IP address কি | আইপি এড্রেস দিয়ে কি করা যায় | What is IP address in bengali

IP address কি : যারা মূলত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) এই শব্দটি শুনে থাকবেন।

IP address কি | আইপি এড্রেস দিয়ে কি করা যায় | What is IP address in bengali
IP address কি | আইপি এড্রেস দিয়ে কি করা যায়

এই আইপি অ্যাড্রেসকে আবার সংক্ষেপে আইপি (IP) বলা হয়ে থাকে। আর এই আইপি গুলো মূলত চারটি অংক আর বেশকিছু সংখ্যার সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে।

যার মাধ্যমে আপনি বর্তমানে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন তা খুব সহজেই ডিটেক্ট করা সম্ভব।

আইপি (IP) শব্দটির পূর্ণরূপ হল ইন্টারনেট প্রটোকল (Internet Protocol) আমরা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকমের ডিভাইস ব্যবহার করি।

যেমন, কেউ মোবাইল ব্যবহার করি আবার কেউ কম্পিউটার ব্যবহার করি আবার কেউবা ল্যাপটপ ব্যবহার করি।

তো এই সবগুলো ডিভাইসের ক্ষেত্রে কিন্তু আলাদা আলাদা আইপি এড্রেস আছে। যে এড্রেস গুলো মূলত আপনার বর্তমান অবস্থান এবং আপনার পরিচয় বহন করে।

তাই এটা সহজেই বলা যায় যে, আমরা বর্তমানে যারা এরকম ডিভাইস ব্যবহার করছি বা কোন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকছি। 

তাদের আইপি এড্রেস (IP Address ki) সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের মধ্যে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত আইপি এড্রেস কি (what is IP address in Bengali) তা সঠিকভাবে জানে না।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর সেই অজানা মানুষগুলোকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি দেখা হয়েছে। এই আর্টিকেল থেকে আপনি আইপি রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন ।

যেমন, আইপি এড্রেস কি, আইপি এড্রেস কিভাবে কাজ করে, আইপি এড্রেস বের করার নিয়ম এবং আইপি এড্রেস কত প্রকার ও কি কি।

আর আপনি যদি গুরুত্বপূর্ন এই তথ্যগুলো সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে হাতে একটু সময় নিয়ে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ার।

চলুন এবার তাহলে IP Address ki এবং একটি আইপি এড্রেস প্রকাশের জন্য কয়টি বিট প্রয়োজন এর আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

IP address কি | what is IP address in Bangla

আইপি এর আদ্যোপান্ত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আইপি এড্রেস কি বা আইপি অ্যাড্রেস কাকে বলে

কারণ যখন আপনি এই বিষয়টি বুঝতে পারবেন তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক যে আইপি এড্রেস কি

সহজভাবে বলতে গেলে আইপি হলো এক ধরনের বিশেষ ইন্টারনেট প্রটোকল। যে প্রটোকলের মাধ্যমে একজন অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিচয় বহন করে।

তবে এই ধরনের রোবটিক উত্তরে হয়তোবা আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন না।

কিন্তু আমি যদি আপনাকে উদাহরণসহ বুঝিয়ে দেই তাহলে এই বিষয়টি বুঝতে আপনার তেমন কোন বেগ পেতে হবে না।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে আইপি হল কোন তথ্য আদান প্রদান করার বিশেষ একটি মাধ্যম।

যেমন ধরুন, আপনি বর্তমানে ইউটিউবে কোন একটি ভিডিও দেখছেন। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে আপনি শুধুমাত্র একাই ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন।

বরং আপনার মত এমন মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ একই সময়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখছে।

এবার একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন যে এত মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ একই সময়ে ভিডিও দেখার পরেও ইউটিউব কিভাবে বুঝতে পারছে যে মোট কতজন মানুষ এবং কোন স্থান থেকে ভিডিও গুলো দেখছে।

তো এই বিষয়টি আসলে সহজেই ডিটেক্ট করা যায় আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমে।

কারণ যখনই আপনি মোবাইল কম্পিউটার অথবা এই জাতীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হবেন।

ঠিক তখনই সেই নেটওয়ার্ক প্রটোকল থেকে আপনার ডিভাইসে কয়েক সংখ্যার একটা এড্রেস কানেক্ট হবে।

আর সেই অ্যাড্রেস এর মাধ্যমে মূলত আপনার পরিচয় এবং আপনার বর্তমান অবস্থান কে নির্দেশ করবে।

আর এই বিশেষ এড্রেস কি বলা হয়ে থাকে আইপি অ্যাড্রেস।

আপনি যদি জনাতে চান Ip address কত বিটের হয় ? তাহলে শুনুন, একটি Ip address  এর দৈর্ঘ্য 32 বিট।

একটি IP ঠিকানায় 4টি অক্টেট থাকে এটি 32 x 8 = 224 ঠিকানা তৈরি করে। ইন্টারনেটে ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ 2^32 = 4,294,967,296 IP ঠিকানা রয়েছে৷

ইন্টারনেট প্রটোকল কি | What is Internet Protocol?

