ভিসা কার্ড কি ? | ভিসা কার্ড কিভাবে করতে হয়

ভিসা কার্ড কি : আপনি কি ভিসা কার্ড সম্পর্কে জানতে চান? ভিসা কার্ড কিভাবে করতে হয়। সে নিয়ে জানতে আগ্রহী? তাহলে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে পুরো লেখাটা পড়ুন।

আজকের আলোচনায় আমি Visa Card কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

ভিসা কার্ড কি ? | ভিসা কার্ড কিভাবে করতে হয়
ভিসা কার্ড কি ? | ভিসা কার্ড কিভাবে করতে হয়

বর্তমান প্রযুক্তি অনেক অগ্রগতি করেছে। আর সেই সুবিধা গুলো আমরা প্রতিনিয়ত ভোগ করছি। আপনি একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর, রাতে ঘুমিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। প্রায় কোনো না কোনো কাজে প্রযুক্তির সাথে নিজেকে যুক্ত করছি।

আর সেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে ব্যাংক ব্যবস্থা গুলোতেও। মূলত Bank কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যন্ত।

 টাকা লেনদেন করার মাধ্যম গুলোকে এতোটাই সহজ করে দিয়েছে যা একেবারে কল্পনার বাইরে।

হয়তবা আপনি বিভিন্ন ধরনের ATM Card এর কথা শুনে থাকবেন। যেমন, ডেবিট কার্ড,ক্রেডিট কার্ড, ভিসা কার্ড ইত্যাদি। কিন্তুু এই সব ধরনের কার্ড গুলোর চেয়ে ভিসা কার্ড হলো অন্যতম।

আর সে জন্য বিশ্বের প্রায় ১২০ টি দেশেই Visa Card এর ব্যবহার করা হচ্ছে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

আর আজকের এই ভিসা কার্ড নিয়েই কথা বলবো। ভিসা কার্ড কি, ভিসা কার্ড দিয়ে কি কি করা যায় এবং ভিসা কার্ড কিভাবে করতে হয়

এ সব কিছু নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করবো। তো চলুন শুরু করা যাক। 

ভিসা কার্ড কি? (What is Visa Card)

আজকে আপনি Visa Card সম্পর্কে জানতে এসেছেন ৷ সেই কারনে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে, ভিসা কার্ড কাকে বলে?

এটি বুঝতে পারলে আজকের পরবর্তী আলোচনা গুলো সহজেই ধরতে পারবেন।

ভিসা কার্ড হলো এমন এক ধরনের প্রযুক্তি সম্পন্ন কার্ড। যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

আর এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন Card গুলোকে বলা হয়, ভিসা কার্ড। যেটি এখনও গোটা পৃথিবী ব্যাপী প্রচলিত হচ্ছে।

আসলে এই Visa Card গুলো হুবহু MasterCard এর মতো দেখতে। কিন্তুু দেখতে একই রকম হলেও কাজের দিক থেকে অনেক ভিন্নতা খুজে পাবেন ৷

আজকে সেই বিষয় গুলো নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা করবো। জানতে হলে পরবর্তী আলোচনা তে চোখ রাখুন। 

ভিসা কার্ড কত প্রকার? 

যখন আপনি একটি ভিসা কার্ড করতে যাবেন। তখন আপনার সামনে আরও ৫ ধরনের কার্ড চলে আসবে।

কেননা, এই ধরনের কার্ডকে মোট পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  1. Visa Classic Card
  2. Visa Gold Card
  3. Visa Platinum Card 
  4. Visa Signature Card
  5. Visa Infinity Card

এখন আপনি আপনার পছন্দমতো যে কোনো একটি ভিসা কার্ড তৈরি করতে নিতে পারবেন ৷

মূলত সব কার্ডেই প্রায় ভালোই সুবিধা রয়েছে কিন্তুু প্যাকেজ ভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে। যা আপনি নিজে ব্যবহার করার সময় বুঝতে পারবেন। 

ভিসা কার্ড দিয়ে কি কি করা যায়?

