SSD কি ? এসএসডি এর কাজ ও সুবিধা সম্পর্কে জানুন

SSD কি ? (What is in bangla) কেন আপনি SSD ব্যবহার করবেন? – এই বিষয় গুলো যদি জানতে চান। তবে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন।

SSD কি ? এসএসডি এর কাজ ও সুবিধা সম্পর্কে জানুন
SSD কি ? এসএসডি এর কাজ ও সুবিধা

কেননা, আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি SSD কি তা নিয়ে একবারে বিষদভাবে আলোচনা করবো।

যখন আপনি কোনো নতুন কম্পিউটার কিনতে যাবেন তখন আপনি অবশ্যই SSD সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কেননা পূর্বের তুলনায় আজকের দিনের কম্পিউটার ডিভাইস গুলোকে অনেক বেশি উন্নত করা হচ্ছে। আর সে কারনে কম্পিউটারে ব্যবহার করা ডিভাইস গুলোর মধ্যে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

মূলত ব্যবহারকারীরা যেন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই দিকটা বিশেষ নজরে রেখে আগের তুলনায় কম্পিউটার গুলোকে আরও বেশি উন্নত করা হচ্ছে।

আর একটি কম্পিউটার আসলে কত দ্রুত কাজ করতে পারবে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

তার প্রায় অনেকটা অংশ নির্ভর করবে SSD এর উপর। যার সাহায্য একটি কম্পিউটার পূর্বের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারবে।

আর সে কারনেই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

আপনি যেন জানতে পারেন যে SSD কি এবং SSD এর কাজ কি। তো আর দেরী কেন, চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। 

এসএসডি (SSD) কি?

SSD এর পূর্নরুপ  কি ? ssd full form হলো Solid State Drive.

SSD meaning in bangla যাকে সহজ ভাবে বললে বিষয়টা হবে যে, SSD হলো আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন স্টোরেজ ডিভাইস। যাকে পূর্বের তুলনায় অনেকটা মডার্ন করা হয়েছে।

যেমন, আগের দিনে আমরা আমাদের কম্পিউটার ডিভাইসে HDD ব্যবহার করতাম। এবং এই হার্ডডিস্ক গুলোতে আমাদের সমস্ত ডাটা জমা করে রাখতাম।

কিন্তুু এই HDD সংযুক্ত থাকা কম্পিউটার গুলোতে ডাটা জমা করে রাখা গেলেও এগুলো দিয়ে কম্পিউটারে তেমন দ্রুত গতিতে কাজ করা যেতনা।

অপরদিকে SSD সংযুক্ত কোনো কম্পিউটার দিয়ে যে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করা যায়। এ নিয়ে কিন্তুু কোনো প্রকার সন্দেহ নেই। 

SSD এর কাজ কি?

পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রত্যেকটি আবিস্কারের পেছনে কোনো না কোনো উদ্দেশ্য লুকায়িত থাকে। ঠিক তেমনিভাবে SSD এর বেশ কিছু কাজ আছে।

আর সে কারনেই আমরা আমাদের কম্পিউটারে HDD এর পরিবর্তে SSD ব্যবহার করে থাকি। তো চলুন এবার সেই এসএসডি এর কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক। 

০১| Computer Storage 

আমরা যেমন আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন গুলো তে ডাটা সংরক্ষন করার জন্য মেমোরি কার্ড ব্যবহার করি।

ঠিক তেমনি ভাবে কোনো একটি কম্পিউটার এর সকল ডাটা জমা রাখা এবং পরবর্তী সময়ে সেগুলোকে ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারে এক ধরনের বিশেষ মেমোরি ব্যবহার করা হয়।

তো আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার এর Data Storage হিসেবে SSD ব্যবহার করতে পারবেন।

