ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে (ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন)

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব? আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ইনকাম করে ইনকাম করার উপায় কি।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে (ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন)
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

কারণ বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ছি। আর যখন একজন ব্যক্তি নতুন হিসেবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যায়।

তখন তার মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকাটা স্বাভাবিক যে, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে।

সত্যি বলতে একজন মানুষের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে সেটা আসলে নির্ভর করে তার নিজের দক্ষতার উপর।

এবং কাজ শেখার আগ্রহের উপর। যেমন ধরুন, আপনার মধ্যে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অধীর আগ্রহ থাকে।

এবং আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিতরে থাকা যাবতীয় বিষয় গুলো কে খুব দ্রুততার সাথে রপ্ত করতে পারেন। তাহলে আপনি মাত্র তিন মাসের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

অপর দিকে আপনার মধ্যে যদি শেখার ত্রুটি থাকে। তাহলে আপনার এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে তিন বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত যে। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বেশ কিছু ধাপ রয়েছে। আর আপনি যখন এই ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে পারবেন।

সেই ধাপ অনুযায়ী যে সকল শেখার বিষয় রয়েছে সেই বিষয় গুলো খুব ভালোভাবে শিখতে পারবেন। তখন আপনি খুব দ্রুত তার সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

আর আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার এই ধাপ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যখন আপনি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আপনি আরোও জনাতে পারবেন…

তখন আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন যে, আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে।

তো এই বিষয় গুলো জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক এবং জানা যাক  ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো ?

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো আজকের আর্টিকেলের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে সে সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব।

তবে তার আগে আপনার একটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে। আর সেই বিষয় টি হলো যে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখব। তো আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে হল ইন্টারনেট এর যুগ।

আজকের দিনে আপনি এমন খুব কম মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। আর সে কারণে মার্কেটিং করার বিষয় টি এখন এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।

যেমন ধরুন, আপনি যদি অতীতের দিন গুলোর কথা চিন্তা করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই সময়ে মার্কেটিং করার একমাত্র মাধ্যম ছিল টেলিভিশন।

কারণ সেই সময়ে মানুষ বিনোদন এর জন্য টিভি তে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম দেখতো।

আর যেহেতু অধিক পরিমাণ মানুষ বিনোদনের মাধ্যমে হিসেবে টিভি ব্যবহার করত। সেহেতু সে সময়ে মার্কেটিং করার উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম ছিল টেলিভিশন।

কিন্তু সময় অনেক বদলে গেছে, সময়ের সাথে সাথে আমরাও এখন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে শিখেছি। সে কারণে আমরা এখন বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করি।

এবং নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আর যেহেতু বর্তমান সময়ে অধিক পরিমাণ মানুষ ইন্টারনেট নির্ভর হয়েছে।

সেহেতু এখন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট হলো সবচেয়ে উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম। আর যখন আপনি ইন্টারনেট এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং এর কাজ করবেন।

তখন এই মার্কেটিং এর কাজ করার পদ্ধতি কে বলা হবে, ডিজিটাল মার্কেটিং। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়।

আর এই বিষয় গুলো জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে এবং এর আগে আমি আমার ব্লগে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে কি করা যায়?

একজন ব্যক্তি আসলে কেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবে সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় এটাও জনাতে পারবেন।

তো আমাদের যে মূল বিষয়টি জানতে হবে সেটি হলো যে, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে। আমি উপরে একটা কথা বলেছি।

আর সেই কথাটি হলো যে আপনার আসলে কতদিন শিখতে সময় লাগবে। সেটা মূলত নির্ভর করবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতরে থাকা বিষয় গুলো কতটা দক্ষতা এবং আগ্রহের সাথে শিখছেন তার উপর।

কেননা যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যাবেন। তখন আপনি এই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারের ধাপ দেখতে পারবেন।

মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার এই ধাপ গুলো কে আপনি যত দ্রুততার সাথে রপ্ত করতে পারবেন। আপনি তত তাড়াতাড়ি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

তো সেই বিষয় গুলো নিয়ে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে এবার জেনে নেওয়া যাক যে, একজন ব্যক্তি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারলে সে কি কি করতে পারবে।

ডিজিটাল মার্কেটের চাহিদা বৃদ্ধি

দেখুন আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময় হলো ইন্টারনেট এর যুগ। সে কারণে আমরা অধিকাংশ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি।

আর ইন্টারনেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ইউজার থাকার কারণে। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি গুলো তাদের তৈরি হওয়া প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য।

