শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ( প্রতিবেদন / রচনা / অনুচ্ছেদ )

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার : বর্তমান সময় হলো ইন্টারনেটের যুগ। আর এই যুগে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার হবে না সেটা কি কখনো সম্ভব হয়।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার

বরং আপনি যদি আজকের দিনের শিক্ষা ক্ষেত্রের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে বেশ ভালো ভাবে দেখতে পারবেন।

যে, আজকের দিনে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে এই ইন্টারনেট শিক্ষা ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে। তার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধার সৃষ্টি করেছে।

তো আজকের এই আলোচনা মাধ্যমে আমি আপনাকে সেই বিষয় গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। মূলত আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন।

যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার গুলো কি কি, শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

এর পাশাপাশি এই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে যে সকল অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা রচনা ।

তা আপনি জেনে নিতে পারবেন। তো আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার – সূচনা

আজকের দিনে আমরা যেমন শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি। অতীতের দিন গুলো তে কিন্তু এত বেশি পরিমাণে ইন্টারনেট এর ব্যবহার ছিল না।

যদিও বা উন্নত দেশ গুলো তে শিক্ষা ক্ষেত্রের দিক থেকে ইন্টারনেট কে বিভিন্ন পদ্ধতি তে ব্যবহার করা হতো।

কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার অধিক পরিমাণ শুরু হয়েছিল তখন। যখন করোনা মহামারী চলছিল। কারণ যখন গোটা বিশ্ব কে করোনা গ্রাস করেছিল।

তখন স্কুল কলেজে যাওয়া তো দূরের কথা। সেই সময়ে ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ ছিল।

আর সেই সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে করে ভেঙে না পড়ে। সে কারণে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেছিল।

আর যখন করোনা মহামারি ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকে। তখন বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার কার্যক্রম গুলো এই ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজের ঘরে বসে ক্লাস থেকে শুরু করে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পেরেছিল।

শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার এর উপকারিতা

যেহেতু শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেহেতু এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, এই ইন্টারনেট শিক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে ভূমিকা পালন করতে পেরেছে।

আর এই ইন্টারনেটের উপকারিতা আছে বলেই এখন বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফলাইনের পাশাপাশি।

অনলাইনে বিভিন্ন রকমের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আছে।

আর এবার আমি আপনাকে সেই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এর উপকারিতা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার

ইন্টারনেট চিকিৎসা পেশাজীবীদের জন্য প্রচুর তথ্য সরবরাহ করে। অনলাইন জার্নাল থেকে মেডিকেল ডাটাবেস পর্যন্ত, ইন্টারনেট ডাক্তার এবং অন্যান্য চিকিৎসা পেশাদারদের জন্য একটি মূল্যবান হাতিয়ার।

উপরন্তু, অনেক হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে যা তাদের পরিষেবা এবং কর্মীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

রোগীদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপ-টু-ডেট রাখতেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইন্টারনেট শিক্ষা প্রদান বহুলাংশে সাশ্রয়ী

যখন কোন একটি প্রতিষ্ঠান এই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা দান করবে। তখন সেই প্রতিষ্ঠানের খরচের পরিমাণ অনেক কম হবে এটাই স্বাভাবিক।

কারণ কোন একটি শ্রেণীতে থাকা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করার জন্য প্রথমত একটি ক্লাসরুম এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি সেই ক্লাসরুমে আরও অনেক প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়। যেমন, হোয়াইটবোর্ড, বেঞ্চ, ফ্যান, লাইট, বিদ্যুৎ ইত্যাদি।

তো সেই হিসাব থেকে বলা যায় যে, একটি ক্লাসরুম পরিচালনা করার জন্য বেশ ভালো পরিমাণ টাকা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে বহন করার প্রয়োজন হয়।

অপরদিকে যদি সেই শিক্ষা কার্যক্রম গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। তাহলে কিন্তু এই খরচ গুলো থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে।

কেননা ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করার সময় কোন ধরনের ক্লাসরুম এর প্রয়োজন হয় না।

