এফিলিয়েট মার্কেটিং কি | এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি (What is Affiliate marketing in bengali) এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে মূলত একটি প্রসেস যার মাধ্যমে সহজেই যেকোনো প্রোডাক্ট কে বিশ্বের যে কারোর কাছে পৌছে দেওয়া যায়।

তবে এটি এখন আর শুধুমাত্র পণ্য তৈরি এবং প্রমোশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল এই যুগে মার্কেটিং এখন নিজেদের উপস্থাপন এর একটি উপযুক্ত জায়গাও বটে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি | এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

তাই আজকে আমি আলোচনা করব, এফিলিয়েট মার্কেটিং মানে কি, এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব এবংএফিলিয়েট মার্কেটিং এ যারা কাজ করে তাদের কি বলে?

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পূর্ণাঙ গাইডলাইন  নিয়ে জানতে পারবেন। যার ফলে নতুনরা ভোগান্তি ছাড়াই  এই প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেলেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।

আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি বা কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন বিস্তারিত গাইড লাইন প্রদান করা হয়েছে (Affiliate marketing Bangla tutorial).

Affiliate marketing কি জানার পাশাপাশি আপনি আরোও জানতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার কেন ভালো তার সাথে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা টাকা আয় করা যায়

কি কি জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে?

এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলা ইনফোগ্রাফিক
এফিলিয়েট মার্কেটিং ইনফোগ্রাফিক বাংলা

এফিলিয়েট অর্থ কি

অ্যাফিলিয়েট হল একজন ব্যক্তি বা ব্যবসা যা অন্য কারও পণ্য বিক্রি করে কমিশন উপার্জন করে।  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সাধারণত একটি লিঙ্ক বা কোড ব্যবহার করে অন্যদের পণ্য পরিচালিত করে।

যখন একজন গ্রাহক সেই লিঙ্ক বা কোড ব্যবহার করে একটি ক্রয় করে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে একটি কমিশন দেওয়া হয়।

এবার চলুন জেনে নেয় এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে এবং তার সাথে জড়িত সকল আদ্যপদ্য

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি | What is Affiliate marketing

বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সকলের হাতেই একটি করে মুঠোফোন রয়েছে। এই প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে সকলেই তাদের চাহিদার বস্তু খুজতে একটিবার হলেও অনলাইনে উকিঁ মারেই।

আর এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ই-কমার্সের পদযাত্রা। সেই লক্ষ্য পূরণ এর উদ্দেশ্যেই বেড়েছে  নিজেদের পণ্য সকলের কাছে পৌছে দেয়ার এক হার না মানা প্রতিযোগিতা।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আপনি যখন তাদের এই পণ্য কারোর  কাছে বিক্রি করতে সফল হবেন তখন ঐ পণ্যের মূল্যের কিছু অংশ শতকরা হিসেবে কমিশন আকারে দেয়া হবে।

অনলাইন বাজারে এটাকেই বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। আরোও সহজ ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করছি।

মনে করুন আপনার  বন্ধুর একটি ল্যাপটপ এর দোকান আছে। কিন্ত সেই দোকান এ খুব একটা বিক্রি হয় নাহ।

এই দেখে আপনি তাকে বললেন, বন্ধু আমি ১০ টা ল্যাপটপ বিক্রি করে দিতে পারব কিন্তু বিনিময়ে ঐ বিক্রিত মূল্যের  কিছুটা অংশ দিতে হবে।

ফলে এই দিকে বন্ধুর ও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে আর আপনিও কিছু আয় করে নিলেন। কি মজার ব্যাপার তাই নাহ?

এই ভাবেই অন্যের পণ্য বিক্রি করে সেই লভ্যাংশ থেকে কিছুটা প্রফিট কমিশন আকারে নেয়ার উদ্দ্যেশ্যেই এফিলিয়েট মার্কেটিং। মানে প্রোডাক্ট অন্যের, আপনি কেবল ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারী।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমানে অনলাইনে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম বাংলাদেশের হাজার হাজার বেকার তরুন ভাই ও বোনেরা এফিলিয়েটের মাধ্যমে নিজেদের কে সহজেই স্বাবলম্বী করে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

তাই আপনিও যদি অনলাইনে আয়ের চেষ্টা করেন তাহলে আমি পরামর্শ দিব আজই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিন।

এর সাথে আপনি Affiliate marketing এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়েও জানতে পারবেন।

এফিলিয়েটের মাধ্যমে কত টাকা  আয় করা যাবে?

