সি এস এস কি বা CSS কাকে বলে : আমাদের এই আর্টিকেলে সিএসএস নামক প্রোগ্রামিং ভাষার সম্পর্কে আলোচনা করব।

সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন, সিএসএস কি এবং এর সুবিধা কি, CSS ki, CSS এর কাজ, এবং CSS কিভাবে শিখব।
যখন আমরা ব্লগিং বা ওয়েব ডিজাইনিং করি, সেই সময় আমরা HTML, CSS, JavaScript, PHP ইত্যাদি বিষয়গুলি সম্পর্কে পরিচিত হয়ে থাকি।
আজকের দিনে অধিকাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং তারা প্রতিদিন নতুন ওয়েবপেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
আর এই ওয়েবপেজগুলি CSS, JavaScript, PHP ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষার সাহায্যে কোডিং করে তৈরি হয়ে থাকে।
তবে, আগের আর্টিকেলে আমি বলেছিলাম যে HTML কি তা সম্পর্কে। আর তার পর , ওয়েব ডিজাইনিং জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো “CSS কি অথবা CSS মানে কি ?
ওয়েব ডিজাইনিং বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে, এই চারটি প্রধান ভাষা হলো HTML, CSS, JavaScript এবং PHP।
HTML হলো ওয়েব পেজগুলি তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয় একটি মার্কআপ ভাষা। এটি ওয়েব পেজগুলির স্ট্রাকচার এবং বিভিন্ন উপাদান যেমন টেক্সট, ইমেজ, লিঙ্ক এবং অন্যান্য ইলিমেন্ট তৈরি করে থাকে।
আপনি আরোও দেখতে পারেন…
- Sql কি | sql কি কাজে ব্যবহার করা হয়
- HTML কি | এইচটিএমএল এর ব্যবহার এবং শিখার উপায়
- Mysql কি | মাইএসকিউএল এর কাজ কি
CSS হলো একটি স্টাইলিং ভাষা যা হ্যান্ডল করে ওয়েব পেজগুলির সাজসজ্জার অংশ, অর্থাৎ ওয়েব পেজগুলির লেআউট, কালার, ফন্ট, সাইজ এবং অন্যান্য এস্থেটিক বৈশিষ্ট্য।
এটি ওয়েব পেজগুলির ভিজ্যুয়াল অংশ যেমন ফন্ট সাইজ, কালার এবং লেআউট পরিচালনা করে এবং একটি সংযোজন হিসাবে HTML এর সাথে ব্যবহার হয়।
CSS এর পুর্ণরূপ হল Cascading Style Sheets. এটি একটি নির্দিষ্ট ধরনের কোডিং ভাষা যা ওয়েব পেজ এর স্টাইল এবং লেআউট নির্ধারণ করে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, CSS এর মাধ্যমে ওয়েব পেজ এর স্টাইল এবং লেআউট নির্ধারণ করা হয়।
সি এস এস (CSS) কি ? (What Is CSS in Bangla)
সি এস এস হলো ওয়েব ডিজাইনের জন্য একটি স্টাইলিং ভাষা যা ব্রাউজারকে ওয়েবপেজ কিভাবে দেখাবে তা নির্ধারণ করে। এই CSS ওয়েবপেজের লেআউট, ফন্ট, রঙ, আকার এবং অন্যান্য ভিজুয়াল এলিমেন্টগুলি নির্দিষ্ট করে।
CSS এর পূর্ণরূপ হলো “Cascading Style Sheets” যা সক্ষেপ্তে CSS বলা হয়।
এটি W3C – World Wide Web Consortium দ্বারা বিকশিত হয়েছে এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য ব্যবহার হয়।
CSS ওয়েব Design এবং Development করার সময় ব্যবহার করা হয় যাতে ওয়েবপেজে সমস্ত Element সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়।
সি এস এস দ্বারা আপনি ওয়েবপেজের লেআউট কন্ট্রোল করতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে সহায়তা করে।
CSS এবং HTML একসাথে ব্যবহার করা যায়। আপনি HTML এর দ্বারা ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার তৈরি করতে পারেন, যা ভিজিটরদের ওয়েবসাইটে নেভিগেট করতে সহায়তা করে।
