নাসা কি | নাসা কোথায় অবস্থিত | Nasa full form in bengali

নাসা কি :  What is NASA in Bengali, নাসা কোথায় অবস্থিত ? মহাকাশ নিয়ে আমাদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।

এই মহাকাশে থাকা চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রের কথা যতবার শুনি, ততবারই আমাদের জ্ঞান পিপাসু মন আরো বেশি জানতে চায়।

"<yoastmark

আর এই জানার আগ্রহ থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত পাড়ি দিচ্ছেন মহাকাশের সেই অতল সাগরে। চলছে নতুন সব গবেষণা আর আমরা জানতে পারছি মহাকাশের সব অজানা তথ্যগুলো সম্পর্কে।

1909 সালে মহাকাশের গবেষণার সর্বপ্রথম সূচনা ঘটে। এবং এই গবেষণার সূচনা হয়েছিল বিজ্ঞানী গ্যালিলিও এর হাত ধরে।

কারণ তিনি হলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি কিনা টেলিস্কোপ এর প্রাথমিক সংস্করণটি ব্যবহার করেছিলেন।

আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলেও যে তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তির যে কিনা এই টেলিস্কোপ দিয়ে সর্বপ্রথম মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।

আর গ্যালিলিও এর অদ্ভুত গবেষণার ফলে জ্যোতির্বিদ্যার প্রথম আবিষ্কারক হিসেবে ধরা হয়। তবে এই সব বিষয় গুলো নিয়ে আমরা অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব।

কিন্তু সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে নাসা কি (What is NASA in Bengali), Nasa full form in bengali,

Nasa located in which country এবং বর্তমান মহাকাশ গবেষণা নাসা এর অবদান কি।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

কারণ যখন আপনি মহাকাশ সম্পর্কিত কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইবেন। তখন সবার আগে যে নামটি আসবে সেটি হলো নাসা (NASA).

আর সে কারণেই মূলত আপনার মনে যদি মহাকাশ সম্পর্কিত অজানা বিষয় গুলো জানার ইচ্ছা থাকে। তাহলে এই  Nasa কি সে সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

তো চলুন এবার তাহলে এ নাসা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে জেনে নেয়া যাক।

নাসা কি | (What is NASA in Bengali)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত একটি স্বাধীন সংস্থার নাম হলো নাসা। যে সংস্থার মূল কাজ হলো বিমানচলন বিদ্যা এবং মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করা।

যখন ১৯৫৮ সালে নোকা নামক একটি মহাকাশ গবেষনা করার সংস্থাকে নতুন করে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা হয় যার নাম হল নাসা।

আর এই নাসা নামক মহাকাশ গবেষণা করার সংস্থাটি তৈরি হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নাসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আর বিশ্ব বিখ্যাত এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র টি ইতোমধ্যে অনেক সফল মিশন সম্পন্ন করতে পেরেছে।

যেমন, মুন ল্যান্ডিং, স্পেস শাটল, স্কাইলার স্পেস স্টেশন সহো অনেক মিশন সম্পন্ন করতে পেরেছে।

এছাড়াও নাসা এখন পর্যন্ত প্রতিনিয়ত মহাকাশের বিভিন্ন গবেষণা করে আসছে। আর মহাকাশকে জানার পাশাপাশি পৃথিবীর যে অজানা বিষয় গুলো আছে, সেগুলো কেউ জানার চেষ্টা করছে।

নাসা এর পূর্ণরূপ কি | Nasa full form in bengali

Nasa ki সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকেই জানতে পেরেছেন। তবে নাসা একটি সংস্থার নাম হলেও এই নাসা (NASA) শব্দটি কিন্তু এক প্রকার ইংরেজি শব্দ।

এবং এটি একটি শব্দের সংক্ষেপ হিসেবেই পরিচিত। তো এই নাসা শব্দের একটি পূর্ণ রূপ আছে, আর Nasa Full Form টি হলো, National Aeronautics and space administration. 

