ফ্যাশন ডিজাইন কি | ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার উপায়

ফ্যাশন ডিজাইন কি : (what is Fashion design in bengali) ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা কি, ফ্যাশন কাকে বলে?

ফ্যাশন ডিজাইন কি | ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার উপায়
ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার উপায়

[su_highlight background=” #ffd4a1″]সহজ কথায় বলতে গেলে ফ্যাশন ডিজাইন হল এক ধরনের শিল্প । যা মূলত বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কল্পনা কে পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়ে থাকে[/su_highlight]।

আর যখন কোন একজন শিল্পী তার শৈল্পিক সৃজনশীলতা কে পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারবে। তখন তাকে বলা হবে, ফ্যাশন ডিজাইন।

আর এই ফ্যাশন ডিজাইন এর চাহিদা বর্তমান সময়ে ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। কেননা আজকের দিনের মানুষ সবাই চায় নিজেকে একটু আলাদা ভাবে তুলে ধরতে।

এবং তার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হলো তার পোশাক আশাক। মূলত আপনি যদি আপনার পোশাক এর মধ্যে আলাদা রকমের ডিজাইন নিয়ে আসতে পারেন।

তাহলে আপনি অন্যান্য মানুষদের তুলনায় আপনাকে একটু আলাদা রকম ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

আর আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে, ফ্যাশন ডিজাইন কি বা ফ্যাশন কাকে বলে।

এবং একজন মানুষ আসলে কিভাবে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবে।

ফ্যাশন ডিজাইন কি ? (what is Fashion design in Bangla)

ফ্যাশন ডিজাইন হল এক ধরনের শিল্প। যা মূলত মানুষের পোশাক ও জীবন ধারার আনুষঙ্গিকতার সাথে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

যেমন আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে অনেক ভালোবাসে। এবং সেই সৌন্দর্য কে নিজের কল্পনার মধ্যে ধরে রাখে।

এখন সেই ব্যক্তি চাইলে তার এই ধরে রাখা সৌন্দর্য কে পোশাকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারবে।

আর যখন সেই ব্যক্তি কোন পোশাক এর মাধ্যমে তার মধ্যে থাকা সৌন্দর্য কে সৃজনশীলতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারবে।

তখন সেই পোশাক কে এক ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন হিসেবে ধরা হবে। আর এই দিক থেকে বিবেচনা করলে এটা নিশ্চিন্তে বলা যায়।

যে, এই ফ্যাশন ডিজাইন হল এক ধরনের কল্পনা প্রবণ শিল্পীদের মধ্যে থাকা বিশেষ একটি শিল্প।

যা মূলত তারা তাদের মধ্যে থাকা কল্পনা কে পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরে। আর যেসব শিল্পীরা এই শিল্পর সাথে যুক্ত। তাদের কে বলা হয়ে থাকে, ফ্যাশন ডিজাইনার।

ফ্যাশন ডিজাইনার কারা?

ফ্যাশন কাকে বলে এবং FASHION DESIGN ki এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি। এবার আমি আপনাকে নতুন একটি তথ্য সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

সেটি হল যে, ফ্যাশন ডিজাইনার কারা। আপনি উপরের আলোচনা থেকে ফ্যাশন ডিজাইন কি তা জানতে পেরেছেন।

তবে এখন যদি আপনাকে বলা হয় যে, ফ্যাশন ডিজাইনার কারা। তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন! থাক, এই প্রশ্নের উত্তরটা আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি।

মূলত যখন কোন একজন শিল্পী নির্দিষ্ট কোন শিল্পের সাথে যুক্ত থাকে। তখন তাকে সেই শিল্পে আবদ্ধ থাকা শিল্পী হিসেবে পরিচিত করা হয়।

যেমন, যারা মাটির তৈরি বিভিন্ন রকমের পণ্য তৈরি করে। তাদেরকে  বলা হয় থাকে কুমার, আবার যেসব শিল্পীরা গান গায় তাদের কে বলা হয় গায়ক।

এখন যে সকল শিল্পীরা ফ্যাশন ডিজাইন নামক শিল্পের সাথে যুক্ত থাকে।

যাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফ্যাশন ডিজাইন তৈরি হয়। তাদের কে বলা হয়ে থাকে, ফ্যাশন ডিজাইনার।

মূলত এই ধরনের শিল্পীরা তাদের মধ্যে থাকা সৌন্দর্য কে পোশাকের মাধ্যমে সৃজনশীল ভাবে প্রকাশ করতে পারে।

যেহেতু তারা পোশাক এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতা কে প্রকাশ করে। সেহেতু তাদের কে বলা হয়ে থাকে, ফ্যাশন ডিজাইনার।

কেন ফ্যাশন ডিজাইন শিখবেন?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ফ্যাশন ডিজাইন কি এবং ফ্যাশন ডিজাইনার কাকে বলে।

তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, কেন ফ্যাশন ডিজাইন শিখবেন। অর্থাৎ আপনি চাইলে তো আরো অন্যান্য বিষয় গুলো শিখতে পারেন।

তাহলে সেই বিষয় গুলো বাদ দিয়ে আপনি কেন ফ্যাশন ডিজাইন শিখবেন। আর এই বিষয় টি বোঝার জন্য আপনাকে একটু বিস্তারিত আলোচনার মধ্যে যেতে হবে।

নিচে আমি ফ্যাশন ডিজাইন শেখার বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছি।

আর এই কারণ গুলো দেখার পর আপনারও মনে হবে যে বর্তমান সময়ে অনুযায়ী অবশ্যই ফ্যাশন ডিজাইন শেখা উচিত।

তাহলে চলুন এবার সেই ফ্যাশন ডিজাইন শেখার কারণ গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক। 

