নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সেরা টিপস

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সেরা টিপস : আমরা যারা নতুন হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। তারা আসলে বুঝতে পারি না যে, কিভাবে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হয়।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সেরা টিপস
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সেরা টিপস

কিন্তু আপনি যখন নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু বিষয় দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আর আজকে আমি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার টিপস শেয়ার করব। যে Freelancing tips গুলো অনুসরণ করলে। একটা সময় আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফল হতে পারবেন।

তো চলুন এবার সেই নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সেরা টিপস গুলো জেনে নেওয়া যাক।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং | Freelancing for new freelancer 

যেহেতু আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার। সেহেতু আপনার সাথে কিছু কথা শেয়ার করা উচিত। আর সেই কথা গুলো হলো, নতুন ফ্রিল্যান্সাররা সবার শুরুতেই বেশ কিছু ভুল করে থাকে। যেমন:

  1. অধিকাংশ সময় আমরা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সারদের অনলাইন ইনকাম দেখি। আর আমরাও ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই।
  2. এরপর তাৎক্ষণিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয় কাজ গুলো শেখা শুরু করে দেই।
  3. তবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো সঠিক ভাবে শেখা না হতেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যাই।
  4. এবং মার্কেটপ্লেসে যে সকল জব পোস্ট করা হয়, সে গুলো তে এপ্লাই করা শুরু করি।
  5. কিন্তু যখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের কাজ পাই না। তখন আমরা হতাশ হয়ে পড়ি।
  6. আর ঠিক তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, আমাকে দিয়ে আর ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব হবে না।

তো আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার এর অনলাইন ইনকাম দেখে, নিজেও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। তাহলে অনেক সময় আপনার এই ভুল গুলো করার সম্ভাবনা থাকবে।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

কিন্তু আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান। তাহলে উপরের এই বিষয় গুলো আপনার মধ্যে বিরাজমান থাকা কখনোই কাম্য নয়।

কিভাবে নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে বেশ কিছু বিষয় ভাবতে হবে। এবং এই বিষয় গুলো সম্পর্কে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে।

এবং যখন আপনি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। ঠিক তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিবেন। আর সেই বিষয় গুলো হলো:

  1. আপনি কি মন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান?
  2. ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনার যথেষ্ট সময় আছে কি না।
  3. আপনার নিকট ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ আছে কিনা।
  4. সবশেষে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করার মত আপনার পরিবেশ আছে কিনা।

দেখুন আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ভাবতে হবে।

কেননা আপনি যদি নিজে থেকেই আগ্রহ করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো শিখতে না পারেন তাহলে কিন্তু আপনি কোন কাজে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন না।

আর যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজে দক্ষ হয়ে যাবে ততক্ষণ আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।

তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। ভাই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কি অনেক হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বাধ্যতামূলক? এর উত্তর আমি বলব যে, না।

কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনি এমন অনেক ধরনের কাজ দেখতে পারবেন। যে গুলো সাধারণ মানের কম্পিউটার দিয়েও করা সম্ভব।

কিন্তু যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর হাই কোয়ালিটি জব গুলো করবেন। তখন অবশ্যই আপনার ভালো একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে।

যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, এনিমেশন ইত্যাদি। এই কাজ গুলো আপনি কোনভাবেই সাধারণ মানের কম্পিউটার দিয়ে করতে পারবেন না।

তবে মজার ব্যাপার হলো যে, ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং নামক কাজ গুলো করার জন্য। আপনার নিকট মোবাইল থাকলেই যথেষ্ট।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইডলাইন

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। আর যেহেতু আপনিও একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার। সেহেতু অবশ্যই আপনাকে এই নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে।

এবং অবাক করার মত বিষয় হলো যে, আপনি যদি এই নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে মানতে পারেন। তাহলে আপনি কোন একটা সময় গিয়ে নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন, সরাসরি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার নিয়ম গুলো জেনে নেওয়া যাক।

