পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় – Old laptop buying guide in bengali

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি? হয়তবা আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তো যদি আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় - old laptop buying guide in bengali
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়

তাহলে একটা কথা জেনে রাখুন, পুরাতন ইলেকট্রনিক্স পণ্য বা পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় কেনার আগে বিশেষ কিছু বিষয়টি কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হয়।

আর আপনি যদি সেই বিষয় গুলো কে গুরুত্ব না দেন। তাহলে কিন্তু সেই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার পরে। আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

তো আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা মূলত পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান।

আর এই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে কোন বিষয় গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি কিভাবে একটি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার পরেও মানসম্মত কোয়ালিটি পাবেন।

সে সম্পর্কে আজকের আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তো চলুন পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি তা জেনে নেওয়া যাক। 

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি জানা জরুরী ?

বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। আর আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা টুকটাক কাজের জন্য একটা পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চায়্।

তবে এই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে আমরা একটা কনফিউশনের মধ্যে পড়ে যাই। সেটি হলো, পুরাতন ল্যাপটপ কেনার পরে। আমরা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারব কিনা।

আপনি আরোও দেখুন…

সে বিষয়ে একটা সংশয় থেকে যায়। তো এবার আমি আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে বলব।

যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি অনেক মানসম্মত কোয়ালিটির পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। আর সেই বিষয় গুলো নিয়ে এবার আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব। 

সমস্ত উপলব্ধ পোর্ট টেস্ট করুন

আপনি হয়তো বা বেশ ভালো করেই লক্ষ্য করতে পারবেন। একটি ল্যাপটপ এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পোর্ট থাকে।

এবং এই সকল পোর্ট দিয়ে আপনি আপনার ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। যেমন, ল্যাপটপে আলাদা ভাবে কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

মাউস ব্যবহার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কানেক্ট করতে পারবেন।

কিন্তু একটি পুরাতন ল্যাপটপের মধ্যে থাকা এই ধরনের পোর্ট গুলো ঠিক আছে কিনা। তা অবশ্যই চেক করে নিবেন।

সেই সাথে আপনার পুরাতন ল্যাপটপ এর চার্জিং পোর্ট এর মধ্যে কোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা। তা যথাযথ গুরুত্বের সাথে চেক করবেন।

কারণ যদি আপনার ল্যাপটপের মধ্যে চার্জিং পোর্ট এর সমস্যা হয়। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার ল্যাপটপ দিয়ে ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না।

তাই অবশ্যই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে সেই ল্যাপটপের মধ্যে থাকা সকল পোর্ট গুলো চেক করে নিবেন।

কী-বোর্ড চেক করুন

যেহেতু আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন। সেহেতু অবশ্যই একটা কথা মাথায় রাখবেন।

আর সেই কথাটি হলো, প্রায় অধিকাংশ পুরাতন ল্যাপটপ এর মধ্যে কমন একটি সমস্যা দেখা যায়। সেটি হল, কিবোর্ড এর সমস্যা।

অর্থাৎ পুরাতন ল্যাপটপ এর কিবোর্ড গুলোতে এমন অনেক ধরনের বাটন থাকে্। যে গুলো একেবারেই নষ্ট। কিন্তু আপনি যতই পুরাতন ল্যাপটপ কিনুন না কেন।

এই ধরনের নষ্ট বাটন যুক্ত কিবোর্ড এর ল্যাপটপ কেনা থেকে বিরত থাকবেন। আর এটি চেক করার জন্য আপনার পুরাতন ল্যাপটপ এর প্রত্যেক টি বাটন বারবার প্রেস করবেন।

যদি আপনার প্রেস করার সাথে সাথেই বাটন গুলো সঠিক আউটপুট প্রদান করে। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, সেই কিবোর্ড এর মধ্যে থাকা বাটন গুলো এখনো সচল রয়েছে।

এর পাশাপাশি আপনি অনলাইন এর মধ্যে এমন অনেক ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। যে ওয়েবসাইট গুলো থেকে খুব সহজেই একটি ল্যাপটপের কিবোর্ড চেক করা যায়।

আর আপনি এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার সেকেন্ডহ্যান্ড ল্যাপটপের কিবোর্ড এর কোয়ালিটি চেক করতে পারবেন। 

