স্টোরেজ ডিভাইস কি | স্টোরেজ ডিভাইস কয় প্রকার | What is storage device in Bengali

স্টোরেজ ডিভাইস কি :  Storage device কাকে বলে ? আমরা যারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা মোবাইল ব্যবহার করি তারা অবশ্যই স্টোরেজ ডিভাইস এর সাথে পরিচিত।

স্টোরেজ ডিভাইস কি | স্টোরেজ ডিভাইস কয় প্রকার | What is storage device in Bengali
স্টোরেজ ডিভাইস কি | স্টোরেজ ডিভাইস কয় প্রকার | What is storage device in Bengali

কারণ আমাদের ব্যবহার করা এইসব ইলেকট্রিক পণ্য গুলো তে অবশ্যই স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যে ডিভাইসটির মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো কে সংরক্ষণ করতে পারি।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই সংরক্ষণ করা ডাটা গুলো কে আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে অন্যান্য ডিভাইস স্থানান্তর করতে পারি।

তবে শুধুমাত্র ডেটা স্থানান্তর করার ক্ষেত্রেই নয় বরং এই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ডাটা গুলোকে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভাবে সুরক্ষার সাথে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।

তো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এখনো জানেনা যে স্টোরেজ ডিভাইস কি (what is storage device in bangla) এবং স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার।

তো সেই সব মানুষদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি স্টোরেজ ডিভাইস কী বা স্টোরেজ ডিভাইস কাকে বলে তা নিয়ে আলোচনা করবো।

এবং এর পাশাপাশি এই রিলেটেড যেসব অজানা বিষয় রয়েছে, সেই সবগুলো বিষয় নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি আরোও দেখুন…

তো চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক যে স্টোরেজ ডিভাইস কি (storage device কি) এবং কত প্রকার ।

শুরুতেই একটা কথা বলবো যদি আপনি স্টোরেজ ডিভাইস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

তাহলে স্টোরেজ ডিভাইস  রিলেটেড আপনার মনে যে সব অজানা বিষয় রয়েছে, তার সবগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

স্টোরেজ ডিভাইস কি |  What is storage device in Bengali

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি স্টোরেজ ডিভাইস রিলেটেড যাবতীয় বিষয়কে খুব সহজভাবে জানতে পারবেন।

তবে সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে স্টোরেজ ডিভাইস কি। এবং এই বিষয়টি জানার পরে আপনাকে পরবর্তী বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

তো চলুন সবার আগে জেনে নেওয়া যাক যে স্টোরেজ ডিভাইস কি (storage device ki)। এতে করে আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে স্টোরেজ ডিভাইস হল এমন এক ধরনের ডিভাইস যেখানে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো কে স্টোর করে রাখতে পারি।

মূলত এই বিশেষ ডিভাইসটি হলো কোন ইলেকট্রিক পণ্যের হার্ডওয়্যারের কম্পনেন্ট। যেখানে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করতে পারি।

এবং এই সংরক্ষিত ডাটা গুলোকে পরবর্তী সময়ে আমরা আমাদের কাজে ব্যবহার করতে পারি। মূলত হার্ডওয়ারে থাকা বিশেষ এই ধরনের কম্পনেন্ট কে বলা হয়ে থাকে স্টোরেজ ডিভাইস।

স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি (Types of storage device)

স্টোরেজ ডিভাইস কি সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন। আশা করি আলোচিত এই আলোচনা টি আপনি বেশ ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন।

তো এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সেটি হল যে এই স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি

চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার এবং সেই প্রকারভেদ গুলো আসলে কি কি।

তবে শুরুতেই একটা কথা বলে রাখা ভালো যে বর্তমান সময়ে আপনি মোট দুই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস দেখতে পারবেন সেগুলো হলো:

Primary storage device | প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস

মূলত স্টোরেজ ডিভাইস এর প্রথম ভাগের নাম হল প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস। আমরা আমাদের ইলেকট্রিক পণ্য গুলোতে স্টোরেজ নামক একটি কম্পিউটার অথবা মোবাইল কম্পনেন্ট ব্যবহার করে থাকি।

মূলত এই ধরনের ডিভাইসের মাধ্যমে আমাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর ডেটা জমা হয়ে থাকে।

এবং এই ডেটা গুলো ততক্ষণ অব্দি প্রসেসিং হতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সেই ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো চলমান থাকে।

যেমন ধরুন আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের কথা। আমাদের প্রত্যেক টা স্মার্টফোনে কিন্তু Ram ব্যবহার করা হয়ে থাকে।মূলত এই ram এর মাধ্যমে আমাদের প্রতিটা ফোনের চলমান অবস্থায় ডাটা গুলো জমা হয়।

