কি বোর্ড পরিচিতি | কিবোর্ড এর কাজ কি | What is keyboard in bengali

কি বোর্ড পরিচিতি : আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে কিবোর্ড হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনপুট ডিভাইস।

যাকে ছাড়া মূলত একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কে কোনোভাবেই সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

কি বোর্ড পরিচিতি | কিবোর্ড এর কাজ কি | What is keyboard in bengali
কি বোর্ড পরিচিতি | কিবোর্ড এর কাজ কি

আর সে কারণেই মূলত এই ধরনের ডিভাইস গুলোতে ডিফল্ট ভাবে একটি করে কিবোর্ড (Keyboard) দেওয়া হয়।

আমার কম্পিউটার হার্ডওয়ার নিয়ে লেখা আর্টিকেল এ আমি একটি কম্পিউটারের জন্য যেসব প্রয়োজনীয় হার্ডওয়ার এর প্রয়োজন হয় সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম।

তো সেই আর্টিকেলে অনেকেই কমেন্ট করেছেন যে কি বোর্ড পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিত লেখার জন্য।

সে কমেন্ট গুলোতে অনেকে বলেছেন যে কিবোর্ড কি (what is keyboard in Bengali) এবং কেন কিবোর্ড এর ব্যবহার করা হয় আর কি বোর্ডের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

আর সেইসব মানুষদের উদ্দেশ্য করেই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি কিবোর্ড রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

যেমন, কীবোর্ড কি (keyboard কি), কি বোর্ড পরিচিতি , কিবোর্ড এর কাজ কি, কীবোর্ড এর কোন বাটনের কি কাজ এবং কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি।

আপনার জন্য আরো লেখা…

আর আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আজকের আর্টিকেলে কিবোর্ড এর আদ্যোপান্ত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার।

যদি আপনার ভেতরে কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার ইচ্ছা থাকে।

তাহলে আশা নয় বরং বিশ্বাস রেখে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।

তো চলুন এবার তাহলে কি বোর্ড পরিচিতি এর বিস্তারিত আলোচনায় হারিয়ে যাওয়া যাক।

কিবোর্ড কি ? (What is keyboard in Bengali)

একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস টির নাম হল কিবোর্ড। যে ডিভাইসটির মূলত টেক্সট এবং নাম্বার এর সমন্বয়ে কাজ করে থাকে।

এবং এটি এমন একটি ইনপুট ডিভাইস যাকে ছাড়া একটি কম্পিউটারকে কোনোভাবেই সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

একটি কিবোর্ড এর মধ্যে আপনি বিভিন্ন ধরনের Key এবং Button দেখতে পারবেন।

অবাক করার মত বিষয় হল এই  কি এবং বাটনগুলো মূলত ইলেকট্রনিক সুইচ হিসেবে কাজ করে থাকে।

অর্থাৎ আপনি এই কিবোর্ডে যা কিছু ইনপুট করবেন তা আপনি কম্পিউটার ডিসপ্লে তে দেখতে পারবেন।

আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন যে একটি কম্পিউটার কখনোই নিজে থেকে কোন কাজ করতে পারে না।

বরং সেই কম্পিউটারটি তখনই কোন কাজ করবে যখন আপনি বাইরে থেকে তাকে কোনো নির্দেশনা ইনস্ট্রাকশন দিবেন।

আর কিবোর্ড হলো এই ইনস্ট্রাকশন দেওয়ার জন্য উপযুক্ত একটি ইনপুট ডিভাইস।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটারে থাকা CPU কে খুব সহজেই আপনার নির্দেশ কে বুঝিয়ে দিতে পারবেন।

কি বোর্ড পরিচিতি | Keyboard Introduction 

কীবোর্ড কি আশাকরি উপরের আলোচনা থেকে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তবে কিবোর্ড এর অতল সাগরে হারিয়ে যাওয়ার আগে আপনাকে কিবোর্ড এর পরিচিতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার।

