Ram কি ? Ram এর কাজ কি? র‍্যাম কিভাবে কাজ করে?

Ram কি : যখন আমরা কোনো নতুন ফোন কিনতে যাই তখন সবার আগে যে বিষয়টি দেখতে হয়।

Ram কি ? Ram এর কাজ কি? র‍্যাম কিভাবে কাজ করে?
Ram কি ? Ram এর কাজ কি? র‍্যাম কিভাবে কাজ করে?

সেটি হলো ঐ ফোনে কত জিবি RAM আছে। কারন, আমরা সবাই জানি একটি মোবাইলে যতবেশি র‍্যাম থাকবে। সেই মোবাইল টি ততো ভালো কাজ করবে।

সত্যি বলতে র‍্যাম একটি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস এর জন্য এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ। যাকে সরাসরি উক্ত ডিভাইস এর মাদারবোর্ডে সংযুক্ত করা থাকে।

এবং RAM কে ঐ ইলেকট্রনিকস ডিভাইস গুলোর অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সে কারনে র‍্যাম কে এতোটা গুরুত্বপূর্ণ দেয়া হয়ে থাকে। 

আপনি আরো দেখতে পারেন…

আর আজকে আমরা RAM নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আসলে RAM কি (what is ram in bengali) এবং RAM এর কাজ কি।

সে নিয়ে যে সমস্ত খুটিনাটি বিষয় আছে তার সবগুলো নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

তাই আপনি যদি র‍্যাম (Ram কি) সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা নিতে চান। তাহলে চেস্টা করবেন, আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়ার। 

কম্পিউটার ram কি ? (What Is Ram in Bangla)

আমরা যারা কম্পিউটারের কিংবা মোবাইল এর মতো ডিভাইস গুলো ব্যবহার করি। তারা প্রত্যেকেই RAM এর সাথে গভীরভাবে পরিচিত।

আর এই র‍্যাম যে আমাদের ডিভাইস এর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। সে বিষয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তুু ram কি ( Ram ki ), সে সম্পর্কে এখনও আমরা পরিস্কার ভাবে কিছু জানিনা।

কম্পিউটার র্যাম কি যদি জানতে চান তাহলে আপনার জন্য হতে পারে সেরা আর্টিকেল ।

RAM হলো একটি শব্দ সংক্ষেপ,  RAM যার পূর্নরুপ হলো, Random Access Memory.

তবে এই ফুলফর্ম টি বাদে র‍্যাম এর আলাদা একটি নাম আছে।

সেটি হলো কখনও কখনও RAM কে Direct Access Memory বলা হয়ে থাকে।

তবে এই ফুল মিনিং গুলো থেকে আপনি তেমন কোনো পরিস্কার ধারনা পাবেন না। চলুন বিষয়টি কে আরো একটু সহজ করে জেনে নেয়া যাক। 

দেখুন, আমরা কম্পিউটারে যেসব র্যাম ব্যবহার করি ৷ সেগুলো মূলত বিশেষ এক ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস।

যেখানে আমরা আমাদের কম্পিউটার এর প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো কে জমা করে রাখতে পারি। এবং এর ফলে আমরা কম্পিউটার কে নির্দেশ মোতাবেক দ্রুত কাজ করাতে পারি। 

Ram এর পূর্ণরূপ কি? | RAM Full Meaning

উপরের আলোচনা থেকে Ram কি, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।

কিন্তুু এটি জানার পর আপনাকে আরও একটি বিষয়ে ধারনা রাখতে হবে। সেটি হলো, RAM এর পূর্নরুপ কি। কারন আমরা যাকে মাত্র  ৩ টি শব্দের সমষ্টি হিসেবে চিনি।

তার কিন্তুু একটা পূর্নরুপ আছে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, RAM এর পূর্নরুপ হলো, Random Access Memory. তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে র‍্যাম কে আরো একটি নামের পরিচয় পাওয়া যায়।

সেটি হলো, কখনও কখনও RAM কে ডিরেক্ট এক্সেস মেমোরি (Direct Access Memory) বলা হয়ে থাকে। 

আশা করি Ram ki  এই নিয়ে আর প্রশ্ন থাকবে না তার পরও যদি র্যাম কি নিয়ে কিছু জানার থাকে আমাদের কমেন্ট বক্স আছেই।

কম্পিউটারে Ram এর কাজ কি?

