মাস্টার কার্ড কি? মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম

মাস্টার কার্ড হলো এক ধরনের ডুয়েল কারেন্সি যুক্ত কার্ড। যার মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে অন্য একটি দেশে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

মাস্টার কার্ড কি ? মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম
মাস্টার কার্ড কি ? মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম

কিন্তুু কথাটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখনও অনেক মানুষ আছেন। যারা এখনও জানে না যে, মাস্টার কার্ড কি? এবং মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম কি কি? 

তো মাস্টার কার্ড সম্পর্কে অজানা এই মানুষ গুলো কে জানিয়ে দেয়ার জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

যদি আপনি MasterCard সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান। তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ৷

আজকের দিনে আমরা সবাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর এ নির্ভরতা এতোটাই বেড়ে উঠছে যে, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর রাতে ঘুমানো পর্যন্ত।

কোনো না কোনো ভাবে আমাদের প্রযুক্তির ছএছায়ায় ঠাঁই নিতে হচ্ছে। আর সেই প্রযুক্তির ছোঁয়া এসেছে ব্যাংক ব্যবস্থার মধ্যেও।

মূলত গ্রাহকদের কল্যান ও তাদের সঞ্চিত অর্থ গুলোর সঠিক লেনদের করার নিমিওে ব্যাংক ব্যস্থার মধ্যেও বিশেষ কর্মকান্ড যুক্ত করা হয়েছে।

যার মাধ্যমে গ্রাহকরা নানাবিধ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। আর তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো, মাস্টার কার্ড। 

মাস্টারকার্ড কি? (MasterCard In Bnagla)

বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় একটি কার্ড হলো, মাস্টার কার্ড। আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে যে ধরনের ডেবিট কার্ড গুলো ব্যবহার করি। সেগুলো দিয়ে শুধুমাএ নিজের দেশের মধ্যে লেনদেন করা যায়।

কিন্তুু আপনি এই Debit Card গুলোর মাধ্যমে দেশের বাইরে কোনো প্রকার লেনদেন করতে পারবেন না।

অপরদিকে মাস্টারকার্ড (MasterCard) হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল কার্ড। যা একটি ডুয়েল কারেন্সি যুক্ত কার্ড।

যার মাধ্যমে আপনি নিজের দেশের পাশাপাশি বিশ্বের যেকোনো দেশের সাথে অনায়াসেই লেনদেন করতে পারবেন।

এবং এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই লেনদেন করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরো লেখা…

তবে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের সাথে মাস্টার কার্ডের বিশেষ এক ধরনের মিল আছে। তাহলো মাস্টার কার্ড দেখতে অন্যান্য কার্ড গুলোর মতোই ৷

কিন্তুু দেখতে একি রকম হলেও কাজের ক্ষেএে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। কেননা, MasterCard দিয়ে আপনি পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে লেনদেন করতে পারবেন। 

মাস্টার কার্ড এর সুবিধা কি কি? | Benefit Of Master Card 

যারা মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে, তারা ব্যাংক থেকে নানা রকম সুবিধা ভোগ করে থাকে। কিন্তুু এখনও অনেকেই জানেনা যে, একজন মানুষ যখন Master Card ব্যবহার করবে।

তখন কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবে। তো চলুন এবার সেই সুবিধা গুলো সমন্ধে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

  • সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল কার্ড। যার ফলে আপনার প্রয়োজনীয় লেনদেন করার কাজ গুলো শুধু দেশের মধ্যে নয়। বরং আপনি বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো দেশে টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন ৷ 
  • এই কার্ড দিয়ে যেকোনো দেশে লেনদেন করার মূল কারন হলো। এটি এক প্রকার ডুয়েল কারেন্সি যুক্ত কার্ড।
  • অর্থ্যাৎ, আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই একদেশের কারেন্সিকে অন্য কোনো দেশের কারেন্সি তে রুপান্তর করতে পারবেন। 
  • মাস্টার কার্ড দিয়ে আপনি দেশে বসে থেকে অন্য কোনো দেশের ই-কমার্স পন্য কিনে নিতে পারবেন। মনে করুন আপনি বাংলাদেশে বসে থেকে আলীবাবা কিংবা এমাজন থেকে আপনার পছন্দের পন্য কিনে নিতে পারবেন। 
  • এই কার্ডে নিয়মিত লেনদেন করলে আপনি কিছু পরিমান বোনাস পাবেন। মূলত এটি নির্ভর করবে আপনি আসলে কি পরিমান টাকা ঐ Master Card দিয়ে লেনদেন করছেন তার উপর।

তো এগুলো হলো মাস্টার কার্ডের সুবিধা। তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। যখন আপনি এই কার্ডটি ব্যবহার করবেন। তখন আপনি নিজে থেকে সবকিছু বুঝতে পারবেন। 

মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম

আমি শুরু থেকে বলছি যে, Master Card হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল কার্ড। যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো দেশে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

তো আপনি যদি এই সুবিধা গুলো ভোগ করতে চান ৷ তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি মাস্টার কার্ড এর একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

কিন্তুু এখনও অনেকেই জানেনা যে, কিভাবে মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম গুলো কি কি। তো চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

  1. যদি আপনি Master Card এর সুবিধা ভোগ করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি Bank Account চালু করতে হবে। তবে একাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই জেনে নিবেন যে, ঐ ব্যাংকে মাস্টারকার্ড এর সুযোগ সুবিধা দেয় কিনা। 
  2. তো এই ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় আপনার আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। 
  3. প্রথমত আপনার একটি ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) এর প্রয়োজন হবে। তবে Nid এর পরিবর্তে আপনি জন্ম নিবন্ধন কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে পারবেন। 
  4. এছাড়াও আপনার দুই কপি রঙিন ছবি লাগবে। এবং ছবি গুলো অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের হতে হবে। এবং ছবি গুলোতে আপনার স্বাক্ষর থাকতে হবে। 
  5. আপনার ব্যাংক একাউন্টের যে নমিনি থাকবে। তার ছবি এবং স্বাক্ষর এর প্রয়োজন হবে।

তো উপরে আলোচিত পদ্ধতি গুলো অনুসরন করলে আপনি সঠিকভাবে একটি Bank Account চালু করতে পারবেন। কিন্তুু মাস্টার কার্ড তৈরি করার জন্য আপনাকে আরও কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে।

চলুন এবার সে ধাপ গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

কিভাবে মাস্টার কার্ড খুলবেন ? 

মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম গুলোর মধ্যে প্রথম ও প্রধান কাজ হলো Bank Account তৈরি করা। যা আমি উপরেই বলেছি।

তো একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে আরও কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে ৷ যেমনঃ 

  1. যখন আপনি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন। এরপর সেই একাউন্টের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে ৷ যদি আপনার একাউন্টের বয়স ছয় মাসের কম হয় ৷ তাহলে সেই একাউন্টে মাস্টারকার্ড হবে না ৷ 
  2. এই ৬ মাসে আপনার একাউন্টে প্রতিমাসে ৫০০০/- এর উপরে লেনদেন করতে হবে। এবং এই টাকার পরিমানটা প্রায় সব মাসের জন্য প্রযোজ্য। 
  3. মনে রাখবেন, প্রতিমাসে লেনদেন করার পাশাপাশি আপনার সেই ব্যাংক একাউন্টে অনেক টাকা জমা রাখতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। 
  4. যদি আপনার উপরোক্ত বিষয় গুলো কমপ্লিট হয়। তাহলে আপনি ব্যাংক কতৃপক্ষের নিকট MasterCard এর জন্য আবেদন করতে পারবেন ৷ 
  5. আপনি আবেদন করার পর Bank কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন কে পুনরায় পরীক্ষা করে যাচাই বাছাই করবে। 
  6. যদি আপনাকে যোগ্য বলে মনে হয়। তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন সেই মাস্টার কার্ড। যা দিয়ে আপনি অনায়াসেই যে কোনো দেশের সাথে লেনদেন করতে পারবেন ৷

