বীমা কাকে বলে | বীমা কত প্রকার ও কি কি | What is insurance in Bengali

বীমা কি অথবা বীমা কাকে বলে ? বীমা কি ও কেন সহজ কথায় বলতে গেলে বীমা হল সবচেয়ে কার্যকরী একটি হাতিয়ার। যা মূলত ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বীমা কাকে বলে | বীমা কত প্রকার ও কি কি | What is insurance in Bengali
বীমা কাকে বলে

যদি আপনার কোন বীমা থাকে। তাহলে আপনি আপনার বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতি বা আপনার ব্যবসায়িক ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

মুলত এই বীমা হল এক ধরনের আইনি চুক্তি যার মাধ্যমে এটি বীমা কোম্পানি এবং বীমা করা ব্যক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত করা হয়।

আর এর পরবর্তী সময়ে যখন সেই বীমা করা ব্যক্তির আকস্মিন কোন আর্থিক ক্ষতি হয়। তখন সেই বীমা কোম্পানি থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

কেননা চুক্তি করার সময় এই বিষয় গুলোই উল্লেখ করা থাকে। যেহেতু বর্তমান সময়ে অনেকেই বীমা করছে।

সেহেতু আমাদের অনেকের মনে এই বীমা বা ইনস্যুরেন্স সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন রয়েছে।

আর আজকে আমি আপনাকে এই যাবতীয় প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

তো আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা আসলে জানতে চায় যে বীমা কাকে বলে। সেই সাথে আরো বীমা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় খুঁজে থাকে।

যেমন, বীমা কত প্রকার ও কি কি, বিমার সুবিধা গুলো কি কি ইত্যাদি। তো আপনি যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আপনাকে আজকের পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কেননা আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে বীমা সম্পর্কিত যে সকল বিষয় রয়েছে।

আপনি আরোও দেখুন…

তার প্রত্যেক টি বিষয় কে আজকে আমি স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব। যেমন, প্রথমত আপনি জানতে পারবেন যে বীমা কি।

এর পরে আপনি জানতে পারবেন যে বীমা কত প্রকার ও কি কি।

এবং সব শেষে আমি আপনাকে বীমার সুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

এবং বীমা রিলেটেড যাবতীয় বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

ইন্স্যুরাস কি বা বীমা কি ? (what is insurance in Bengali)

যদিও বা আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে বীমা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, ইন্সুরেন্স বা বীমা কাকে বলে (insurance meaning in Bengali).

কেননা যখন আপনি জানতে পারবেন যে, বীমা কাকে বলে। তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

তাই চলুন সবার শুরুতে জেনে নেওয়া যাক যে, বীমা কি এবং এর পরে আমরা জানতে পারবো বীমা কত প্রকার ও কি কি।

বীমা কি যদি আমি এই বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে বলার চেষ্টা করি। তাহলে বলব যে, বীমা হল বিশেষ এক ধরনের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার হাতিয়ার।

যাকে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা বলা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, আপনি কোন একটি ব্যবসা করেন।

এবং আপনার সেই ব্যবসা তে হঠাৎ করেই লস খাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকবে।

কেননা ব্যবসা মানেই হলো ঝুঁকি। তো আপনি যদি হঠাৎ করে আপনার ব্যবসা তে কোন ধরনের লস খান।

তাহলে আপনার সেই ব্যবসার বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতি বা ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করবে এই বীমা।

যদিও বা একজন ব্যক্তির মধ্যে থাকা মানসিক কিংবা মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতিপূরণ কোনো ভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আপনার যদি বীমা করা থাকে।

তাহলে আপনি অবশ্যই আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই সহায়তা পাবেন। এখন হয়তোবা অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

যে ভাই জীবনের তো কোন নিশ্চয়তা নাই। তাহলে এই বীমা করে কি লাভ হবে। তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, মানুষ মাত্রই মরণশীল।

কিন্তু তারপরও আমরা জীবনে বেঁচে থাকার সময় একটু আরামদায়ক জীবন কাটানোর তাগিদে কত কিছুই না করছি তাই না?