এই ডিজিটাল মার্কেটিং কে ব্যবহার করে থাকে। এখন আপনার মধ্যে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা থাকে। আপনি যদি সঠিক ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যকলাপ গুলো সম্পন্ন করতে পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনি এই বড় বড় কোম্পানি গুলো তে ডিজিটাল মার্কেটিং করার কাজ পেয়ে যাবেন। কেননা বর্তমান সময়ে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কারণ যখন একটি নতুন কোম্পানি তৈরি হয়। এবং সেই কোম্পানি তে কোন প্রোডাক্ট উৎপাদন করা হয়। তখন সেই কোম্পানি চায় যে তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষ জানুক।

এবং তারা সেই প্রোডাক্ট গুলো কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করুক। আর এই কাজ গুলো করার জন্য অবশ্যই একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার এর প্রয়োজন হয়।

এখন আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন। তাহলে কিন্তু এই ধরনের বড় বড় কোম্পানি তে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এবং নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।

সহজে কেরিয়ার শুরু করা যায়

নিজের একটা সকল ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন আমরা প্রত্যেকেই দেখি। হয়তো বা কেউ চাকরির মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড় স্বপ্ন দেখি।

আবার কেউ ব্যবসার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখি। তবে এমন অনেক মানুষ আছে যারা তাদের থেকে একটু ভিন্ন। কেননা সেই মানুষ গুলো চায় ইন্টারনেটে মাধ্যমে তারা তাদের ক্যারিয়ার গড়বে।

আর যেহেতু ইন্টারনেটের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের সেক্টর রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং।

অবাক করার মত বিষয় হলো যে, আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন।

তাহলে কিন্তু আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। বরং আপনি এই কাজের মাধ্যমে নিজের একটা সকল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।

কেননা আমি আপনাকে এমন অনেক মানুষের উদাহরণ দিতে পারব।

যারা মূলত এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করেছে। এবং তারা নিজের সফল একটা ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছে।

উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা তৈরী হয়

আপনি হয়তোবা একটা বিষয় খুব ভালোভাবে জেনে থাকবেন যে। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার ভেতরে বেশ কিছু গুণাবলী থাকতে হবে।

যেমন আপনাকে সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করা শিখতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠান কে কিভাবে পরিচালনা করতে হয় সে সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে।

এর পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানের যে সকল প্রোডাক্ট রয়েছে। সে গুলোর মার্কেটিং কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে আপনার পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে।

তো এই সবকিছু বিষয়ে আপনি তখনই খুব ভালো ভাবে রপ্ত করতে পারবেন। যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন। কারণ একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে যে সকল গুণাবলী গুলো থাকতে হয়।

তার প্রত্যেক টি গুণাবলী নিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে চর্চা করবেন। এর ফলে আপনি একজন উদ্যোক্তা না হওয়ার পরেও একজন উদ্যোক্তার যে সকল গুণাবলী রয়েছে।

সে গুলো আপনি নিজের মধ্যে রপ্ত করে নিতে পারবেন। এবং এই রপ্ত পড়া গুণাবলী গুলোর মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে চাইলে আপনিও নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং-এর পেশাগুলো বৈচিত্র্যময় ও জনপ্রিয়

যদিওবা এই ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি কে আমরা এক কথার মাধ্যমে প্রকাশ করছি। কিন্তু এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতরে আপনি আরো অনেক বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সময় আপনি দেখতে পারবেন যে। এখানে রয়েছে ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।

তো একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ক্ষেত্রে যেমন বৈচিত্র্যময় লক্ষ্য করা যায়। ঠিক তেমনি ভাবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করার সময়ও আপনি একই বৈচিত্র লক্ষ্য করতে পারবেন।

তবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় মোট যত গুলো অংশ আছে। তার প্রত্যেকটা অংশের জনপ্রিয়তা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অর্থাৎ আপনি এই ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে এর প্রতিটা অংশ কে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং এর কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।

আকর্ষণীয় স্যালারি প্যাকেজ

যেহেতু আমাদের প্রত্যেক টা কাজের মূল উদ্দেশ্য হলো টাকা ইনকাম করা। সেহেতু আমি এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারব যে।

আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার এই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে আকর্ষণীয় স্যালারি পাবেন।

কেননা যখন আপনার এই ডিজিটাল মার্কেটিং করার দক্ষতা থাকবে। তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের বড় বড় কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন।

আর যখন আপনি এই ধরনের বড় কোম্পানি তে কাজ করার সুযোগ পাবেন। তখন আপনার বেতন এর পরিমাণ অধিক হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।

কারণ আপনি যদি বর্তমান সময়ে সফল ডিজিটাল মার্কেটিং করা ব্যক্তিদের দিকে তাকান। তাহলে দেখতে পারবেন যে, তারা প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমান বেতনে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে থাকে।

আর এই ধরনের আকর্ষণীয় স্যালারি পেতে হলে অবশ্যই আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে ধারণা থাকতে হবে।

কঠোর পরিশ্রম ও সৃজনশীল পেশা

একটা কথা মাথায় রাখবেন, আপনি যখন টাকা ইনকাম করার জন্য কোন কাজ করবেন। তখন সেই কাজের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

আর শুধুমাত্র পরিশ্রম করলেই হবে না বরং আপনার কাজের মধ্যে সৃজনশীল তা থাকতে হবে। তাহলে আপনি সেই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

এবং সেই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি আপনার আশানুরূপ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তো আপনি যদি এই বিষয় গুলো কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে চান।

তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি মাধ্যম হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। কেননা এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

সেই সাথে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো সঠিক ভাবে করার জন্য আপনার মধ্যে সৃজনশীল তা থাকতে হবে। আর আপনি যখন এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন।

তখন শেখার সময় অবশ্যই আপনার মধ্যে কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং আপনার মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শেখানো হয় ?