তো মাস্টার কার্ডের বিষয়টা অনেক জটিল মনে হলেও, মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম কিন্তুু অনেক সহজ। আর আপনি যদি উপরে আলোচিত নিয়ম গুলো সম্পন্ন করতে পারেন।

তাহলে আপনিও পেয়ে যাবেন বহুল আলোচিত সেই Master Card. 

স্বাধীন মাস্টার কার্ড কি?

যারা মূলত Master Card নিয়ে জানতে চান। তারা কোনো একটা সময়ে এসে স্বাধীন মাস্টার কার্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর তখন আপনার মনে হবে যে, এই কার্ড দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন করা যায়।

কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীন মাস্টার কার্ড হলো আংশিক ইন্টারন্যাশনাল।

বিষয়টা একটু উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া উচিত। তো আপনি শুরু থেকে জেনে এসেছেন, মাস্টার কার্ড দিয়ে যেকোনো দেশ থেকে অন্য একটি দেশে সহজেই টাকা লেনদেন করা যায়।

আর এটি হলো একটি এটিএম কার্ডের মূল কাজ।

কিন্তুু স্বাধীন মাস্টারকার্ড হলো এমন এক ধরনের কার্ড যার মাধ্যমে আপনি শুধু অন্য কোনো দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন ৷ কিন্তুু বিশ্বের অন্য কোনো দেশ থেকে নিজের দেশে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন না।

অর্থ্যাৎ, এই কার্ডে আপনি শুধু অন্য দেশে টাকা ব্যয় করতে পারবেন  কিন্তুু আয় করতে পারবেন না ৷ 

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড কি?

হয়তবা আপনি এতোক্ষনে জেনে গেছেন যে, আজকের দিনে টাকা লেনদেন করার জন্য মাস্টার কার্ড হলো জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। কিন্তুু জনপ্রিয় এই মাধ্যম দিয়ে কিভাবে মানুষের আরও কল্যান করা যায়।

সেই তাগিদে বর্তমান প্রযুক্তি একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভব করেছেন। সেই পদ্ধতির নাম হলো, Virtual MasterCard.

তো সাধারন অর্থে যখন আপনার হাতে একটি এটিএম একাউন্ট থাকবে। তখন আপনাকে একটি প্লাস্টিকের তৈরি ছোট্ট চিপযুক্ত কার্ড দেওয়া হবে।

আপনি আরো দেখুন…

কিন্তুু ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডে আপনার হাতে কোনো প্রকার কার্ড থাকবে না। কেননা, এই লেনদেন করার কাজ গুলো আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন ৷

এখন হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, অফলাইন মাষ্টার কার্ড এর তুলনায় ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? – যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে শুনুন……..

  1. যেহুতু আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সব ধরনের লেনদেন করতে পারবেন। সেহুতু আপনার কার্ডটি হারিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। এ দিক থেকে আপনি একেবারে নিশ্চিত থাকতে পারবেন ৷ 
  2. আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের এয়ারলাইন্স বুকিং করতে পারবেন। এবং এই কাজে সকল টাকা লেনদেন অনলাইন এর মাধ্যমে করতে পারবেন। 
  3. আপনি যদি কোনো ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল পেমেন্ট এই ভার্চুয়াল কার্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন। 
  4. বর্তমানে বিশ্বে যেসব E-commerce রয়েছে। আপনি আপনার ভার্চুয়াল মাষ্টার কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। 
  5. যদি আপনি দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যান। তাহলে আপনার হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজের সকল পেমেন্ট এই কার্ড এর মাধ্যমে করতে পারবেন। 
  6. উপরের সুবিধা গুলো ছাড়াও আপনি FB, Youtube কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে পেইড প্রোমোশন করতে পারবেন।

এছাড়াও গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আরও নিত্যনতুন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে আসছে। তো আপনি যদি রেগুলার ভার্চুয়াল মাষ্টারকার্ড ব্যবহার কারী হয়ে থাকেন।

তাহলে আপনি তাদের নতুন নতুন সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন। 

ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড কি ?

