ক্রেডিট কার্ড কি ? | ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো | ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম

ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহার ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর সে কারনে বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ ব্যাংক গুলো Cradit Card প্রদান করা শুরু করেছে।

এতে করে ব্যাংক এবং ব্যবহারকারী দুই পক্ষেই সুবিধা ভোগ করতে পারছে। 

ক্রেডিট কার্ড কি | ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো | ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম
ক্রেডিট কার্ড কি | ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম

কিন্তুু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন ৷ যারা এখনও জানেনা যে, ক্রেডিট কার্ড কাকে বলেক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো?

তো সবার আগে আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। 

তো আজকের আর্টিকেলে আমি মূলত সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যদি আপনি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত বিস্তারিত জেনে নিতে চান।

তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন৷ 

ক্রেডিট কার্ড কি? | What is Cradit Card? 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা এক ধরনের চিপ সংযুক্ত কার্ডকে বলা হয়, ক্রেডিট কার্ড। তবে বিশেষ এই কার্ডটি প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরি করা হলেও।

এতে ব্যবহারকারীর সকল তথ্য লেখা থাকে। যেমন, ক্রেডিট কার্ড এর নম্বর, কার্ডের শেষ তারিখ কবে, সিভিভি, যে Cradit Card ব্যবহার করবে।

তার একটা স্বাক্ষর এবং কাষ্টমার কল সেন্টারের বিবরনী সহো অনেক কিছু লেখা থাকে।

তো এই কার্ডটি কিন্তুু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

যেমন, এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি কোনো একজন ব্যক্তির আয় এবং ব্যয় করার সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

এছাড়াও যখন আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করবেন। তখন আপনার সেভিংস একাউন্ট থেকে কোনো প্রকার টাকা ব্যয় হবে না।

বরং আপনার কার্ড বা ইস্যুকারীরা আপনার সকল লেনদেন এর ভার বহন করবে ৷ 

কেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন?

Cradit Card নিয়ে যেহুতু এতো আলোচনা ৷ সেহুতু আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন আপনি এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন।

আপনি যদি এই চিপভিওিক কার্ডটি ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

দেখুন আমি শুরুতেই বলেছি যে, এটি হলো ছোট্ট একটা চিপযুক্ত Card. যার ফলে এটিকে বহন করতে আপনাকে তেমন বেগ পেতে হবে না।

অথচ এই ছোট্ট কার্ডের মাধ্যমে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

মনে করুন, আপনি কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে গেলেন। খরচ শেষে আপনি দেখলেন যে, মোট ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে।

কিন্তুু আপনার কাছে আছে মাএ ১ লাখ টাকা। তো বিপদের এই সময়ে আপনাকে কেউ হেল্প না করলেও ক্রেডিট কার্ড টি কিন্তুু আপনাকে ঠিকই বাড়তি ১ লাখ টাকা ধার হিসেবে দিবে। 

মূলত আপনার সেভিংস একাউন্টে যদি কোনো প্রকার টাকা না থাকে। তারপরেও আপনার এই ধার করা টাকা গুলো ব্যংক বা ইস্যুকারী নিজে থেকে বহন করবে।

তো এই ব্যাপার গুলোর জন্য আপনার একটি Cradit Card ব্যবহার করা উচিত। 

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি? 

বর্তমান সময় অনুযায়ী আপনি ক্রেডিট কার্ডের অনেক রকম সুবিধা দেখতে পারবেন ৷

আর এই সুযোগ সুবিধা গুলো ভোগ করার জন্যই আজকে আমাদের দেশে প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আসছে।

তবে এতো কিছু সুবিধার পাশাপাশি এই কার্ডের বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। তবে জানার বিষয় হলো যে, ক্রেডিট কার্ডে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।

এবার চলুন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক। 

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা কি কি? 