কেননা, SSD এর মূল কাজ হলো কোনো কম্পিউটার এর সকল ডাটা কে জমা করে রাখা। 

০২|Make Computer Fast

SSD কি, এই আলোচনা তে আমি একটা কথা বলেছিলাম সেটি হলো আপনি যদি আপনার হাতে থাকা কম্পিউটারে HDD ব্যবহার না করে SSD (Soid State Drive) ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি পূর্বের তুলনায় আপনার কম্পিউটার দিয়ে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারবেন।

কারন প্রতিটা এসএসডি এর মধ্যে থাকা সেমিকন্ডাক্টর এর সাহায্য কম্পিউটারে যে কোনো কাজ অনেক কম সময়ের মধ্যে করা সম্ভব।

তাই আপনি যদি কম্পিউটার দিয়ে ভারী কোনো কাজ করতে চান। তাহলে আপনার অবশ্যই Data Storage হিসেবে SSD কে ব্যবহার করা উচিত। 

SSD কিভাবে কাজ করে ? (How SSD works)

অবাক করার মতো বিষয় হলো আমাদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা HDD বা SSD. এই দুটোর কাজ একই রকমের।

কেননা, আমরা এই দুটো ডিভাইসকে কম্পিউটার এর Data Storages হিসেবে ব্যবহার করি।

কিন্তুু পার্থক্য টা হলো ভিন্ন। কারন, একটি SSD আপনার কম্পিউটারে যত দ্রুত কাজ করতে পারবে। ততো দ্রুত একটি HDD এর পক্ষে একবারেই অসম্ভব।

এখন আপনি হয়তবা ভাবছেন যে, SSD এর মধ্যে এমন কি আছে। যার জন্য কম্পিউটার অনেক দ্রুত কাজ করতে পারবে। যদি আপনি এমনটা ভেবে থাকেন। তাহলে নিচের লেখায় চোখ রাখুন।

যদি আপনার একটি কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনার জানা থাকবে যে, Hard Disk এর ভেতরে একটি ম্যাগনেটিক ডিস্ক আছে।

এই Disk এর মূল কাজ হলো দ্রুত গতিতে ঘুরতে পারে। মূলত আপনি আপনার Computer এ যতো বেশি কাজ করবেন Hard Disk এর ভেতরে থাকা Magnetic Disk টি ততোই বেশি ঘুরতে থাকবে।

কিন্তুু আপনি যদি HDD এর বদলে SSD ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বেশ ভিন্নতা খুজে পাবেন।

কারন, এসএসডি এর ভেতরে কোনো প্রকার ম্যাগনেটিক ডিস্ক থাকেনা। বরং এসএসডি মূলত সব ধরনের কাজ Semiconductor এর মাধ্যমে করে থাকে।

আর এই সেমিকন্ডাক্টর এর মাধ্যমে একটি SSD অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে।

প্রতিটা SSD এর অভ্যন্তরে অনেক গুলো চিপস (Cheaps) লাগানো থাকে। যে চিপস গুলো দেখতে কিছুটা Ram এর মতোই দেখতে।

আর এগুলোর জন্য এসএসডিতে কোনো প্রকার ম্যাগনেটিক কয়েল এর প্রয়োজন হয়না।

এবং SSD এর মধ্যে যে সেমিকন্ডাক্টর গুলো থাকে। সেগুলোর কারনে এসএসডি কোনো একটি কম্পিউটারে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে।

তবে আরেকটা বিষয় বলে রাখা ভালো সেটি হলো আপনি SSD এর অভ্যন্তরে কোনো প্রকার Moving Parts দেখতে পারবেন না ৷

কেননা, HDD এর ভেতরে নানা ধরনের মুভিং রিড খুঁজে পাওয়া যাবে ৷ অপরদিকে আপনি এসএসডি তে কোনো ধরনের Spinning Platters, Moving Read খুজে পাবেন না। 

কখন এসএসডি ব্যবহার করবেন?