বর্তমান সময়ে লেনদেন করার জনপ্রিয় মাধ্যম হওয়ার ফলে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ ই এই কার্ডটি ব্যবহার করতে চায়। কিন্তুু এই কার্ডটি পেতে হলে আপনাকে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

কেননা, আপনি যদি সেই নিয়ম গুলো মেনে চলেন। তাহলে খুব সহজেই আপনি এই ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল মাষ্টার কার্ড পাবেন। যেমনঃ

  1. আপনার একাউন্ট এর ট্রান্সজেকশন এর পরিমান অন্যান্য একাউন্ট এর তুলনায় অনেক বেশি হতে হবে। 
  2. তবে আপনার এই লেনদেন করার ব্যাংক একাউন্টটি কমপক্ষে ১ বছরের পুরোনো হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সময়ের পরিমান কমবেশি হতে পারে। 
  3. সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা জমা থাকতে হবে। কেননা, এই টাকার পরিমান আপনার মাষ্টার কার্ড এর যোগ্যতা প্রমান করবে।

যদি আপনার উপরোক্ত যোগ্যতা গুলো থাকে। তাহলে আপনাকে সরাসরি ব্যাংকে যেতে হবে। এবং ব্যাংক কতৃপক্ষের নিকট একটি ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড এর জন্য আবেদন করতে হবে।

যদি আপনার আবেদন যাচাই বাছাই করার পর যোগ্য বলে মনে হয়। তাহলে আপনাকে সেই Free International Master Card পেয়ে যাবেন। 

মাস্টার কার্ড দিয়ে কি কি করা যায়?

আর্টিকেলের শুরু থেকে এখন অবধি মাস্টার কার্ড সম্পর্কে জানার পর। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আপনার হাতে যখন একটি কার্ড আসবে।

তখন আপনি ঐ কার্ড দিয়ে কি কি কাজ করতে পারবেন। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

  • প্রথমত আপনি মাষ্টার কার্ড দিয়ে দেশে বসে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন। এবং এই কাজ গুলি আপনি একেবারে ঝামেলা ছাড়াই করতে পারবেন। 
  • এছাড়াও আপনি যে অন্য কোনো দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার পছন্দের পন্য কিনে নেন। তাহলে আপনি ঐ কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট কমপ্লিট করে নিতে পারবেন। 
  • আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে পেইড প্রোমোশন করান। তো আপনি আপনার কার্ড দিয়ে এ ধরনের Promote করার কাজ গুলো করতে পারবেন। 
  • যারা গেম পাগল মানুষ। তাদের অনেক সময় গেমস এর মধ্যে ডায়মন্ড কিংবা কয়েন নেয়ার প্রয়োজন হয়। আর আপনি সেই পেমেন্ট গুলো মাষ্টার কার্ড দিয়ে করতে পারবেন।

তো আজকের দিনে যারা MasterCard ব্যবহার করছে ৷ তারা মূলত এই কাজ গুলি করার জন্যই এই কার্ড গুলো ব্যবহার করে থাকেন। 

মাস্টার কার্ড নিতে হলে আমার কি কি থাকা লাগবে?

