নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল এবং নিয়ম গুলো দেখে নিন

নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল : একজন মানুষ হিসেবে যখন আপনি নতুন কোন ব্যবসা শুরু করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে বিশেষ কিছু ব্যবসায়িক কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল
নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল

কেননা আপনি যদি সঠিক ভাবে আপনার ব্যবসা কে পরিচালনা করতে না পারেন। তাহলে আপনি কখনোই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না।

মূলত প্রতিটি কাজে নির্দিষ্ট কিছু কৌশল থাকে। আর যখন অন্য কোন ব্যক্তি সেই কৌশল গুলো কে রপ্ত করতে পারে।

তখন সে সঠিক ভাবে সেই কাজ টি সম্পন্ন করতে পারে। ঠিক একই ভাবে যখন আপনি কোন ব্যবসা করবেন। তখন অবশ্যই ব্যবসায়িক কৌশল গুলো আপনার মধ্যে এর রপ্ত করতে হবে।

আজকের দিনে আপনি যত গুলো সফল ব্যবসায়ী দেখতে পাচ্ছেন। মূলত তাদের এই সফলতার পেছনে রয়েছে অনেক পরিশ্রম, ব্যবসা করার টিপস এবং মার্কেটিং ব্যবসার কৌশল যথার্থ।

যার ফলে আজকে তারা এই পজিশনে আসতে পেরেছে মূলত আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে সেই ব্যবসার কৌশল গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

সেই সাথে একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে আপনি একটি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন। কিভাবে আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে। তার প্রত্যেক টি বিষয় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব।

তো আপনি যদি নতুন কোন ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে আজকের আলোচিত এই আলোচনা গুলো আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

আপনি আরোও লেখা দেখুন…

আর আপনি যদি সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার কৌশল গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে সরাসরি সেই ব্যবসার কৌশল (Business idea)গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

চাকরি করব নাকি ব্যবসা করব?

যখন আপনি নতুন কোন ব্যবসা শুরু করবেন। তখন আপনার সামনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাবে। আর এই প্রশ্নটি হল যে, আপনার চাকরি করা ভালো হবে নাকি ব্যবসা করা ভালো হবে।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে, এই প্রশ্ন টি শুধুমাত্র আপনার মধ্যেই নয়। বরং যারা নতুন ব্যবসার আইডিয়া,ব্যবসা করার পদ্ধতি এবং নতুন কোন ব্যবসার শুরু করার চিন্তা করে।

তাদের সবার মনেই এই প্রশ্ন টি বারবার ঘুরপাক খায়। তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে যদি আপনি স্বাধীন ভাবে নিজে থেকে কোন কিছু করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ব্যবসা করা উচিত।

কেননা যখন আপনি কোন ব্যবসা করবেন। তখন আপনি আপনার নিজের স্বাধীনতা বজায় রেখে চলতে পারবেন।

সেই সাথে ব্যবসা হল এমন একটি মাধ্যম। যে মাধ্যম কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে। আপনি নিজের একটা সকল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।

এর পাশাপাশি ব্যবসা করার আরো বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। আর যখন আপনি ব্যবসা করবেন তখন আপনিও এই ধরনের সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

চলুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক যে, ব্যবসা করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়।

  1. যখন আপনি চাকরি করবেন, তখন আপনাকে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকের কথামতো চলতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ব্যবসা করেন তাহলে সেখানে আপনি নিজেই হবেন আপনার বস।
  2. অপর দিকে আপনি যদি অর্থনৈতিক দিক লক্ষ্য করেন। তাহলে চাকরির বেতনের চাইতে আপনার ব্যবসার আয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
  3. যখন আপনার নিজস্ব একটি ব্যবসা থাকবে। তখন আপনার পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু একটা করার ব্যবস্থা রেখে যেতে পারবেন।
  4. এর পাশাপাশি আপনি যদি সম্মানের দিকে তাকান। তাহলে চাকরি তে যেমন সম্মান প্রদান করা হয়। ঠিক তেমনি ভাবে আপনার যখন কোন ব্যবসা থাকবে। তখন আপনি একই সম্মান পাবেন।
  5. সেই সাথে আপনার ব্যবসার পরিধি যদি অনেক বড় হয়ে থাকে। তাহলে আপনি অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবেন।

