OTP কি | OTP এর পূর্ণরূপ কি | What is OTP full form in Bengali

OTP কি : পাসওয়ার্ড (Password) হল আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস।

আমাদের মূল্যবান ব্যাংক একাউন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হয়।

OTP কি | OTP এর পূর্ণরূপ কি

আর যদি কোন ভাবে আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড গুলো অন্য কেউ জেনে যায় তাহলে আপনি বেশ বিপাকে পড়ে যাবেন।

তবে আপনি যেন এই বিপাকে না পারেন, সেজন্য পাসওয়ার্ড এর নতুন একটি প্রকারভেদ আবিষ্কৃত হয়েছে, যাকে বলা হয় ওটিপি (OTP).

আর সে কারণেই বর্তমানে বেশিরভাগ সময়ে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ওটিপি (OTP).

তবে বর্তমান সময়ে এসেও এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাবেন যারা মূলত জানেনা যে OTP কি বা ওটিপি কাকে বলে, What is OTP in bengali and what is OTP meaning in Bengali.

মূলত ওটিপি হলো এক ধরনের ভেরিফিকেশন ফরম বা কোড যার মাধ্যমে আপনি কোন একাউন্ট বা ডিভাইস এর মালিক সেটা প্রমাণ করা যায়।

যার ফলে হ্যাকিং এর মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

আপনি আরোও দেখুন…

তবে প্রযুক্তির এই সময়ে এসেও আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ওটিপি কি এবং ওটিপি এর কাজ কি তাহলে ভেবে নিবেন যে আপনি এখনো অনেক পিছিয়ে আছেন।

আর সে কারণে ওটিপি কি (OTP mane ki) সেটা জেনে নেওয়াটা আপনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তো চলুন আজকে তাহলে জেনে নেয়া যাক যে, OTP মানে কি।

OTP কি (What is otp in bengali) 

সহজ ভাষায় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড কে বলা হয়ে থাকে ওটিপি। আমরা যেমন আমাদের জিমেইল, ফেসবুক ইত্যাদিতে একটা পাসওয়ার্ড (Password) ব্যবহার করি।

এবং সেই পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে পরবর্তী সময় গুলোতে আমরা আমাদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট গুলো তে log in করতে পারি।

কিন্তু ওটিপি এক ধরনের বিশেষ পাসওয়ার্ড যেটা কি আপনি শুধুমাত্র একবার ব্যাবহার করতে পারবেন।

এবং যতবার আপনি ওটিপি গ্রহণ করবেন ঠিক ততোবারই আপনি নতুন নতুন পাসওয়ার্ড পাবেন।

পাসওয়ার্ড এর অনেকগুলো ভাগ রয়েছে তবে তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম এবং সুরক্ষিত হল ওটিপি পাসওয়ার্ড।

কারণ এই ওটিপি এর মাধ্যমে আপনি কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কোন একটা ডিভাইস এর মালিকানা প্রমাণিত করতে পারবেন।

কেননা এখানে শুধুমাত্র ওয়ানটাইম একটি পাসওয়ার্ড দেয়া হয় এবং যখন আপনার কাছে এই পাসওয়ার্ড থাকবে।

তার মানে হলো আপনি উক্ত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট অথবা উক্ত ডিভাইস এর মালিক।

ওটিপি ভেরিফিকেশন ফরম পদ্ধতি আসার পর থেকে আমরা হ্যাকিং থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত আছি। কারণ যদি কেউ আপনার ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড জেনে যায়।

কিন্তু যদি তার কাছে এই ওটিপি পাসওয়ার্ডটি না থাকে। তাহলে সে কখনোই আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবে না। আর এই বিশেষ কারণে কিন্তু ওটিপি অর্থাৎ ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মোবাইল otp মানে কি?

মোবাইল ওটিপি একটি দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়া যা একটি মোবাইল ডিভাইসে পাঠানো এক-কালীন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে।

পাসওয়ার্ডটি একটি অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে বা অর্থপ্রদান করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মোবাইল ওটিপি প্রথাগত পাসওয়ার্ডের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত এবং অনেক বেশি লোক মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করার কারণে এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

OTP এর পূর্ণরূপ কি (OTP meaning in Bengali)

OTP কি, সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে ওটিপি (OTP) হলো একটি শব্দ সংক্ষেপ এবং এই শব্দ সংক্ষেপ এর একটি পূর্ণ রুপ আছে।

তাই এবার আপনাকে Otp এর পূর্ণরূপ কি তা জেনে নিতে হবে। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

OTP এর পূর্ণরুপ হলো, One Time Password. অর্থাৎ আমরা বেশিরভাগ সময় একটি পাসওয়ার্ড দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারি।

কিন্তু যখন আপনি এই ওটিপি নাম্বার ব্যবহার করবেন তখন। সে পাসওয়ার্ডটি আপনি শুধুমাত্র একবারের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যতবার একটি করে ওটিপ দিয়ে পাসওয়ার্ড পাবেন। ঠিক ততবার আপনি ভিন্ন ভিন্ন OTP দেখতে পারবেন।

OTP এর কাজ কি ?