সঠিক নিশ বাছাই করুন

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন, এরকম সিদ্ধান্ত নিবেন। তখন আপনাকে ভাবতে হবে যে, আপনি আসলে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কোন কাজ টি করবেন।

কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে আপনি এমন শত শত ফ্রিল্যান্সিং জব দেখতে পারবেন। এখন আপনাকে সে গুলো মধ্যে যে কোনো একটি কিংবা দুইটি কাজ সম্পর্কে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

অর্থাৎ সেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো আপনাকে শিখতে হবে।

এখন হয়তো বা আপনি ভাবছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে থাকা শত শত জবের মধ্যে। আপনি কোন কাজ টি শিখলে অধিক পরিমাণে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

তো আপনি আসলে কোন বিষয় টি সম্পর্কে কাজ শিখবেন, তাকে বলা হবে ফ্রিল্যান্সিং নিস। অর্থাৎ নতুন থাকা অবস্থায় আপনাকে এমন একটি ফ্রিল্যান্সিং জব এর কাজ শিখতে হবে।

যে কাজটি থেকে আপনি অধিক পরিমাণ অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং নিস নির্বাচন করার সময় বেশ কিছু বিষয় দিকে খেয়াল রাখবেন। আর সেই বিষয় গুলো হলো:

  1. আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে চাচ্ছেন। সেই কাজ এর বর্তমান চাহিদা কেমন রয়েছে।
  2. ভবিষ্যৎ সময়ে সেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের চাহিদা কেমন থাকবে।
  3. সেই কাজের মাধ্যমে পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাওয়া যাবে কিনা।
  4. ভবিষ্যৎ সময়ে সেই কাজ টি রোবটের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে কিনা।

সময়ের সাথে সাথে সবকিছু ডিজিটাল হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ টি শিখবেন। সেই কাজ টি যদি ভবিষ্যতে রোবটের মাধ্যমে করা সম্ভব হয়।

তাহলে কিন্তু আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই বৃথা যাবে। তাই আপনাকে যথেষ্ট বিবেচনা করে এমন একটি ফ্রিল্যান্সিং জবের কাজ শিখতে হবে।

যেটির বর্তমান সময়ে চাহিদা রয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজটির চাহিদা থাকবে।

আগ্রহ নিয়ে কাজ শিখুন

ছোট থেকে পড়ালেখা করার পরে একটা সময় গিয়ে আমরা সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ পাই।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে ভালো ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখতে হবে।

কিন্তু আমরা অধিকাংশ সময় এই বিষয়টি কে তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। যার ফলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ সঠিক ভাবে করতে না পারার কারণে।

একটা সময় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে ছিটকে পড়তে হয়। তাই যখন আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং নিশ বাছাই করে নিবেন। তখন আপনাকে সেই নিশ এর কাজটি শিখতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনি অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিলেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করবেন। সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হবে।

কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হয় তা আপনাকে শিখতে হবে। এবং যখন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন।

তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি চাইলে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে ফ্রিল্যান্সিং এর জব গুলো শিখতে পারবেন। যেমন:

  1. আপনি চাইলে বিনামূল্যে গুগল এবং ইউটিউব থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
  2. অর্থ ব্যয় করার মত সামর্থ্য থাকলে, আপনি পেইড কোর্স কিনে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
  3. মাসে মাসে টাকা ব্যয় করার মত সামর্থ্য থাকলে, আপনি স্বনামধন্য কোন আইটি ইন্সটিটিউট থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।

তো আপনি আসলে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে।

তবে যে কাজেই শিখুন না কেন, সেটা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শেখার চেষ্টা করবেন। যাতে করে আপনি উক্ত কাজ এর যাবতীয় খুঁটিনাটি গুলো জানতে পারেন।

ইংরেজি ভাষাতে কথা বলা শিখুন

আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার নাকি পুরাতন ফ্রিল্যান্সার সেটা বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে, আপনি ইংরেজি তে কথা বলতে পারেন কিনা।

কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে আপনি যে সকল ক্লায়েন্ট দেখতে পারবেন। অর্থাৎ যারা আপনাকে কাজ দিবে। তারা অধিকাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করে।

