ছাত্রদের টাকা জমানোর উপায় ও অর্থ সঞ্চয়ের ১২টি কৌশল

ছাত্র অবস্থায় টাকা জমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় : (Money Saving Tips for student in Bengali) আজকের আলোচনা তে আমরা টাকা জমানোর কৌশল গুলো সম্পর্কে জানবো।

ছাত্রদের টাকা জমানোর উপায় ও অর্থ সঞ্চয়ের ১২টি কৌশল
ছাত্রদের টাকা জমানোর উপায়

বিশেষ করে যারা এখনও পড়াশোনা করছেন। তারা আসলে কিভাবে টাকা জমাতে পারবেন। সেই কৌশল গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

তো যদি আপনিও একজন ছাত্র হয়ে থাকেন। তাহলে আজকের এই লেখাটি মন দিয়ে পড়ার চেস্টা করবেন। আর আর দেরী না করে চলুন, সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

কিভাবে ছাত্র জীবনে টাকা জমাবো?

দেখুন, ছাত্র জীবনে টাকা জমানোর আগে, আপনাকে একটা প্রশ্নের উত্তর খুজতে হবে। সেটি হলো, আপনার কোন কোন সোর্স থেকে টাকা আসবে। সবার আগে সেই সোর্স গুলোর একটা তালিকা তৈরি করবেন। 

মনে করুন, আপনি কোনো ধরনের পার্ট টাইম জব, টিউশনি কিংবা অন্য কোনো কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়।

কিন্তুু যদি আপনার কাছে টাকা আসার কোনো সোর্স না থাকে। তাহলে তো আর আপনার টাকা জমা করা সম্ভব হবেনা। তাই প্রথমে এমন কিছু করার চেস্টা করুন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

যে কাজটি থেকে আপনি প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর যখন আপনার টাকা আসার সোর্স থাকবে।

তখন আপনি আজকের ছাএদের টাকা জমানোর কৌশল গুলো ফলো করে। খুব সহজেই নিজের কাছে টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন।

ব্র্যান্ডেড পণ্য না কেনার চেষ্টা করুন

আপনি যদি একজন ছাএ হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি টাকা জমিয়ে রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় কে গুরুত্ব দিতে হবে।

সেটি হলো, আপনি যথাসম্ভব ব্র্যান্ডের পণ্য না কেনার চেষ্টা করবেন।

দেখুন ছাত্র জীবনের নিজের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ উদ্দিপনা থাকে। যার ফলে সেই বয়সে পোশাক আশাক এর দিকে আলাদা একটা আকর্ষণ চলে আসে।

কারণ সেই সময়ে ছাত্ররা নিজেদের কে একটু আলাদা ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করে। আর সে কারণে অনেকেই ব্র্যান্ডের পণ্য কিনে প্রচুর পরিমাণ টাকা ব্যয় করে।

তো আপনি যদি এই বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখেন। তাহলে কিন্তু আপনার নিজের অজান্তেই ছাত্র জীবনে অনেক টাকা জমা করতে পারবেন।

কারন যখন আপনার কোন কিছু কেনার প্রয়োজন পড়বে। তখন আপনি সাশ্রয়ী মূল্যে নিজের পণ্যগুলো কিনে নিতে পারবেন।

তবে আপনি যদি ব্র্যান্ডের কাপড় চোপড় ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার খরচের পরিমান একটু বেশি হবে। কিন্তুু টাকা জমাতে চাইলে অবশ্যই সুলভ মূল্যে পণ্য কেনার চেষ্টা করবেন। 

অনুদান এবং স্কলারশিপ অর্জন করার সুযোগ খুঁজুন

ছাত্রদের টাকা জমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, অনুদান বা স্কলার্শিপ অর্জন করা। দেখুন, আপনি যখন ছাত্র অবস্থায় থাকবেন।

তখন কিন্তু অবশ্যই এই বিরাট সুযোগটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ বর্তমান সময়ে আপনি যে প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে আছেন। সে প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদান সহ স্কলারশিপের ব্যবস্থা থাকবে।

তো এক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার পড়াশুনা ভালভাবে করেন। এবং স্কলারশিপ অর্জন করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার টাকা জমিয়ে রাখার নতুন একটা সোর্স তৈরি হবে।

