এনজিও কি | এর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য গুলো জানুন (What Is NGO in Bengali)

এন জি ও যাকে বলা হয়ে থাকে, নন গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন। কারণ এনজিও হলো এক ধরনের সংস্থা যারা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যকলাপ এর সাথে যুক্ত থাকে।

এনজিও কি | এর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য গুলো জানুন  (What Is NGO in Bengali)
এনজিও কি ? এর বৈশিষ্ট্য গুলো জানুন

আর এই ধরনের এনজিও নামক সংস্থা গুলো কোন ধরনের সরকারি অধীনে থাকে না। বরং তারা নিজের স্বাধীনতা মেনে কাজ করে থাকে।

সে কারণে এই ধরনের সংস্থা গুলো কে এক ধরনের সুশীল সমাজ বলা হয়ে থাকে।তো বিভিন্ন সময় আমাদের জানার প্রয়োজন হয় যে, এনজিও কি (NGO ki) এবং এই এনজিও এর কাজ কি।

আর যদি আপনার  এই বিষয় গুলো জানার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাহলে আজকের আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

কারণ আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, এনজিও কি, এনজিও এর বৈশিষ্ট্য কি। চলুন আর বেশি দেরি না করে সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

এবং NGO কি  সে  সম্পর্কে যাবতীয় অজানা তথ্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।

এনজিও কি – (What Is NGO in Bengali)

এনজিও এক ধরনের বেসরকারি অ-লাভজনক সংস্থা। যারা মূলত বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যকলাপে সরাসরি ভাবে যুক্ত থাকে।

আর যেহেতু এই ধরনের সংস্থা গুলো বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকে। সেহুতু এই সংস্থা গুলো কে সিভিল সোসাইটি বা সভ্য সমাজ বলা হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের সংস্থা গুলো কোন প্রকার সরকারি অধীনে আবদ্ধ থাকে না। বরং তারা স্বাধীন ভাবে তাদের এই কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করে থাকে।

NGO কি আশা করি এবার আপনি সেই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তবে আপনাকে আরো একটা কথা জেনে নিতে হবে।

সেটি হল, NGO  এটি একটি শব্দের সংক্ষেপে। এবং এই শব্দ সংক্ষেপ এর একটি পূর্ণরূপ রয়েছে। সেটি হল, NGO = Non Governmental Organization.

অর্থাৎ এই ধরনের সংস্থা গুলো বেসরকারি হওয়ার পরেও। সমাজের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করে থাকে।

তো এই ধরনের সংস্থা গুলো বেসরকারি এবং অ-লাভজনক সংস্থা হিসেবে পরিচিত হলেও। এনজিও তে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের বাজেট গুলো সরকারের অধীন কিংবা বিভিন্ন বেসরকারি তহবিল বা ফান্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। যে গুলো সম্পর্কে এখন আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব।

বাংলা তে এনজিও- কে কি বলে?

উপরের আলোচনা তে আপনি জানতে পারলেন যে, এনজিও কি। তবে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেটি হল, বাংলা তে এনজিও কে কি বলে। আর আপনার মনেও যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনুন…. 

বাংলা ভাষায় এনজিও বলতে আমরা সাধারণত স্বেচ্ছা সেবক সংস্থা গুলো কে চিনে থাকি। অর্থাৎ যে সকল সংস্থা গুলো কোন প্রকার লাভের আশা না করে।

স্বেচ্ছায় সমাজের কল্যাণ মূলক কাজ করে থাকে। তাদের কে আমরা বাংলা ভাষায় এনজিও বলি।

তবে একটি দেশের এনজিও অন্য আরেক টি দেশের মধ্যে এনজিও হিসেবে চিহ্নিত নাও হতে পারে। কেননা আমাদের বাংলাদেশ এর আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী।

অন্যান্য দেশের আইন মিলবে বিষয় টা কিন্তু এমন নয়। সে কারণে বাংলাদেশে কোন একটি সংস্থা কে এনজিওর প্রাধান্য দিলেও।

অন্যান্য দেশ সেই এনজিও কে সংস্থা হিসেবে মেনে নেবে বিষয়টা আসলে এমন নয়। কারণ দেশ এবং দেশের আইন অনুযায়ী এনজিও এর সংজ্ঞা গুলো পাল্টে যেতে পারে।

এনজিও গুলো কীভাবে অর্থ সংগ্রহ করে?

