iOS কি | আইওএস এর ফিচার কি কি | What Is IOS In Bengali

iOS কি : অপারেটিং সিস্টেম হল সফটওয়্যারের একটি বিশেষ প্রকার যা ডিভাইসের হার্ডওয়্যার এবং অ্যাপস এর মধ্যে সমন্বয় করে।

iOS কি | আইওএস এর ফিচার কি কি | What Is IOS In Bengali
iOS কি | What Is IOS In Bengali

আইওএস কি (iOS) হল অ্যাপলের একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম যা অ্যাপল ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়। আইওএস  একটি সুন্দর এবং বিশেষ অপারেটিং সিস্টেম, যা অ্যাপল স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলির জন্য উন্নয়ন করা হয়েছে।

এই অপারেটিং সিস্টেমটি একটি সম্পূর্ণ একক পরিচালিত পরিবেশ তৈরি করে যা সমস্ত অ্যাপস এবং অ্যাপল ডিভাইসের মধ্যে অন্যতম একটি সমন্বয় করে।

এর উপযুক্ত ফিচারগুলি অ্যাপল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সাধারণত ভালো লাগে।

আইওএস একটি বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে।

এটি সবচেয়ে প্রচলিত এবং বিশ্বস্ত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশে ব্যবহৃত হয়। এ অপারেটিং সিস্টেম এর বেশিরভাগ উপকরণ হলো আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচ।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

এছাড়াও, অ্যাপল কম্পিউটার কে ম্যাকবুক ও আইম্যাক উপকরণ উন্নয়ন করে তৈরি করে যাচ্ছে যা আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।

হ্যালো ভিওয়ারস ওয়েলকামটু বাংলা আইটি ব্লগের নতুন আর্টিকেল iOS কি, আইওএস এর ইতিহাস এবং এ সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজকের এই লিখাতে।

iOS কি? ( What Is iPhone Operating System In Bangla)

আইওএস বা আইফোন অপারেটিং সিস্টেম হল একটি অপারেটিং সিস্টেম যা Apple Inc. তৈরি করেছে।

এই সিস্টেমটি বিভিন্ন অ্যাপল ডিভাইস যেমন আইফোন, আইপ্যাড, আইপড মিনি এবং আইপড টাচে চালানো হয়।

বর্তমানে এই সিস্টেম দ্বারা বিশ্বব্যাপী ১.৪ বিলিয়ন ডিভাইস চালিত হচ্ছে। আইওএস হল অ্যান্ড্রয়েডের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম।

এই সিস্টেমটি সি, সি++, অবজেক্টিভ-সি, সুইফট এবং অ্যাসেম্বলি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা লেখা হয়েছে।

iOS হল একটি মাল্টি-টাচ ইন্টারফেস যা ব্যবহার করে ডিভাইসটি পরিচালনা করা হয়। এটি সাধারণ অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে, যেমন সোয়াইপ করে পরবর্তী পৃষ্ঠায় যাওয়া।

এটি বিভিন্ন Apple ডিভাইস যেমন iPhone, iPad, iPod Touch ইত্যাদি চালায়। iOS এর সর্বশেষ সংস্করণ হল iOS 15, যা সাধারণত এক্সপেক্টেড ফিচার সমূহ সহ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছে।

আর iOS এর full form বা iOS এর পূর্ণরুপ  হল “iPhone Operating System”

আইওএস এর মূল বিষয় কি

আইওএস একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা Apple Inc. দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে।

বিভিন্ন Apple ডিভাইস যেমন iPhone, iPad, iPod Mini এবং iPod Touch চালায় এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গেম খেলা, স্বচ্ছতা ইমেইল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফিচার সহ বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম।

এটি অ্যান্ড্রয়েডের পরে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত।

আইওএস এর পরিকল্পনা সম্পর্কিত মূল বিষয়গুলি সুস্পষ্টভাবে সিস্টেম সুরক্ষা, একটি প্রভাবশালী ইউজার ইন্টারফেস, সুস্থ এবং ভালো ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা এবং প্রফর্মেন্স সংক্রান্ত উন্নয়নের উদ্দেশ্যে অভিনব ভাবে তৈরি করা।

আইওএস এর কাজ কি

আইওএস একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা এপপল কর্পোরেশন দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। এটি আইফোন, আইপ্যাড, আইপড এবং আইপড টাচ এবং অন্যান্য আইওএস ভিত্তিক ডিভাইসগুলি চালায়।

