বিকাশ লোন : বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

বিকাশ থেকে লোন : আপনি হয়তবা বিকাশ থেকে লোন নেয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।

বিকাশ লোন : বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়
বিকাশ লোন : বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

যার কারনে আপনি গুগল এ গিয়ে সার্চ করেছেন যে, বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় গুলো কি কি ৷ তো আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত এই বিষয় নিয়েই বিস্তারিত লেখা হবে।

আজকে বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় গুলোর পাশাপাশি বিকাশ লোন এবং বিকাশ লোন ফরম নিয়ে প্রত্যেকটা বিষয় স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হবে।

এগুলো ছাড়াও এমন অনেক বিষয় আছে। যেগুলো সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। যেমনঃ

  1. বিকাশ থেকে কিভাবে লোন নিব
  2. BKash থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
  3. BKash লোন কিভাবে নিবো
  4. সিটি ব্যাংক বিকাশ ঋণ আবেদন অনলাইন
  5. বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক
  6. বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
  7. বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম
  8. ১০ হাজার টাকা Bkash লোন
  9. ই লোন বিকাশ 
  10. বিকাশ লোন ২০২২

তো আপনি যদি উপরের এই বিষয় গুলো সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ভাবে জানতে চান ৷ তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

তাহলে এই বিষয় গুলো নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না ৷ চলুন এবার সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক।

বিকাশ লোন কি?

Bkash লোন কি : আমরা সবাই জানি যে, আজকের দিনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা লেনদেন করার জন্য উপযুক্ত একটি মাধ্যম হলো BKash.

যার ফলে আপনি আপনার দুরবর্তী কোনো মানুষের নিকট খুব কম সময়ের মধ্যে টাকা পাঠাতে পারবেন। এবং আপনার প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন।

তো জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি নতুন একটি লোন দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। যাকে আমরা BKash লোন বলে থাকি। মূলত এই BKash Loan টি কিন্তুু বিকাশ এর মাধ্যমে দেওয়া হলেও।

এই লোনটি কিন্তুু সিটি ব্যাংক থেকে প্রদান করা হচ্ছে। অর্থ্যাৎ, City Bank এই লোন এর টাকা গুলো Bkash এর মাধ্যমে তাদের ইউজারদের দিচ্ছে। 

বিকাশে টাকা লোন নেওয়া যাবে কি?

আমরা সবাই জানি যে, আমাদের দেশের জীবনযাত্রা যতোই উন্নত হোক না কেন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনও দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থান করে আছে।

তাই আমাদের সবারই দৈনন্দিন জীবনে টাকার অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে ৷ তবে শুধু যে দরিদ্রতার কারনেই টাকার দরকার হয়।

বিষয়টা আসলে এমন নয়, বরং কারনে কিংবা অকারনে আমাদের সবার ই টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

যেমন, আমাদের মধ্যে যারা এখনও পড়াশোনা বা অন্যান্য কোনো ছোটোখাটো কাজ করছে। তাদেরও প্রতিনিয়ত টাকার দরকার হয়ে থাকে।

আর এর কারনে বিভিন্ন সময় আমাদের কে বিভিন্ন মানুষ এর নিকট টাকার জন্য হাত পাততে হয়। কিন্তুু এখন যদি আপনি সেই প্রয়োজন এর কিছু পরিমান টাকা Bkash Loan নেয়া যায়।

তাহলে কিন্তুু বিষয়টা সবার জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করবে।

কিন্তুু অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে যে, এই বিকাশ লোন কি সবাই নিতে পারবে ? -কেননা, টাকার অভাব তো সবার মধ্যেই বিরাজমান।

এবং আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচুর পরিমানে বিকাশ ব্যবহারকারী রয়েছে। তো এই সবগুলো মানুষ ই কি Bkash থেকে লোন নিতে পারবে? – চলুন এবার সে বিষয়ে একটু ধারনা নেয়া যাক।

