ডেবিট কার্ড কি ? | ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম

ডেবিট কার্ড কি : যখন আপনি কোনো ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করবেন। তখন আপনাকে একটি প্লাটিকের তৈরি চিপ যুক্ত এটিএম কার্ড দেওয়া হবে।

ডেবিট কার্ড কি ? | ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম
ডেবিট কার্ড কি ? ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম

এর ফলে আপনি সেই কার্ডটি দিয়ে যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। আর এই ছোট্ট চিপযুক্ত এটিএম কার্ড কে বলা হয়, ডেবিট কার্ড।

অতীতের দিন গুলোতে Debit Card এর তেমন প্রচলন ছিলো না। কিন্তুু সময় অনেক বদলে গেছে। তাই প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে আমরাও নিজেদের কে অনেকখানি বদলে নিয়েছি।

আগে যেমন আমরা সাথে ক্যাশ টাকা নিয়ে চলাফেরা করতাম। তার বিপরীতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে, ব্যাংক থেকে প্রদও সেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড

সত্যি বলতে ক্যাশ টাকার বিশেষ কিছু সুবিধা থাকার পাশাপাশি অনেক ক্ষেএে নানা রকম অসুবিধাও দেখা যায়। কিন্তুু আপনি যদি আজকের দিনের ডেবিট কার্ড গুলো ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি অনেক দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

তো এই ডেবিট কার্ডের অদ্যোপন্ত নিয়েই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। ডেবিট কার্ড কি এবং ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম গুলো কি কি।

সে নিয়ে আজকে বিষদভাবে আলোচনা করবো। যদি আপনি ডেবিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান। তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। 

ডেবিট কার্ড কি ? 

যখন আপনার কোনো ব্যাংকে এক বা একাধিক সেভিংস একাউন্ট থাকবে। তখন উক্ত ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি ছোট্ট চিপ সংযুক্ত করা প্লাস্টিকের এটিএম কার্ড দেওয়া হবে।

যে কার্ড কে আপনার সেই সেভিংস একাউন্ট এর সাথে কানেক্ট করা থাকবে। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি যখন কোনো লেনদেন করবেন।

তখন আপনার একাউন্টে থাকা টাকা গুলো  Debit Card এর মাধ্যমে টাকা কেটে নেয়া হবে।

মনে করুন আপনি কেনাকাটা করার জন্য কোনো একটি মার্কেটে গেলেন। কিন্তুু খরচ শেষে আপনি দেখলেন যে আপনার কাছে তেমন ক্যাশ টাকা নেই।

তো এইসময়ে আপনি আপনার ডেবিট কার্ড কে ব্যবহার করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যে পরিমান টাকা কেনাকাটা করবেন। সেই পরিমান টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হবে। 

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড কি আলাদা ? 

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এই Debit Card এবং Cradit Card কে একই বিষয় মনে করেন। কিন্তুু বলা বাহুল্য যে, এই দুটো কার্ড কখনই এক নয়।

বরং এ দুটোই ভিন্ন ভাবে কাজ করে থাকে। তাই সেইসব মানুষদের মনে থাকা ভ্রান্ত ধারনা কে দুর করার জন্য আমি স্বল্প আকারে এই কার্ড দুটো নিয়ে একটু আলোচনা করবো।

যেন আপনার মনে একটা ক্লিয়ার ধারনা চলে আসে।

০১| Debit Card

এটি হলো এমন একটি কার্ড। যা প্লাস্টিকের সমন্বয়ে তৈরি করা হলেও এতে বিশেষ এক ধরনের চিপ যুক্ত করা থাকে। এবং এটি আপনার একটি ব্যাংক একাউন্টের সাথে কানেক্ট করা থাকে ৷

যাতে করে আপনার ব্যাংকে জমা থাকা টাকা গুলো আপনি প্রয়োজনে ঐ ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন।

০২| Cradit Card

ডেবিট কার্ডের মতো ক্রেডিট কার্ডেও আপনি বিশেষ এক ধরনের চিপ যুক্ত কার্ড পাবেন। এবং সেই কার্ডটিও আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর সাথে কানেক্ট করা থাকবে।

তবে এখানে আপনার ব্যাংক একাউন্টে কত টাকা থাকছে, তা কোনো বড় কথা নয়। বরং আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

অর্থ্যাৎ, আপনি ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত টাকা ধার হিসেবে নিতে পারবেন। 

ডেবিট কার্ড দিয়ে কি কি করা যায়?

