টুইটার মার্কেটিং কি ? – কিভাবে টুইটার মার্কেটিং করতে হয় ?

টুইটার মার্কেটিং কি : বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম এর নাম হলো টুইটার।

শুরুর দিকে Twitter এর ইউজার সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৩০ বিলিয়ন এর কাছাকাছি।

কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার বেশি হওয়ার কারনে অনেকেই এখনও “টুইটার কি” এবং “কিভাবে Twitter ব্যবহার করতে হয়”- সে সম্পর্কে জানে না।

টুইটার মার্কেটিং কি? কিভানে টুইটার মার্কেটিং করতে হয়?
টুইটার মার্কেটিং কি?

কারন তারা ফেসবুক ব্যবহারে এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে। এটি ছাড়া অন্যান্য Social Media গুলোর প্রতি তাদের এক প্রকার উদাসীনতা কাজ করে।

কিন্তুু প্রযুক্তির এই যুগে এসে এমন উদাসীনতা কে কখনোই প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। কারন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলাই হবে আমাদের উওম কাজ।

তো আজকের আর্টিকেলটি মূলত টুইটার মার্কেটিং কি সেই উদ্দেশ্যই লেখা হয়েছে। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।

তাহলে আপনি টুইটার রিলেটেড অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি কিভাবে Twitter account তৈরি করবেন। কিভাবে টুইটার ব্যবহার করবেন। সে সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

এবং সবশেষে বোনাস টিপস হিসেবে কিভাবে আপনি টুইটার থেকে ইনকাম করতে পারবেন। সে সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো।

টুইটার কি? (What is Twitter)

সহজ কথায় বলতে গেলে টুইটার হলো সামাজিক যোগাযোগ করার একটি অন্যতম মাধ্যম। আমরা যেমন Facebook, Youtube, Pinterest ব্যবহার করি। ঠিক তেমনি Twitter হলো তেমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম।

Twitter হলো একটি শব্দ সংক্ষেপ। যার পূর্নরুপ বা সম্পূর্ণ নাম হলো Typing what I am thinking that everyone reading. এটি সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ২০০৬ সালে।

আর শুরুর দিকে টুইটার এতোটা জনপ্রিয় না হলেও বর্তমান সময়ে এটি পৃথিবীর জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর অবস্থান দখল করে নিয়েছে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

জনপ্রিয় এই প্লাটফর্ম এর প্রতিষ্ঠতা হলো, Jack Dorsey, Noah Glass, Biz stone এবং Evan Williams. তবে টুইটার এর সিইও (CEO) এর নাম হলো, Jack Patrick Dorsey. টুইটারের সদর দপ্তর সান ফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোর্নিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।

[💡NOTE: আমরা যদি টুইটার কে একটি মাইক্রো ব্লগিং বলি। তাহলেও কোনো প্রকার ভুল হবেনা। কারন এখানে আপনি খুব অল্প কথার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর মানুষের নিকট মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন।]

টুইটার এ কি কি আছে? 

যারা মূলত রেগুলার টুইটার ব্যবহার করে। তারা ভালো করেই জানে যে কিভাবে এই প্লাটফর্ম টি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তুু যারা একদিনের জন্য হলেও এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেনি।

তারা প্রথম অবস্থাতে Twitter সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝতে পারবে না। তাই সেইসব মানুষদের উদ্দেশ্যে এবার টুইটার এর সমস্ত খুটিনাটি বিষয় গুলো সম্পর্কে বলার চেস্টা করবো।

তো যখন আপনি জনপ্রিয় এই প্লাটফর্ম টি ব্যবহার করবেন ৷ তখন আপনি অনেক ধরনের নতুন ফিচার দেখতে পারবেন। যেমন, 

#No-1: Twitte

আমরা যেমন ফেসবুকে মনের ভাব প্রকাশ করার পোষ্ট করি ৷ ঠিক তেমনি আপনি যখন টুইটারে কোনো পোষ্ট পাবলিশ করবেন ৷ তখন সেই পোষ্টকে বলা হবে, টুইট (Twitte).