ঠিক একই ভাবে এই বিষয় টি যদি আপনি বীমার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন। তাহলে একই পরিস্থিতি লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা আপনি বেঁচে থাকাতে যখন আপনার কোন আর্থিক ক্ষতি হবে। তখন আপনি সেই আর্থিক ক্ষতির সহায়তা পাবেন বীমা থেকে।

বীমা কাকে বলে বা বীমার সংজ্ঞা

উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে বীমা কাকে বলে সে সম্পর্কে স্বল্প আকারে ধারণা দিয়েছি।

তবে আলোচিত সেই আলোচনা থেকে আপনার তেমন একটা পরিষ্কার ধারণা না আসলে।

এবারের সংজ্ঞা টি আপনার জন্য অনেক হেল্প ফুল হবে। কেননা এবার আমি আপনাকে insurance কি তা সংজ্ঞার মাধ্যমে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব।

যাতে করে ইন্সুরেন্স কি বা বীমা কি সে সম্পর্কে আপনি একবারে পরিষ্কার ভাবে জানতে পারেন।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন এবার বীমার সংজ্ঞা জেনে নেওয়া যাক। বীমা হল বিশেষ এক ধরনের প্রক্রিয়া।

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বীমা কোম্পানীর সাথে কোন একজন ব্যক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। এবং সেই স্বাক্ষরিত কাগজের মধ্যে বিশেষ কিছু চুক্তি থাকে।

আর এই চুক্তি গুলোর মধ্যে উল্লেখ থাকে যে। সেই বীমা কোম্পানির সাথে যে ব্যক্তি চুক্তি তে স্বাক্ষর করবে।

সেই ব্যক্তির বেঁচে থাকা কালীন সময়ে যদি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কিংবা আর্থিক গত ক্ষেত্রে আকস্মিন ক্ষতি হয়।

তাহলে তার সেই ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বীমা কোম্পানি। আর সে কারণে বীমা কে বলা হয়ে থাকে ঝুঁকি হস্তান্তর কারী প্রক্রিয়া।

অর্থাৎ বিভিন্ন ঝুঁকির ফলে আপনার যে ক্ষতি হবে তার ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে সেই বীমা কোম্পানি গুলো।

এর ফলে আপনার যে পরিমাণ ক্ষতি হবে তা আপনি তুলে নিতে পারবেন।

বীমার উপাদান গুলো কি কি?

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি বীমা কাকে বলে বা ইন্সুরেন্স কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

তো আপনি যদি উপরের আলোচনা গুলো পড়ে থাকেন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার একবারে পরিষ্কার ধারণা চলে এসেছে।

তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এবার আমি আপনাকে বীমার উপাদান গুলো কি কি সে সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

কেননা একজন নতুন ব্যক্তি হিসেবে যখন আপনি বীমা করতে যাবেন। তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের উপাদান দেখতে পারবেন।

আর সেই উপাদান গুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে। তখন আপনি বুঝতে পারবেন না যে, কোন উপাদানের কি কি কাজ রয়েছে।

তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, বিমার উপাদান গুলো কি কি এবং কোন উপাদানের কি কি কাজ।

১. প্রিমিয়াম

বীমা প্রিমিয়াম কাকে বলে? সচারচর কোন একটি বীমার পলিসি তে আপনার ঝুঁকির উপর নির্ভর করে যে পরিমাণ মাসিক খরচ গণ্য করা হয়ে থাকে।

তাকে বলা হয় তাকে প্রিমিয়াম বীমা। মূলত এর উপরে নির্ভর করবে যে, আপনার আসলে কোন ধরনের বীমা কভারেজ এর প্রয়োজন হবে।

চলুন বিষয়টি কে আরেকটু সহজ ভাবে আলোচনা করি। যাতে করে আপনার বুঝতে সুবিধা হয়।

মনে করুন, আপনার একটি দামি গাড়ি আছে এবং সেই সাথে আপনার একটি দামি বাড়ি আছে। এখন আপনার যদি পূর্বে কোন গাড়ির মাধ্যমে দুর্ঘটনার ঘটনার ইতিহাস থাকে।

সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার এই বীমার উপাদানের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন।

