হার্ডডিস্ক কি | কম্পিউটার হার্ডডিস্ক কিভাবে কাজ করে ? (About Hdd in bengali)

Hdd কিপ্রযুক্তির সাথে তাল মেলানোর জন্য ক্রমেই বেড়ে উঠছে কম্পিউটার এর ব্যবহার। আর আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, একটি কম্পিউটার বিভিন্ন প্রকার হার্ডওয়্যার দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।

হার্ডডিস্ক (Hdd) কি | কম্পিউটার হার্ডডিস্ক কিভাবে কাজ করে ?
হার্ডডিস্ক (Hdd) কি ? কম্পিউটার হার্ডডিস্ক কিভাবে কাজ করে ?

আর একটি কম্পিউটারে যত গুলো উপাদান থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো হার্ডডিস্ক। যাকে ছাড়া একটি কম্পিউটার ডিভাইস কে কল্পনা করা অসম্ভব।

যখন আপনি কোনো একটি কম্পিউটার ব্যবহার করবেন। তখন সেই কম্পিউটারে নানা রকম Data কে জমা করে রাখার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এবং সেই ডাটা গুলো জমা করে রাখতে পারি বলেই। আমরা পরবর্তী সময়ে পুনরায় সেই ডাটা গুলোকে ব্যবহার করতে পারি। আর এই সবগুলো কাজের পেছনে যার অপার গুরুত্ব রয়েছে।

সেই কম্পিউটার এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এর নাম হলো হার্ডডিস্ক (Hard Disk).

আর আজকের আর্টিকেল এর মূল টপিক হলো হার্ডডিস্ক।

আপনার জন্য আরো লেখা আছে…

আজকে আপনি HDD ki এই রিলেটেড অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পারবেন। যেমন, হার্ডডিস্ক কি?

এবং হার্ডডিস্ক কত প্রকার  কি কি? ও হার্ডডিস্ক কিভাবে কাজ করে?

যদি আপনি একজন কম্পিউটার প্রেমী মানুষ হয়ে থাকেন। তবে হার্ডডিস্ক কি? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা, আপনার দৈনন্দিন ব্যবহৃত কম্পিউটার ডাটা গুলো কোথায় স্টোর হয়ে থাকছে।

এবং পরবর্তী সময়ে আপনি কিভাবে সেই স্টোর করা Data গুলোকে রিকভার করতে পারছেন।

তার সবগুলো বিষয় নিয়ে আজকে পুর্নাঙ্গভাবে আলোচনা করবো।

তাই আপনার জ্ঞানপিপাসু মন দিয়ে চেস্টা করবেন। আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়ার ৷

কারন এই একটি আর্টিকেল থেকে আপনি যে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। তা অন্য কোনো লেখা থেকে আহোরিত করতে পারবেন না।

তাহলে আর দেরী কেন, চলুন একবারে মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক।

হার্ডডিস্ক কি? (What is Hard Disk in bangla)

আপনি আজকের এই লেখা থেকে অবশ্যই Hard Disk সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে সবার আগে জেনে নিতে হবে আসলে হার্ডডিস্ক কি বা হার্ডডিস্ক কাকে বলে।

কেননা, আপনি যে বিষয়ে বিস্তারিত জানবেন ৷ সে বিষয়টি কি সেটা যদি আপনি না জানেন৷ তাহলে পরবর্তী আলোচনা গুলো আপনার বুঝতে অসুবিধা হবে।

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তাদের বিভিন্ন প্রকার ডাটা উক্ত কম্পিউটারে জমা করে রাখার দরকার হয়ে থাকে।

আর এই Data গুলো কিন্তুু এমনি এমনি জমা হয়ে থাকেনা।

বরং এগুলো কে জমা করে রাখার জন্য দরকার হয় স্টোরেজের। আর কম্পিউটারের যে উপাদান কে Storage হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাকে বলা হয়ে থাকে হার্ডডিস্ক। 

সহজে হার্ডডিস্ক কাকে বলে? 