শুরুতে একটা কথা বলবো। সেটি হলো, বিকাশ যে এই লোন পদ্ধতি চালু করেছে। সেটি এখনও পাইলট প্রকল্পের আওতার মধ্যে রয়েছে।

অর্থ্যাৎ, এখনও কিন্তুু এই বিকাশ লোন এর সুবিধা সব Bkash ব্যবহার কারীরা নিতে পারবে না। বরং এটিকে শুরু করার জন্য কিছু সংখ্যক মানুষ কে এই লোন দেয়া চালু করা হয়েছে।

তবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আরও বেশি পরিমান মানুষ কে এই লোন দেয়ার পরিমান বৃদ্ধি পাবে। এবং অদূর ভবিষ্যতে প্রায় সব ইউজার কে এই লোন নেয়ার সুবিধা দিয়ে থাকবে।

তবে এই লোন নিতে গেলেও আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এই আর্টিকেলে আমি সেই বিষয় গুলো কে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো। 

বিকাশ থেকে কিভাবে লোন নেওয়া যায়?

Bkash লোন নিতে গেলে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে ৷ সে বিষয়ে নাহয় একটু পরে আলোচনা করবো। তবে সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, আপনি আসলে কিভাবে বিকাশ থেকে লোন নিবেন।

কেননা, সবার আগে আপনার এই বিষয়টি জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

যদি আপনি বিকাশ লোন নিতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে কিছু স্টেপ অনুসরন করতে হবে। যেমনঃ

  1. মনে রাখবেন যদি আপনি বিকাশ লোন নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ফোন এর মধ্যে মূল Bkash App টি থাকতে হবে।
  2. যদি আপনার ফোনে বিকাশ অ্যাপস না থাকে ৷ তাহলে কিন্তুু আপনি বিকাশ লোন নিতে পারবেন না। 
  3. আর যাদের অনেক আগে থেকেই Bkash App টি ইনস্টল করা আছে। তারা অবশ্যই দেখে নিবেন যে, আপনার ফোনে যে বিকাশ অ্যাপস টি ইনস্টল করা আছে। সেটি আপডেট করা হয়েছে কিনা। 
  4. তো এবার আপনার প্রথম কাজ হলো, আপনার ফোন এর ইন্টারনেট কানেকশন চালু করা। 
  5. এরপর আপনাকে সরাসরি ঐ Bkash App টি অপেন করতে হবে। 
  6. যখন আপনি বিকাশ এপস চালু করবেন ৷ তখন আপনাকে আপনার গোপন পিন টি দিয়ে কন্টিনিউ করতে হবে। 
  7. এরপর আপনার Bkash অ্যাপস টি সম্পূর্ন লোড হওয়া পর্যন্ত কিছু সময় অপেক্ষা করবেন। 
  8. যখন বিকাশ অ্যাপস সম্পূর্ন লোড নিবে। তখন আপনি নিচে “লোন”- নামের আরও একটি অপশন দেখতে পারবেন। 
  9. মূলত আপনাকে এই ” লোন”- অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবং এই অপশনে ক্লিক করেই আপনার Bkash Loan নেয়ার কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

তো আপনি যদি উপরের সব গুলো স্টেপ অনুযায়ী কাজ করেন ৷ তাহলে আপনার বিকাশ লোন নেয়ার কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।

আশা করি আপনি উপরের সবগুলো স্টেপ সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর না বুঝে থাকলে অবশ্যই নিচে ছোট্ট করে একটা কমেন্ট করে জানাবেন। 

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার উপায়

তো এখন আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, সঠিক উপায়ে বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার উপায় গুলো কি কি। কেননা, আপনি যদি সঠিক উপায়ে বিকাশ লোন নেয়ার জন্য আবেদন করতে না পারেন ৷

তাহলে কিন্তুু আপনি কোনো ভাবে Bkash লোন নিতে পারবেন না। সেজন্য এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মনে করেছেন যে, কোনো প্রকার তথ্য যাচাই বাচাই ছাড়াই বিকাশ থেকে লোন নেয়া যাবে ৷