তবে ফেসবুকের মতো এখানে আপনি বড় বড় পোষ্ট পাবলিশ করতে পারবেন না ৷ এখানে আপনার জন্য বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। যেমন, এখানে আপনি ১৪০ শব্দের চেয়ে বেশি শব্দ লিখে পোষ্ট করতে পারবেন না।

অর্থ্যাৎ, আপনি যে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য পোষ্ট লিখবেন৷ সেই পোষ্ট অবশ্যই ১৪০ টি শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় আপনার টুইট টি পাবলিশ করতে পারবেন না।

তবে পরবর্তীতে টুইটার কতৃপক্ষ এই নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে Non Asian Language এর ক্ষেএে ১৪০ শব্দের পরবর্তীতে ২৮০ শব্দ ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করে ৷

অর্থ্যাৎ, প্রথমে যেমন ১৪০ শব্দের বেশি পোষ্ট করা যেত না। তা পরিবর্তন করে ২৮০ শব্দ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। 

#No-2: Re-Twitte

টুইটার এর আরও একটি জনপ্রিয় অংশ হলো রি-টুইট। আমরা যেমন ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষের পোষ্ট বা ভিডিও ভালো লাগলে শেয়ার করি। ঠিক তেমনি আপনি যখন টুইটারে অন্য কোনো ইউজার এর Post বা Video শেয়ার করবেন।

তখন তাকে Twitter এর ভাষায় বলা হবে Re-Twitte.

#No-3: Like & Comment 

আমরা যেমন ফেসবুক ব্যবহার করার সময় বিভিন্ন পোষ্টে লাইক কমেন্ট করি। ঠিক তেমনি Twitter এ আপনি অন্য কারো টুইট ভালো লাগলে, সেই টুইটকে লাইক করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি কোনো Twitte সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চান। তাহলে আপনি যে কোনো টুইট বা পোষ্টে Comment করতে পারবেন। 

#No-4: Follow & Unfollow

যখন আপনি এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন। তখন আপনি যদি অন্য কোনো ইউজার এর Profile ভিজিট করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, প্রত্যেকটা টুইটার প্রোফাইলে একটি করে Follow বাটন শো করবে।

এখন আপনি যদি সেই ফলো বাটনে ক্লিক করেন। তাহলে আপনি সেই ব্যক্তির একজন অনুসরারী হিসেবে গন্য হবেন। এবং পরবর্তী সময়ে Follow করা সেই ব্যক্তিটি যদি কোনো পোষ্ট করে।

তাহলে আপনার কাছে অটোমেটিক একটা করে Push Notification চলে যাবে।

এখন আপনি যদি ভুলবশত কাউকে ফলো করে ফেলেন। মানে আপনি নিজের অজান্তেই কোনো Profile এ গিয়ে ফলো বাটনে ক্লিক করলেন। তাহলে আপনি পুনরায় সেই ব্যক্তিকে Unfollow করতে পারবেন। 

#No-5: Hash Tag (#)

টুইটার এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। যাকে বলা হয় হ্যাশ ট্যাগ (Hashtag). প্রায় বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া তে এই হ্যাশ ট্যাগ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আপনি যদি Facebook কিংবা Instagram এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া এর দিকে লক্ষ্য করেন ৷ তাহলে আপনি সেখানেও হ্যাশ ট্যাগ এর ব্যবহার লক্ষ্য করতে পারবেন। 

#No-5: Direct Message 

ডিরেক্ট মেসেজ যাকে শটকার্টে বলা হয় DM. এর অর্থ হলো একজন টুইটার ব্যবহারকারী যখন অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে কথপোকথন এর জন্য কাউকে Private মেসেজ প্রদান করবে।

তখন সেই পদ্ধতিকে বলা হবে DM.

মনে করুন আপনি একজন টুইটার ইউজার। এখন আমি আপনার সাথে টুইটারে যোগাযোগ করতে চাচ্ছি। সেক্ষেএে আমি আমার Twitter Account থেকে আপনাকে পারোসনালি মেসেজ করাকে বলা হয় Direct Message.