তো চলুন এবার তাহলে কিবোর্ড এর পরিচিতি সম্পর্কে স্বল্প আকারে আলোচনা করা যাক।

সহজ কথায় বলতে গেলে কিবোর্ড হলো টাইপার দের ধারণা থেকে আসা বিশেষ এক ধরনের ইনপুট ডিভাইস।  যেখানে মূলত বিভিন্ন ধরনের বাটন সংযুক্ত করা থাকে।

আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো এই বাটনগুলো মূলত ইলেকট্রনিক্স সুইচ (Electronic Switch) হিসেবে কাজ করে থাকে।

অর্থাৎ আপনি আপনার আঙ্গুল দিয়ে এই কিবোর্ড এর উপর যে বাটনে প্রেস করবেন তার ফলাফল গুলো আপনি কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখতে পারবেন।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যে এই কিবোর্ড এর পরিবর্তে আরো বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ডিভাইস আবিষ্কৃত হয়েছে। যেমন, মাউস, টাচস্ক্রিন, পেন এবং ভয়েস।

কিন্তু এত কিছু আবিষ্কার হওয়ার পরও কিবোর্ড এর জনপ্রিয়তা কোন অংশেই কমে নাই।

আর সেদিক থেকে বলা যায় যে কিবোর্ড হল কোন একটি কম্পিউটার কে আপনার নিজের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনপুট ডিভাইস।

যে ডিভাইসটি আমাদের কাজ গুলোকে আরো বেশি সহজ করে তুলেছে।

কিবোর্ড এর কাজ কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি হয়তোবা জেনে গেছেন যে কিবোর্ড হল একটি ইনপুট ডিভাইস। এখন আপনি যদি কিবোর্ড এর কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে চান ৷ 

তাহলে এটা বলতে হবে যে বিভিন্ন কি এবং বাটনের মাধ্যমে পিসিকে নানা প্রকার ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হলো কিবোর্ড এর মূল কাজ।

চলুন বিষয়টি নিয়ে আরেকটু পরিস্কার ভাবে আলোচনা করা যাক। কিবোর্ড তো আমরা সব সময় দেখি।

কিন্তু এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে একটি কিবোর্ড এ মোট কতগুলো বাটন থাকে তাহলে কি আপনি তার সঠিক উত্তর দিতে পারবেন?

ওয়েট! ওয়েট! ওয়েট! আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবেনা বরং আমি এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু আলোচনা সহকারে বলছি।

দেখুন একটি কিবোর্ডে কখনোই নির্দিষ্ট সংখ্যক বাটন থাকে না বরং ভিন্ন ভিন্ন কিবোর্ডে বিভিন্ন সংখ্যার বাটন থাকে।

যেমন এমন কিছু কিবোর্ড আছে যে কিবোর্ড গুলোতে মূলত ৮৪ টা করে বাটন থাকে। আবার কিছু কিছু কিবোর্ড আছে যেগুলোতে 102 থেকে 104 টি পর্যন্ত বাটন থাকে।

তো যেহেতু একটি কম্পিউটার নিজে থেকে কোনো কাজ করে না। তাই ইলেক্ট্রিক সুইচের এই বাটনগুলোর মাধ্যমেই মূলত একটি কম্পিউটার কে বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে আসলে সে তার এখন কি কাজ করা উচিত।

আর এ বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়টি হলো কিবোর্ড এর মূল কাজ। আশা করি কিবোর্ড কি এবং কেন আমরা ব্যবহার করি, এই স্বল্প আলোচনা থেকে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

Esc এর কাজ কি

Esc কী একটি সংশোধক হিসাবে কাজ করে এবং প্রায়শই নিজে থেকে ব্যবহার করা যায় না। এর অর্থ “পালানো” বা “থেমে যাওয়া”।

Esc সাধারণত একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য অন্য কী এর সাথে একত্রে ব্যবহৃত হয়। Alt কী চেপে ধরে Windows এ স্টার্ট মেনু খুলতে বা Mac OS X বা Linux অপারেটিং সিস্টেমে একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রস্থান করতে Esc টিপুন।

অতিরিক্তভাবে আপনি টাস্ক ম্যানেজার খুলতে Ctrl + Esc কী চেপে ধরে রাখতে পারেন এবং Windows 10 কম্পিউটারে প্রসেস মেল করতে পারেন।