নাসা বলতে আমরা কি বুঝি ? নাসা হলো বর্তমান সময়ে বিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। এর পাশাপাশি উক্ত কেন্দ্রে বিমানচলন বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে।

তবে শুরু থেকেই এই সংস্থাটির নাম নাসা ছিল না। বরং উক্ত সংস্থাটি সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হাজার 1958 সালে।

আর এই সংস্থাটির সদর দপ্তর ছিল ওয়াশিংটনে। শুরুর দিকে এই সংস্থাটির নাম ছিল নাকা।

আর যখন এই নাকা সংস্থাটির পুনরাবর্তন করে হয়, তখন পূর্বের দেওয়া নামটি পরিবর্তন করে নতুন ভাবে রাখা হয় নাসা। এবং যে নামটি এখনও প্রচলিত হয়ে আসছে।

নাসার কাজ কি ?

আমরা সবাই জানি যে নাসা হলো আমেরিকার একটি সিভিল স্পেস প্রোগ্রাম। যা মহাকাশ গবেষণা করে আজ বিশ্বব্যাপী এর কাছে পরিচিতি লাভ করতে পেরেছে।

NASA একটি সরকারী সংস্থা যা মহাকাশে গবেষণা এবং অনুসন্ধান পরিচালনা করে।

তারা মঙ্গলে মানুষ পাঠানো এবং কক্ষপথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মতো প্রকল্পে কাজ করে। NASA ভবিষ্যতের জন্য নতুন প্রযুক্তি বিকাশে সহায়তা করে।

NASA তৈরি করা হয়েছিল 29শে জুলাই, 1958 এ যখন ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস দ্বারা পাস হয়েছিল।

সংস্থাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মহাকাশ প্রতিযোগিতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গঠিত হয়েছিল, কারণ উভয় দেশই প্রথম স্থান অর্জন করতে আগ্রহী ছিল।

NASA-এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল মহাকাশ অন্বেষণ করা এবং মানুষের অন্বেষণকে অগ্রসর করা, সেইসাথে বেসামরিক মহাকাশ গবেষণা পরিচালনা করা।

সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো যে গোটা আমেরিকা তে নাসা নামক এই সংস্থাটির প্রায় ২০ টি কেন্দ্র রয়েছে।

এবং গোটা আমেরিকার মধ্যে নাসা নামক এই সংস্থাটির একটি জাতীয় পরীক্ষাগার আছে। মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করলেও নাসা নামক এই সংস্থাটির বিশেষ কিছু কাজ আছে।

যেমন, পৃথিবী, বায়ু, সূর্য এবং সৌরজগৎ সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিত্য নতুন জ্ঞান অর্জন করা। আর এইসব সম্পর্কিত অজানা বিষয় গুলোকে অধ্যায়ন করা।

এর পাশাপাশি বিমানচলন বিদ্যার উন্নত করণ এবং নতুনত্বের সংযোজনে বিশেষভাবে কাজ করে যায় নাসা নামক এই সংস্থাটি।

বিমান চলন বিদ্যায় যেন আরও উন্নতি সাধন করতে পারে সে উদ্দেশ্যে কাজ করে আসছে নাসা নামক এই সংস্থাটি।

আর এই কাজ গুলো কে সহজ করার জন্য নাসা তাদের নিজস্ব সংস্থাতে প্রায় 18 হাজারের মতো কর্মী নিয়ে কাজ করে।

এছাড়াও মানবতার কল্যাণ, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নতি সাধনে বিভিন্ন ধরনের উপকারী আবিষ্কার করার চেষ্টা করছে।

নাসা কবে তৈরী হয় ?

নাসা 1958 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে মহাকাশ প্রতিযোগিতার সময় তৈরি হয়েছিল।

নাসার ধারণাটি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের কাছ থেকে এসেছে, যিনি বিশ্বাস করতেন যে রাশিয়ার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মহাকাশ কর্মসূচির প্রয়োজন।

আর বর্তমান সময়ে বিশ্বখ্যাত এই সংস্থাটি বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

যা মূলত বিমান অথবা মহাকাশ এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। আর জনপ্রিয় এই সংস্থাটির উৎপত্তি হয়েছিল নাটা নামক একটি সংস্থা থেকে।

নাসা কোথায় অবস্থিত?

ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) এর সদর দফতর ওয়াশিংটন, ডি.সি.

এটি 1958 সালে রাষ্ট্রপতি ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার দ্বারা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি তার প্রথম উদ্বোধনী ভাষণে এটি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছিলেন যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য মোট 20 টি কেন্দ্র  নিয়ে কাজ করে।

কিন্তু নাসার এই ২০ টি কেন্দ্র থাকার পরেও এর মূল যে সদরদপ্তর টি আছে সেটি মূলত ওয়াশিংটন ডিসি তে অবস্থিত।

নাসার ইতিহাস । নাসা কেন তৈরী করা হয়েছিল

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের একটি সংস্থা।

সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক 1 উৎক্ষেপণের পর রাষ্ট্রপতি ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার দ্বারা 1958-এ এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

তারপর থেকে, নাসা মহাকাশযান, পৃথিবী বিজ্ঞান, বায়ুমণ্ডল সহ বিস্তৃত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য দায়ী।

গবেষণা, এবং আরো. এজেন্সির বেশ কয়েকটি গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার রয়েছে যা সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে অবস্থিত যেখানে এর অনেকগুলি প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।

যদি আপনি নাসার ইতিহাস সম্পর্কে আরোও  জানতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যেতে হবে।

আর উক্ত সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সরকার ছিল তার পক্ষে প্রযুক্তিগত উন্নতি করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আর এইসব কারণে আমেরিকার প্রযুক্তিগত অসুবিধা এবং এসবের পাশাপাশি সামরিক খাতেও বেশ সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

আর এসব কারণেই সেই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংযুক্ত থাকা রাষ্ট্রপতি মিলে নতুন একটি সংস্থা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন।

সংস্থাটি মূলত একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করবে এর পাশাপাশি উক্ত সংস্থা থেকে যে রিপোর্টগুলো আসবে সেগুলো সরাসরি রাষ্ট্রপতি নিকট প্রদান করবে।

আর সেই সংস্থাটির নাম দেওয়া হয় নাকা (NACA). উক্ত সংস্থাটি তৈরি হওয়ার পরবর্তী 40 বছর অব্দি বিভিন্ন ধরনের বৈমানিক অথবা বিমানচলন বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করে।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে যুক্তরাষ্ট্রে গঠিত হওয়া এই সংস্থাটি পরবর্তী সময়ে মহাকাশ গবেষণার কাজে বেশি পরিচিতি লাভ করে।

এই সংস্থাটি মূলত পরবর্তী 20 শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক সাফল্য নিয়ে আসে।

এর পরবর্তী সময়ে 1950 সালের এইদিকে আবিষ্কৃত মহাকাশ যান বাহন গুলো পূর্বের তুলনায় অনেক দ্রুত গতি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।

যা মহাকাশ গবেষণায় অনেক সুফল বয়ে এনেছে। যার দরুন তৈরিকৃত সেই মহাকাশযান গুলোর মাধ্যমে মানুষকে অন্য গ্রহ বা সৌরজগতে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

এই সব জল্পনা-কল্পনার পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ 1950 সালের ঐদিকে নাকা নামক এই জনপ্রিয় সংস্থাটির ওপর কৃত্তিম স্যাটেলাইট তৈরি করার দায়িত্ব পড়ে।

তবে সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো যে এই দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক বছর পরেই অর্থাৎ 1957 সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই তাদের তৈরি করা কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়।

আর এ কারণেই তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কৃত্রিম সাটেলাইট তৈরিতে বেশ তৎপর হয়ে যায়। এবং তিনি তাদের তৈরি করার নাকা নামক সংস্থাটি কে আরো বেশি উন্নত করার চেষ্টা করেন।