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এই প্রসঙ্গে উপরে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হল যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ধাপ রয়েছে।

আর যখন আপনি সেই ধাপ গুলো কে সঠিকভাবে রপ্ত করতে পারবেন। তখন আপনি খুব দ্রুত তার সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

তো এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে কি কি শেখানো হয়। তো এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব যে।

এমন অনেক রকমের বিষয় রয়েছে। যে গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে শেখানো হয়ে থাকে। আর এবার আমি সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শেখানো হয়।

কনটেন্ট মার্কেটিং

যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন। তখন আপনাকে একটা কথা বারংবার বলা হবে। আর সেই কথা টি হলো যে, ডিজিটাল মার্কেটিং করার অন্যতম একটি উপাদান হল কনটেন্ট।

অর্থাৎ এই কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো করতে হবে। আর সে কারণে প্রথমেই আপনাকে এই কনটেন্ট মার্কেটিং এর উপর অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দিতে হবে।

আর এই কনটেন্ট এর মধ্যে আপনি বিভিন্ন প্রকারের উপাদান লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন, ভিডিও কনটেন্ট, অডিও কনটেন্ট, ইমেজ কনটেন্ট ইত্যাদি।

মূলত এই কনটেন্ট গুলো কে আপনাকে এমন ভাবে অপটিমাইজ করতে হবে। যাতে করে আপনার সেই অপটিমাইজ করা কনটেন্ট গুলো কাঙ্খিত কাস্টমারের নিকট পৌঁছায়।

এবং সেই কাস্টমার গুলো যেন এই কনটেন্টের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর সে কারণেই যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যাবেন।

তখন প্রথমে আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং শেখানো হবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার শুরু তে কনটেন্ট মার্কেটিং করা শিখতে হয়।

আর একটি কনটেন্ট কে সঠিক ভাবে মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও শিখতে হবে।

কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করার সময় আপনি একটি বিষয়ে ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন যে। আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং এর কাজ করবেন।

সেই রকম প্রোডাক্ট নিয়ে আরো অনেকেই মার্কেটিং করছে। এবং তাদের সাথে সমান ভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য।

অবশ্যই আপনাকে এই অপটিমাইজেশন এর কাজ টি সঠিক ভাবে করতে হবে। আর যখন আপনি এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন।

তখন আপনি অন্যান্য কোম্পানি কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটার এর সাথে প্রতিযোগিতায় সফল হতে পারবেন। অন্যথায় আপনাকে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে।

সার্চ ইঞ্চিন মার্কেটিং (SEM)

যখন আপনি আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে এসইও করবেন। তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন থেকে অর্গানিক ভাবে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।

কিন্তু এই অর্গানিক ভিজিটর নিয়ে আসার পাশাপাশি অনেক সময় আপনাকে পেইড ভিজিটর নিয়ে আসার প্রয়োজন পড়বে।

আর সেক্ষেত্রে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে। মূলত এই পদ্ধতিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন কে অর্থ প্রদান করবেন।

এবং এই অর্থ প্রদান করার বিনিময়ে সেই সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার সার্চ কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে পেইড ভিজিটর প্রদান করবে।

সেখান থেকে আপনি খুবই সহজেই আপনার টার্গেট করা কাস্টমারদের নিয়ে আসতে পারবেন। এবং সেই কাস্টমারদের নিকট আপনার টার্গেট করা প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া দেখতে পারবেন। যেমন facebook, whatsapp, instagram ইত্যাদি।

তো অবাক করার মত বিষয় হলো এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো তে প্রচুর পরিমাণে ইউজার রয়েছে। আর যেহেতু এ গুলো তে ব্যাপক পরিমাণ ইউজার রয়েছে।

তাহলে আপনি সেই ইউজার গুলো কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটি সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য যে সকল উপাদান রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

আর যখন আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যাবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করা হবে।

যাতে করে আপনি এই সোশ্যাল মিডিয়া কে কাজে লাগিয়ে আপনার টার্গেট করা কাস্টমারদের খুঁজে নিতে পারেন। এবং তাদের নিকট আপনার প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করাতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট ও ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে কোনো একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি হওয়ার পিছনে। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কারণ এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে মূলত তিনটি স্তর থাকে। একটি হল কাস্টমার যারা প্রোডাক্ট কিনে। আরেক টি হলো মালিক পক্ষ যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে।

