ROM কি ? ROM এর পূর্ণরূপ কি ? কিভাবে কাজ করে (What is rom in Bengali)

ROM কি : আজকে আমরা আলোচনা করব মোবাইল এবং কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সেটি হল রোম নিয়ে।

ROM কি ? ROM এর পূর্ণরূপ কি ? কিভাবে কাজ করে (What is rom in Bengali)
ROM কি ? ROM এর পূর্ণরূপ কি

আজকে আপনি জানতে পারবেন, ROM কি বা Ram মানে কি, এবং এটি আসলে কি কারনে ব্যবহার করা হয়।

আর আপনি যদি রোম (ROM) সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন। 

দেখুন, আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি। সেগুলো তে দুই ধরনের মেমোরি থাকে। প্রথমটি হলো, 

  • Ram – র‍্যাম 
  • Rom – রোম 

তো আমরা যখন কম্পিউটার ব্যবহার করি। তার সবগুলো তে এই দুই ধরনের মেমোরি ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হলো Ram এবং Rom.

গত পোষ্টে আমি Ram কি ? আপনি যদি সেই পোষ্ট টি পড়েন। তাহলে আজকের ROM কি নিয়ে লেখা পোষ্টটি বুঝতে সুবিধা হবে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, ROM কি (what is rom in bangla) এবং কেন ROM ব্যবহার করা হয়।

হ্যালো বন্ধুরা, Banglaitblog এর নতুন একটি এপিসোডে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যদি সহজ ভাষায় ROM কি, সেটি জানতে চান।

তবে চেস্টা করবেন আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়ার। তো চলুন সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক। 

ROM কি বা ROM কাকে বলে?

তো সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে, ROM কি . কেননা, যখন আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তখন আপনার বাকি বিষয় গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

কম্পিউটারের রম কি ? কম্পিউটারে থাকা অন্যান্য ডিভাইস গুলোর মতো ROM হলো কোনো একটি কম্পিউটার এর গুরুত্বপূর্ণ একটি  পার্টস। যাকে মূলত Storage Device হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তবে ROM একটি স্টোরেজ ডিভাইস হলেও। এর মধ্যে আপনি কোনো ধরনের ডাটা জমা করে রাখতে পারবেন না।

এর প্রধান কারন হলো, ROM হলো এক ধরনের অস্থায়ী মেমোরি। যেখানে এটি তৈরি করার সময় প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো কে ইনপুট করা থাকে।

এবং পরবর্তী সময়ে আপনি যখন একটি ROM কে কোনো কম্পিউটার এর মধ্যে যুক্ত করবেন। তখন ঐ কম্পিউটার উক্ত ROM এর ভেতরে থাকা ডাটা গুলো কে পড়তে (Read) করতে পারে। 

ROM এর পূর্ণরূপ কি ?  Rom full meaning 

 What is ram full form ?  ROM যার পূর্নরুপ হলো, Read Only Memory. উপরের আলোচনা থেকে ROM কি, রোম এর কাজ কি,  সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

তো এবার আপনাকে আরো একটি নতুন বিষয়ে ধারনা রাখতে হবে। সেটি হলো, ROM এর পূর্নরুপ কি ? ROM এর পূর্নরুপ হলো, Read Only Memory.

What is ROM Meaning in Bangla ? তো সহজ ভাষায় বলতে গেলে,  যার অর্থ হলো, একটি কম্পিউটারে বা মোবাইলে এই ধরনের মেমোরি গুলোকে স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কোনো ডাটা বা ইনফরমেশন কে এই মেমোরিতে জমা করে রাখতে পারবেন না।

এর প্রধান কারন হলো, কম্পিউটারে থাকা অন্যান্য মেমোরি গুলোতে আমরা যেমন নানা রকম তথ্য জমা করে রাখি।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি কিন্তুু রোম (ROM) এর মধ্যে সেরকম কোনো ডাটা জমা করে রাখতে পারবেন না।

কারন এটি হলো কম্পিউটার এর অস্থায়ী মেমোরি। যেখানে পূর্বে থেকেই কোনো ডাটা কে ইনপুট করা থাকে। এবং সেই ডাটা গুলো অন্য কোনো কম্পিউটার শুধুমাত্র  পড়তে (Read) করতে পারে। 

ROM এর কাজ কি?

