ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় | মোবাইল দিয়ে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো করা যাবে?

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় : মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। কারণ অনলাইন প্লাটফর্মে কন্টেন্ট রাইটিং নামক একটি ফ্রিল্যান্সিং জব রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় | মোবাইল দিয়ে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো করা যাবে?
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়

যেটি আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব রয়েছে। যে গুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।

আমরা যারা মোবাইল ব্যবহার করি। তারা জানতে চাই যে, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যাবে? ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়? –

হয়তোবা আপনিও এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন অথবা জানতে চাচ্ছেন, মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলা কি এবং মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যায় কিনা।

আর সে কারণেই এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। তাহলে শুনুন… আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তবে সে জন্য অবশ্যই আপনাকে মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, সে সম্পর্কে জানতে হবে।

আর আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিব, মোবাইল দিয়ে কি আউটসোর্সিং করা যায এবং মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কথাটা সত্যি নাকি মিথ্যা

প্রসঙ্গ যখন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার। তখন একটি প্রশ্ন আমাদের মনে জেগে থাকাটা স্বাভাবিক।

আর সেটি হল যে, মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এ কথা সত্যি নাকি মিথ্যা?

তো চলুন, এবার এই বিষয় টি সম্পর্কে একটু পরিষ্কার ধারণা নেওয়া যাক। দেখুন আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তখন লক্ষ্য করতে পারবেন।

যে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের জব রয়েছে। এবং সে গুলোর মধ্যে এমন কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব আছে। যে গুলো আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।

যেমন টা আমি শুরুতেই আপনাকে বলে দিয়েছি, কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে। মূলত কনটেন্ট রাইটিং হল এমন একটি ফ্রিল্যান্সিং জব।

যেটা করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখির কাজ করতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি বর্তমানে যে লেখা টি পড়ছেন, সেটাও একটা কনটেন্ট।

তো এই ধরনের কন্টেন্ট গুলো লিখতে গেলে কম্পিউটার লাগবে বিষয়টা এমন নয়। বরং আপনি এই ধরনের কনটেন্ট গুলো আপনার মোবাইল দিয়েও লিখতে পারবেন।

এখন যারা আসলে জানতে চান যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কথাটা সত্যি নাকি মিথ্যা।

তারা একটু চিন্তা করে দেখুন, আপনি কি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন কি না।

কেননা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এমন অনেক ধরনের সহজ সহজ কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব এখনো আছে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন?

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন? যখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাই। তখন আমাদের মনে এই প্রশ্নটি জেগে থাকে।

তো যখন আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। তখন আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমনঃ

  1. আপনি যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন, সেই মোবাইল টি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য উপযুক্ত কি না।
  2. আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করতে পারবেন কি না।
  3. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করতে পারবেন কি না।

ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল দিয়ে করছেন নাকি কম্পিউটার দিয়ে করছেন সেটা বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনার সেই ডিভাইস টি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য উপযুক্ত কিনা।

যেমন ধরুন, আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু অ্যাপস মোবাইলের মধ্যে ইন্সটল করে নিতে হবে। যেমন, Google Chrome, Google Docs, facebook, whatsapp ইত্যাদি।

এখন এই প্রয়োজনীয় এপ্স গুলো ইন্সটল করার পর যদি আপনার মোবাইলে হ্যাং হয়ে যায়। তাহলে কিন্তু আপনি সঠিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো করতে পারবেন না।

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে একটু ভালো মানের মোবাইল ব্যবহার করতে হবে।

যাতে করে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলো আপনি স্মুথলি ব্যবহার করতে পারেন।

এসবের পাশাপাশি যখন আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তখন অবশ্যই আপনার মোবাইলের সাথে একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

কারন ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় কাজ গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে করতে হবে।

এছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করতে পারবেন কিনা, সেটাও কিন্তু মুখ্য বিষয়।

মোবাইলে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায় ?

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ছাড়াও মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় সেই বিষয়ে আমি আপনাকে স্বল্প আকারে ধারণা দিয়েছি।

তো এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিব যে, মোবাইলে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো করা যায়।

চলুন এবার তাহলে সেই ফ্রিল্যান্সিং জব গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যে গুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।

কনটেন্ট রাইটিং

আলোচনার শুরুতেই আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হলো যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অন্যতম একটি কাজ হল, কন্টেন্ট রাইটিং।

কেননা এই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজটি করার জন্য আপনার কাছে একটি মোবাইল ফোন থাকলেই যথেষ্ট।

মূলত যখন আপনি মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করবেন তখন আপনাকে শুধু মাত্র কয়েকটি অ্যাপস ইনস্টল করতে হবে।

বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাবেন। যারা ঘরে বসে না থেকে নিজের মোবাইল দিয়ে এই কনটেন্ট রাইটিং এর কাজটি করে আসছে।