কিছু কীবোর্ডে Esc চাপলে ডায়ালগ বক্সের মধ্যে কাজ করার সময় আপনার ইনপুট বাতিল হয়ে যাবে (যেমন প্রিন্টার সেট আপ করা)।

অ্যাপল কম্পিউটারে Option + Command + Esc দুটোই চেপে ধরে রাখলে মেশিন রিবুট হবে এমনকি যদি এটি লক করা দেখা যায়।

কিবোর্ড কত প্রকার ও কি কি – (Types of keyboard in Bengali)

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে আপনি কি বোর্ড কি এবং কিবোর্ড এর কাজ কি সে সম্পর্কে একবারে বিশদভাবে জানতে পেরেছেন।

আর এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে। সেটি হলো বর্তমান সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কিবোর্ড আছে।

আর এই কিবোর্ড এর প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

তো সেই কারণে এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে কীবোর্ড কত প্রকার এবং কি কি।

তো এবার চলুন তাহলে Kind of keyboard সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেয়া যাক। যাতে করে আপনার এ সম্পর্কে কোন বিষয়ে অজানা না থাকে।

একটা কথা জেনে রাখা ভালো যে বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কিবোর্ড দেখতে পারবেন। যেমনঃ

০১| Flexible Keyboard

কিবোর্ডের কথা আসলেই আমরা প্রথমে যা ভাবি সেটি হল একটি প্লাস্টিকের তৈরি শক্তপোক্ত বাটন সংযুক্ত একটি বোর্ড কে কিবোর্ড বলা হয়।

কিন্তু বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের কিবোর্ড আছে যেগুলোকে আপনি আপনার কাজের সুবিধার জন্য ভাঁজ করে নিতে পারবেন।

আর এই ধরনের কিবোর্ড গুলো মূলত অনেক বেশি নমনীয় হয় যার কারনে এগুলো কে গুলোকে বলা হয় ফ্লাক্সিবল কিবোর্ড।

যেহেতু এটি একটি পোর্টেবল কিবোর্ড, তাই আপনি আপনার সুবিধা মতো এই ধরনের কিবোর্ড গুলো কে ব্যবহার করতে পারবেন।

আর সে কারণেই বর্তমান সময়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট বা কম্পিউটার ইউজারদের কাছে এ ধরনের কিবোর্ড গুলো ব্যাপকহারে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

তাই চাইলে আপনিও আপনার কাজের সুবিধার জন্য এই ধরনের ফ্লেক্সিবল কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারেন।

০২| Mechanical Keyboard

যদি আপনি আমাকে প্রশ্ন করেন যে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয়তার শীর্ষে কোন ধরনের কিবোর্ড গুলো আছে।

তাহলে আমি চোখ বন্ধ করেই বলে দিব যে মেকানিক্যাল কিবোর্ড এর কথা। কাজের দিকের সুবিধার কথা থেকে শুরু করে নিজের মজবুত গঠনে মেকানিক্যাল কিবোর্ড হল সবচেয়ে উপযুক্ত।

আমরা যেসব সাধারণ কম্পিউটার কিবোর্ড দেখি সেই কীবোর্ড গুলোর বাটনের নিচে সাধারণত রাবারের ঝিল্লি দিয়ে তৈরি করা হয়।

কিন্তু এই ধরনের মেকানিক্যাল কিবোর্ড গুলোতে আপনি সে রকম কোনো রাবারের ঝিল্লি দেখতে পারবেন না।

কারণ এই ধরনের বিশেষ কিবোর্ড এর বাটন এর নিচে মূলত Spring Key Switch ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

তবে আপনি যদি এই কীবোর্ডটা ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে বিশেষ কিছু সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা ভোগ করতে হবে।

যেহেতু এই কিবোর্ডে থাকা বাটনগুলোর নিচে কোন প্রকার রাবারের ঝুলে থাকে না।

সেহুতু যখন আপনি এই কিবোর্ড গুলোতে দ্রুতগতিতে কোন কিছু টাইপ করবেন তখন একটা খটখট আওয়াজ বের হবে।