আইওএস এর কাজ হল উক্ত ডিভাইসগুলির জন্য একটি স্মুদ্র এবং সহজ ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস উপস্থাপন করা।

এবং ডিভাইসগুলি একটি সিংক্রোনাইজড পরিবেশ তৈরি করে ব্যবহারকারীদের জন্য। এর মধ্যে থাকা ফিচারগুলি সহজে ব্যবহার করা যায় এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী হয়।

এছাড়াও এটি সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়। এ ছাড়াও iOS এর মূল ফিচার রয়েছে যেগুলা ব্যবহারকারী অনেক পছন্দ করেন।

iOS এর মূল ফিচার কি

iOS এর মূল ফিচার এবং সেট অফ টুলস এর মধ্যে নিম্নোক্ত কিছু রয়েছে:

  1. ব্যবহারকারীর ইন্টারফেস সহজ।
  2. স্মার্টফোন সেটিংস এবং কন্ট্রোল সেন্টার থেকে বিভিন্ন অপশন পরিবর্তন করা যায়।
  3. সম্পূর্ণ সিকিউরিটি এবং গোপনীয়তা প্রদান করা হয়।
  4. আপনার ইমেল, কন্টাক্ট, ক্যালেন্ডার এবং নোটস সম্পর্কে একটি পরিষেবা পরিচালনা করা হয়।
  5. প্রিভিউ এবং অ্যাক্সেস প্রযুক্তি যা অ্যাপ ডেভলপারদের একটি স্থান প্রদান করে এবং অ্যাপগুলি বাড়ানোর সাথে সাথে নতুন ফিচার প্রদান করা হয়।
  6. iOS ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপস্টোর একটি মূল ফিচার। এটি একটি সেন্ট্রাল লোকেশন, যেখানে ব্যবহারকারীরা এপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে পারেন এবং পরিষেবাগুলি খুঁজে পাবেন।
  7. iOS ডিভাইস প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য একটি সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয়। এটি ডিভাইস এবং অ্যাপস এর উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  8. একটি সাধারণ ফিচার, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ডেটা এবং তথ্য অনলাইনে স্টোর করতে পারেন।
  9. আইক্লাউড একটি সিঙ্ক্রোনাইজেশন সিস্টেম যা ব্যবহারকারীদের ডেটা সম্পর্কিত বিভিন্ন উপকরণে একই সাথে ব্যবহৃত করতে সাহায্য করে।

আরো অনেক ধরনের ফিচার হয়েচে যা আপনি ব্যবহার করলে বোঝতে পারবেন। iOS এর মূল ফিচার হল উচ্চ সুরক্ষা এবং একটি নিরাপদ সিস্টেম, যা কেবল আপনার ডিভাইসের জন্য উন্নয়ন করা হয়েছে।

এছাড়াও এটি বিভিন্ন ফিচার এবং উপকরণ সম্পন্ন যা আপনাকে দ্রুত কাজ করতে সহায়তা করে। এটি একটি ব্যবহারকারী একটি প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করে যা ব্যবহারকারীদের কাজকর্ম সহজ করে ।

iOS-এর Versions

আইওএস (iOS) হল একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা আইপ্যাড, আইফোন, আইপড ইত্যাদি ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়।

এটি আইফোন এবং আইপ্যাডের জন্য তৈরি হয়েছে এবং আইওএস আইপড টাচ, আইপড মিনি এবং আইপড প্রোও সম্পর্কিত ডিভাইসের জন্যও ব্যবহার করা হয়।

iOS এর বিভিন্ন সংস্করণ হল iOS 1, iOS 2, iOS 3, iOS 4, iOS 5, iOS 6, iOS 7, iOS 8, iOS 9, iOS 10, iOS 11, iOS 12, iOS 13, iOS 14, iOS 15। প্রতিটি সংস্করণে নতুন ফিচার এবং বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।

iOS এর versions এর তালিকা  নিয়ে কিছু কথা নিম্নলিখিতঃ

iPhone OS 1

2007 সালে এপ্পল নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট কম্পানি একটি নতুন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ করে, যা এরপর আইফোন নামে পরিচিত হয়।

এটি অ্যাপল ডেস্কটপের অপারেটিং সিস্টেমের মতো নয়, কারণ এটি স্পর্শ-কেন্দ্রিক ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করে।