আর আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে এই কন্টেন্ট রাইটিং জব এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কারণ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট রাইটিং হল সবচেয়ে সম্মানজনক একটি পেশা। তবে যদি আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে চান।

তাহলে কিন্তু আপনার মধ্যে বেশ কিছু গুণাবলী থাকতে হবে। আর সে গুলো হলোঃ

  1. আপনার লেখালেখি করার অভ্যাস থাকতে হবে।
  2. কোন একটি বিষয় কে লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার মতো দক্ষতা থাকতে হবে।
  3. আপনি যে লেখাটি লিখবেন, তার মধ্যে যথেষ্ট সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
  4. কখনোই অন্যের লেখা কপি করা যাবে না।
  5. নিজের লেখার মধ্যে কখনোই ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না।
  6. বাংলায় কনটেন্ট লেখার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতে content লেখার মত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

তো যখন আপনি মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করবেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে এই বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। আশা করি এই কাজ গুলো সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।

ট্রান্সলেশন

ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যান্য জব গুলোর মধ্যে ট্রান্সলেশন খুব জনপ্রিয় একটি জব। কেননা এখানে আপনাকে শুধুমাত্র একটি ভাষা কে অন্য আরেক টি ভাষায় ট্রান্সলেট করতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনি আমাদের বাংলাদেশী ভাষা জানার পাশাপাশি চীনের ভাষা জানেন।

সে ক্ষেত্রে আপনি এই ধরনের translation করার কাজ টি করতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশী ভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে, দোভাষী।

আর আপনার হয়তোবা একটা বিষয় জেনে রাখা উচিত। যখন আপনি এই ধরনের ট্রানসলেশন ফ্রিল্যান্সিং জব গুলো করবেন।

তখন কিন্তু আপনি প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। আর অবাক করার মত বিষয় হলো এই হাই রেটের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং জবটি।

আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। কেননা ট্রান্সলেশন এর কাজ গুলো করার জন্য কম্পিউটার বাধ্যতামূলক বিষয়টা এমন নয়।

কপিরাইটিং:

যখন আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে যাবেন। তখন আপনি আরও একটি ফ্রিল্যান্সিং জব সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর সেটি হল, কপিরাইটিং।

যেখানে আপনার কপিরাইট করার দক্ষতা থাকতে হবে। এবং আপনি চাইলে সেই দক্ষতার কাজে লাগিয়ে মোবাইল দিয়ে এই ফ্রিল্যান্সিং জব টি করতে পারবেন।

আর বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক মানুষ কে দেখতে পারবেন। যারা মূলত তাদের স্মার্ট ফোন দিয়ে কবিরাইটিং জবটি করে।

এবং তারা প্রতি মাসে মোবাইল থেকেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে। যেহেতু তারা এই কাজ টি করতে পারছে।

তাহলে আপনিও আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে কপিরাইটিং নামক এই ফ্রিল্যান্সিং জব টি করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

অনলাইনের মধ্যে থাকা অন্যান্য কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। মনে করুন, আপনি একজন বিখ্যাত কোম্পানির মালিক।

এবং আপনার কোম্পানির প্রচার করার জন্য অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো তে একাউন্ট রয়েছে।

এখন আপনি তো আপনার কোম্পানি সামলাতেই ব্যস্ত, তাহলে এই সোশ্যাল মিডিয়া এখন গুলো কে পরিচালনা করবে?

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে একজন এক্সপার্ট সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কে হায়ার করতে হবে। যে ব্যক্তি আপনার কোম্পানির সকল সোশ্যাল মিডিয়া গুলো পরিচালনা করবে।

যেমন, আপনার কোম্পানির জিমেইল অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট, টুইটার একাউন্ট ইত্যাদি।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

সোশ্যাল মিডিয়া গুলো কে সে পরিচালনা করবে। তো এই কাজ গুলো করতে হলে কম্পিউটার লাগবেই এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

বরং আপনি মোবাইল দিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর জব করতে পারবেন। আর এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া জব গুলো করতে পারলে।

আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স

বাস্তবিক জীবনে ব্যস্ততম মানুষ গুলো যেমন অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখে। ঠিক তেমনি ভাবে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর চাহিদা রয়েছে।

যেমন ধরুন, সেলিব্রেটিদের কথা। যারা বর্তমান সময়ে সেলিব্রেটি, তারা তাদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া গুলো পরিচালনা করার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেখে দেয়।

যাতে করে তার অনলাইন প্লাটফর্মে থাকা যাবতীয় একাউন্ট গুলো  পরিচালনা করে। বিষয়টা কে আরেকটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিই।

মনে করুন, হিন্দি নায়ক সালমান খান এর কথা। সে কিন্তু সিনেমা করতেই ব্যস্ত থাকে, এখন আপনি ফেসবুক, টুইটার এর মধ্যে সালমান খান এর একাউন্ট দেখতে পারবেন।