 আপনি যদি মনে করেন এফিলিয়েট মার্কেটিং মানেই টাকার খনি তাহলে ভূল ভাবছেন। অনলাইন হচ্ছে এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে প্রচুর শ্রম ও মেধার সমন্বয় ব্যতীত সফলতা পাওয়া দুষ্কর।
তাই প্রথমেই হাজার হাজার ডলার আয়ের ভূত মাথা থেকে ঝাড়তে হবে। তবে নিরলস ভাবে লেগে থাকলে সফলতা আসতে বাধ্য। সে জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায়, যথেষ্ট জ্ঞান ও এর সঠিক প্রয়োগ।
 আপনি আরোও দেখুন…
প্রচুর সময় দিতে হবে। একদম প্রথম থেকে শুরু করলে হার মানা যাবে নাহ। তারপর তিন চার মাস পর আয়ের আশা করাই যায়। তবে এক্ষেত্রে এসইও গুরুত্ববহন করবে।
আপনি যদি কম সময়ে  আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের প্রথম পেইজে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আয়ের  পরিমাণ অবশ্যই বাড়বে।
তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও কিছু সেল জেনারেট করে কীভাবে আয় দ্বীগুন করবেন তাও পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মনে রাখবেন অনলাইনে আয়ের বিষয় অনেকগুলো ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে।তাই প্রথম মাসেই কাংখিত আয়  করতে নাহ পেরে নাক ছিটকে সরে পড়লে এফিলিয়েট আপনার জন্য না।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কী কী লাগে ?

উপরের বিস্তারিত আলোচনার  পর নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন।
আপনি কি পারবেন এই সেক্টর এ ভালো কিছু করতে?
যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে পরবর্তী নির্দেশনা গুলো অবশ্যই পড়বেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?
প্রথমেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চাইলে যে সকল ধাপ গুলো আপনাকে ফলোও করতে হবে তা হলো:
  • ১.সঠিক প্লাটফর্ম নির্বাচন।
  • ২.নিশ/বিষয়বস্তু খুজে বের করা।
  • ৩.পরিকল্পনা তৈরি করা।
  • ৪.কোন এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি লাভজনক তা জানা।
  • ৫.ভালো কন্টেন্ট তৈরি
  • ৬.আপনার এফিলিয়েট সাইট টি সকলের কাছে পৌছে দেয়া
  • ৭.কাংক্ষিত লক্ষ্য অর্জন।

১.সঠিক প্লাটফর্ম নির্বাচন

সত্যি বলতে এফিলিয়েট শুরু করা বর্তমান এ খুবই সহজ এবং কোনোরকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই এই প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া যায়।
আপনি হয়তো ভাবছেন, এখনো আপনি এই ব্যাপারে কিছু জানেনই নাহ তাহলে কীভাবে শুরু করবেন!
অথবা আপনি কোথাও প্রশিক্ষণ নেয়ার কথা ভাবছেন।
কিন্তু আমি তোহ আগেই বলে ফেলেছিআপন কোনো রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনি এফিলিয়েট করতে পারবেন। তাহলে এবার?  আমরা সবাই বর্তমানে ইউটিউব এবং গুগল কে চিনি।
এই দুইটা এমন একটি অসাধারণ প্লাটফর্ম যেখানে আপনি সহজেই যেকোনো টিউটোরিয়াল ফ্রিতেই খুজে পাবেন।
এছাড়া ইউডেমী থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং রিলেটেড ফ্রী কোর্সগুলোও ডাউনলোড করে শিখে নিতে পারেন। এদের প্রতিটা কোর্স  মানসম্মত  এবং হেল্পফুল।

২. নিশ সিলেকশন করা

প্রথমেই আসুন জেনে নেই নিশ কি? বা নিশ জিনিস টা কি নিশ হচ্ছে  একটি স্পেসিফিক বিষয়বস্তু।
এ বিষয়বস্তু টিকে কেন্দ্র করেই আপনার যাবতীয় কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। তাই অবশ্যই আগে নিশ সিলেকশন এমনভাবে করতে হবে যা,
  • লাভজনক।
  • লো কম্পিটেটিভ।
  • যে বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্ব ধারণা আছে।
যেমন আপনার স্মার্টফোন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে। তাহলে স্মার্টফোন ই হবে আপনার নিশ।তারপর এই নিশ কে কেন্দ্র করে আপনার ব্যবসার পরিকল্পনা সাজাতে হবে। তবে আবারো বলছি এমন নিশ সিলেক্ট করুন যা লো কম্পিটেটিভ।
তারপরও যদি নিশ সিলেকশন এ সমস্যা হয় অথবা আপনি বুঝে উঠতে পারছেন নাহ কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত নিশ তাহলে Amazon এর সাহায্য নিতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটে হাজারো নিশ আইডিয়া রয়েছে  এবং আপনি এই সাইটের মাধ্যমে  কোন প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি, কীভাবে প্রোডাক্ট প্ল্যানিং করতে হয় ইত্যাদি বিভিন্ন আইডিয়া ফ্রীতেই পেয়ে যাবেন।
আবার এমন কোনো প্রোডাক্ট সিলেক্ট করিয়েন নাহ যার সম্পর্কে আপনার মোটেও  ধারনা নেই। এতে করে এফিলিয়েট শুরুর আগেই আপনি ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলবেন।

৩.পরিকল্পনা তৈরি করা

আশা করছি আপনি ইতোমধ্যে নিশ নির্বাচনে সফল হয়েছেন। এবার আপনাকে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে কীভাবে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সকলের কাছে পৌছে দিতে পারবেন এবং কীভাবে আপনার ব্যবসাকে একটি লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবেন।
মূলত পরিকল্পনা ব্যতীত সফলতা পাওয়া দুষ্কর। আর অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ছাড়া ঘুরপাক খেতেই থাকবেন, অর্থাৎ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

কোন এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি লাভজনক?

