ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার উপায় 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি : বেশ কয়েকদিন আগে আমি যখন Web Design নিয়ে একটা আর্টিকেল পাবলিশ করেছিলাম। সেখানে অনেকেই অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি সে সম্পর্কে আর্টিকেল লেখার জন্য।

মূলত সেইসব জ্ঞান পিপাসু মানুষদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। কেননা আজকের আর্টিকেলে আপনি Web Development কি সে সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারনা পেয়ে যাবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার উপায় 
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার উপায়

কারন আজকে আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি তা নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করার চেস্টা করবো।

দেখুন আমি এই টপিক রিলেটেড আর্টিকেল গুলো তে সর্বদা একটি কথা বলে আসছি ৷ সেটি হলো সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আমরাও ক্রমাগত ভাবে প্রযুক্তির যুগে অগ্রসর হচ্ছি।

আর সেই সুবাদে আমাদের ব্যক্তিগত কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসা বানিজ্য এবং স্কুল কলেজ পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেএেই একটি ওয়েবসাইট থাকা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।

কারন ওয়েবসাইট হলো এমন একটি প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজ ভাবে আপনার ব্যক্তিগত কিংবা ব্যাবসায়িক পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারবেন ৷

আর এজন্যই মূলত বর্তমান সময়ে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপার এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

আর এই চাহিদা কে পূরন করার নিমিওে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন। যারা মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস প্রদান করে বিপুল পরিমান টাকা অনলাইন থেকে আয় করে আসছে।

তো যদি আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকে। এবং এই Developing Service প্রদান করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার স্বপ্ন থাকে।

তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কেননা, এই আর্টিকেলে এমন কিছু বলা হবে। যেগুলো আপনার স্বপ্ন পূরনে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। 

ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি? 

আমাদের মধ্যে এমন অনেক বুদ্ধিমান মানুষ আছেন। যারা মূলত Web Design এবং Web Development  কে একই বিষয় মনে করে থাকেন। কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এইসব বুদ্ধিমান মানুষ এর ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।

কেননা, এই দুটো বিষয় কখনই এক নয়।

কেননা, ওয়েব ডিজাইন শুধুমাএ একটি ওয়েবসাইট এর বাহ্যিক দিকটা তৈরি করে থাকে। যেমন, যেমন ওয়েবসাইট এর কালার কেমন হবে, কোথায় কি কি ফিচার থাকবে, মোবাইল ডিভাইসে কেমন দেখাবে, কম্পিউটার ডিভাইসে কেমন দেখাবে। এই জাতীয় বিষয় গুলো ওয়েব ডিজাইন এর আওতায় পড়ে। 

আপনি আরো দেখতে পারেন…

অপরদিকে আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর তাকান। তাহলে কিন্তুু কিছুটা উল্টো চিএ দেখতে পারবেন। কেননা এই সেক্টরে কিন্তুু ডিজাইন এর বর্হিভূত কাজ গুলো করা হয়ে থাকে।

যেমন একটি সাইট তৈরি করার পর উক্ত ওয়েবসাইট কে আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে।

যেমন, একটি সাইট তৈরি করার পর সেই সাইটে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো ফিচার যুক্ত করা। উক্ত সাইটে যদি কোনো বাগ (Bug) থাকে। তাহলে সেগুলো কে ফিক্স করার কাজ গুলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর আওতায় পড়ে। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি?

ওয়েব ডিজাইন নিয়ে লেখা আর্টিকেলে আমরা জানতে পেরেছি যে, একটি Website এর গঠন এবং দেখতে কেমন হবে। তা নিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়, ওয়েব ডিজাইন।

এখন আপনি যদি এই বিষয়টি বুঝে থাকেন ৷ তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি সেটিও আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন।

তো যখন কোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পন্ন হবে। তখন উক্ত সাইট এর উন্নিতকরন এর প্রক্রিয়া কে বলা হবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই উন্নিতকরন আবার কি জিনিস? -তাহলে শুনুন…

যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। তখন পরবর্তী সময়ে উক্ত ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন, আপনি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করলেন।

এবং কিছুদিন পর আপনার মনে হলো আপনার সাইট এর Home Page এ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করবেন। 

তো সাইট তৈরি হওয়ার পর আপনি যে পরবর্তী সময়ে আপনার সাইটে এই ধরনের কাজ গুলো করবেন। মূলত এই ধরনের কাজ গুলোকে বলা হয়, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কয় প্রকার?