SSD কি, আশা করি উপরের আলোচনায় সে নিয়ে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন ৷ এখন এই বিষয় গুলো জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, আপনার আনলে কখন এএসএসডি ব্যবহার করা উচিত।

তো চলুন এবার তাহলে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

দেখুন আমি এটা বলছি না যে আপনি পুরোপুরি HDD ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন ৷ কারন আমরা দীর্ঘদিন থেকে আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে এইচডিডি ব্যবহার করে আসছি।

এবং কম্পিউটার এর ডাটা স্টোরেজ হিসেবে HDD এর ব্যাপক সুনামও আছে।

কিন্তুু সময়ের সাথে সাথে আপনার বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে SSD (Solid State Drive) ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে। যেমনঃ

  1. আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা তাদের হাতে থাকা কম্পিউটার দিয়ে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পছন্দ করেন।
  2. তো এইসব মানুষের জন্য SSD হবে একটি উপযুক্ত স্টোরেজ ডিভাইস। কেননা, দ্রুত গতিতে কাজ করার জন্য এসএসডি হলো উপযুক্ত একটি স্টোরেজ ডিভাইস। 
  3. অনেক সুবিধার ভিড়ে SSD ব্যবহারে বেশ কিছু অসুবিধাও আপনার নজরে আসবে। সেটি হলো HDD তে আমরা যেমন অনেক বড় সাইজের স্টোরেজ স্পেস পেতাম।
  4. সেই রকম স্টোরেজ কিন্তুু SSD এর মধ্যে পাবেন না। তো যদি আপনার কম স্টোরেজ দিয়ে কাজ করতে ভালো লেগে থাকে। তবে আপনি নিশ্চিন্তে SSD ব্যবহার করতে পারবেন। 
  5. আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম এর ডাটা গুলো আলাদা একটি স্টোরেজ ডিভাইসে রাখতে চায়।
  6. আর সেকারে আপনার যে C Drive টি আছে ৷ সেটিকে আলাদা করে SSD তে রেখে দেয়। যাতে করে সেই অপারেটিং সিস্টেমটি পূর্বের তুলনায় অনেক দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবে।
  7. চাইলে আপনিও এই কাজের জন্য SSD ব্যবহার করতে পারবেন। 
  8. আমাদের পারসোনাল কম্পিউটারে যেসব ডাটা থাকে সেগুলো কিন্তুু অনেকের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখন আপনি যদি কোনোভাবে সেই জমা রাখা Data গুলোকে হারিয়ে ফেলতে না চান।
  9. তবে আপনার জন্য SSD হবে উপযুক্ত একটি মাধ্যম। এর কারন হলো এসএসডিতে কোনো প্রকার ডাটা হারানোর ভয় থাকেনা। 
  10. আপনি যদি কম্পিউটার দিয়ে অনেক বড় বড় কাজ গুলো করতে চান। যেমন, গেমস খেলা কিংবা এডিটিং রিলেটেড কাজ করতে চান।
  11. তবে আপনাকে এই ধরনের কাজের জন্য SSD ব্যবহার করা উচিত। কারন, কম্পিউটারে এই ধরনের কাজ গুলো কোনো প্রকার ল্যাগিং ছাড়াই সম্পন্ন করার জন্য SSD এর কোনো বিকল্প নেই।

তো যদি আপনার উপরোক্ত সুবিধা গুলো ভোগ করার ইচ্ছে থাকে। এবং আপনি যদি আপনার কম্পিউটার দিয়ে নিয়মিত উপরোক্ত কাজ গুলো করে থাকেন।

তবে অবশ্যই আপনার সেই কম্পিউটার ডিভাইসে স্টোরেজ হিসেবে SSD ব্যবহার করা উচিত। 

Ssd এর সুবিধা বা কেন এসএসডি ব্যবহার করবেন?