উপরের আলোচনায় আমি হার্ডডিস্ক কি তা স্বল্প আকারে আলোচনা করেছি। তবে সেই আলোচনা টি যদি আপনার বোধগম্য না হয়।

তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

কারন এবার আমি সহজে হার্ডডিস্ক কাকে বলে। সে নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

যখন আমরা বিংশ শতাব্দীতে পদার্পন করেছি। ঠিক তখন থেকেই উন্নত বিশ্বের নতুন নতুন প্রযুক্তির স্বাদ গ্রহন করতে পেরেছি।

আর সেই উন্নত প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম হলো মোবাইল কিংবা কম্পিউটার এর মতো ডিভাইস গুলো।

আর মজার বিষয় হলো, আপনি বর্তমানে এই লেখাটি পড়ছেন। সেটাও কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়েই পড়তে পারছেন।

এবার ছোট্ট একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন। আমাদের হাতে যেসব এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন আছে। এগুলো নানা ধরনের উপাদান এর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।

যেমন, Ram, Rom, internal storage, External storage ইত্যাদি। তবে অন্যান্য সব উপাদানের মধ্যে স্টোরেজ (Storage) হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো স্টোর করে রাখতে পারবেন।

মোবাইলে যেমন আপনি কোনো ডাটা কে জমা করে রাখার জন্য মেমোরি কার্ড ব্যবহার করেন। ঠিক তেমনিভাবে কোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইসে কোনো ডাটা বা তথ্য কে জমা করে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় হার্ডডিস্ক।

যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় Data গুলোকে স্টোর করে রাখতে পারবেন। এবং পরবর্তী সময়ে আপনার দরকার অনুসারে সেই জমা থাকা ডাটা গুলোকে ব্যবহার করতে পারবেন। 

Hdd এর কাজ কি ? 

হার্ডডিস্ক কি ? সহজ ভাষায় হার্ডডিস্ক কাকে বলে। আশা করি সে সম্পর্কে আপনি পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন। তো এই বিষয় সম্পর্কে জানার পর আপনাকে আরও একটি বিষয় জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

আর সেটি হলো, Hdd এর কাজ কি? 

অর্থ্যাৎ, আমরা আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস গুলো তে যেসব হার্ডডিস্ক ব্যবহার করি। সেগুলো আসলে কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

একটা বিষয়ে চিন্তা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, কোনো একটি কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি সফটওয়্যার পর্যন্ত।

প্রায় সবার ই নির্দিষ্ট পরিমান Data (তথ্য) জমা হয়ে থাকে। আর এই ডাটা গুলো জমা হয়ে থাকে বলেই। আমরা ঐসব সফটওয়্যার গুলোকে স্মুথলি ব্যবহার করতে পারি।

কিন্তুু এই ডাটা গুলো আপনি তখনি জমা করে রাখতে পারবেন। যখন সেই কম্পিউটারের সাথে এক বা একাধিক Hard Disk যুক্ত করা থাকবে।

কারন হার্ডডিস্ক হলো এমন এক ধরনের স্টোরেজ। যেখানে আপনি আপনার পছন্দমতো কোনো Data কে Store করে রেখে দিতে পারবেন।

আর রেখে দেওয়া এই ডাটা গুলোকে নিজের প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে এসব ডাটাকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

আবার যদি আপনি চান, তাহলে Hard Disk এর মধ্যে জমা থাকা ডাটা কে মুছে ফেলতে পারবেন। এই এই ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করাই হলো HDD এর মূল কাজ। 

হার্ডডিস্ক এর বৈশিষ্ট্য কি ?