তো উপরে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হল যে, বর্তমান সময় অনুযায়ী একজন মানুষের ব্যবসা করা উচিত।

আর আপনি যদি ব্যবসা করেন তাহলে যে সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেই সুবিধা গুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি। আর আপনি যদি সেই সুবিধা গুলো ভোগ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে সরাসরি ভাবে ব্যবসায় নিযুক্ত থাকতে হবে।

নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল ও নিয়ম গুলো কি?

আসলে আপনি ব্যবসা করবেন নাকি চাকরি করবেন সেটা আজকের আলোচ্য বিষয় নয়। বরং উপরে আমি শুধুমাত্র আপনাকে ব্যবসা করার বেশ কিছু সুবিধার কথা উল্লেখ করেছি।

কিন্তু আপনি যদি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে ব্যবসা করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি এই কৌশল গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। ততক্ষণ আপনি আপনার ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।

তো এবার আমি আপনাকে সেই নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে করে আপনিও অন্যান্য মানুষ এর মতো ব্যবসা করতে পারেন।

এবং ব্যবসার মাধ্যমে অধিক পরিমাণে লাভবান হতে পারেন। তো চলুন এবার তাহলে সেই বিষয় টি সম্পর্কে একবারে বিশদভাবে জেনে নেওয়া যাক।

০১- ব্যবসায়ী মনোভাব এবং উদ্যোগ

একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যখন আপনি কোন ব্যবসা শুরু করবেন। তখন আপনার মধ্যে যে বিষয় টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সেটি হল, ব্যবসায়ী মনোভাব এবং আপনার ব্যবসায়ী উদ্যোগ। দেখুন আপনি যখন নতুন কোন ব্যবসা শুরু করবেন। তখন শুরু করার সাথে সাথেই সেই ব্যবসা তে লাভ করতে পারবেন বিষয়টা আসলে এমন নয়।

যদি তাই হতো তাহলে আজকের দিনে সবাই ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে পারতো। বরং বাস্তবিক জীবনে যেমন সফলতা এবং ব্যর্থতা রয়েছে।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি এই ব্যবসার মধ্যেও একই বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। কিন্তু যখন আপনি ব্যবসা করার পথি মধ্যে ব্যর্থ হবেন কিংবা লস করবেন।

তখন কোন ভাবেই হতাশ হওয়া যাবে না। বরং আপনাকে নিজে থেকেই বুঝতে হবে যে, কখনো থেমে থাকলে সফলতা অর্জন করা যায় না।

আপনাকে আপনার ব্যবসার প্রতি প্রচুর টান থাকতে হবে। এবং যদি কোন কারণে আপনি ব্যবসা চলাকালীন অবস্থায় লস করেন।

তাহলে হতাশ না হয়ে বরং আবার সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আর আপনার মধ্যে যদি এই রকমের মনোভাব এবং উদ্যোগ থাকে।

তাহলে অবশ্যই আপনি কোন একটা সময়ে গিয়ে এই ব্যবসা থেকে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আর আপনি যদি হতাশ হয়ে পড়েন, তাহলে আপনিও সেই ব্যর্থদের দলে নাম লেখাবেন।

০২- মূলধন

যেহেতু আপনি নতুন কোন ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন। তাহলে অবশ্যই আপনার জানা থাকবে যে, কোন একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অংশ হলো মূলধন।

আর কোন একটি ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার মূলধন এর পরিমাণ যত বেশি হবে।

আপনার সেই ব্যবসা টি তত বেশি প্রসারিত হবে। তবে আপনাকে আসলে কত বেশি মূলধন বা ইনভেস্ট করতে হবে।

