ন্যাটো কি | ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে। আমি আপনাকে জানিয়ে দিব, ন্যাটো কি (What is NATO in Bengali) এবং ন্যাটো এর উদ্দেশ্য কি।

ন্যাটো কি | ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি
ন্যাটো কি | ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি

আর আপনি যদি ন্যাটো সম্পর্কে যাবতীয় অজানা বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান। তাহলে আজকের এই লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

কারণ আজকে আমি আপনাকে NATO কি থেকে শুরু করে ন্যাটো এর যত ইতিহাস রয়েছে। তার প্রত্যেক টা ইতিহাস কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

চলুন এবার তাহলে ন্যাটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ন্যাটো কি? | NATO কি?

সবার শুরুতেই আপনাকে জানতে হবে যে, ন্যাটো কি। আর আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি বলব, ন্যাটো হলো বিশেষ এক ধরনের সংস্থা।

যার মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীতে যেন কোন ধরনের বিশ্বযুদ্ধের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। সেই বিষয় গুলোর দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা।

এর পাশাপাশি একটি দেশের সাথে অন্য আরেক টি দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বিরাজমান রাখা। কেননা আপনি যদি বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে এটা বেশ ভালো করেই বুঝতে পারবেন যে। একটি দেশের মধ্যে থাকা মূল শক্তির উৎস হলো সেই দেশের সামরিক এবং কূটনৈতিক ক্ষমতা।

মূলত এই ক্ষমতার বলে একটি দেশ নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে পারে। তবে এই ক্ষমতাকে কোন দেশ অপব্যবহার করছে কিনা।

সেই বিষয়টির দিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখার জন্য একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। যে সংস্থার নাম হলো, ন্যাটো (NATO). 

ন্যাটোর সম্পূর্ণ নাম / NATO-এর পুরো নাম কী ?

উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন, ন্যাটো কি। তো এই বিষয় টি জানার পাশাপাশি আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকবেন।

যারা আসলে জানতে চায়, NATO-এর পুরো নাম কী। এর কারণ হলো ন্যাটো একটি শব্দের সংক্ষেপ। এবং এই শব্দের একটি পূর্ণরূপ রয়েছে।

তো NATO এর ফুল মিনিং হলো, North Atlantic Treaty Organization. আর সে কারণেই অনেকেই ন্যাটো কে, নর্থ আটলান্টিক অ্যালায়েন্স নামেও ডেকে থাকে।

আশা করি এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি NATO কি এবং NATO এর পুরো নাম কি সে সম্পর্কে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

ন্যাটোর স্থাপনাকাল ও ইতিহাস

আপনি যদি অতীতের ইতিহাস দেখেন, তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে। এই পৃথিবীতে মোট দুইবার বিশ্ব যুদ্ধ হয়েছিল।

আর এই যুদ্ধ গুলো তে গোটা পৃথিবী বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। তো যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তখন বিশ্বের অনেক দেশ এটা বুঝতে পেরেছিল।

যে, এভাবে যদি যুদ্ধ করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে মানুষের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। এর পাশাপাশি বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার পরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই ক্ষয় ক্ষতি গুলো পূরণ করতে অনেক বছর লেগে যায়।

যার ফলে বিভিন্ন দেশের আর্থিক অবকাঠামো একবারে ভেঙে পড়ে। আর ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত না হয়।

সে কারণে বিভিন্ন দেশ মিলে একটি সংস্থা তৈরি করার কথা চিন্তা ভাবনা করেছিল। এবং অবশেষে তারা একটি সংস্থা তৈরি করে, যার নাম দেওয়া হয়, ন্যাটো।

এই ন্যাটোর সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে। এবং শুরুর দিকে উত্তর আমেরিকা সহ ইউরোপের মধ্যে থাকা বেশ কিছু দেশ মিলে এই সংস্থা গঠন করেছিল।

তবে এই সংস্থা শুরু হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ গুলো কে যৌথভাবে নিরাপত্তা দিয়েছিল। এবং সেই সময় এটি ছিল তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

আর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশ তাদের সামরিক এবং কূটনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কিনা। তার যাচাই-বাছাই করার কাজ করে আসছে।

ন্যাটো কেন গঠিত হয় ?