এর পাশাপাশি আপনি একটু ভালো করে চিন্তা করলেই দেখতে পারবেন। যে, একটি ক্লাসরুমে নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষার্থীরা বসে ক্লাস করতে পারে।

এবং যদি এর অতিরিক্ত শিক্ষার্থী হয় তাহলে তাদের জন্য আলাদা একটি ক্লাস রুম এর ব্যবস্থা করতে হয়।

কিন্তু যদি অনলাইনের মাধ্যমে এই শিক্ষাদান করার কাজ টি করা হয়ে থাকে। তাহলে আলাদা করে কোন ক্লাস রুমের প্রয়োজন পড়ে না।

বরং একসাথে অধিক পরিমাণ শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে আলাদা কোন শিক্ষক শিক্ষিকার ও প্রয়োজন হয় না।

বরং একটি শিক্ষক এর মাধ্যমেই একাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো সম্ভব হয়। আর এ গুলো থেকে বিবেচনা করলে আপনিও বুঝতে পারবেন।

যে, ইন্টারনেটের কারণে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর খরচ কতটা সাশ্রয়ী হয়েছে।

উন্নত মানের শিক্ষণ ও শেখার পদ্ধতি

একজন অভিভাবক সর্বদাই চায় যেন তার সন্তান উন্নতমানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আর ইন্টারনেটের ফলে এই ধরনের উন্নত মানের শিক্ষা দান করা সম্ভব হয়েছে।

কেননা যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই প্রতিষ্ঠান গুলো তে থাকা শিক্ষার্থীরা প্রতিটা বিষয় কে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে।

এবং তারা বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বরং প্রাক্টিক্যাল ভাবে কাজ করতে পারে।

একটা সাধারণ বিষয় চিন্তা করে দেখুন, কোন একটি ক্লাসরুম এর মধ্যে থাকা হোয়াইট বোর্ড অথবা ব্ল্যাকবোর্ড এর মধ্যে যখন কোন একজন শিক্ষক তার বিষয়কে বোঝাবেন।

তখন অনেক শিক্ষার্থীদের কাছে তা বোধগম্য নাও হতে পারে। কিন্তু যখন একটি ক্লাস রুমের মধ্যে বড় কোন ডিসপ্লে তে একজন শিক্ষক শিক্ষা দান করেন।

তাহলে কিন্তু সেই ক্লাসরুমে থাকা সকল শিক্ষার্থীরা উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পারবে।

এর পাশাপাশি যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ধরনের ইন্টারনেট এর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সেই প্রতিষ্ঠানে থাকা শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করার মাধ্যমে। তারা তাদের প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে খুব সহজ ভাবে জেনে নিতে পারে।

কেননা এখন আর কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য বইয়ের মধ্যে থাকা পাতা উল্টাতে উল্টাতে সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না।

বরং আপনি যে কোন বিষয়ে জানার জন্য যখন গুগলে সার্চ করবেন। তখন আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে উক্ত প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

এর ফলে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উন্নত মানের শিক্ষা নিতে পারবে।

উচ্চ মানের শিক্ষার সহজ প্রবেশাধিকার

যদি আপনি অতীতের দিন গুলোর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে সেই সময়ে যখন কোন একটি শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হতো।

তখন শিক্ষার্থীদের মনে একটা ভয় কাজ করত। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের মনের সেই ভয় আর বিরাজমান থাকতে পারেনি।

কারণ এখন অনলাইনে মধ্যে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। যে ওয়েবসাইট গুলো তে প্রবেশ করার পরে। একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই তার বিষয় সম্পর্কে পরীক্ষা দিতে পারবে।

যেমন, একটি ক্লাসে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে, কুইজ টেস্ট, ক্লাস টেস্ট, ল্যাব টেস্ট ইত্যাদি।

তো এই যাবতীয় পরীক্ষা গুলো একজন শিক্ষার্থী যদি নিয়মিত অনলাইন এর মাধ্যমে প্র্যাকটিস করে থাকে। তাহলে তার মধ্যে আর পরীক্ষা নিয়ে কোন প্রকারের ভয় থাকবে না।