আর তারা কিন্তু আপনার বাংলা ভাষা বলতেও পারবে না, এবং বুঝতেও পারবে না। তাই অবশ্যই আপনাকে তাদের সাথে কথা বলার জন্য ইংরেজি শিখতে হবে।

আর বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে ইংরেজি স্পোকিং শিখতে পারবেন। যেমন, আপনি চাইলে এখন কোর্স কিনে ইংলিশ স্পোকিং শিখতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি অনলাইন টিউটর এর কাছ থেকে ইংলিশ স্পোকেন শিখে নিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইংরেজি শেখা বাধ্যতামূলক একটি কাজ।

যদি আপনি ইংরেজি তে দুর্বল হয়ে থাকেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে বেশ বিপাকে পড়তে হবে।

ফ্রিল্যান্সার বায়ো তৈরি করুন

ধরে নিলাম যে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি কাজে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন। এবং এখন আপনি ইংরেজি তে তুখোর ভাবে কথোপকথন করতে পারেন।

তো এবার আপনার কি কাজ হবে? মূলত এবার আপনাকে একটি ফ্রিল্যান্সার বায়ো তৈরি করতে হবে। হয়তোবা আপনি ভাবছেন যে, এটা আবার কি জিনিস।

তাহলে শুনুন, আপনাকে একটি পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে। চলুন বিষয়টা একটু পরিষ্কার ভাবে আলোচনা করা যাক।

মনে করুন, আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার। এবং আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ শিখেছেন। তো এখন আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

যে ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার যাবতীয় ডিটেইলস থাকবে। এর পাশাপাশি আপনি কোন ধরনের কন্টেন্ট লেখেন, তার কিছু ডেমো থাকবে।

সেই সাথে এই ধরনের কনটেন্ট আপনি কত টাকা হলে সেল করবেন, সেটা আপনি উল্লেখ করা থাকবে। মূলত যখন নতুন কোন ক্লাইন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে।

তখন আপনি আপনার বিস্তারিত তথ্য গুলো। শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দিতে পারবেন।

ঠিক এইভাবে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জব অনুযায়ী একটি সিভি তৈরি করবেন। যেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো থাকার পাশাপাশি আপনি আসলে কোন কাজে দক্ষ।

সেই বিষয় গুলো আপনার সিভির মধ্যে থাকবে। এছাড়াও অতীতে আপনি কোন কোন কাজ গুলো করেছেন। সেই কাজের স্যাম্পল সহো এই যাবতীয় বিষয় গুলো আপনার সেই সিভির মধ্যে থাকবে।

তাহলে আপনি নতুন নতুন ক্লাইন্ট এর সাথে যোগাযোগ করার সময়। খুব দ্রুত আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো ক্লাইন্ট কে দিতে পারবেন।

মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং করুন

যখন আপনি সঠিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ শিখবেন। এর পাশাপাশি ইংলিশ স্পোকেন এর দিকে আপনার উন্নতি হবে।

তখন আপনাকে সরাসরি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো তে কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস দেখতে পারবেন। যেমন:

  1. Freelancer.com
  2. Fiverr.com
  3. Peopleperhour.com
  4. Guru.com
  5. 99Design.com

উপরে মোট পাঁচটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর নাম দেখতে পাচ্ছেন। তবে এগুলো ছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস দেখতে পারবেন।

যে মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ক্লায়েন্টদের সার্ভিস প্রদান করবেন।

এবং এর বিনিময়ে ক্লায়েন্ট আপনাকে নির্ধারিত পারিশ্রমিক প্রদান করবে। আর এভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সময় তারা বিভিন্ন প্রকারের ভুল করে থাকে। এর পাশাপাশি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কখনোই আপনার এই ভুল গুলো করা উচিত হবে না।

তাই এবার আমি আপনাকে সেই ভুল গুলো দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এবং ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনারা যেন এই ভুল গুলো না হয়, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় কোন ভুল গুলো করা যাবে না।