[💡Read This: যদি আপনি উপরোক্ত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে Twitter এ কি কি আছে। সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে যাবেন।]

তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, টুইটার এর কাজ কি? অর্থ্যাৎ, আপনি যদি টুইটার ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি এই প্লাটফর্ম কে কোনো কাজে লাগাতে পারবেন কিনা। চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

টুইটার কি কাজে ব্যবহার করা হয়? 

এখন টুইটার সম্পর্কে এতো কিছু জানার পর আপনার মনে নানা রকম প্রশ্ন জাগতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রশ্ন হলো, বর্তমান বিশ্বে এত গুলো সোশ্যাল মিডিয়া থাকার পরও কেন আপনি টুইটার ব্যবহার করবেন।

এতে আপনি আলাদা কোনো বেনিফিট পাবেন কিনা।

আপনি আরো পড়ুন…

সহজ কথায় বলতে গেলে, টুইটার হলো একটি Micro Blogging Social Networking প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে আপনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেলিব্রিটি, বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন।

আর যদি টুইটার এর কাজ গুলো অন্যভাবে বলার চেস্টা করি। তাহলে বলতে হবে, টুইটার হলো এমন এক ধরনের আধুনিক প্লাটফর্ম।

যাকে কেন্দ্র করে আপনি নিজের মনের না বলা কথা, বিচার বিবেচনা, নিত্য নতুন খবরা খবর গুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

সত্যি বলতে আজকের দিনে প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ এভাবেই টুইটার এ নতুন নতুন Twittes এর মাধ্যমে নতুন নতুন তথ্য শেয়ার করছেন।

আর শেয়ার করা এই তথ্য গুলো আপনার বা আমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ শেয়ার করা সেই তথ্য গুলো নিয়মিত পড়ছেন।

তবে শুধুমাএ মনের ভাব প্রকাশ করার মাধ্যমেই এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ নেই। বরং আপনি টুইটার কে আরও অনেক ধরনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

তো চলুন এবার সে সম্পর্কে একটু করে জেনে নেয়া যাক। 

Reason For Using Twitter 

এবার আমরা জানবো যে, বর্তমানে টুইটার এর বিলিয়ন বিলিয়ন ইউজার রয়েছে। তারা আসলে কি কারনে টুইটার ব্যবহার করছে। এবং এই প্লাটফর্ম থেকে আলাদা ভাবে কি ধরনের বেনিফিট পাচ্ছে।

এবার সে নিয়ে আলোচনা করবো। 

Reason-1: যদি আপনার কোনো ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল অথবা কোনো অনলাইন শপ থাকে। তাহলে আপনি এই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সেগুলোর প্রোমোশন করাতে পারবেন।

এতে করে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে।

Reason-2: আপনি এই প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকা মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। এবং তাদের সাথে নিজের মতামত বা অনুভূতিকে শেয়ার করতে পারবেন।

Reason-3: বর্তমান বিশ্বে অনেক জনপ্রিয় ও বিখ্যাত কিছু ব্যক্তি আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি, যারা তাদেরকে নিজের আইডল মনে করি।

এখন আপনি যদি তাদের নিয়মিত আপডেট পেতে চান। তাহলে আপনি টুইটার এর মাধ্যমে এই কাজগুলো খুব সহজেই করে নিতে পারবেন।

Reason-4: বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের খবরা খবর সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। মনে করুন আপনি দেশে থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খোজ খবর রাখতে পারবেন ৷

Reason-5: আপনার নিজের কাছে থাকা কোনো তথ্য বা খবর থাকলে তা উক্ত প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে লাখো মানুষের কাছে শেয়ার করতে পারবেন। 

কিভাবে টুইটার ব্যবহার করবেন? 