আপনি যদি Cradit Card ব্যবহার করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ৷ যেমনঃ- 

  1. হুট করে যদি টাকা পয়সার দরকার হয় ৷ তখন আপনাকে অন্য কারো কাছে হাত পাততে হবেনা। বরং আপনি আপনার হাতে থাকা কার্ড থেকেই সেই টাকা ম্যানেজ করতে পারবেন। 
  2. মজার বিষয় হলো, এই কার্ডের মাধ্যমে অনেক সময় কম সুদে অনেক বেশি টাকা পাওয়া যায়। আবার কিছু কিছু সময় কোনো প্রকার সুদ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। 
  3. ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের অফার দেওয়া হয়। তো আপনি যদি সেই অফার গুলো অনুযায়ী লেনদেন করেন। তাহলে আপনার অনেক টাকা বেঁচে যাবে। 
  4. যদি আপনার কার্ডে অনেক টাকা ধার নেয়া থাকে ৷ কিংবা এই কার্ডটি পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। তাহলে আপনি আপনার কার্ডের ধরন পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। 
  5. সর্বশেষ যেটি বিষয় হলো Cradit Card ব্যবহার করে লেনদেন করলে আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের রেওয়ার্ড পাবেন।

তো এগুলো হল মূল সুবিধা। কিন্তুু এগুলো ছাড়াও আরও অনেক সুবিধা আছে। যেগুলো আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সময় নিজে থেকে বুঝে নিতে পারবেন। 

ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা কি কি? 

নানা রকম সুবিধার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। কেননা, আপনি যদি এই কার্ডকে সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার না করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন। যেমনঃ

  1. যেহুতু আপনি এর মাধ্যমে খুব সহজেই অর্থ পেমেন্ট করার সুযোগ পাবেন। সেহুতু আপনার খরচ করার প্রবনতা অনেক গুন বেড়ে যেতে পারে। যা আপনার ঋণের ভাড় কে অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে। 
  2. ক্রেডিড কার্ডের সমস্যা বাঁধে অন্য জায়গায়। কেননা, আপনি যদি সঠিক সময়ে ধার নেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারেন। তাহলে অনেক সময় আপনাকে মোটা অংকের টাকা সুদ প্রদান করতে হবে। 
  3. আপনি ক্রেডিড কার্ড নেয়ার পর ব্যবহার করুন বা না করুন। আপনাকে কিন্তুু সময় মতো ঠিকই কার্ডের বাৎসরিক চার্জ প্রদান করতে হবে।

তো এগুলো হলো Cradit Card এর মূল অসুবিধা। তবে আপনি যদি নিয়ম মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনার এগুলো কোনো সমস্যা মনে নাও হতে পারে। 

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার?

সত্যি বলতে শুধুমাএ Cradit Card এর কোনো প্রকারভেদ নেই। কেননা, বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকে এই কার্ড গুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

তো আমি যদি প্রত্যেকটা Bank এর ক্রেডিট কার্ড গুলো নিয়ে আলাদা আলাদা করে বিস্তারিত আলোচনা করি ৷ তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক, দেশের ব্যাংক গুলোতে কোন কোন ধরনের ক্রেডিট কার্ড আছে। 

০১| ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড 

আমাদের দেশের জনপ্রিয় Dutch Bangla Bank প্রায় ২০০৮ সাল থেকেই ভিসা ইএমভি ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা দিয়ে আসছে।

এছাড়াও ২০১০ সাল থেকে মাষ্টারকার্ড ইএমভি Cradit Card এর সুবিধা দিয়ে আসছে। আর সেই দিক থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে, উক্ত ব্যাংকটি বেশ আগে থেকেই এই ধরনের কার্ড ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে আসছে।

তো আজকের দিনে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এর আরও কিছু ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। যেমন,

  1. মাষ্টারকার্ড ক্ল্যাসিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড (MasterCard Classic International Cradit Card) 
  2. মাষ্টারকার্ড গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড (MasterCard Gold International Cradit Card) 
  3. মাষ্টারকার্ড ক্ল্যাসিক লোকাল ক্রেডিট কার্ড (MasterCard Classic Local Cardit Card)
  4. মাষ্টারকার্ড টাইটানিয়াম ক্রেডিট কার্ড (MasterCard Tytenium Cradit Card) 
  5. ভিসা ক্ল্যাসিক লোকাল ক্রেডিট কার্ড (Visa Classic Local Cradit Card) 
  6. ভিসা গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড (Visa Gold International Cradit Card) 
  7. ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড (Visa Platinum Cradit Card) 

তবে এগুলো ছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংক এর আরও কিছু ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। যদি আপনি এর সবগুলো সমন্ধে জানতে চান। তাহলে আপনাকে উক্ত ব্যাংক এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মূল Website এ যেতে এখানে ক্লিক করুন। 

