ব্লুটুথ কি | Bluetooth কিভাবে কাজ করে (what is Bluetooth in Bengali)

ব্লুটুথ কি : মোবাইল আবিস্কারের পর থেকে কমবেশি আমরা সবাই ব্লুটুথ এর সাথে পরিচিত।

কেননা, একটি মোবাইল ডিভাইস থেকে অন্য আরেকটি মোবাইলে যেকোনো ধরনের ভিডিও কিংবা অডিও গান ট্রান্সফার করার জন্য Bluetooth ছিলো অন্যতম একটি মাধ্যম।

ব্লুটুথ কি | Bluetooth কিভাবে কাজ করে (what is Bluetooth in Bengali)
ব্লুটুথ কি ? Bluetooth কিভাবে কাজ করে

আর সে কারনে প্রায় সব মোবাইল ইউজররা ব্লুটুথ এর সাথে অনেক আগে থেকেই বেশ গভীর ভাবে পরিচিত।

কিন্তুু আপনাকে যদি এখন প্রশ্ন করা হয় যে, ব্লুটুথ কি – ব্লুটুথ প্রযুক্তির আবিষ্কারক কোন কোম্পানি ? তা একটু বিস্তারিত ভাবে বলুন।

অথবা আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, ব্লুটুথ কিভাবে কাজ করে । তাহলে কি আপনি এই প্রশ্নের উত্তরে বিস্তারিত বলতে পারবেন? –

না! এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা এই প্রশ্ন গুলো কে বিস্তারিত ভাবে বলতে পারবেন না। কারন, এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার তেমন কোনো প্রয়োজন ছিলোনা।

কারণ, সহজ ভাষায় আমরা সবাই যে বিষয়টি জানি সেটি হলো, ব্লুটুথ মূলত একটি ডিভাইস থেকে অন্য কোনো ডিভাইসে Data Share করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

কিন্তুু প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, আজকের দিনে তো ডেটা শেয়ার করার অনেক গুলো মাধ্যম এসেছে। তাহলে এরপরও কেন আমাদের দেয়া ফোন গুলোতে Bluetooth নামের ফিচার কে দেখতে পাওয়া যায়?

বর্তমান সময়ের ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলো তে ব্লুটুথ ব্যবহার করার বিশেষ কিছু কারণ আছে।

আর সেই কারণ গুলো নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

তো যদি আপনি Bluetooth কি – সে বিষয়ে পূর্নাঙ্গভাবে জেনে নিতে চান, তাহলে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়ুন।

হ্যালো বন্ধু, স্বাগতম আপনাকে Bangla it blog এর নতুন একটি আর্টিকেলে। আজকে আপনি ব্লুটুথ সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।

যেমন, ব্লুটুথ কি ( what is Bluetooth in Bangla ), ব্লুটুথ কিভাবে কাজ করে, ব্লুটুথ এর বাংলা কি, ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট গুলো কি কি?  ইত্যাদি।

তো আর দেরী না করে চলুন সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক। 

ব্লুটুথ কি | (what is Bluetooth in Bengali)

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের Wireless Technologies রয়েছে। আর এইসব ওয়্যারলেস টেকনোলজি গুলোর মধ্যে ব্লুটুথ হলো অন্যতম একটি অত্যাধুনিক টেকনোলজি।

যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই কোনো একটি ডিভাইস থেকে অন্য আরেকটি ডিভাইসে Data Transfer করতে পারি। আর এই ডেটা ট্রান্সফার করার কাজটি আপনি তখনি করতে পারবেন।

যখন Bluetooth সংযুক্ত থাকা দুটো ডিভাইস খুব কম রেন্জের মধ্যে অবস্থান করবে।

ব্লুটুথ এর মধ্যে বিশেষ এক ধরনের UHF Radio Waves থাকে, যা মূলত পারসোনাল এড়িয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম।

আর এই Personal Area Network এর বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য আছে। সেটি হলো, যখন এই নেটওয়ার্ক এর আওতায় অন্য কোনো ডিভাইসে ব্লুটুথ অন করা থাকে।

তখন এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উক্ত ডিভাইস এর সাথে কানেক্ট হওয়া যায়। এবং একে অপরের সাথে ডেটা কে ট্রান্সফার করা যায়। 

Bluetooth network মানে কি ?

উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে ব্লুটুথ কি (Bluetooth ki) সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। তো আশা করা যায়, Bluetooth কি এ নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না।

তো এবার আপনার মনে আরো একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাবে, সেটি হলো Bluetooth Network মানে কি। তো চলুন এবার সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

দেখুন, আজকের দিনে যেসব ইলেকট্রনিক ডিভাইস আছে। সেই প্রত্যেকটি ডিভাইসে এক ধরনের UHF Radio Waves আছে।

এর এই রেডিও ওয়েব এর প্রধান কাজ হলো যখন একটি ডিভাসে Bluetooth Connection চালু করা হবে। তখন এই রেডিও ওয়েব বিশেষ এক ধরনের পারসোনাল এড়িয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করে।

আর সেই নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে একটি ডিভাইস অন্য আরেক টি ডিভাইস এর সাথে কানেক্ট হতে পারে।

এবং এই নেটওয়ার্ক কে বলা হয়ে থাকে Bluetooth Network. আর ব্লুটুথ থেকে তৈরি হওয়া এই নেটওয়ার্ক কে বলা হয় PAN.

ব্লুটুথ এর কাজ কি ?

উপরের স্বল্প আলোচনা থেকে আপনি ব্লুটুথ কি এবং ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক কি – সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তো এবার যদি আপনাকে বলা হয় যে, ব্লুটুথ এর কাজ কি

তাহলে নিশ্চই আপনি এই প্রশ্নের উওর দিতে পারবেন। কারন আপনি আমি আমরা সবাই জানি যে, ব্লুটুথ এর মূল কাজ হলো Data Share করা।

অর্থ্যাৎ, আপনি চাইলে আপনার ডিভাইসে থাকা কোনো ডেটা কে অন্য আরেকজন এর সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

আবার প্রয়োজন অনুসারে অন্য কোনো ডিভাইস এর ডেটা কে আপনার ডিভাইসে নিয়ে আসতে পারবেন। 

ব্লুটুথ কিভাবে কাজ করে ?

যদি আমি ব্লুটুথ কে একটি Short Distance Radio Technology বলি তাহলেও কোনো প্রকার ভুল হবেনা।

কারণ, আমি উপরের আলোচনা তে এই বিষয়টি ক্লিয়ার করেছি যে, ব্লুটুথ মূলত UHF Radio Waves কে কেন্দ্র করে কাজ করে থাকে।

তো এই রেডিও টেকনোলজি এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট আছে। আর সেগুলো কে কেন্দ্র করেই মূলত ব্লুটুথ কাজ করে থাকে।

ব্লুটুথ থেকে তৈরি হওয়া পারসোনাল এড়িয়া নেটওয়ার্ক এর সাহায্য আশেপাশে ১০ মিটার দুরত্বে থাকা ডিভাইস এর সাথে কানেক্ট করা যায়।

তবে যদি অপর প্রান্তে থাকা ডিভাইস এর মধ্যে Bluetooth Connection চালু করা থাকে। ব্লুটুথ এর মধ্যে বিরাজমান ঐ রেডিও ওয়েব এর ক্ষমতা প্রায় 2.45 GHZ.

আর এই রেডিও ওয়েব এর সাহায্য তৈরি হওয়া পারসোনাল নেটওয়ার্ক এর সাহায্য একইসাথে মোট ৮ টি ডিভাইসের সাথে ব্লুটুথ কানেক্ট করা সম্ভব। 

ব্লুটুথ এর ইতিহাস (History of Bluetooth in bangla)

পৃথিবীতে প্রতিটা সৃষ্টির পেছনে কোনো না কোনো ইতিহাস থাকে। ঠিক তেমনিভাবে Bluetooth সৃষ্টির পেছনেও বিরাট একটা ইতিহাস আছে।

আর যেহুতু আপনি ব্লুটুথ কি সে সম্পর্কে জানতে এসেছেন ৷ যেমন

bluetooth এর জনক কে, bluetooth কত সালে সূচনা হয়। সেহুতু History of Bluetooth সম্পর্কে জেনে নেয়াটাও আপনার জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ।

তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।

নেদারল্যান্ড দেশের নাম করা কালেক্টরেট ইঞ্জিনিয়ার Jaap Haartsen নামের একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মূলত রেডিও ওয়েব নিয়ে কাজ করতেন।

এছাড়াও তিনি একজন ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ার ছিলেন।

তো এই ব্যক্তি সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে Bluetooth আবিষ্কার করেন তাই  Jaap Haartsen কে ব্লুটুথ জনক বলা হয়

আপনার মনে আরেকটা প্রশ্ন আছে যে, ব্লুটুথ প্রযুক্তির আবিষ্কারক কোন কোম্পানি ?