আইপি অ্যাড্রেস কি ( Ip নাম্বার কি ) এই আলোচনাতে আমি প্রটোকল নামক একটি শব্দের বারবার ব্যবহার করেছি।

তো আপনি কি জানেন যে এই প্রটোকল কি আর কেনই বা এই প্রটোকল ব্যবহার করা হয়।

যদি আপনি এই বিষয়ে জেনে থাকেন তাহলে তো ভালই। কিন্তু আপনার যদি প্রটোকল কি সে বিষয়ে ধারনা না থাকে তাহলে নিচের আলোচনায় একটু চোখ রাখুন।

ডিজিটাল কমিউনিকেশন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা কিছু সেট অফ রুলস (Set of Rules) এর সমন্বয় কে বলা হয়ে থাকে প্রটোকল।

যখন কোন একটি ডিভাইস নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হবে তখন সেই ডিভাইস থেকে ডাটা গুলো কিভাবে সেন্ড হবে।

এবং কিভাবে রিসিভ হবে এবং তার পরিমাণ কি থাকবে সেটা কিন্তু প্রটোকল নির্ধারণ করে দেয়।

আইপি এড্রেস কত প্রকার ও কি কি | Types of IP addresses

ইন্টারনেটের মধ্যে প্রত্যেকটা ব্যবহারকারীকে এককভাবে চিহ্নিত করার জন্য মূলত এই আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর সে কারণেই আপনি যখনি ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হবেন ঠিক তখনই আপনার আইপি অ্যাড্রেস এর প্রয়োজন পড়বে।

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে আইপি এড্রেস কি।

সেই কারণে এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আইপি এড্রেস কত প্রকার এবং এই প্রকারভেদ গুলো কি কি।

ইন্টারনেট এর প্রটোকলের উপর নির্ভর করে মূলত আইপি অ্যাড্রেস কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথাঃ

  1. প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস
  2. পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস

তো এই আইপি অ্যাড্রেস গুলোর নাম জানলেই হবে না বরং এগুলোর কাজ কি এবং কেন এই আইপি আইপি এড্রেস গুলো কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

চলুন সে সম্পর্কে একটু ধারনা নেয়া যাক।

পাবলিক আইপি এড্রেস কি ?

What public IP address in bengali ? ইন্টারনেট থেকে সরাসরি এক্সেস দেওয়া আইপি কেই বলা হয়ে থাকে পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস।

মূলত এর মাধ্যমে কম্পিউটার ডিভাইস গুলো সরাসরি ইন্টারনেট এর এক্সেস নিতে সক্ষম হয়ে থাকে।

তাই এটা সহজভাবে বলা যায় যে যেসব আইপি অ্যাড্রেস প্রাইভেট এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত নয় সেগুলোকেই বলা হয় পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস।

সচরাচর এই আইপি গুলো সার্বজনীন হয়ে থাকে তাই যেকোনো ব্যক্তি এই আইপি অ্যাড্রেস গুলোকে ব্যবহার করতে পারবে।

প্রাইভেট আইপি এড্রেস কাকে বলে ?

সচরাচর নিজস্ব বাড়ি অফিস-আদালত কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস গুলোকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

একটি ব্যক্তিগত IP address হল একটি ইন্টারনেট প্রোটোকল ঠিকানা যা একটি ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত।

আইপি অ্যাড্রেসের সিংহভাগই সর্বজনীন এবং সেগুলি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন কম্পিউটারে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের দ্বারা বরাদ্দ করতে হবে।

যখন নিজস্ব কোন কাজের জন্য বিভিন্ন ডিভাইস এর নেটওয়ার্ক গুলোকে একটি আইপি এর মধ্যে কানেক্টেড করা হয় তখন সেই কানেক্টেড করা আইডি কেই বলা হয় প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস।

Different Kind Of IP Address 

বিভিন্ন রকমের বৈশিষ্ট্য এবং কর্মক্ষমতার উপর ভিত্তি করে আইপি অ্যাড্রেস কি মূলত আরও তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  1. Unicast IP Address
  2. Multicast IP Address
  3. Broadcast IP Address

বর্তমান সময় অব্দি আপনি মূলত এই তিন ধরনের আইপি এড্রেস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

চলুন এবার সংক্ষিপ্ত আকারে এই তিন ধরনের আইপি অ্যাড্রেস এর কাজ কি সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

Unicast IP Address কাকে বলে ?