০২| সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

অন্যান্য ব্যাংক গুলোর সাথে সমানতালে সিটি ব্যাংক অনেক গুলো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে৷ আর আপনার যদি কোনো City Bank Account থাকে ৷

তাহলে আপনিও এই ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন৷ উক্ত ব্যাংক এর উল্লেখযোগ্য কিছু Cradit Card হলোঃ

  1. আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড (American Express Platinum Cradit Card) 
  2. সিটি আলো আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ড (City Alo American Express Cradit Card)
  3. আমেরিকান এক্সপ্রেস গোল্ড ক্রেডিট কার্ড (American Express Gold Cradit Card) 
  4. ভিসা ক্রেডিট কার্ড (Visa Cradit Card) 
  5. আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্লু ক্রেডিট কার্ড (American Express Blue Cradit Card) 

উপরে উল্লেখিত কার্ড গুলো ছাড়াও সিটি ব্যাংকের আরও অনেক ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ৷ আপনি যদি সেই সব কার্ডের বিস্তারিত জানতে চান ৷

তাহলে আপনাকে সিটি ব্যাংক এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে হবে। 

০৩| ব্রাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড 

আজকের দিনে ব্রাক ব্যাংক থেকেও বেশ কয়েক ধরনের ক্রেডিট কার্ডের সেবা প্রদান করে আসছে ৷ আর আপনার যদি ব্রাক ব্যাংকে কোনো একাউন্ট চালু করা থাকে ৷

তাহলে আপনিও এই ধরনের কার্ড গুলোর সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ৷ যেমনঃ

  1. ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড (Infinite Cradit Card) 
  2. সিগনেচার ক্রেডিট কার্ড (Signature Cradit Card) 
  3. প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড (Platinum Cradit Card)
  4. গোল্ড ক্রেডিট কার্ড (Gold Cradit Card) 
  5. ক্ল্যাসিক ক্রেডিট কার্ড (Classic Cradit Card) 

তবে আপনি যদি ব্রাক ব্যাংকের সকল ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে জেনে নিতে চান ৷ তাহলে আপনি ব্রাক ব্যাংক এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন। 

আপনি আরো দেখতে পারেন…

০৪| প্রিমিয়ার ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

অন্যান্য ব্যাংক থেকে প্রদও ক্রেডিট কার্ড গুলোর ভিন্নতা থাকলেও ৷ যদি আপনার প্রিমিয়ার ব্যাংকে কোনো প্রকার একাউন্ট থাকে। তাহলে আপনি মূলত ৫ ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন ৷

তো এবার চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক। প্রিমিয়ার ব্যাংকে কি কি Cradit Card ব্যবহার করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। 

  1. গোল্ড ক্রেডিট কার্ড (Gold Cradit Card) 
  2. ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড (International Cradit Card) 
  3. প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড (Platinum Cradit Card) 
  4. ক্ল্যাসিক ক্রেডিট কার্ড ( Classic Cradit Card) 
  5. ডুয়াল কারেন্সি কার্ড (Duel Currency Card)

আমি উপরেই বলেছি যে, প্রমিয়ার ব্যাংকে শুধুমাএ এই ৫ ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করে থাকে ৷ তবে আপনি যদি আরও বিস্তারিত জেনে নিতে চান ৷

তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রিমিয়ার ব্যাংক এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। 

ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো ?

আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে, ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো। কেননা, তারা কখনই এই ধরনের কার্ড গুলো ব্যবহার করেনি ৷

মূলত যদি আপনি এ বিষয়ে কোনো কিছু না জানেন ৷ তাহলে এবারের আলোচনাটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

যদি আপনিও অন্যদের মতো লেনদেন করার কাজে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চান। তাহলে আপনার নিকট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে ৷

যদি আপনি সেই যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হয়ে থাকেন ৷ তাহলে আপনিও অনেক সহজেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

তো আপনি আসলে কোন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে চান ৷ তা আপনাকে পূর্বে থেকে নির্নয় করে রাখতে হবে ৷ কেননা, বাংলাদেশে প্রায় অনেক গুলো ব্যাংক রয়েছে ৷

তো ধরে নিলাম যে, আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি একাউন্ট চালু করেছেন ৷ এখন কিভাবে আপনি এই ব্যাংক থেকে Cradit Card ব্যবহার করবেন।