সহজ কথায় বলতে গেলে, ক্যাশ টাকার বিপরীতে এই ডেবিট কার্ড কে ব্যবহার করা হয়। আমরা যেমন সব সময় ক্যাশ টাকা নিয়ে চলাফেরা করি।

ঠিক একই ভাবে আপনি সেই টাকা গুলোকে ব্যাংকে জমা রেখে। তারপর সেই টাকা গুলো ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারবেন।

মনে করুন, আপনি একটি ব্যাংক একাউন্ট চালু করলেন। এবং সেই Savings Account এ প্রায় ১ লাখ টাকা রাখলেন। এখন আপনি যখন কোনো মার্কেটে কিংবা অন্য কোথাও লেনদেন করবেন।

তখন আপনাকে আর ক্যাশ টাকা দেয়ার প্রয়োজন হবে না। বরং আপনি সেই কার্ডের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেন করতে পারবেন।

তবে ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনি শুধু সেই পরিমান টাকা লেনদেন করতে পারবেন। যে পরিমান টাকা আপনার সেভিংস একাউন্টে জমা থাকবে।

আপনার একাউন্টে যদি ৫০ হাজার টাকা থাকে। তাহলে আপনি শুধু ঐ টাকাই লেনদেন করতে পারবেন। এর বাইরে আপনি কোনো প্রকার টাকা লেনদেন করতে পারবেন না। 

ডেবিট কার্ড কত প্রকার?

আমার ওয়েবসাইট এর পূর্বের আর্টিকেল গুলোতে এটিএম কার্ড কি তা নিয়ে আলোচনা করেছি ৷ সেখানে আমি বিভিন্ন ধরনের ATM Card নিয়ে কথা বলেছিলাম।

কিন্তুু এটিএম কার্ড এর ভিন্ন প্রকারভেদ থাকলেও ডেবিট কার্ডের তেমন কোনো ভিন্নতা খুজে পাবেন না। কেননা, প্রায় সব ব্যাংক এর ডেবিট কার্ড গুলো একই সিস্টেমে কাজ করে থাকে।

যেমন ধরুন, বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় সব ধরনের ব্যাংক গুলোতে ডেবিট কার্ড পদ্ধতি চালু করেছে। এবং সেই সব গুলো কার্ডের প্রায় একই রকম পদ্ধতি।

যেমন, সবার আগে আপনাকে একটি সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর সেই একাউন্টে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা করে রাখতে হবে।

তারপর আপনি সেই জমা করা টাকা গুলো Debit Card এর মাধ্যমে খরচ করতে পারবেন।

তবে একেকটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করার আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম থাকতে পারে।

কিন্তুু প্রায় বেশিরভাগ সময় ই এই কার্ড গুলো একই পদ্ধিততে কাজ করে থাকে। আর সেজন্য এই কার্ড গুলো কে আলাদা কোনো প্রকারভেদে ভাগ করার প্রয়োজন হয়না। 

ডেবিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা 

সচারাচর আপনি যখন একটি ক্রেডিট কার্ড করতে যাবেন। তখন আপনার নানাবিধ যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। যদি আপনার সেই যোগ্যতা গুলো থাকে। তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ড পাবেন।

অন্যথায় আপনাকে কোনো ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে না।

কিন্তু ডেবিট কার্ডের দিক থেকে তেমন কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয়না। কেননা, এই কার্ডটি আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

সেজন্য সবার আগে আপনাকে একটি ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে হবে। এবং সেই একাউন্টটি অবশ্যই একটি সেভিংস একাউন্ট হতে হবে।

আর যখন আপনি কোনো একটি ব্যাংক থেকে নতুন একটি Savings Account চালু করবেন ৷ তখন ঐ ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাংকে জমা করা টাকা গুলো নিজের প্রয়োজন মতো খরচ করতে পারবেন। 

ডেবিট কার্ড কিভাবে পাওয়া যায়

আপনি চাইলে খুব সহজেই এক বা একাধিক ডেবিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে নতুন অবস্থায় অনেকের কাছে এই বিষয়টি একটু কঠিন মনে হতে পারে।

আদতে এই কার্ড টি সংগ্রহ করার জন্য তেমন কোনো কঠিন কাজ করতে হবে না। বরং আপনি সামান্য কিছু কাজের মাধ্যমে Debit Card সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

সেজন্য সবার আগে আপনাকে এমন একটি ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। যে ব্যাংকে একাউন্ট থাকলে তারা আপনাকে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করবে। মূলত আজকের দিনে প্রায় সব ব্যাংক এই Debit Card এর পদ্ধতি চালু করেছে।

