চেক কি । চেক কত প্রকার ও কি কি [What is cheque in Bengali]

চেক কি : (What is cheque in Bengali) চেক যা মূলত আর্থিক লেনদেন করার এক ধরনের নথিপত্র। যার সাহায্য আপনি নির্দিষ্ট একটি ব্যাংকের সাহায্য আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।

চেক কি । চেক কত প্রকার ও কি কি [What is cheque in Bengali]
চেক কি । চেক কত প্রকার ও কি কি
আর বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের চেক লক্ষ্য করা যায়। তবে ভিন্নধর্মী চেক এর মধ্যে চেক (Cheque) কে সাধারণত ছয় প্রকারের হয়ে থাকে। আর আজকে আমরা এই বিভিন্ন ধরনের চেক সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

দেখুন যখন আপনি ব্যাংক এর মাধ্যমে লেনদেন করতে যাবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে ব্যাংকিং নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে।

আর তাদের দেওয়া নিয়মের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ম হলো, চেক। যার সাহায্য আপনি নির্দিষ্ট কোন একটি ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

তবে ব্যাংকের ক্ষেত্রে যেমন আমরা ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারি। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি চেক এর সাহায্য লেনদেন করবেন।

তখন দেখতে পারবেন যে, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের চেক রয়েছে। যে গুলোর সাহায্য ব্যাংক থেকে আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব।

চেক কি? (What is a cheque) ?

চেক কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে জানতে হবে, চেক কি। তো চেক হলো বিশেষ এক ধরনের নথিপত্র।

যার সাহায্য আপনি নির্দিষ্ট কোন একটি ব্যাংক এর মধ্যে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। অর্থাৎ যখন আপনি কোন একটি ব্যাংক এর মধ্যে একাউন্ট তৈরি করবেন।

এবং যখন আপনার কাছে একটি চেক থাকবে। তখন আপনি সেই চেকের মাধ্যমে আপনার একাউন্টে থাকা অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। 

যেমন ধরুন, আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মধ্যে একটি একাউন্ট করা আছে। আর যখন আপনি ব্যাংক একাউন্ট চালু করবেন। তখন অবশ্যই আপনার নিকট একটি চেক থাকবে।

এখন সেই চেকটি আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে প্রদান করেন। এবং আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর মধ্যে থাকা অর্থ আপনি উত্তোলন করতে পারবেন।

এবং আপনি চাইলে আপনার অর্থ অন্য কোন একাউন্ট নাম্বারে ট্রান্সফার করতে পারবেন। আর এই যাবতীয় কাজ গুলো আপনি খুব সহজে আপনার সেই চেক এর মাধ্যমে করতে পারবেন।

তাই বলা হয় যে, চেক হল এমন এক ধরনের ব্যাংকিং ডকুমেন্ট। যেটি প্রদান করলে কোন একটি ব্যাংক কে উক্ত অ্যাকাউন্ট নম্বরের নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক লেনদেন করার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে।

এবং যখন এই চেক প্রদান করা হয়, তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এটা নিশ্চিত হয় যে, চেক এর মধ্যে থাকা অ্যাকাউন্ট নম্বরে, আর্থিক লেনদেন করার জন্য।

সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিক অনুমতি প্রদান করেছেন। এবং তারপর থেকে সেই চেক এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব হয়।

চেক কত প্রকার ও কি কি ?

Kind of Cheque: আলোচনার শুরুতেই আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, চেক কাকে বলে। তো এবার আমি আপনাকে বলব, চেক কত প্রকার ও কি কি।

কেননা আমরা উপরে এই জানতে পেরেছি, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের চেক রয়েছে। এবং এই ভিন্ন ধর্মী চেক গুলো অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, চেক কত প্রকার ও কি কি।

বিয়ারার বা বহনকারী চেক

ব্যাংক এর মধ্যে আপনি যত গুলো চেক দেখতে পারবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ চেক এর নাম হলো, বিয়ারার বা বহনকারী চেক।

মূলত এই ধরনের চেক গুলো দিয়ে আপনি সরাসরি ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে আপনার অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে আর বাড়তি কোনো ধরনের কাজ করতে হবে না। এর পাশাপাশি এই ধরনের চেক গুলো থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য। সরাসরি ব্যাংক একাউন্টের মালিকের প্রয়োজন হয় না।

বরং সেই ধরনের চেক গুলো তে যাবতীয় তথ্য দেওয়ার পরে। যে কোন ব্যক্তি উক্ত চেক নিয়ে ব্যাংকে যাওয়ার সাথে সাথেই।