এবং উক্ত সময়ে বিশেষ একটি বৈঠকে তিনি জানান যে তাদের নাকা নামক এই সংস্থাটি সিভিলিয়ানের পর্যায়ে আনার জন্য।

আর এই সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে 1958 সালে একটি নতুন সংস্থা গঠিত হয় যাকে বলা হয় নাসা। আর যার বিস্তৃতি আমরা বর্তমান সময়েও দেখতে পাচ্ছি।

এবং এই নাসার হাত ধরেই বর্তমান সময়ে আমরা মহাকাশ এবং পৃথিবী সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে সক্ষম হয়েছি।

নাসার কিছু অবিস্মরণীয় কাজ

সত্যি বলতে আজকের দিনে আমরা নাসার বদৌলতে মহাকাশ সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় কে জানতে পেরেছি।

যদিওবা বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট টি রাশিয়ার হাত ধরে উৎক্ষেপণ হলেও, মহাকাশ এর গবেষনার দিক থেকে NASA হলো অন্যতম।

যে সংস্থাটির কারনে গোটা বিশ্বের অনেক অজানা কে জানা সক্ষম হয়েছে।

একে একে অনেক গুলো অভিযান পেয়েছে সফলতা। আর নাসার হাত ধরে যেসব অবিস্মরণীয় আবিস্কার হয়েছে। সেগুলোকে এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। 

০১| স্যাটেলাইট এক্সপ্লেয়ার-১

সময়টা ছিলো ১৯৫৭ সাল, উক্ত সময়ে যখন নাকা নামক সেই স্বাধীন সংস্থাটির উন্নতি সাধনে উক্ত সংস্থা কে নাসার অধীনে নেওয়া হয়েছিলো।

তখন সবাইকে চমকে দিয়ে নাসা মাত্র তিন মাস অর্থ্যাৎ ৯০ দিনের মধ্যে তৈরি করে ফেলে আমেরিকার জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা স্যাটেলাইট এক্সপ্লেয়ার -১.

আর এই স্যাটেলাইট টি মূলত পৃথিবীর বায়ু মন্ডল সম্পর্কে নাসা বিজ্ঞানী দের ধারনা দিয়েছিলো।

আর কৃত্রিম এই স্যাটেলাইট থেকে যেসব তথ্য গুলো নাসার বিজ্ঞানীদের নিকট পাঠায়। দুঃখজনক ভাবে স্যাটেলাইট তৈরি করার সময় বিজ্ঞানীরা যে পরিমান তথ্য পাবার আশা করেছিলো ৷

সেই পরিমান তথ্য পাঠাতে এক্সপ্লেয়ার -১ ব্যর্থ হয়ে যায়। আর তখন থেকে নাসা বিজ্ঞানীরা পুনরায় সেই ব্যার্থ হওয়ার কারন খুজতে শুরু করে।

এবং পরবর্তী সময়ে তারা সেই কারনটি খুজে পায়। আর সেই কারন টি হলো, তাদের প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ এর কসমিক রে একটিভিটি এর পরিমান অনেক কম ছিলো।

যে কারনে অজানা বিকিরন বেল্টের প্রভাব বেশি ছিলো যার ফলস্বরূপ এক্সপ্লেয়ার -১ সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি।

আর সে কারনে আগের ত্রুটি গুলোর সমাধান করে তারা পুনরায় তাদের স্যাটেলাইট কে নতুন সন্ধানে উৎক্ষেপণ করেন ৷ 

০২| হাবেল স্পেস টেলিস্কোপ 

১৯৯০ সালের দিকে উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইট গুলো থেকে শুধুমাত্র গ্রাউন্ড বেসড করা স্যাটেলাইট গুলো ছাড়া মহাকাশের কোনো প্রকার ছবি পাওয়া সক্ষম হয়নি।

কারণ উক্ত সময়ে তৈরি করা স্যাটেলাইট গুলো থেকে যে ছবি গুলো পাওয়া যাচ্ছিলো। সেগুলোর প্রধান বাধা হয়ে দাড়ায় পৃথিবীর মেঘ, বাষ্প, জল এবং মহাজগতের বিভিন্ন রশ্মি।