আমি শুরুতেই একটা কথা বলেছি। সেটি হলো এমন কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস আছে। যেগুলোতে RAM হলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

অর্থ্যাৎ, সেই ডিভাইস গুলো তে যদি র‍্যাম কে সংযুক্ত করা না থাকে। তবে উক্ত ডিভাইস টি কোনোভাবে নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে পারবে না।

তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, কম্পিউটার RAM এর কাজ কি ? যার কারনে এই অংশটি কে এতোটা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

তো চলুন এবার Ram এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

সত্যি বলতে RAM কে ব্যবহার করার মূল উদ্দেশ্য হলো এটিকে অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা।

আমরা যেমন আমাদের কম্পিউটার ডিভাইসে থাকা সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার এর মাধ্যমে নানা রকম করি ৷

তখন এগুলোর অনেক ধরনের ডেটা এবং ইনফরমেশন জমা হয়।

আর এই ধরনের চলমান ডেটা গুলো কম্পিউটার এর যে অংশে গিয়ে জমা হয়। তাকে বলা হয়ে থাকে, RAM.

তবে একটি ডিভাইসের ডেটা জমা করে রাখার মধ্যে RAM এর কাজ শেষ নয়।

বরং জমা থাকা এই ডেটা গুলোকে প্রসেসর এর মাধ্যমে Process করাই হলো র‍্যাম এর মূল কাজ।

আর এই কারনে আমরা আমাদের নির্দেশ মোতাবেক কোনো একটি কম্পিউটার কে ব্যবহার করতে পারি।

মূলত কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে যদি RAM ব্যবহার করা না হতো। তাহলে আমরা এগুলো কে চালু (ON) করতে পারবো না।

মোবাইলে ram এর কাজ কি যদি প্রশ্ন করেন তাহলে তার উত্তর সেম আগের মতই হবে যা ইতি মধ্যে আমি উপরে আলোচনা করেছি।

Ram এর বৈশিষ্ট্য কি? 

যেহুতু Ram হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ৷ সেহুতু Ram এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট আছে। কিন্তুু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা এখনও Ram এর বৈশিষ্ট সম্পর্কে জানেনা। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

  1. Ram হলো একটি কম্পিউটার ডিভাইসে থাকা স্টোরেজ ডিভাইস। যাকে মূলত একটি অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। 
  2. কোনো একটি কম্পিউটার বা মোবাইল চালু হওয়ার পর থেকে যেসমস্ত কাজ করা হয়। তার সবগুলো ডেটা প্রথমে Ram এর মধ্যে প্রবেশ করে। 
  3.  আমাদের নির্দেশ দেওয়ার পর যে ডেটা গুলে র‍্যাম এর মধ্যে জমা হয়। সেগুলো পুনরায় প্রসেসর দিয়ে Process করা হয়ে থাকে। 
  4. আমাদের কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে ডেটা গুলো RAM এর ভেতরে জমা হয়। সেগুলো কাজ শেষে কিংবা কম্পিউটার বন্ধের পরে ঐ জমা হওয়া ডেটা গুলো অটোমেটিক মুছে যায়। 
  5. আপনার কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে RAM এর সাইজ যতো বেশি হবে। আপনি সেই ডিভাইস দিয়ে ততোবেশি Multitasking কাজ করতে পারবেন। 
  6. আপনার ডিভাইসে RAM বেশি থাকে সেই ডিভাইস টি কখনও হ্যাং বা ল্যাগ করবে না। 
  7. কাজের উপর ভিওি করে Ram এর পরিমান একেক রকমের হয়ে থাকে। যেমন, র‍্যাম সচারাচর 1GB, 2GB, 4GB, 8GB, 16GB এবং 32 GB হয়ে থাকে। 

তো এতোক্ষনে আমি RAM এর উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট নিয়ে কথা বলেছি।

আশা করি আপনি সেই বৈশিষ্ট গুলো সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক, Ram কত প্রকার ও কি কি।    

আপনি আরো  পড়তে পারেন…

গানে ছবি লাগানোর সফটওয়ার মোবাইল এবং পিসির জন্য
সিপিইউ (CPU) কি ? কিভাবে সিপিইউ কাজ করে বিস্তারিত জেনে নিন

হার্ডওয়্যার কি ? কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর পরিচিতি

Ram কত প্রকার ও কি কি ?