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, Ericsson Company এর মাধ্যমে ব্লুটুথ প্রযুক্তির আবিষ্কার করেছেন।

যদিও ১৯৯০ সালে ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক এর সূচনা করেন। তবে শুরুর দিকে এই নেটওয়ার্ক এর নাম “ব্লুটুথ” শব্দটির পেছনে আরো কিছু ইতিহাস আছে।

উক্ত সময়ে Harald Bluetooth নামে একজন রাজা ছিলেন। মূলত এই সময়ে তিনি গোটা ডেনমার্কে রাজত্ব করতেন ৷ তো এই বিখ্যাত রাজার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিলো।

সেটি হলো পুরো ডেনমার্কে মোট যতোগুলো উপজাতি ছিলো সেই সব গুলো উপজাতি কে একত্র করা। আর এই উদ্দেশ্য টি তিনি একটা সময় সফলভাবে পূরণ করতে পেরেছেন।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

আর Harald Bluetooth নামের এই বিখ্যাত রাজা যেভাবে ডেনমার্কে থাকা সব উপজাতি কে একত্র করেছেন।

ঠিক তেমনিভাবে ব্লুটুথ ও কিন্তুু বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস কে পারসোনাল এড়িয়া নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে একত্র করে থাকে।

ডেনমার্কের রাজা Harald Bluetooth এর নাম অনুযায়ী এই প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে।

আর যার কারনে এই নেটওয়ার্ক এর নাম দেয়া হয় Bluetooth.

ব্লুটুথ কিভাবে চালু করতে হয় ? (Uses of Bluetooth)

তো জানা অজানা বিভিন্ন মানুষের মনে আরো একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। সেটি হলো, ব্লুটুথ কিভাবে চালু করতে হয়।

কারণ আপনি যদি Bluetooth চালু না করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি কোনোভাবেই আপনার ডিভাইস কে অন্য একটি ডিভাইসে থাকা ব্লুটুথ কে কানেক্টেড করতে পারবেন না।

কিন্তুু মজার বিষয় হলো, Bluetooth অন করার জন্য আপনাকে তেমন কোনো রকেট সায়েন্স জানার দরকার হবেনা।

কারণ, যদি আপনার ডিভাইসে Bluetooth নামের অপশনে যান, এবং সেখানে থাকা অপশন টি চালু করে দেন। তাহলেই আপনি খুব সহজেই আপনার ডিভাইস এ থাকা ব্লুটুথ কে চালু করতে পারবেন। 

Bluetooth এর বিভিন্ন প্রকার গুলো – (Types of Bluetooth)

আমরা শুরু থেকেই ব্লুটুথ কে এক নামে চিনে থাকি। কিন্তুু অবাক করার মতো বিষয় হলো আজকে আপনি Many Kind Of Bluetooth Version সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কেননা, ব্লুটুথ এর অনেক গুলো ভার্সন আছে। তো এবার আমি আপনাকে ব্লুটুথ এর সকল ভার্সন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।

তাহলে চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০১| Bluetooth Version -1

ব্লুটুথ ইতিহাস এর সর্বপ্রথম যে ভার্সনটি আছে সেটির নাম হলো, Bluetooth Version 1. যেহুতু এই ভার্সনটি অনেক পুরাতন সেই কারনে এর ডাটা ট্রান্সফার করার ক্ষমতা হলো মাত্র 720 kbps.