যাদের কাছে কোনো ধরনের MasterCard নেই। তারা মনে করে যে, এই কার্ডের জন্য মনে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। আসলে এই ধারনাটি সম্পূর্ন ভুল।

কেননা, মাস্টার কার্ডের জন্য তেমন বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। বরং আপনি মাএ কয়েকটা ডকুমেন্টস এর মাধ্যমে এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেমনঃ 

  1. সবার আগে আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। এবং সেই একাউন্ট টি কমপক্ষে ৬ কিংবা ১ বছরের পুরোনো হতে হবে। 
  2. মনে রাখবেন, আপনার সেই ব্যাংক একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমান লেনদেন থাকতে হবে। এবং সেই লেনদেন এর পরিমান প্রতি মাসে বিরাজমান থাকতে হবে। 
  3. আপনার ব্যাংক ডকোমেন্ট লাগবে সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র।
  4. এবং আপনার সেই ব্যাংক একাউন্টে বেশি পরিমান টাকা জমা থাকতে হবে। এর ফলে Bank কর্মকর্তা মনে করবে, আপনি মাস্টার কার্ড ব্যবহার করার জন্য যোগ্য ব্যক্তি। এবং সেজন্য আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত MasterCard টি প্রদান করবে।

তো উপরোক্ত বিষয় গুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে। তাহলে আপনিও মাস্টার কার্ডে থাকা সকল সুযোগ সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

এবং পরবর্তী সময়ে যে নতুন নতুন ফিচার গুলো আসবে। সেগুলো কে ব্যবহার করতে পারবেন। 

মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উওর 

এবার আপনি Master Card রিলেটেড কিছু প্রশ্নের উওর দিবো। যেগুলো আপনার প্রায় সময় গুগলে সার্চ করে থাকেন। তো চলুন এবার সেই প্রশ্ন গুলোর উওর জেনে নেয়া যাক।

০১| মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ড এর মধ্যে পার্থক্য কি? 

উওরঃ যে পেমেন্ট মেথড গুলো ভিসা নেটওয়ার্ক দাড়া পরিচালিত হয়। সেগুলো কে বলা হয় ভিসা কার্ড। মূলত এই ভিসা কার্ড গুলো ডেবিট/ক্রেডিট/গিফট কার্ডের মাধ্যমেও সার্ভিস প্রদান করে থাকে।

অপরদিকে মাষ্টার কার্ড হলো একটি ডুয়েল কারেন্সি যুক্ত কার্ড। যার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

০২| বাংলাদেশে প্রথম মাস্টার কার্ড চালু করে কোন ব্যাংক

উওরঃ আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, বাংলাদেশে কোন ব্যাংক সর্বপ্রথম মাষ্টার কার্ড চালু করেছিলো ? আপনি কি বলতে পারবেন? 

তাহলে শুনুন… ANZ Grindlays ব্যাংক সর্বপ্রথম আমাদের দেশে MasterCard এর প্রচলন শুরু করেছিলো। 

০৩| মাস্টার কার্ড এর ব্যাংকের সম্পর্ক কি ?

উওরঃ আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে ৷ তাহলো, আপনার ব্যাংক একাউন্টের সাথে মাস্টার কার্ডের কি সম্পর্ক থাকবে? 

 শুনে রাখুন যে এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি যে টাকা আয় অথবা ব্যয় করবেন ৷ সেই টাকা গুলো আপনার Bank Account এ জমা থাকবে। 

মাস্টার কার্ড নিয়ে কিছু কথা

MasterCard সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন। সেটা কোনো বড় কথা নয় ৷

বরং আজকের এই আর্টিকেল আপনার মাস্টার কার্ড সম্পর্কিত যতো অজানা বিষয় আছে৷ তার সবগুলোর উওর দিয়ে দিবে।

তো যদি আপনার মনে প্রশ্ন থাকে, মাস্টার কার্ড কি এবং মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম কি? – তাহলে আপনাকে রিকুয়েষ্ট করবো। এই আর্টিকেলটি একটু হলেও মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ৷

আর Bangla It blog এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা। নতুন কিছু জানতে হলে আমাদের সাথে থাকবেন৷ ধন্যবাদ

6 thoughts on “মাস্টার কার্ড কি? মাস্টার কার্ড খোলার নিয়ম”

  1. আমার একটা র্ভাজুয়াল মাষ্টার কার্ড দরকার আমি কি ফ্রিতে পাবো কি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top