আধুনিক প্রযুক্তি এই ATM Card গুলোকে আবিস্কার করেছে শুধু গ্রাহকদের সুবিধা করার জন্য।

আগেকার দিনে যখন আমরা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করতে যেতাম। তখন সবার আগে লম্বা একটা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

এরপর অনেক সময় অপেক্ষা করে টাকা লেনদেন করতে হতো। কিন্তুু এই পদ্ধতিটি ছিলো খুব বিরক্তিকর।

এই কষ্টগুলো না করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি অবাক করার মতো একটি কার্ড আবিস্কার করেছে।

যার মাধ্যমে গ্রাহকরা অর্থ্যাৎ আমাদের মতো সাধারন মানুষ কোনো ঝামেলা ছাড়াই টাকা লেনদেন করতে পারবে।

আপনি যদি বাংলাদেশে বসে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে টাকা পাঠিয়ে দিতে চান। তাহলে আপনার কাছে একটি Visa Card থাকলেই যথেষ্ট।

কেননা, এই কার্ডের ব্যবহার এতো সুবিধাজনক যে, আজকে পুরো পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই ভিসা কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করা হচ্ছে।

এখন হয়তবা আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে। তাহলো, এই ভিসা কার্ড দিয়ে কি কি করা যায়? – তাহলে শুনুন…

  1. কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করার যেমন সুযোগ সুবিধা আছে। ঠিক তেমনি অনেক রিস্কও আছে।
  2. কিন্তুু আপনি যদি Visa Card এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন। তাহলে আপনার কোনো প্রকার রিস্ক থাকবে না ৷ 
  3. আপনি যদি দেশে বসে অন্য কোনো দেশে টাকা আদান প্রদান করতে চান। তাহলে এই কার্ডটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
  4. কেননা, এই কার্ডের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশে টাকা লেনদেন করা সম্ভব। 
  5. ভিসা কার্ড দিয়ে আপনি একইসাথে অনেক গুলো লেনদেন এক সাথে সম্পন্ন করতে পারবেন।

তো এই সুবিধা গুলো ছাড়াও এমন অনেক সুবিধা আছে।

যা আপনি Visa Card ব্যবহার করার সময় নিজে থেকে বুঝতে পারবেন। এবার চলুন অন্য টপিকে ফিরে যাওয়া যাক। 

বাংলাদেশে ভিসা কার্ড ব্যবহার করা যায় কি?

এতোক্ষনের আলোচনা থেকে আপনি এটা সিউর হতে পেরেছেন যে, ভিসা কার্ড হলো বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় একটি কার্ড।

যার মাধ্যমে যে কোনো ধরনের মানুষ খুব দ্রুততার সাথে টাকা আদান প্রদান করতে পারবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বাংলাদেশে ভিসা কার্ড ব্যবহার করা যায় কি না? 

তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

দেখুন, অন্যান্য কার্ড গুলো যদিও বাংলাদেশ এর জন্য নিষেধাজ্ঞা থাকে। কিন্তুু ভিসা কার্ডের দিক থেকে বাংলাদেশে তেমন কোনো নিষেধ নেই।

অর্থ্যাৎ, আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকে ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। যদি আপনার মধ্যে ভিসা কার্ড নেয়ার মতো যোগ্যতা থাকে।

তাহলে আপনিও এই Visa Card ব্যবহার করতে পারবেন ৷

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারন, আমাদের দেশে প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ ATM Card ব্যবহার করে আসছে।

আর তাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এই ভিসা কার্ডকে ব্যবহার করে।

তো সেইদিক থেকে বিবেচনা করলে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে, আমাদের দেশেও এখন ভিসা কার্ড ব্যবহার করা যায়।

ভিসা কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

যখন আপনি নতুন একটি Visa Card করতে যাবেন। তখন আপনার আরও একটি বিষয়ে ধারনা থাকতে হবে।

সেটি হলো, ভিসা কার্ড করতে কত টাকা লাগে। কেননা, প্রত্যেকটি কার্ড তৈরি করার সময় কিছু না কিছু পরিমান টাকা পে করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

ঠিক তেমনি ভাবে ভিসা কার্ড করার জন্যও আপনাকে কিছু পরিমান টাকা পে করার প্রয়োজন হবে।

তো ভিসা কার্ড করতে মোট ১ হাজার ৭৫ টাকার প্রয়োজন হয়। তবে এই টাকা পরিবর্তনশীল। কারন যে কোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে এই টাকার পরিমান কম বা বেশি হবে।

মূলত এটি নির্ভর করবে আপনি যে ব্যাংক থেকে কার্ড নিচ্ছেন। সেই ব্যাংক এর Terms and conditions এর উপর।

আর আপনি তো ভালো করেই জানেন যে, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকের আলাদা আলাদা টার্মস এন্ড কন্ডিশন থাকে।

আর সে কারনে আপনি যে ব্যাংকের আওতায় ভিসা কার্ড বানিয়ে নিবেন। সবার আগে সেই ব্যাংকের সকল চার্জের কথা জেনে নিবেন। 

ভিসা কার্ড করার নিয়ম

আপনি যদি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ভিসা কার্ড নিজের লেনদেন করার কাজে ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ৷

আপনি যদি সেই নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন। তাহলে আপনিও খুব সহজেই ভিসা কার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন।