উপরে আমি Rom ki  এবং ROM এর পূর্নরুপ কি। সে নিয়ে পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন। তো এই বিষয়ে ধারনা নেযার পর আপনাকে আরো একটি বিষয়ে জানতে হবে।

আর সেই বিষয়টি হলো, ROM এর কাজ কি। তো চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 

আপনি যদি জানতে চান রম এর কাজ কি ? অথবা মোবাইলে ram এর কাজ কি তাহলে আপনি সেই প্রশ্নের উত্তরও এখান থেকেই পেয়ে যাবেন।

মনে করুন, আপনার কাছে একটি কম্পিউটার আছে। এখন আপনি যখন আপনার প্রয়োজনে আপনার কম্পিউটার এর পাওয়ার অন করেন।

তখন কিন্তু ঐ কম্পিউটার টি চালু (ON) হয়ে যায়। কিন্তুু কখনও কি আপনি ভেবে দেখেছেন, ঐ কম্পিউটারে পাওয়ার বাটন চাপ দেয়ার সাথে সাথে কিভাবে সেটি চালু হয়ে যায়?

হুমম! কোনো একটি কম্পিউটারে পাওয়ার বাটন চাপ দেয়ার সাথে সাথে যে ডিভাইস এর জন্য চালু হয়। সেই ডিভাইস এর নাম হলো, ROM.

কারন, একটি কম্পিউটারে পাওয়ার বাটন চাপ দেয়ার পর সেটিকে যে চালু হতে হবে। এই নির্দেশনা কিন্তুু ঐ ROM নামক অস্থায়ী মেমোরি টি নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

কারন এই ডাটা গুলো উক্ত মেমোরি তে পূর্বে থেকেই ইনপুট করা হয়েছে।

আর এমন অনেক নির্দেশনা গুলোকে পূর্বে থেকে ROM এর মধ্যে সেটআপ করে দেয়া থাকে।

আর এই অস্থায়ী মেমোরি তে এই ধরনের ডাটা গুলোকে Read করার পর একটি কম্পিউটার আমাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে পারে।

আর সেই কারনেই বলা যায় যে, কোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইসে থাকা পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশনা কে বহন করাই হলো ROM এর প্রধান কাজ।

আপনি যদি জানতে চান mobile rom এর কাজ কি ? তার উত্তর একটি হবে যা উপরে ইতি মধ্যে আমি আলোচনা করেছি।

ROM কিভাবে কাজ করে? 

উপরে আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ROM হলো এক ধরনের অস্থায়ী মেমোরি। যেখানে আপনি ক্ষনিক সময়ের জন্য আপনার পারসোনাল ডাটা গুলো কে জমা করে রাখতে পারবেন।

এবং যেহুতু এটা হলো এক ধরনের অস্থায়ী মেমোরি। যার ফলে এখানে জমা হওয়া কোনো ডাটা গুলো কম্পিউটার বন্ধ করার সাথে সাথে হারিয়ে যায়।

তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, ROM এর অভ্যন্তরে থাকা নতুন ডাটা গুলো যদি পরবর্তী সময়ে মুছে যায়।

তাহলে পরবর্তী সময়ে এই ROM কিভাবে কাজ করে? – চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, এই ROM আসলে কিভাবে কাজ করে।

দেখুন, একটি কম্পিউটার যেন আমাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে পারে। সেজন্য এই অস্থায়ী স্টোরেজ ডিভাইস এর মধ্যে পূর্বে থেকে কিছু ডাটা ইনপুট করে দেয়া থাকে।

যার কারনে যখন একটি কম্পিউটার বন্ধ থাকে।

এবং সেই অবস্থাতে আমরা এই ROM এর অভ্যন্তরে থাকা ডাটা গুলোর মাধ্যমেই আমরা পুনরায় কোনো বন্ধ থাকা কম্পিউটার কে চালু করতে পারি।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার গুলোর মধ্যে নানা রকম সফটওয়্যার এর ব্যবহার করা হয়।