যাইহোক উপরে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি এবং Web Design এবং Development এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যা আপনার জন্য জেনে নেয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

তো ধারাবাহিক ভাবে এবার আমরা জেনে নিবো যে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কত প্রকার।

তো এটা মূলত আমার ধারনা থেকে বলছি না। বরং যারা অলরেডি এই সেক্টরে কাজ করে আসছে। তাদের মতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ২ প্রকার। যথাঃ 

  • Front End Web Development 
  • Back End Web Development 

তবে শুধুমাএ এই দুটি ভাগের নাম শুনলেই হবে না। বরং আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, কেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কে এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আর এই দুটোর পার্থক্য কি। 

What is Font End Web Development? 

ফ্রন্ট ইন্ড ডেভেলপমেন্ট কি? অর্থগত ভাবে Font শব্দটির বাংলা অনুবাদ হলো সামনে। আর যখন কোনো ওয়েব ডেভলপার কে Font End বলা হবে। তখন আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে, ঐ ব্যক্তি শুধুমাএ ওয়েবসাইট এর বাহ্যিক অংশ টুকুর ডেভলোপ করতে পারবে।

সচরাচর যারা Font End Developer তারা মূলত যখন কোনো কাজ করে। তখন তারা ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী HTML এবং CSS এর মাধ্যমে কোনো একটি ওয়েবসাইট এর ডিজাইন করে দেয়। তবে ওয়েবসাইট এর যেসব ফাংশনাল কাজ থাকে। সেগুলো কিন্তুু একজন ফন্ট ইন্ড ডেভলপাররা করে না। 

What is Back End Web Development?

ব্যাক ইন্ড ডেভেলপমেন্ট কি? তো উপরের আলোচিত Font End থেকে একটু ভিন্নতা খুজে পাবেন। যখন আপনি মূলত Back End Development সম্পর্কে জানবেন।

কেননা, যারা মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ ব্যাক ইন্ড এ কাজ করে। তাদের একটি ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন ধরনের ফাংশনাল কাজ গুলো করতে হবে।

তবে একটা বিষয় অবশ্যই জেনে নিতে হবে। সেটি হলো একজন ব্যক্তি যতক্ষন না Font End এর কাজ জানবে ৷ সেই ব্যক্তি ততোক্ষন Back End এর কাজ করতে পারবে না।

তাই অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে সবার আগে ফন্ড ইন্ড এর কাজ জানতে হবে। এবং তারপর Back End এর কাজ করতে পারবে।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যেহুতু Back End এ কাজ করা ডেভলপার দের বিভিন্ন ফাংশনাল কাজ করতে হয়। সেহুতু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মধ্যে শুধুমাএ html বা css এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না।

বরং অন্যান্য যেসব ল্যাঙ্গুয়েজ আছে যেমন, HTML, CSS, Javascript and Jquary, PHP, Python, Bootstrap এই জাতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা থাকতে হবে। 

কেন আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখবেন?

তো উপরোক্ত বিষয় গুলো জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, অনলাইনে শেখার মতো এতো কিছু থাকার পরও কেন আপনি এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখবেন? আর আপনি যদি এই সেক্টরে নিজেকে নিযুক্ত করেন।

তাহলে আপনি কি কি বেনিফিট পাবেন। তো চলুন এবার তাহলে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

দেখুন অনলাইনে শেখার মতো এমন অনেক কিছু আছে। তবে আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখেন। তাহলে কিন্তুু আপনি অনেক দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

কেননা, বর্তমান সময়ে কিন্তুু অন্যান্য সেক্টর এর তুলনায় Web Development এর জনপ্রিয়তা কোনো অংশেই কম নয়। এর কারনটা আমি উপরের আলোচনায় বলেছি যে, আমরা ক্রমেই প্রযুক্তির প্রতি অগ্রসর হচ্ছি।

আর সেই সুবাদে কিন্তুু আমাদের ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক কাজে একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরী হয়ে পড়েছে। আর যেহুতু পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট এর চাহিদা বেড়েছে ৷

সেহুতু অবশ্যই সেই ওয়েবসাইট গুলোকে তৈরি করার জন্য একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার এর প্রয়োজন হবে।

আর যখন ওয়েব ডিজাইনার এর সাহায্য কোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে। তখন কোনো না কোনো সময়ে উক্ত সাইটের উন্নীতকরন এর প্রয়োজন হবে।

আর আপনি তো ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে, একজন দক্ষ Web Developer ছাড়া কখনই একটি ওয়েবসাইট এর ডেভলপমেন্ট করা সম্ভব নয়।

আর এই কারন গুলোর জন্য অবশ্যই আপনার Web Development শেখা উচিত। কেননা, আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনি এই রিলেটেড সার্ভিস প্রদান করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন ৷ 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার উপায় গুলো কি কি?