এর পাশাপাশি যদি আপনি স্কলারশিপ দিতে পারেন। তাহলে বর্তমান সময়ে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত আছেন। সেই প্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতনের ক্ষেত্রেও আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।

আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, স্কলারশিপ পাওয়ার বিনিময়ে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই শিক্ষার্থী কে বিনামূল্যে শিক্ষাদান করে থাকে।

তাই অবশ্যই ছাত্রাবস্থায় চেষ্টা করুন স্কলারশিপ অর্জন করার। এর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমে কোথাও অনুদান পাওয়া যাবে কিনা। সে গুলোর খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করুন। 

খরচের সোর্স ট্র্যাক করুন

প্রত্যেক টা মানুষের একটা সাধারণ বিষয় হলো, মাসের শেষে আর্থিক সংকটে পড়া। তব আপনি ছাত্র অবস্থায় থাকা কালিন যদি আপনারও এই সমস্যা হয়।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি কাজ করতে হবে। সেটি হল, আপনার সম্পূর্ণ মাসের খরচ এর সোর্স ট্রাক করতে হবে।

অর্থাৎ আপনি পুরো মাসে কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার টাকা ব্যয় করেছেন। সে গুলোর সঠিক হিসাব খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।

আর যখন আপনি আপনার খরচের হিসাব করবেন। তখন প্রয়োজনীয় ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের খরচের একটা হিসেব তৈরি করে রাখবেন।

আর যখন আপনি যেই কাজটি প্রয়োজনীয় আয় ব্যয় এর তালিকা করবেন। তখন নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন যে আপনার কোন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাকা ব্যয় হয়।

এবং কোন ক্ষেত্র গুলো তে আপনি  আপনার ব্যয় এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবেন।

আর যখন আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। তখন কিন্তু অটোমেটিক্যালি আপনার ছাত্র অবস্থায় টাকা জমা হতে শুরু করবে।

কেননা এটি হলো সকল ধরনের মানুষের টাকা জমা করার  অন্যতম একটি উপায়। যে টাকা জমানোর উপায় টি আপনি ছাএ অবস্থাতে ফলো করতে পারবেন।

বাজেট প্ল্যানিং করুন

আপনারা যারা ছাত্র অবস্থায় টাকা জমিয়ে রাখতে চান। তারা অবশ্যই বাজেট প্ল্যানিং করার চেষ্টা করবেন। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি এই বাজেট প্ল্যানিং করতে পারবেন না।

ততক্ষণ আপনি কোনো ভাবেই আপনার নিজের কাছে টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন না। কারণ সেভিংস এর মূল ধাপ হলো, বাজেট প্ল্যানিং করা।

তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, এই বাজেট প্ল্যানিং আসলে কি। তো  যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে।

তাহলে শুনুন, মূলত এই কাজটি করার জন্য সবার আগে আপনাকে টাকা আয় করার সোর্স এবং টাকা আয়ের এর পরিমাণ এর তালিকা তৈরি করতে হবে।

এর পরবর্তী সময়ে আপনার আসলে কোন কোন কাজে সবচেয়ে বেশি টাকা ব্যয় হয়। সেই আয় ব্যয় হিসাব গুলোর তালিকা তৈরি করতে হবে।

আর এই  ধারণা থেকেই আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। প্রতি মাসে আপনার কি পরিমান টাকা আয় হয়। আর কি পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়।

এবং এই হিসেব করার পরে যদি দেখেন যে, আপনার মাসিক আয় থেকে আরো কিছু টাকা আপনার কাছে অবশিষ্ট থাকবে।

তখন আপনি সেই টাকা গুলো কে আলাদা ভাবে সরিয়ে রাখবেন। অর্থাৎ সেই টাকাটি আপনি জমা করে রাখবেন।

প্রয়োজন বনাম লাক্সারি (৫০-৩০-২০ রুল)

এবার আমি আপনাকে ছাত্রদের টাকা জমানোর সেরা উপায় সম্পর্কে বলব। আর আপনি যদি এই উপায়ে ছাত্র জীবনে টাকা জমিয়ে রাখতে চান।

তাহলে আপনাকে বিশেষ একটি রুলস অনুসরণ করতে হবে। আর সেই রুলস এর নাম হলো, ৫০-৩০-২০.