যা অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

০৩| Membrane Keyboard

অন্যান্য কিবোর্ড থেকে তুলনা করলে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধরনের কিবোর্ড। আমরা সাধারণত যেসব কম্পিউটার কিবোর্ড দেখি সেগুলোতে প্রত্যেকটি বাটন আলাদা আলাদা করে দেওয়া থাকে।

কিন্তু আপনি এই Membrane Keyboard নামের কিবোর্ডটি তে কোন প্রকার আলাদা বাটন দেখতে পারবেন না।

তবে এগুলো মূলত সাধারণ কাজে ব্যবহার করা না হলেও বিশেষ কিছু কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তাই আপনি যদি এই ধরনের কিবোর্ড গুলো ব্যবহার করতে চান তাহলে দ্বিতীয়বার আরেকবার ভেবে নিবেন।

০৪| Ergonomic Keyboard

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কীবোর্ড টাইপিং করেন।

আর যারা মূলত এই ধরনের কাজ করেন তারা একটি সমস্যা ফেস করে থাকেন। সেটি হল কোন একটা সময়ে গিয়ে তার হাতের কব্জি কিংবা আঙ্গুলে ব্যথা অনুভব করেন।

যে সমস্যাটি ক্রমাগত ভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী সময়ে বড় আকার ধারণ করবে।

কিন্তু মানুষকে যেন এই ধরণের সমস্যায় পড়তে না হয় সেদিকে বিবেচনা করে বিশেষ এক ধরনের কিবোর্ড তৈরি করা হয়েছে।

আর সেই কিবোর্ডটি নাম হল Ergonomic Keyboard.

কম্পিউটারের সামনে বসে কিবোর্ডে ঘন্টার পর ঘন্টা টাইপিং করলে যেন আপনার হাড় অথবা আঙ্গুলের কোন প্রকার সমস্যা না হয়।

সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে উক্ত কিবোর্ড টি আমাদের ব্যবহার করা উচিত।

০৫| Gaming Keyboard

যারা মূলত কম্পিউটারে গেমস খেলতে পছন্দ করেন, সেই গেম প্রিয় মানুষদের জন্য একপ্রকার বিশেষ ধরনের গেমিং কিবোর্ড আবিষ্কৃত হয়েছে।

যদিওবা এই কিবোর্ড দিয়ে আপনি অন্যান্য কাজও করতে পারবেন কিন্তু এই কিবোর্ড এর মূল উদ্দেশ্য হলো গেমারদের জন্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।

তবে এই ধরনের কম্পিউটার কিবোর্ড গুলোতে বাটনের সংখ্যা অনেক কম থাকে।

কিন্তু যারা নিয়মিত গেমস খেলেন তাদের জন্য এই কীবোর্ড গুলো খুব উপকারী ভূমিকা পালন করবে।

আর সেই কারণেই গেমস খেলার জন্য এই ধরনের কিবোর্ড গুলোর প্রচুর পরিমানে ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই চাইলে আপনি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

০৬| Wireless Keyboard

উন্নত প্রযুক্তি যেভাবে আমাদের মধ্যে অলষতা বৃদ্ধি করছে,  ঠিক তেমনিভাবে আমাদের সৌখিন দিক থেকেও বেশি অগ্রসর হচ্ছে।

আর সে কারণেই আগে আমরা যেমন তার দিয়ে কিবোর্ড ব্যবহার করতাম। সেই ওয়্যার বা তারকে ছাড়াই এখন আপনি ওয়্যারলেস কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারছেন।

যেগুলো আপনি কোন প্রকার তার ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। এই ধরনের উন্নত কিবোর্ড গুলো মূলত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে কাজ করে থাকে।

আমাদের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ডিভাইসে থাকা ব্লুটুথ, হটস্পট কানেক্ট এর মাধ্যমে এই ধরনের উন্নত কিবোর্ড গুলো তারবিহীন অবস্থায় ব্যবহার করা সম্ভব।