আইফোন iOS 1, আইফোনের জন্য তৈরি হওয়া একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ছিল যা ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সেটি পরবর্তীতে আইওএস নামে পরিচিত হয়।

এই সিস্টেমে সেটিংস, কন্টাক্ট লিস্ট, মেসেজ এবং কল লগ সহ সামান্য অ্যাপস ছিল। এছাড়াও আইফোন iOS 1 এর সাথে একটি ওয়েব ব্রাউজার, স্টক অ্যাপ্লিকেশন এবং ইমেইল ক্লায়েন্ট ছিল।

আইফোন iOS 1 এ সেটিংস মেনু সহ গ্রাফিকাল ইন্টারফেস ছিল যা সহজে ব্যবহার করা যেত। সিস্টেমটি কম সংস্করণ হওয়ায় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ছিল।

আইফোন ওএস 1 এর কিছু প্রধান ফিচারঃ

  1. স্টক অ্যাপ্লিকেশন: সিস্টেমে স্টক অ্যাপ্লিকেশনগুলি ছিল – কন্টাক্ট লিস্ট, ক্যালেন্ডার, নোটস, টাইম জোন, ক্যালকুলেটর এবং সেটিংস।
  2. ওয়েব ব্রাউজার: সিস্টেমে সহজে ব্রাউজ করার জন্য একটি ওয়েব ব্রাউজার ছিল।
  3. ইমেল ক্লায়েন্ট: সিস্টেমে একটি ইমেল ক্লায়েন্ট ছিল যা ইমেল পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হতো।
  4. সিঙ্গেল টাস্কিং: সিস্টেমে সিঙ্গেল টাস্কিং ব্যবহার করা হতো, অর্থাৎ কোনও একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হলে অন্য কোনও অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা সম্ভব হতো না।
  5. টাচস্ক্রিন ইন্টারফেস: আইফোন ওএস 1 সিস্টেমে প্রথমবারে একটি মুলতবি টাচস্ক্রিন ইন্টারফেস ছিল।

এই সিস্টেমটি আইফোন 2G এবং আইফোন 3G উভয় ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এছাড়াও আরোও অনেক ফিচার যুক্ত ছিল এই ভার্সনে এর মোবাইলে এর মধ্যে।

iPhone OS 2

iPhone OS 2 হল আইফোনের দ্বিতীয় সংস্করণ এবং 2008 সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

এই সংস্করণে নতুন ফিচার ও সুবিধাগুলি যুক্ত করা হয়েছে, যা একটি আর্কিটেকচার আপডেট এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের উন্নয়ন দ্বারা সম্ভব হয়েছে।

এখানে কিছু নতুন ফিচার সমূহ উল্লেখ করা হলঃ

  1. App Store: আইফোনের জন্য আপল একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন স্টোর প্রকাশ করেছে, যা ব্যবহারকারীদের নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারত।
  2. টেক্সট মেসেজ এবং মেল সাপোর্ট: এই সংস্করণে আইফোনের টেক্সট মেসেজ এবং ইমেইল ক্লায়েন্ট আরও উন্নত করা হয়।
  3. ফোটো স্লাইডশো: ব্যবহারকারীরা এখন আইফোনে ফোটো স্লাইডশো দেখতে পারেন।
  4. একটি বার সার্চ: একটি নতুন সার্চ বার আইফোনে যুক্ত করা হয়েছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অ্যাপ্লিকেশন, কন্টাক্ট এবং অন্যান্য উপযোগী তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন।
  5. নোটিফিকেশন: আইফোনে নোটিফিকেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের পাশের পূর্বনির্ধারিত আবদ্ধতার মধ্যে নোটিফিকেশন প্রাপ্ত হয়।

এছাড়াও নতুন কিছু ফিচার যোগ করা হয়েছিল, যেমন স্ক্রীন রোটেশন, এক্সেসেবিলিটি অপশন, ফোনে কনট্রোল সেন্টার এবং একটি মাইক্রোফোন রেকর্ডিং অ্যাপ।

এই সংস্করণে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সংযোগের সুবিধাও দেওয়া হয়।

iPhone OS 3

iPhone OS 3 হল 2009 সালে প্রকাশিত একটি iOS version। এই ভার্সনে অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ উপযোগী হয়েছে। এই ভার্সনে বিভিন্ন নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যেমন