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগে থাকতে পারে যে, এটা আবার কেমন রুলস। আর এই রুলস অনুসরণ করে কিভাবে আপনি ছাত্র অবস্থায় টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন?

যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে একটা বিষয় লক্ষ করুন দেখুন। এই রুলস এর শুরুতেই আপনি ৫০ দেখতে পারছেন।

অর্থাৎ এই রুলস এটাই নির্দেশ করছে যে আপনি ৫০% প্রয়োজনীয় কাজে নিজের অর্থ ব্যয় করুন। এর পরে আপনি ৩০ দেখতে পারছেন।

তো এটা নির্দেশ করছে যে, আপনার নিজের মধ্যে থাকা ৩০% চাহিদা সরিয়ে রাখুন। অর্থ্যাৎ, সেই চাহিদা গুলো কে অপূর্ন রাখুন।

এর পাশাপাশি সবার শেষে আপনি দেখতে পাচ্ছেন ২০. যা নির্দেশ করছে আপনি আপনার ইনকাম এর ২০% পর্যন্ত সঞ্চয় করে রাখুন।

আর আপনি যদি এই রুলস অনুসরণ করেন। তাহলে কিন্তু প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন। কারণ এটি হলো ছাত্রদের টাকা জমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম। 

পাঠ্যবই ও খাতায় অর্থ সঞ্চয় করুন

এবার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। আর সেটি হল, যখন আপনি ছাত্র অবস্থায় থাকবেন।

তখন কিন্তু আপনার শিক্ষা কাজে পাঠ্য বই কিনতে এবং খাতা কিনতে অনেক বেশি টাকা ব্যয় করার প্রয়োজন হয়।

যদিও বা এগুলো অনেক প্রয়োজনীয় ব্যয়। তবে আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাটাতে পারেন। তাহলে কিন্তু এই কাজেও আপনি অনেক টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনি বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছেন। এবং যে শিক্ষকরা আপনাকে পাঠ দান করে। তাদের কাছে পুরনো বই সংগ্রহ করুন।

আর যখন আপনি এভাবে আপনার প্রয়োজনীয় বই গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। তখন কিন্তু নতুন বই কেনার সময় যে পরিমাণ টাকা ব্যয় করতে হয়। সেই টাকা ব্যয় করা থেকে রেহাই পাবেন।

এর পাশাপাশি আপনার কাছে যদি মোবাইল অথবা কম্পিউটার থাকে। তাহলে আপনি আপনার ক্লাশের বই গুলো অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এবং অনলাইনের মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় বই গুলো পড়তে পারবেন।

তো আপনি যদি এই পদ্ধতি টি অনুসরণ করেন। তাহলেও কিন্তু আপনি প্রতি মাসে টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন।

আর এভাবেই যখন আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন। তখন আপনার টাকার পরিমাণ অনেক বেশি হবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। 

পরিকল্পিত বাজেট প্ল্যান মেনে চলুন

আমরা সবাই টাকা জমিয়ে রাখতে চাই কিন্তু আমরা কজন টাকা জমিয়ে রাখতে পারি। হয়তো প্রতিমাসে আমরা চেষ্টা করি যে, এই মাসে কিছু টাকা জমিয়ে রাখব।

কিন্তু দেখা যায় একের পর এক খরচ করতে করতে একটা সময় মাস শেষে। আবার সেই আগের মতো টাকার অভাব শুরু হয়ে যায়।

তো এই সমস্যা টি হওয়ার মূল কারণ হলো, আমরা আমাদের বাজেট পরিকল্পনা অনুযায়ী খরচ করিনা। 

আর যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি এই পরিকল্পিত বাজেট অনুযায়ী নিজের ব্যয় এর সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসতে পারবেন না।

ততক্ষণ আপনি কোনো ভাবেই কোনো অবস্থাতেই টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন না।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তাই আপনি যদি আপনার টাকা জমিয়ে রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার একটি পরিকল্পিত বাজেট প্ল্যান তৈরি করবেন।

