ওয়াইফাই (WiFi) কি | কিভাবে কাজ করে এবং কেন ব্যবহার করা হয়? 

WiFi কি : বর্তমান সময়ে এই উন্নতি প্রযুক্তির যুগে আমাদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশ মানুষ ওয়াইফাই এর ব্যবহার করে থাকি।

কেননা এই Wireless Signal এর মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটার ডিভাইস গুলোকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করা যায়।

ওয়াইফাই (WiFi) কি | কিভাবে কাজ করে এবং কেন ব্যবহার করা হয়? 
ওয়াইফাই (WiFi) কি

এবং সংযুক্ত থাকা এই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে একজন আরেক জনের সাথে কোন প্রকার বাধা ছাড়াই ডাটা আদান-প্রদান করতে পারি।

আর সে কারণেই ওয়াইফাই কে ওয়্যারলেস টেকনোলজি বলা হয়ে থাকে।

মূলত আজকের আর্টিকেল এর মূল বিষয় হল ওয়াইফাই নিয়ে।

ওয়াইফাই কি (what is wifi in bangla) ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে এবং ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রিয় পাঠক, আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ আছেন যারা মূলত নিজের প্রয়োজনে ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু আপনি কি জানেন যে, ওয়াইফাই কি (wifi কি), ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে, এবং ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়।

যদি আপনার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানা না থাকে, তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

আপনার জন্য আরও লেখা…

কেননা এই আর্টিকেলে আমি ওয়াই ফাই রিলেটেড যেসব অজানা বিষয় রয়েছে, সেসব গুলো কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

তাই ওয়াই-ফাই সম্পর্কিত অজানা এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।

কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি ওয়াইফাই সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় গুলোকে খুব সহজ ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

 তো চলুন এবার তাহলে মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।

WiFi কি ? (About WiFi in Bangla)

ওয়াইফাই হল জনপ্রিয় একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সম্পন্ন উন্নত মানের টেকনোলজির নাম। এর মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক কানেকশন এর ব্যবহার করতে পারি।

এবং ওয়াইফাই নামক উন্নত টেকনোলজির কারণে আমরা আমাদের মোবাইল, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার গুলোতে খুব সহজেই ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত করতে পারি।

মূলত এই ওয়ারলেস সিগন্যাল কে সহজ ভাষায় বলা হয়ে থাকে ওয়াইফাই।

এই ওয়াইফাই এর সূচনা হয়েছিল 1991 সালে, সাধারণ অর্থে ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক কে আবার  ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক নামেও জানা যায়।

মূলত টি হল বিশেষ এক ধরনের উন্নত মানের টেকনোলজি, যারা সাহায্য আমাদের ব্যবহার করা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলোতে খুব সহজে ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট করা যায়।

তবে ওয়ারলেস কানেকশন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

যার কারণে এই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক গুলোর রেঞ্জ খুব বড় হয় না। এবং এর ফলে উক্ত টেকনোলজির ইন্টারনেট ব্যবহার নির্দিষ্ট একটি স্থানে সম্ভব হয়।

বর্তমানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা ছাড়াও আরো অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি উদাহরণ হল ওয়ারলেস ডাটা ট্রান্সফার।

যেমন ,আমরা আমাদের মোবাইল ফোন গুলো তে ডাটা ট্রান্সফার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে থাকি, যেমন শেয়ারইট।

মূলত এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আমরা আমাদের ফোনে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় গুলো কে একটি মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে খুব দ্রুততার সাথে আদান-প্রদান করতে পারি বা শেয়ার করতে পারি।

ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ কি ?

প্রিয় পাঠক, উপরের আলোচনা থেকে আপনি ওয়াইফাই কি, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো যে ওয়াইফাই কিন্তু একটি শব্দ সংক্ষেপ, মূলত Wifi full meaning আছে। আর ওয়াইফাই (Wifi) এর পূর্ণরূপ হল Wireless Fidelity.

মূলত এই ওয়াইফাই নামক উন্নত টেকনোলজির মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যবহার করা ইলেকট্রনিক্স পণ্য যেমন, মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ খুব সহজেই ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত করতে পারি।

এবং আমরা সেই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করার পাশাপাশি সেই ডিভাইস গুলোর সাহায্য বিভিন্ন ধরনের ডেটা আদান প্রদান করতে পারি।

ওয়াইফাই এর কাজ কি ?