সেটা কিন্তু আপনার ব্যবসার ধরন এর উপর নির্ভর করবে। যেমন ধরুন, আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে কোন ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন।

সে ক্ষেত্রে আপনার যে পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন হবে। তার থেকে আপনি অধিক কম মূলধনে একটি খাবার ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।

আর সেজন্য আমি বলেছি যে আপনাকে আসলে কত পরিমাণ মূলধন ইনভেস্ট করতে হবে। সেটা মূলত আপনার ব্যবসার ধরনের উপর নির্ভর করবে।

যদি আপনি বড় পরিসরে কোন ব্যবসা করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি মূলধন ব্যয় করতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি স্বল্প পরিসরে কোন ব্যবসা শুরু করতে চান।

তাহলে আপনার কম মূলধনের প্রয়োজন হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। তবে আপনি ছোট ব্যবসা কিংবা বড় ব্যবসা যে কোনো একটা করুন না কেন।

আপনাকে ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই মূলধনের প্রয়োজন হবে।

যেটা ছাড়া ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।

০৩- ব্যবসার স্থান

কোন একটি ব্যবসায় সফলতা পাওয়ার পেছনে সেই ব্যবসার স্থান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমার সে কারণেই আপনি যদি কোন নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার ব্যবসায়িক স্থানের দিকে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করবেন। তবে আপনার ব্যবসার স্থান আসলে কোথায় হওয়া উচিত।

সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের উপর নির্ভর করবে। যেমন, আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে কোন ই-কমার্স বা খাবার ডেলিভারির ব্যবসা করতে চান।

তাহলে আপনি নিজেদের ঘরে থেকে এই ধরনের ব্যবসা কে পরিচালনা করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে আর বাড়তি ব্যবসার স্থান নির্বাচন করতে হবে না।

কেননা এই যাবতীয় কাজ গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা সম্ভব।

অপরদিকে আপনি যদি ইন্টারনেট ক্যাফে কিংবা ফটোকপির করার দোকান  দিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এমন একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে।

যার আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে স্কুল কিংবা কলেজ রয়েছে। তাহলে আপনি সেই ব্যবসা তে লাভবান হতে পারবেন। ঠিক একই ভাবে আপনি যদি কোন পণ্য উৎপাদন কারী ব্যবসা করতে চান।

তাহলে আপনার সেই ব্যবসার স্থানটি অবশ্যই রাস্তার পাশে হতে হবে।

আবার এমন অনেক ধরনের ব্যবসা আছে যে গুলো করার জন্য অবশ্যই আপনার ব্যবসায়িক স্থান টি অনেক বড় হতে হবে।

তো আপনার ব্যবসার জন্য কি রকমের স্থানের প্রয়োজন হবে। সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যবসা এর ধরনের উপর নির্ভর করবে।

আরোও দেখতে পারেন…

তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যবসায়িক স্থান এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

০৪- ব্যবসার চাহিদা

একটি নতুন ব্যবসা শুরু করার সময় যখন আপনি বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয়ের দিকে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিতে হবে।

আর সেই বিষয় টি হল, আপনি যে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন। সেই ব্যবসার চাহিদা কেমন রয়েছে। কেননা আপনার ব্যবসার যদি চাহিদা না থাকে।

তাহলে আপনি সেই ব্যবসা তে যত টাকা বিনিয়োগ করুন না কেন। আপনি কোন ভাবেই সেই ব্যবসার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।

বরং একটা সময় গিয়ে আপনাকে হতাশায় ভুগতে হবে। তাই আপনাকে এমন একটি ব্যবসা শুরু করতে হবে। যে ব্যবসার বর্তমান সময়ের চাহিদা রয়েছে।

এবং ভবিষ্যৎ সময়েও যথেষ্ট পরিমাণ চাহিদা থাকবে। তাহলে আপনি সেই ব্যবসার মাধ্যমে অধিক লাভবান হতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনি যদি আঁতশবাজির ব্যবসা করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, এই ধরনের ব্যবসা গুলো মূলত কিছু সময়ের মধ্যে চলমান থাকে।