তবে, CSS ছাড়া HTML এর ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু, HTML ছাড়া CSS এর ব্যবহার করা যাবেনা।
সিএসএস কি সহজ কথায় বলা যায়, CSS হলো Cascading Style Sheets এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যা ওয়েব ডকুমেন্টের লোডিং হওয়ার পরে দেখার স্টাইল কে বোঝায়।
অন্যভাবে বললে, সিএসএস ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও লোডিং সম্পর্কিত বিভিন্ন স্টাইল এবং লেআউট এর প্রপার্টিগুলি নির্ধারণ করে।
একক কথায় উত্তর দিলে, CSS ওয়েব পেজ স্টাইলিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেড়েছেন, CSS কি বা CSS বলতে কি বুঝায় এবং সি এস এস কাকে বলে তার উত্তর।
CSS এর কাজ কি ? CSS কেন ব্যবহার করা হয়
ক্যাসকেডিং স্টাইল শীট সিএসএস এর কাজ কি এর উত্তর আমি সহজভাবে লিখেছি যাতে করে আপনি দ্রুত বোঝতে পারেন।
CSS হলো ওয়েব ডিজাইন এর একটি Styling Language যা ব্রাউজারে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন Element (HTML, XML, SVG ইত্যাদি) স্টাইল বা আকার নির্ধারণ করে।
CSS ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইটের লেআউট, রঙ, ফন্ট এবং অন্যান্য স্টাইলিং Element গুলি কাজ করতে পারে।
CSS এর ব্যবহারের কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
- সাইটের লেআউট নির্ধারণ করা।
- এনিমেশন স্থাপন করা।
- ফন্ট স্টাইল নির্ধারণ করা।
- কালার নির্ধারণ করা।
- পেজ ট্রান্সিশন করা।
- এবং অন্যান্য Element এর স্টাইল নির্ধারণ করা।
CSS কেন ব্যবহার করা হয়? কারণ এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর স্টাইল ব্যবস্থাপনা করা যায় এবং ওয়েবসাইট এর Element সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এছাড়াও, এটি ব্যবহারকারীদের কম ফাইল সাইজ দিয়ে ওয়েবসাইটের লোডিং সময় কমিয়ে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
কারণ CSS ফাইলগুলি অন্য ফাইলগুলির সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লোড হয় এবং ওয়েবসাইটের লোডিং সময় অতিরিক্ত হয়না।
সি এস এস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের স্টাইল পরিবর্তন এবং একটি ভাল লেআউট তৈরি করা যায়, যা ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় ভাল Experience দেয়।
সি এস এস হলো একটি শক্তিশালী ও আধুনিক স্টাইলিং ভাষা, যা ওয়েবসাইট এবং ওয়েবপেজ এর ডিজাইন করার জন্য ব্যবহার হয়।
সহজভাবে বোঝার জন্য একটি উদাহরণ হলো, ধরেন, আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন যেখানে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করেন।
আপনি চাচ্ছেন আপনার প্রোডাক্ট পেজেটি একটি চমৎকার স্লাইড শো যোগ করতে। এখন, সেই স্লাইড শো এর প্রতিটি ইমেজের সাথে সম্পর্কিত কিছু লেখা যুক্ত করতে চান।
আপনি একদম সহজেই CSS ব্যবহার করে স্লাইড শো এবং লেখার মধ্যে স্পেসিং, কালার এবং ফন্ট স্টাইল নির্ধারণ করতে পারবেন।
এতে করে পাশাপাশি আপনি স্লাইড শো এর প্রতিটি ইমেজ এর সাইজ, বর্ডার স্টাইল এবং রঙ নির্ধারণ করতে করে দিতে পারবেন।
আমি মনে করি আপনি এখন জেনে গিয়েছেন, CSS এর কাজ কি এবং CSS কেন ব্যবহার করা হয়।
CSS এর প্রকারভেদ – (Types of CSS in Bengali)