ক্যামেরা এবং অডিও কোয়ালিটি চেক করুন

যখন আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ থাকবে। তখন অবশ্যই আপনি সেই ল্যাপটপ এর মাধ্যমে অনলাইনে আপনার বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে চাইবেন।

কিন্তু আপনার কিনে নেওয়া পুরাতন ল্যাপটপের ক্যামেরা যদি খারাপ হয়। তাহলে কিন্তু আপনার অনলাইনে ভিডিও কলে কথা বলার সময় ক্লিয়ার দেখতে পারবেন না।

আর যে সকল ল্যাপটপ দীর্ঘদিনের পুরোনো। সেই ল্যাপটপ গুলোর ক্যামেরা খারাপ থাকে। তাই অবশ্যই আপনি এই বিষয়টির দিকে যথাযথ গুরুত্ব দিবেন।

এর পাশাপাশি আপনার কিনে নেওয়া ল্যাপটপের অডিও কোয়ালিটি কতটা মানসম্মত সেটাও চেক করে নেবেন।

কারণ ল্যাপটপ কেনার পরে আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বিভিন্ন সময় আপনার পছন্দের গান গুলো শোনার সময়। যদি দেখেন যে. আপনার ল্যাপটপ এর সাউন্ড কোয়ালিটি একেবারে খারাপ।

তাহলে কিন্তু আপনার আর ল্যাপটপে গান শুনতে ভালো লাগবে না।

তাই অবশ্যই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় ক্যামেরা ও অডিও কোয়ালিটি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে যাচাই করবেন। তারপর পুরাতন ল্যাপটপ কেনার কথা ভাববেন। 

সর্বদা অনলাইন রিভিউ দেখে নিন – (Always Check Online Reviews)

বর্তমান সময়ে আপনি যখন কোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয় করার কথা ভাববেন। তখন অবশ্যই সেই পণ্য সম্পর্কে অনলাইন রিভিউ দেখে নিবেন।

কেননা আপনি যে ইলেকট্রনিক্স পণ্যটি কিনতে চাচ্ছেন। সেটি আপনার মত অনেক মানুষ আগে কিনে নিয়েছে।

এবং কিনে নেওয়ার পরে সেটি ব্যবহার করার পরে। তাদের কেমন লেগেছে. সে গুলোর ফিডব্যাক দিয়েছে।

আর আপনি যদি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান। এবং আপনার কাঙ্খিত ল্যাপটপের মডেল সম্পর্কে যখন অনলাইন থেকে রিডিং জানবেন।

তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, মানুষ আপনার ল্যাপটপ কেনার পরে কতটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে।

এর পাশাপাশি সেই ল্যাপটপের মধ্যে যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে। তাহলে কিন্তু আপনি এই অনলাইন রিভিউ থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগেই জেনে নিতে পারবেন।

আর সে কারণেই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে সর্বপ্রথম। সেই ল্যাপটপ এর মডেল সম্পর্কে অনলাইন রিভিউ দেখে নিতে হয়।

আর আপনাকেও অবশ্যই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার ল্যাপটপ চেক করতে হবে।  

ট্রানজ্যাকশন প্রুফ দেওয়ার দাবি করুন – (Ask for a Transaction Proof)

যখন আপনি ল্যাপটপ কিনতে যাবেন। তখন আপনাকে আরো বেশি বিষয়টি কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে মালিকের কাছ থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনছেন।

সেই মালিকের কাছে উক্ত ল্যাপটপ এর বৈধতা আছে কিনা সেটা অবশ্যই আপনাকে যাচাই করতে হবে। সে ক্ষেত্রে এই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় কোন শোরুম থেকে কিনেছিল।

এবং সেই শোরুম এর রশিদ আছে কিনা তা অবশ্যই পরখ করে নিবেন। এর পাশাপাশি সেই রশিদের মধ্যে থাকা মোবাইল নম্বরে ফোন করে।

উক্ত ল্যাপটপ এর বৈধতা যাচাই করতে পারবেন। তবে যখন আপনি কোন পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন। তখন রশিদ এর মধ্যে থাকা শোরুম নম্বরে ফোন করে।

তাদের কে জানিয়ে দিবেন যে, এখন থেকে উক্ত ল্যাপটপ কিনে নিয়েছেন। এবং এখন আপনি সেই পুরাতন ল্যাপটপ এর মালিক।