০৭| Multimedia Keyboard

দেখতে সাধারণ কিবোর্ডের মতো হলেও বিশেষ কিছু কি এবং বাটন এর সম্বন্ধে তৈরি করা কিছু কিবোর্ড কে বলা হয় মাল্টিমিডিয়া কী-বোর্ড।

কেননা অন্যান্য কিবোর্ডে তুলনায় এই ধরনের কিবোর্ড গুলোতে বিশেষ কিছু বাটন ব্যবহার করা হয়। যেমন, e-mail client, web browser, audio playback, shortcut ইত্যাদি ইত্যাদি। 

০৮| Handheld Keyboard

উপরের আলোচনায় আপনিক গেমিং কিবোর্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর এই গেমিং কিবোর্ড এর সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য আরও এক ধরনের নতুন কিবোর্ড আবিষ্কার হয়েছে।

যাকে বলা হয় Handheld Keyboard.

তাই আপনি যদি প্রফেশনাল কিংবা নন প্রফেশনাল গেমার হয়ে থাকেন তাহলে ওই গেমিং কিবোর্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি এই ধরনের Handheld কিবোর্ড গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

০৯| Vertical Keyboard

3D ধারণার উপর নির্ভর করেই বিশেষ এক ধরনের কি বোর্ডের নাম হল ভার্টিক্যাল কিবোর্ড (Vertical Keyboard).

মূলত যেসব ব্যক্তি বেশিরভাগ সময় কি-বোর্ডের টাইপিং এর কাজ করে থাকে। এসব ব্যক্তিদের সুবিধার কথা চিন্তা করে মূলত এই ধরনের কিবোর্ড তৈরি করা হয়েছে।

যেখানে আপনি অন্যান্য কম্পিউটার কিবোর্ড এগুলো তুলনা এই কিবোর্ড গুলোতে বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

১০| Virtual Keyboard

ভার্চুয়াল কীবোর্ড হল একটি সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম যা আপনার ফিজিক্যাল কীবোর্ডকে প্রতিস্থাপন করে একটি কম্পিউটার মাউস বা অন্য পয়েন্টিং ডিভাইস ব্যবহার করে কার্সার সরাতে এবং কী নির্বাচন করে।

ভার্চুয়াল কীবোর্ড এমন একটি প্রযুক্তি যা একটি টাচ স্ক্রিন ফোন বা ট্যাবলেটকে একটি ফিজিক্যাল কীবোর্ড যা করতে পারে তা করতে সক্ষম করে।

এটি আপনাকে একটি অনস্ক্রিন কীবোর্ডে টাইপ করতে দেয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার আঙুলের নড়াচড়া চিনতে পারে এবং সেগুলিকে পাঠ্যে অনুবাদ করে।

ভার্চুয়াল কীবোর্ডগুলি প্রায়ই লোকেদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় যাদের বাহু হাত এবং আঙ্গুলে মোটর নিয়ন্ত্রণ হ্রাস বা সীমিত গতিশীলতা রয়েছে।

এগুলি রিপিটেটিভ স্ট্রেন ইনজুরি (RSI) আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বারাও ব্যবহার করা যেতে পারে যাদের একটি Traditional

কীবোর্ডে টাইপ করতে অসুবিধা হয় ৷

১১| Projection Keyboard

এ ধরনের কি-বোর্ড গুলো মূলত ভার্চুয়াল (Virtual) কীবোর্ড এর সাথে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে।

বলা বাহুল্য যে এই ধরনের কিবোর্ড গুলোতে বিশেষ এক ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়।

যা মূলত কিবোর্ড এর চিত্র প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেহেতু এ ধরনের কিবোর্ড গুলো বিশেষ বিশেষ কোন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সেই কারণে মানুষ এই কিবোর্ড গুলো ব্যাবহার করতে তেমন একটা আগ্রহ প্রকাশ করে না।

কিবোর্ড লেআউট – Types of Keyboard Layouts

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে আপনি কি বোর্ড কি এবং কিবোর্ড এর কাজ কি এর পাশাপাশি কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পেরেছেন।