CSS (Cascading Style Sheets) হলো একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভাষা যা ওয়েবসাইটের লেআউট, ডিজাইন এবং ফর্ম্যাটিং নিয়ে কাজ করে।
যা ওয়েবসাইট গুলো আরও সুন্দর ও অ্যাট্রাকটিভ করে। আমরা কয় ভাবে css use করতে পারি? CSS এর প্রকারভেদ নিয়ে বলা যায় যে এর তিনটি প্রকার রয়েছে।
- Inline CSS
- Internal CSS
- External CSS
আমরা এখন প্রতিটি CSS প্রকারকে বিস্তারিত ভাবে লিখে জানাবো।
Inline CSS কি
কোন ওয়েবপেজের সাথে সাথে একটি HTML tag এর মধ্যে স্টাইল লেখা হলে তা হচ্ছে inline CSS। অর্থাৎ, স্টাইল attribute ব্যবহার করার পর কোনো HTML tag এর মধ্যে স্টাইল লেখা হলে তাকে inline CSS বলা হবে।
<p style="color: red; font-size: 16px;">এখানে কিছু লেখা আছে।</p>
উপরের উদাহরণটি দেখে নিতে পারেন, যে এখানে <p> ট্যাগের সাথে style অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করে রেড কালারের টেক্সট লেখা হয়েছে এবং এর পরে ফন্ট সাইজ ১৬ পিক্সেল করে দেওয়া আছে।
অনেকের প্রশ্ন থাকে ইনলাইন সিএসএস এর সুবিধা কি ? এর সুবিধা হলো একটি HTML এলিমেন্টের ভিতরেই স্টাইলিং এর কাজ করা যায়।
সাধারণত, inline CSS এর ব্যবহার কম হওয়া উচিত কেননা এটি পৃথক করে প্রতিটি এলিমেন্ট এর জন্য নতুন style ব্লক লিখতে হয়।
যার জন্য সাইটের লোডিং সময়ে অনেক ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে বেশ সময় লাগাতে পারে। এছাড়া, এটি কাজ করার পরিবর্তে একটি external CSS ফাইল ব্যবহার করা উচিত হবে যা সাইটের একবার লোড করে রাখা হয়।
এই style sheet এর প্রক্রিয়াকে Inline CSS বলা হয়।
Internal CSS কি ?
Internal CSS হল এমন একটি CSS প্রক্রিয়া যা একটি ওয়েবপেজের ডিজাইন এবং স্টাইল নির্ধারণ করতে ব্যবহার হয়। এটি ওয়েবপেজের head section এর মধ্যে <style> এর মাধ্যমে লেখা হয়।
একটি ওয়েবপেজে অনেক সংখ্যক ওয়েবপেজ থাকলে, এই সিএস এস ব্যবহার না করাই ভাল।
কথাটি আরো সহজভাবে বললে বলা যায়, হাজারো পেজ বা সাইট কিছুটা বড় স্কেলের প্রকল্প হলে, একটি Internal CSS ব্যবহার করা সমস্যজনক হতে পারে।
কেননা একটি পেজের স্টাইল এবং ডিজাইন নির্ধারণ করার জন্য সমস্ত স্টাইল এবং ডিজাইন কোড পেজের <head> সেকশনে বসাতে হয়।
যখন পেজটি লোড হয়, সকল কোড লোড হয়। সেজন্য, প্রচুর সংখ্যক ওয়েবপেজ থাকলে প্রতিটি পেজের লোডিং সময় অনেক বেড়ে যাবে।
আপনি আরোও পড়তে পারেন…
- জাভা কি | Java এর কাজ কি [ Java কি বিস্তারত দেখুন ]
- Javascript কি | জাভাস্ক্রিপ্ট এর কাজ কি [জাভাস্ক্রিপ্ট কি নিয়ে বিস্তারিত]
- PHP কি | Php কিভাবে কাজ করে
তাই একটি পেজের স্টাইল এবং ডিজাইন নির্ধারণ করার জন্য, একটি external CSS file ব্যবহার করা উচিত হতে পারে।
তবে, কোনো ছোট প্রকল্প বা সিঙ্গল পেজের জন্য Internal CSS ব্যবহার করা যাবে এবং এটি পেজের স্টাইল এবং ডিজাইন নির্ধারণ করার জন্য খুবই সহজ।
একটি HTML ডকুমেন্টের মধ্যে যদি আমরা একটি Internal CSS ব্যবহার করতে চাই তার জন্য আমাদের সাধারণত ডকুমেন্টের head section এর মধ্যে <style> ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