যখন কোন উৎসব হয় তখন এ ধরনের ব্যবসার থেকে প্রচুর পরিমাণে লাভ করা সম্ভব। কিন্তু এর বাকি সময় গুলো তে এই ব্যবসার চাহিদা একবারে নেই বললেই চলে।

তবে একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যখন আপনি কোন ব্যবসা শুরু করবেন। তখন কোন ভাবেই আপনার এই ধরনের ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে যাওয়া সম্ভব নয়।

বরং আপনাকে এমন একটি ব্যবসা নির্ধারণ করতে হবে। যে ব্যবসার বর্তমান সময়ে চাহিদা রয়েছে এবং ভবিষ্যৎ সময়েও চাহিদা থাকবে।

আর একটি ব্যবসা তে বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টির দিকে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিতে হবে।

০৫- শ্রম ও সময়

আমরা অনেকেই মনে করি যে, একটি ব্যবসা তে শুধুমাত্র বিনিয়োগ করতে হয়। তারপরে সে ব্যবসা থেকে সফলতা পাওয়া যায়।

আসলে এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বরং কোন একটি ব্যবসার বিনিয়োগ করার পাশাপাশি। উক্ত ব্যবসাতে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিতে হবে।

এবং প্রচুর পরিমান শ্রম দিতে হবে। তাহলে আপনি সেই ব্যবসা তে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনার একটি কোন পণ্য উৎপাদন করার ব্যবসা রয়েছে। এখন আপনি আপনার সেই ব্যবসার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করলেন।

কিন্তু সে গুলো যদি বাজারজাত না করা হয়। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন না।

বরং আপনার সেই পণ্য গুলো সঠিক ভাবে বাজারজাত না হওয়ার কারণে আপনাকে লসের মুখে পড়তে হবে।

আর সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে শ্রমের মাধ্যমে আপনার উৎপাদিত হওয়া পণ্য গুলো কে বাজার জাত করতে হবে।

অপরদিকে যখন আপনার একটি ব্যবসা থাকবে। তখন আপনি যদি নিজে থেকেই শ্রম দেন এবং সময় প্রদান করেন।

তাহলে আপনার ব্যবসার অগ্রগতি আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

কেননা একটি ব্যবসাকে পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এবং সেই শ্রমিকদের পরিচালনা করার জন্য আপনি যদি নিজেই নিযুক্ত থাকেন।

তাহলে শ্রমিকরা অবশ্যই সঠিক ভাবে কাজ করবে। কিন্তু আপনি যদি এই পরিচালনা করার দায়িত্ব অন্য কাউকে দেন।

তাহলে আপনার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে শ্রমিকরা একটু হলেও উদাসীনতা প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আপনি যদি নিজে থেকেই আপনার ব্যবসার সাথে স্বয়ং সম্পূর্ণভাবে যুক্ত থাকতে পারেন।

তাহলে সেটা আপনার ব্যবসার সফলতার জন্য অনেক ভালো হবে।

০৬- প্রচার

কথায় আছে প্রচারেই প্রসার অর্থাৎ আপনি আপনার ব্যবসা কে যদি প্রসার করতে চান। তাহলে অবশ্য আপনাকে আপনার সেই ব্যবসা টি প্রচার করতে হবে।

যেমন ধরুন, আমরা যখন টেলিভিশন দেখি তখন সেই টেলিভিশনের মধ্যে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়ে থাকে। যেমন, সাবান, শ্যাম্পু, তেল, মসলা ইত্যাদি।

তো এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখানোর মূল উদ্দেশ্য হলো উক্ত পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য গুলো কে প্রচার করছে।

যেন মানুষ তাদের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে এবং তারা যেন কিনতে আগ্রহী হয়।