তবে এখনও অনেক মানুষ আছেন। যারা এখনও জানেনা যে, কিভাবে ভিসা কার্ড করতে হয়। কিন্তুু অবাক করার মতো বিষয় হলো।

আপনি মাএ কয়েকটা ধাপ অনুসরন করতে পারলে খুব সহজ ভাবে Visa Card কে হাতে নিয়ে আসতে পারবেন। যেমনঃ

আমাদের বাংলাদেশে এমন কিছু ব্যাংক আছে। যারা মূলত সামান্য কিছু চার্জ এর বিনিময়ে Visa Card বানিয়ে দেয়। আর সেই ব্যাংক গুলোর নাম হলো,

  1. ডাচ্ বাংলা ব্যাংক  
  2. ইসলামী ব্যাংক এবং  
  3. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক

তবে এগুলো বাদেও এমন অনেক ধরনের সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংক আছে। যেগুলো থেকে আপনি স্বল্প পরিমান অর্থের বিনিময়ে একটি Visa Card বানিয়ে নিতে পারবেন।

শুধু একটা কথা মাথায় রাখবেন সেটি হলো, এই কার্ড করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক এর সহায়তা নিতে হবে। 

ভিসা কার্ড কিভাবে করতে হয়?

তো এবার আমি মূল টপিক নিয়ে কথা বলবো। আসলে একজন মানুষ যদি তার লেনদেন করার জন্য ভিসা কার্ড তৈরি করতে চায়। তাহলে সেই মানুষটির কি কি ধাপ অনুসরন করতে হবে।

চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

  1. সবার আগে আপনাকে এমন একটি ব্যাংক এর কাছে যেতে হবে। যে Bank টি ভিসা কার্ড এর সুবিধা প্রদান করে থাকে। এ ব্যাতিত অন্য কোনো ব্যাংকে গেলে কাজ হবেনা। 
  2. এরপর এই কাজে নিয়োজিত একজন এজেন্ট এর কাছে যেতে হবে। এবং সেই ব্যক্তির নিকট একটি Account তৈরি করতে হবে। 
  3. মনে রাখবেন, ভিসা কার্ড তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি Bank Account থাকতেই হবে। 
  4. যদি আপনি একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। 
  5. একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনার সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির প্রয়োজন হবে। 
  6. আপনার যে NID Card টি আছে। তার একটা পরিস্কার ফটোকপির প্রয়োজন হবে। 
  7. যদি আপনার পূর্বে থেকে কোনো ব্যাংক একাউন্ট থাকে৷ তাহলে সেই একাউন্ট এর যাবতীয় কাগজ পত্রের দরকার হবে। 
  8. সবশেষে আপনার যে নমিনি থাকবে। সেই নমিনির ছবি এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

তো আপনি যদি সঠিকভাবে উপরোক্ত ধাপ গুলো সম্পন্ন করেন। তাহলে আপনি ভিসা কার্ড তৈরি করার প্রথম ধাপটি অতিক্রম করবেন।

মানে আপনি শুধু একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। এরপর আপনাকে পরবর্তী ধাপ গুলো অনুসরন করতে হবে।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

যখন আপনি সঠিকভাবে একটি Bank Account চালু করবেন। তখন ঐ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলো উক্ত ব্যাংকের একজন দক্ষ এজেন্ট কে জমা দিতে হবে।

এবং সব কাগজ জমা দেয়ার পর আপনাকে একটি কার্ড দেওয়া হবে। মূলত এটিই হলো, ভিসা কার্ড। যার মাধ্যমে আপনি গোটা বিশ্বের যেকোনো দেশের সাথে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। 

ভিসা কার্ড ও মাস্টার কার্ডের পার্থক্য

উপরের আলোচনায় আপনি জানতে পেরেছেন যে, ভিসা কার্ড কি এবং Visa Card কিভাবে করতে হয়। আশা করি উপরের আলোচিত বিষয় গুলো আপনি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভিসা কার্ড আর মাষ্টার কার্ডের মধ্যে পার্থক্য কি।

তবে এমন প্রশ্ন জাগাটা স্বাবাবিক। কেননা, আমি আমার ওয়েবসাইটে মাষ্টার কার্ড কি এই আর্টিকেলে বলেছিলাম যে, MasterCard দিয়েও পুরো বিশ্বে টাকা লেনদেন করা যায়।

আবার আজকে আপনি জানতে পারলেন যে, ভিসা কার্ড দিয়েও পুরো পৃথিবী জুড়ে লেনদেন করা সম্ভব।

তো এই কারনে আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে যে, যেহুতু দুইটি কার্ড দিয়ে পুরো পৃথিবী জুড়ে টাকা লেনদেন করা যায়।