তো উপরোক্ত বিষয় গুলো জানার পর আপনার মনেও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার ইচ্ছা জাগতে পারে। আর এই শেখার ইচ্ছে থেকে আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেটি হলো, কিভাবে আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারবেন। এবার সে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

যদি আমরা কয়েক বছর অতীতে ফিরে যাই। তখন কিন্তুু অনলাইন এর কোনো কাজ শেখার জন্য এতো বেশি সোর্স ছিলো না। যতগুলো সোর্স আমরা আজকের দিনে দেখতে পাই।

বর্তমান সময়ে এমন অনেক উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে নিতে পারবেন। যেমনঃ 

০১| ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স 

কোর্স হলো বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। যেখানে আপনি খুব সহজে অনলাইনের যে কোনো কাজ শিখে নিতে পারবেন। যার কারনে আজকের দিনে তরুন প্রজন্মরা কোর্সের মাধ্যমে যেকোনো বিষয় শিখে নিতে পারছে।

কেননা এই ধরনের কোর্স গুলো কোনো দক্ষ ব্যক্তিদের দ্বাড়া তৈরি করা হয়ে থাকে। এবং আপনি নিজের ঘরে বসে ভিডিও দেখার মাধ্যমে কোর্স থেকে খুব সহজেই Web Development শিখে নিতে পারবেন।

আপনি আরো পড়ুন…

তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, আমাদের দেশে কোর্সের নামে অনেক রকমের প্রতারনা হয়ে থাকে। কারন একটি কোর্স কিনতে গেলে বেশ ভালো পরিমানে টাকা ব্যয় করতে হয়।

আর এই সুযোগ কে কেন্দ্র করে অনেক প্রতারক টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেস্টা করে থাকে। তাই কোর্স কেনার আগে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। নতুবা আপনিও প্রতারনার শিকার হয়ে যাবেন। 

০২| ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বই

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত বই পড়তে অনেক ভালোবাসেন। তো সেই মানুষ গুলোর জন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো বই পড়ে শিখে নেয়া ৷

কেননা, বর্তমান সময়ে অনেক অনেক লেখক আছেন। যারা নিজের জ্ঞানটুকু বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যেন কোনো ব্যক্তি সেই বই গুলো পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই Web Development শিখে নিতে পারে। 

০৩| ইউটিউব এবং গুগল থেকে

আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে কোনো কিছু শেখার জন্য অন্যতম মাধ্যম হলো Google এবং Youtube.

কেননা, এই প্লাটফর্ম গুলোতে এতো বেশি সোর্স আছে যে, আপনি একটু চেস্টা করলে যে কোনো বিষয়ের তথ্য গুলো এইসব প্লাটফর্ম গুলোতে পেয়ে যাবেন।

কেননা, এমন অনেক দক্ষ ব্যক্তি আছেন যারা তাদের নিজের দক্ষতা কে এইসব প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করেছেন।

তবে আপনি যদি কোনো বিষয় শেখার জন্য Google কিংবা Youtube এর নির্ভর করেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে।

কেননা, এইসব প্লাটফর্ম থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে সবার আগে আপনাকে সেই সোর্স গুলোকে খুজে নিতে হবে। যারা মূলত সহজ এবং সাবলীলভাবে Web Development শেখার চেস্টা করেছেন।

আর সেজন্য আপনি শেখার জন্য এই ধরনের সোর্স গুলোকেও ব্যবহার করতে পারবেন। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ কি কি শিখতে হয়?

একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যদি তাকে বলা হয় Web Development শেখার জন্য। তখন কিন্তু সেই ব্যক্তি শুরুর দিকে বুঝে উঠতে পারবে না যে, আসলে এই সেক্টরে কোন কোন বিষয় গুলো শিখতে হবে।

আর যেহুতু সেই ব্যক্তির এই সেক্টরে একেবারে নতুন। সেহুতু এই সেক্টর সমন্ধে সেই ব্যক্তির তেমন কোনো ধারনা থাকারও কথা না।

তাই এবার আপনাকে জানতে হবে যে, একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান। তাহলে আপনাকে কোন কোন বিষয় গুলো শিখতে হবে।

এবং কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনিও একজন দক্ষ Web Developer হতে পারবেন।

আর আপনাকে তখনি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার বলা হবে। যখন আপনি নিচে আলোচিত বিষয় গুলো তে দক্ষ হতে পারবেন। যেমনঃ 

০১| HTML (এইচটিএমএল)

কোনো একটি ওয়েবসাইট এর গঠনমূলক কাজ গুলো করা হয় html এর মাধ্যমে। কেননা, এইচটিএমএল হলো এক ধরনের মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। যার মাধ্যমে কোনো একটি ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন অংশকে ভাগ করা যায়।

যেমন, সাইটের হেডিং কোথায় হবে, ফুটার কোথায় হবে, কোন স্থানে কি কি থাকবে এই জাতীয় বিষয় গুলো html এর সাহায্যে করা হয়ে থাকে। আর আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে html শিখে নিতে হবে। 

০২| CSS (সি এস এস)

সত্যি বলতে html এর একটি ওয়েবসাইট মূল কাঠামো তৈরি করে। যেমন মানুষের শরীরে কঙ্কাল আছে। ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইট এর কঙ্কাল হলো html. তবে প্রশ্ন হলো যে, css কাকে বলে। 

শুনুন.. একটি কঙ্কাল কে যেমন মানুষের রুপ দেয়ার জন্য যেমন রক্ত, মাংসের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি সিএসএস হলো কোনো একটি ওয়েবসাইট এর রক্ত মাংস৷ কেননা, css ছাড়া কোনো ওয়েবসাইট পরিপূর্ণতা পাবে না।

কারন CSS এর মাধ্যমেই ওয়েবসাইট গুলোকে কালার ফুল করা হয়ে থাকে।

আর সেজন্য আপনি Web Design হোক কিংবা Web Development. আপনাকে অবশ্যই css সম্পর্কে যথেষ্ট নলেজ থাকতে হবে। 

০৩| Responsiv Design

উপরে আলোচিত css এর একটি পার্ট হলো রেসপন্সিভ ডিজাইন। এর মূল কাজ হলো বিভিন্ন Device এর উপর ভিওি করে। আপনার ওয়েবসাইটকে ডিজাইন করা।

বলতে গেলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ একটি কোডিং হলো Responsive Design.

যেমন আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে। যারা মোবাইল ব্যবহার করে। এখন আপনার ওয়েবসাইট টি এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে। যেন Mobile Device থেকে আপনার ওয়েবসাইট সহজেই ভিজিট করা যায়।

আবার কম্পিউটার ডিভাইসেও যেন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করা যায়। সেই দিকটাও কিন্তুু যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।

আর উপরোক্ত কারন গুলোর জন্য অবশ্যই আপনাকে Responsive Design শিখতে হবে। তাহলে আপনি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হতে পারবেন। 

০৪| Javascript & jQuery

কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মধ্যে সবচেয়ে মজাদার একটি Language হলো Javascript & jQuery. কারন এই কোড গুলোর মাধ্যমে কোনো একটি ওয়েবসাইট কে আরও প্রাণবন্ত করা সম্ভব।

বিষয়টা ফেসবুক কে দিয়ে বুঝিয়ে দেই। মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক Post এ কেউ শেয়ার করলো। এবং শেয়ার করার সাথে সাথে আপনার Profile এ একটা নোটিফিকেশন আসলো।

কখনও কি ভেবেছেন, ফেসবুকে এই নোটিফিকেশন গুলো কিভাবে আসে?

হুমমম এই কাজ গুলো Javascript & jQuery নামক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আর এজন্যই মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার আপনাকে উপরোক্ত Language টি শিখে নিতে হবে। 

০৫| PHP (পিএইচপি)

যখন আপনি উপরের কোডিং গুলোতে দক্ষতা অর্জন করবেন। তখন আপনাকে PHP সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কেননা, যখন কোনো একটি ওয়েবসাইটে এডমিন প্যানেল এর কাজ করার প্রয়োজন হবে।

তখন আপনাকে অবশ্যই পিএইচপি সম্পদ জানতে হবে। 

০৬| WordPress (ওয়ার্ডপ্রেস)

বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো, WordPress. কেননা, এই প্লাটফর্ম এর মূল কাজ হলো কন্টেন্ট ম্যানেজম্যান্ট (CMS) করা।