ইউনিকাস্ট এর মাধ্যমে মূলত একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হোস্ট সম্পর্কে এককভাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

আর সেই একক গোষ্ঠী হতে পারে আপনি অথবা আমি অথবা অন্য কেউ।

যখন আপনি মূলত কোন পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট কমিউনিকেশন করবেন তখন এই ধরনের আইপি এড্রেস গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ইউনিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেস হল ইন্টারনেট প্রোটোকল বা আইপি অ্যাড্রেস যা একটি একক ডিভাইসে বরাদ্দ করা হয়।

এগুলি আপনার হোম নেটওয়ার্কের মধ্যে ব্যবহার করা হয় না তবে তারা সমগ্র বিশ্বের ইন্টারনেট জুড়ে কাজ করে ৷

এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি একক কম্পিউটার এবং বাকি বিশ্বব্যাপী ওয়েবের মধ্যে যোগাযোগের একটি বিন্দু প্রদান করে ৷

Multicast IP Address কাকে বলে ? 

মূলত যখন কোন গ্রুপ কমিউনিকেশন করা হয়ে থাকে তখন এই ধরনের কমিউনিকেশন কে ডিটেক্ট করার জন্য মাল্টিকাস্ট অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর সে কারণে একে one To many মাল্টিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেস বলা হয়ে থাকে।

অন্যভাবে বলা যায়, মাল্টিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেসগুলি ইউনিকাস্ট আইপি অ্যাড্রেসের মতো সেগুলি একাধিক গন্তব্যের দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রতিটি গন্তব্যের জন্য একটি পৃথক যোগাযোগ চ্যানেল ব্যবহার না করে একই সময়ে একটি নেটওয়ার্কের একাধিক হোস্টে একটি হোস্ট থেকে তথ্য পাঠাতে এগুলি ব্যবহার করা হয়।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

Broadcast IP Address কাকে বলে ?

ব্রডকাস্ট আইপি অ্যাড্রেসকে বলা হয়ে থাকে পয়েন্ট টু অল কমিউনিকেশন।

কারণ এই ধরনের আইপি এড্রেস গুলো বিভিন্ন হোস্ট এর ডাটা গুলো প্যাকেজ আকারে ডিটেক্ট করতে পারে।

যেখানে একসাথে অনেক ব্যবহারকারীর পরিচয় বহন করে থাকে।

ব্রডকাস্ট আইপি ঠিকানাগুলি একই সময়ে সমস্ত সংযুক্ত ডিভাইসে তথ্য প্রেরণ করতে নেটওয়ার্ক দ্বারা ব্যবহৃত হয়।

বাধা বা বিলম্ব ছাড়াই এটি করতে তারা একটি বিশেষ ধরনের আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে যাকে Broadcast IP Address বলা হয়।

Broadcast IP Address গুলি যেভাবে কাজ করে তা হল যে যখন একটি ব্রডকাস্ট আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো হয়।

তখন এটি সেই নেটওয়ার্ক সেগমেন্টের প্রতিটি অন্য ডিভাইস দ্বারা গ্রহণ করা হবে।

এর মানে হল যে যদি কোনও সংস্থার একাধিক সেগমেন্ট নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যারের সাথে সংযুক্ত থাকে।

যেমন সুইচ এবং রাউটার ব্রডকাস্ট আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে প্রেরিত যে কোনও ডেটা সেই সেগমেন্টগুলির প্রতিটিতে গৃহীত হবে।

কিভাবে IP address কাজ করে ?

একটি আইপি অ্যাড্রেস এর মূল কাজ হলো কোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইসের মধ্যে থাকা সংযুক্ত নেটওয়ার্ক কে  অন্যান্য কম্পিউটার ডিভাইস এর সাথে সংযুক্ত করা।

যেমন ধরুন আপনি কোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেন।

এখন সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার উক্ত সাইটের বিভিন্ন ডেটা এবং ইনফরমেশন কে এক্সেস করার প্রয়োজন হবে।

সে ক্ষেত্রে আপনার ফ্রি কম্পিউটার ডিভাইস টি আইপি সার্ভার এর সাথে কানেক্টেড হতে হবে।

আর আপনার কম্পিউটার কে কোনো একটি সার্ভারের সাথে কানেক্টেড করার কাজটি  করে থাকে আইপি অ্যাড্রেস।

এই আইপি এড্রেস গুলো মূলত কোনটির লোকাল কম্পিউটার ডিভাইস কে একটি সাধারণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য বাকি সব কম্পিউটার ডিভাইস গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে থাকে।

কারণ এই আইপি অ্যাড্রেস গুলোর মাধ্যমে মূলত একটি সাধারণ নেটওয়ার্কে সক্রিয় করা হয়। যার ফলে একটি ডিভাইস থেকে অন্য আরেকটি ডিভাইস কে খুঁজে পাওয়া যায়।

IP address এর ভার্সন (version) কি কি ?