<!DOCTYPE html> <html> <head> <title>একটি উদাহরণ</title> <style> body { background-color: lightblue; } h1 { color: navy; margin-left: 20px; } p { font-family: verdana; font-size: 20px; } </style> </head> <body> <h1>একটি উদাহরণ পেজ</h1> <p>এটি উদাহরণ এখানে আমরা একটি Internal CSS ব্যবহার করেছি।</p> </body> </html>
উপরের উদাহরণ এই পেজে আমি ব্যবহার করেছি একটি Internal CSS। এটি দেখতে অনেক সাধারণ এবং আমাদের ব্যবহার করা সহজ হওয়া এবং ডকুমেন্টের head সেকশনের মধ্যে লেখা এবং এডিট করা সহজ।
এই style sheet এর প্রক্রিয়াকে Internal CSS বলা হয়।
External CSS কি
একটি CSS ফাইল তৈরি করার জন্য আমরা একটি টেক্সট এডিটর ব্যবহার করি যেমন নোটপ্যাড, সাবলাইম টেক্সট, নোটবুক++ ইত্যাদি। এই এডিটর এর মাধ্যমে আমরা স্টাইল নির্ধারণ করে CSS কোড লিখতে পারি।
External CSS হল ওয়েবপেজের মধ্যে একটি CSS ফাইল ব্যবহার করা যা ওয়েবপেজের HTML কোডে লিংক করে স্টাইল প্রয়োগ করে।
External CSS ফাইল লিখার জন্য একটি text editor ব্যবহার করে CSS codes লিখে সেই ফাইলটিকে .css extension এর সাথে save করতে হয়।
ওয়েবপেজের HTML কোডে <head> সেকশনে <link> tag ব্যবহার করে CSS file টিকে link করে দেওয়া হয়। এই process কে “External CSS” বলা হয়।
এক্সটার্নাল CSS ফাইল ব্যবহার করে ওয়েবপেজ এর প্রয়োজনীয় স্টাইল ইনফরমেশন কে একটি Collection থেকে তুলে ধরে, ওয়েবপেজের সাইজ কম করে এবং ওয়েবপেজের লোডিং সময় কমিয়ে দেয়।
<!DOCTYPE html> <html> <head> <title>একটি উদাহরণ</title> <link rel="stylesheet" type="text/css" href="style.css"> </head> <body> <h1>একটি উদাহরণ পেজ</h1> <p>এটি উদাহরণ এখানে আমরা একটি External CSS ব্যবহার করেছি।</p> </body> </html>
উপরের কোডটি একটি HTML ফাইলের উদাহরণ, এবং style.css নামক একটি CSS ফাইলও একই ডিরেক্টরিতে রয়েছে।
যেহেতু style.css ফাইলটি ওই HTML ফাইলের সাথে link করা হয়েছে, তাই সেই ফাইলের কোনো প্রপার্টি ব্যবহার করা হলে সেই প্রপার্টি HTML ফাইলের মধ্যে কাজ করবে।
CSS ফাইল (style.css):
body { background-color: lightblue; } h1 { color: navy; margin-left: 20px; } p { font-family: verdana; font-size: 20px; }
উপরের কোড দেখে আপনি বুঝতে পারেন যে, এখানে HTML ফাইলে <link> ট্যাগ ব্যবহার করে স্টাইলশীটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে যা style.css নামের একটি ফাইল এবং এটি বাইরে সংরক্ষিত করা হয়েছে।
এই style sheet এর প্রক্রিয়াকে External CSS বলা হয়।
সিএসএস এর গুরুত্ব
সিএসএস (CSS) একটি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট ভাষা যা ওয়েবসাইট এমনকি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের visible অংশ নির্ধারণ করতে ব্যবহার হয়।
এই CSS দ্বারা ওয়েবসাইটের লেআউট, রঙ, ফন্ট এবং অন্যান্য স্টাইলিং (ingredient) উপাত্ত নির্ধারণ করা হয়।
সিএসএস ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল এবং আইএচটিএমএল এর সাথে একত্রিত হয় এবং ওয়েব পেজগুলি দেখতে সুন্দর ও প্রফেশনাল করে।
এই CSS দিয়ে ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের লোডিং স্পীড বাড়ানো যায় এবং ওয়েবসাইট সম্প্রসারণের (Expansion) সাথে সাথে অনেক রকম ভিজ্যুয়াল চেঞ্জ করা যায়।