সেজন্য সবার আগে আপনাকে ঐ ব্যাংক এর যে শাখায় কার্ড সংক্রান্ত আলোচনা হয় ৷ সেখানে আপনাকে সরাসরি যেতে হবে ৷ এরপর যখন আপনি ঐ বিভাগে কথা বলবেন ৷

তখন তারা আপনাকে বেশ কিছু ডকুমেন্টস চাইবে ৷ যেমন,

  1. আপনার আয়ের প্রধান উৎস কি 
  2.  মাসিক আয় কত
  3.  একাউন্টে কি পরিমান টাকা জমা আছে 

তো যখন আপনি এই সকল ডকুমেন্টস দিবেন ৷ তখন আপনার বেশ কিছু কাগজপএের প্রয়োজন হবে। এবং কি কি কাগজ লাগবে ৷ সেগুলো আপনাকে ব্যাংক কতৃপক্ষ থেকে পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে। 

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা লাগে? 

ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো এই আলোচনায় আমি একটা কথা বলেছি ৷ সেটি হলো, শুধুমাএ সেইসব মানুষ গুলো এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবে  যাদের পূর্নাঙ্গ যোগ্যতা রয়েছে।

কিন্তুু এই কথাটি শোনার পর আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। তো চলুন এবার সে নিয়ে একটা পরিস্কার ধারনা নেয়া যাক।

সত্যি বলতে আজকের দিনে সব ধরনের মানুষ কে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়না ৷ তবে যেসব মানুষ বড় ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।

কিংবা অন্য কোনো পেশার মানুষ ৷ যারা নিয়মিত কর প্রদান করেন। এবং যাদের TIN Certificate আছে ৷ শুধুমাএ সেই মানুষ গুলো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবে।

তবে আপনার কাছে শুধু TIN থাকলেই আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবেনা। বরং এর সাথে আরও অনেক কাগজ পএের প্রয়োজন হবে। যেমন,

  1. জাতীয় পরিচয়পএ (NID Card)
  2. টিআইএন সার্টিফিকেট (TIN Certificate)
  3. যারা মূলত বড় কোনো চাকরিতে আছেন। তাদের স্যালারির সার্টিফিকেট। এবং গত ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট। 
  4. আর যারা বড় কোনো ব্যবসার কাজে নিয়োজিত। তাদের ব্যবসায়িক সার্টিফিকেট যেমন, Trade License ইত্যাদি জমা দিতে হবে। এর সাথে গত তিন মাসের ব্যাংক এর ট্রান্জেকশন এর ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।

এখন আপনার কাছে যদি উপরোক্ত যোগ্যতা গুলি থাকে ৷ তাহলে আপনিও খুব সহজেই ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন ৷

সেই কার্ড গুলোর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের লেনদেন করার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। 

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম কি কি? 

যদি আপনার হাতে একটি নতুন ক্রেডিট কার্ড আসবে ৷ তখন আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কেননা, এই কার্ডে যেহুতু আপনি টাকা লেনদেন করবেন ৷

সেহুতু অবশ্যই আপনাকে সেই নিয়ম কানুন গুলো বেশ ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। যেমনঃ

  1. সবার আগে আপনার হাতে থাকা ক্রেডিট কার্ড কে Active করে নিতে হবে। কারন যদি আপনার কার্ডটি একটিভ না হয়। তাহলে আপনি সেই কার্ড দিয়ে কোনো লেনদেন করতে পারবেন না। 
  2. ক্রেডিড কার্ড বলুন কিংবা ডেবিট কার্ড। গুলোর মাধ্যমে অর্থ আদান প্রদান করতে একটি ৪ সংখ্যার পিন নম্বর এর প্রয়োজন হয়ে থাকে ৷ মনে রাখবেন, এই পিন নম্বর টি কিন্তুু অনেক গোপনীয়। 
  3. আপনি যখন একটি নতুন ক্রেডিট কার্ড তৈরি করার সময় যে যে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জমা দিবেন। সেই ডকুমেন্ট গুলো যত্নের সাথে রেখে দিবেন। কেননা, পরবর্তীতে আপনার কার্ডের কোনো প্রকার সমস্যা হলে ঐ ডকুমেন্ট গুলোর প্রয়োজন হবে। 
  4. ক্রেডিট কার্ডের বিশেষ একটা দিক হলো, এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি অনলাইন এবং অফলাইন এই দুই পদ্ধতিতে লেনদেন করতে পারবেন।
  5. খেয়াল রাখবেন যেন কোনো স্ক্যামিং ওয়েবসাইটে আপনার কার্ড ডিটেইল না যায় ৷ এতে করে আপনি নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

