে যে ব্যাংক মূলত ভিসা কার্ড এর সুবিধা প্রদান করে থাকে।
  2. তো যখন আপনি ভিসা কার্ড এর সুযোগ সুবিধা প্রদান করে এমন একটি ব্যাংকে যাবেন, তখন আপনাকে সেই ব্যাংকে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  3. আর এই ধরনের ভিসা কার্ড তৈরি করার জন্য আপনি যখন ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে। যেমন:
  4. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, 
  5. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি, 
  6. যদি আপনার পূর্বে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, 
  7. এর পাশাপাশি আপনার নমিনি আইডি কার্ড ও তার ফটোকপি

তো যখন আপনি ভিসা কার্ড এর সুবিধা প্রদান করে এরকম কোন ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো দিয়ে একাউন্ট তৈরি করবেন।

তার ঠিক পরে আপনাকে এটি কার্ড দেয়া হবে। এবং সে কার্ডের মাধ্যমে আপনি গোটা বিশ্বব্যাপী যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।

এছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, সরকারি ই-সেবা, অনলাইন ব্যাংকিং, আয়কর, ভ্যাট এবং আরও অনেক তথ্য জানতে ভিজিট করুন Infoportalbd.com

ভিসা কি নিয়ে আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করে থাকি। আর সে কারণে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটির প্রয়োজন হয়, সেটি হল ভিসা।

মূলত এই ভিসা হল কোন একটি দেশে প্রবেশ করার অনুমতি পত্র। এবং যখন আপনার কাছে ভিসা নামক এই অনুমতি পত্র টি থাকবে তখন আপনি নির্দিষ্ট কোনো একটি দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

আর আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি ভিসা কি, ভিসা কত প্রকার ও কি কি এবং সবশেষে কিভাবে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সে বিষয় গুলো নিয়ে পরিষ্কার ভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করি আলোচিত এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার মনে আর কোন প্রশ্ন নেই।

সবশেষে একটা কথাই বলবো আপনি যদি কঠিন এই বিষয় গুলোকে সহজ ভাষায় জানতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। আর আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে বরাবরের মতো জানাচ্ছি ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top