কিন্তুু যারা এ বিষয়টি কে এতোটা সহজ মনে করেছেন। তাদের ধারনা সম্পূর্ন ভুল। কেননা, আপনি যদি বিকাশ লোন নিতে চান ৷ তাহলেও কিন্তুু আপনাকে বেশ কিছু Info দেয়ার প্রয়োজন হবে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

তবে প্রশ্ন হলো যে, বিকাশে লোন নেয়ার জন্য কি কি ইনফরমেশন জমা দিতে হবে। তো চলুন এবার সে বিষয়ে একটু স্বল্প আকারে ধারনা নেয়া যাক।

দেখুন, আমি আর্টিকেল এর শুরুতেই একটা কথা বলেছি যে, এখন বিকাশ থেকে লোন নেয়ার পদ্ধতি চালু হলেও। এই লোন এর টাকা কিন্তুু বিকাশ নিজে থেকে দিচ্ছে না।

বরং আমাদের এই লোনের টাকা গুলো দিচ্ছে সিটি ব্যাংক। এই ব্যাংক মূলত আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে যারা বিকাশ এর নিয়মিত গ্রাহক।

তারাই এই লোন এর আওতায় পড়বে।

তো আমরা শুরুর দিকে আমরা অনেকেই মনে করেছিলাম। বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় আমরা যে, NID Card এর ইনফরমেশন দিয়ে ভেরিফাই করেছিলাম।

সেই ইনফো দিয়ে এই লোন নেয়া যাবেনা। বরং আপনাকে আরও বেশ কিছু তথ্য জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে। যেমনঃ 

  1. যখন আপনি আপনার বিকাশ এপস থেকে লোন অপশনে ক্লিক করবেন ৷ তখন আপনি আসলে কি পরিমান লোন নেয়ার জন্য যোগ্য। তার একটা নির্দিষ্ট টাকার পরিমান দেখতে পারবেন। 
  2. সবার ক্ষেত্রে এই টাকার পরিমান যে সমান হবে, বিষয়টা আসলে এমন নয়। বরং কেউ ২ হাজার আবার কেউ ৩ হাজার আবার কোনো কোনো বিকাশ ইউজার ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেয়ার সুযোগ পাবেন ৷ 
  3. তো যদি আপনি বিকাশ এপসে লোন এর পরিমান দেখতে পারবেন। এবং লোন নেয়ার অপশনে ক্লিক করবেন ৷ তখন আপনার সামনে একটি বিকাশ লোন ফরম আসবে ৷ 
  4. মনে রাখবেন, এই বিকাশ লোন ফরম টি কিন্তুু সিটি ব্যাংক থেকে দেওয়া হবে। এবং এখানে আপনি যে তথ্য গুলো দিবেন ৷ সেগুলো তে যেন কোনো প্রকার ভুল না থাকে। 
  5. তো যখন আপনি একবারে নির্ভুল ভাবে ঐ বিকাশ লোন ফরম টি পূরন করবেন ৷ তখন সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন টি পুনরায় যাচাই করবে। 
  6. এরপর যাচাই বাচাই করার পর যদি তাদের কাছে আপনি লোন নেয়ার জন্য যোগ্য হয়ে থাকেন ৷ তাহলে অল্প কিছুক্ষন এর মধ্যেই আপনি লোন পেয়ে যাবেন। 
  7. মনে রাখবেন, আপনাকে লোন দেওয়া টাকা গুলো সরাসরি আপনার বিকাশ একাউন্টে জমা হবে। এবং Bkash Loan এর সাথে সাথে আপনাকে একটি গোপন পিন নম্বর দেওয়া হবে। 
  8. এরপর আপনি যখন এই বিকাশ লোন এর টাকা উওলন করবেন ৷ তখন আপনাকে দেওয়া ঐ পিনটি ব্যবহার করতে হবে।

তো যদি আপনি বিকাশ থেকে লোন নেয়ার উপায় গুলো জানতে চান। তাহলে উপরের আলোচনা গুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ৷

কেননা, আপনার বোঝার সুবিধার জন্য আমি বিকাশ থেকে লোন নেয়ার প্রত্যেকটা বিষয় কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করার চেস্টা করেছি। 

বিকাশ সিটি ব্যাংক লোন কোন কোন ক্ষেএে প্রদান করা হবে?