যার ফলে পৃথিবী থেকে পাঠানো স্যাটেলাইট গুলো থেকে আশা অনুযায়ী তথ্য পাওয়া বেশ অসম্ভব হয়ে গেছিলো।

আর এ সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে নাসায় কর্মরত বিজ্ঞানীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে। আর তারা চেস্টা করে সেই পূর্বে তৈরি করা কৃত্রিম উপগ্রহ গুলোর চেয়ে আরো উন্নত কিছু তৈরি করে।

যার ফলস্বরূপ তারা একটি নতুন উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করে। সেটি হলো, হাবেল স্পেস টেলিস্কোপ।

আর বিশেষ ধরনের এই টেলিস্কোপ টি তৈরি করার জন্য ১৯৭০ সালে নাসা মূলত একটি ইউরোপীয়ান এজেন্সির সাথে যুক্ত হয়।

এবং উক্ত সময়ে একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন, যার নাম হলো এডউইন হাবেল। আর তার নাম অনুসারে এই টেলিস্কোপ এর নামকরন করা হয়।

সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, হাবেল স্পেস টেলিস্কোপ এতোটাই বেশি শক্তিশালী ছিলো। যার মাধ্যমে ঐ সময়ে মহাকাশ এর মোট ৪০ হাজারের বেশি মহাকাশে থাকা বিভিন্ন রকমের বস্তুর ছবি তুলতে সক্ষম হয়।

আর আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন সেই সময়ে প্রেরিত মহাকাশযান টি থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ছবি পাওয়া যাচ্ছে। 

০৩| চন্দ্রা এক্স-রে অবজারভেটরি

মহাকাশ এর অজানা তথ্য গুলো কে জানার লক্ষ্যে নাসা প্রতিনিয়ত উন্নত প্রযুক্তি আবিস্কার করার চেস্টা করছে।

আর সেই সুবাদে ১৯৯৯ সালে চন্দ্রা এক্স-রে অবজারভেটরি নামক একটি কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম হয়।

বিশেষ এই ধরনের স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে দুরের দৃশ্য গুলোকে অনেক ভালো কোয়ালিটিতে ক্যাপচার করা যায়। যেগুলো মূলত অন্যান্য সাধারন স্যাটেলাইট গুলো থেকে ক্যাপচার করা সম্ভব নয়।

অবাক করার মতো বিষয় হলো, আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে মহাকাশে যেসব কণা থাকে। সেগুলো কিন্তুু কয়েক নিমিষেই ব্ল্যাক হোলের সাথে মিশে যায়।

আর চন্দ্রা এক্স-রে অবজারভেটরি নামক এই কৃত্রিম উপগ্রহ গুলোর মাধ্যমে ঐ ব্ল্যাক হোলের কাছে অদৃশ্য হওয়া কণা গুলোর ছবি তুলতেও সক্ষম।

আপনি হয়তবা ভাবছেন যে, চন্দ্রা এক্স-রে অবজারভেটরি নামক এই স্যাটেলাইট টি কিভাবে এই অসম্ভব কে সম্ভব করতে পারছে।

তাহলে শুনে রাখুন, এই ধরনের উন্নত স্যাটেলাইট এর মধ্যে আলোর পরিবর্তে উচ্চ শক্তির কণা কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই এর ভেতরে থাকা যন্ত্রাংশ গুলো অনেক বেশি সংবেদনা ও দ্রুততার সাথে কাজ করতে পারে। 

০৪| কিউরিওসিটি রোভার – মার্স এক্সপ্লোরার

১৯৭০ সালের দিকে নাসা মূলত মঙ্গল গ্রহের অভিযান শুরু করে। এবং এই অভিযান কে সফল করার লক্ষ্যে একের পর এক রোবটিক রোভার পাঠানো শুরু করে।

নাসা নামক এই সংস্থা টি থেকে সর্বপ্রথম যে রোভার টি পাঠানো হয়েছিল, সেই রোভার এর নাম হলো সোজার্নার।