তাহলে MasterCard আর Visa Card এর মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে। চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০১| ব্যবহারিক দিক থেকে 

সত্যি বলতে আপনি মাষ্টারকার্ড বলুন কিংবা ভিসা কার্ডের কথা বলুন। ব্যবহারিক দিক থেকে আপনি এই দুটো Card এর কোনো প্রকার পরিবর্তন দেখতে পারবেন না।

কেননা, এই দুটো কার্ড ই মূলত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লেনদেন করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর সে কারনেই এই কার্ড গুলোর নাম আলাদা আলাদা হলেও ব্যবহারিক দিক থেকে আপনি কোনো পার্থক্য খুজে পাবেন না ৷ 

০২| নিরাপওার দিক থেকে 

যেহুতু আপনি নেটওয়ার্কিং পদ্ধতিতে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করবেন। সেহুতু সবার আগে সিকিউরিটি এর বিষয়টি চলে আসবে।

কেননা, আমাদের মধ্যে এমন কোনো মানুষ নেই। যারা ঝুঁকি নিয়ে লেনদেন করতে চাইবে। তো আপনি যদি এই ধরনের কার্ড গুলো ব্যবহার করেন।

তাহলে কিন্তুু আপনি আলাদা এক ধরনের সিকিউরিটি বা নিরাপওা পাবেন। 

০৩| টাকা লেনদেন করার ক্ষেত্রে

সচারাচর আপনি যখন মাস্টার কার্ড কিংবা ভিসা কার্ড ব্যবহার করবেন। তখন আপনি দেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা উওলন করতে পারবেন।

আবার আপনি চাইলে যে কোনো দেশে এর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

তো এইসব পার্থক্য দেখে হয়তবা আপনার মনে হচ্ছে যে এই দুটো কার্ডের তো একি রকম কাজ। যদি আপনি এমনটা ভেবে থাকেন।

তাহলে বলবো যে, আপনার ধারনা একেবারে সঠিক। কেননা, এই দুটো কার্ডের মধ্যে কোনো পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন না।

ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম

ভিসা কার্ড করার সবচেয়ে বড় সুবিধা আছে। সেটি হলো আপনি নিজের ঘরে বসে বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

কিন্তুু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এখনও জানেনা যে, কিভাবে ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনা যায়। তো চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

তো ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যেমনঃ

  1. যদি আপনি ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি Bkash App ডাউনলোড করতে হবে।
  2.  আমি একটা লিংক দিচ্ছি। আপনি সেই লিংক থেকে সরাসরি বিকাশ এপস কে ডাউনলোড করতে পারবেন। 
  3. তো যখন আপনি উপরের লিংক থেকে বিকাশ এপস ডাউনলোড করবেন। তখন আপনাকে সেই এপসটি অপেন করতে হবে। 
  4. যখন আপনি Bkash app কে অপেন করবেন ৷ তখন নিচের দিকে আপনি Add Money নামের নতুন একটি অপশন দেখতে পারবেন ৷ আপনাকে সেই লিংকে ক্লিক করতে হবে। 
  5. এরপর আপনি কার্ড টু বিকাশ নামের আরও একটি নতুন অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
  6. কার্ড টু বিকাশে ক্লিক করলে আপনি Visa নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
  7. এরপর আপনি যে নম্বরে টাকা নিতে চান। সেই নম্বরটি বসিয়ে দিতে হবে। 
  8. সবশেষে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। যেমন, আপনার Visa Card এর নম্বর, Visa Card এর নম্বর, আপনার ভিসা কার্ডের মেয়াদ এবং আপনার কার্ড এর ভেরিফিকেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট দিতে হবে। 
  9. এরপর আপনাকে একটি OTP দিতে হবে। যেটি দিয়ে আপনার লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে।

তো আপনি যদি উপরোক্ত ধাপ গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।

তাহলে আপনি খুব সহজেই ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। 

ভিসা কার্ড নিয়ে আমাদের শেষকথা

আজকের আর্টিকেলে ভিসা কার্ড নিয়ে যে সমস্ত বিষয় রয়েছে। তার সবগুলো বিষয় নিয়ে একেবারে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেস্টা করেছি।

আশা করি আপনি সেই সমস্ত বিষয় গুলো বেশ ভালো করে বুঝতে পেরেছেন।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

তবে এরপরও যদি আপনার Visa Card নিয়ে আরও কোনো অজানা বিষয় থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার।

Bangla it blog এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর নতুন নতুন তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। 

4 thoughts on “ভিসা কার্ড কি ? | ভিসা কার্ড কিভাবে করতে হয়”

    1. ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য । আরো তথ্য পেতে বাংলা আইটি ব্লগ নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top