আর যদি আপনি এই কাজটি করেন। তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময় আপনাকে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এবং পুরাতন ল্যাপটপ এর ট্রানজেকশন প্রুফ এর মাধ্যমে।

আপনি জানতে পারবেন যে, সেই পুরাতন ল্যাপটপ কত বছর আগে কেনা হয়েছিল। এবং কতবার মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে। 

কোনও গভীর স্ক্র্যাচ আছে কিনা নিশ্চিত করুন

একটি ল্যাপটপ কে যখন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয়। তখন সেই ল্যাপটপ এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দাগ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

কিন্তু যখন আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে যাবেন। তখন সেই ল্যাপটপের মধ্যে থাকা এই ধরনের সমস্যা গুলো সাধারণ ভাবে দেখতে পারবেন না।

কেননা একই ল্যাপটপের মধ্যে যখন কোন দাগ থাকে। তখন সেই দাগ গুলো কে অনেক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হয়।

আর আপনার যদি আগে থেকে ল্যাপটপ সম্পর্কে কোন ধরনের ধারনা না থাকে। তাহলে কিন্তু এই ধরনের পুরাতন ল্যাপটপ এর মধ্যে থাকা সমস্যা গুলো কে শনাক্ত করতে অনেক কষ্ট হবে।

কিন্তু আপনি যদি এই বিষয় গুলো কে গুরুত্ব না দেন। তাহলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে ল্যাপটপ কেনার পরে এই সমস্যা গুলো আপনার নজরে আসবে। এবং পরে আপনি আফসোস করতে থাকবেন।

তাই যখন আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন। তখন অবশ্যই আপনার সাথে এমন একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি কে রাখবেন। যে ব্যক্তির ল্যাপটপ সম্পর্কে যথেস্ট ধারণা আছে।

তাহলে আপনার  পুরাতন ল্যাপটপের মধ্যে থাকা গভীর দাগ গুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন।

ডেড পিক্সেল আছে কিনা দেখতে ডিসপ্লে চেক করুন

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় যে বিষয়টির দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। সেটি হল, ল্যাপটপের ডিসপ্লে কেমন আছে তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া।

কারন একটি ল্যাপটপ যখন এক বছর কিংবা দুই বছর ব্যবহার করা হয়। তখন সেই ল্যাপটপ এর ডিসপ্লের বিভিন্ন পিক্সেল ডেট হয়ে যায়।

আর আপনি হঠাৎ করে খালি চোখে ল্যাপটপের ডেড পিক্সেল খুঁজে পাবেন না। সে জন্য আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

এবং খুব সূক্ষ্মভাবে লক্ষ করতে হবে যে, সেই ডিসপ্লের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা আছে কিনা। আর যদি কোনো কারণে আপনি এই ধরনের সমস্যায় দেখতে পারেন।

তাহলে সেই ল্যাপটপ গুলো না কেনাই ভালো হবে। কারণ ল্যাপটপ ডিসপ্লের মধ্যে যখন এই ধরনের সমস্যা শুরু হয়। তখন কিন্তু এই সমস্যা টি ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকে।

আর একটা সময় পুরো ডিসপ্লের মধ্যে আর কিছুই দেখতে পাওয়া যাবে না। 

তাই চেষ্টা করবেন পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় এই ধরনের ডেড পিক্সেল আছে কিনা। তা অবশ্যই খুব গুরুত্বের সাথে যাচাই বাচাই করবেন। 

সিপিইউ, জিপিইউ, র‌্যাম ও ডিস্ক পারফরম্যান্স টেস্ট করুন

যেহুতু আপনি একটি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনি আপনার ল্যাপটপ দিয়ে মাল্টিটাস্কিং এর কাজ গুলো করবেন এটা স্বাভাবিক।

তো বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স এর প্রোডাক্ট গুলো নতুন অবস্থায় যেমন পারফরম্যান্স দেয়। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে সেই ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট এর পারফর্মেন্স একটু হলেও খারাপের দিকে যায়।

কারণ দীর্ঘ সময় ধরে একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করার ফলে। কয়েক বছর পর সেই ল্যাপটপের পারফরমেন্স একটু হলেও খারাপ হবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তবে আপনি যেহেতু টাকা খরচ করে একটা পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন। সেহেতু চেষ্টা করবেন এমন কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ নেয়ার। যাতে করে আপনি আরও কয়েক বছর সেই ল্যাপটপ কে ব্যবহার করতে পারেন।