যার ফলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হওয়া যে কোনো ধরনের পরীক্ষা আছে। সে খুব সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এবং উক্ত পরীক্ষা তে সে শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো ফলাফল করতে পারবে।

আর আপনি তো বেশ ভালো করেই জানেন যে, ইন্টারনেট হল উন্মুক্ত একটি প্লাটফর্ম।

যেখানে আপনার বা আমার মত যে কোন সাধারণ মানুষ তাদের অজানা বিষয় গুলো কে জেনে নিতে পারবে।

যা মূলত বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাব ফেলেছে।

নির বিচ্ছিন্ন শিক্ষক-ছাত্র সংযোগ

এই বিষয়টির সঙ্গে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন স্যার কোন একটি বিষয়কে বোঝানোর পরে যদি বলত যে। তোমরা বুঝতে পারছ কিনা।

আমরা বুঝলেও বলতাম যে, হ্যাঁ স্যার বুঝতে পারছি। আবার না বুঝলেও বলতাম যে, আমরা বুঝতে পারছি।

অথচ দেখা যেত ক্লাসে যখন একজন শিক্ষক কোন একটি বিষয় সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিতো। আর তখন আমরা বুঝতে না পারলেও। আমরা শিক্ষকদের প্রশ্ন করতে দ্বিধা বোধ করতাম।

এবং যদি কোন কারনে একটি ক্লাস মিস করতাম। তাহলে সেই ক্লাসে আলোচিত বিষয় গুলো সম্পর্কে পরবর্তী সময়ে আর জানার সুযোগ থাকত না।

কিন্তু সময় পরিবর্তন এর সাথে সাথে এই পদ্ধতির মধ্যেও যথেষ্ট পরিমাণে পরিবর্তন এসেছে।

কারণ আজকের দিনের শিক্ষার্থীরা যদি কোন কিছু বুঝতে না পারে। তাহলে তারা খুব সহজেই তার শিক্ষকদের সাথে অনলাইন এর মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে।

এবং তারা আসলে যে বিষয় টি সম্পর্কে বুঝতে পারেনি। সে বিষয় টি পুনরায় বুঝিয়ে নিতে পারে। এর ফলে একজন ছাত্র এবং একজন শিক্ষকের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ তৈরি হয়েছে।

আর এটা সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেট এর ফলে। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে এমন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যে গুলোর মধ্যে শিক্ষকদের শিক্ষাদান করার সময় ভিডিও রেকর্ড করে রাখা হয়ে থাকে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

যাতে করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন সময়ে যদি কোন একটি বিষয় বুঝতে না পারে।

তাহলে পরবর্তী সময়ে সেই রেকর্ড হওয়া ভিডিও গুলো দেখে যেন তা শিখে নিতে পারে।

মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার

ইন্টারনেটের ফলে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করানো হয়ে থাকে।

মূলত এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে পরীক্ষিত যে একজন শিক্ষার্থী যখন মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মধ্যে কোন কিছু শিখে।

তাহলে তার এই শিক্ষা টা অনেকদিন পর্যন্ত মস্তিষ্কে বিদ্যমান থাকে। কেননা সেখানে সে তার নির্দিষ্ট বিষয় কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে জানতে পারছে।

এবং প্রয়োজনে সে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এর মাধ্যমে একই বিষয় কে বারবার দেখার সুযোগ পাচ্ছে।

আর সে কারণে মূলত আজকের দিনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে এই ধরনের মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতি তে শিক্ষাদান করা হচ্ছে।

যদিও বা এই ধরনের মাল্টি মিডিয়া পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করার ক্ষেত্রে অনেকটা ব্যয় করার প্রয়োজন হয়। তবে এই পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী তার পাঠ্য বইয়ে থাকা বিষয় গুলো কে খুব ভালোভাবে বুঝে নিতে পারে।

এবং সেই শিক্ষার্থী গুলো পরীক্ষার মধ্যে অনেক ভালো ফলাফল করতে পারে। মূলত এইসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

বলা যায় এটা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অপরিসীম অগ্রগতি।

শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যবহার

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা হওয়ার কারণে। প্রায় কমবেশি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষক এবং একজন ছাত্র কে যে পরিমাণ কাগজ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতো। তা অনেক অংশেই কমে গেছে। কারন এখন অনেক ধরনের ডিজিটাল মিডিয়া বের হয়েছে।

যে গুলো কে আপনি কাগজের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আজকের দিনে এমন অনেক ওয়েব সাইট রয়েছে।

যে ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনি আপনার শ্রেণীর পাঠ্য বই গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সে কারণে আপনাকে বাড়তি কোন বই কেনার প্রয়োজন পড়বে না।

এবং অনলাইন থেকে এই বই গুলো ডাউনলোড করে। আপনি নিজের ঘরে বসে মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে পড়তে পারবেন।

এর ফলে শিক্ষার্থীদের বিশেষ একটি সুবিধা তৈরি হয়েছে। কেননা শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করার ফলে।

শিক্ষার্থীরা এক দিকে যেমন নিজের মতো করে শিখতে পারছে। সেই ঠিক অপর দিকে তাদের অভিভাবক খরচের দিক থেকেও অনেকটা সাশ্রয়ী হতে পেরেছে।

সময়-উপযোগী তথ্যের উপলব্ধতা

যদি আপনি নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনি একটা বিষয় বেশ ভালো করেই জেনে থাকবেন।

আর সেই বিষয় টি হলো যে ইন্টারনেট এর মধ্যে থাকা যাবতীয় তথ্য গুলো সময়ের সাথে সাথে আপডেট হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, আজকের দিনের তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সেটা শুধুমাত্র আপনি আজকে গুগলের মধ্যে সার্চ করে জেনে নিতে পারবেন। তবে যখন আপনি কালকে আবার পুনরায় তাপমাত্রা দেখার জন্য সার্চ করবেন।

তখন আপনি শুধুমাত্র কালকের তাপমাত্রা দেখতে পারবেন। তো এভাবে ইন্টারনেটের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো প্রতিনিয়ত আপডেট করে রাখা হয়।

সে কারণে আপনি একজন শিক্ষার্থী হয়ে যখন শেখার জন্য ইন্টারনেট কে ব্যবহার করবেন। তখন আপনি সকল ধরনের আপডেট বিষয় গুলো জানতে পারবেন।

যা আপনার শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়তা প্রদান করবে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

কম্পিউটার আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এগুলি চিকিৎসা থেকে শিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটার শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের শেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি বাড়ির কাজে সাহায্য করতে পারে, পরীক্ষা দিতে এবং উপস্থাপনা তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। ছাত্রদের তাদের নিজস্ব গতি এবং স্তরে শিখতে সাহায্য করতে পারে।

তারা আরও ইন্টারেক্টিভ শেখার পরিবেশ প্রদান করতে পারে। উপরন্তু, কম্পিউটারগুলি এমন তথ্য অ্যাক্সেস করতে ব্যবহার করা যেতে পারে যা অন্যথায় অনুপলব্ধ হবে।

সামগ্রিকভাবে, সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে ইন্টারনেটের দ্বারা কম্পিউটার শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান হাতিয়ার হতে পারে।

ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার

  1. ইন্টারনেট গবেষণার জন্য একটি দুর্দান্ত হাতিয়ার। আপনি যে কোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন যা আপনি ভাবতে পারেন।
  2.  বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সংযুক্ত থাকার জন্য ইন্টারনেটও একটি দুর্দান্ত উপায়৷ আপনি সারা বিশ্বের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
  3. ইন্টারনেটও বিনোদনের জন্য একটি বড় সম্পদ। নিজেকে বিনোদন দেওয়ার জন্য আপনি গেম, সিনেমা এবং সঙ্গীত খুঁজে পেতে পারেন।
  4. ইন্টারনেটকে কেনাকাটার হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
  5. অবশেষে, ইন্টারনেট অর্থ উপার্জনের উপায় হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা

উপরের আলোচনা থেকে আপনি শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এবং সেই ব্যবহার গুলোর মধ্যে আমি আপনাকে শুধুমাত্র সে গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যে গুলো শিক্ষার ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করতে পেরেছে।

তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এর দিক থেকে শুধুমাত্র উপকারী দিক গুলো সম্পর্কে জানলেই হবে না।

বরং এর বিশেষ কিছু অপকারিতা রয়েছে। আর এবার আমি আপনাকে সে গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

চলুন এবার তাহলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এর অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি

ইন্টারনেটের মধ্যে থেকে একজন শিক্ষার্থী তার পাঠ্য বইয়ের যে কোনো বিষয়ে জেনে নিতে পারবে। এটা তো আমরা কম বেশি সবাই জানি।

কিন্তু এই উপকারিতা তখনই অপকারিতায় পরিণত হবে। যখন একজন শিক্ষার্থী ইন্টারনেট এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে। কেননা বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন।

যে, বর্তমান সময়ে এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা এই ইন্টারনেট কে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে গেলেও।

তারা এখন ইন্টারনেট এর প্রতি মারাত্মক ভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

আর সে কারণে তারা তাদের জীবনের মূল্যবান সময় গুলো। এই ইন্টারনেটের পিছনে অযথা ব্যয় করছে। যা আসলে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকির স্বরূপ।

সঠিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির অভাব

যদিওবা এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা প্রযুক্তি অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে।

যে অঞ্চল গুলো তে এখনো নির বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট প্রদান করা সম্ভব হয়নি।

যেমন ধরুন, আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে থাকা গ্রাম অঞ্চল গুলোর কথা।

শহরের মধ্যে ইন্টারনেটের গতি অনেক ভালো থাকলেও। যখন আপনি গ্রামের মধ্যে যাবেন। তখন দেখতে পারবেন যে সেখানে ইন্টারনেট এর গতি অনেক স্লো।

আবার বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটের কোন প্রকারের সিগনাল পাওয়া যায় না। তো সেই এলাকাতে বসবাস করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।

এই ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে শিক্ষা গ্রহণ করা নিছক বিলাসিতা মাত্র। আর এই সমস্যাটা মূলত অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়।

যার ফলে তারা এই ধরনের ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে শিক্ষা গ্রহণ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত থাকে।

দারিদ্র্য

যদি আপনি আমাদের বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনি বেশ ভালো করেই লক্ষ্য করতে পারবেন।

এখনো আমাদের বাংলাদেশে অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছে। তো যখন একজন শিক্ষার্থী ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইবে।

তখন অবশ্যই সেই শিক্ষার্থীর হাতে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস থাকতে হবে।

যেমন, কম্পিউটার, মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি। তো আপনার অথবা আমার ক্ষেত্রে এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো কেনা সম্ভব হলেও।

আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যাদের পক্ষে এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো কেনা একেবারেই অসম্ভব।

যার ফলে তারা এই ধরনের ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত থাকে।

শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি

বিশেষজ্ঞদের একটি বিশেষ সমীক্ষায় দেখা গেছে। যে সকল ব্যক্তিরা অধিক সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তাদের নানা ধরনের সমস্যা হয়। যেমন ধরুন, আপনি যদি অধিক সময় ধরে মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করেন।

তাহলে কিন্তু আপনার শারীরিক ক্ষতি হবে। সেই সাথে আপনি আপনার মধ্যে মানসিক ক্ষতি ও লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর যেহেতু বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে।

সেহেতু এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, তাদের মধ্যে এই ধরনের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি হয়ে থাকে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

সেই সাথে বর্তমান সময় এর শিক্ষার্থীরা এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে কি কি অপকারিতার শিকার হচ্ছে। সে গুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক হেল্প পেয়েছেন।

আর এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো কে জানতে হলে। অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।

কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এই ওয়েবসাইটের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করি।

সবশেষে আপনাকে বলব যে, পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

1 thought on “শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ( প্রতিবেদন / রচনা / অনুচ্ছেদ )”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top