তো এই Software গুলোকে চালানোর জন্য কম্পিউটার প্রথমে ROM থেকে ঐ সফটওয়্যার এর ডেটা গুলো কে পড়ে নেয়। এরপর RAM এর সাহায্য উক্ত সফটওয়্যার গুলো কে পরিচালনা করে থাকে।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

এরপর যখন আমরা কম্পিউটারে কোনো সফটওয়্যার কে ব্যবহার করার পর যখন উক্ত সফটওয়্যার টি বন্ধ করে দেই।

তখন সেই Software এর সমস্ত ডাটা গুলো আবার পুনরায় ROM এর মধ্যে চলে যায়।

এবং সেই কম্পিউটারে থাকা RAM নামক মেমোরি টি আবার পুনরায় খালি হয়ে যায়। আর প্রতিটা কম্পিউটারে থাকা ROM আসলে এই নিয়মে কাজ করে থাকে।

ROM কত প্রকার ও কি কি ?

এতোক্ষণে আপনি ROM কি এবং ROM এর পূর্নরুপ কি এবং রোম এর কাজ কি । তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি বিষয়ে জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো, ROM কত প্রকার ও কি কি। Rom কত প্রকারের তা জানতে চলুন এবার ROM এর প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিওি করে ROM কে মোট ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন,

  1. PROM 
  2. EPROM 
  3. EEPROM 

তবে শুধুমাত্র এই ৩ টি প্রকার জেনে বসে থাকলে হবেনা। বরং এই সবগুলো ROM এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলে আপনি এ বিষয়ে ক্লিয়ার ধারনা পাবেন। 

০১| PROM 

রম এর মধ্যে বিশেষ একটি ভাগ হলো PROM. যার পূর্নরুপ হলো, Programmable Read Only Memory.

এটি হলো বিশেষ এক প্রকারের কম্পিউটার মেমোরি। যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা বা ইনফরমেশন গুলো কে জমা করে রাখতে পারবেন।

তবে জানার বিষয় হলো, PROM এর ভেতরে শুধুমাত্র একবারের জন্য ডেটা ইনপুট করা যাবে।

আর যেহুতু আপনি শুধু একবার ডেটা ইনপুট করতে পারবেন। সেহুতু এই ধরনের মেমোরি তে ইনপুট করা কোনো ডেটা কে পরবর্তী সময়ে আর ডিলিট করা বা মুছে ফেলা যাবেনা।

বিষয়টিকে আরেকটু উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিলে আপনার বুঝতে আরেকটু সুবিধা হবে।

যেমন ধরুন, আমাদের ব্যবহার করা প্রতিটা কম্পিউটার এর মধ্যে বায়াস (Bios) বা ফার্মওয়্যার (Firmware) সফটওয়্যার থাকে।

তো যখন আমরা PROM এর মধ্যে এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো কে ইনস্টল করবো। তখন সেই ইনস্টল করা ডেটা গুলোকে মুছে ফেলতে পারবেন না।

কেননা, এই ধরনের এক্সেস PROM এর মধ্যে পাবেন না। 

০২| EPROM

রম এর মধ্যে আরো একটি বিশেষ ভাগ হলো, EPROM. যার পূর্নরুপ হলো, Erasable Programmable Read Only Memory.

তবে রম এর এই বিশেষ ভাগের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।

যেমন, PROM এর মধ্যে আপনি জেনেছেন যে, এর মধ্যে একবার কোনো ডেটা ইনপুট করার পর সেটিকে আর পরবর্তী সময়ে মুছে ফেলা যায়না।

কিন্তুু EPROM এ আপনি ইনপুট করা ডেটা গুলোকে মুছে ফেলতে পারবেন।

হুমম! EPROM এর মধ্যে বিশেষ কিছু প্রোগ্রাম  রয়েছে। যার সাহায্য আপনি প্রথমবারের মতো EPROM এর ইনপুট করা ডেটা গুলোকে প্রয়োজন এর সময় রিমুভ বা মুছে ফেলতে পারবেন।

আর বলা বাহুল্য যে, এই ধরনের রম গুলোর মধ্যে থাকা ডেটা গুলোকে মুছে ফেলার জন্য বিশেষ ধরনের Ultraviolet Rays ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার ফলে আপনি প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে EPROM এর মধ্যে ইনপুট করা ডেটাকে মুছে ফেলতে পারবেন। 

০৩| EEPROM

রম এর সর্বশেষ ভাগ এর নাম হলো, EEPROM. যার পূর্নরুপ হলো, Electrical Erasable Programmable Read Only Memory.