সেই সাথে বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম গুলোর যতটা উন্নতি হয়েছে। সেই উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে আপনার পুরাতন ল্যাপটপের কনফিগারেশন ম্যাচিং করবে কিনা।

সে বিষয়েও যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন। যেমন ধরুন, বর্তমান সময়ে হার্ডডিক্স এর চাইতে ল্যাপটপ এসএসডি ব্যবহার করা হয়।

কারণ এসএসডি এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ফাস্ট করা সম্ভব। 

একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপে কিরূপ স্পেসিফিকেশন থাকা আবশ্যক ?

বর্তমান সময়ে আমরা যারা সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছি। তাদের মনে এক ধরনের কনফিউশন কাজ করে।

প্রথমত সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ দ্বিতীয়ত, সেই ল্যাপটপ থেকে কেমন সার্ভিস পাওয়া যাবে। সেটা নিয়ে সর্বদাই একটা সংশয় থাকে।

তো আপনার মনেও যদি এই ধরনের সংশয় থেকে থাকে। তাহলে আপনাকে এবার আমি কিছু কথা বলব। 

আর আপনি যদি সেই কথাগুলো অনুসরণ করেন। তাহলে কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন যে,. বর্তমান সময়ে কেমন কনফিগারেশন এর সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনা উচিত।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপ স্পিসিফিকেশন থাকা আবশ্যক।

8 জিবি র‌্যামঃ দেখুন বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি অনেকটা এগিয়ে গেছে’। সে ক্ষেত্রে আমরা যে সকল আপডেট ল্যাপটপ গুলোর দেখতে পাই।

সে গুলো তে যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা হয়। তার সব গুলোই আপডেট ভার্সন হয়েছে। 

সে ক্ষেত্রে আগের দিনের তুলনায় এখন আমাদের পুরাতন ল্যাপটপ গুলো তে। অনেক বেশি র‌্যাম এর প্রয়োজন হবে। আর আপনি যতই পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন না কেন।

চেষ্টা করবেন সেই ল্যাপটপ এর মধ্যে যেন কমপক্ষে ৮ জিবি র‌্যাম থাকে।

AMD Ryzen Processor: দেখুন, একটি ল্যাপটপ এর মধ্যে কেমন সার্ভিস পাওয়া যাবে। তার অনেকটাই নির্ভর করে সেই ল্যাপটপে কোন ধরনের প্রসেসর যুক্ত করা আছে।

আর আপনি তো বেশ ভালো করেই জানেন যে এখন সবকিছুই আপডেট ভার্সন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পুরাতন ল্যাপটপ আপডেট প্রসেসর থাকে।

তাহলে কিন্তু আপনি সেই পুরাতন ল্যাপটপ দিয়ে অনেক ফাস্ট কাজ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনার সেই পুরাতন ল্যাপটপ এর মধ্যে কত তম জেনারেশন আছে। সেটি চেক করে নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

Display Resolution: আপনি নতুন ল্যাপটপ কিনছেন নাকি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনছেন সেটা বড় কথা নয়। বরং সেই ল্যাপটপের মধ্যে কেমন ডিসপ্লে রেজুলেশন আছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আর সেকেন্ডহ্যান্ড বা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই সেই ল্যাপটপের ডিসপ্লে রেজুলেশন এর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।

এর পাশাপাশি একটা কথা মাথায় রাখবেন। সেটি হল, উক্ত ল্যাপটপ এর ডিসপ্লে রেজুলেশন সর্বনিম্ন 1920*1080  পিক্সেল এর হলে সেটা মানসম্মত।

SSD Storage: বর্তমান সময়ে যদি আপনার ল্যাপটপ এর মধ্যে এসএসডি না থাকে। তাহলে কিন্তু আপনি কোনো ভাবেই আপনার ল্যাপটপ ব্যবহার করে সুবিধা পাবেন না।

কারণ এসএসডি এর সাহায্য আপনি অনেক দ্রুত গতিতে আপনার ল্যাপটপ কে ব্যবহার করতে পারবেন।

আর এই ব্যবহারের গতি এতটাই বেশি যা কল্পনার বাইরে। কারন আপনার ল্যাপটপ এর মধ্যে যদি এইচডিডি থাকে। তাহলে আপনার ল্যাপটপ তুলনামূল কভাবে অনেক স্লো কাজ করবে।

সেজন্য অবশ্যই আপনার পুরাতন ল্যাপটপ এর মধ্যে এসএসডি আছে কিনা তা চেক করে নিবেন।

একটি ব্যবহৃত বা রিফারবিশড ল্যাপটপ কেনা উচিত কী ?