এবং যখন আমরা আমাদের স্মার্টফোন গুলো বন্ধ করে দেই, ঠিক তার পরেই কিন্তু এই জমা রাখার ডাটাগুলোকে অটোমেটিক মুছে ফেলে দেয়।

এই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস গুলো কে বলা হয়ে থাকে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস। 

Secondary storage device | সেকেন্ডারী স্টোরেজ ডিভাইস

একটি স্টোরেজ ডিভাইসের দ্বিতীয় যে প্রকারভেদ রয়েছে সেটি হল সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস। প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস ফোন অথবা কম্পিউটার বন্ধ করার সাথে সাথেই জমা করা ডাটা গুলোকে মুছে ফেলে না।

বরং এই স্টোরেজ ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার সংরক্ষণ করা ডাটা গুলোকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আমাদের মেমোরি কার্ড এর কথা। আমরা আমাদের স্মার্টফোন গুলো তে যেসব মেমোরি কার্ড ব্যবহার করি, সেই মেমোরি কার্ড গুলোতে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো সেভ করে রাখতে পারি।

এবং এই ডেটাগুলো আমরা তো ততদিন পর্যন্ত জমা করে রাখতে পারব, যতদিন আমাদের ইচ্ছে থাকবে।

তো এই ধরণের দীর্ঘদিন জমা করার মত স্টোরেজ ডিভাইস  গুলোকে বলা হয়ে থাকে সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস।

স্টোরেজ ডিভাইস এর কাজ কি ?

উপরের আলোচনা থেকে স্টোরেজ ডিভাইস কি এবং স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার, সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তো এই বিষয় গুলো জানা পড়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, আমরা যেসব স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করি, আসলে সেই ডিভাইস গুলোর কাজ কি!

অর্থাৎ আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদি আপনার মনে ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে আপনাকে নিচের আলোচিত আলোচনায় নজর রাখতে হবে।

তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আমাদের ডিভাইস গুলোতে ব্যবহার করা স্টোরেজ ডিভাইস গুলোর কাজ কি।

দেখুন আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করছেন কিংবা মোবাইল ব্যবহার করেছেন সেটা বড় কথা নয়, বরং আপনার হাতে থাকা ইলেকট্রিক ডিভাইস টির জন্য অবশ্যই স্টোরেজ ডিভাইস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কারণ যদি আপনার সেই ডিভাইস গুলোতে স্টোরেজ ডিভাইস না থাকে, তাহলে কিন্তু আপনি আপনার সেই ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না।

যেমন ধরুন, আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের কথা যদি Ram না থাকতো, তাহলে কিন্তু আপনি সেই ফোন দিয়ে ততো বেশি কাজ করতে পারবেন না যতটা আপনি আজকের দিনে করতে পারছেন।

আবার ধরুন মেমোরি কার্ড এর কথা, যদি আজকের দিনে মেমোরি কার্ড না থাকতো, তাহলে কিন্তু আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলোকে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন পারতেন না।

এই ধরনের ডিভাইস গুলোর মূল কাজ হলো আপনার ইলেকট্রিক ডিভাইস এ থাকা বিভিন্ন ধরনের ডাটা কে ক্ষণস্থায়ী কিংবা দীর্ঘস্থায়ীর জন্য সংরক্ষণ করে রাখা।

আর এই কাজের জন্যই মূলত বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো তে বিভিন্ন ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কম্পিউটারের প্রধান স্টোরেজ ডিভাইস কোনটি?

আশাকরি আর্টিকেলের এ পর্যন্ত আসার পর আপনার মনে আর স্টোরেজ ডিভাইস কি এবং স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি! সে সম্পর্কে আপনার মনে আর কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

কারণ উপরে আমি এই বিষয় গুলোকে খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।

তো এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে থাকতে পারে যে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় সেই কম্পিউটার গুলো তে অবশ্যই স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু একটি কম্পিউটারের ক্ষেত্রে তার প্রধান স্টোরেজ ডিভাইস কোনটি! স্টোরেজ ডিভাইস এর উদাহরণ দিলে আপনি বুঝতে সহজ হবে।

আপনি আরোও পড়ুন…

আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আপনাকে এক কথায় বলে দিব যে, আমরা আমাদের যেসব কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করি।

সেই ডিভাইস গুলোতে মূলত হার্ডডিস্ক নামক ডিভাইস কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং এর পাশাপাশি ক্ষণস্থায়ী মেমোরি হিসেবে প্রতিটা কম্পিউটারে Ram ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর মূলত এই একেই বলা হয়ে থাকে কম্পিউটারের প্রধান স্টোরেজ ডিভাইস।

সবচেয়ে বড় স্টোরেজ ডিভাইসের নাম কি?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকে যে, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্টোরেজ ডিভাইসের নাম কি।