আমরা সবাই জানি যে, বর্তমান সময়ে বিকাশ তাদের ইউজারদের লোন নেয়ার একটা সুযোগ করে দিয়েছে।

এবং আপনি উক্ত আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন যে, বিকাশের এই লোন দেয়ার জন্য সিটি ব্যাংক এর সরাসরি হাত রয়েছে।

তো আপনি কি জানেন যে, এই লোন আসলে কি কি কারনে দেওয়া হচ্ছে? – যদি আপনি এ বিষয়ে জানতে চান, তাহলে নিচের আলোচিত বিষয় গুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

তো আজকের দিনে বিকাশ লোন দেয়ার বেশ কিছু কারন রয়েছে। চলুন এবার এক এক করে সেই সব গুলো বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

০১| চিকিৎসা ক্ষেত্রে জন্য বিকাশ লোন

মনে করুন আপনার কোনো কাছের মানুষ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে গেলো ৷ এবং আপনি তরিঘরি করে সেই মানুষ কে আপনার নিকটবর্তী কোনো হসপিটালে নিয়ে গেলেন ৷

এবং সেই সময়ে হঠাৎ করে আপনার ওষুধ কিনে নেয়ার জন্য ১০ হাজার টাকার দরকার হলো।

তো সেই সময়ে আপনি আপনার এই টাকা মাএ কয়েক মূহুর্তের মধ্যে বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন ৷ এবং সেই Bkash লোন এর টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে নিতে পারবেন।

আর এই সময়ে বিকাশ লোন এর টাকাটা আপনার অনেক বেশি কাজে দিবে।

মূলত এই বিকাশ লোন এর টাকা তাদের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে। যারা একেবারে মধ্যবিও পরিবার এর আওতায় পড়ে ৷ কেননা, তাদের সামনে যখন হুট করে এমন সমস্যা দেখা যায়।

তখন তাদের পাশে দাড়ানোর মতো মানুষ এর সংখ্যা অনেক কম থাকে৷ তো এই মানুষ গুলোর জন্য তাৎক্ষনিক সহায়তা করতে Bkash Loan এর ভূমিকা অপরিসীম। 

০২| প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বিকাশ লোন 

আমরা সামাজিক জীব হিসেবে পরিবেশ এর সাথে একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বলা যায়, আমরা এবং পরিবেশ একে অন্যের পরিপূরক।

আর সেই কারনে যখন অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আমাদের প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়।

কখনওবা আমাদের বন্যার সাথে মোকাবেলা করতে হয়। আবার কখনওবা বড় কোনো ঝড়ের সাথে যুদ্ধ করতে হয়।

কিন্তুু মাঝে মাঝে এই দুর্যোগের পরিমান এতোটাই বেশি হয় যে, আমরা কোনো ভাবে সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সাথে পেরে উঠতে পারিনা। যার কারনে আমাদেরকে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

তো এই ধরনের বড় বড় দুর্যোগে যে ক্ষয় ক্ষতি হয়। সেগুলো পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য বিকাশ লোন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কেননা, এই দুর্যোগের সময় যদি আপনি এই লোনের টাকা হাতে পান। তাহলে এটি দিয়ে আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন। 

০৩| কৃষিকাজের জন্য বিকাশ লোন

আমরা সবাই জানি যে, উন্নতির ধারায় বাহিত হলেও আমাদের দেশ এখনও কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে পড়ে আছে ৷ আর একজন কৃষককে যে কি পরিমান কষ্ট করে চাষাবাদ করতে হয়।

সেটা শুধুমাত্র তারাই অনুভব করতে পারবে। যারা মূলত এই কৃষিকাজ এর সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। কেননা, কৃষিকাজ এর শুরু থেকে ফসল ঘরে নিয়ে আসা পর্যন্ত অনেক খরচ করতে হয়।