তো এই একাউন্ট গুলো মূলত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

আর অবাক মত বিষয় হলো যে, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ গুলো আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।

কাস্টমার সাপোর্ট

বর্তমান সময়ে আমরা যে সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠান দেখতে পাই। সেই প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের কাস্টমারদের সঠিক সেবা দেয়ার লক্ষ্যে কাস্টমার সাপোর্ট সুবিধা চালু করে দেয়।

আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, অধিকাংশ কাস্টমার সাপোর্ট কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে হায়ার করা হয়ে থাকে।

তো এই ধরনের কাজ গুলো আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। এবং এই কাজ গুলো করে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

আর যারা আসলে জানতে চায় যে, ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়? -তাদের জন্য এটি হবে উপযুক্ত একটি ফ্রিল্যান্সিং জব।

ভয়েস ওভার

আমরা ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পাই। আপনি কি জানেন এই ভিডিও গুলো তৈরি করার সময় বিভিন্ন মানুষ নিজের কন্ঠ দিয়ে থাকে?

কেননা এই ধরনের ভিডিও গুলো তৈরি করার জন্য প্রথমে স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়। এরপর একজন ভয়েস অভার আর্টিস্ট সেই স্ক্রিপ্ট পরে নিজের ভয়েস রেকর্ড করে।

তারপরে সেই রেকর্ড করা ভয়েস টি ভিডিওর সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়।

আর বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন দক্ষ ভয়েস ওভার আর্টিস্ট এর যথেষ্ট পরিমাণ চাহিদা রয়েছে।

সবচেয়ে বড় কথা হলো এই ধরনের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট এর জব করতে হলে। আপনার নিকট একটি স্মার্ট ফোন থাকলেই যথেষ্ট।

বরং আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে নিজের ঘরে বসে ভয়েস আর্টিস্ট জব করে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তো আপনার একটা কথা জেনে রাখা উচিত।

আর সেই কথা টি হল, যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে হবে। এরপরে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে জব করতে পারবেন।

কিন্তু এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। যারা মূলত মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চায়।

তারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবে, সে সম্পর্কে তারা কিছুই বুঝতে পারে না।

আর এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিব যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে পারবেন।

Learn From youtube | Mobile Freelancing 

আপনি যদি কোন প্রকার অর্থ ব্যয় না করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। তাহলে আপনার জন্য অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম হবে, ইউটিউব।

কেননা এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য পর্যাপ্ত ভিডিও খুজে পাবেন। এবং সেই ভিডিও গুলো দেখে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে।

এর পাশাপাশি আপনি চাইলে গুগলের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পড়তে পারেন।

এতে করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

Learn From Course | Mobile Freelancing

বর্তমান সময়ে আমরা ক্রমাগত ভাবে অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর সে কারণেই কোন কিছু শেখার কাজটিও এখন আমরা অনলাইনে সম্পন্ন করতে চাই।

সেজন্য আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। তাহলে আপনার জন্য অন্যতম একটি উপায় হবে কোর্স দেখে ফ্রিল্যান্সিং শেখা।

অর্থাৎ ইতিমধ্যেই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিডিও তৈরি করে।

এবং আপনি যখন তাদের সেই ভিডিও গুলো টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে নিজের বাসায় প্র্যাকটিস করবেন।

তখন কিন্তু আপনার ফ্রিল্যান্সিং শেখার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়

উপরের আলোচনা থেকে ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় কিনা সে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

তো সেটি জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় গুলো কি কি।

তো যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখবেন এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন।

তখন আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করবেন। সেখানকার ক্লাইন্ট আপনার কাজ করার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করবে।

এবং আপনি এভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করবেন এবং ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিবে। এভাবেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন।

Q: সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ্লিকেশন কোনগুলো?

A: দেখুন যখন আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তখন আপনাকে প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশন ইন্সটল করে নিতে হবে। যেমন, আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করেন।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে গুগল ডক্স নামক অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম দেখতে পারবেন।

Q: কেন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য মোবাইলের চেয়ে ভালো?

A: আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে।

যেমন, আপনি চাইলেও কম্পিউটারের মতো মোবাইলে কাজ করতে পারবেন না।

তো এই ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার চাইতে। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা অনেক ভালো।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ও আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আমরা যারা স্মার্টফোন বা মোবাইল ব্যবহার করি। তারা জানতে চাই যে, ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?

তো তাদের জন্য আজকে আমি খুব সহজভাবে উল্লেখ করেছি যে, মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। আর আপনি যদি আজকের এই লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তাহলে এই বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। মূলত আমরা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে নিয়মিত লেখা পাবলিশ করি।

আর আপনি যদি অনলাইন ইনকাম করতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। এবং যদি আমাদের লেখা সম্পর্কে আপনার কোন মতামত বা অভিযোগ থাকে।

তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top