ওটিপি হলো সরাসরি কোন সিস্টেম থেকে জেনারেট হয় একটি প্রযুক্তি। যখন আপনি কোন একটি সিস্টেম ব্যবহার করবেন তখন সেই সিস্টেম থেকে সরাসরি একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।

এবং আপনি শুধুমাত্র আপনার কাজের জন্য এই পাসওয়ার্ডটি কে একবার ব্যবহার করতে পারবেন। এখন হয়তো বা আপনি ভাবছেন OTP আসলে কিভাবে কাজ করে।

হোয়াট ইস ওটিপি মানে কি এই নিয়ে আপনার মনে আর প্রশ্ন থাকার কথা না। চলুন এবার তাহলে Otp এর কাজ কি সে সম্পর্কে একটু ধারনা নেওয়া যাক।

মনে করুন আপনার কি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে, এবং সেই একাউন্টে নিরাপত্তার জন্য আপনি টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে রেখেছেন।

এবার যখন আপনি অন্য কোন ডিভাইস থেকে আপনার সেই ফেসবুক আইডিতে লগইন করবেন। তখন ফেসবুক থেকে আপনাকে একটি ওটিপি নাম্বার (OTP Number) পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

আর যখন আপনি সেই one time passwordটি প্রয়োগ করবেন। ঠিক তখনি আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন।

তো এই যে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড টি রয়েছে সেটা কিন্তু আপনি সরাসরি ফেসবুক থেকে পাবেন। আর যেহেতু এটা ফেসবুক থেকে এসেছে সেহুতু আপনি যখন এই ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড টি ব্যবহার করবেন।

তখন ফেসবুক বুঝে নিবে যে আপনি এই আইডির অরজিনাল মালিক। আর তখনই আপনাকে আপনার ফেসবুক আইডিটি ব্যবহার করার পারমিশন দিবে।

তবে এটি শুধুমাত্র ফেসবুকের জন্য নয় বরং ফেসবুক বাদেও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে কিন্তু ওটিপি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যার ফলে আমরা নিরাপত্তার সাথে আমাদের লেনদেন গুলো করতে পারি। এবং কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের একাউন্টের আসল মালিকানা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকে।

OTP কেন ব্যবহার করা হয়?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি ওটিপি কি (OTP কি) সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তো এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে ওটিপি আসলে কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর যদি ওটিপি না থাকতো তাহলে আমাদের কি কি সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো।

চলুন এবার তাহলে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। তাহলে আপনার এই বিষয় সম্পর্কিত কোন জিনিস অজানা থাকবে না।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

বর্তমান সময়ে আপনি যে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন সেই অ্যাকাউন্টের মালিক আপনি নাকি অন্য কেউ সেটা প্রমান করার জন্য মূলত ওটিপি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এই ওটিপি কোড টি ব্যবহার করার ফলেই একজন কতৃপক্ষ সেই একাউন্টের আসল মালিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। চলুন এই বিষয়টিকে আর একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক।

মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে এবং আপনার সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড আমার জানা আছে।

এখন আমি চাইলে আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার সেই একাউন্টে লগইন করতে পারবো। এবং আপনার অনুপস্থিতিতে আমি আপনার ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে অনেক কিছুই করতে পারবো।

কিন্তু এই আইডিটি আসলে আপনি ব্যবহার করছেন, নাকি আমি ব্যবহার করতেই সে সম্পর্কে কিন্তু ফেসবুকের কোন ধারণা থাকবে না।

কিন্তু আপনার ফেসবুক আইডিতে যে মোবাইল নাম্বার সেভ করা আছে। সেই নাম্বারে যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে একটি ওটিপি কোড পাঠায়।

তাহলে কিন্তু সেই কোডটি আপনি ছাড়া আমি খুঁজে বের করতে পারবো না।

কারণ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড আমার জানা থাকলেও আপনার ব্যবহার করা ঐ সিমটি কিন্তু আমার কাছে থাকবে না।

এবং প্রত্যেকটি ওটিপি কোড এর একটা সময় থাকে, যেমন একটি ওটিপি কোড এর ব্যবহার 1 থেকে 5 মিনিটের মধ্যেই করতে হয়।

যদি এর থেকে বেশি সময় পার হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেই ওটিপি কোড টি আর কাজ করে না।

এই মুহূর্তে আমি যদি আপনার সেই ওটিপি কোড টি সম্পর্কে জানতে না পারি তাহলে কিন্তু আপনার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড জেনে আমার কোন লাভ হবে না।

যার ফলে আপনার ফেসবুক আইডিটি সুরক্ষিত থাকবে এবং আপনি কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।

আর এ কারণেই মূলত বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ওটিপি কোড এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওটিপি কত প্রকার বা ওটিপি কত ধরনের আছে ?