  1. Cut, Copy, and Paste: এই ফিচার একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফিচার। এটি ব্যবহারকারীদের কাজটি সহজ করে দেয় যাতে তারা টেক্সট সম্পাদনা করতে পারেন এবং এটি কপি করতে পারেন এবং স্থানান্তর করতে পারেন।
  2. MMS: এই ভার্সনে একটি নতুন ফিচার হিসাবে MMS (Multimedia Messaging Service) সম্পর্কিত সম্পূর্ণ সাপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে।
  3. Spotlight Search: এই ফিচার একটি অন্যতম পরিচিত ফিচার। এটি ব্যবহারকারীদের স্থান ও তারিখ নির্দিষ্ট করার মাধ্যমে কোনও ফাইল বা তথ্য সন্ধান করতে সহায়তা করে।
  4. কল ব্লকিং: এটি ব্যবহারকারীদের কল স্ক্রীন থেকে নির্বাচিত নম্বরগুলি ব্লক করতে দেয়।
  5. মাল্টিটাস্কিং: এটি ব্যবহারকারীদের অন্যান্য এপ্লিকেশনগুলি চালু রাখতে একটি ব্যবহারকারীর একসাথে কয়েকটি এপ খুলতে দেয়।
  6. পোর্ট্রেট কেবল মোড: এটি একটি নতুন স্ক্রীন রোটেশন ফিচার যা ব্যবহারকারীদের স্ক্রীনটি পোর্ট্রেট মোডে মাত্র বজায় রাখতে দেয়।
  7. ব্লুটুথ স্টেরিও হেডসেট: এটি ব্যবহারকারীদের ব্লুটুথ স্টেরিও হেডসেটগুলি ব্যবহার করতে দেয়।
  8. আরএসএস ফিড সাপোর্ট: এটি ব্যবহারকারীদের একটি নতুন এসএস ফিড এড করতে দেয়।

আরোও অনেক ফিচার যুক্ত করা হয় এই ভার্সনে সেই আপডেটের সাতে সাথে যা মানুষকে আরো ভাল সার্ভিস দেয়।

iOS 4

iOS 4 হল 2010 সালে প্রকাশিত একটি মেজর iOS ভার্সন। এই ভার্সনে প্রায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হল এপ মাল্টিটাস্কিং যা ব্যবহারকারীদের দুই বা ততোধিক এপ একসাথে চালাতে পারতে দিয়েছে।

আরো কিছু iOS 4 ফিচারগুলো হলঃ

  • iBooks অ্যাপ যুক্ত হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের বই পড়ার অভ্যাস সুবিধা দিয়েছে।
  • Game Center যুক্ত হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের অনলাইনে গেম খেলতে এবং আন্তর্জাতিক স্কোরবোর্ডে প্রতিযোগিতা করতে সুবিধা দেয়।
  • অ্যাপ ফোল্ডার জোড়া যায় এবং একটি স্বয়ংক্রিয় ফোল্ডার পরিচালনা করে।
  • AirPlay প্রদর্শন যুক্ত হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের অবসান সম্পদ প্রদর্শন করতে দেয়।
  • ব্যবহারকারীরা এখন একটি স্পটলাইট ফ্ল্যাশের মাধ্যমে ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন।
  • হোম স্ক্রিনে ফোল্ডার তৈরি করা যাবে, যা বেশি সুবিধাজনক হবে অ্যাপগুলো সংরক্ষণ করতে।
  • ব্যবহারকারীরা এখন একটি বর্তমান অ্যাপকে সেটআপ করার জন্য অপেক্ষা করতে না হবেন, অ্যাপটি সেটআপ করার সময় ব্যবহারকারীরা অন্য কোন কাজ করতে পারেন।

ইনবক্স এবং পোস্টবক্স এখন একত্রে মিশে গিয়েছে এবং টেক্সট মেসেজের স্বয়ংক্রিয় সংক্ষিপ্তকরণ এখন পাওয়া যাচ্ছে। আরো ভাল স্ট্রিমিং সমর্থন, জেএসএফ সমর্থন, ওপেনজিএল এবং আরও অনেক কিছু।

আপনি আরোও পোরতে পারেন…

iOS 5

iOS 5 হল আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচের জন্য Apple এর পঞ্চম মেজর মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এটি 2011 সালের অক্টোবর 12 তারিখে রিলিজ করা হয়েছিল ।

এবং এতে অনেক নতুন ফিচার এবং উন্নয়ন রয়েছে, যেমন:

  1. আইমেসেজ: একটি নতুন মেসেজিং সার্ভিস যা ব্যবহারকারীদের অসীম টেক্সট মেসেজ, ছবি এবং ভিডিও পাঠানো দেয় ওয়াইফাই বা 3G এর মাধ্যমে।
  2. নোটিফিকেশন সেন্টার: একটি নতুন কেন্দ্রীয় স্থান সমস্ত নোটিফিকেশনের জন্য, যেমন টেক্সট মেসেজ, ইমেল, ক্যালেন্ডার সতর্কতা এবং আরও অনেক কিছু।
  3. iCloud: ব্যবহারকারীদের ডেটা ও ফাইলগুলি স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ করা থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা তাদের অন্য ডিভাইসের সাথে সিঙ্ক করা যায়।
  4. অ্যাপ্লিকেশন এর স্ক্রীন শেয়ারিং: একটি নতুন ফিচার যা ব্যবহারকারীদের স্ক্রীনের ডিসপ্লে শেয়ার করতে দেওয়া যেত, যাতে অন্যান্য ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারে।
  5. ব্যক্তিগত স্বয়ংক্রিয় মোড: একটি নতুন ফিচার যা স্ক্রীন লক করে দেয় এবং ফোন নতুন নতুন সংযোগে ব্যবহার করতে পারে না। মানে আসল মালিক ছাড়া কেউ ব্যবহার করতে পারতনা।

আপেল কোম্পানির iOS 5 হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হয়েছিল। এটি সফলভাবে আপেল কোম্পানির স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট উদ্যোগের উন্নয়নের মধ্যে একটি  বড় সফল কাজ হয়েছিল।

এটির বিশেষ নতুন বৈশিষ্ট্য ছিল যেমন iMessage, Notification Center, Siri, Reminders, iCloud এবং বেটার ফটো ম্যানেজমেন্ট আদি ব্যবহারকারীদের প্রায় সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে

OS 6

iOS 6 হল আইফোন এবং আইপ্যাডের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের ছয়তম মূল রিলিজ, যা Apple Inc. দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। এটি ২০১২ সালের জুনে প্রদর্শিত হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে মুক্তি পেয়েছিল।

iOS 6 এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলি নিম্নরূপ হলোঃ

  1. Apple Maps: iOS 6 এ এপল ম্যাপস এনক্রিপ্টেড স্থানাঙ্ক ডেটাবেস এর মাধ্যমে জুগল ম্যাপসের সাথে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। এটি উপযুক্ত মানচিত্র, সর্বত্র নেভিগেশন সেবা এবং 3D মানচিত্র প্রদান করে।
  2. Siri: iOS 6 এ সিরি একটি নতুন একটি অপশন হিসাবে উন্নয়ন করা হয়েছিল। এটি একটি স্বতন্ত্র অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে মোবাইল ডিভাইসে ইন্টিগ্রেট করা হয়।
  3. Passbook: এটি একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন, যা একটি ডিজিটাল ক্যাশলেস এবং কার্ড একত্রীকরণ সম্পন্ন করে এবং যা টিকেট, স্ক্যান, গিফট কার্ড এবং অন্যান্য পাসওয়ার্ড বিক্রেতাদের আদেশ রেখে দেয়।
  4. Shared Photo Streams: iOS 6 এ স্থানান্তরিত ছবি স্ট্রিম আপনার বন্ধুদের সাথে সাঝা করার জন্য সুবিধা প্রদান করে।
  5. Do Not Disturb: এটি একটি নতুন অপশন যা ব্যবহারকারীদের সাহায্য করে নির্দেশ প্রদান করে স্বাভাবিক কাজ করা সম্ভব হওয়া পর্যন্ত কোনও সময় উপলব্ধ করে না।
  6. FaceTime over cellular: iOS 6 এ ফেসটাইম কল করতে সেলুলার ডেটা সংযোগ ব্যবহার করা যায়।
  7. Passcode enhancements: iOS 6 এ পাসকোড নিরাপত্তা সুপারিশ পরিমাপ হিসাবে উন্নয়ন করা হয়েছিল।
  8. Guided Access: এটি একটি নতুন ফিচার, যা শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ দেয় এবং স্কুলে ব্যবহারের জন্য একটি উপযোগী অপশন হিসাবে উন্নয়ন করা হয়েছিল।
  9. Improved Siri integration: iOS 6 এ সিরি এর ইন্টিগ্রেশন আরও উন্নয়ন করা হয়েছিল যাতে ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ উপকারিতা হতে।

iOS 6 একটি উন্নয়নশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ ছিল যা এপলের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি পরিবর্তনী মুহূর্ত ছিল।