তবে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক মানুষ গুগলের সার্চ করলেও এ সম্পর্কে কিন্তু আপনি google-এ তেমন কোনো তথ্য পাবেন না। কারণ এ বিষয়ে বাংলা ব্লগ গুলোতে সেরকম কোন কিছু আলোচনা করা হয়নি।

কিন্তু কঠিন এই প্রশ্নটির উত্তর খুবই সহজ কারণ, যেহেতু আমরা আমাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় স্টোরেজ ডিভাইসের নাম জানতে চাইলে সবার আগে যে নামটি আসবে, সেটি হল হার্ডডিক্স।

যেটি মূলত আমরা আমাদের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ ব্যবহার করে থাকি।

এবং এই ডিভাইসটির মাধ্যমে আমরা কোন একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে আমাদেরকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।

প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস এবং সেকেন্ডারী স্টোরেজ ডিভাইস এর পার্থক্য কি?

স্টোরেজ ডিভাইস কি সে সম্পর্কে জানার পাশাপাশি উপরের আলোচনা থেকে আপনি প্রধানত দুই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

সেগুলো হলো যে প্রাইমারি স্টোরেজ এবং সেকেন্ডারী স্টোরেজ। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, এই দুই ধরনের ডিভাইসের মধ্যে আসলে পার্থক্যটা কি।

মূলত এই দুই ধরনের ডিভাইস আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো কে সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন ধরুন, আমাদের ডিভাইস গুলো তে ব্যবহার করা Ram  নামক ডিভাইসটির মাধ্যমে কিন্তু আমাদের ব্যবহার করা ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর বিভিন্ন রকমের ডেটাকে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

অপরদিকে একটি হার্ডডিস্ক অথবা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে আমাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর ডেটা সংরক্ষণ করা সম্ভব।

তবে কাজের দিক থেকে মিল থাকলেও সংরক্ষণের দিক থেকে এই ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কেননা, প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস আপনার যেসব ডেটা সংরক্ষণ করে রাখবেন।

সেগুলো কিন্তু ক্ষণস্থায়ী অর্থাৎ কয়েকদিন বা কয়েক মুহুর্ত পরেই সংরক্ষণ করা সেই ডেটা গুলো কিন্তু একটা সময় হারিয়ে যাবে। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি সেই হারিয়ে যাওয়া ডেটা কে ফেরত পাবেন না।

অপরদিকে সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস এর মাধ্যমে আপনার সংরক্ষণ করার ডাটা গুলো কে আপনি চিরস্থায়ী ভাবে রাখতে পারবেন।

অর্থাৎ এই ডিভাইসে যদি আপনি আপনার প্রয়োজনে তাকে সংরক্ষণ করে রাখেন, তাহলে তা আপনি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারবেন।

মূলত এই দুই ধরনের ডিভাইস এর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটি হল একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং অন্যটি হলো ক্ষণস্থায়ী।

আউটপুট ডিভাইস কি ?

স্টোরেজ ডিভাইস কি সে সম্পর্কে জানার পর আপনাকে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সেটি হল যে আউটপুট ডিভাইস অথবা আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে!

কারণ আমাদের ব্যবহার করা ইলেকট্রনিক পণ্য গুলোতে আউটপুট ডিভাইস বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সহজ কথায় বলতে গেলে আমরা আমাদের এইসব ইলেকট্রনিক পণ্য গুলো তে ইনপুট প্রদান করি এবং ইনপুট প্রদান করার পরে বিভিন্ন প্রসেসিং হওয়ার পরে যা ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পাই।

সেগুলো কে বলা হয় আউটপুট, আর যেসব ডিভাইসের মাধ্যমে এই প্রসেসিং এর কাজ গুলো করা হয়, সেগুলো কে বলা হয় আউটপুট ডিভাইস।

যেমন ধরুন আপনি আপনার পিসিকে চালু করবেন চালু করার পর যখন কোনো কাজ করবেন সে কাজগুলো কিন্তু আপনি আপনার কম্পিউটারের মনিটরের স্ক্রিনে দেখতে পারবেন।

এখন কম্পিউটারের মনিটরের স্ক্রিন কে বলা হয়ে থাকে আউটপুট ডিভাইস। যেখানে আপনি আপনার কাজের ফলাফল গুলো দেখতে পারবেন।

ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি?