তো মোটামুটি ভাবে আপনি যদি উপরোক্ত নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলেন। তাহলে আশা করা যায় যে, আপনার কার্ড ব্যবহার করতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।

তবে Card ব্যবহার করতে যদি কোনো প্রকার সমস্যা হয়। তাহলে অতি দ্রুত সাপোর্ট সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করবেন। 

ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আরও কিছু প্রশ্নাবলি 

সত্যি বলতে Cradit Card নিয়ে যে বিষয় গুলো জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো আমি উপরের আলোচনা তে একেবারে বিস্তারিত ভাবে বলে দেয়ার চেস্টা করেছি।

তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে। যেগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা নেয়া দরকার।

তো এবার সেই সব প্রশ্ন গুলো কে একএিত করবো। যে প্রশ্ন গুলো অনেকের মনেই জেগে থাকে। কিন্তুু তারা এগুলোর সঠিক উওর গুলো খুজে পায়না। যেমন,

০১|ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড কি? 

উওরঃ সাধারন অর্থে এটিএম কার্ডের দুটি অংশ হলো ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড। তবে দুটোই ATM Card এর আওতায় পড়লেও এই দুটোর ভিন্ন ভিন্ন কাজ রয়েছে।

যেমন, ডেবিট কার্ডে আপনি শুধু সেই পরিমান টাকা খরচ করতে পারবেন। যে পরিমান টাকা আপনার একাউন্টে জমা থাকবে।

অপরদিকে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন ৷ তাহলে আপনার একাউন্টে কত টাকা জমা থাকবে ৷ সেটা বড় কথা নয় বরং, আপনি আরও বেশি পরিমান টাকা ধার হিসেবে নিতে পারবেন। 

০২| ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম গুলো কি কি? 

উওরঃ চেস্টা করলে আপনি খুব সহজেই যে কোনো ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন ৷ তবে সবার আগে আপনাকে এই কার্ড ব্যবহার করার যোগ্যতা রাখতে হবে। যদি আপনার যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস দিয়ে ক্রেডিট কার্ড করে নিতে পারবেন। 

০৩| ক্রেডিট কার্ড কি হারাম?

উওরঃ সকল ধর্ম অনুসারে সুদ দেওয়া এবং সুদ নেয়া হারাম। অর্থ্যাৎ, পৃথিবীর কোনো ধর্ম এই সুদ কে সমর্থন করে না। কিন্তুু আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন ৷

তাহলে আপনাকে ধার নেয়া টাকার উপর নির্ভর করে সুদ প্রদান করতে হবে। তো এদিক থেকে ধর্মীয় মোতাবেক ক্রেডিট কার্ডকে হারাম বললেও ভুল হবে না ৷ 

০৪| ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলা যায়? 

উওরঃ- না! আমরা যেমন বিকাশ কিংবা রকেটে ক্যাশ আউট করে টাকা উওলন করি ৷ ঠিক তেমনি ভাবে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উওলন করার মতো কোনো সিস্টেম নেই ৷

কারন এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি শুধু পেমেন্ট পরিশোধ করতে পারবেন ৷ 

০৫| কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো? 

উওরঃ কোন ব্যাংক Cradit Card এর জন্য ভালো আর কোন ব্যাংক খারাপ। তা আপনার ব্যবহার বিধীর উপর নির্ভর করবে। যেমন, কিছু কিছু ব্যাংক আছে।

যারা আপনাকে টাকা ধার দিবে। কিন্তুু তাদের মুনাফার পরিমান অনেক বেশি। সেক্ষেএে সেই ব্যাংক গুলো আপনার ভালো নাও লাগতে পারে।

আপনি আরো পড়ুন

তো সেজন্য ক্রেডিট কার্ড করার আগে অবশ্যই এ সমন্ধে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিবেন। 

ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আমাদের শেষকথা 

ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যে বিষয় গুলো গুরুত্বপূর্ণ। তার সবগুলো বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি সেগুলো বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার Cradit Card নিয়ে অন্য কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি চেস্টা করবো আপনার প্রশ্নের উওর দেয়ার।

এমন সব টপিক সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই Bangla It Blog এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top