এবং এই ধরনের কাজে বীমা করার সময় আপনার দুর্ঘটনা ঘটলে অর্থের বীমা করতে চাইবেন। আর যখন আপনি এই ধরনের বীমা করবেন।

তখন অবশ্যই আপনার প্রিমিয়াম এর পরিমাণ অনেক বেশি হবে। কিন্তু আপনি যদি একজন সতর্ক ড্রাইভার হয়ে থাকেন। যদি আপনার পূর্বে কোন দুর্ঘটনা করার ইতিহাস না থাকে।

তাহলে আপনি কম টাকায় বীমা করতে পারবেন। মূলত এই যাবতীয় বিষয় গুলো পলিসির কারণে প্রিমিয়াম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

এবং আপনি চাইলে ভিন্ন প্রিমিয়াম পলিসির আওতায় থাকতে পারবেন।

২. পলিসি লিমিট

সহজ কথায় বলতে গেলে কোন একজন ব্যক্তি যখন বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে। তখন সেই চুক্তিবদ্ধ হওয়া ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোন পলিসির অধীনে।

একজন পলিসি হোল্ডার সর্বোচ্চ যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। সেই অর্থের পরিমাণ এর সমন্বয়ে কে বলা হয়ে থাকে পলিসি লিমিট।

মূলত এখানে ম্যাক্সিমাম পলিসি লিমিট সেট করা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ একজন ব্যক্তির বার্ষিক বা পলিসি মেয়াদ এর উপর ক্ষতি বা আঘাতের জন্য কি পরিমানে তার পলিসি এর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে। তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়ে থাকে।

তবে আপনার পলিসি যদি অনেক উচ্চ হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনার পলিসির লিমিট গুলোর ক্ষেত্রে অবশ্যই উচ্চ প্রিমিয়াম প্রদান করা হবে।

এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে। বেঁচে থাকার সময় কোন একজন ব্যক্তি যখন বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়।

তখন পরবর্তী সময়ে যদি সেই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে। তাহলে তার মনোনীত ব্যক্তি কে নমনী হিসেবে তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

৩. বাদ (deductible)

বীমার অন্যান্য উপাদান গুলোর পাশাপাশি আপনি আরও একটি বিশেষ উপাদান দেখতে পারবেন। যাকে বলা হয়ে থাকে বাদ (deductible).

তবে এই বাদ যাওয়া মূল্য হল নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কে প্রকাশ করে থাকে। যা মূলত পলিসি হোল্ডার কে যে ব্যক্তি বীমার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।

তার দাবি পরিশোধ করার আগে প্রদান করতে হয়। তবে এই অর্থ প্রদান করার বিষয়টি অবশ্যই বীমা কম্পানি এবং সেই সাথে বীমার পলিসির প্রকারের উপর নির্ভর করে থাকে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

এবং এই সব কিছু বিবেচনা করার পরে। একজন বীমার সাথে চুক্তি বদ্ধ ব্যক্তির দাবি এর উপর নির্ভর করে তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন যে, উচ্চ ডিডাক্টিবল পলিসি গুলো সাধারণত কম ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।

কেননা যখন উচ্চ ব্যয়ের ফলে ক্লেইম করা হয়। তখন ক্লেইম এর অর্থের পরিমাণ অনেক কমে যায়।

৪. বিশেষ বিবেচ্য বিষয়

অনেকেই জানতে চান স্বাস্থ্য বীমা কাকে বলে? উপরে আপনি বেশ কিছু বীমার উপাদান সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এই উপাদান গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি।

এবার আপনাকে বিশেষ বিবেচ্য বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। মূলত এবার আমি দীর্ঘস্থায়ী বীমা সম্পর্কে একটু আলোচনা করব।

যেমন ধরুন, আপনার যদি কোন দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য ও সমস্যা থাকে। বা আপনার যদি নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যেন। আপনার বীমা গুলো কম ডিডাক্টিবল পলিসি যুক্ত হয়ে থাকে।

যদিও বা আমরা ভালো করে জানি যে বার্ষিক প্রিমিয়াম এর সাথে তুলনা করলে। ডিডাক্টিবল পলিসি ক্ষেত্রে অনেক বেশি ব্যয় করতে হবে।

তবে আমার যুক্তি মতে আপনার এই ধরনের পলিসির সাথে যুক্ত হওয়া উচিত। এবং চেষ্টা করবেন আপনি যাতে সারা বছর কম টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন।

বীমা কত প্রকার ও কি কি – (Different Types of Insurance Policies)

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, বীমা কাকে বলে। এবং সেই সাথে আমি আপনাকে বীমার উপাদান গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি।

তো এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, বীমা কত প্রকার ও কি কি (Different Types of Insurance Policies).