আমরা এতক্ষন থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি সে বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এর পাশাপাশি যখন একজন ব্যক্তি পুরাতন লেপটপ কিনবে। তখন তার ল্যাপটপ এর মধ্যে কেমন কনফিগারেশন থাকতে হবে। সে বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছি।

কিন্তু তারপরও আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকবেন। যারা এই ধরনের পুরাতন ব্যবহার করা ল্যাপটপ কিনতে ভয় পায়।

কারণ যদি কোনো কারণে নিজের টাকা খরচ করে একটি পুরাতন ল্যাপটপ কিনে নেয়ার পরে। সেই ল্যাপটপ খারাপ হয়ে যায়।

তাহলে কিন্তু আপনার সব টাকা নষ্ট হয়ে যাবে। তো আপনার মনেও যদি এমন ভয় থাকে। তাহলে আপনাকে কিছু কথা জেনে রাখুন।

শুনুন, বর্তমান সময়ে আপনি আমাদের বাংলাদেশের দিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন। আমাদের দেশে এখন অনেক মার্কেট তৈরি হয়েছে।

যেখানে শুধুমাত্র সেকেন্ডহ্যান্ড বা পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। সেই মার্কেট গুলো থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনে নিতে পারবেন।

কিন্তু আপনার কিনে নেওয়া ল্যাপটপ টি কতটা ভালো হবে কিংবা কতটা লো কোয়ালিটির হবে। সেটা কিন্তু আপনার উপর ডিপেন্ড করবে।

অর্থাৎ যখন আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে যাবেন। তখন আপনাকে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করার পরে. একটি ল্যাপটপ কিনতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করেন। এবং শুধুমাত্র আবেগের বশে এই ধরনের পুরাতন ল্যাপটপ কিনে নেন।

তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার অনেক ধরনের সমস্যা হবে। তবে আপনি যদি আপনার পুরাতন ল্যাপটপ গুলো দেখে নিতে পারেন।

তাহলে সেই ল্যাপটপ গুলো আপনি আরও কয়েক বছর ব্যবহার করতে পারবেন। সেজন্য আপনার মধ্যে যদি ল্যাপটপ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তাহলে তো আপনি নিজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনার ল্যাপটপ সম্পর্কে কোন ধরনের অভিজ্ঞতার না থাকে।

তাহলে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় আপনার সাথে এমন কাউকে রাখার চেষ্টা করবেন। যার এই ধরনের ল্যাপটপ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে।

তাহলে আপনি আপনার মনের মত পুরাতন ল্যাপটপ কিনে নিতে পারবেন। অন্যথায় পুরাতন ল্যাপটপ কেনার পরে। এই ল্যাপটপের প্রতি আপনার একটা খারাপ অভিজ্ঞতা তৈরি হবে। 

পুরাতন ল্যাপটপ কেনা নিয়ে আমাদের শেষ কথা

পাঠক, আপনি যদি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার কথা চিন্তা করেন। তাহলে আমি আপনাকে বলব, আপনি আরো কিছু টাকা ম্যানেজ করে সরাসরি নতুন একটা ল্যাপটপ কিনে ফেলুন।

যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে সেই টাকা দিয়ে একটা ভালো মানের ডেক্সটপ সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি সেটাও সম্ভব না হয়, তাহলে খুব সতর্কতার সহিত পুরাতন ল্যাপটপ কিনে নিন।

তবে পুরাতন ল্যাপটপ কিনে নেওয়ার আগে করণীয় কাজ গুলো অবশ্যই অনুসরণ করবেন। 

আর আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে সেই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি তা জানিয়ে দিয়েছি।

আশা করি, আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি অনেক হেল্প পেয়েছেন।

আর এই ধরনের হেল্প ফুল তথ্য পেতে হলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষণ ধরে আমার লেখাটি পড়ার জন্য। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top