এতক্ষণের আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন যে, ন্যাটো কি। এবং আমি আপনাকে ন্যাটো এর ইতিহাস কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তো এখন আপনাকে যে বিষয় টি সম্পর্কে জানতে হবে। সেটি হল, ন্যাটো কেন গঠিত হয়। অর্থাৎ প্রত্যেক টা সংস্থা গঠন করার পেছনে কিছু না কিছু উদ্দেশ্য থাকে।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন ন্যাটো গঠন করা হয়েছিল। তখন কিন্তু বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য ছিল। আর এবার আমরা সেই উদ্দেশ্য গুলো সম্পর্কে জানব।

আপনি অবশ্যই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা জেনে থাকবেন। তো এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সোভিয়েত রাশিয়ার মতো দুটি সামরিক দিক থেকে।

আর যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঠান্ডা লড়াই চলছিল। সেই সময়ে রাশিয়ার সামরিক শক্তির ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকে। আর যখন এই শক্তি বৃদ্ধির পরিমাণ বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল।

তখন যুদ্ধের পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপ এর দিকে যাচ্ছিল। মূলত সেই সময় এই ন্যাটো গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আর ন্যাটো গঠন করার প্রথম সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছিল বিশ্বের মোট ১২ টি দেশ। সেই দেশ গুলোর নাম হলঃ

  1. বেলজিয়াম 
  2. কানাডা 
  3. ডেনমার্ক 
  4. নেদারল্যান্ড 
  5. ফ্রান্স 
  6. ইতালি 
  7. পর্তুগাল 
  8. ইউনাইটেড কিংডম 
  9. ইউনাইটেড স্টেটস 
  10. লুক্সিমবার্গ
  11. নরওয়ে
  12. আইসল্যান্ড

তো ন্যাটো গঠন হওয়ার সূচনা লগ্নে যে দেশ গুলো এই সংস্থা গঠন করার পক্ষে সম্মতি জানিয়েছিল। সেই দেশ গুলোর নাম উপরে উল্লেখ করা হলো।

এর পাশাপাশি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে, ন্যাটো কেন গঠিত হয়। আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

ন্যাটোর উদ্দেশ্য কি?

আমি উপরেই আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল প্রত্যেক টা সংস্থা গঠন করার পেছনে কোন না কোন উদ্দেশ্য থাকে।

ঠিক তেমনিভাবে যখন এই ন্যাটো নামক সংস্থার গঠন করা হয়েছিল। তখন অবশ্যই এক বা একাধিক উদ্দেশ্য কে সফল করার জন্য।

ন্যাটো নামক এই সংস্থার গঠন করা হয়েছিল। তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, ন্যাটোর উদ্দেশ্য কি। আর যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে নিচের আলোচনা গুলো তে নজর রাখুন।

দেখুন ন্যাটো এর মূল উদ্দেশ্য হলো, যারা এই সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে। এবং যারা এই সংস্থা কে সাপোর্ট করবে, তারা যৌথভাবে সামরিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে স্বাধীনতা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাবে।

আর এই বিষয় গুলো বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হলো ন্যাটো এর মূল কাজ। তবে এই ন্যাটো নামক সংস্থা কে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে।

যার ফলে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যে থাকা দেশ গুলো যেন। সামরিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে একে অপর এর প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে পারে।

এর পাশাপাশি ন্যাটো এর আরও একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটি হল, বিশ্ব শান্তি বিরাজ করা। অর্থাৎ কোনভাবে যেন একটি দেশ অন্য আরেক টি দেশের সাথে যুদ্ধ করতে না পারে।

এবং সেই যুদ্ধ যেন বিশ্বযুদ্ধে রূপান্তর না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা। এর পাশাপাশি একটি দেশ তার সামরিক এবং কূটনৈতিক ক্ষমতা কে অপব্যবহার করছে কিনা, সেদিকে নজর রাখা।

তো আশা করি এবার আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কেন ন্যাটো গঠিত হয়েছিল।

ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, ন্যাটো কি এবং ন্যাটো কেন গঠিত হয়। তো এবার আমি আপনাকে ন্যাটো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

আর সেটি হল, আমরা অনেকেই জানিনা যে ন্যাটো সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি। তো আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে না জানেন।