আমরা আলোচনার শুরুতেই জানতে পেরেছি, এনজিও কি এবং বাংলা তে এনজিও কাকে বলে। তো সেখানে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি।

এই ধরনের এনজিও বা সংস্থা গুলো সরকারের আওতায় না থাকার পরেও। এই সংস্থা গুলো তে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।

তো এখন আমাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেটি হলো, এনজিও গুলো কিভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। আর এনজিও কোথা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তার সঠিক তথ্য গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • অনুদানঃ আমাদের সমাজের মধ্যে যারা ভাল কাজ করে। তাদের কে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অনুদান প্রদান করা হয়। ঠিক তেমনি ভাবে এই ধরনের এনজিও বা সংস্থা গুলো সমাজের কল্যাণ মূলক কাজ করে।
  • সে কারণে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এই সংস্থা গুলো তে অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। যেখান থেকে এনজিও গুলো অর্থ সংগ্রহ করে।
  • সদস্য পদের মূল্যঃ যখন কোন একটি এনজিও বা সংস্থা তৈরি হয়। তখন সেখানে বিভিন্ন মানুষ সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়ে থাকে।
  • আর যখন এই সংস্থা গুলোর সদস্য হওয়ার জন্য যুক্ত হবেন। তখন আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। আর এভাবে সদস্য পদের মূল্য এর মাধ্যমেও এনজিও অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।
  • ব্যক্তিগত অনুদানঃ কোন একটি এনজিও এর অন্যতম আয় করার মাধ্যম হলো, ব্যক্তিগত অনুদান। অর্থাৎ এনজিও যেভাবে সমাজের কল্যাণ করে থাকে।
  • ঠিক তেমনি ভাবে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা ব্যক্তিগত ভাবে এই এনজিও গুলো তে অনুদান দিয়ে থাকে। আর এর ফলে এনজিও গুলোর অর্থ সংগ্রহ করার কাজটিও সম্পূর্ণ হয়।
  • পণ্য ও পরিষেবা বিক্রয়ঃ কোন একটি এনজিও এর আয়ের প্রধান উৎস হল পণ্য ও পরিষেবা বিক্রয় করা। কেননা আপনি এমন অনেক এনজিও দেখতে পারবেন।
  • যাদের বিভিন্ন প্রকারের পণ্য বা পরিষেবা রয়েছে। আর এই ধরনের মাধ্যম থেকে অধিকাংশ এনজিও গুলো প্রচুর পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। এবং এই অর্থ গুলো পরবর্তীতে সমাজ এর কল্যাণ করার জন্য ব্যয় করে।

মূলত আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে থাকা এনজিও গুলো কিভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। সে সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

তবে এর বাইরেও এনজিও এর অর্থ সংগ্রহ করার আরো বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন এনজিও কে সরকার থেকেও অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে।

এনজিও এর প্রধান ভাগ 

এনজিও কি সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পরে। এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, বলুন তো এনজিও কত প্রকার ও কি কি।

তাহলে কি আপনি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? আমি নিশ্চিত যে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর টি সম্পর্কে জানেন না। তো এনজিও কে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

আর সে গুলো হলো, অপারেশনাল এনজিও এবং অ্যাডভোকেসি এনজিও।

কারণ আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে এমন অনেক ধরনের এনজিও রয়েছে। যাদের কর্মীরা স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে কাজ করে থাকে।

অপর দিকে আপনি এমন অনেক এনজিও দেখতে পারবেন। যে সংস্থা গুলো তে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন ভুক্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আর সে কারণে বিশ্ব ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের এনজিও কে প্রধানত দুই টি ভাগে ভাগ করেছে। যেমনঃ

অপারেশনাল এনজিও

বিভিন্ন সংস্থা বা এনজিও এর বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে এমন অনেক এনজিও দেখতে পারবেন। যারা মূলত সমাজের কল্যাণ করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্প ডিজাইন করে।

এবং সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে না। ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখে।

আর এই ধরনের এনজিও গুলো কে বলা হয়ে থাকে, অপারেশনাল এনজিও।

অ্যাডভোকেসি এনজিও

একটি এনজিও তৈরি করার পেছনে বেশকিছু কারণ থাকে। তবে তার মধ্যে অন্যতম কারণ গুলো হলো, মানবাধিকার রক্ষা করা।

এবং মানবিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা। তবে আপনি এমন অনেক ধরনের এনজিও দেখতে পারবেন। যারা মূলত বিভিন্ন ধরনের কারণ কে সমর্থন করে।

এবং প্রয়োজনে প্রচার করে থাকে। আর এই ধরনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানবকল্যাণে গঠিত এনজিও গুলো কে বলা হয়, অ্যাডভোকেসি এনজিও।

এনজিও এর বৈশিষ্ট্য

আমরা জানতে পারলাম যে, এনজিও কি এবং এনজিও কিভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। আর এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এবার আমি আপনাকে এনজিও সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

আর সেটি হলো, এবার আমি আপনাকে এনজিও এর বৈশিষ্ট্য গুলো জানিয়ে দিব। অর্থাৎ একটি এনজিও গঠন করার পরে তার বৈশিষ্ট্য গুলো কেমন হয়।