ডিভাইস এই শব্দটি যখন আপনি শুনে থাকবেন তখন আপনার মনে আরো একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে যে, একটি ডিভাইস আসলে কত প্রকারের হয়ে থাকে।

তো আপনার মনে যদি এই প্রশ্নটি জেগে থাকে তাহলে আপনাকে বলবো যে আমাদের ব্যবহার করা ইলেকট্রিক পণ্যগুলোতে মূলত দুই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রথমটি হলো ইনপুট ডিভাইস  এবং দ্বিতীয় ডিভাইসটির নাম হল আউটপুট ডিভাইস। এই ধরনের সাহায্য আমরা আমাদের ব্যবহার করা ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার করতে পারি।

স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না কোন ট্রান্সমিশনে?

বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন যা মূলত আপনার জেনে নেওয়াটা বেশ জরুরি একটা বিষয়। কারণ এই প্রথম প্রশ্নটা কিন্তু বিসিএস পরীক্ষাতেও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।

আর সেই প্রশ্নটা হল যে স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না কোন ট্রান্সমিশনে।

তো যদি কখনো আপনাকে এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরটি হবে যে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে কোন ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে না।

মূলত অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন গুলো স্টোরেজ ডিভাইস ছাড়াই কাজ করতে পারে।

মেমোরি ও স্টোরেজ ডিভাইসের পার্থক্য কি?

মেমরি এবং স্টোরেজ ডিভাইস উভয়ই ডেটা Save করতে ব্যবহৃত হয় তবে তারা বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে। একটি মেমরি ডিভাইস অস্থায়ীভাবে ডেটা সঞ্চয় করে যখন একটি স্টোরেজ ডিভাইস স্থায়ীভাবে ডেটা সঞ্চয় করে।

মেমরি ডিভাইসগুলি সাধারণত স্টোরেজ ডিভাইসের তুলনায় দ্রুত কিন্তু তারা শুধুমাত্র সীমিত সময়ের জন্য ডেটা Save করতে পারে।

স্টোরেজ ডিভাইস মেমরি ডিভাইসের তুলনায় ধীর কিন্তু তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য ডেটা সংরক্ষণ করতে পারে।

চলুন মেমোরি ও স্টোরেজ ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা করি,

দুই ধরণের স্টোরেজ ডিভাইস রয়েছে : প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্টোরেজ ডিভাইস। প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসগুলি অস্থায়ীভাবে ডেটা  সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয় যখন সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইসগুলি স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়।

মেমরি হল এক ধরনের প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস যখন হার্ড ড্রাইভ হল এক ধরনের সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস।

মেমরি দুটি বিভাগে বিভক্ত: RAM এবং ROM. RAM এর অর্থ হল র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি এবং এটি এমন ডেটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয় যা দ্রুত অ্যাক্সেস করা যায়।

রম মানে শুধুমাত্র পঠনযোগ্য মেমরি এবং এটি এমন ডেটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয় যা পরিবর্তন করা যায় না।

তিন ধরনের RAM আছে: SRAM, DRAM এবং SDRAM. SRAM হল সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং দ্রুততম প্রকারের RAM যখন DRAM হল সবচেয়ে সাধারণ এবং সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল প্রকারের RAM.

SDRAM হল এক ধরনের RAM যেটি SRAM এবং DRAM এর মধ্যে গতি এবং খরচের দিক থেকে আলাদা।

স্টোরেজ ডিভাইস কোনটি

একটি স্টোরেজ ডিভাইস ডেটা  Save করার জন্য ব্যবহৃত যেকোনো ধরনের মাধ্যম।

স্টোরেজ ডিভাইসগুলি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক হতে পারে এবং বর্তমানে CPU দ্বারা ব্যবহৃত হয় না এমন ডেটা ধরে রাখতে ব্যবহৃত হয়।

স্টোরেজ ডিভাইসের কিছু সাধারণ উদাহরণের মধ্যে রয়েছে হার্ড ড্রাইভ, সলিড স্টেট ড্রাইভ, অপটিক্যাল ড্রাইভ এবং ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

স্টোরেজ মিডিয়া কি

স্টোরেজ মিডিয়া যেকোনো ধরনের ডেটা স্টোরেজ ডিভাইসকে বোঝায়। এতে হার্ড ড্রাইভ এবং এসএসডি থেকে শুরু করে সিডি ডিভিডি এবং এমনকি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ পর্যন্ত সবকিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

স্টোরেজ মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে পরবর্তী ব্যবহারের জন্য ডেটা সংরক্ষণ করতে দেয়।

স্টোরেজ ডিভাইস কি নিয়ে আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি স্টোরেজ ডিভাইস কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

কারণ স্টোরেজ ডিভাইস কি সেটি জানা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

আশা করি আজকের আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি স্টোরেজ ডিভাইস কি সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার মনে এ সম্পর্কিত কোন অজানা বিষয় থাকে। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার।

আর আপনি যদি এমন সব অজানা বিষয় গুলোকে সহজ ভাষায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। আর্টিকেল এর এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top