সেই ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট চেকের মধ্যে উল্লেখ থাকা অর্থ প্রদান করবে। আর অধিকাংশ সময় আমরা যারা সাধারন মানুষ আছি।

তারা এই ধরনের বহনকারী চেক ব্যবহার করে থাকি। যার সাহায্য ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে অর্থ উত্তোলন করা সম্ভব।

অর্ডার চেক

উপরের চেক থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, উক্ত চেকের সাহায্য যে কোন ব্যক্তি ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।

কিন্তু আপনার যদি অর্ডার চেক থাকে। তাহলে আপনি অনেকটাই ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন। কারণ এই ধরনের চেক দিয়ে শুধুমাত্র সেই ব্যক্তি তার অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।

যে ব্যক্তির নামে একাউন্ট রয়েছে এবং যে ব্যক্তি উক্ত চেক টি লিখেছে। কিন্তু এই ধরনের চেক নিয়ে যদি অন্য কোন মানুষ ব্যাংক এর মধ্যে যায়।

তাহলে কোন ভাবেই সেই ব্যক্তি কে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থ প্রদান করবে না। আর এই ধরনের বিশেষ ব্যাংকিং চেক কে বলা হয়ে থাকে, অর্ডার চেক।

আর যখন আপনি এই ধরনের চেক দিয়ে কোন একটি ব্যাংক থেকে আর্থিক লেনদেন করতে যাবেন। তখন অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে ভেরিফিকেশন করবে।

আসলে সেই অ্যাকাউন্ট এর মালিক আপনি নাকি অন্য কেউ। যখন তারা দেখবে যে, উক্ত একাউন্টের মালিক আপনি নিজেই। তখন তারা আপনার নির্ধারিত অর্থ লেনদেন করার জন্য আদেশ দিবে।

ক্রসড চেক

এবার আপনি বিশেষ এক ধরনের চেক এর নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেটি হল, ক্রসড চেক। আর এই ধরনের চেক গুলো কে বিশেষ বলার কিছু কারণ রয়েছে।

তার মধ্যে অন্যতম হলো, ক্রস চেক এর মধ্যে বাম পাশে, “A/C Payee”- লেখা দেখতে পারবেন। এবং এই লেখার সাথে আপনি আরো দুটি সমান্তরাল লাইন দেখতে পারবেন।

মূলত যে সকল চেকের মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই চেক গুলো কে বলা হয় থাকে, ক্রস চেক। তবে এমন ধরনের চেক এর ক্ষেত্রে যখন আপনি ব্যাংকের সাথে লেনদেন করতে যাবেন।

তখন আরো বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন, উক্ত চেক এর মাধ্যমে যে ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট উল্লেখ করা আছে।

শুধুমাত্র সেই ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কোন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে উক্ত টাকা প্রদান করার কোন ধরনের আদেশ থাকবে না।

কেননা এই ধরনের ক্রস চেক এর মধ্যে যে ব্যক্তি কে টাকা পাঠানো হবে। সে ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ তার ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস দেওয়া থাকে।

আর এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি বাদে কোন কোন ব্যক্তির নাম্বারে টাকা দেয়ার কোন ধরনের সম্ভাবনা থাকে না। যার ফলে এই ধরনের চেক কে বলা হয়ে থাকে, সবচেয়ে নিরাপদ।

ওপেন চেক

উপরে আপনি ক্রস চেক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর এই ধরনের চেক গুলো দিয়ে শুধুমাত্র নির্ধারিত ব্যক্তির একাউন্টে টাকা পাঠানো সম্ভব।

কিন্তু ওপেন চেক এর ক্ষেত্রে আপনি অনেক ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন। কেননা এই ধরনের ওপেন চেক যে কেউ যে কোনো ধরনের ব্যাংক থেকে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে।

অর্থাৎ আপনার নিকট যদি একটি ওপেন চেক থাকে। তাহলে আমি সেই ওপেন চেক এর সাহায্য। আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবো।

তবে তার আগে অবশ্যই আপনার অনুমতির প্রয়োজন হবে। আর এই ধরনের ওপেন চেক এর মধ্যে যখন আপনি আর্থিক লেনদেন করবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

তখন উক্ত চেকের সামনের অংশে আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে। এর পাশাপাশি উক্ত চেকের পিছনে যে ফাঁকা অংশটি রয়েছে।