তো এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কীবোর্ড এর কোন বাটনের কি কাজ। তো চলুন এবার তাহলে কী বোর্ডের কোন বাটনের কি কাজ সে সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেওয়া যাক।

আমরা সবাই জানি যে একটি কিবোর্ড মূলত বিভিন্ন বাটনের সমন্বয়ে গঠিত হয়।

আর বিভিন্ন বাটনের এই সমন্বয় কী বলা হয় কিবোর্ড লেআউট (Keyboard Layout). আর এই লে-আউটের আকার বা আকৃতি কেমন হবে সেটা মূলত নির্ভর করে উক্ত কিবোর্ডে কি পরিমাণ কি বাটন যুক্ত করা হবে।

আর সে জন্য বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার এবং বিভিন্ন বর্ণের পার্থক্যগত কারণে একেক টি দেশের কিবোর্ডের লে-আউট ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

তবে এই পার্থক্যগত কারণে আমরা কিবোর্ড কে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে পারি। যেমন,

০১| QWERTY Keyboard Layout

সাধারণ ভাবে আমরা আমাদের কম্পিউটার এর জন্য যেসব কীবোর্ড ব্যবহার করি।

আপনি যদি একটু ভালভাবে লক্ষ করে দেখেন যে সেই কীবোর্ড গুলোর শুরুতে অর্থাৎ উক্ত কিবোর্ডের উপরের বাম দিক থেকে Q-W-E-R-T-Y থেকে শুরু করা হয়েছে।

আর এই ধরনের লেখা কিবোর্ড গুলোকেই বলা হয়, QWERTY Keyboard Layout.

বর্তমান সময়ে আমাদের বেশিরভাগ কম্পিউটার গুলো এই ধরনের লেআউট বিশিষ্ট কিবোর্ড বেশ জনপ্রিয়।

তবে একটা বিষয় জেনে রাখা ভাল যে এই ধরনের লেআউট বিশিষ্ট আরো বিভিন্ন ধরনের কিবোর্ড আছে। যেমনঃ QWERTY, QWERTZ, AZERTY ইত্যাদি। 

০২| Non-QWERTY Keyboard Layout

সহজ ভাষায় বলতে গেলে যেসব কিবোর্ড মূলত QWERTY এর মতো লেআউটে রাখা হয়না। সেই কিবোর্ড গুলো কে বলা হয়, Non-QWERTY Keyboard.

তো এই ধরণের লেআউট যুক্ত বেশকিছু কিবোর্ড রয়েছে। যেমনঃ Dvork, Colemak, Workman ইত্যাদি। 

০৩| AZERTY Keyboard

AZERTY নামক এই বিশেষ ধরনের কিবোর্ড টি মূলত QWERTY এর ফরাসি ভাষায় সংস্করন এর জন্য তৈরি করা হয়েছে।

যেখানে, W এবং Q যুক্ত থাকা বাটন গুলো কে Z এবং A এর সাথে বিশেষ ভাবে অদল বদল করা হয়েছে। 

০৪| DVORAK Keyboard

১৯৩০ সালের দিকে কম্পিউটারে টাইপিং দক্ষতা কে বৃদ্ধি করার জন্য এই ধরনের বিশেষ কিবোর্ড এর লেআউট গুলো তৈরি করা হয়েছিলো।

মূলত উক্ত সময়ে টাইপিং জগতে থাকা ত্রুটি কে দুর করার লক্ষ্যে এই ধরনের Keyboard Layout তৈরি করা হয়েছিলো। 

কিবোর্ড এর প্রত্যেক বাটন এর বিষয়ে – Keyboard Keys

কীবোর্ড কি আলোচনা এই পর্যন্ত আসার পরে আশা করি এই বিষয়ে আপনার মনে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ থাকবে না।

কারণ উক্ত আলোচনায় আমি কিবোর্ড কি সে সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

এই বিষয়গুলো জানা জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে যেমন কিবোর্ড এর কয়টি বাটন থাকে এবং এর বাটনগুলোর কাজ কি।

তো চলুন এবার তাহলে প্রত্যেকটা বাটনের কাজের বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। যাতে করে আপনার কোন বিষয় সম্পর্কে অজানা না থাকে।

০১| Function Keys

কোন কিবোর্ড এর সবার উপরের দিকে যে বাটনগুলো দেখা যায় সে গুলোকে বলা হয় ফাংশন কি (Function Keys).