তাহলে আপনাকে নিচের তালিকায় নজর রাখতে হবে। এবার আমি আপনাকে দেখিয়ে দিব যে, ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি।

তবে ন্যাটো তে অন্তর্ভুক্ত থাকা দেশের তালিকা সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে একটা কথা জানতে হবে। সেটি হলো, যখন ন্যাটো এর সর্ব প্রথম সূচনা হয়েছিল।

তখন সময় ছিল ১৯৪৯ সাল। আর এই সময়ে যখন ন্যাটো নামক বিশেষ এই সংস্থার কথা তৈরি করার চিন্তা ভাবনা চলছিল। তখন বিশ্বের মোট ১২টি দেশ এই সংস্থা তৈরি করার প্রতি সম্মতি জানিয়েছিল। সেই দেশ গুলো হলো,

  1. বেলজিয়াম 
  2. কানাডা 
  3. ডেনমার্ক 
  4. নেদারল্যান্ড 
  5. ফ্রান্স 
  6. ইতালি 
  7. পর্তুগাল 
  8. ইউনাইটেড কিংডম 
  9. ইউনাইটেড স্টেটস 
  10. লুক্সিমবার্গ
  11. নরওয়ে
  12. আইসল্যান্ড

আর ন্যাটো গঠিত হওয়ার সূচনা লগ্নে যে বারো টি দেশ সম্মতি জানিয়েছিল। সেই দেশ গুলোর সাথে বর্তমানে আপনি আরো অনেক দেশের নাম দেখতে পারবেন।

যারা মূলত এই ন্যাটো নামক সংস্থার সাথে যুক্ত রয়েছে। আর অবাক করার মতো বিষয় হলো যে। বর্তমানে ন্যাটো তে মোট সদস্য দেশের সংখ্যা হল, ৩০ টি।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, ন্যাটো গঠন হওয়ার পরবর্তী সময়ে কোন কোন দেশ এই সংস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে।

  • সময় টা ছিল, ১৯৪৯ সাল। আর সেই সময়ে মোট ১২টি দেশ মিলে ন্যাটো নামক এই সংস্থা গঠন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল।
  • এর পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৫২ সালে আরও দুটি দেশ ন্যাটো তে যুক্ত হয়। সেই দেশ গুলো হলো, গ্রীস এবং টার্কি।
  • তারপরে জার্মানির মতো দেশ ১৯৫৫ সালে ন্যাটোর সাথে যুক্ত হয়।
  • তার বেশ কয়েক বছর পরে অর্থাৎ ১৯৮২ সালে স্পেন ন্যাটো সদস্য তালিকায় নাম লেখায়।
  • কিন্তু 1999 সালে বেশ কয়েক টি দেশ ন্যাটোর সাথে সংযুক্ত হয়। আর সেই দেশ গুলোর নাম হল, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং হাঙ্গেরি।
  • এর কয়েক বছর পরে ২০০৪ সালে আরো বিভিন্ন দেশ নাটোর সাথে যুক্ত হয়। যেমন, স্লোভেনিয়া, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া এবং এস্টেনিয়া, ল্যাটভিয়া।
  • এবং ২০০৯ সালে আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া এই দুটি দেশ ন্যাটোর সাথে যুক্ত হয়।
  • এবং সবশেষে আরো কয়েক টি দেশ ন্যাটোর সাথে যুক্ত হয়েছিল। সে গুলো হলো, ২০১৭ সালে মন্টেনেগ্রো এর পাশাপাশি ২০২০ সালে নর্থ ম্যাসেডোনিয়া ন্যাটোর সাথে যুক্ত হয়।

তো উপরে আপনি দেখতে পাচ্ছেন, ন্যাটোর সাথে অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলোর তালিকা। এবং আমি আপনাকে সাল সহো উল্লেখ করে দিয়েছি ।

যে, কোন সালে কোন দেশ ন্যাটো সাথে যুক্ত হয়েছিল। আশা করি এখান থেকে আপনি এটা স্পষ্ট করেই বুঝতে পারবেন যে, ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি।

ন্যাটোর কাজ কি ?