উপরের আলোচনায় আপনি Ram কি এবং র‍্যাম এর কাজ কি। সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

কারন এই বিষয় গুলো জেনে নেয়াটা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো এই বিষয়টির মতো আরো একটা বিষয় রয়েছে যা আপনার জেনে নেয়া দরকার।

সেটি হলো, Ram কত প্রকার ও কি কি। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

শুরুতে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, বর্তমান সময়ে কম্পিউটার বা মোবাইলের পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের ডিভাইস গুলো তে Ram ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন, Tablets, Desktop PC, Laptop, HDTV, Smartphone ইত্যাদি। তো এই ধরনের ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস গুলো ভিন্ন রকমের Ram ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তবে কাজের ও ক্ষমতার উপর ভিওি করে Ram কে মূলত ৬ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন, 

  1. Static RAM (SRAM)
  2. Dynamic RAM (DRAM)
  3. Synchronous Dynamic RAM (SDRAM)
  4. Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM (SDR DRAM)
  5. Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (DDR SDRAM, DDR2, DDR3, DDR4)
  6. Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (GDDR SDRAM, GDDR2, GDDR3, GDDR4, GDDR5)

এখন আপনি যদি এই ৬ প্রকার র‍্যাম এর নাম শুনে চলে যান।

তবে আপনি এই প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারবেন না।

কারন গুনাগুন এর উপর নির্ভর করে একেক প্রকারের RAM একেক রকমের হয়ে থাকে। তো চলুন এবার সকল প্রকার র‍্যাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০১| Static RAM (SRAM)

আমরা যেসব ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, এলসিডি ডিসপ্লে দেখতে পাই। এই উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস গুলোতে বিশেষ এক ধরনের RAM ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার নাম হলো, Static RAM. অন্যান্য র‍্যাম এর তুলনায় এই ram টি অনেক পুরোনো।

এটি সর্বপ্রথম বাজারে এসেছিলো ১৯৯০ সালে।

আর সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত Static Ram এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। যার কারনে এখনও বিপুল পরিমানে এই র‍্যামটি ব্যবহার করা হচ্ছে। 

০২| Dynamic RAM (DRAM)

ব্যবহারিক দিক থেকে অনেক পুরোনো একটি ram হলো Dynamic RAM. যার সূচনা হয়েছিলো প্রায় ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল এর মাঝামাঝি সময়ে।

আর সেই সময়ে DRAM এর অনেক প্রচলন ছিলো।

কেননা, এই ধরনের Ram গুলো নানা রকম ডিভাইসে ব্যবহার করা হতো।

যেমন, নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার, ভিডিও গেমিং কনসোল ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে DRAM ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

০৩| Synchronous Dynamic RAM (SDRAM)

আপনি যদি পুরোনো দিনে তৈরি হওয়া Ram ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনার জন্য অন্যতম একটি র‍্যাম হবে Synchronous Dynamic RAM.

কারন এটি সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়েছিলো ১৯৯৩ সালে। আর তখন থেকে এখন অবধি বিভিন্ন ধরনের কাজে Synchronous Dynamic RAM এর ব্যবহার হয়ে আসছে।

আপনি চাইলে এই র‍্যাম কে আপনার কম্পিউটার এর স্টোরেজ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।

কিংবা ভিডিও গেম কনসোল এর জন্যও এই Ram টি অনেক কার্যকরী। 

০৪| Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM (SDR DRAM)

উপরে মোট যতগুলো র‍্যাম নিয়ে কথা বলা হয়েছে তাদের থেকে একটু উন্নতমানের Ram হলো, Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM.