সে সম্পর্কে এবার আমি আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দিব। চলুন এবার তাহলে এনজিও এর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্বেচ্ছাসেবী সমিতি

বর্তমান সময়ে আমরা মোট যত গুলো এনজিও দেখতে পাই। সে গুলো কিন্তু নির্দিষ্ট কোন জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু করেছে।

আর যারা এই ধরনের এনজিও এর সদস্য হয়। তারা আগে থেকেই বুঝতে পারে যে, এই সংস্থা গুলোর মাধ্যমে নিজের স্বেচ্ছায়। সমাজের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করতে হবে।

আর এই কাজ গুলো সফল করার জন্য এনজিও স্বেচ্ছা সেবক সমিতির দায়িত্ব পালন করে থাকে।

স্বায়ত্তশাসিত

আমরা শুরু থেকেই জানতে পেরেছি যে, এনজিও গুলো সরকারের আওতায় থাকে না। অর্থাৎ সরকারি ভাবে এই ধরনের এনজিও গুলো কে পরিচালনা করা হয় না।

যার কারণে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে প্রতিটা এনজিও তাদের স্বাধীনতা মেনে কাজ করতে পারে। এই ধরনের এনজিও গুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে বলে। এদের কে, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বলা হয়।

সেবামূলক উদ্দেশ্য

একটি এনজিও গঠন করা হয় সমাজের বিভিন্ন ধরনের সেবা মূলক উদ্দেশ্য  সাধন করার জন্য। যেমন, ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা।

পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা। এর পাশাপাশি বন্যপ্রাণী নিধন বন্ধ করার মত সামাজিক কার্যকলাপ গুলো এনজিও এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি সমাজ এর মধ্যে বসবাস করা নারীদের উন্নতির লক্ষ্যে এনজিও কাজ করে থাকে। আর এই যাবতীয় বিষয় গুলো হলো এনজিও এর সেবা মূলক উদ্দেশ্য।

নিজস্ব তহবিল

প্রায় প্রতিটা এনজিও নিজস্ব তহবিল এর উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ এই ধরনের সংস্থা গুলোর অর্থ সংগ্রহের মূল হাতিয়ার হল অনুদান।

যার মাধ্যমে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। আর বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের বে সরকারি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছেন।

যারা সরাসরি ভাবে এই ধরনের এনজিও গুলো কে অর্থ প্রদান করে অনুদান দিয়ে থাকে।

আইনগতভাবে নিবন্ধিত

আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে যে সকল এনজিও রয়েছে। সে গুলোর অধিকাংশ আইনগত ভাবে নিবন্ধিত। কারণ আমাদের দেশের আইনের মধ্যে এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যদিও বা এই ধরনের এনজিও গুলো কোন প্রকার নিবন্ধন ছাড়াই তাদের কাজ চলমান রাখতে পারবে। কিন্তু তার পরেও দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে।

আপনি আরোও দেখতে পারবেন…

আমাদের বাংলাদেশের এনজিও গুলো আইনগত ভাবে নিজের নিবন্ধন করে নেয়। তারপরে তারা তাদের কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করে থাকে।

অ-অপরাধী সংস্থা

সমাজে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সংঘটিত হয়ে থাকে। তার মধ্যে সে কোন গুলো অপরাধ মূলক কাজ আবার কোন গুলো নিরপরাধ কাজ।

তো আমরা যে সকল এনজিও গুলো কে দেখতে পাই। তারা কোন ভাবেই এই ধরনের অপরাধ মূলক কাজের সাথে লিপ্ত হয় না। বরং এই ধরনের অপরাধ যেন সংঘটিত না হয়। এনজিও গুলো সে উদ্দেশ্যে কাজ করে থাকে।

কাজকর্মে অ-লাভজনক

বিভিন্ন ধরনের সংস্থা নিজের স্বার্থের বিনিময়ে কাজ করলেও। আমরা যে সকল এনজিও দেখতে পাই। তারা কখনোই এই স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয় না।

বরং তারা যে সকল কাজ করে। সে গুলো তে কোন ধরনের লাভ করার সুযোগ থাকে না।

উল্টো এই এনজিও গুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা অর্থ গুলো কাজের ক্ষেত্রে ব্যয় করে দেয়।

যাতে করে সমাজের উন্নতি হয়, শিক্ষা খাতের উন্নতি হয়, এর পাশাপাশি পরিবেশ এর ক্ষতি হওয়া থেকে রোধ করে। সে কারণে এই ধরনের এনজিও গুলো কে বলা হয়ে থাকে, অ-লাভজনক সংস্থা।

এনজিও এর কাজ কি?