এছাড়াও CSS দিয়ে ওয়েবসাইট এর রেসপন্সিভ ডিজাইন এবং অ্যাডাপ্টিভিটি স্থাপন করে। যার কারনে একই ওয়েবসাইট পেজ বিভিন্ন সাইজ এবং ডিভাইসে সঠিকভাবে দেখা যায়।
সি এস এস (CSS) এর লাভ ও সুবিধা গুলো
সি এস এস (CSS) হচ্ছে একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ল্যাঙ্গুয়েজ, এটি ওয়েবপেজের স্টাইলিং এবং লে-আউট কন্ট্রোল করতে ব্যবহার হয়।
যা ওয়েবপেজের বিভিন্ন ইলিমেন্টগুলির স্টাইল ও লে-আউট এর কাজ করে এবং ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড নিয়েও সাহায্য করে।
- সহজেই স্টাইলিং – CSS এর ব্যবহার করে সহজেই যেকোনো ওয়েবপেজের স্টাইলিং এবং ডিজাইন করা যায়। কেবলমাত্র একবার CSS কোড লিখে তারপর সেই কোডটি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা আলাদা HTML প্রপার্টিতে হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। যার জন্য একটি ওয়েবসাইটের অধিকাংশ পেজ একই স্টাইলিং এ থাকে যা সাইটের প্রেসেন্টেশন ও ইউজারের ভালো ভুমিকা পালে।
- পেজ লোড টাইম কম রাখে – CSS এর ব্যবহার করে ওয়েবপেজে ডিজাইন করা অনেক সহজ হয়ে থাকে। এর দ্বারা অনেক কম পরিমানে কোড ব্যবহার করে পেজের ডিজাইন করা যায়। যদি ওয়েবপেজে কম পরিমানে কোড ব্যবহার করা যায় তবে সেই পেজের লোডিং স্পীড ভালো থাকবে।
- সহজ ব্যবহার – এই CSS এর মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের জন্য একটি স্টাইলশীট তৈরি করলেই হবে। কেননা এর মাধ্যমে প্রতিটি HTML পেজ এর স্টাইল একটি স্টাইলিং ফাইলে সেট করা যায়। যার মানে হচ্ছে সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট এর ডিজাইন এবং স্টাইল করতে শুধু একটি ফাইল তৈরি করলেই হবে।
- রেস্পন্সিভ ডিজাইন – Responsive design হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন screen size ও device এর জন্য optimize করা। শুধুমাত্র HTML ব্যবহার করে সেটি সম্ভব নয়, CSS এর Media Queries Rules ব্যবহার করে একটি responsive ওয়েবসাইট বা পেজ বানানো যাবে।
CSS কিভাবে শিখব
সি এস এস (CSS) শিখতে হলে তার আগে আপনাকে HTML শিখতে হবে, কারণ CSS হলো ওয়েব ডিজাইনের শুধু স্টাইল এবং লেআউট কন্ট্রোল করার জন্য ব্যবহার হয় এবং HTML এর মাধ্যমে লেখা যায়।
সিএসএস (CSS) কিভাবে শিখবেন? এই প্রশ্ন অনেক মানুষ জিজ্ঞাসা করে। আপনি যেকোনো অনলাইন রিসোর্স বা ওয়েবসাইট এর দ্বারা সিএসএস শিখতে পারবেন।
কিন্তু ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া অত্যন্ত কঠিন যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন। আপনি বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এবং টিউটোরিয়াল থেকে দেখতে পারেন।
সেখানে সিএসএস সম্পর্কে অনেক উদাহরণ পাবেন। এছাড়াও, এইচটিএমএল কোর্স এর কোন নেওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে সিএসএস এর শিখার জন্য।
কিছু ভালো ওয়েবসাইট CSS শিখার জন্য নিচে দেওয়া হলো:
- প্রোগ্রামিং হিরো – https://www.programming-hero.com/
- Codecademy (https://www.codecademy.com/)
- W3Schools (https://www.w3schools.com/)
- FreeCodeCamp (https://www.freecodecamp.org/)
- CSS Tricks (https://css-tricks.com/)
- CSS Layout (https://csslayout.io/)
- Scrimba (https://scrimba.com/learn/learnresponsivecss)