হার্ডডিস্ক কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়াটা যেমন অতি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক তেমনিভাবে হার্ডডিস্ক এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেয়াটাও অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।

কারন, এই ধরনের ইলেকট্রনিকস উপাদান গুলোর প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট থাকে।

ঠিক তেমনিভাবে কোনো একটি কম্পিউটারে ব্যবহার করা Hard Disk এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।

কিন্তু প্রত্যেক কম্পিউটার ইউজার তাদের ডিভাইসে এই হার্ডডিস্ক কে ব্যবহার করলেও। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা এগুলোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানে না।

আর যেহুতু আমাদের প্রত্যেকটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে Hard Disk ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। তাই, অবশ্যই আপনাকে হার্ডডিস্ক এর বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নিতে হবে।

তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

  1. বলে রাখা ভালো যে, কম্পিউটার এর ভেতরে থাকা অন্যান্য উপাদান গুলোর মধ্যে হার্ডডিস্ক অনেক সুরক্ষিত থাকে। যার কারনে, আমাদের কম্পিউটার এর ভেতরে থাকা HDD গুলো খুব কম পরিমানে নষ্ট হয়। 
  2. মূলত, একেকটি Hard Disk এর ধারন ক্ষমতা একেক রকমের হয়ে থাকে। আপনি যতো বেশি স্টোরেজ যুক্ত হার্ডডিস্ক ততো বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হবে।
  3. কারন এগুলোতে প্রচুর পরিমান ডাটা কে স্টোর করা যাবে। 
  4. প্রতিটা হার্ডডিস্কের বিশেষ একটা বৈশিষ্ট্য আছে। আর সেটি হলো এরা অতি দ্রুততার সাথে যেকোনো ধরনের ডাটাকে জমা করে রাখতে পারে।
  5.  প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তী সময়ে আবার সেই ডাটা গুলোকে স্থানান্তর করা যায়। 
  6. একটি কম্পিউটার ডিভাইসের বিভিন্ন উপাদান গুলো নরম কিংবা ভঙ্গুর হলেও Hard Disk কিন্তুু অনেক বেশি শক্ত এবং মজবুত হয়ে থাকে। 
  7. আমরা ব্যবহারিক সুবিধার জন্য যেসব হার্ডডিস্ক ব্যবহার করি। সেগুলো মূলত কম্পিউটার এর ভেতরে সেটআপ করা থাকে। 
  8. সবার মজার ব্যাপার হলো আপনি আপনার দরকারি ডাটা গুলোকে হার্ডডিস্কের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমা করে রাখতে পারবেন। 
  9. সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, Hard Disk এর মধ্যে তাপমাত্রার কোনো প্রভাব পড়ে না। অর্থ্যাৎ, তাপমাত্রার কমবেশি হওয়ার কারনে হার্ডডিস্ক কখনও নষ্ট হয় না। 

উপরে আমি বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছি। যে গুলো মূলত হার্ডডিস্কের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

আর আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, আমি যেসব বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছি। সে গুলো সম্পর্কে আপনি পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। 

হার্ডডিস্ক পার্টিশন করার পদ্ধতি কি ?

কোনো একটি হার্ডডিস্কের মধ্যে থাকা মোট Storage এর পরিমানকে বিভাজন করার পদ্ধতি কে বলা হয় হার্ডডিস্ক পার্টিশন। আর প্রয়োজন এর তাগিদে আমরা প্রায় বেশিরভাগ মানুষ ই আমাদের Hard Disk কে বিভিন্ন পার্টিশনে ভাগ করে থাকি।

তবে আপনি আপনার হার্ডডিস্ক কে কি পরিমানে বিভাজন করতে পারবেন। সেটা নির্ভর করবে আসলে আপনার HDD তে কি পরিমান স্টোরেজ আছে তার উপর।

তো আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এখনও জানেনা যে কিভাবে কোনো একটি হার্ডডিস্ক কে পার্টিশন করতে হয় ৷

আর এবার আমি খুব স্বল্প পরিসরে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। যেন এরপর থেকে আপনার HDD Pertison করতে আপনার কোনো প্রকার ঝামেলা পোহাতে না হয়। যেমন,