এতে নতুন ফিচার যেমন Siri, Passbook, Maps এবং আরও অনেক কিছু উল্লেখযোগ্য ছিল। এছাড়াও সিকিউরিটি এবং সিস্টেম স্টেবিলিটি বেশি উন্নয়ন করা হয়।

এবং এপল এপ স্টোর ও ইউজার ইন্টারফেস উন্নয়ন করা হয়েছিল। আমরা আশা করি এই সংস্করণ বিশেষভাবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি অনেক ভাল অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করেছে।

এবং এপল এগিয়ে চলছে এবং উন্নয়ন করছে তাদের প্রোডাক্ট লাইন সম্পর্কে যাতে আমরা আরও ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি।

iOS 7

iOS 7 এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার যোগ হয়েছিল। এটি আইফোন এবং আইপ্যাডের একটি বড় আপডেট ছিল এবং এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলি নিচে দেখতে পারেবন।

iOS 7 এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলি নিম্নলিখিত:

  1. নতুন ডিজাইন: iOS 7 একটি নতুন ডিজাইন সিস্টেম নিয়ে এসেছে, যা পুরাতন বিভিন্ন উইজেটগুলির স্থান দিয়ে নতুন একটি ফ্ল্যাট ইন্টারফেস দিয়েছে।
  2. নতুন ফটো এপ: একটি নতুন ফটো এপ যুক্ত করা হয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবি সংরক্ষণ করতে এবং ফিল্টার প্রয়োগ করতে ভাল কাজ করে।
  3. নতুন কন্ট্রোল সেন্টার: একটি নতুন কন্ট্রোল সেন্টার যুক্ত করা হয়েছে যা আপনাকে আপনার স্ক্রীনের সেটিংস নির্বাচন করতে করতে আরো সহজকরে দেয়।
  4. এয়ারড্রপ: নতুন একটি ফিচার হিসাবে এয়ারড্রপ যোগ করা হয়েছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সংযোগ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কাজগুলি করতে পারেন।
  5. কেবিনেট: iOS 7 এ একটি নতুন কেবিনেট এপস এর সাথে এসেছে যা কাজ করে ব্যবহারকারীদের দফায় তথ্য সংরক্ষণ করার সুবিধা দেয়।

iOS 9

iOS 9 হল 2015 সালে রিলিজ করা একটি অপারেটিং সিস্টেম যা আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচ উভয়েই সমর্থিত ছিল।

এই সিস্টেমের সাথে একটি নতুন নিউজ অ্যাপ নিউজস্ট্যান্ড জুড়ে আসা হয়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সর্বশেষ সংবাদ এবং অন্যান্য তথ্যসমূহ দেখতে পারতেন।

এছাড়াও, iOS 9 এ নাইট শিফট মোড যুক্ত করা হয়। এটি স্ক্রিনের ডিসপ্লেকে রাতের সময় উষ্ণ করে তুলে দেয়। এর ফলে, চোখের চাপ অনেকটা কমে গেছে।

iOS 9 এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. নতুন নিউস্ট্যান্ড অ্যাপ: এই এপিটি আপনাকে নির্দিষ্ট নিউজ পোর্টাল থেকে নিউজ প্রদান করে এবং আপনার পছন্দের টপিকগুলো অনুসরণ করতে পারে।
  2. পাওয়ার সেভিংস মোড: এই ফিচার একটি নতুন এনার্জি সেভিংস মোড উপস্থাপন করে যা আপনার ডিভাইসের ব্যবহার সময় ব্যাটারি বেশি বাঁচানো সাহায্য করে।
  3. প্রথমবারের মতো উইজেট নোটিফিকেশন: এখন সরাসরি হোমস্ক্রিনের উপর একটি নোটিফিকেশন বার থেকে উইজেটগুলি দেখা যাবে।
  4. নাইট শিফট মোড: এটি স্ক্রীনের ডিসপ্লেকে রাতের জন্য উষ্ণ করে তুলে দেবে, যার ফলে চোখের চাপ কমে যাবে।
  5. বেটা ফিচার এপস ডাউনলোড করতে অনুমতি দেওয়া: এখন আপনি এপস ডাউনলোড করার আগে অনুমতি দেবেন এটি বেটা ফিচার সহ হলেও।
  6. Proactive Assistant: স্বয়ংক্রিয় সহায়তা অ্যাসিসট্যান্ট প্রবর্তন করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য স্থানীয় তথ্য, পরিবহার উপযোগীতা এবং অন্যান্য তথ্য প্রদর্শন করে।
  7. Multitasking: এখন আপনি ট্যাস্ক স্লাইড করে মাল্টিটাস্কিং ভাবে স্ক্রীন এবং এ্যাপগুলি কাজ করতে করতে পারেন।
  8. Low Power Mode: লো পাওয়ার মোড দ্বারা আপনার ব্যাটারি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আপনি চাইলে এই মোড চালু করতে পারেন।
  9. Improved Notes App: নোটস অ্যাপটি এখন অনেক উন্নয়ন পেয়েছে, এখন আপনি লিস্ট মেইক করতে পারেন, ফটো এবং ওয়েব লিংকগুলি যুক্ত করতে পারেন।
  10. Transit Maps: নতুন ট্রান্সিট ম্যাপ ফিচারটি পরিচালিত হয়, এটি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নির্দেশিকা প্রদান করে।