এতক্ষণের আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, ন্যাটো কি। এবং ন্যাটো গঠন করার উদ্দেশ্য কি। সেই সাথে ন্যাটো এর সাথে কোন দেশ গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সে তালিকা আমি আপনাকে প্রদান করেছি। তো এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। সেই প্রশ্ন টি হল যে, ন্যাটো এর কাজ কি।

অর্থাৎ আমরা এতক্ষন ধরে যে ন্যাটো নামক সংস্থা সম্পর্কে জানলাম। সেই সংস্থার কাজ নিয়ে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

তো আপনি যদি একান্তভাবে ন্যাটো এর কাজ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, এমন অনেক ধরনের কাজ রয়েছে।

যেগুলো ন্যাটো থেকে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। আর এবার আমি ন্যাটোর কাজ গুলো কে ধাপে ধাপে আলোচনা করব। আপনি সেই আলোচনার মাধ্যমে ন্যাটোর কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

  • রাজনৈতিক নিরাপত্তাঃ আপনার একটা বিষয় বেশ ভালো করে জেনে রাখা উচিত যে। ন্যাটো সর্বদাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কে সমর্থন করে থাকে।
  • এর পাশাপাশি একটি দেশের জন্য কি পরিমাণ রাজনৈতিক এবং সামরিক নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। সে বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। 

মূলত ন্যাটোর যুক্ত থাকা দেশ গুলোর মধ্যে যদি কোন ধরনের দাঙ্গা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। তাহলে ন্যাটোর সাথে যুক্ত থাকা সকল দেশ আলোচনায় বসবে।

এবং এ ধরনের সমস্যা গুলো কে কিভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করা যায়। তার সঠিক উপায় খুঁজে বের করবে।

  • সামরিক নিরাপত্তাঃ ন্যাটো সর্বদাই একটা কাজ করে থাকে। আর সেই কাজ টি হল, কোন দেশ যেন অন্য আরেক টি দেশের সাথে যুদ্ধ না করে।
  • এবং তারা যেন তাদের বিরোধ শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করে। তবে ন্যাটো এই উদ্দেশ্য যদি সফল না হয়। তাহলে এই সংস্থা এর সাথে যে সকল দেশ সদস্য হিসেবে যুক্ত আছে।

সেই দেশ গুলো কে যৌথভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করে। কেননা, ন্যাটোর সাথে যুক্ত থাকা সদস্য দেশ গুলো তে যদি যুদ্ধ হয়। তাহলে সেই দেশ গুলো কে সামরিক নিরাপত্তা প্রদান করার কাজটি ন্যাটো করে থাকে।

আশা করি উপরের এই আলোচনা থেকে ন্যাটোর কাজ কি সে সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। কেননা উপরে আমি ন্যাটোর কাজ গুলো কে সঠিক ভাবে উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।

চলুন এবার অন্যান্য বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ন্যাটো কেন প্রয়োজনীয় ?

NATO কি আলোচনার শুরুতেই আমি আপনাকে এই বিষয় টি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। তো এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার পরে এখন অনেকেই জানতে চাইবেন যে, ন্যাটো কেন প্রয়োজনীয়।

অর্থাৎ আমরা যে ন্যাটো নামক এই সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছি। এই সংস্থা যদি না থাকে তাহলে কি হবে। আর যদি থাকে তাহলে এই সংস্থাটির মাধ্যমে আমরা কিসের প্রয়োজন মেটাতে পারবো।

এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন ন্যাটো মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ এই সংস্থার সাথে যুক্ত থাকা দেশ গুলোর মধ্যে। রাজনৈতিক নিরাপত্তা, জনগণের নিরাপত্তা সেই সাথে স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখে।

পাশাপাশি ন্যাটো সর্বদাই গণতন্ত্র কে বিশ্বাস করে। যার কারণে ন্যাটো ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক গঠন করতে পেরেছে।

এবং যদি কোনো কারণে ন্যাটোর সাথে যুক্ত থাকা দেশ গুলোর মধ্যে ঘাত সংঘাত শুরু হয়। তাহলে ন্যাটো থেকে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।

এবং প্রয়োজন হলে সামরিক নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। কেননা ন্যাটো এর সাথে যে সকল সদস্য দেশ রয়েছে। সেই দেশ গুলোর মধ্যে একটি দেশ যদি এমন পরিস্থিতির মতো পড়ে।