ঠিক একই ভাবে যখন আপনার কোন ব্যবসা থাকবে। এবং সেই ব্যবসার মধ্যে অবশ্যই কোন না কোন প্রোডাক্ট থাকবে।

আর আপনার মুল কাজ হবে সেই প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে আপনার কাঙ্কিত কাস্টমারদের নিকট বিজ্ঞাপন প্রচার করা।

আর আপনি এভাবে যত বেশি প্রচার করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার সেই প্রোডাক্ট গুলো সেল হওয়ার সম্ভাবনা ততো বেশি থাকবে।

বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে এই প্রচারের কাজ টি বিভিন্ন মাধ্যমে করতে পারবেন। যেমন, আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট গুলোর প্রচার করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি চাইলে অফলাইন এর মাধ্যমেও আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট এর প্রচার করতে পারবেন।

তবে আপনার ব্যবসার সাথে জড়িত প্রোডাক্টের প্রচার আসলে অনলাইনে করা ভালো হবে নাকি অফলাইন করা ভালো হবে। সেটা আপনার প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করবে।

যেমন ধরুন, আপনি যদি কোন অনলাইনে খাবার ডেলিভারির ব্যবসা করেন। তাহলে অবশ্যই আপনার সেই বিজ্ঞাপন গুলো অনলাইনে প্রচার করা উত্তম হবে।

তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান সময়ে অফলাইনের চাইতে অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করা অধিক লাভজন।

০৭- আইনগত সাবধানতা অবলম্বন করা

যেহেতু আপনি একটি ব্যবসা শুরু করবেন। সেহেতু অবশ্যই আপনার জানা দরকার যে। কোন একটি ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন রকমের সরকারি বিধি নিষেধ মানতে হয়।

যেমন, আপনার ব্যবসার পরিধি এবং ব্যবসার ধরন এর উপর নির্ভর করবে যে। আপনাকে আসলে কোন কোন সরকারি বিধি নিষেধ গুলো মানতে হবে।

যেমন, আমি যদি কোন খাবার তৈরি করার ব্যবসা করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার সেই খাবার গুলোর গুণগত মান পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য বিএসটিআই এর লাইসেন্স থাকতে হবে।

এর পাশাপাশি কোন একটি নতুন ব্যবসা শুরু করার সময় অবশ্যই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করাতে হবে। কারণ আপনি যদি এই ধরনের লাইসেন্স গুলো না করেন।

সে ক্ষেত্রে যখন আপনার ব্যবসা পরিচালনা করবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন ধরনের আইনি ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে।

আর যখন আপনি এই ধরনের আইনগত ঝামেলার মধ্যে পড়বেন। তখন আপনার সেই ঝামেলা গুলো সামলাতে সামলাতেই সময় চলে যাবে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তখন আর আপনি ব্যবসার প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন না। আর ব্যবসা চলা কালীন সময়ে যেন এই ধরনের ঝামেলা পোহাতে না হয়।

সেজন্য অবশ্যই আপনার ব্যবসা কে পরিচালনা করার জন্য। যে সকল আইনগত অনুমতি এবং নির্দেশ পালন করার প্রয়োজন হয়। তার কোন কমতি রাখবেন না।

তাহলে আপনাকে আর পরবর্তী সময়ে কোন আইনে ঝামেলায় পড়তে হবে না।

ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কিছু কথা

প্রতিটি ব্যবসার কিছু গোপন কৌশল আছে। আর একজন নতুন উদ্যক্তা হিসেবে অবশ্যই আপনার সেই ব্যবসার কৌশল গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর আপনি যাতে সেই ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন। সে জন্য উপরে বেশ কিছু ব্যবসার কৌশল উল্লেখ করা হয়েছে।

আশা করি আপনি আপনার ব্যবসা কে পরিচালনা করার জন্য। এই ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো কে কাজে লাগাবেন। আর আপনি যদি ব্যবসা সম্পর্কিত আরো কিছু জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

6 thoughts on “নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল এবং নিয়ম গুলো দেখে নিন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top