এনজিও কি সে আলোচনা তে আমি আপনাকে বলেছি। এনজিও মূলত সমাজ এর কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে।

এর পাশাপাশি আমাদের সমাজের মধ্যে যেন কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত না হয়। সেদিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।

তবে এবার আমি আপনাকে এনজিও এর কাজ গুলো কি সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানিয়ে দিব। যেন আপনার এনজিও সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা জানা থাকে।

সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করা

আপনি এনজিও এর মোট যত গুলো কাজ দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করা।

অর্থাৎ সমাজের মধ্যে যে সকল সমস্যা রয়েছে। তার সমাধান খুঁজে বের করাই হলো এনজিও গুলোর মূল উদ্দেশ্য।

সেই সাথে সমাজের মধ্যে যে সকল মানুষ খুব দুঃখ এবং দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটায়। তাদের কে নিরাপত্তা প্রদান করা এনজিও এর মূল কাজ।

নারীর ক্ষমতায়ন

আমাদের সমাজে বসবাস করা নারীদের অবদান, নারীদের গুরুত্ব ইত্যাদি গুরুত্ব  তৈরি করা হলো, এনজিও গুলোর মূল কাজ।

কেননা আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন। যাদের পরিবারে নারীদের প্রতি অত্যাচার করা হয়। নারীদের হেয় করা হয়, সেই সাথে যৌতুক এর মত একটি ভিন্ন প্রথার ব্যবহার করা হয়।

আর চলমান সময় যেন এই ধরনের নারীর প্রতি অত্যাচার না হয়, নারীর প্রতি অবিচার না হয়। সেই লক্ষ্যে এনজিও গুলো কাজ করে থাকে।

প্রগতিশীল উন্নয়ন

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারণ আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে থাকা বিভিন্ন এনজিও গুলো প্রগতিশীল উন্নয়নের কাজ করে থাকে।

যেমন, আমাদের পৃথিবীর মধ্যে যে সকল সম্পদ রয়েছে। সে গুলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার না করা। এর পাশাপাশি পরিবেশগত কোন মানব সৃষ্ট ক্ষতি করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি না করা।

এই যাবতীয় বিষয় গুলোর দিকে এনজিও গুলো যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর এমন অপরাধ বন্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে।

শিশুদের শিক্ষা

আমরা সবাই জানি আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু এই শিশুদের কে নিয়ে আমরা সঠিক ভাবে কাজ না করলেও।

এনজিও গুলো বিনা স্বার্থে আমাদের শিশুদের শিক্ষা প্রদানের কাজ করে থাকে। কারণ শিশুদের লেখাপড়া করার জন্য বই, খাতা, কলম সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গুলো।

এই ধরনের সংস্থা থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। যাতে করে তরুণ প্রজন্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।

যুব সমাজের উন্নয়ন করা

আপনি আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে এমন অনেক এনজিও দেখতে পারবেন। যারা মূলত সমাজের মধ্যে যুবকদের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে।

যেমন, তাদের কে বিভিন্ন প্রকারের কর্মসংস্থান প্রদান করে। তাদের প্রতিভা গুলো কে কিভাবে বিকশিত করা যায় সে উদ্দেশ্যে কাজ করে থাকে।

এর পাশাপাশি তাদের কে বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষা দানের মাধ্যমে কাজের উপযোগী করে তোলে।

প্রাণীদের সুরক্ষা দেওয়া

বনের মধ্যে কোন প্রাণী দেখা মাত্রই আমাদের মনে সেই প্রাণী কে শিকার করার কথা জাগে। কিন্তু যারা বিভিন্ন এনজিও তে কাজ করে তারা কখনোই এই কাজ টি করতে দিবে না।

আপনার জন্য আরোও আছে…

বরং তারা সর্বদাই প্রাণীদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজ করে থাকে। এর পাশাপাশি বন্য প্রাণীদের কোন প্রকারের অত্যাচার, অবিচার কিংবা নিষ্ঠুরতা বন্ধ করার জন্য অবিরাম কাজ করে যায়।

প্রতিবন্ধীদের উন্নতি করা

বিভিন্ন এনজিও এর বিভিন্ন রকমের কাজ থাকলেও। আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে থাকা এনজিও গুলো প্রতিবন্ধীদের উন্নতি করার জন্য চেষ্টা করে থাকে।

অর্থাৎ আমাদের সমাজে যারা প্রতিবন্ধী, তারা সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন হয়। কিন্তু এনজিও থেকে এই ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কিভাবে উন্নতি করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করে থাকে।

এনজিও সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাকে এনজিও কি সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছি। এর পাশাপাশি এই ধরনের এনজিও গুলো কোথা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।

এনজিও এর কাজ কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। আশা করি, আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি এনজিও সম্পর্কে সকল অজানা বিষয় গুলো জানতে পেরেছেন।

আর আপনি যদি এই ধরনের ব্যাংক কিংবা এনজিও রিলেটেড অজানা বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান।

তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।

1 thought on “এনজিও কি | এর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য গুলো জানুন (What Is NGO in Bengali)”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top