সেখানেও আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে। আর যখন আপনি এমনটা করবেন, তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত চেক এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করার অনুমতি পাবে।

এবং তারা আপনার সেই চেক এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে সাহায্য করবে।

পোস্ট-ডেটেড চেক

উপরে আমরা যে সকল ব্যাংকিং চেক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেই চেক গুলো দিয়ে আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে।

আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যাংক থেকে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। কিন্তু এমন এক ধরনের চেক রয়েছে, যার সাহায্য আপনি কোনভাবেই তাৎক্ষণিক ভাবে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না,

আর এই ধরনের বিশেষ চেক গুলো কে বলা হয়ে থাকে, পোস্ট ডেটেড চেক। কেননা এই ধরনের চেক এর মধ্যে কোন মাসের, কত তারিখে আর্থিক লেনদেন করা হবে তা উল্লেখ করা থাকে।

আর সেই তারিখ অনুযায়ী আপনি উক্ত চেক দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন। এর বাইরে আপনি যদি সেই তারিখ পূর্ণ হওয়ার আগেই ব্যাংকে উত্তর চেক নিয়ে যান।

তাহলে কর্তৃপক্ষ সেই চেক দিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে লেনদেন করতে অনুমতি প্রদান করবে না। কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত চেকের মধ্যে উল্লেখ করা তারিখ পূর্ণ হবে না।

ততক্ষণ পর্যন্ত সেই চেক দিয়ে কোন ধরনের লেনদেন সম্ভব হবে না। আর এই ধরনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন চেক কে বলা হয়ে থাকে, পোস্ট ডেটেড চেক।

স্টেল চেক

উপরের আলোচনাতে আমি যে সকল চেক সম্পর্কে বলেছি। সে গুলো দিয়ে আপনি ব্যাংক থেকে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।

তবে এবার আমি আপনাকে ভিন্ন একটি চেক সম্পর্কে বলব। আর এই ভিন্নধর্মী চেক এর নাম হল স্টেল চেক।

মূলত আপনি এই ধরনের চেক দিয়ে কোন ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন না। কারণ এগুলো হলো অবৈধ চেক, যেগুলো দিয়ে কোনভাবেই ব্যাংক থেকে আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব হবে না।

তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, কেন এই ধরনের চেক দিয়ে, ব্যাংক থেকে লেনদেন করা হবে না। তো যদি এমনটা ভেবে থাকেন, তাহলে শুনুন…….

যখন কোন একটি চেক ইস্যু করার তারিখে ব্যবহার করা না হয়। এবং পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত যদি সেই চেক ইস্যু না হয়। তাহলে তা বাতিল বলে বিবেচিত হয়।

আর সে কারণে এই ধরনের চেক দিয়ে কোন ব্যাংক আর্থিক লেনদেন করার সম্মতি প্রদান করেনা।

তো ভিন্নধর্মী এই চেক এর নাম হল, স্টেল চেক। যার সাহায্য আপনি কখনোই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন কিংবা টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন না।

ট্রাভেলার্স চেক

অনেক সময় আমাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে। সেটি হল, একটি মানুষ যখন বিদেশে যায়। তখন সে সেই দেশের টাকা কিভাবে পায়?

তো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেই দেশের মুদ্রা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, ট্রাভেলার্স চেক ব্যবহার করা। যার সাহায্য আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশে গিয়ে।

সে দেশের মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না।

এবং এই ধরনের চেক গুলোর মেয়াদ দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। যার ফলে আপনি উক্ত চেক এর বাড়তি একটা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

মনে করুন, আপনি একজন বাংলাদেশী। এবং আপনি ইন্ডিয়াতে গেলেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি ট্রাভেলার্স চেক থাকে।

এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকে। তাহলে আপনি সেই চেক এর মাধ্যমে ইন্ডিয়ার মধ্যে থাকা ব্যাংক থেকে। তাদের রুপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

এবং সেগুলো ব্যবহার করে আপনি উক্ত দেশের যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। আর এই ধরনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যাংকিং চেক কে বলা হয়ে থাকে, ট্রাভেলার্স চেক।

সেলফ চেক

মনে করুন, আপনি বাংলাদেশের কোন একটি ব্যাংক থেকে একাউন্ট খুলেছেন। সেক্ষেত্রে আপনার নিকট যদি সেলফ চেক থাকে।

তাহলে আপনি অন্যান্য চেকের ক্ষেত্রে ভিন্নধর্মী একটা বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। সেটি হল, আপনার চেক এর মধ্যে যে ড্রয়ি কলাম থাকবে।