iOS 9 ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ যা পূর্ববর্তী সংস্করণের তুলনায় অনেক উন্নতি এনে দিয়েছে।

সিরি নামক পার্সনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এখন একটি সাধারণ ফিচার হিসাবে উপস্থিত হয়েছে এবং কেবলমাত্র সহজতর ফরমে নোটিফিকেশন ও অ্যাপ সুপ্রস্থিত করার জন্য নতুন স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে।

iOS 10

iOS 10 হল আইফোন এবং আইপ্যাডের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের একটি সংস্করণ। 2016 সালে উন্মুক্ত হওয়া এই সিস্টেমটি বিভিন্ন নতুন ফিচার ও সুবিধা নিয়ে আসে।

iOS 10 এর নতুন ফিচারগুলো হিসাব করা যাক:

  1. নতুন হোম স্ক্রীন: iOS 10 এ হোম স্ক্রীন নতুন ডিজাইন পাওয়া যায়। এটি স্প্রাউটস ও উইজেটস ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে প্রদর্শিত করে।
  2. ফেসটাইম অ্যাপ নিয়ে নতুন সুবিধা: ফেসটাইম অ্যাপে এখন ট্রান্সক্রিপশন ফিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি বলা কথা টেক্সট হিসেবে প্রদর্শিত করে যায়। এছাড়াও, ফেসটাইম অ্যাপ থেকে ভিডিও কলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা যায়।
  3. সিরি পার্সনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট: এখন সিরি নামক পার্সনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করা যাবে। সিরি সম্পর্কে আগের ভার্সনের চেয়ে নতুন কমান্ড এবং ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
  4. আপডেট কেন্দ্র: আপনার সিস্টেম আপডেট এবং এপ্লিকেশন আপডেট সম্পর্কে জানতে এখন একটি আপডেট কেন্দ্র হবে।
  5. ক্যামেরার ফিচার: ক্যামেরার জন্য নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রেট্রো ফিল্টার, লাইভ ফোটো ফিল্টার, পোর্ট্রেট মোড, স্লোমো ভিডিও ফিল্টার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
  6. আপডেটেড ম্যাপস: iOS 10 এ নতুন ভার্সনের ম্যাপস এসেছে, যা এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় বেশি ভালো মানের মানচিত্র এবং এর সাথে সাথে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাফিক রিপোর্ট প্রদান করে।
  7. এপ ডিলেট করার সুবিধা: iOS 10 এ, ব্যবহারকারীরা এখন এপ ডিলেট করতে পারেন তাদের হোমস্ক্রিন থেকে লং-প্রেস করে এবং প্রথমে একটি অ্যাপ মুছতে প্রথম ধাপে স্বাভাবিকভাবে স্পর্শ করে রাখতে হবে না।
  8. এপ বিষয়ক নোটিফিকেশন: iOS 10 এ, ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ব্যবহার সংক্রান্ত অনুসন্ধান করার সুবিধা রয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের একটি নোটিফিকেশন দেওয়া হবে যখন তারা অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে আগ্রহী হবেন।

iOS 10 একটি উন্নয়নশীল এবং সুসংবেদনশীল অপারেটিং সিস্টেম ছিল। এর নতুন ফিচারগুলি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজবোধ্য হতে সহায়তা করে।

iOS 11

iOS 11 হল একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা 2017 সালে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এই সিস্টেমে অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীদের অনেক সুবিধা দেয়।