যেটি সর্বপ্রথম ১৯৯৩ সালে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিলো।

আর সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত সমান ভাবে এই র‍্যাম এর ব্যবহার হয়ে আসছে। কেননা, এই উন্নতমানের Ram কে আপনি বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবেন।

যেমন, ভিডিও গেমিং কনসোল থেকে শুরু করে কম্পিউটার এর অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। 

০৫| Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM

সচারাচর আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি। সেই কম্পিউটার গুলোর জন্য স্টোরেজ হিসেবে Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (DDR SDRAM, DDR2, DDR3, DDR4) হলো অন্যতম ৷

কারন, এটি হলো অনেক আধুনিক বা আপগ্রেড র‍্যাম। যা সর্বপ্রথম ২০০০ সালে সর্বসাধারন এর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

আর এই ধরনের র‍্যাম দিয়ে অনেক দ্রুততার সাথে কাজ করা যায় বলে এখন পর্যন্ত এই RAM গুলো ব্যাপক পরিমানে ব্যবহার হয়ে আসছে। 

০৬| Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM

আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি। সেই কম্পিউটার গুলোতে এক ধরনের Video Graphics ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর এই ভিডিও গ্রাফিক্সের কাজের সুবিধার জন্য বিশেষ এক ধরনের Ram ব্যবহার করা হয়। তার নাম হলো, Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (GDDR SDRAM, GDDR2, GDDR3, GDDR4, GDDR5).

সাধারনত ভিডিও গ্রাফিক্স রেন্ডারিং থেকে শুরু করে ডেডিকেটেড সিপিইউ এর কাজে এই র‍্যাম গুলো অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয়।

Ram এবং ROM এর পার্থক্য কি কি? | Difference between RAM and ROM

উপরের আলোচনায় আমি Ram কি, সে নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করেছি।

আশা করি এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি Ram কি তা নিয়ে আপনান মনে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না।

এখন আপনাকে আরো একটি বিষয়ে জানতে হবে। সেটি হলো, Ram এবং Rom এর মধ্যে পার্থক্য কি?

কারন এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত Ram এবং Rom কে একই বিষয় মনে করেন।

আদতে এই দুটোর মধ্যে যে বিস্তর ফারাক আছে। তা এখনও অনেকের কাছে অজানাই রয়ে গেছে।

তো সেই কারনে আপনাকে এই দুটোর মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে আপনার জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

কারন, Ram এবং Rom এর মধ্যে বিশেষ কিছু দিক থেকে পার্থক্য খুজে পাওয়া যায়। যেমন, 

০১| Memory Type Difference 

আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, Ram হলো এক প্রকার অস্থায়ী মেমোরি। যেখানে CPU দ্বারা যে ডেটা বা ইনফো গুলো জমা হয়।

এবং এই ডেটা গুলো একটা সময়ে নিজে থেকে মুছে যাবে। যেগুলো কে পরবর্তী সময়ে আর ফেরত পাওয়া যায়না।

অপরদিকে Rom এর ক্ষেত্রে  আপনি ঠিক বিপরীত চিত্র দেখতে পারবেন।

কেননা, Rom এর মধ্যে যে ডেটা গুলো থাকে। সেগুলো কে শুধুমাত্র রিড করা যায়। এবং Rom এর ভেতরে থাকা ডেটা গুলো কে মুছে ফেলা যায় না। 

০২| Access Permission Difference 

আমরা আমাদের ডিভাইস গুলোতে যেসব Ram ব্যবহার করি। সেই র‍্যাম এর অভ্যন্তরে যে ডেটা গুলো জমা হয়ে থাকে।

সেই ডেটা গুলোকে আপনি আপনার সুবিধামতো একের অধিকবার Read করা যায়, Write করা যায় এমনকি প্রয়োজনের সময় Erase করা যায়।

কিন্তুু Rom এর ক্ষেত্রে আপনি এই Access Permission গুলো পাবেন না। কারন, রম এর ভেতরে থাকা ডেটা গুলো শুধু রিড করা যায়।

যার কারনে Rom কে বলা হয়, Read only memory. 

০৩| Data Duration Difference 

একটি র‍্যাম এবং রম এর মধ্যে বিশেষ পার্থক্য হলো ডেটা ডিউরেশন নিয়ে।

কারন, কোনো একটি RAM এ ডিভাইস এর ডেটা গুলো ততোক্ষন স্থায়ী থাকবে। যতক্ষন উক্ত ডিভাইসে পাওয়ার (বিদ্যুৎ) সংযোগ থাকবে।

এবং বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গেলে কিংবা ঐ ডিভাইস টি বন্ধ হওয়ার পরে র‍্যাম এর ভেতরে থাকা সব ডেটা অটোমেটিক মুছে যাবে।

অপরদিকে রম হলো এক প্রকার non-volatile memory.