সেখানে আপনাকে “self”- কথাটি লিখতে হবে। আর যখন আপনি আপনার চেক এরমধ্যে এই কথাটি লিখবেন। তখন সেই চেকটি ব্যাংকের কাছে একটি সেলফ চেক হিসাবে বিবেচিত হবে।

তবে এই ধরনের ব্যাংকিং চেক এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর সেই বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, সেলফ চেক শুধুমাত্র ইস্যুকারি ব্যক্তির নিজস্ব একাউন্ট তৈরি করা, ব্যাংক এর মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব।

অর্থাৎ আপনি যে ব্যাংক থেকে একাউন্ট করেছেন। সেই ব্যাংক থেকেই সেল্ফ চেক দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংক এর মধ্যে সেলফ চেক নেন।

তাহলে কিন্তু সেই চেকটি আপনি শুধুমাত্র ইসলামী ব্যাংক থেকেই ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে আপনি যদি অন্যান্য কোন ব্যাংকের কাছে এই ধরনের সেলফ চেক প্রদান করেন। তাহলে আপনি লেনদেন করতে পারবেন না।

চেক এর বৈশিষ্ট্য কি?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি, চেক কি এবং চেক কত প্রকার ও কি কি। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তবে উপরোক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি। আপনাকে চেক নিয়ে আরো কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, চেক এর বৈশিষ্ট্য কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া।

মূলত আমরা যে সকল চেক ব্যবহার করি। সেই চেক গুলো কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। আর ভিন্ন ধর্মী এই চেক গুলোর ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

চলুন এবার সে গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • লিখিত চেক বৈশিষ্ট্যঃ আপনি যেকোনো ধরনের চেক ব্যবহার করুন না কেন। সেই চেক আপনাকে অবশ্যই লিখতে হবে।
  • কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত একটি চেক এর মধ্যে আর্থিক লেনদেন এর বিষয় গুলো স্পষ্ট লেখা থাকবে না। ততক্ষণ সেই ব্যাংক উক্ত চেক এর মাধ্যমে কোন ধরনের লেনদেন করতে চাইবে না। আর এটি হলো চেক এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
  • শর্তহীন চেক বৈশিষ্ট্যঃ আমরা যে সকল চেক ব্যবহার করি। সেই চেক গুলোর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল শর্তহীন আদেশ বহন করা। আর যতক্ষণ পর্যন্ত একটি চেক ব্যাংক কে শর্তহীন আদেশ প্রদান করবে না। ততক্ষণ ব্যাংক উক্ত চেক দিয়ে কোন আর্থিক লেনদেন করার সম্মতি প্রদান করবে না।
  • ব্যাংক এর উপর আদেশঃ চেক এর গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে আদেশ প্রদান করা। অর্থাৎ যখন একটি চেক ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছায়। তখন সেই চেক এর মধ্যে থাকা নির্দিষ্ট অর্থ লেনদেন করার জন্য আদেশ পায়। যার সাহায্য উক্ত চেক এর ব্যবহার হয়ে থাকে।
  • চাহিবাগ মাত্র পরিশোধযোগ্যঃ আজকের আলোচনার শুরুতেই আমি আপনাকে বলেছি, চেক হল ব্যাংকিং নথিপত্র। আর সে কারণেই চেক কে বলা হয়ে থাকে, চাহি বা মাত্র পরিশোধযোগ্য এক ধরনের নথিপত্র।
  • যে নথিপত্র ব্যাংক এর মধ্যে প্রদান করলেই তারা উক্ত চেক এর সংশ্লিষ্ট লেনদেন করতে বাধ্য।

তো উপরে আপনি বেশ কিছু চেক এর বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছেন। মূলত আমরা যে সকল চেক ব্যবহার করি।

সেই চেক গুলোর সকল বৈশিষ্ট্য উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি, এগুলো সম্পর্কে আপনি একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

আপনি আরোও জনাতে পারবেন…

চেক সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা 

আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, চেক কি এবং চেক কত প্রকার ও কি কি। এর পাশাপাশি আমি প্রতিটা চেক এর প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

যাতে করে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন যে, চেক কত প্রকার ও কি কি। আর আমরা প্রতিনিয়ত ব্যাংকিং রিলেটেড আপডেট তথ্য গুলো এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি।

তাই আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। যেন এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো আপনি সবার আগে জেনে নিতে পারেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top