তাছাড়া সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যে, এই প্লাটফর্ম থেকে আপনি বিশ্বের যে কোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

আর সেই কারনে যদি আপনি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

তবে আপনি যদি ভাবেন যে শুধুমাএ উপরোক্ত বিষয় গুলো শিখলেই আপনি একজন Web Developer হতে পারবেন। তাহলে কিন্তুু আপনার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।

কারন এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় আছে। যেগুলো আপনাকে শিখে নিতে হবে। যেমনঃ 

  • XML
  • Bootstrap
  • Git
  • Ui/Ux
  • Photoshop 
  • Seo

তো যদি আপনি উপরোক্ত বিষয় গুলো শিখতে পারেন। এবং উপযুক্ত দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে ধরে নিবেন যে আপনি একজন ওয়েব ডেভলপার হিসেবে কাজ করার জন্য একেবারে প্রস্তুুত হয়ে গেছেন। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে আয় করার উপায়

এবার আসা যাক মূল টপিকে, আপনি যে নিজের সময় ও শ্রম ব্যয় করেন। এগুলো কিসের জন্য ব্যয় করবেন? -নিশ্চই টাকা আয় করার জন্য, তাইনা?

তো এবার আমরা সেই টপিক নিয়েই আলোচনা করবো যে, কিভাবে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে অনলাইন ইনকাম করবেন। 

যদি আপনি নিজেকে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে আপনি এমন অনেক উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করে নিতে পারবেন। যেমনঃ

০১| ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার সর্বোওম উপায় হলো, ফ্রিল্যান্সিং। আর এই Freelancing প্লাটফর্ম এর জনপ্রিয় একটি সেক্টর হলো, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।

যেখানে আপনি একজন ডেভলপার সার্ভিস প্রদান করে প্রচুর পরিমান আয় করে নিতে পারবেন।

আপনি যদি আজকের দিনের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে একটা বিষয় দেখতে পারবেন। সেটি হলো বর্তমান সময়ে কিন্তুু একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার এর ডিমান্ড অনেক গুন বেশি।

এবং একেকটা কাজের জন্য একজন ডেভলপার অনেক বেশি টাকা আয় করে থাকে। 

০২| অফিশিয়াল জব করে আয়

একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হওয়ার পর আপনি যে শুধু অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। বিষয়টা আসলে এমন নয়, বরং আপনি অনলাইন এর পাশাপাশি অফলাইনেও বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

কারন আমরা উপরে জানতে পেরেছি যে, বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইট থাকা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আর যতক্ষন ওয়েবসাইট গুলো থাকবে, ততক্ষন একজন ওয়েব ডেভেলপার এর প্রয়োজন হবে।

সেজন্য আপনি বিভিন্ন অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য কাজে ডেভলপিং সার্ভিস প্রদান করে প্রচুর পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

০৩| নিজস্ব ডিজাইন সেল করে আয়

যখন আপনি একজন দক্ষ ডেভলপার হতে পারবেন ৷ তখন আপনার যে কোনো ওয়েবসাইট কে ডেভলপ করার মতো ক্ষমতা থাকবে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

এবং আপনি তখন আপনার নিজের দক্ষতার উপর ভিওি করে নিত্য নতুন ওয়েবসাইট এর ডেভলপ করতে পারবেন। এবং সেই নতুন সাইট গুলো কে সেল করেও টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

আমরা কি কি শিখলাম?

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা যে বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সেগুলো পুনরায় আরেকবার রিপিট করবো। যেন কোনো ভাবে আপনি ভুলে না জান। আজকে আমরা এমন অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যেমনঃ

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কত সময় লাগে
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কম্পিউটার
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বই
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স
  • ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রি কোর্স

হুমমম, আজকে এই সব বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি উপরের আলোচনা গুলো না পড়ে থাকেন। তাহলে রিকুয়েষ্ট করবো এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার৷ 

আমাদের শেষকথা

আশা করি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। এরপরও যদি Web Development সম্পর্কে কোনো তথ্য জানার থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

এছাড়াও আমাদের ব্লগে অনেক আর্টিকেল আছে ব্লগিং গাইড নিয়ে এবং ব্লগিং করে ইনকাম করা যাবে এই নিয়ে লিখা আছে।

আপনার এই আর্টিকেল যদি ভাল লাগে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন।

বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

3 thoughts on “ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ? ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার উপায় ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top