SSD কি এটি জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি বিষয়ে ধারনা রাখতে হবে। সেটি হলো, আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে এসএসডি ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি সেই কম্পিউটার থেকে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

এবার চলুন তাহলে SSD এর সুবিধা গুলো জেনে নেয়া যাক। এই সুবিধা গুলো জানার পর আপনি বুঝতে পারবেন যে, আসলে কেন আপনার এসএসডি ব্যবহার করা উচিত।

  1. অবাক করার মতো বিষয় হলো, SSD এর কাজের গতির কোনো তুলনা হয়না। কারন একটি এসএসডি মূলত হার্ড ড্রাইভের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে। 
  2. আপনি যদি HDD ব্যবহার করে থাকেন। তবে আপনার মধ্যে কিন্তুু সেই হার্ডডিস্কে জমা থাকা ডাটা গুলো হারিয়ে যাওয়ার একটা ভয় থাকবে।
  3. অপরদিকে SSD ব্যবহার করলে আপনার ডাটা হারিয়ে যাওয়ার কোনো ভয় থাকবে না। 
  4. কোনো একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কে পরিচালনা করতে অনেক পাওয়ার এর দরকার হয়ে থাকি। কিন্তুু আপনি যদি এসএসডি ব্যবহার করেন। তবে আপনি সেই ডিভাইস কে অনেক কম পাওয়ার দিয়ে পরিচালনা করতে পারবেন। 
  5. আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, HDD তে কিন্তুু একটি চলমান ডিভাইস থাকে। যার কারনে একটা সময় গিয়ে আমাদের ব্যবহার করা HDD গুলো অকেজো হয়ে পড়ে।
  6. কিন্তুু SSD তে কোনো প্রকার চলমান ডিভাইস থাকেনা। যার কারনে SSD গুলো অনেকদিন পর্যন্ত টিকতে পারে। 
  7. যেসব মানুষ তাদের পিসির মধ্যে HDD ব্যবহার করেন। তারা ভালো করেই জানে যে, হার্ডডিস্কের মধ্যে একটা শব্দ পাওয়া যায়।
  8. কিন্তুু আপনি যদি আপনার পিসির মধ্যে SSD ব্যবহার করেন। তবে আপনি এই ধরনের কোনো শব্দ শুনতে পারবেন না। 
  9. যেহুতু এসএসডি এর মধ্যে কোনো চলমান ডিভাইস থাকেনা। যার ফলে আপনি আপনার কম্পিউটারে যতো বেশি লোড দিন না কেন এর ফলে SSD তে কোনো তাপ উৎপন্ন হবেনা।

উপরে আমি বেশ কিছু SSD এর সুবিধার কথা উল্লেখ করেছি।

আর আপনি এই ধরনের বিশেষ সুবিধা গুলো তখনি ভোগ করতে পারবেন। যখন আপনার কম্পিউটার এর মধ্যে SSD কে যুক্ত করা থাকবে। 

SSD কত প্রকার ও কি কি ? – (Types of SSD)

SSD কি – সে সম্পর্কে তো জানতে পারলেন। এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, SSD কত প্রকার।

তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের উওর দিতে পারবেন? – থাক! এই প্রশ্নের উত্তরটা  আমি দিচ্ছি। তো এবার চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক SSD কত প্রকার ও কি কি ?

আপনি যদি জানতে চান যে, এসএসডি কত প্রকার। তাহলে এর উওরে আমি বলবো, আপনি আজকের দিনে বিভিন্ন প্রকারের SSD দেখতে পারবেন।

তবে প্রতিটা এসএসডি এর দুটি বিশেষ গুন আছে। একটি হলো Speed এবং অন্যটি হলো Connectivity.

মূলত এই দুটি গুনের উপর নির্ভর করে ৪ প্রকারের SSD দেখতে পাওয়া যায়। যেমনঃ 

  1. SATA SSD 
  2. mSATA SSD
  3. M2 SSD 
  4. SSHD SSD

তো যদি আপনি এই নাম গুলো প্রথম শুনে থাকেন ৷ তবে আপনি তেমন কিছুই বুঝতে পারবেন না।

কিন্তুু আপনি যদি এই ৪ প্রকার এসএসডি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। তাহলে আপনার আর কিছুই অজানা থাকবে না।

তো এবার চলুন সেই সব প্রকারের SSD সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০১| SATA SSD কাকে বলে? 