এই ধরনের ফাংশন বাটনগুলো মূলত F1 থেকে শুরু হয়ে F12 পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত বিভিন্ন ধরনের ফাংশনাল কাজ করার জন্য এই ধরনের কি (Key) গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তবে একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো যে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের কাজ করার জন্য এই ধরনের ভিন্ন ভিন্ন ফাংশনাল বাটনগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

০২| Typing keys

আমরা আমাদের কম্পিউটার কিবোর্ড গুলোতে সবচেয়ে  অধিক সংখ্যক বাটন গুলো ব্যবহার করে থাকি। সেগুলো কে বলা হয় Tying Keys.

মূলত Alphabet এবং Number এই দুই ধরনের বাটনগুলো কে বলা হয় Typing Keys.

আমাদের মধ্যে যারা মূলত নবাগত টাইপের হিসেবে টাইপিং শিখতে চান। তারা পর থেকেই এই Alphanumeric Key গুলোর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

০৩| Control Keys

আপনি একটি কম্পিউটার কীবোর্ডে অন্যান্য বাটনের পাশাপাশি আরও বেশকিছু বাটন দেখতে পারবেন।

যেমনঃ Ctrl Key, Alt Key, Windows Key, Esc Key. তো এই ধরনের বাটন গুলোকে বলা হয়ে থাকে, Control Keys.

কোন টি কম্পিউটার টিভিসি বিশেষ কোনো অপারেশন করার সময় এই ধরনের Control Keys গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

০৪| Navigation Keys

কোনো একটি কম্পিউটার কীবোর্ডে অন্যান্য বাটনের পাশাপাশি আরও বেশকিছু বাটন দেখতে পারবেন।

যেমনঃ Home, Arrow, Delete, Page up, Page Down, Insert ইত্যাদি। তো এই ধরনের Key গুলো কে বলা হয়, Navigation Keys.

যখন আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে কোন প্রোগ্রাম বা ডকুমেন্টস নিয়ে কাজ করবেন। তখন আপনার এই ধরনের Navigation Keys গুলো ব্যবহার করতে হবে।

০৫| Indicator Lights

কম্পিউটারে ব্যাবহার করা প্রত্যেকটি কিবোর্ড এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লাইট’স থাকে। আর এই লাইট গুলো মূলত বিভিন্ন বিভিন্ন কারনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন, Num Lock, Scroll Lock ও Caps Lock.

আর এই লাইনগুলো জলের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কিবোর্ডে থাকা কোন বাটনগুলো একটিভ হয়ে আছে। 

০৫| Numeric Keypad

সহজ ভাষায় বলতে গেলে এই ধরনের কি গুলোকে মূলত Calculator Key বলা হয়ে থাকে।

কারণ বিভিন্ন রকমের হিসাব নিকাশ করার জন্য এই ধরনের Key গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কারণ এই ধরনের কিগুলো শুধুমাত্র নাম্বার, (Number) লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

কি বোর্ড পরিচিতি আমাদের নিয়ে কিছু কথা

আমাদের ব্যবহার করা প্রত্যেকটা কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনপুট ডিভাইজ হলো কিবোর্ড।

যাকে ছাড়া আপনি, আমি বা আমাদের মত কেউ তার নিজস্ব কম্পিউটারকে তার নির্দেশ অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারে পারবে না।

আর সে কারণে কিবোর্ড কি এবং কিবোর্ড এর কাজ কি এই বিষয়গুলো জেনে নেই এটা আমাদের জন্য অতি জরুরী একটি বিষয়।

আর আজকের আর্টিকেলে আমি কীবোর্ড নামক এই জরুরী বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের আলোচিত আলোচনা থেকে আর কিবোর্ড কি সে সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

আর এমন সব আধুনিক পদ্ধতিতে বাংলা আইটি ব্লগের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top