সিস্টেমটি আরও সহজভাবে ব্যবহার করা যায় এবং এটি আপনার ডিভাইস ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তুলবে।

  1. নতুন কন্ট্রোল সেন্টার: এখন ব্যবহারকারীদের সহজেই কন্ট্রোল সেন্টার কাস্টমাইজ করে নিজেদের পছন্দমত ফিচার যোগ করতে পারবেন।
  2. ফাইল ম্যানেজার: iOS 11 এ একটি নতুন ফাইল ম্যানেজার যোগ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই ফাইল সিস্টেম এক্সপ্লোর করতে পারবেন।
  3. একটি নতুন এবং উন্নয়নশীল সিরি: iOS 11 এ সিরি নামক পার্সনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট উন্নয়ন পায়েছে যা এখন আরও স্মার্ট এবং কাজে সহজ হয়েছে।
  4. আপডেট স্থানান্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে: এখন iOS 11 এর সাথে আপনার ডিভাইস স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি নতুন এবং স্বচ্ছ আপডেট স্থানান্তর ফিচার যুক্ত হয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক হলে সেটিংস মেনু থেকে আপডেট স্থানান্তর অফ করা যাবে।

এছাড়াও, iOS 11 আপনাকে ভাল সিকিউরিটি প্রদান করে যেখানে আপনি আপনার ফোনের সিকিউরিটি লেভেল হাই করতে পারবেন।

নতুন ফিচারগুলির মধ্যে একটি হলো ফেসআইডি সিস্টেম, যা আপনার ফোনের লকড স্ক্রিন আনলক করার জন্য আপনার চেহারাকে ব্যবহার করতে পারবেন।

iOS 12

iOS 12 সেপ্টেম্বর 2018 তে রিলিজ হয়েছিল এবং Apple ডিভাইসের কর্মক্ষমতা এবং নির্ভরশীলতা উন্নয়নে অনেক অবদান ছিল।

এটি Screen Time এবং Memojis এর মতো বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে আসে। Screen Time দ্বারা ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইস ব্যবহার মনিটর করতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যেত।

iOS 13

iOS 13 হল একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা 2019 সেপ্টেম্বর মাসে রিলিজ করা হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত iOS 13 এ নতুন ফিচার গুলো যোগ করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, ডার্ক মোড এবং ফোটো এডিট অ্যাপস এক্সপেরিয়েন্স উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়া এখানে সাইন ইন উইথ অ্যাপল এবং আধুনিক সিরি ভয়েস যুক্ত করা হয়েছে।

iOS 14

আইওএস ১৪ হল একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা ২০২০ সেপ্টেম্বর মাসে রিলিজ করা হয়েছিল। এতে ব্যবহারকারীদের নতুন আইফোন মডেলগুলির জন্য পরিচালিত কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়েছে।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

যেমন উন্নয়ত হোমস্ক্রীন ডিজাইন, অভিনব অ্যাপল ওভারভিউ মোড, ফোনে আসা কল ও মেসেজ এবং নতুন ফিচারগুলি যেমন স্লিপিং মোড এবং আইফোনে নিজস্ব ভাইরাস স্ক্যানার সহ কিছু অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।

iOS 15

iOS 15 এই মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমটি 2021 সালে রিলিজ হয়েছিল। এটি নতুন হোমস্ক্রিন লেআউট, উন্নয়নত নোটিফিকেশন ব্যবস্থা, উন্নয়নকৃত সিরি ভয়েস, উন্নয়নকৃত ম্যাপস এবং সফারি এ্যাপ এবং আরও অনেক নতুন ফিচার সম্পন্ন।

এছাড়াও, এটি ক্যামেরা, ফটো এবং ভিডিও এডিটিং এবং কথা বলে টাইপ করার জন্য নতুন টুলস উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন পেয়েছে।

iOS নিয়ে আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেল থেক আপনি iOS কি নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন যেমন, iOS কি , iOS এর কাজ কি এবং আইওএস এর বিভিন্য ফিচার এবং ভার্সন নিয়ে আলোচনা করেছি।

আপনার যদি আইওএস নিয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জিজ্ঞাসা করুন। আর এরকম আরো তথ্য জানতে আমাদের ব্লগসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top