যেখানে জমা করা ডেটা গুলো স্থায়ী ভাবে থেকে যায়। এরফলে বিদুৎ থাকুক কিংবা আপনি উক্ত ডিভাইস কে বন্ধ করে রাখেন। এতে আপনার ডেটা হারানোর কোনো চান্স থাকবে না। 

০৪| Size & Capacity Difference 

আকার এবং কাজের গতির দিক থেকে RAM এর অবস্থান সবার উপরে রয়েছে। কারন র‍্যাম এর আকার অনেক বড় হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি আমাদের ডিভাইস গুলোতে RAM এর ধারন ক্ষমতাও অনেক গুন বেশি থাকে। এবং এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটার ডিভাইসে খুব দ্রুত কাজ করা যায়।

অপরদিকে ROM হলো আকার দিক থেকে অনেকটা ছোট এবং কম ধারনক্ষমতা সম্পন্ন একটি ডিভাইস। 

০৫| Cost Difference 

দামের দিক থেকে র‍্যাম এবং রম এর মধ্যে বিরাট একটা পার্থক্য খুজে পাবেন।

কেননা, আমরা যেসব RAM ব্যবহার করি সেগুলোর গুনগত মানের উপর ভিওি করে দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।

কিন্তুু ROM এর দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা খুজে পাবেন। কারন, রম এর দাম তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম দামের হয়ে থাকে।

কম্পিউটারে কতটুক র‍্যাম এর প্রয়োজন ?

যদি আপনার নিকট একটি কম্পিউটার থাকে, তাহলে আপনার মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে পারে। সেটি হলো, কম্পিউটারে কতটুক র‍্যাম এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর এই প্রশ্নটির উত্তর এককথায় নয় বরং এটি নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত।

তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে, আপনার কম্পিউটারে কতটুক র‍্যাম এর প্রয়োজন।

দেখুন, আপনি চাইলেই আপনার হাতের কাছে থাকা কম্পিউটার এর RAM কে বাড়িয়ে নিতে পারবেন না। কারন অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন র‍্যাম ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার অনেক উন্নতমানের হতে হবে।

কেননা, আপনার Hardware যদি লো কনফিগারেশন এর হয়ে থাকে।

তাহলে আপনি অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন র‍্যাম ব্যবহার করেও তেমন কোনো সুফল পাবেন না।

তবে আজকের দিনে অধিক সংখ্যক কম্পিউটার গুলোতে সাধারনত DDR3 এবং DDR4 র‍্যাম কে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর আপনি যদি নতুন কোনো কম্পিউটার কিনে থাকেন।

তবে আপনার সেই নতুন কম্পিউটারে অবশ্যই DDR4 র‍্যাম টি ব্যবহার করার চেস্টা করবেন। এতে করে আপনি সেই কম্পিউটারে খুব দ্রুততগতিতে কাজ করতে পারবেন। 

র‍্যাম কি নিয়ে আপনি কি কি শিখলেন?

আজকের আলোচনায় আমি Ram কি সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পাশাপাশি আরো বেশ কিছু বিষয়ে ধারনা দিয়েছি। যেমন,

  • Ram কি? 
  • র‍্যাম কাকে বলে? 
  • Ram ও rom কি?
  • কম্পিউটার ram কি?
  • ফোনের ram কি?
  • কম্পিউটার র‍্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য গুলো বর্ণনা করো
  • Ram এর কাজ কি?
  • Rom কি?
  • Ram এর পূর্ণরূপ কি?

তো আপনি যদি উপরোক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আপনাকে এই পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়তে হবে। 

 Ram  কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

আজকের আর্টিকেলে Ram কি তা নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি যারা মূলত Ram কি সে সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করেছেন।

আপনার জন্যা আরো লেখা…

তারা এ বিষয়ে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। আর এমন সব অজানা তথ্য সহজ ভাষায় জানার জন্য Banglaitblog এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ। 

অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন সেই সকল উপায় গুলা জানতে আমার ব্লগের অনলাইনে ইনকাম ক্যাটাগরি থেকে থেকে দেখে নিতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top