পরিকল্পনা তৈরির পরবর্তী ধাপটি হচ্ছে কোন এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি আপনার জন্য লাভদায়ক তা খুজে বের করা।
নিম্নোক্ত তিনটি ধাপের মাধ্যমে খুব সহজেই বেস্ট প্রোগ্রামটি নির্বাচন করতে পারবেন।ধাপসমূহ হলো:

১.অধিক কমিশন কিন্তু কম চাহিদা

এই ধরণের প্রোগ্রামগুলো খুবি লাভজনক। যদি আপনি এফিলিয়েট এ নতুন তাহলে স্বভাবত চেষ্টা করবেন  যেন এফিলিয়েট এর মাধ্যমে অধিক লাভ করা যায়।
আর এক্ষেত্রে কম চাহিদার কিন্তু বেশী কমিশনের প্রোডাক্ট নির্বাচন অথিক সহায়ক।

২.স্বল্প কমিশন কিন্ত অধিক চাহিদা

কিছু পণ্য রয়েছে যেগুলোর চাহিদা বেশী কিন্তু দামে সস্তা।আর যেহেতু পণ্যের মূল্য অনুযায়ী আপনাকে কমিশন প্রদান করা হবে তাই পণ্য কতোটা মূল্যবান তাও লক্ষ্যনীয়।
যেমন: কলম একটি ৫ টাকা দামের কলমের মূল্য কম হলেও,পেন্সিল এর তুলনায় কলমের চাহিদা বেশি। তবে প্রোডাক্ট নির্বাচনে কম মূল্যের চাহিদা সম্পন্ন পণ্যগুলোকে ফেলে দেওয়া অথবা টার্গেট নাহ করা ঠিক হবে না।
এইসব প্রোডাক্ট গুলো ও তুলনামূলক ভাবে লাভজনক যদি আপনি আপনার প্রোডাক্টের মাধ্যমে ক্রেতা কে সন্তুষ্ট করতে পারেন।
আরো পড়ুন…

৩.অধিক কমিশন ও অধিক চাহিদা

বুঝতেই পারছেন নিশ্চয় এই ধরণের প্রোগ্রাম গুলোতে পণ্যের চাহিদা যেমন অধিক তেমনি অনেক বেশি কমিশন ও পাওয়া যায়।
তবে কথা হচ্ছে এইরকম প্রোডাক্ট আপনি কীভাবে পাবেন? এর জন্য আপনাকে জানতে হবে এসইও এবং পর্যাপ্ত রিসার্চ এর মাধ্যমে খুজে বের করতে হবে।

এই যে আমি এতো কিছু বলছি  সবই কিন্তু শুধুমাত্র আপনাকে বিশদভাবে বুঝানোর লক্ষ্যে। এতোক্ষণ আমি জাস্ট  ধাপগুলো বর্ণণা করলাম কীভাবে আপনি লাভজনক হতে পারবেন।

কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় ?

কোন এফিলিয়েট  প্রোগ্রামটি সেরা? এবার আপনাকে জানাব কোন এফিলিয়েট  প্রোগ্রামটি সেরা এবং কাদের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।

বর্তমানে অনলাইন নির্ভর বিশ্বে অসংখ্য মানুষ তাদের ব্যবসা ইন্টারনেট মুখি করতে ব্যস্ত। কারণ অনলাইনে খুব সহজেই আপনি টার্গেটেড কাস্টমার পেতে পারেন।

এবং কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক স্টোর ছাড়াই যেকোনো পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। তবে একই পণ্যের অথিক যোগান দাতা থাকায় উদ্যোগতাদের বাধ্য হয়েই অধিক লাভের আশায় এফলিয়েট মার্কেটারদের দ্বারস্থ হতে হয়।

চলুন এবার কিছু জনপ্রিয় এফলিয়েট সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।

Amazon এফিলিয়েট মার্কেটিং

প্রথমেই যেই প্রোগ্রামটির নাম  নিতে হয় সেটি হলো এমাজন। প্রায় সকলেই নিশ্চয় এমাজন এর নাম একবার হলেও শুনেছেন।
কারণ বছরের পর বছর এমাজন নিজের আধিপত্য বিস্তার করেই চলছে। এর মূল কারণ হচ্ছে Amazon এর বিগিনার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস।
প্রায় অধিকাংশ এফিলিয়েটর এমাজনের মাধ্যমে নিজেদের এফিলিয়েট যাত্রা শুরু করে।এদের সংগ্রহে প্রচুর প্রোডাক্ট রয়েছে।
মোট কথা এমন কোনো পণ্য নেই যা এমাজন এ আপনি পাবেন নাহ। তাই আপনি ও চাইলে এমাজন দিয়েই শুরু করতে পারেন।

eBay এফিলিয়েট মার্কেটিং

এই প্রতিষ্ঠান্টির চেয়ারম্যান হচ্ছে থমাস জে  এবং প্রধান নির্বাহী পদে রয়েছেন ডেভিন উইংEbay আমেরিকান একটি মাল্টিন্যাশনাল  কর্পোরেশন।
বিশ্বের প্রতিটা দেশের এফিলিয়েটর রা ই-বে এর  সাথে মার্কেটিং করে নিজেদের আয়ের পথ সুগম করছে। আর যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারা কম বেশি ই-বে এর নাম শুনেছেন।