ওয়াইফাই কি এবং ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ কি সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

 তবে এবার আপনাকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে আর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াইফাই এর কাজ কি (Wifi এর কাজ কি) ।

আমরা যে ওয়াইফাই ব্যবহার করি সেই ওয়াইফাই এর কে কেন ব্যবহার করা হয় ।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচনা করা যাক যাতে করে আপনার মনে হয় রিলেটেড কোন বিষয়ে অজানা থাকে।

তো যদি আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকে যে ওয়াইফাই এর কাজ কি, তাহলে আপনাকে বলবো যে ওয়াইফাই কিন্তু বেশ কিছু কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রথমত আমরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ করার জন্য মূলত ওয়াইফাই কে ব্যবহার করে থাকি।

যার মাধ্যমে আমরা সেগুলো দিয়ে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হতে পারি এবং ইন্টারনেট রিলেটেড যেসব কাজ আছে সেগুলো করতে পারি।

অপর দিকে শুধুমাত্র যে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়, সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

এর বাইরে আরও একটি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর সেটি হল যে কোন একটি ডিভাইস থেকে অন্য আরেকটা ডিভাইসে ডাটা টান্সফার করার জন্য ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন ধরুন, আপনার একটি মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন আছে এবং আমার একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন আছে।

এখন আপনি আপনার সেই এন্ড্রয়েড মোবাইল এর মধ্যে থাকা কোন ফাইল শেয়ারিং অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনার ফোন থেকে কোন প্রয়োজনীয় ফাইল আমার ফোনে ট্রান্সফার করে দিলেন।

তবে এই কাজটি আসলে কেন হয় কখনো কি ভেবে দেখেছেন! এটি মূলত সম্ভব হয় ওয়াইফাই এর মাধ্যমে।

যার ফলে আমরা একটি ডিভাইস থেকে অন্য আরেকটি খুব সহজেই নিজের প্রয়োজনীয় ডাটা আদান প্রদান বা শেয়ার করতে পারি।

মূলত এগুলোর জন্য ওয়াইফাই কে ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো হলো ওয়াইফাই এর মূল কাজ।

WiFi কিভাবে কাজ করে ?

আর্টিকেল এর উপরের অংশ থেকে আপনি ওয়াইফাই কি, ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ কি এবং ওয়াইফাই আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সেটি হলো যে ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে ।

অর্থাৎ আমরা আমাদের প্রয়োজনে যে ওয়াইফাই সিগন্যাল ব্যবহার করি সেটি আসলে কিভাবে কাজ করে।

তো চলুন এবার তাহলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক। এতে করে ওয়াই ফাই রিলেটেড আপনার জানার ভিত্তিটা আরো মজবুত হবে।

দেখুন আমাদের ব্যবহার করা প্রতিটা ওয়াইফাই টেকনোলজির মধ্যে বিশেষ এক ধরনের ডিভাইস সংযুক্ত থাকে। যার মূল কাজ হলো বিভিন্ন ধরনের ওয়ারলেস সিগনাল গুলো কে ট্রান্সমিট করা।

আর সেই ট্রান্সমিট করার ডিভাইসটি কে আমরা বলে থাকি ওয়াইফাই রাউটার। আবার অনেকেই এই ডিভাইস কে হটস্পট নামে চিনে থাকে। মূলত এর প্রধান কাজ হল কোন ধরনের ওয়ারলেস সিগন্যাল গুলো কে ট্রান্সমিট করা।

এবং যখন এই ট্রান্সমিট এর কাজ সম্পন্ন হয়, তখন কিন্তু আর নির্দিষ্ট একটা এড়িয়ে জুড়ে বা নির্দিষ্ট কোন ডিভাইসের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ করে দেয়া হয়।

চলুন বিষয়টা আরেকটু সহজভাবে আলোচনা করি।

প্রতিটা ওয়াইফাই ডিভাইস গুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ হলে, তারা তখন লোকাল এরিয়ার মধ্যে বাতাবরণ সৃষ্টি করে থাকে।

মূলত এইসব এরিয়ার কে আবার ওয়াইফাই জোন বলা হয়ে থাকে। আর এই ছোট ছোট ওয়াইফাই ওয়াইফাই এরিয়া গুলোকে ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে।

যার ফলে ওয়াইফাই এর সাথে সংযুক্ত স্থানে বা এই এরিয়ার সাথে সংযুক্ত ডিভাইস গুলোতে খুব সহজেই ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত করা যায়।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

এবং সেই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার ফলে আমরাও একটি ওয়াইফাই এর সাথে নিজের ডিভাইস গুলোকে সংযুক্ত করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি।

তবে আমাদের ডিভাইস গুলোতে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করার পূর্বে আরো বেশকিছু কাজ হয়ে থাকে।

যেমন আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু একটা বিষয় দেখতে পারবেন যে, কম্পিউটার গুলোতে কোন ধরনের ওয়াইফাই এডাপ্টার সংযুক্ত করা থাকেনা।

তাহলে কিভাবে আমরা সেই কম্পিউটার গুলোতে ওয়াইফাই ব্যবহার করি।

মূলত যখন এই ধরনের ডেস্কটপ পিসিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তখন কিন্তু ইউএসবি পোর্ট এর মাধ্যমে রাউটার এর সাথে সংযুক্ত করা হয়।