আর কৃষকদের এই খরচের টাকা জোগাড় করতে বেশ হিমশিম খেতে হয় ৷ কেননা, যেসব এলাকা এখনও কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল ৷ সেসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ই এই পেশার সাথে যুক্ত থাকে ৷

যার কারনে তাদের অভাবের সময় কেউ কাউকে হেল্প করতে পারেনা।

কিন্তুু তাদের কথা চিন্তা করে বিকাশ এই লোন দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। মূলত চাষাবাদ করার সময় যখন তারা আর্থিক সংকটে পড়বে।

তখন তাদের কাছে বিকাশে থেকে দেওয়া এই লোন এর টাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা, এই টাকা দিয়ে তারা তাদের কৃষিকাজ করার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিতে পারবে ৷ 

০৪| ব্যবসা করার জন্য বিকাশ লোন 

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত ব্যবসা করতে অনেক পছন্দ করে ৷ আর এই মানুষ গুলোর কথা চিন্তা করে বিকাশ তাদের লোন পদ্ধতি চালু করেছে।

যেন ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো সময় আর্থিক সংকট এর সময় তারা বিকাশে থেকে নেয়া লোন এর টাকা কাজে লাগাতে পারে।

মনে করুন, আপনি একজন ছোট কিংবা মাঝারি ধরনের একজন ব্যবসায়ী ৷ তো আপনার ব্যবসার কোনো পন্য কিনতে গিয়ে আপনি দেখলেন যে আপনার কিছু পরিমান টাকার সংকট হয়ে গেছে।

তো আপনি সেই সময়ে মাত্র কয়েক মিনিট এর মধ্যে বিকাশ থেকে ১০-২০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবেন। এবং সেই টাকা আপনি আপনার ব্যবসার কাজে লাগিয়ে নিতে পারবেন। 

কিভাবে সিটি ব্যাংক থেকে বিকাশে লোন লোন পরিশোধ করতে হয়?

তো আর্টিকেলের শুরু থেকে আমরা বিকাশ লোন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক, আমরা যে বিকাশ থেকে এই লোন নিবো ৷

সেই লোন এর টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো। এবং কতদিনের মধ্যে এই বিকাশ লোন এর টাকা পরিশোধ করতে হবে।

মূলত বিকাশ আমাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে লোন প্রদান করলেও। এই টাকা কিন্তুু সঠিক সময়ে পরিশোধ করে দিতে হবে।

এবং এই লোন এর টাকা যদি সময় মতো পরিশোধ করা না হয়। তাহলে কিন্তুু তারা তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার মতো ব্যবস্থা নিবে।

আপনি আরো দেখুন…

এখন আপনি যদি বিকাশ থেকে এই লোন নেন ৷ তাহলে তাদের নিয়ম হলো আগামী ৩-৬ মাসের মধ্যে এই লোন যথাসময়ে পরিশোধ করে দিতে হবে।

এবং আপনি এই টাকা যেভাবে বিকাশ থেকে নিতে পারবেন ৷ ঠিক একইভাবে আপনি বিকাশ থেকে লোন নেয়ার এই টাকা গুলো বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন ৷ 

বিকাশ লোন এর টাকা পরিশোধ না করলে কি কি সমস্যা হবে? 

আমি বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপের কমেন্টে দেখলাম। সেখানে অনেকেই বলছে যে, তারা বিকাশ থেকে লোন নেয়ার পর এই টাকা আর পরিশোধ করবে না।

এবং পরিশোধ না করলেও বিকাশ তাদের পক্ষে কোনো প্রকার একশন নিতে পারবে না। মূলত আপনি যদি এই ধারনা নিয়ে বসে থাকেন। তাহলে বলবো, ভাই এতো ছোটো ব্রেন নিয়ে তারা আপনাকে লোন দিচ্ছেনা ৷

বরং আপনি যদি এই লোন এর টাকা সময় মতো পরিশোধ না করেন। তাহলে আপনি নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