এই ধরনের ROM Memory গুলো অনেক বেশি পরিমানে শক্তিশালী। আজকের দিনে যতগুলো হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সেগুলো তে EEPROM ব্যবহার করা হচ্ছে।

ROM এর বৈশিষ্ট্য কি ? 

এতোক্ষন ধরে লেখাটি পড়ার পর হয়তবা আপনি বুঝে গেছেন যে, ROM একটি কম্পিউটার অস্থায়ী মেমোরি হলেও। এটি কিন্তুু সব কম্পিউটার এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টোরেজ ডিভাইস।

যাকে ছাড়া একটি কম্পিউটার তাকে দেওয়া নির্দেশনা মতো কাজ করতে পারবে না।

তো গুরুত্বপূর্ণ এই ডিভাইস ROM এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। চলুন এবার সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক। 

  1. ROM এর ভেতরে আপনি নতুন কোনো ডাটা কে ইনপুট করতে পারবেন না। বরং এর ভেতরে থাকা পূর্বনির্ধারিত ডাটা গুলো কে শুধুমাএ পড়তে পারা যায়। 
  2. একটা বিষয় বলে রাখা ভালো যে, ROM হলো একটি non volatile memory. 
  3. RAM এর তুলনায় ROM আকারের দিক থেকে অনেক ছোট হয়ে থাকে। এবং ROM এর দাম তুলনামূলক ভাবে RAM এর থেকে অনেক কম হয়ে থাকে। 
  4. ROM এর আরো একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। সেটি হলো, এটি এক প্রকারের দীর্ঘস্থায়ী মেমোরি। 
  5. আপনার কম্পিউটার কে সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য ROM কে একটি দীর্ঘস্থায়ী মেমোরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। 
  6. আপনি যখন কম্পিউটার দিয়ে নতুন কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চাইবেন। তখন সেই সফটওয়্যার কে চালু করার জন্য কম্পিউটার প্রথমে ROM এ থাকা ডাটা গুলোকে read করে। তারপর RAM এর সাহায্য একটি সফটওয়্যার কে চালু করে থাকে। 

তো একটি ROM এর অভ্যন্তরে কি কি বৈশিষ্ট থাকে। আশা করি সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

চলুন এবার ROM এর বেশ কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

ROM এর সুবিধা কি কি ? 

পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রত্যেকটি বিষয়ের কোনো না কোনো সুবিধা ও অসুবিধা আছে। ঠিক তেমনিভাবে আমরা আমাদের কম্পিউটারে ব্যবহৃত ROM এর বেশ কিছু সুবিধা আছে।

মূলত কম্পিউটারে যদি এই রম নামক ডিভাইস টি না থাকতো। তাহলে হয়তবা আমরা এই সুবিধা গুলো পেতাম না।

তো চলুন এবার ROM ব্যবহার করার বিশেষ সুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

আপনি আরো পড়তে পারেন…

  1. প্রতিটা সিস্টেমে নির্দিষ্ট কিছু Software অথবা Firmware থাকে। আর এগুলোকে প্রয়োজনে ব্যবহার করা জন্য স্টোর করে রাখতে হবে। আর এই স্টোর করার কাজটি ROM করে থাকে। 
  2. আমরা আমাদের কম্পিউটারে যে RAM ব্যবহার করি। সেগুলোর দাম খানিকটা বেশি হয়ে থাকে। কেননা, তার চেয়ে অনেক কম দামে ROM কিনতে পাওয়া যায়। 
  3. ROM এর ভেতরে থাকা ডাটা গুলোকে শুধুমাত্র রিড করা যায়। কেননা, এর মধ্যে নতুন কোনো ডাটা ইনপুট করা যায়না।
  4. এই কারনে ROM এর মধ্যে থাকা ইনপুট ডাটা গুলো হারিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকেনা। 
  5. ROM হলো এক প্রকারের Non Volatile Memory. যার কারনে আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকার পরেও আমাদের ডাটা গুলো ROM এর মধ্যে স্টোর করা থাকে। 
  6. একটি RAM.এর ভেতরে থাকা ডাটা ততোক্ষন থাকবে। যতোক্ষন আপনার কম্পিউটার টি চালু থাকবে।
  7. কিন্তুু ROM হলো এমন একটি ডিভাইস। যেখানে আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও ইনপুট ডেটা গুলো জমা থেকে যাবে। 