তাহলে বাকি সব গুলো দেশ তাকে আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে সাহায্য করবে।

ন্যাটো কতটা শক্তিশালী ?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা ন্যাটো সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছি। যেমন, সবার শুরুতেই আমরা জেনেছি, NATO কি।

পাশাপাশি আমি আপনাকে ন্যাটো এর উদ্দেশ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তো এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, বলুন তো ন্যাটো কতটা শক্তিশালী।

তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন? থাক! আপনাকে বলতে হবে না। বরং আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি যে, ন্যাটো কতটা শক্তিশালী।

দেখুন প্রথমত আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেটি হলো, বর্তমানে ন্যাটো নামক এই সংস্থার সাথে মোট ৩০ টি দেশ যুক্ত রয়েছে।

আর এই সংস্থা থেকে যখন কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন কিন্তু প্রত্যেক টা দেশ তার  নিজের সিদ্ধান্ত কে প্রকাশ করবে।

এবং এই ৩০ টি দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। আর স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলে এটা সহজে অনুমান করা যায় যে। এই ন্যাটো যথেষ্ট শক্তিশালী কারণ এখানে একসাথে ৩০ টি দেশ যুক্ত রয়েছে।

কিন্তু এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, ন্যাটো নামক এই সংস্থাটির নিজস্ব কোন বাহিনী নেই। কিন্তু তারপরেও এই সংস্থার সাথে মোট ৩০ টি দেশ যুক্ত রয়েছে।

আর এই ৩০ টি দেশ থেকে যখন সামরিক বাহিনী দিয়ে সাহায্য করা হবে। তখন সেই দেশ টি নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে পিছুপা হবেনা।

তবে ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী তারা কখনোই তাদের সদস্য দেশ গুলো কে প্রকাশ্যে সামরিক বাহিনী দিয়ে সাহায্য করতে পারবে না। তবে সদস্য দেশ থেকে এই ধরনের সামরিক সাহায্য পাবে।

আর এই দিক থেকে বলা যায় যে, ন্যাটোর সাথে পরোক্ষ ভাবে সামরিক বাহিনী যুক্ত রয়েছে।

যদিও বা ন্যাটো নামক এই সংস্থা টি ইউরোপ, আমেরিকা এবং ইউরেশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে মিত্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করে সফল হতে পেরেছে।

সেহেতু এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ন্যাটো নামক এই সংস্থাটির শক্তির পরিমাণ কতটা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

FAQ – NATO

Q:ন্যাটো কি বাংলা?

A: NATO – এর বাংলা অর্থ হলো, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট।

Q:ন্যাটোর মুসলিম সদস্য দেশ কয়টি?

A: ন্যাটোর সাথে যুক্ত থাকা ৩০ টি সদস্য দেশের মধ্যে মুসলিম দেশের সংখ্যা শুধুমাত্র দুই (২) টি। আর সেই দেশ গুলোর নাম হল, তুরস্ক এবং আলবেনিয়া।

Q:ন্যাটোর দাপ্তরিক ভাষা কয়টি?

A: ন্যাটোর দাপ্তরিক ভাষার সংখ্যা দুইটি। আর সেই ভাষা গুলো হল, ফ্রেন্স এবং ইংরেজি।

Q:ন্যাটোর উদ্দেশ্য কী?

A: যারা মূলত ন্যাটোর সাথে সদস্য দেশ হিসেবে যুদ্ধ থাকবে। তারা যুদ্ধের পরিস্থিতির সময় এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকারের সাহায্য পাবে।

এর পাশাপাশি যদি কোন কারনে সেই দেশের সাথে অন্য কোন দেশের যুদ্ধ হয়। তাহলে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত জানতে পারবে। এটাই হলো ন্যাটো এর মূল উদ্দেশ্য।

Q:ন্যাটো কি ধরনের জোট?

A: ন্যাটো হলো উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট।

ন্যাটো সম্পর্কে আমাদের কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, ন্যাটো কি। তো আপনি যদি আজকের এই আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে আপনি NATO কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। তো এর পাশাপাশি আমি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি।

সেটি হল, ন্যাটো কতটা শক্তিশালী সে সম্পর্কে বিশদ ভাবে আলোচনা করেছি। তো আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।

আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top