যার কারনে আপনি দেশের যেকোনো একটি ব্যাংকে একাউন্ট চালু করা মাএই। তারা নিজে থেকেই আপনাকে আপনার প্রাপ্য ডেবিট কার্ডটি প্রদান করবে।

তবে কোনো ব্যাংক যদি নিজে থেকে আপনাকে এই কার্ডটি না দেয়। তাহলে আপনাকে ঐ ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে Debit Card টি নিতে হবে। 

ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম

নানাবিধ সুবিধা থাকার কারনে আজকের দিনে ডেবিট কার্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চাকরিজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী পর্যন্ত প্রায় সব শ্রেনীর মানুষ আজ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে আসছে ৷

কেননা, নিজের জমানো টাকা ব্যাংকে সঞ্চয় করে রাখা। আবার প্রয়োজনে সেই টাকা গুলো কে উওলন করার জন্য ডেবিট কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।

কিন্তুু বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এখনও ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম গুলো ভালোভাবে জানে না। কিন্তুু এই বিষয়টি জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে।

  1. আপনি যদি ডেবিট কার্ডে থাকা সুবিধা গুলি ভোগ করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে আপনার পছন্দের ব্যাংকে যেতে হবে। 
  2. এরপর আপনাকে সেই ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে হবে। এক পর্যায়ে তারা আপনাকে একটি ফর্ম দিবে। মনে রাখবেন, একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য এই ফর্মটি অনেক গুরুত্বের সাথে পূরন করতে হবে। 
  3. যখন আপনি সর্তকতার সহিত উক্ত ফর্মটি পূরন করবেন। তখন ব্যাংক কতৃপক্ষ আপনার সেই ফর্মটি পুনরায় নিরীক্ষণ করবে। 
  4. যদি আপনার দেওয়া তথ্য গুলো একেবারে নিভূল থাকে। তাহলে তারা আপনার নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবে। 
  5. সবশেষে যখন আপনার নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করা হবে। তখন আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত ডেবিট কার্ড টি দিয়ে দিবে। 
  6. তো আপনার একাউন্টে যদি টাকা জমা করা থাকে। তাহলে আপনি সেই টাকা গুলো উক্ত ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারবেন।
  7. কিন্তুু আপনার ব্যাংক একাউন্টে যদি কোনো টাকা না থাকে। তাহলে এই কার্ডটি আপনার কোনো কাজে আসবে না। 

তো এই ছিলো, ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম৷ মূলত উক্ত নিয়ম গুলো অনেক সহজ। যদি আপনি একটু খেয়াল রাখেন।

তাহলে ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম গুলো অনুসরন করতে আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না। 

ডেবিট কার্ড খোলতে কি কি লাগে?

যদি আপনি সঠিকভাবে একটি ডেবিট কার্ড খুলতে চান। তাহলে আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের  প্রয়োজন হবে।

কেননা, যতোক্ষন না আপনি সেই কাগজ গুলো জমা দিবেন না। ততোক্ষন আপনার ডেবিট কার্ডটি চালু করা হবেনা। তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক। ডেবিট কার্ড খোলতে কি কি লাগবে।

  1. সবার আগে আপনার একটি জাতীয় পরিচয় পএ (NID) এর প্রয়োজন হবে। তবে আপনি যদি কোনো কারনে এনআইডি জমা দিতে ব্যর্থ হন। তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে হবে। 
  2. এরপর আপনার সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে। মনে রাখবেন, এই ছবি গুলো অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে। 
  3. প্রায় প্রত্যেকটা ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার আয়ের উৎসের কথা বলতে হয়।
  4. ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন ক্রেডিট কার্ডের জন্য ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন তখনও আপনার আয়ের উৎসের কাগজ জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। 
  5. আপনার একাউন্টের যে নিমিনি থাকবে। তার একটা পরিস্কার স্বাক্ষর, ছবি জমা দিতে হবে। 
  6. এরপর একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য যে পরিমান টাকার প্রয়োজন হবে। আপনাকে সেই টাকা জমা দিতে হবে।

তো উপরোক্ত ধাপ গুলো শেষ করার পর। আপনি একবারে নতুন একটা Debit Card খুলতে পারবেন। এবং আপনার টাকা লেনদেন করার কাজটাকে আরও সহজ করে তুলতে পারবেন। 

ডেবিট কার্ড হারিয়ে গেলে করনীয় কি?