তো উপরের আলোচনা থেকে আপনি ROM এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। আর আমাদের ব্যবহার করা প্রতিটা কম্পিউটারে ROM এর এই সুবিধা গুলো বিদ্যমান থাকে।

যার ফলে আমরা আমাদের কম্পিউটার গুলো কে নির্দেশ মত পরিচালনা করতে পারি। 

কম্পিউটার রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য গুলো বর্ণনা করো

ROM কি আশা করা যায়, এই বিষয়ে আপনি পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন। তো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত RAM এবং ROM কে একই ডিভাইস মনে করেন। আসলে এই দুটো এক বিষয় নয়। 

Ram and rom difference in bangla? তাহলে জানার বিষয় হলো, রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য কি কি ?

চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

  1. RAM যার পূর্নরুপ হলো, Read Access Memory. আর ROM এর পূর্নরুপ হলো, Read Only Memory. 
  2. RAM এর আরো একটি নাম আছে। সেটি হলো, ভোলাটাইল মেমোরি। আর ROM এরও একটি নাম আছে। সেটি হলো, নন-ভোলাটাইল মেমোরি। 
  3. আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটারের প্রসেসর গুলো RAM এর ডেটা গুলো সরাসরি এক্সেস করতে পারে। কিন্তুু ROM এ থাকা ডেটা গুলোকে প্রসেসর সরাসরি এক্সেস করতে পারেনা। 
  4. একটি RAM এর মধ্যে যেসব প্রয়োজনীয় ডেটা থাকে। সেগুলোকে Read & Write করা যায়। কিন্তুু ROM এর ডেটা গুলো শুধুমাত্র Read করা যায়। 

তো একটি রেম এবং রোম এর মধ্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য আছে। তা আমি উপরে উল্লেখ করেছি।

আশা করি এই দুটো ডিভাইসের মধ্যে যে পার্থক্য টুকু আছে। তা আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

এই আর্টিকেল আপনি কি কি জানতে পারলেন ?

আজকের আর্টিকেলে আপনি ROM কি এবং রোম এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি এরপর থেকে আপনার ROM কি এ নিয়ে মনে কোনো প্রশ্ন জাগবে না।

কেননা, আজকের আর্টিকেলে আমি রোম নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছি। যেমন, 

  1. Rom এর কাজ কি
  2. Ram মানে কি
  3. Ram ও rom কি
  4. Rom কত প্রকার ও কি কি
  5. কম্পিউটার রেম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য গুলো বর্ণনা করো
  6. Rom এর পূর্ণরূপ কি
  7. মোবাইলে rom এর কাজ কি
  8. রম এর প্রকারভেদ

তো আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে চান। তবে উপরের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়ুন। তাহলে সবকিছু বুঝতে পারবেন। 

রোম কি নিয়ে আমাদের কিছুকথা

ROM কি এবং রোম এর কাজ কি, আশা করি আজকের আলোচনা থেকে এ দুটো বিষয়ে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

এমনি কি রম এর প্রকারভেদ নিয়ে আমি আলোচনা করেছি যাতে আপনার বোঝতে সহজ হয়।

আপনি দেখতে পারেন এই লেখা গুলা…

যদি ROM নিয়ে আরো কিছু জানার থাকে। তবে নিচে একটা কমেন্ট করে জানাবেন।

আর এমন সব অজানা বিষয় সহজ ভাষায় জানতে হলে Bangla it blog এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top