যাক এতোক্ষন ধরে আমরা Twitter সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। তো এই তথ্য গুলো আপনি তখনি কাজে লাগাতে পারবেন। যখন আপনি নিজে এই সোশ্যাল মিডিয়া টি ব্যবহার করবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কিভাবে আপনি টুইটার ব্যবহার করবেন। এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

তো যদি আপনি বিশ্বের জনপ্রিয় এই সোশ্যাল প্লাটফর্ম টি ব্যবহার করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে। কারন যতোক্ষন না আপনার একটি একাউন্ট না থাকবে।

আপনি ততোক্ষন এই প্লাটফর্ম কে ব্যবহার করতে পারবেন না।

সেজন্য সবার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, কিভাবে আপনি একটি Twitter Account Create করবেন। 

টুইটার একাউন্ট খুলার নিয়ম

যদি আপনি একটি টুইটার একাউন্ট তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে মনোযোগ দিয়ে নিচে উল্লেখিত স্টেপ গুলো পড়তে হবে। এবং সেই অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।

STEP-1: সবার আগে আপনাকে একটি ব্রাউজারে এর সাহায্য Twitter.com এ যেতে হবে। অথবা আপনি চাইলে সরাসরি তাদের অফিশিয়াল এপস কে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

STEP-2: এবার আপনি যখন টুইটারে প্রথম প্রবেশ করবেন। তখন আপনি Sign Up নামের একটি বাটন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই বাটনে ক্লিক করতে হবে।

STEP-3: এবার আপনি Full Name নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। মনে রাখবেন আপনি এখানে যে নাম দিবেন। সেটি আপনার Profile এ শো করবে।

তবে মজার বিষয় হলো আপনি এখানে আপনার ইচ্ছামতো নাম পরিবর্তন করতে পারবেন।

STEP-4: নাম দেয়ার পর আপনার পারসোনার Mobile নম্বর দিয়ে ভেরিফাই করে নিতে হবে। চেস্টা করবেন এখানে আপনার সচল নম্বরটি ব্যবহার করার।

তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার একাউন্ট কে যেকোনো প্রয়োজন এ Recovery করে নিতে পারবেন।

STEP-5: যখন আপনি সঠিকভাবে আপনার মোবাইল নম্বর টি ভেরিফাই করে নিবেন। তখন আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। মনে রাখবেন এখানে আপনি একটি শক্তিশালী Password দেয়ার চেস্টা করবেন।

তাহলে আপনার একাউন্টটি আর কেউ হ্যাক করতে পারবে না।

STEP-6: এই কাজ গুলো শেষ করার পর টুইটার আপনার পছন্দের বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চাইবে। এখানে আপনি সেই সব বিষয় গুলোকে সিলেক্ট করবেন। যে গুলোর প্রতি আপনি যথেষ্ট আগ্রহী। 

ব্যাস! আপনি যদি উপরোক্ত স্টেপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করেন। তাহলে আপনি মাএ কয়েক মিনিট এর মধ্যে খুব সহজেই একটা Twitter Account Create করে নিতে পারবেন। 

টুইটার মার্কেটিং কি? 

যাক এতোক্ষনে আমরা জানতে পারলাম যে, টুইটার কি এবং কেন আপনি টুইটার ব্যবহার করবেন। এবং পরবর্তীতে আমরা জানলাম যে, আপনি কিভাবে একটি Twitter Account Create করবেন।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার আমি আলোচনা করবো, Twitter Marketing সম্পর্কে।

এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই উপরের সবগুলো বিষয় তো ভালোভাবেই বুঝলাম। কিন্তুু টুইটার মার্কেটিং আবার কি জিনিস? তাহলে শুনুন, 

যখন আপনি আপনার কোনো বিজনেস বা পন্যকে টুইটারের মাধ্যমে মার্কেটিং করবেন। সহজ কথায় তাকে বলা হবে Twitter Marketing.

এখানে আপনি অনায়াসে যেকোনো বিজনেস এর মার্কেটিং করতে পারবেন।

মনে করুন, আপনার একটি পুরাতন মোবাইল কেনা বেচা করার একটি অনলাইন শপ আছে। এখন আপনি চাচ্ছেন যে, আপনার সেই Online Shop সম্পর্কে যেন আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ জানতে পারে।

সেক্ষেএে আপনি আপনার শপের জন্য টুইটারে গিয়ে প্রোমোশন করলেন। এবং এই পদ্ধতিকে বলা হবে, Twitter Marketing. 