এতো লো স্পিড ডেটা ট্রান্সফার করার পাশাপাশি এই ব্লুটুথ ভার্সনে ছিলো নানাবিধ সীমাবদ্ধতা৷ আর এই ভার্সনের সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো ১৯৯০ সালে।

০২| Bluetooth Version -2

১৯৯০ সালের ব্লুটুথ এর প্রথম ভার্সনে নানাবিধ সীমাবদ্ধতা থাকার কারনে পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালে Bluetooth Version 2 উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

আর পূর্বের ভার্সন এর তুলনায় এই ব্লুটুথ ভার্সন-২ এর মধ্যে অনেক ভালো ভালো ফিচার নিয়ে আসা হয়। যার কারনে এটি আগের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে।

এবং নতুন নতুন মোবাইল ফোন গুলো তে এটি ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। 

০৩| Bluetooth Version -3

ব্লুটুথ এর পূর্ববর্তী ভার্সন গুলোর তুলনায় Bluetooth Version 3 কে আরো বেশি উন্নত করা হয়। বলা বাহুল্য যে এই ভার্সন এর ব্লুটুথ দিয়ে অনেক দ্রুততার সাথে ফাইল বা ডেটা কে ট্রান্সফার করা যেত।

আর সে কারনে এটি ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে।

০৪| Bluetooth Version -4

মানব কল্যানের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে আধুনিক বিশ্ব। আর ব্লুটুথ এই দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে থাকেনি।

বরং আধুনিক বিজ্ঞান সর্বদাই ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক কে আপডেট করার চেস্টা করছে। আর সেই সুবাদে ২০১৪ সালে ব্লুটুথ-৪ এর আরো একটি ভার্সন আসে।

যেখানে আপনি খুব স্পিডে ডেটা ট্রান্সফার করার পাশাপাশি সিকিউরিটির দিক থেকেও অনেকটা নিরাপত্তা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।

এছাড়াও Bluetooth ব্যবহারে আপনার ফোনের ব্যাটারির উপরে যেন কোনো প্রকার চাপ না পড়ে। সেই কারনে এর মধ্যে Auto Sleep নামের একটি নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। 

০৫| Bluetooth Version -5

এখন অবধি ব্লুটুথ এর সর্বশেষ ভার্সন হলো, Bluetooth Version -5. যা ডেভলপ করা হয়েছিলো ২০১৬ সালে।

আর যেহুতু এটি একবারে লেটেস্ট ভার্সন, তাই পূর্বের তুলনায় এর মধ্যে অনেক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।

মূলত ব্লুটুথ ব্যবহার করলে আপনার ফোনে থাকা ব্যাটারি তে যেন কোনোরূপ চাপ না পড়ে, সেদিকে বিশেষ বিবেচনা করে Buttery Saver নামক বিশেষ একটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও এই লেটেস্ট ভার্সনের ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে এখন আপনি মাউস, কিবোর্ড, হেডফোন ইত্যাদিকে কানেক্ট করতে পারবেন।

ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট গুলো কি কি ?

আজকের বহুল আলোচিত Bluetooth এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলো আমাদের অনেকের কাছে এখনও অজানা রয়েছে গেছে।

কিন্তুু দীর্ঘদিন থেকে ব্যবহার করে আসা এই ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট্য গুলো যদি আপনি না জেনে থাকেন।

তাহলে কিন্তুু আপনার অনেক বিষয় অজানা থেকে যাবে। তো চলুন এবার Bluetooth এর বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নেয়া যাক। 

  1. প্রথম যে বৈশিষ্ট্য টি আছে, সেটি হলো আপনি আপনার ডিভাইসে থাকা Bluetooth Connection এর মাধ্যমে নানা রকমের ডেটা কে ট্রান্সফার করতে পারবেন। যেমন, অডিও, ভিডিও, ফটো ইত্যাদি। 
  2. ব্লুটুথ এর মাধ্যমে শুধু ডেটা ট্রান্সফার নয় বরং আপনি চাইলে এর মাধ্যমে Internet Share ও করতে পারবেন।
  3.  আপনার ফোনে থাকা ইন্টারনেট ব্যালেন্স গুলো ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক এর সাহায্য ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার এর সাথে শেয়ার করতে পারবেন। 
  4. আপনার ফোনে থাকা Bluetooth Connection টি চালু করার পর যদি আশেপাশে ১০ মিটার দুরত্বে অন্য কোনো ফোনের ব্লুটুথ চালু থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ডিভাইস এর সাথে উক্ত ডিভাইস কে কানেক্ট করতে পারবেন। 
  5. আধুনিক বিশ্ব আমাদের মানব জীবন কে সহজ থেকে সহজতর করার জন্য অনবরত কাজ করে যাচ্ছে।
  6. আর ব্লুটুথ হলো এমন একটি আবিস্কার যেটা সব ধরনের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে ৷ কারণ এটি ব্যবহারে তেমন কোনো জটিলতা নেই। 
  7. আপনি যদি অন্য কোনো ওয়্যারলেস কানেকশন গুলোর দিকে নজর রাখেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করতে বেশ ভালো পরিমান টাকা ব্যয় করতে হয়।
  8. আর সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আপনি দেখতে পারবেন যে, ব্লুটুথ দামের দিক থেকেও অনেক সস্তা। 
  9. Bluetooth অনেক দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে ৷ কারণ, এর ডাটা ট্রান্সফার রেট 1MB পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার করা Bluetooth network এর মধ্যে যে যে বৈশিষ্ট্য গুলো বিদ্যমান আছে।