যেমন, আপনি যদি এই লোন এর টাকা সময়মতো পরিশোধ না করেন ৷ তাহলে সিটি ব্যাংক এর লোন পরিশোধ করার যেসব বিধিনিষেধ আছেন।

তার সব গুলো বিধিনিষেধ আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আর তারা যখন আপনাকে লোন প্রদান করবে ৷ তখন কিন্তুু আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো জমা করে রাখবে ৷

যার ফলে আপনি কোনোভাবেই এই লোন নেয়ার পর পরিশোধ না করে থাকতে পারবেন না ৷ প্রয়োজন হলে আপনি নানা রকম আইনি সমস্যায় পড়ে যাবেন। 

বিকাশ লোন নিলে কত টাকা সুদ দিতে হবে? 

আমাদের মধ্যে প্রায় অনেক মানুষ এর মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে যে, আমরা বিকাশ থেকে যে টাকা লোন হিসেবে নিবো। সেই টাকা গুলোর পরিশোধ করার সময় কোনো প্রকার সুদ প্রদান করতে হবে কিনা।

এবং যদি সুদ প্রদান করতে হয়, তাহলে মোট কত টাকা সুদ দিতে হবে। তো চলুন আর্টিকেল এর শেষে এই বিষয়টিও একেবারে ক্লিয়ার করে জেনে নেয়া যাক।

দেখুন আপনি বিকাশ থেকে কত টাকা লোন নিবেন। সেটা কোনো বড় কথা নয়। বরং আপনার এই টাকার উপর নির্দিষ্ট পরিমান সুদ প্রদান করতে হবে।

কেননা, বিকাশ এর এই লোন এর টাকা ব্যবহারকারী ভেদে ভিন্ন ভিন্ন পরিমান হবে। অর্থ্যাৎ, কেউ যদি ২ হাজার টাকা লোন পায়। তাহলে অন্য কেউ ২০ হাজার টাকা লোন পাবে।

কিন্তুু আপনাকে দেওয়া এই লোনের উপর ভিওি করে মোট ৯% হারে সুদ নেয়া হবে। এখন আপনি যদি ৩ হাজার টাকা বিকাশ লোন নেন। তাহলে আপনি ঐ টাকার পরিমান থেকে ৯% সুদ দিবেন।

এখন এই সুদের পরিমান কত বেশি হবে সেটা আপনার লোন এর টাকার পরিমান এর উপর নির্ভর করবে। যেমন, আপনি ৩ হাজার টাকায় ৯% এ কম সুদ হবে। আবার ২০ হাজার টাকায় এই ৯% সুদের পরিমানও অনেক বেশি হবে। 

বিকাশ লোন নিয়ে আমাদের শেষকথা 

বিকাশ লোন দেওয়ার শুরু থেকে অনেকেই অনেক রকমের মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, যে সুদ তো হারাম। তাহলে কেন আমরা BKash লোন নিয়ে নিজেকে সুদের সাথে জড়িত করবো।

আবার কেউ কেউ বলছে যে, বিকাশ থেকে লোন নেয়ার টাকা গুলো তারা অনেক কাজে লাগাতে পারবে।

তো বিকাশে থেকে লোন নেয়ার বিষয়টা সম্পূর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে।

যদি আপনার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি নিসন্দেহে বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন। আর যদি সুদের সাথে নিজেকে জড়াতে না চান। তাহলে বলবো আপনার এসব থেকে দুরে থাকাই উওম।

আপনি আরো জানতে পারেন…

কিন্তুু আমার কাজ হলো বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানানো। যা আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিকাশ লোন কে স্টেপ বাই স্টেপ বুঝিয়ে দিয়েছি।

তবে এরপরও যদি আপনার বিকাশ লোন কিংবা বিকাশ লোন ফরম নিয়ে কোনো কিছু জানার থাকে। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

পরিশেষে শুধু একটা কথা বলবো, সেটি হলো যদি আপনি এমন সব ইন্টারেস্টিং টপিক সম্পর্কে সবার আগে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই Bangla it blog এর সাথে থাকবেন।

আর পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top