তো আপনার মনেও যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে এবারের আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

কারণ এবার আমি আপনাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে। বীমা কত প্রকার ও কি কি।

তো চলুন এবার তাহলে সেই বিষয় টি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

লাইফ ইন্স্যুরেন্স বা জীবন বীমা

মূলত এই ধরনের বীমার পলিসি গুলোর মাধ্যমে কোন একজন ব্যক্তি যে বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।

তার জীবন কে অর্থের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হয়ে থাকে। আর এই চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি যদি আপনি হয়ে থাকেন।

তাহলে আপনার সেই বীমার অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি মেয়াদ থাকবে। এবং সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেই বীমা কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।

মূলত আপনি অন্যান্য যে সব বীমার পলিসি দেখতে পারবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো লাইফ ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমা। যদি কোন কারণে আপনার অকাল মৃত্যু হয়।

তাহলে এই জীবন বীমা আপনার পরিবার কে সুরক্ষা প্রদান করবে। এর পাশাপাশি যখন আপনার অনেক বয়স হবে।

আপনি উপার্জন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। তখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।

জেনারেল ইন্স্যুরেন্স বা সাধারণ বীমা

সহজ কথা বলতে গেলে যখন আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনার সম্পত্তির বীমা করবেন।

আপনার দায়ে বীমা করবেন এবং অন্যান্য ধরনের বীমা করবেন। তখন সেই ধরনের বীমা গুলো কে বলা হবে, সাধারণ বীমা।

আর আপনি যদি এই ধরনের জেনারেল ইন্সুরেন্স কিংবা সাধারণ বীমা করে থাকে। তাহলে আপনার যে তৃতীয় পক্ষ থাকবে।

তার কাছ থেকে যে ধার থাকবে। সেই ধারের টাকা বীমা কোম্পানি শোধ করে দিবে।

আর বর্তমান সময়ে মানুষ ক্রমাগত ভাবে এই ধরনের জেনারেল ইন্সুরেন্স বা সাধারণ বীমার সাথে যুক্ত হচ্ছে।

প্রপার্টি ইন্স্যুরেন্স বা সম্পত্তির বীমা

যখন আপনি কোন একটি বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় প্রপার্টি ইন্সুরেন্স বা সম্পত্তির বীমা করবেন।

তখন সেই বীমা কোম্পানি আপনার সম্পত্তির ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করবে। যেমন ধরুন আপনার একটি বাড়ি  আছে।

এবং কোন কারণে যদি আপনার সেই বাড়িতে আগুন লাগে। তাহলে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে তা মূলত বীমা কোম্পানি প্রদান করবে।

এর পাশাপাশি শুধুমাত্র বাড়ি তে আগুন লাগা নয়। বরং বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের মাধ্যমে আপনার ক্ষতি হওয়া, চুরি হয়ে যাওয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রেও যে পরিমাণ ক্ষতি হবে।

সে গুলো বীমা কোম্পানি থেকে পরিশোধ করে দেওয়া হবে।

মেরিন ইন্স্যুরেন্স

যারা মূলত সমুদ্র পথে যাতায়াত করে। তারা এই ধরনের মেরিন ইন্সুরেন্স বীমা করে থাকে।

সে ক্ষেত্রে যদি আপনার সমুদ্রপথে ধাক্কা খাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শত্রুর আক্রমণ। এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আপনার যে পরিমাণ ক্ষতি হবে।