- Udemy (https://www.udemy.com/topic/css/)
- LinkedIn Learning (https://www.linkedin.com/learning/topics/css)
- SoloLearn (https://www.sololearn.com/learning/1023)
এগুলো কিছু উদাহরণ, যা আপনার লার্নিং স্টাইল অনুযায়ী আরও ওয়েবসাইট খুঁজে নিতে পারেন।
YouTube এর মাধ্যমে CSS শিখুন
আপনি YouTube হলো একটি খুবই জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ার ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি বিভিন্ন প্রকারের টিউটোরিয়াল এবং কোর্স পাবেন।
ইউটিউবে আপনি বিভিন্ন প্রকারের CSS কোর্স পাবেন, যেমন CSS tutorial, CSS for beginners, CSS crash course, CSS advanced course ইত্যাদি। এছাড়াও, আপনি web designing বা HTML সার্চ করে প্রায় অনেক সম্পূর্ণ CSS টিউটোরিয়াল পাবেন।
- Programming Hero: প্রোগ্রামিং হিরো একটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট যেখানে সিএসএস সহ বিভিন্ন কোডিং শিখতে পারবেন। তাদের YouTube চ্যানেলে আপনি সিএসএস শিখার টিউটোরিয়াল পাবেন।
- Traversy Media: এটি একটি ইংরেজি ভাষার চ্যানেল, যেখানে আপনি সিএসএস শিখার সম্পর্কে ভিডিও দেখতে পারেন। তাদের কোর্স এবং টিউটোরিয়াল খুবই ভাল।
- DevTips: এটি আরেকটি ইংরেজি চ্যানেল, এখানে আপনি সিএসএস নিয়ে ভিডিও দেখতে পারেন। এটি আপনাকে সিএসএস সম্পর্কে জানার জন্য আরো সহজ এবং স্পষ্ট উপায় দেখাবে।
- LearnCode.academy: এটি একটি ইংরেজি ভাষার চ্যানেল যেখানে আপনি সিএসএস শিখার সম্পর্কে ভিডিও দেখতে পারেন।
CSS এবং HTML এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
HTML হচ্ছে HyperText Markup Language, এটি একটি মার্কাপ ভাষা যা ওয়েবপেজ গুলি তৈরি করার জন্য ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে আমরা ওয়েব পেজের কনটেন্ট, শিরোনাম, ছবি, লিংক, ভিডিও ইত্যাদি যুক্ত করতে পারি।
আর CSS হচ্ছে Cascading Style Sheets, যা একটি স্টাইলিং ভাষা যা ওয়েবপেজ গুলির ভিজুয়াল পার্ট ব্যবস্থাপনা করার জন্য ব্যবহার হয়।
আপনি আরো দেখুন…
- কোডিং কি ? কিভাবে কোডিং শেখা যায়
- iOS কি | আইওএস এর ফিচার কি কি
- ন্যাটো কি | ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি ও কি কি
আর এর মাধ্যমে আমরা ওয়েবপেজের ফন্ট, রঙ, মার্জিন, প্যাডিং, বর্ডার, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট করতে পারি।
এবং একটি ওয়েবপেজ গুলি সাধারণত তৈরি হলো HTML দ্বারা এবং তার ভিজুয়াল অংশ স্টাইল করা হলো CSS দিয়ে। অর্থাৎ, HTML দ্বারা কনটেন্ট তৈরি করে সেটিকে CSS দ্বারা সুন্দর করা হয়।
সিএসএস নিয়ে আমাদের শেষ কথা
আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা সি এস এস (CSS) এর ধারণা পেয়েছেন। আর CSS এর বিষয়টি নিয়ে আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে আপনারা নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে জানিয়ে দিতে পারেন।
আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর যুক্ত করে দিব।
আর আমি বাংলা আইটি ব্লগ থেকে সব সময় চেষ্টা করি যাতে আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারি। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই শেয়ার করবেন।