এবং এভাবে কিন্তু একটি ডেস্কটপ অথবা কম্পিউটারে ওয়াইফাই এর সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

WiFi কত প্রকার ? (Different types of WiFi technologies)

আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আপনি ওয়াই ফাই রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

যেমন সবার শুরুতেই আপনি জেনেছেন যে ওয়াইফাই কি, ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে এবং ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ কি। আশা করি আলোচিত সেই বিষয় গুলো আপনি বেশ ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন।

এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে ওয়াইফাই এর কি আলাদা আলাদা প্রকারভেদ রয়েছে। যদি আপনার মনে এই ধরণের প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, বর্তমানে বেশ কয়েক প্রকারের ওয়াইফাই রয়েছে।

তবে জানার বিষয় হল যে বর্তমান সময়ে মোট কত প্রকারের ওয়াইফাই রয়েছে।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক, এবং জেনে নেওয়া যাক যে ওয়াইফাই কত প্রকার ও কি কি।

মূলত কোন একটি ওয়াইফাই সংযোগ এর দূরত্ব এবং ইন্টারনেটের গতির উপর নির্ভর করে ওয়াইফাই কে প্রধানত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

চলুন এবার সেই পাঁচ প্রকারের ওয়াইফাই সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচনা করা যাক। যাতে করে আপনার ওয়াইফাই রিলেটেড কোন বিষয় অজানা না থাকে।

IEEE 802.11a: প্রায় 1999 সালে বিশেষ এক ধরনের ওয়াইফাই তৈরি করা হয়েছিল, যা মূলত 115 মিটার দূরত্ব পর্যন্ত সংযোগ প্রদান করতে পারত।

আর যারা এই 115 মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকতো, তারা তাদের ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করতে পারতো এবং ইন্টারনেটকে ব্যবহার করতে পারত।

মূলত সেই সময়ে এই ধরনের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক গুলো 54 MBps স্পিডে কাজ করতো।

IEEE 802.11b: প্রায় 1999 সালে নিজের ঘরে ব্যবহার করার জন্য বিশেষ এক ধরনের ওয়াইফাই তৈরি করা হয়েছিল।

এই ধরনের ওয়াইফাই গুলো মূলত 115 মিটার দূরত্বে পর্যন্ত কাজ করতে পারতো, এবং এ ধরনের ওয়াইফাই গুলোর সর্বোচ্চ স্পিড ছিল 11 MBps,

IEEE 802.11g: প্রায় 2003 সালে নতুন আরও দুটি ওয়াইফাই তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো মূলত 125 ফুট দূরত্ব পর্যন্ত থাকা ডিভাইস গুলোকে কানেক্ট করতে পারতো।

এবং এ ধরনের ওয়াইফাই এর সর্বোচ্চ গতি ছিল 54mbps

IEEE 802.11n: প্রায় 2009 সালে বিশেষ এক ধরনের ডুয়েল ব্রান্ড রাউটার গুলোতে কাজ করার জন্য এক ধরনের বিশেষ ওয়াইফাই এর আবিষ্কার করা হয়।

যা মূলত 230 ফুট দূরত্বে থাকার ডিভাইস গুলোর সাথে কানেক্ট হতে পারতো। এবং এই ধরনের ওয়াইফাই এর সর্বোচ্চ গতি ছিল 54mbps

IEEE 802.11ac: 2009 সালে আরও একটি নতুন ওয়াইফাই এর আবিষ্কার করা হয়েছিল যার সর্বোচ্চ গতি ছিল 1.3 Gbps. এবং এই ওয়াইফাই এর সর্বোচ্চ দূরত্ব ছিল 115 ফুট।

প্রিয় পাঠক উপরে আপনি মোট পাঁচ প্রকারের ওয়াইফাই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মূলত বর্তমান সময়ে আমরা যেসব ওয়াইফাই থেকে ব্যবহার করি সেগুলো মূলত এই পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

Wifi চালাতে কি কি লাগে ?

এতক্ষণ আপনি জানতে পারলেন যে ওয়াইফাই কি এবং বর্তমান সময়ে মোট কত ধরনের ওয়াইফাই কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তো এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে যে, যদি একজন ব্যক্তি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে চায় বা ওয়াইফাই চালাতে চায় তাহলে তার কি কি লাগবে।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। মূলত আপনি যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রথমত আপনার একটি রাউটার এর প্রয়োজন হবে।

বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন মার্কেটে অনেক ভাল মানের রাউটার দেখতে পাবেন। এবং সেই রাউটার এর সাথে আপনাকে একটি ওয়ারলেস ইউএসবি এডাপ্টার এর প্রয়োজন হবে।

তবে আপনি যদি আপনার ডেস্কটপের মাধ্যমে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে আলাদা ভাবে একটি ইউএসবি পোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটার অথবা ডেস্কটপ ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন।

ওয়াইফাই (Wi-Fi) এর সুবিধা কি কি ?

যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয় তাহলে আমরা আসলেই কি কি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারব, সে সম্পর্কে অবশ্য আমাদের সবার কমবেশি জানা আছে।

কিন্তু একটি ওয়াইফাই এর মাধ্যমে আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করা যায় সে সম্পর্কে একটু আলোকপাত করা উচিৎ।

কেননা আমরা শুধু জানি যে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে আমরা কি কি সুবিধা পাই, সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।

তো চলুন এবার তাহলে সেই ওয়াইফাই এর সুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক।

  1. যদি আপনার বাড়িতে একটি স্মার্ট টিভি থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি সেই টিভিতে ওয়াইফাই সংযুক্ত করতে পারবেন।
  2. এবং ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে আপনি আপনার সেই টিভিতে বিভিন্ন ধরনের পছন্দের প্রোগ্রাম গুলোকে দেখতে পারবেন।
  3. আপনার বাড়িতে থাকা স্মার্ট টিভিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি সেই এর স্মার্ট টিভি কে পরিচালনা করার জন্য রিমোট হিসেবে আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন।
  4. ওয়াইফাই এর মাধ্যমে আপনি আপনার ল্যাপটপ অথবা মোবাইল এর মাধ্যমে কোন প্রকার তারের সংযোগ ছাড়াই একটি ডিভাইস থেকে অন্য একটি ডিভাইসের আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো কে আদান-প্রদান করতে পারবেন।
  5. আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে এবং একটি কম্পিউটার থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার কে সংযুক্ত করতে পারবেন।
  6. ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি রাউটারের সাহায্য একসাথে অনেক গুলো ডিভাইসের সাথে ইন্টারনেট কানেক্টেড করা সম্ভব।

তো এগুলো ছাড়াও মূলত ওয়াইফাই এর বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা আছে। আশা করি আপনি সেই সুযোগ সুবিধা গুলো বেশ ভালো করেই জানেন।

আর যারা নিয়মিত ওয়াইফাই ব্যবহার করে তারা অবশ্যই এই সুযোগ সুবিধা গুলো জেনে থাকবেন।

Wifi mbps কি

ওয়াইফাই গতি Mbps (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড) এ পরিমাপ করা হয়। সংখ্যা যত বেশি, সংযোগ তত দ্রুত। ওয়াইফাই এমবিপিএস হল ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ডেটা হারের একটি পরিমাপ।

WiFi হল একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল যা ডিভাইসগুলিকে স্বল্প দূরত্বে একে অপরের সাথে সংযোগ করতে দেয়।

802.11b এবং 802.11g হল WiFi-এর সবচেয়ে সাধারণ দুটি সংস্করণ, যার 802.11n সর্বশেষতম। এমবিপিএস (প্রতি সেকেন্ডে মেগাবিট) ডেটা থ্রুপুটের পরিমাপের একক।

একটি এমবিপিএস রেটিং আপনাকে বলে যে একটি ডিভাইস কত দ্রুত ডেটা প্রেরণ করতে পারে।

ওয়াইফাই এর মাসিক বিল কত?

সত্যি বলতে স্থান-কাল এবং পাত্রভেদে ওয়াইফাই এর মাসিক বিল কত হবে সেটা নির্ভর করে থাকে।

তবে সাধারণ ভাবে আপনি যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে চান, যদি আপনি 5mbps স্পিডের ওয়াইফাই সংযুক্ত করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে 500 টাকা প্রদান করতে হবে।

আপনি আরোও দেখুন…

অপরদিকে আপনি যদি 10mbps এর জন্য ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে  ৮০০-১০০০ টাকা এবং 20mbps ওয়াইফাই এর জন্য আপনাকে 1200-1500  টাকা প্রদান করতে হবে।

আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক বর্তমান সময়ে উন্নত এই প্রযুক্তির যুগে শহর থেকে গ্রামান্তরে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখন ওয়াইফাই ব্যবহার করা হচ্ছে।

আর সে কারণে ওয়াইফাই কি এবং ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে সে বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়াটা খুবই প্রয়োজনীয়।

আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই প্রয়োজনীয় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

মূলত আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি ওয়াইফাই কি এবং ওয়াই ফাই রিলেটেড যেসব অজানা বিষয় রয়েছে সেই সবগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

যদি জানতে চান ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বের করার নিয়ম । তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন পরবর্তী আর্টিকেলে দেখিয়ে দিব কিভাবে ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড বের করা যায়।

নতুন নতুন টেকনোলজি বিষয়ে আরও আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন । ধন্যবাদ বাংলায় টি ব্লগের সাথে নিয়মিত থাকার জন্য

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top