এবং চেষ্টা করবেন সেই পরিকল্পিত বাজেট অনুযায়ী গোটা মাসের ব্যয় এর পরিমাণ সীমাবদ্ধ করার। তাহলে আপনি খুব সহজেই ছাত্র অবস্থাতেই টাকা জমা করে রাখতে পারবেন। 

নিজের পাঠ্যবই বিক্রি করুন

ছাত্র অবস্থায় আমাদের বিভিন্ন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে হয়। এবং পরবর্তীতে সেই শ্রেণিতে পড়ার জন্য নতুন নতুন বই কিনতে হয়।

কিন্তু যখন আমরা নতুন বই গুলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করি। এবং অন্য আরেক টি ক্লাসে উত্তীর্ণ হই। তখন কিন্তু পুরাতন বই গুলো কে আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দেইনা।

এবং আমাদের মধ্যে এমন অনেক ছাত্র থাকবেন। যারা মূলত তাদের পুরাতন বই গুলো স্টোর এর মধ্যে রেখে দেয়।

কিন্তু আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় টাকা জমিয়ে রাখতে চান। তাহলে কখনই এই কাজটি করবেন না।

বরং সর্বদা চেষ্টা করবেন আপনার পুরাতন বই গুলো বিক্রি করে দেয়ার। কারণ এমন অনেক বই থাকে যে গুলো পরবর্তী সময়ে আমাদের আর ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।

আর সেই বই গুলো কে আপনি যদি বিক্রি করে দেন। তাহলে কিন্তু সেখান থেকে আপনি বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এবং সেই টাকা গুলো আপনি আপনার নিজের কাছে জমা করে রাখতে পারবেন। যদিওবা এই টাকার পরিমাণ খুব একটা বেশি না।

তবে টাকা জমিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সব দিকেই সাশ্রয়ী হওয়া ভালো। এতে  করে আপনার জমা করা টাকার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। 

বাড়িতেই টিফিন রান্না করুন

আপনি কি একটা বিষয় চিন্তা করে দেখেছেন। আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পর থেকে। সেই প্রতিষ্ঠান এর আশেপাশে থাকা ক্যান্টিন, হোটেল কিংবা কনফেকশনারী তে খেতে।  আপনার কি পরিমান টাকা ব্যয় হয়?

হয়তোবা আপনি এই বিষয়টির দিকে তেমন একটা লক্ষ্য করেননি। আর যদি আপনি এই বিষয়টির দিকে গুরুত্ব না দিয়ে থাকেন।

তাহলে ‍শুনুন, ছাত্র অবস্থায় আমাদের অধিক পরিমাণ টাকা ব্যয় হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থাকা ক্যান্টিনে খাবার খেতে।

আর আপনি তো বেশ ভালো করে জেনে থাকবেন যে, অন্যান্য জায়গার তুলনায় এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে যে সকল  ক্যান্টিন বা কনফেকশনারী থাকে।

সে গুলো তে খাবারের দাম একটু বেশি হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার প্রয়োজনীয় খাবার গুলো বা আপনার স্কুলের টিফিন বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনার বাড়তি একটা টাকা খরচের পরিমাণ কমে আসবে। এভাবে আপনি যদি মাসের-পর-মাস নিজের বাড়ি থেকে টিফিনের খাবার নিয়ে যান।

তাহলে কিন্তু প্রতি মাসে আপনার অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। যা আপনার ছাত্র অবস্থায় টাকা জমিয়ে রাখার পরিকল্পনা কে আরো বেশি শক্তিশালী করবে।

তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার প্রয়োজনীয় টিফিনের খাবার গুলো বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে যাওয়ার। 

লোভ সম্বরণ করুন

যেহেতু বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা করা যায়। সে কারণে অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে, বিভিন্ন প্রকারের বিজ্ঞাপন দেখে আমরা সেগুলো কেনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি।

এবং নিজের টাকা খরচের কথা ভুলে গিয়ে, সেই সকল পণ্য গুলো অনলাইন থেকে কিনে নেই।

তো আপনি যদি এই কাজটি করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এই ধরনের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। কারণ আপনি যদি আপনার ব্যয় এর পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসতে না পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনি কোনো ভাবেই আপনার টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন না।