  1. সবার আগে আপনাকে কম্পিউটার এর সার্চ অপশনে যেতে হবে। এরপর আপনাকে টাইপ করতে হবে Computer Management. 
  2. এরপর আপনাকে একটু নিচের দিকে তাকাতে হবে। কেননা, এখানে Disk Management নাম এর আরও একটি নতুন অপশন দেখতে পারবেন। 
  3. যখন আপনি Disk Management এ ক্লিক করবেন। তখন আপনার কম্পিউটারে থাকা যত গুলো পার্টিশন আছে। তার সবগুলোই স্কিনের ডানপাশে দেখতে পারবেন। 
  4. কিন্তুু আপনার Hard Disk যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকে। তাহলে আপনি শুধুমাত্র একটি করে পার্টিশন দেখতে পারবেন। 
  5. তো এরপরে আপনাকে Shrink Free Space এ ক্লিক করতে হবে। যখন আপনি এই অপশনে ক্লিক করবেন। তখন আপনার সামনে আরও বেশ কিছু অপশন চলে আসবে। 
  6. উপরোক্ত সেটিংস গুলো করার পর আপনাকে Set a new volume or drive এ ক্লিক করতে হবে। 
  7. এরপরে আপনাকে পার্টিশনের সাইজ নির্ধারন করতে হবে। সেজন্য এবার আপনাকে Set New Pertison Size এ ক্লিক করতে হবে। 
  8. উপরের সব গুলো কাজ করার পরে Assign Driver Letter এ ক্লিক করতে হবে। 
  9. এরপর আপনাকে আপনার পার্টিশনকে ফরম্যাট করতে হবে। আর সে কারনে এবার আপনাকে Format Pertison এ ক্লিক করতে হবে। 
  10. সবশেষে আপনি আরও একটি নতুন অপশন দেখতে পারবেন। সেটি হলো, Completing New Simple Volume Wizerd. এখানে আপনাকে আর তেমন কিছুই করতে হবেনা। 

তো আপনি যদি আমার ধাপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরন করে কাজ করতে পারেন।

তবে আপনি সফলভাবে New Pertison Create করে নিতে পারবেন। কিন্তুু এরপরও যদি কোনো প্রকার সমস্যা হয়। তাহলে নিচের দিকে কমেন্ট করে জানাবেন। 

হার্ডডিস্ক কত প্রকার ও কি কি?

সময়ের পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে আসছে। ঠিক তেমনিভাবে HDD এর মাঝেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

যদিও হার্ডডিস্ক এর ইতিহাস অনেক পুরোনো। কিন্তুু বর্তমান সময়ে HDD কে মূলত ৪ টি ভাগে ভাগ করা সম্ভব। যেমনঃ

  1. PATA Hard Disk
  2.  SATA Hard Disk
  3.  SCSI Hard Disk
  4.  SSD Hard Disk

কিন্তুু এই ৪ টি প্রকারভেদ এর নাম জেনে বসে থাকলে হবেনা বরং এগুলোর কাজ কি, আর কোনটি আপনার জন্য ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কেও একটা ক্লিয়ার ধারনা থাকতে হবে।

চলুন এবার Kind of hard disk সম্পর্কে পূর্নাঙ্গভাবে জেনে নেয়া যাক। 

01-PATA Hard Disk

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, parallel advanced technology attachment এর সংক্ষিপ্ত রুপকে বলা হয় PATA Hard Disk.

প্রায় ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৭ সালে এই হার্ডডিস্ক টি তৈরি করা হয়েছিলো। কিন্তুু এটি অনেক পুরোনো হওয়ার কারনে এই HDD টি তৈরি করতে অনেক বেশি সময় লেগেছিলো। 

02- SATA Hard Disk

উপরে আপনি যে PATA নামক হার্ডডিস্ক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তার তুলনায় বেশ ভালো একটা HDD এর নাম হলো SATA Hard disk.

মূলত SATA হলো serial advanced technology attachment এর সংক্ষিপ্ত রুপ।

এই HDD গুলোর স্পিড অনেক বেশি। আর এর Data Speed ছিলো 500MB/s.