তবে আজকের দিনে আপনি যদি সবচেয়ে ভালো কোন রোভার এর নাম জানতে চান, তাহলে সবার আগে যে নামটি আসবে সেটি হল, কিউরিওসিটি।

০৫| আ্যপোলো-১১

এখনকার দিনে আপনি চাঁদে জমি কেনার কথা অবশ্যই শুনে থাকবেন। আর এই যে বর্তমান সময়ে মানুষ চাঁদের বুকে পা রাখছে, এর পেছনে কিন্তুু নাসার অবদান সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

আর সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো নাসা তাদের চন্দ্র অভিযান কে সফল করার জন্য এর আগে অনেক অ্যাপোলো কে পাঠিয়েছিলো ৷

কিন্তুু সর্বশেষে তাদের ভাগ্য খুলে যায় অ্যাপোলো-১১ তে। যার ফলে মানুষ পৃথিবী থেকে গিয়ে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পেরেছিলো।

নাসার লক্ষ্য কি?

NASA হল একটি সংস্থা যা 1958 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৷ বছরের পর বছর ধরে, এটি মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য প্রযুক্তির বিকাশ ও

পৃথিবীর পরিবেশের উপর গবেষণা পরিচালনা এবং কক্ষপথে উপগ্রহ চালু করার মতো অনেক আশ্চর্যজনক জিনিস সম্পন্ন করেছে ৷

ভবিষ্যতে, NASA মহাকাশ অনুসন্ধান এবং গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে।

নাসা ভবিষ্যতে কি কি গবেষনা করবে? 

উপরের আলোচনা থেকে আপনি নাসা কি এবং নাসা সম্পর্কিত অনেক তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তো এসব বিষয় জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো কিছু বিষয়ে জেনে নিতে হবে। সেটি হলো, নাসা তাদের সংস্থা থেকে ভবিষ্যতে কি কি গবেষনা করার প্ল্যান করছে।

তো চলুন এবার সে সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। 

২০৩০ সাল অবধি নাসা মূলত নানা গ্রহ এবং উপগ্রহ নিয়ে গবেষনা করবে। যেমন, নাসা ইতিমধ্যে শুক্র গ্রহের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

কারণ, গবেষনা করতে গিয়ে নাসা কতৃপক্ষ ফসফাইন নামক এক ধরনের গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। আর সে কারনে তারা শুক্র গ্রহের তথ্য উৎঘাটন করতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে পড়েছে।

এটি ছাড়াও নাসার পরবর্তী গবেষনা হবে, ব্ল্যাক হোল, ডার্ক ম্যাটার সহো সূর্যের বিভিন্ন উপাদান নিয়ে গবেষনা করবে।

আর যখন এই তথ্য গুলো উৎঘটন হবে। তখন আমরাও মহাকাশ সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পারবো।

1958 সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) মহাকাশ অনুসন্ধানে একটি চালিকা শক্তি।

সংস্থাটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS), ওরিয়ন মাল্টি-পারপাস ক্রু ভেহিকল এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সহ পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে মানুষের উপস্থিতি প্রসারিত করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম সমর্থন করে।

তবে, নাসা শুধু একটি মহাকাশযান সংস্থা নয়।

সংস্থাটি পৃথিবী বিজ্ঞান এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করে, মহাকাশ প্রযুক্তি সম্পর্কে নাগরিকদের শিক্ষিত করে এবং বেসামরিক গবেষণা উদ্যোগের জন্য সহায়তা প্রদান করে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

নাসা কি নিয়ে কিছুকথা

বর্তমান সময়ে মহাকাশ গবেষণার দিক থেকে NASA হলো সবার পরিচিত একটি সংস্থার নাম। যার ফলে আমরা মহাকাশে থাকা অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

আর আজকে আমি এই নাসা (NASA কি ) নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আসলে নাসা কি, নাসার কাজ কি এই যাবতীয় বিষয় গুলো কে ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের পর থেকে আপনি নাসা কি সে সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top