সে পরিমাণ ক্ষতি বীমা কোম্পানি থেকে শোধ করে দেওয়া হবে। মূলত এই ধরনের বীমা গুলো জাহাজ, মালবাহী জাহাজ এর ক্ষেত্রে উক্ত বীমা গুলো করা হয়ে থাকে।

আর আপনি যদি সমুদ্র পথে কোন ব্যবসা করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই ধরনের মেরিন ইন্সুরেন্স করতে হবে।

ফায়ার ইন্স্যুরেন্স

যদি আপনি ফায়ার ইন্সুরেন্স এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তাহলে পরবর্তী সময়ে যখন কোন ধরনের সম্পত্তির ক্ষতি, দাঙ্গা হামলা বা দুর্ঘটনার কারণে যদি আগুন লেগে যায়।

এবং সেই আগুনের ফলে আপনার যে পরিমাণ ক্ষতি হবে। সেই ক্ষতি মূলত বীমা কোম্পানি থেকে কভার করে দেওয়া হবে।

কেননা এই ফায়ার ইন্সুরেন্স মূলত ব্যক্তিগত ক্ষতিপূরণ থেকে শুরু করে সমাজের যে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ প্রদান করে থাকে।

লায়াবিলিটি ইন্সুরেন্স

একজন ব্যক্তি হিসেবে যখন আপনি লায়াবিলিটি ইন্সুরেন্স এর সাথে চুক্তি বদ্ধ হবেন। তখন সেই বীমাকৃত কোম্পানি আপনার সম্পত্তির ক্ষতি পূরণ প্রদান করবে।

কেননা যখন আপনি সেই বীমার সাথে চুক্তি বদ্ধ হবেন। তখন পরবর্তী সময়ে যদি আপনার সম্পত্তির কোন ধরনের ক্ষতি হয়।

তাহলে তা সরাসরি বীমা কোম্পানি থেকে প্রদান করা হবে।

সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স

উপরে আপনি প্রিমিয়াম বীমা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মূলত এই প্রিমিয়াম বীমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সোশ্যাল ইন্সুরেন্স।

কেননা এই বীমা সমাজের মধ্যে যে সকল দুর্বল অংশ রয়েছে তা সুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।

কেননা যখন আপনি বেকারত্ব, অসুস্থতা কিংবা অদক্ষমতা এর মধ্যে কোন একটি সমস্যার মধ্যে থাকবেন।

তখন এই ধরনের সোশ্যাল ইন্সুরেন্স এর মাধ্যমে আপনাকে সুরক্ষা প্রদান করা হবে।

হেলথ ইন্সুরেন্স

যারা মূলত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এবং যেসব ব্যক্তি হেলথ ইন্সুরেন্স এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

তারা তাদের চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ করবেন। তা মূলত বীমা কোম্পানি থেকে কভার করে দেওয়া হবে।

তবে এই পলিসির মাধ্যমে আপনাকে মোট কত টাকা প্রদান করা হবে। তা মূলত আপনার প্রিমিয়াম এর উপর নির্ভর করবে।

সেই সাথে আপনার পলিসি লিমিট এর উপর নির্ভর করবে যে। আপনি আসলে বীমা কোম্পানি থেকে কি পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন।

বীমার সুবিধাগুলো কি কি ?

বীমা কাকে বলে বা বীমা কি এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে বীমার সুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে জানতে হবে।

কেননা আপনি একজন ব্যক্তি হয়ে যখন কোন বীমা কোম্পানির সাথে যুক্ত হবেন। তখন আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর এবার আমি আপনাকে সেই সুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এবং আপনি আসলে তখনই সেই সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

যখন আপনি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে কোন বীমা কোম্পানি এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে বীমার সুবিধা গুলো কি কি।