সবার শুরুতে আমরা জানতে পারলাম যে পাসওয়ার্ড এর একটি উন্নত প্রযুক্তি হল ওটিপি। যার মাধ্যমে কোনো একটি একাউন্ট এর আসল মালিকানা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

তো উপরের আলোচনা থেকে ওটিপি কি (OTP কি) তা জানার পরে এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে ওটিপি আসলে কত প্রকার ও কি কি।

কেননা সব বিষয়ের যেমন প্রকারভেদ আছে ঠিক তেমনিভাবে ওটিপি এর ও ভিন্ন ভিন্ন প্রকার রয়েছে। তো চলুন এবার তাহলে সেই kind Of Otp সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

০১| SMS OTP

যখন আপনি আপনার কোনো অ্যাকাউন্ট এর মালিকানা ভেরিফিকেশন করার জন্য Message Otp Verify ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলা হবে SMS OTP. 

মনে করুন আপনি কোন ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন করবেন। সে ক্ষেত্রে সেই ব্যাংক থেকে আপনার দেয়া মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড প্রদান করলো।

আর আপনি সেই পাসওয়ার্ড কে ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন করলেন।

তো আপনি যেভাবে আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পেলেন। মূলত এ কারণেই এই ধরনের ওটিপি গুলোকে বলা হয়ে থাকে SMS OTP.

০২| Voice OTP

ক্ষেত্রবিশেষে আপনি এসএমএস প্রযুক্তি ছাড়াও ভয়েস ওটিপি দিয়ে আপনার এখনতো এর মালিকানা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারবেন।

মনে করুন আপনি কোন একটি ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন করতে গেছেন। এবং সেই সময় উক্ত ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি ভয়েস দেওয়া হল এবং সেই ভয়েস এর মধ্যে কয়েকটি ডিজিটের একটা কোড দেওয়া হলো।

এবং সেই কোডটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যাংকের লেনদেন সম্পন্ন করলেন। তো আপনি যে এইভাবে ভয়েস এর মাধ্যমে একটা One Time Password  পেলেন।

সেজন্য এই ধরনের ওটিপি গুলোকে বলা হয়ে থাকে Voice OTP.

০৩| Push Notification OTP

কোন একটি একাউন্টের মালিকানা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য সবচেয়ে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো পুশ নোটিফিকেশন ওটিপি।

মনে করুন আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ লগিন করতে চাচ্ছেন। ঠিক এই সময়ে ফেসবুক থেকে আপনাকে একটি নোটিফিকেশন দেওয়া হল যে আপনি কি আপনার একাউন্টে লগিন করার রিকুয়েষ্ট দিয়েছেন কি না।

এখন আপনি যদি সেই নোটিফিকেশনে জানিয়ে দেন যে আপনি সেই ব্যক্তি যে কিনা আপনার একাউন্টে লগিন করতে যাচ্ছেন।

তাহলে কিন্তু ফেসবুক আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার এক্সেস প্রদান করবে। আর এই কারনেই এই ধরনের ওটিপি গুলোকে বলা হয়ে থাকে Push Notification OTP.

OTP কি কি কাজে লাগে ? 

OTP কি এবং OTP এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানার পর এবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারি, যে এই ওটিপি কোড গুলো আসলে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যদিওবা ওটিপি কোড বর্তমান সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যে আমি জনপ্রিয় কিছু ব্যবহার সম্পর্কে এবার আলোচনা করার চেষ্টা করব।

  1. যখন আপনি অনলাইনে আপনার মালিকানা ভেরিফিকেশন করবেন তখন এই ধরনের ওটিপি কোড গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  2. আপনি যদি আপনার একাউন্ট গুলোকে অন্য কোন ডিভাইস থেকে বা অন্য কোন ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপস থেকে লগিন করতে চান সে ক্ষেত্রে ওটিপি এর প্রয়োজন পড়বে।
  3.  অনলাইনে কোন প্লাটফর্মে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় আপনার ফোন নম্বর ভেরিফিকেশন করার জন্য এই ধরনের ওটিপি কোড এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  4.  যখন আপনি আপনার অনলাইনের কোন পাসওয়ার্ড ভুলে যাবেন তখন সেই পাসওয়ার্ড কে নতুনভাবে সেটাপ করার জন্য এই ধরনের ওটিপি কোড এর প্রয়োজন হয়।