কেন টুইটার মার্কেটিং করবেন?

এবার আমাদের জানতে হবে যে, বর্তমান বিশ্বে তো এমন অনেক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট আছে। তাহলে সেই ওয়েবসাইট গুলো কে ছেড়ে আমরা কিসের জন্য টুইটার এ গিয়ে মার্কেটিং করবো?  এখানে কি কি সুবিধা রয়েছে।

তো যদি আপনি উপরোক্ত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন ৷

তাহলে আপনি এতোক্ষনে জেনে গেছেন যে, বর্তমানে অন্যান্য সোশ্যাল সাইট গুলোর মতো টুইটারেও কিন্তুু বিলিয়ন বিলিয়ন ইউজার রয়েছে।

আর যতোই দিন অতিবাহিত হচ্ছে, এই প্লাটফর্ম এর ইউজার এর সংখ্যা দিন কে দিন বেড়েই চলেছে। আর কোনো পন্য বা বিজনেস এর মার্কেটিং করার জন্য কাস্টমার এর কোনো বিকল্প নেই।

আর আপনি খুব সহজেই আপনার টার্গেট করা কাস্টমার গুলোকে Twitter এ খুজে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার বিজনেস এর জন্য যে পরিমান কাস্টমার প্রয়োজন হবে।

সেগুলোকে খুজে নেয়ার জন্য টুইটার হবে একমাএ সহজ উপায়। 

কিভাবে টুইটার মার্কেটিং করবেন? 

সবশেষে আমরা জানবো যে, আপনি যে টুইটার মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন৷ সেই মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া গুলো কি কি। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় গুলো জেনে নেয়া যাক।

তো যদি আপনি এই মার্কেটিং এর সাথে নিজেকে যুক্ত করাতে চান। তাহলে সবার আগে আপনার একটি Twitter Account লাগবে। কারন যতোক্ষন না আপনার একটি একাউন্ট থাকবে।

ততোক্ষণ আপনি এই প্লাটফর্ম এর কোনো ফিচার এর পূর্নাঙ্গ ব্যবহার করতে পারবেন না।

আপনি আরো পড়ুন…

আর কিভাবে আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। সে সম্পর্কে উপরেই আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সেই লেখাটি স্কিপ করে থাকেন। তাহলে পুনরায় আবার সেই লেখাটি পড়ুন।

[💡NOTE: যখন আপনি টুইটারে মার্কেটিং করার জন্য নতুন একটি Account Create করবেন  তখন চেস্টা করবেন প্রোফাইল এর নাম অর্থ্যাৎ, Full Name টি আপনার বিজনেস বা পন্যের নাম দেয়ার।

এর ফলে মানুষ খুব সহজেই আপনার নিকট পৌঁছাতে পারবে।

এরপর আপনার প্রধান কাজ হবে আপনি যে পন্য বা বিজনেস এর মার্কেটিং করতে চান৷ সেই পন্য সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আপনার প্রোফাইলে টুইট (Twittes) করা।

এর ফলে কেউ যদি আপনার Profile ভিজিট করে। তাহলে যেন তারা আপনার সম্পর্কে বুঝতে পারে।

এছাড়াও আপনি যদি খুব দ্রুততার সাথে মার্কেটিং করে টুইটার থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনি Paid Promotion করাতে পারবেন।

এর ফলে আপনি খুব দ্রুত হিউজ পরিমান অডিয়্যান্স এর নিক পৌঁছাতে পারবেন। 

আমাদের শেষকথা

আশা করি আপনি এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। এবং যদি আপনি এই আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে আমার বিশ্বাস আপনি “টুইটার কি ” কেন আপনার টুইটার ব্যবহার করা উচিত” টুইটার মার্কেটিং কি – এই বিষয় গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন।

এরপরও যদি আপনার কোনো প্রকার সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে প্লিজ আপনার সমস্যা গুলো কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আপনার কমেন্ট এর অপেক্ষা তে থাকবো।

বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

1 thought on “টুইটার মার্কেটিং কি ? – কিভাবে টুইটার মার্কেটিং করতে হয় ?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top