03- SCSI Hard Disk

small computer system interface এর সংক্ষিপ্ত রুপকে বলা হয় SCSI. বলে রাখা ভালো যে অন্যান্য হার্ডডিস্ক এর মধ্যে অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে SCSI Hard Disk.

আর সেকারনে এই ধরনের HDD গুলোর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এর Data Transfer Speed হলো 700MB/s.

04- SSD Hard Disk

বর্তমান সময়ে আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মধ্যে যেসব হার্ডডিস্ক লাগানো থাকে। সেগুলোর বেশিরভাগ কে বলা হয়, SSD Hard Disk.

আর solid state drive এর পূর্নরুপ হলো SSD. আর এদের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হলো SSD অন্যান্য হার্ডডিস্ক এর তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে। 

হার্ডডিস্ক কিভাবে কাজ করে?

আর্টিকেলের শুরুতেই আমি বলেছিলাম যে আজকে আমি হার্ডডিস্ক কি এবং হার্ডডিস্ক কিভাবে কাজ করে। সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

আর হার্ডডিস্ক কি, সেটি তো আপনি আর্টিকেল এর শুরুতে জানতে পেরেছেন।

সেজন্য এবার আমি আলোচনা করবো, হার্ডডিস্ক কিভাবে কাজ করে। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা নেয়া যাক।

আপনি হয়তবা জেনে থাকবেন যে, কম্পিউটার এর ভেতরে থাকা প্রোগ্রাম গুলো মূলত বাইনারি কোড ছাড়া বুঝতে পারে না।

আর সেকারনে আপনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই 0 এবং 1 এর বাইনারি কোড দিয়ে আপনার নির্দেশনা গুলো বুঝিয়ে দিতে হবে।

কিন্তুু প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে, এই হার্ডডিস্ক গুলো আসলে কিভাবে ডাটা সংরক্ষন করতে পারে ?

আর কেনই বা এইগুলোর মাধ্যমে আমরা সেই সংক্ষিত থাকা ডাটা গুলোকে নিজের সুবিধা মতো ব্যবহার করতে পারি। তো চলুন এবার সে নিয়ে ধারনা নেয়া যাক।

মজার বিষয় হলো, একটি হার্ডডিস্ক কোনো প্রকার বিদ্যুৎ কানেকশন ছাড়াই আমাদের ডাটা গুলো সংরক্ষণ করতে পারে।

কারন এটি মূলত চৌম্বক শক্তির মাধ্যমে Data Save করার কাজটি করে থাকে। একটা বলে রাখা ভালো যে, এই চৌম্বক ক্ষেত্রের বামপাশের অংশে যদি ০ হয়।

তাহলে ঐ চৌম্বক ক্ষেত্রের ডানপাশের অংশে ১ হবে।

আর হার্ডডিস্কের মধ্যে যখন কোনো ডাটা সংরক্ষণ করার দরকার হয়।

তখন প্রথমেই বাইনারি কোড (০,১) কে চৌম্বক ক্ষেত্রের যে দিক আছে। সেটিকে পরিবর্তন করার জন্য বিদ্যুৎ প্রবাহ করা হয়ে থাকে।

আপনি পড়তে পারেন…

তারপর Electro Magnetic এর সাহায্য কোড গুলোর দিক পরিবর্তন করার পর Disk এর মধ্যে পাঠানো হয়।

আর এভাবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় Data গুলো Hard disk এ সংরক্ষিত হয়।

আমাদের শেষকথা 

আজকের আর্টিকেলে আমি হার্ডডিস্ক কি (Hard Disk ki) সে নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের হার্ডডিস্ক কি (Hard Disk in Bangla) সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

তবে এরপরও কোনো জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন ৷

আর এমন সব ইউসফুল তথ্য পেতে চাইলে Bangla it blog এর সাথে থাকবেন ৷ ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top