  1. প্রথমত আপনি বীমা থেকে সুরক্ষা পাবেন। কেননা বিভিন্ন সময় আপনার অনেক ধরনের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। আর যখন আপনার সেই আর্থিক ক্ষতি হবে।
  2. তখন আপনি সেই ক্ষতি গুলো বীমা কোম্পানি থেকে শোধ করতে পারবেন।
  3. মূলত বীমা কোম্পানি থেকে এক ধরনের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এবং যখন আপনি বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন।
  4. তখন আপনাকে নিশ্চয়তা দেয়া হবে যে, আপনার আর্থিক ক্ষতির সহায়তা প্রদান করা হবে।
  5. বীমা কোম্পানি গুলো মূলত আপনার সাথে ঝুঁকি ভাগ করে নিবে। অর্থাৎ আপনি যদি কোন ব্যবসা করেন। এবং আপনার ব্যবসার মধ্যে যখন কোনো ধরনের ক্ষতি হবে।
  6. তখন আপনার এই ক্ষতির পরিমাণ বীমা কোম্পানি ভাগ করে নিবে।
  7. বীমা কোম্পানী সর্বদাই ঝুঁকির মাত্রা কে যথেষ্ট পরিমাণে মূল্যায়ন করে থাকে। এবং যখন আপনি কোন বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন।
  8. তখন আপনার আগত ঝুঁকি গুলো সম্পর্কে তারা অবগত করে দিবে।
  9. আপনার মধ্যে যদি সংরক্ষণ বা সঞ্চয় করার অভ্যাস না থাকে। তাহলে এই অভ্যাস টি আপনাকে বীমা কোম্পানি থেকে তৈরি করে দিবে।
  10. কেননা আপনি যাতে সংরক্ষণ করতে পারেন। তার জন্য যে সকল কাজ করার দরকার। তা মূলত আপনার অভ্যাসে পরিণত করে দিতে সহায়তা প্রদান করবে।

তো আপনি যদি বীমা করে থাকেন তাহলে যে সকল সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন। সেই সকল বীমার সুবিধা গুলো কে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর এর বাইরেও আপনি আরো এমন অনেক ধরনের সুবিধা দেখতে পারবেন।

যে গুলো আপনি যখন সরাসরি কোন বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন।

এছাড়াও উপরে দেখানো বীমা প্রকার গুলোর মধ্যে কিছু আলাদা প্রকারের অংশ থাকে সে গুলা হলো।

দুর্ঘটনা বীমা কাকে বলে

একটি দুর্ঘটনা বীমা পলিসি হল এক ধরনের বীমা যা দুর্ঘটনাজনিত আঘাতের ক্ষেত্রে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।

পলিসিধারক সাধারণত চিকিৎসা খরচ এবং দুর্ঘটনার ফলে হতে পারে এমন অন্যান্য ক্ষতির জন্য কভার করা হয়।

দুর্ঘটনা বীমা একটি স্বতন্ত্র নীতি বা একটি বড় বীমা প্যাকেজের অংশ হিসাবে ক্রয় করা যেতে পারে।

যৌথ বীমা কাকে বলে

যৌথ বীমা হল একটি বীমা পলিসি যা দুই বা ততোধিক লোককে কভার করে। পলিসি দ্বারা আচ্ছাদিত ব্যক্তিদের বীমাকৃত বলা হয়।

সহজ কথায় বলা যায়,  একসাথে কতগুলা লোক একত্রিত হয়ে যখন কোন বিমা করে সেই বিমাকেই যৌথ বীমা বলে।

যৌথ বীমা একটি পরিবার, ব্যবসায়িক অংশীদার, বা অন্য যেকোন গোষ্ঠী যারা একসাথে বীমা করতে চায় তাদের কভার করতে ব্যবহার করা হয়।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

যৌথ বীমা পলিসি সাধারণত প্রতিটি ব্যক্তির জন্য পৃথক পলিসি কেনার চেয়ে সস্তা। এর কারণ হল বিমাকারীরা একাধিক ব্যক্তিকে বীমা করার জন্য ডিসকাউন্ট অফার করে।

বীমা নিয়ে আমাদের শেষকথা

যেহেতু বর্তমান সময়ে অনেকেই বিভিন্ন বীমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে।

সেহেতু এই বীমা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন রয়েছে।

তো যারা আসলে এখন পর্যন্ত জানেন না যে বীমা কাকে বলে তাদের জন্য আজকের এই আলোচনাটি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

কারণ আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে বীমা কি তা খুব সহজভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি।

তো আপনি যদি এই ধরনের বীমা সম্পর্কিত অজানা বিষয়গুলোকে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। আর পুরো লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top