ShareAsale ফিলিয়েট মার্কেটিং

ShareAsale  হচ্ছে বিশ্বের টপ কমিশন দেওয়া এফিলিয়েট সাইট গুলোর মধ্যে একটি। শুধু মাত্র এফিলিয়েট ছাড়া আরও বেশ কিছু উপায়ে ShareAsale থেকে আয় করা সম্ভব।
এফলিয়েট মার্কেটারদের জন্য একটি সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে মেট্রিক ব্যবহার করে সহজেই লাভজনক প্রোডাক্ট খুজে বের করে নেয়া যায়।
এবং মাত্র $৫ ডলার হলেই টাকা উইথড্র করা যায়। ShareAsale এ একাউন্ট খুলা ও সহজ। তা একবার উকি মেরে দেখে আসতেই পারেন।

CJ Affiliate মার্কেটিং

এমাজনের মতোই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি এফিলিয়েট সাইট CJ Affiliate। এই জনপ্রিয় প্লাটফর্ম টির সাথে যুক্ত হতে হলে প্রথমেই সাইন আপ করে নিতে হবে।

অন্যান্য সাইটের মতোই আপনার সেম পদ্ধতি।

  • কান্ট্রি ডিটেইলস
  • ফোন নাম্বার
  • পাসওয়ার্ড
  • কোম্পানি নেইম
  • বর্তমান ঠিকানা
  • ওয়েবসাইটের নাম ও ডেস্ক্রিপশন
  • ক্যাটাগরি
ইত্যাদি তথ্য দিয়ে শুরু করে দিন আপনার মার্কেটিং। তবে CJ Affiliate  বিগিনার ফ্রেন্ডলি নাহ।তাই ফ্রেশারদের জন্য একটু সমস্যা হতে কেটিং।

click bank এফিলিয়েট মার্কেটিং

এদের এভারেজ কমিশন রেট প্রায় ৭৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে যা নি:সন্দেহে অনেক বেশি।
সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে কোনো রকম ওয়েবসাইট ছাড়াই Clickbank এর মাধ্যমে এফিলিয়েট শুরু করা যায়।
শুধুমাত্র পার্সোনাল ডিটেইলস, ব্যাংক এবং একাউন্ট ইনফরমেশন দিয়ে সহজে  একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। তাই যারা ওয়েবসাইট নিয়ে চিন্তিত আছেন তাদেরকে আমি Clickbank ব্যবহার করার পরামর্শ দিব।
এছাড়া আরোও কিছু এফিলিয়েট সাইট রয়েছে। তবে উল্লেখিত গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি দিয়েই আপনার মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করা উচিত।
মনে রাখবেন অভিজ্ঞতা আপনাকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তাই প্রথমেই সব থেকে বেস্ট নাহ খুজে যেকোনো একটির মাধ্যমে শুরু করুন তারপর ধীরেধীরে অন্য সাইটে মুভ করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ভালো কন্টেন্ট তৈরি করা

যদি আপনি এফিলিয়েট এ সাক্সেসফুল হতে চান তাহলে ভালো এবং কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর কোনো বিকল্প নেই।
অনেক গুলো আজে-বাজে কন্টেন্ট এর তুলনায় মাত্র কয়েকটি কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর মাধ্যমে অধিক সেল পাওয়া সম্ভব।
মার্কেটিং এর ভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘Quality content is the king ‘.মূলত কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আপনার সাইটের ভিজিটর রা প্রোডাক্ট কিনতে আরোও বেশি আকৃষ্ট হবে।
তাই কন্টেন্টের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে এবং ভিসিটরেরা যাতে সহজেই বোঝতে পারে আপনি কি বোঝাইতেছেন।

কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে যেসকল বিষয় গুরুত্ব দেওয়া উচিত

আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় না। মুখে যা আসে তাই লেখালেখি করে।
আসলে কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রেখে একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট রাইটিং করতে হয়।
কিভাবে একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য।  তার কিছু কৌশল বা পয়েন্ট তুলে ধরা হলো সংক্ষিপ্ত করে।
সেগুলো ফলো করলে অবশ্যই আপনার কিছুটা কনটেন্ট রাইটিং এর প্রতি দক্ষতা কাজ করবে।
  • মোটেও কন্টেন্ট কারোও থেকে কপি করা যাবে নাহ।
  • চচেষ্টা করুন প্রোডাক্টের সকল তথ্য উপস্থাপন করতে।
  • ভূল তথ্য দিয়ে ইউজারকে বিভ্রান্ত করা যাবে নাহ।
  • সঠিকভাবে কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
  • অবশ্যই আকর্ষণীয় ইমেজ ব্যবহার করবেন,যেন সহজেই আকৃষ্ট হয়।
  • কন্টেন্ট এ প্রোডাক্ট রিভিউ গুলো হাইলাইট  করতে ভূলবেন নাহ
  • শুধুমাত্র প্রোডাক্ট বিক্রিই যেন উদ্দেশ্য নাহ হয়,কিছু ইনফরমেশন তুলে ধরুন।

কীভাবে সেল বাড়াবেন?

শুধুমাত্র কন্টেন্ট তৈরী হয়ে গেলেই প্রোডাক্ট বিক্রির আশা করা বোকামো। এর জন্য প্রয়োজন আপনার এফিলিয়েট লিংক গুলো সঠিক জায়গায় প্লেসমেন্ট করা।
যেমন ধরুন, আপনার এফিলিয়েট লিংক গুলো কন্টেন্ট এর একেবারে শেষে প্লেসমেন্ট করা।
তাহলে ভাবুন কীভাবে লিংক এ কেউ ক্লিক করবে?লিংক এ তো ক্লিক পড়বেই নাহ বরং কেউ লিংক আছে যে সেইটা খেয়াল ও করবে নাহ।
তাই লিংক প্লেসমেন্ট এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভাবনা চিন্তা করে নিতে হবে।
নিজেকেই খুজে বের করে নিতে হবে কোথায় লিংক থাকায় বেশি ক্লিক পড়লো। এইভাবে প্লেসমেন্ট পরিবর্তন করে তফাৎ টাহ খুজে বের করতে হবে।

এফিলিয়েট সাইট সকলের কাছে পৌছে দেওয়ার উপায়

সর্বশেষ এ আপনাকে আপনার এফিলিয়েট সাইট টিকে সকলের কাছে তুলে ধরতে হবে। সেইজন্য মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কার্যকরী মার্কেটিং পদ্ধতি গুলো হল।
নিচের কিছু মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে খুব সহজে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাইট অনেক জনের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য সকল ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলো মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রমোশন চালাতে পারবেন।

১.পিপিসি এর মাধ্যমে

পিপিসি এর ফুল ফর্ম হচ্ছে পে পার ক্লিক মানে এডের মাধ্যমে মার্কেটিং করলে কতোটা /কতোজন ঐ এডে ক্লিক করে তার উপরি নির্ভর করে সফলতা।

অধিকাংশ এফিলিয়েটর পিপিসি এর মাধ্যমে সেলস জেনারেট করে Taboola হচ্ছে এই ধরণের একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।

এর মাধ্যমে সহজেই পিপিসি ক্যাম্পেইন পরিচালনা সম্ভব।

২.সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে

নিজেদের প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য সোশ্যা মিডিয়া ব্যবহার করেন নাহ এমন মার্কেটার একটাও খুজে পাওয়া যাবে না।
মার্কেটিং মানেই সোশ্যাল মিডিয়ার জয়জয়কার। কিছু জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে প্রথমেই যে নামটি সকলের মাথায় আসে তা হলো ফেইসবুক।
বিশ্বের সকল প্রান্তেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে, ফেইসবুক বিজনেস পেইজের মাধ্যমে অথবা এডভার্টাইজমেন্টের সাহায্যে সহজেই  কাস্টমার খুজে পাওয়া যায়।
তাছাড়া টুইটার, ইন্সটাগ্রাম,পিন্টারেস্ট, ইউটিউব ইত্যাদি অসংখ্য প্লাটফর্ম রয়েছে। এইসব নেটওয়ার্কিং সাইটে ফ্রীতেই প্রোডাক্টের মার্কেটিং শুরু করে দিন।

৩.এস.ই.ও এর মাধ্যমে

এসইও হচ্ছে  সেল জেনারেট করার অন্যতম হাতিয়ার। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬৩,০০০ টা সার্চ হয় গুগলে। প্রায় ৪.৩৯ বিলিয়ন ইউজার রয়েছে গুগলের।
এইসব ইউজারের কিছুটা অংশ যদি আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারেন তাহলেও হিউজ পরিমাণ প্রোডাক্ট বিক্রি সম্ভব।
অধিকাংশ সার্চকারীই গুগল এর প্রথম পেজেই নিজেদের প্রশ্নের উত্তর খুজে পেতে আগ্রহী। সুতরাং ফার্স্ট পেইজে  আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংক করাতে পারলে প্রোডাক্ট বুস্ট করা কোনো ব্যাপার ই নাহ।
আর এই জন্যই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন অধিক গুরুত্ব বহন করে। বলা বাহুল্য শুধুমাত্র এসইও করেই এফিলিয়েট ফিল্ডে সফলতা বয়ে আনা সম্ভব।

৪.ই-মেইল এর মাধ্যমে

ই-মেইল মার্কেটিং সফলতার আরেক চাবিকাঠি। এর মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড কাস্টমার কে পুনরায় সাইটে নিয়ে আসা সম্ভব। সেক্ষেত্রে গিভওয়ে, কুপন কোড, ডিস্কাউন্ট ইত্যাদি কৌশল অবলম্বন করা হয়।
আপনি চাইলে পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের প্রমোশন কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। এবার চলুন জেনে আসি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?