আমি তার সবগুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি সেই সবগুলো বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। 

Bluetooth এর সুবিধা – (Advantages of Bluetooth)

আমাদের প্রত্যেকের ফোনে থাকা ব্লুটুথ এর মধ্যে কি কি সুবিধা বিদ্যমান আছে। তা আমাদের সবার ই জানা আছে।

তবে আর্টিকেল লেখার সুবিধার্থে আমি পুনরায় Advantage Of Bluetooth নিয়ে আরও একটু আলোচনা করবো।

তো চলুন এবার ব্লুটুথ এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক৷ 

  1. যেহুতু এটি একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক, সেজন্য ব্লুটুথ ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোনো প্রকার তার ব্যবহার করার দরকার হবে না।
  2. আপনি তার ছাড়াই একটি ডিভাইস কে অন্য আরেক টি ডিভাইস এর সাথে কানেক্ট করতে পারবেন। 
  3. কোনো একটি ডিভাইস কে পরিচালনা করার জন্য অনেক Power এর দরকার হয়।
  4. কিন্তুু আপনি যদি Bluetooth ব্যবহার করেন। তাহলে খুব বেশি পাওয়ার এর দরকার হবে না। তাই আপনার ফোন এর ব্যাটারি লাইফ অনেক সুরক্ষিত থাকবে। 
  5. Bluetooth নামক এই Wireless Technologie এর মাধ্যমে আপনি দেয়ালের একপাশে একটি মোবাইল রেখে দেয়ালের অপর প্রান্তে থাকা মোবাইলের মধ্যেও কোনো বাধা ছাড়াই কানেক্ট করতে পারবেন। 
  6. আপনি চাইলে আপনার কানেকশন কে আরো বেশি ডেভলপ করার মাধ্যমে Bluetooth Connection এর Range কে কিছুটা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। 
  7. এই কানেকশন নেটওয়ার্কে আপনি পুরো সিকিউরিটির সাথে যেকোনো ধরনের ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবেন। 
  8. আজকের দিনে যেসব Bluetooth Version আছে। সেগুলোর সাহায্য আপনি মাউস, কিবোর্ড, হেডফোন ইত্যাদিকে কানেক্টেড করে নিতে পারবেন। 
  9. যদি আপনি ল্যাপটপ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার সেই ল্যাপটপে যদি ব্লুটুথ না থাকে। তবে আপনি Bluetooth Adepter লাগিয়ে এর সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন। 
  10. বর্তমান সময়ে থাকা Bluetooth Version গুলোর মাধ্যমে এখন অনেক দ্রুততার সাথে বড় বড় ফাইল কে অন্য একটি ডিভাইস এর সাথে শেয়ার করা যায়। 

তো আপনি যদি ব্লুটুথ ব্যবহার করেন তাহলে যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি Advantage of Bluetooth সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। 

ব্লুটুথ কি নিয়ে আমাদের শেষকথা 

ব্লুটুথ কি – আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কেননা, আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি Bluetooth এর যাবতীয় বিষয় কে নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করেছি।

আমি বাংলাই প্রতিনিয়ত টেক লেখা লেখি করে আমার ব্লগে শেয়ার করি। এছাড়াও কিবাবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়।

এই নিয়ে আমার ব্লগে অনেক লেখা শেয়ার করা আছে। আপনি চাইলে অনলাইন ইনকাম ক্যাটাগরি থেকে দেখে নিতে পারেন।

আর এমন সব অজানা বিষয় সহজভাবে জানতে হলে Bangla it blog এর সাথে থাকবেন ৷ ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top