এবং এদের মধ্যে মধ্যস্থকারী হিসেবে আরো একটি স্তর থাকে। যারা মূলত মালিক পক্ষের সেই প্রোডাক্ট কাস্টমারদের বিক্রি করার জন্য কাজ করে থাকে।

মূলত এদের কে বলা হয়ে থাকে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। আর যখন আপনি নতুন ব্যক্তি হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যাবেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে এই অ্যাফিলিয়েট ও ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খুব ভালো ভাবে শেখানো হবে। যাতে করে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যাবতীয় কাজ গুলো দক্ষতার সাথে করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং / ভিডিও মার্কেটিং / অডিও মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন রকম উপাদান রয়েছে। এবং প্রত্যেক টি উপাদান এই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ।

ঠিক একই ভাবে আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যাবেন। তখন আপনি ইমেইল মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং এবং অডিও মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

কারণ আজকের দিনে আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে যান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন না কোন কনটেন্ট এর উপর নির্ভর করতে হবে।

সে ক্ষেত্রে আপনি ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন। অথবা অডিও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

আর এই ধরনের কনটেন্ট গুলোর মাধ্যমে আপনাকে মার্কেটিং এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অপর দিকে ইমেইল মার্কেটিং এর যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব রয়েছে।

আর যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন। তখন আপনাকে এই ধরনের ইমেইল মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং এবং অডিও মার্কেটিং শেখানো হবে।

ডেটা এনালাইটিক্স

মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ডাটা এনালাইটিস যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ আপনি যখন মার্কেটিং করবেন তখন আপনার সেই মার্কেটিং প্রক্রিয়া কতটুকু সম্পন্ন হচ্ছে।

আপনি আপনার টার্গেট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন কিনা। এই যাবতীয় বিষয় গুলো কে সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করাই হল ডাটা এনালাইটিক্স।

আর একজন ডিজিটাল মার্কেটার অনবরত এই ডেটা এনালাইটিক্স করে থাকেন। যখন আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন।

তখন আপনাকেও এই বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত শেখানো হবে।

Q:ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে দিনে কত ঘন্টা সময় দেওয়া উচিত?

A: আসলে আপনি যত বেশি সময় নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। আপনি ঠিক তত বেশি জানতে পারবেন। তো যদি আপনার হাতে ব্যয় করার মত সময় থাকে।

তাহলে আপনি দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কাজে ব্যয় করতে পারেন।

Q:ফ্রিতে ৬ মাসে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন?

A: ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স ফ্রিতে করতে চাইলে আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। কারণ প্রথমত আপনাকে খুঁজে নিতে হবে যে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোর্স কোথায় ফ্রিতে পাওয়া যায়।

তারপরে আপনাকে সে গুলো সংগ্রহ করতে হবে। এবং সবশেষে আপনাকে সেই কোর্সের মধ্যে থাকা ভিডিও গুলো দেখে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে।

Q:ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কত টাকা আয় করা যায়?

A: এটা আসলে সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। কেননা অনেকেই আছেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে।

আবার অনেকেই আছেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে এক হাজার টাকাও ইনকাম করতে পারেনা। আসলে এটা নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার উপর।

যে আপনি আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কত টাকা আয় করতে পারবেন।

Q: ডিজিটাল মার্কেটিং কি হালাল?

A: যদি হালাল এবং হারামের প্রসঙ্গ আসে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, সেটা সম্পূর্ণ আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে।

আপনি যদি এই মার্কেটিং প্রক্রিয়া গুলো হালাল পদ্ধতিতে করে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পূর্ণ হালাল।

কিন্তু আপনি যদি মার্কেটিং করার জন্য অবৈধ পন্থ অনুসরণ করেন। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য এই ডিজিটাল মার্কেটিং হবে হারাম।

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং আমাদের কিছু কথা

একজন ব্যক্তি যখন নতুন হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যায়। তখন তার মনে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি আসে সেটি হল, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে।

তবে নিজের মধ্যে এই প্রশ্ন টি না করে আপনি যদি খোঁজার চেষ্টা করেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে কি কি শেখানো হয়।

তাহলে কিন্তু আপনি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন যে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

আর আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

যেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে কি কি শেখানো হয়। সেই সাথে আপনি যদি সঠিক ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন।

তাহলে আপনি কি কি করতে পারবেন। সে সম্পর্কেও আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আলোচিত এই আলোচনা গুলো থেকে আপনি অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আর এই ধরনের অনলাইন ইনকাম এবং টেকনোলজি রিলেটেড তথ্য গুলো সহজ ভাষায় জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top