Affiliate marketing এর সুবিধা ও অসুবিধা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি অনলাইন মার্কেটিং মডেল যেখানে একজন ব্যক্তি বা ব্যবসা অন্য কারও পণ্য বা সেবা বিক্রি করে কমিশন উপার্জন করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সাধারণত একটি লিঙ্ক বা কোড ব্যবহার করে অন্যদের পণ্য বা Service গুলিতে পরিচালিত করে।

যখন একজন গ্রাহক সেই লিঙ্ক বা কোড ব্যবহার করে একটি ক্রয় করে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে একটি কমিশন দেওয়া হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

  • কম খরচে শুরু করা যায়: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কোন প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সাধারণত শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দিয়ে শুরু করতে পারে।
  • কোন প্রোডাক্ট বা Service বিক্রির প্রয়োজন হয় না: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের অন্য কারও পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে হয়। এর মানে হল যে তাদের নিজের পণ্য বা Service তৈরি বা কেনার প্রয়োজন নেই।
  • বিভিন্ন পণ্য এবং Service পেতে যোগ্য: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা বিভিন্ন ধরণের পণ্য এবং Service গুলির জন্য কমিশন উপার্জন করতে পারে।
  • উচ্চ কমিশন হার: কিছু ক্ষেত্রে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের বিক্রির উপর 50% বা তার বেশি কমিশন উপার্জন করতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা

  • প্রতিযোগিতা তীব্র: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হয়ে উঠেছে, যার অর্থ প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হতে পারে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের তাদের প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা হতে হবে যাতে তারা সফল হতে পারে।
  • পরিবর্তনশীল আয়: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের আয় পরিবর্তনশীল হতে পারে। এটি পণ্যের চাহিদা, মার্কেটিং প্রচেষ্টার কার্যকারিতা এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে।
  • ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন হতে পারে: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের ক্রেতাদের বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন হতে পারে। এটির কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা প্রায়ই অন্য কারও পণ্য বা Service বিক্রি করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি লাভজনক ব্যবসায়িক মডেল হতে পারে যা আপনাকে আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি পণ্য বা Service বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করার উপায় করে দেয়।

তবে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে, সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কিভাবে কাংক্ষিত লক্ষ্য অর্জন যায়?

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রচুর পরিমানের মার্কেটিং করতে হবে। অর্থাৎ আপনার ওয়েব সাইট অথবা ব্লগ এমনভাবে সাজাতে হবে।

যাতে করে ভিজিটররা খুব সহজে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো আইডিয়া পেয়ে যায় এবং প্রোডাক্ট কিনতে উৎসাহিত হয়।

সব সময় চেষ্টা করবেন এবং ভিজিটররা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে এ ক্লিয়ার আইডিয়া জেনারেট করতে পারে।

আরো পড়ুন…

এফিলিয়েট মার্কেটিং এ নতুনরা যেসব ভুল করে

নতুন মার্কেটাররা প্রথমেই যেই ভুল টি করে তা হলো বেশী প্রফিট লাভের আশায় কন্টেন্ট এর মধ্যে ইনফো দিতে আলসেমি করে অথবা দেয় নাহ  যা মোটেও ঠিক না।
এইটা ব্র‍্যান্ড এর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ফলে দেখা যায় সাইটের ভিজিটর কমে যায়। তাই এই ভুল করা যাবে না। অবশ্যই সঠিক ইনফো দিতে হবে।
তাছাড়া সাইটের স্পিড নিয়ে অধিক জ্ঞান না থাকায় ব্যাপারটা ইগ্নোর করে।অথচ সাইটের স্পিড র‍্যাংকিং এ অনেক বেশী প্রভাব বিস্তার করে। তাই আমি নতুনদের বলব কঠোর পরিশ্রম করুন।
উল্লেখিত বিষয় গুলো নজরদারিতে রাখবেন।

কয়েকজন  সফল এফিলিয়েট মার্কেটারের নাম

এফিলিয়েট মার্কেটিং জগতে বেশ কয়েকজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটার আছেন। এখানে কয়েকজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নাম রয়েছে:

  • Pat flynn: “Smart Passive Income” নামের ওয়েবসাইট এবং পডকাস্টের উদ্দেশ্যে সফল এফিলিয়েট মার্কেটার। ২০০৮ সালে তার এফিলিয়েট এর মাধ্যমে আয় ছিলো  $৮০০০ ডলার যা পরবর্তীতে বেড়ে হয় $৫০,০০০ (২০১৩ সালে)
  • Finch sells: ফিঞ্চ সবথেকে কনিষ্ঠ এফিলিয়েটর দের মধ্যে একজন যে অল্প বয়সেই সাফল্য লাভ করে।
  • Missy ward: সফল নারী এফিলিয়েট দের মধ্যে একজন।শুরুটা এফিলিয়েট দিয়ে হলেও বর্তমান এ অনেক অনলাইন এক্টিভিটির সাথে জড়িত।

এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছেন। তারা তাদের দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সফল হয়েছেন এবং তাদের আগ্রহ এবং চাহিদাগুলি বুঝতে পেরেছেন।

তারা একটি কার্যকর মার্কেটিং কৌশল বিকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন যা তাদের বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর গুরুত্ব

ডিজিটাল মার্কেটিং এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি কার্যকর উপায় যা ব্যবসাগুলি তাদের পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং দুটি জনপ্রিয় মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি মার্কেটিং প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিম্নলিখিত সাথে সম্পর্কিত:

  1. বিপুল মার্কেটিং সম্ভাবনা থাকে : ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পৃক্ষ্যে দুটি বিশাল মার্কেটিং সম্ভাবনা উপস্থাপন করে, যেগুলি আপনার প্রোডাক্ট বেচার এর কাজে সহায়ক হতে পারে।
  2. কমিশন বা উপার্জন : এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেগুলি প্রোডাক্ট প্রচার করে, তাদের প্রতিপার্টি কমিশন প্রদান করে। এটি ডিজিটাল মার্কেটারদের আরও উপার্জনের সুযোগ প্রদান করতে সাহায্য করে।
  3. মার্কেটিং দক্ষতা এবং পর্যাপ্ত অবধি: ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী মার্কেটিং সম্প্রেষণের উপায় হতে পারে, যেটি তাদের সাথে একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা পর্যাপ্ত অবধি থাকতে সাহায্য করতে পারে।
  4. ডাটা এবং স্থিতি মনিটরিং: এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনাকে উপার্জনের উপর সাবেকভাবে মনিটরিং এবং ডাটা এনালাইসিস করতে সাহায্য করে, এটি আপনার ক্যাম্পেইনের সাফল্য বা অসফলতার সাথে সম্পৃক্ষত তথ্য উপস্থাপন করে।
  5. ব্র্যান্ড বৃদ্ধি এবং সামর্থ্য: ডিজিটাল মার্কেটারদের দ্বারা প্রচারিত প্রোডাক্ট বা সেবা এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি সাথে সামর্থ্য তৈরি হতে পারে, যা দুটি পক্ষের সাথে সুবিধা হতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসাগুলিকে তাদের বিক্রয় বৃদ্ধি, তাদের দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং তাদের বিপণন প্রচেষ্টার কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পার্সেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কমিশনের পরিমাণ সাধারণত 5% থেকে 30% এর মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি বা কম হতে পারে।

কমিশনের পরিমাণ নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর, যার মধ্যে রয়েছে:

  • প্রোডাক্ট মূল্য
  • প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের অভিজ্ঞতা
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের প্রচারমূলক কৌশল

কিছু ক্ষেত্রে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিক্রয়ের পরে একটি বোনাসও পেতে পারে।

সাধারণত, নিম্নলিখিত ধরনের কমিশন দেওয়া হয়:

ফিক্সড কমিশন: এই ধরনের কমিশনে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পায়।

উদাহরণস্বরূপ, একটি বইয়ের জন্য 100 টাকার ফিক্সড কমিশন থাকলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রতিটি বিক্রির জন্য 100 টাকা পাবে।

প্রদত্ত কমিশন: এই ধরনের কমিশনে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য পণ্যের মূল্যের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ পায়।

উদাহরণস্বরূপ, একটি বইয়ের জন্য 20% প্রদত্ত কমিশন থাকলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রতিটি বিক্রির জন্য 20 টাকা পাবে।

স্তরভিত্তিক কমিশন: এই ধরনের কমিশনে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিক্রির সংখ্যা বা পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন হারে কমিশন পায়।

উদাহরণস্বরূপ, একটি বইয়ের জন্য প্রথম 100 বিক্রির জন্য 20% কমিশন, পরবর্তী 100 বিক্রির জন্য 15% কমিশন এবং তারপর থেকে 10% কমিশন থাকতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য একটি ভালো কমিশন রেট খুঁজে পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে, শুধু কমিশন রেটই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি অনলাইন বিক্রয় করার কৌশল যেখানে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার অন্য কারো প্রচার করে এবং বিক্রি হলে কমিশন পায়।

আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতে হবে:

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে হবে।
  • একটি সঠিক অনুমোদিত মার্কেট প্লেস বেছে নেওয়া।
  • আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্য প্রচারের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম বাছাই করা।
  • একটি কার্যকর প্রচার কৌশল তৈরি করা।
  • আপনার প্রচারগুলি ট্র্যাক করা এবং মূল্যায়ন করা। আপনার প্রচারাভিযানগুলি কীভাবে কাজ করছে তা পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজনে সেগুলি পরিবর্তন করুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, তবে এটি সফল হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা এবং ধৈর্য প্রয়োজন।

উপরের বিষয়গুলি সম্পর্কে জানলে আপনি একটি সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যাম্পেইন তৈরি করতে শুরু করতে পারেন।

Faqs

এফিলিয়েট মার্কেটিং মানে কি

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের একটি উদাহরণ হল একজন ব্লগার যিনি একটি ব্লগ পোস্টে একটি পণ্যের লিঙ্ক শেয়ার করেন। যদি একজন পাঠক সেই লিঙ্কটি ব্যবহার করে পণ্যটি কিনতে যায়, তাহলে ব্লগার একটি কমিশন পাবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদের কি বলে?

এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদেরকে এফিলিয়েট মার্কেটার বা পারফরম্যান্স মার্কেটার বলে। এফিলিয়েট মার্কেটাররা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে অংশীদারিত্ব করে তাদের পণ্য বা তাদের সার্ভিস বিক্রি করে।

টাকা ছাড়াই কি এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?

হ্যাঁ, টাকা ছাড়াই এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে। এছাড়াও, আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকতে হবে এবং আপনার প্রোডাক্ট প্রচার করতে হবে।

কিভাবে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো?

একটি আমাজন সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করুন। আপনার এফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলে একটি এফিলিয়েট লিঙ্ক পাবেন। আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য মাধ্যমে সেই লিঙ্কটি প্রচার করুন। কোনও ব্যক্তি আপনার লিঙ্কটিতে ক্লিক করে এবং সেই পণ্যটি ক্রয় করলে আপনি কমিশন পাবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো

আপনার নিজের কোন পণ্য না থেকেও এফিলিয়েট করে অধিক পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার কেন ভালো?

এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি ভালো ক্যারিয়ার হতে পারে কারণ এটি একটি লাভজনক, ঝামেলামুক্ত এবং স্কেলেযোগ্য ব্যবসায়িক মডেল। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে পারে।

এফিলিয়েট মার্কেটার হতে হলে কি প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হয়

না, এফিলিয়েট মার্কেটার হতে হলে প্রচুর ফলোয়ার থাকার দরকার নেই। তবে, ফলোয়ার থাকা আপনার প্রোডাক্ট প্রচার করা সহজ করে তুলতে পারে। যদি আপনার প্রচুর ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনার প্রচারগুলি আরও লোকেদের কাছে পৌঁছাবে এবং আপনার কমিশন আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।

কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় ?

বিশ্বের অনেক বড় কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট প্রচার করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম অফার করে। এই কোম্পানিগুলির মধ্যে রয়েছে: Amazon, Walmart, eBay, AliExpress, Flipkart, Shopee, Lazada, Wish, Shein.

অডিয়েন্স ছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?

অডিয়েন্স ছাড়াও আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার  প্রোডাক্ট গুলি প্রচার করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

এফিলিয়েট মার্কেটিং নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলার একটি যুগোপযোগী উপায়। তবে এর মাধ্যমে আয়ের আগে অনেক কিছু জানতে হবে এবং বুজতে হবে। প্রথমেই নিজের টার্গেট সেট করে নিতে হবে।
তারপর নিশ সিলেকশন এর পর যতোটুকু সম্ভব ওয়েবসাইটি কে আকর্ষণীয় এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি করে তুলতে হবে। যেহেতু ভালো কিছু পেতে হলে প্রচুর শ্রম দিতে হয় তাই চেষ্টা করা উচিত সঠিক ভাবে এবং সঠিক জায়গায় শ্রম দেওয়া।

4 thoughts on “এফিলিয়েট মার্কেটিং কি | এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায়”

  1. Christopher Young

    অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য। আপনার ব্লগটিতে এরম আর উৎকৃষ্ট মানের পোস্ট পাব এই আশা করলাম।

  2. ইফতেখার আহমেদ

    আসসালামু আলাইকুম,
    ভাই, আমার ইসলামী ব্যাংক এ একাউনট আছে , এটাতে আমি বিদেশি কোন কোন এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে বা ওয়েবসাইটে যোগদান করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ডলার আমার ব্যাংক
    একাউনট এ আনতে পারব ?

    আমি শুধু ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাই শুধু একটি .com ডোমেইন এর ওয়েবসাইট দিয়ে

    1. এক্ষেত্রে আপনাকে পেইনর এর কার্ড নিতে হবে কেননা সরাসরি সেল এর টাকা ব্যাংক এ আসবে না। তবে এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন সরা সরি ব্যাংক টাকা নিতে পারবেন কিনা । আপনি এফিলিয়েট সাইট এর হেল্প পেজ বা সাপোর্ট এর সাথে কথা বলেন। একেক সাইট এর একেক নিয়ম ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top