আর অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে সর্বদাই এই ধরনের প্রোডাক্ট কেনার জন্য চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তুু আপনি যদি সেই বিজ্ঞাপন গুলো দেখে হুট করেই প্রোডাক্ট কিনে নেন।

তাহলে কিন্তু আপনার খরচের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর এভাবে চলতে থাকলে লক্ষ করতে পারবেন যে, মাসে শেষে আপনার হাত খরচের টাকা শট পরে গেছে।

তখন টাকা জমিয়ে রাখা তো দূরের কথা। সেই মাসে আপনি কিভাবে আপনার পকেটে করে চালাবেন সে নিয়ে চিন্তিত থাকতে হবে।

তাই অবশ্যই আপনার নিজের মধ্যে থাকা এই ধরনের কেনাকাটা করার লোভ  করা থেকে বিরত থাকুন। তাহলে আপনি টাকা জমাতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ডিসকাউন্ট এর ফায়দা তুলুন

আপনি কোন একটি স্কুল এর মধ্যে পড়াশোনা করবেন কিংবা কোন ইউনিভার্সিটির মধ্যে পড়াশোনা করবেন। তখন অবশ্যই একটা বিষয় লক্ষ করতে পারবেন।

এটি হলো, এই সময়ে ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়ে থাকে।

তো আপনি যদি সেই সকল ডিসকাউন্স গুলো কে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার খরচ এর মধ্যে একটা সাশ্রয় চলে আসবে।

যেমন ধরুন, ছাত্রদের জন্য একটা অফার দেওয়া হলো। যেখানে তাদের প্রয়োজনীয় খাতা, কলম গুলো 20 পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে।

আর আপনি যদি তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের এই ডিসকাউন্ট এর মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনীয় খাতা কলম ইত্যাদি কিনে নিতে পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনার অনেক টাকা ব্যয় হওয়া থেকে রেহাই পাবেন।

তবে শুধুমাত্র খাতা অথবা কলমের দিক থেকে নয়। বরং আপনি যখনই দেখবেন আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো ডিসকাউন্ট দিচ্ছে।

তখন আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে সে গুলোর ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি প্রতিমাসে আপনার কাছে অনেক টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন।

টাকা জমা করার বিষয় কে গুরুত্ব দিন 

মানুষ হিসেবে আমরা মনের মধ্যে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করি। কিন্তু আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতো এগিয়ে যেতে পারি না।

এর কারন হল, আমরা কখনই নিজের তৈরি করাই পরিকল্পনা গুলো কে গুরুত্ব দেইনা। ঠিক তেমনি ভাবে ছাত্র অবস্থায় আমরা বিভিন্ন সময় নিজের কাছে টাকা জমিয়ে রাখার চেষ্টা করি।

কিন্তু এই  চেষ্টা কে খুব একটা গুরুত্ব না দেয়ার কারণে। আমরা কখনো নিজের কাছে টাকা জমিয়ে রাখতে পারিনা।

তো এই ক্ষেত্রে টাকা জমিয়ে রাখার বিষয়টির দিকে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিন। এবং নিজের মধ্যে একটা সংকল্প করুন, যে ভাবেই হোকম, আপনি এখন থেকেই নিজের কাছে টাকা জমানো শুরু করবেন।

আর যদি আপনি এই সংকল্প নিজের মনের মধ্যে ধরে রাখতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন।

অন্যথায় আপনার শুধুমাত্র পরিকল্পনা করেই সময় পার হবে। তবুও আপনি টাকা জমা করতে পারবেন না।

টাকা জমানোর উপায় নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আপনাদের জন্য আজকের এই আলোচনাটি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। কারণ আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, ছাত্রদের টাকা জমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে। 

এবং আমি আপনাকে বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে বলেছি। সে গুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনি ছাত্র অবস্থায় টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন।

আপনি আরোও দেখুন…

আর আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো শেয়ার করি। যদি আপনি এই তথ্য গুলো সবার আগে জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিটর হওয়ার চিন্তা করবেন। 

আর এতক্ষণ ধরে আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ার জন্য, আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং ছাত্র থাকা অবস্থায় টাকা জমিয়ে রাখুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top