সময়ের সাথে সাথে আইপি অ্যাড্রেস গুলোর বিভিন্ন সংস্করণ আবিষ্কার হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে আপনি মোট দুই ধরনের আইপি অ্যাড্রেস এর ভার্সন দেখতে পারবেন। যথাঃ

  1. IPV4 
  2. IPV6

চলুন এবার তাহলে এই আইপি এড্রেসের ভার্সন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

IPv4 (আইপি ভার্সন ৪) 

IPv4 ভালো একটি শব্দ সংক্ষেপ এবং এই IPv4 (আইপি ভার্সন ৪) এর পূর্ণরূপ হল, Internet Protocol Version.

এটি হলো আইপি অ্যাড্রেস এর চতুর্থ সংস্করণ। এটি সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল 1983 সালে। এবং এর এড্রেস স্পীড ছিল 32bit এর।

যার সাহায্য মূলত কমপক্ষে 5 মিলিয়নের মতো অ্যাড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব।

বর্তমানে আমরা আমাদের মোবাইল ফোন গুলোতে যেসব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি। সেগুলো মূলত IPv4 এর আওতায় পড়ে।

তবে যারা নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষনা করে, তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে এই IPv4 Network এর ব্যবহার প্রায় বিলুপ্তির পথে। 

IPv6 (আইপি ভার্সন ৬)

IPv6 এর ফুল মিনিং হলো Internet Assigned Numbers Authority. উপরে আলোচিত আইপি এড্রেস এর নতুন একটি সংস্করন এর নাম হলো, IPv6.

যাকে বলা হয়ে থাকে, ইন্টারনেট প্রোটোকল ভার্সন ৬. আর IPv4 এর তুলনায় এর বিট স্পেস এর পরিমানও অনেক বেশি কারন, এতে রয়েছে ১২৮ বিটের স্পেস।

সময়ের সাথে সাথে এই ধরনের প্রোটোকল এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই Protocol এর কাজ কে আরো সহজ করার জন্য আরো বেশ কিছু সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। যেমনঃ

  1. Dual Stack
  2. Tunneling
  3. Translation

যেহুতু বর্তমানে IPv6 এর ব্যবহার বেড়ে গেছে।

সেহুতু এর মধ্যে থাকা সিস্টেম গুলো সম্পর্কেও আপনার বিস্তারিত জেনে নেয়া উচিত। চলুন এবার সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

Dual Stack কি ? 

এই পদ্ধতিতে আপনি মোট ২ ধরনের প্রোটোকল নেটওয়ার্ক কে একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন।

আর এই পদ্ধতি তে IPv4 এবং IPv6 কে একইসাথে সাথে ব্যবহার করা যায় বলে একে বলা হয়, Dual Stack. 

Dual Stack হল নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা ব্যবহৃত একটি কনফিগারেশন যখন তাদের IPv4 এবং IPv6 একই নেটওয়ার্কে সহাবস্থান করে।

সেগুলি যেভাবে স্ট্যাক করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে আপনি Dual Stack এর একটি  অ্যাক্টিভ বা প্যাসিভ (শুধু শোনার জন্য) স্থাপনার কথা বলছেন কিনা।

Tunneling কি ? 

এটি হলো বিশেষ এক ধরনের পদ্ধিত, যার মাধ্যমে IPv4 নেটওয়ার্ক এর মধ্য দিয়ে IPv6 চলাচল করতে পারে। আর সেই কারনে একে বলা হয়ে থাকে, Tunneling. 

Translation কি? 

এর মাধ্যমে IPv4 এবং IPv6 প্রোটোকল কে যুক্ত করে নতুন একটি পদ্ধতির আবিস্কার হয়। তাকে বলা হয়ে থাকে, Translation. 

Ip address কিভাবে বের করবো ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, IP address কি এবং IP Address কত প্রকার ও কি কি

তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, Ip address কিভাবে বের করবো।

তো যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে নিচের আলোচনার দিকে চোখ রাখুন ৷ 

  1. যদি আপনি আপনার নিজের আইপি এড্রেস বের করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি Web Browser চালু করতে হবে।
  2. এরপর আপনাকে গুগলে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে সার্চ করতে হবে ” What is my IP”.