  1. যখন আপনি কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করবেন। তখন অবশ্যই সেই মার্কেটপ্লেস এর নিয়মাবলী গুলো জেনে নিবেন।
  2. ভুল করে কখনোই ক্লায়েন্টদের সাথে খারাপ ব্যবহার বা খারাপ ভাষার প্রয়োগ করবেন না।
  3. হয়তোবা শুরুর দিকে আপনি ক্লায়েন্টদের কাজ পাবেন না। তাই বলে আপনি কখনোই হতাশ হবেন না।
  4. নতুন অবস্থায় ক্লায়েন্ট আপনার কাজের সম্পর্কে খারাপ ফিডব্যাক দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কখনোই মন খারাপ করবেন না।
  5. যখন আপনি কোন ক্লায়েন্ট এর কাজ সম্পন্ন করবেন। তখন সেই ক্লায়েন্টের সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করবেন। যাতে করে সে আপনাকে পজিটিভ ফিডব্যাক প্রদান করে।
  6. ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করার স্বপ্নে কখনোই অবৈধ পথ অনুসরণ করবেন না।
  7. যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তখন অবশ্যই আপনার শরীর এবং স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবেন।
  8. ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনি আপনার পরিবার কে কতটুকু সময় দিচ্ছেন। তার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার সময় তারা অনেক ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো তে ভুল করে থাকে। তাই চেষ্টা করবেন যেন, আপনার ক্ষেত্রে এই ভুল গুলো না হয়।

কেননা আপনি যদি এইভাবে ভুল পথে পা বাড়ান। তাহলে কিন্তু আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন হয়?

সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে বেশ কিছু ইকুপমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। কারণ অস্ত্র ছাড়া যেমন আপনি কখনোই যুদ্ধ করতে পারবেন না।

ঠিক তেমনি ভাবে এই প্রয়োজনীয় ইকুপমেন্ট গুলো ছাড়া আপনি সঠিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো করতে পারবেন না।

তো এমন বেশ কিছু ইকুইপমেন্ট এর প্রয়োজন হয় যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন। যেমন:

একটি ভালো ডিভাইস

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনার নিকট একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে। এবং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জব গুলোর মধ্যে অনেক হাই কোয়ালিটি জব গুলো করতে চান।

যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মোশন গ্রাফিক্স এবং কার্টুন এনিমেশন এর মত কাজ গুলো করলে। অবশ্যই আপনার নিকট একটি হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে।

যার মাধ্যমে আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো করতে পারবেন।

দ্রুত গতির ইন্টারনেট কানেকশন

যখন আপনার কাছে ভালো মানের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকবে। এবং আপনি যখন এই ডিভাইস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে উক্ত ডিভাইসের মধ্যে দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন সংযুক্ত থাকতে হবে।

কারণ আপনি তো বেশ ভালো করে জানেন যে, ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া কখনোই অনলাইনে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।

এবং যেহেতু আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন, সেহেতু অবশ্যই আপনার ইন্টারনেট কানেকশন টি খুব দ্রুত গতি সম্পন্ন হতে হবে

কাজ করার পরিবেশ

প্রতিটা কাজের জন্য নির্ধারিত পরিবেশের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তখন এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো করার জন্য আপনার ভালো পরিবেশ থাকতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি রুম নির্ধারণ করতে হবে। যে রুমের মধ্যে বসে আপনি অনায়াসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ গুলো করতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

অথবা আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য একটি ব্যক্তিগত অফিস তৈরি করতে পারবেন। যেখানে আপনি শুধুমাত্র আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ গুলো করবেন।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এবং আমাদের কিছু কথা

প্রিয় ফ্রিল্যান্সার বন্ধু। যদি আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখেন। তাহলে আজকের এই আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।

কারণ আজকের আলোচনায় আমি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন যে। নতুন ব্যক্তিরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজেকে যুক্ত করতে পারবে।

আশা করি আজকের আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন।

আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সবার আগে পেতে চাইলে। আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য।

2 thoughts on “নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সেরা টিপস”

  1. ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে এত সুন্দর ভাবে বুঝানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সত্যিই ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে লেখা এই পোস্টটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top