যেহুতু আজকের আলোচিত বিষয় Debit card নিয়ে। সেহুতু আপনার আরও একটা বিষয় জেনে নেয়া উচিত। সেটি হলো, যখন ভুলক্রমে আপনার ঐ কার্ডটি হারিয়ে যাবে।

তখন আপনি কিভাবে পুনরায় সেটিকে ফিরিয়ে আনবেন। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

  1. যখন আপনি জানতে পারবেন যে, ডেবিট কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন। তখন আপনার প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে Card Block করা। 
  2. চেস্টা করবেন, আপনার কার্ডকে দ্রুত ব্লক করার। 
  3. আপনি চাইলে এই কাজটি করার জন্য সরাসরি ব্যাংকে গিয়েও করতে পারবেন ৷ তবে এর জন্য অনেক সময় লাগতে পারে। 
  4. সেজন্য আপনার ব্যাংক অফিসের Helpline এ যোগাযোগ করা উচিত। কারন কল দিয়ে কথা বললে আপনার কাজ অনেক কম সময়ে হয়ে যাবে। 
  5. এরপর আপনাকে পুনরায় ডেবিট কার্ড নেয়ার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

তো ভুলক্রমে যদি আপনার Debit Crad হারিয়ে যায়। তাহলে আপনি উপরে আলোচিত পদ্ধতি অনুসরন করে। পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। 

ডেবিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ

আমরা সবাই জানি যে, ডেবিট কার্ড হলো টাকা আদান প্রাদানের সহজ একটি মাধ্যম। তো এই সুবিধা গুলো কিন্তুু আপনি একেবারে ফ্রীতে ব্যবহার করতে পারবেন না।

বরং সেজন্য আপনাকে কিছু পরিমান ফি (টাকা) দিতে হবে।

এখন হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ডেবিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ কত? তাহলে শুনুন…

এই ডেবিট কার্ডের চার্জ Bank অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন, আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করলে, যে পরিমান ফি জমা দিবেন ৷ সেই পরিমান ফি অন্য কোনো ব্যাংকে নাও লাগতে পারে ৷

আপনার জন্য আরো লেখা…

তো কোন ব্যাংকে কত টাকা ফি নেয়। সেটা জানতে হলে আপনাকে সরাসরি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

আপনার বোঝার সুবিধার জন্য আমি একটা উদাহরন দিলাম। বাকিটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

[Debit Card Yearly Charge]

 

ডেবিট কার্ডের সুবিধা কি কি? 

সচারাচর ডেবিট কার্ড আমাদের ব্যাংক একাউন্ট এর সাথে যুক্ত থাকে। সেহুতু আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, ডেবিট কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে।

  1. আপনি যদি Debit Card এর মাধ্যমে রেগুলার লেনদেন করেন। তাহলে আপনাকে আর বার্ষিক ফি (Vat) নিয়ে টেনশন করতে হবে না।
  2. কেননা, যারা রেগুলার টাকা লেনদেন করে। তাদের ফি দেয়ার প্রয়োজন হয়না। 
  3. এই কার্ডের আরও একটি বিশেষ সুবিধা হলো, আপনার চাইলেও বেশি টাকা খরচ করতে পারবেন না। কারন আপনার একাউন্টে টাকা না থাকলে। আপনি যতোই মেশিনে ঘষুন না। টাকা কিন্তুু বের হবে না। 
  4. ভালো লাগার মতো আরও একটা বিষয় হলো, ডেবিট কার্ডে কোনো প্রকার সুদ দেয়ার দরকার হয়না। এর ফলে আপনাকে আর বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হবে না। 
  5. যদি কোনো কারনে আপনার ডেবিট কার্ডটি চুরি হয়ে যায়। তাহলে আপনি বিশেষ একটা সুবিধা পাবেন। তাহলো, এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা নির্দিষ্ট বার টাকা উওলন করতে পারবেন।

তো ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করবেন। তা আমি উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

আমাদের শেষ কথা

Bangla it blog এ আমরা প্রতিনিয়ত অজানা বিষয় গুলোকে জানিয়ে দেয়ার চেস্টা করি। আর সেজন্যই আজকে আমি ডেবিট কার্ড নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে পেরেছেন, ডেবিট কার্ড কি এবং ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম সম্পর্কে।

তবে এরপরও যদি আপনার Debit Card নিয়ে আরও কোনো কিছু জানার থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top