আসলে ওটিপি মূলত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে যেগুলো অনেক প্রয়োজনীয় সেগুলো নিয়ে আমিও উপরে আলোচনা করলাম।

আশা করি সে সম্পর্কে আপনি একটা পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

OTP ব্যবহারে সতর্কতা 

এই ধরনের ওটিপি ভেরিফিকেশন যেমন আমাদের সিকিউরিটি প্রদান করে।

ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের অসচেতনতার কারণে কিন্তু এই ধরনের ওটিপি কোড এর কারণেই আমাদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

যেমন ধরুন, আপনার ফোনে একটি ওটিপি কোড আসলো এবং তারপরেই কেউ আপনাকে ফোন করে সেই ওটিপি কোড জানতে চাইলো।

এবার আপনি যদি সেই ব্যক্তিকে আপনার ফোনে আসা ওটিপি কোড টি প্রদান করেন। তাহলে কিন্তু আপনি নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

মূলত কর্তৃপক্ষ থেকে আসা OTP Code আপনার জন্য শুভ হলেও আপনার অসাবধানতার কারণে তা আপনার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তাই পাসওয়ার্ড কে যেমন আমরা মানুষের কাছে গোপন রাখি। ঠিক তেমনিভাবে এই ধরনের ওটিপি কোড গুলোকেও যথেষ্ট গোপন রাখা উচিত।

কারণ যখন আপনার এই গোপন ওটিপি কোড গুলো কেউ জানতে পারবে। তখন আপনার অজান্তেই বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এর এক্সেস পেয়ে যাবে।

এর পরবর্তীতে সে ব্যক্তি আপনার একাউন্টে তার ইচ্ছামত কন্ট্রোল করতে পারবে। যা আপনার জন্য কখনোই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

OTP এর সুবিধা কি কি ? 

যদি আপনি এই ওটিপি নাম্বার ব্যবহার করেন তাহলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর আপনি আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন এবার সেগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করবো। চলুন এবার তাহলে Advantage of OTP সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

  1. ওটিপি কোড ব্যবহার করার ফলে আপনার কোন একাউন্টে আইডি অথবা পাসওয়ার্ড জানার পরেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবে না।
  2. ওটিপি কোড ব্যবহার করার ফলে আপনি আপনার একাউন্টে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
  3. আপনি আপনার একাউন্টের আসল মালিক সেটা কিন্তু ওটিপি কোড এর মাধ্যমেই ধারণা দেওয়া সম্ভব।
  4. এই ধরনের ওটিপি কোড গুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোন প্রকার ফি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। অর্থাৎ আপনি গুরুত্বপূর্ণ এই সার্ভিসটি একবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

তো যদি আপনি OTP Number ব্যবহার করেন তাহলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন তা আমি ওপরে আলোচনা করেছি।

আর যদি আপনি এই সুবিধাগুলো ভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওটিপি কোড এর ব্যবহার করতে হবে।

OTP কি নিয়ে আমাদের কিছুকথা

বর্তমান সময়ে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ব্যাংকিং ব্যবস্থা পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আর এই অনলাইন মাধ্যম গুলো তে হ্যাকিং নামক শব্দটি বেশ ভয়ঙ্কর। কারণ একজন হ্যাকারের কাছে যদি আপনার কোনো পার্সোনাল ইনফরমেশন চলে যায়।

তাহলে কিন্তু আপনাকে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

আর এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নতুন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে যাকে বলা হয় ওটিপি ভেরিফিকেশন (OTP Verification).

যার মাধ্যমে একটি একাউন্ট এর আসল মালিক কে নির্ধারণ করা যায়। এর ফলে আমাদের অ্যাকাউন্টগুলো একেবারেই সুরক্ষিত থাকে।

আর সে কারণেই আজকের আর্টিকেলে আমি ওটিপি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আজকের এই আর্টিকেল আপনি জানতে পেরেছেন যে ওটিপি কি (OTP কি), কেন OTP ব্যবহার করা হয় এবং এটি ব্যবহারে কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

তবে আপনি যদি ওটিপি (OTP) সম্পর্কিত আরো অজানা কোন তথ্য জানতে চান। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর এরকম হবে না বিষয়গুলোকে সহজ ভাষায় জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top