যদি আপনি উপরের ধাপ দুটি সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারেন৷ তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার নিজের IP Address বের করে নিতে পারবেন।

কিন্তুু আপনি যদি সেই আইপির কোনো তথ্য জানার চেস্টা করেন। তাহলে আপনাকে নিজের ধাপ গুলো অনুসরন করতে হবে। 

  1. প্রথমত আপনার ডিভাইস থেকে একটি Web Browser চালু করতে হবে। এরপর আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। 
  2. আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করেও উক্ত সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। 

তো যদি আপনি উপরোক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন ৷ তবে আপনি খুব সহজেই আপনার IP রিলেটেড যাবতীয় তথ্য গুলো দেখতে পারবেন।

যেমন, আপনার আইপি এড্রেস কি, আপনি কোন কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, আপনার দেশ ও স্থানের নাম কি ইত্যাদি ইত্যাদি। 

Internet search করে আইপি এড্রেস কিভাবে খুজবেন ?

উপরে আমি নিজের আইপি এড্রেস বের করার ২ টি উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে আপনি যদি সেগুলো বুঝতে না পারেন।

তবে আপনার জন্য আরো অনেক উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার Personal IP Address কে খুজে নিতে পারবেন ৷

তো আপনি যদি internet search করে আইপি এড্রেস খুজে নিতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে হবে।

আপনার সুবিধার জন্য আমি সেই সবগুলো ওয়েবসাইট এর লিস্ট নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

যে সাইট গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইন্টারনেট সার্চ করে IP Address খুজে নিতে পারবেন। যেমনঃ

  1. Google : আপনি সরাসরি গুগলে গিয়ে শুধু “My ip”- লিখে সার্চ করবেন। আর সাথে সাথে আপনি আপনার নিজের আইপি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন ৷ 
  2. Whatismyipaddress: এটি হলো আইপি সংক্রান্ত এমন একটি ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি মূলত Ipv4 এর পাশাপাশি IPv6 এর সকল ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন। 
  3. whatismyip: উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি অটোমেটিক আপনার IPv4 Network টি জানতে পারবেন ৷
  4. এর সাথে আপনার লোকেশন এবং আপনি কোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত আছেন। সেই কোম্পানির নাম জানতে পারবেন। 
  5. iplocation: এই সাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের আইপি এবং আইপি এড্রেস এর লোকেশন জানতে পারবেন ৷ 

উপরে আমি যেসব ওয়েবসাইট কে ম্যানশন করেছি। সেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই internet search এর মাধ্যমে IP Address রিলেটেড যাবতীয় বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন ৷ 

Ip address দিয়ে কি করা যায় ?

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে আপনি IP address কি তা পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। কারন আমি যথাযথ ভাবে IP address ki তা বুঝিয়ে বলার চেস্টা করেছি।

তো এবার এই বিষয় গুলো জানার পর আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, Ip Address দিয়ে কি করা যায়। তো চলুন এবার সে বিষয়ে ধারনা নেয়া যাক। 

  1. আপনি নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। মনে করুন আপনি ঢাকা থেকে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। তাহলে আপনি সেই লোকেশন টি দেখতে পারবেন ৷  
  2. আপনি কোনো একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে মোট কি পরিমান দুরত্বে অবস্থান করে আছেন। সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
  3. এর পাশাপাশি কোনো একটি স্থান থেকে আরেকটি স্থানে যেতে কি পরিমান সময় লাগবে। সে সম্পর্কে জানতে পারবেন ৷ 
  4. আপনি বর্তমানে কোন কোম্পানির নেট কানেকশন ব্যবহার করছেন। সেই কোম্পানির নাম জানতে পারবেন। 

তো এইগুলো মূলত আইপি এড্রেস এর মাধ্যমে পাওয়া যায়। আর সে কারনেই পুলিশ অপরাধীদের ধরার জন্য এই IP Address কে ব্যবহার করে থাকে। 

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

Ip address কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

প্রযুক্তির এই যুগে বসবাসরত প্রত্যেকটা মানুষের যেমন টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা উচিত।

ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের মধ্যে আইপি এড্রেস কি সে সম্পর্কেও ধারনা থাকা উচিত। আর সেই কারনে মূলত আজকের আর্টিকেলে আমি IP address কি তা নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল টি থেকে আপনি Internet Protocol সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।

আর পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top