আজকের দিনে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত এসএসডি এর নাম হলো, SATA SSD. যেটি দেখতে অনেকটা ল্যাপটপ এর হার্ড ডিস্কের মতো।

আর বর্তমান মার্কেট গুলোতে এই ধরনের SSD গুলো সবচেয়ে বেশি পাওযা যায়। এই কারনে প্রায় বেশিরভাগ পিসির মধ্যে SATA SSD ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তাছাড়া এই ধরনের এসএসডি গুলোর দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

যে কারনেই অনেকেই SATA SSD কে কম্পিউটার সিস্টেম এর মধ্যে হার্ড ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। 

০২| mSATA SSD কাকে বলে? 

আকারের দিক থেকে ছোট সাইজ হয়ে থাকে এমন এসএসডি এর নাম হলো mSATA SSD.

আমাদের কম্পিউটার এর মধ্যে যে Ram থাকে ঠিক সেরকমই দেখতে mSATA SSD গুলো। কিন্তুু আপনি চাইলেই সব ধরনের কম্পিউটারে এই ধরনের এসএসডি ব্যবহার করতে পারবেন না।

এর কারন হলো, যদি আপনার কম্পিউটারে একে ব্যবহার করতে চান।

তাহলে আপনাকে আলাদা একটি পোর্ট ব্যবহার করতে হবে। যাকে বলা হয়, mSATA Port. যার মাধ্যমে আপনি উক্ত SSD কে আপনার পিসিতে কানেক্ট করতে পারবেন। 

০৩| M.2 SSD কাকে বলে? 

কাজের দিক থেকে সুবিধা এবং দামের দিক থেকেও অধিক এমন একটি SSD এর নাম হলো M.2 মূলত একে mSATA SSD এর আপডেট ভার্সন।

কেননা, M.2 দেখতে অনেকটা mSATA SSD এর মতোই।

আর এই এসএসডি এর বিশেষ একটা গুন আছে। সেটি হলো, অন্যান্য SSD গুলোর তুলনায় M.2 অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে।

আরও একটা বিশেষ দিক হলো, আপনি mSATA ক্যাবল অথবা mSATA যেকোনো ধরনের পোর্ট দিয়ে এই M.2 SSD কে কানেক্ট করতে পারবেন। 

০৪| SSHD SSD কাকে বলে? 

অন্যান্য এসএসডি গুলোর তুলনায় SSHD একটু ভিন্ন। কারন এটি মূলত Hard Disk Drive এবং Solid State Drive এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।

যার কারনে এটিকে পুরোপুরি SSD বললেও ভুল হবে। তবে কাজের সুবিধার জন্য আপনি নিশ্চিন্তে এই SSHD SSD কে ব্যবহার করতে পারবেন। 

আপনি কি কি শিখলেন? 

আজকের এই আর্টিকেলে আমি SSD কি তা বুঝিয়ে দেয়ার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেমনঃ 

  1. Hdd এর কাজ কি?
  2. Ssd এর কাজ কি?
  3. Hdd কি?
  4. Nvme ssd কি?
  5. M 2 ssd কি?
  6. SSD price in bd
  7. Ssd কত প্রকার?

তো আপনি যদি উপরোক্ত বিষয় গুলো জানতে চান। তবে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়তে হবে ৷ নাহলে SSD কি সে সম্পর্কে আপনার জ্ঞান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। 

আপনি আরো দেখতে পারেন…

SSD কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

SSD কি এরং SSD এর সুবিধা গুলো কি কি। সে নিয়ে আজকে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করি উপরের আলোচিত বিষয়গুলো থেকে SSD কি তা বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবে এরপরও যদি আপনার এসএসডি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

আর এমন অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে হলে Bangla it blog এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top