দেখুন সবার শুরুতেই আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। আর সেই কথা টি হলো যে, ফ্যাশন ডিজাইন এক ধরনের শিল্প।

আর এই শিল্পর চাহিদা ঠিক ততদিন পর্যন্ত বিরাজমান থাকবে। যতদিন মানুষ এই পৃথিবীতে বসবাস করবে।

কারণ একটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য তার মৌলিক চাহিদা গুলোর মধ্যে পোশাক হলো অন্যতম একটি চাহিদা। আর বর্তমান সময়ে মানুষ তাদের পোশাক আশাকের দিকে অনেক সৌখিন।

এখন আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে মানুষের পোশাকের চাহিদা কে পূরণ করতে পারেন।

এবং আপনার সেই পোশাকের মধ্যে সুজনশীলতা নিয়ে আসতে পারেন। তাহলে আপনি এই ফ্যাশন ডিজাইনার সেক্টরে বেশ দাপটের সাথে জায়গা করে নিতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি পোশাক শিল্পের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, বর্তমান সময়ে পোশাকের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যাশনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও আপনি আমাদের মধ্যে এমন মানুষ কে খুঁজে পাবেন। যারা মূলত ফ্যাশন ডিজাইন এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করে।

তো চাইলে আপনিও এই ফ্যাশন ডিজাইন নামক শিল্প কে কাজে লাগিয়ে নিজের সকল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন। তবে আপনি যদি ক্যারিয়ার হিসেবে এই ফ্যাশন ডিজাইন কে বেছে নেন।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হবে। এবং যখন আপনি নিজেকে একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

তখন আপনি আপনার মধ্যে থাকা সেই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে। পোশাকের মধ্যে নিত্য নতুন সুজনশীলতা প্রয়োগ করে।

আপনি এই ফ্যাশন ডিজাইন থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন।

এবং আপনার মধ্যে এই ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে দক্ষতা থাকলে। আপনি দেশীয় পোশাক কোম্পানি গুলো তে কাজ করার পাশাপাশি।

বিদেশে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান গুলো তে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

আর এইসব কারণে যারা মূলত ফ্যাশন ডিজাইন শিখতে চায়। তাদের এই সিদ্ধান্ত কে যথোপযুক্ত হিসেবে ধরা হয়।

ফ্যাশন ডিজাইনের প্রকারভেদ

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে ফ্যাশন ডিজাইন কি তা আপনি জানতে পেরেছেন। এখন সেটি জানার পরে আপনাকে এই ফ্যাশন ডিজাইন এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

কারণ আপনি যদি ফ্যাশন ডিজাইন শিখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি এই ফ্যাশন ডিজাইনের প্রকার গুলোর সাথে পরিচিত হয়ে থাকবেন।

আর আপনি যাতে এই ফ্যাশন ডিজাইনের প্রকার সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারেন। সেজন্য এবার আমি আপনাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।

দেখুন বর্তমান সময়ে আপনি ফ্যাশন ডিজাইন এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারভেদ দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রকার হলো ক্লোথিং এবং গার্মেন্টস।

তবে প্রাথমিক ভাবে একটি ফ্যাশন ডিজাইন কে এই দুটি ভাগে ভাগ করা হলেও। এর পরবর্তী সময়ে আর আপনি ফ্যাশন ডিজাইন এর মধ্যে আরও দুই প্রকার বিভাগ দেখতে পারবেন।

তো প্রথম বিভাগে রয়েছে সমাজের ধনী ব্যক্তিদের জন্য ফ্যাশন ডিজাইন। মূলত আমাদের সমাজে বা উন্নত দেশ গুলো তে যে সকল মানুষ থাকে।

তাদের কে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের পোশাক এর মধ্যে ফ্যাশন তৈরি করা হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের ডিজাইন শিল্পের সাহায্য তৈরি করা পোশাক গুলো অনেক দামী হয়।

যার ফলে এই ধরনের ডিজাইন যুক্ত পোশাক গুলো উন্নত দেশের মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়।

এর পাশাপাশি আমাদের সমাজে যে সকল ধনী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্যে এই ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

তবে শুধুমাত্র বিত্তশালীদের জন্য ফ্যাশন ডিজাইন করা হয় না। বরং তাদের পাশাপাশি আমাদের পৃথিবীতে সব ধরনের মানুষের জন্য এক ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন করা হয়।

যাকে বলা হয়ে থাকে, Pret-a-porter. মূলত এই ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন গোটা বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।

তবে এই দুই প্রকার ছাড়াও আপনি আরো অনেক ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন এর প্রকারভেদ দেখতে পারবেন।

তার মধ্যে অন্যতম হলো, সু ডিজাইন, ক্যাজুয়াল, অ্যাথলেটিক, ফর্মাল।

এ গুলোর পাশাপাশি আপনি আরো স্কার্ফ, জুয়েলারি এন্ড ব্যাগ সহো আরো অনেক ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন এর প্রকারডেদ দেখতে পারবেন।

ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার উপায়

এবার আমি আপনাকে ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার উপায় গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। কেননা আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা মনে করেন যে, শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে নিজেকে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তো আপনিও যদি এই বিষয় টি ভেবে থাকেন।

তাহলে আপনার ধারণায় যথেষ্ট পরিমাণে ভুল রয়েছে। কারণ একজন মানুষ শুধুমাত্র তার শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবে না।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

বরং তার মধ্যে সৃজনশীলতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি প্রকৃতির সৌন্দর্য কে নিজের মধ্যে ধরে রাখতে হবে।

এবং সবশেষে তার মধ্যে থাকা সৃজনশীলতা এবং এই সৌন্দর্য কে পোশাকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

তাহলে সেই ব্যক্তি একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবে।

ফ্যাশন ডিসাইন ডিগ্রী প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ করা

আপনি যদি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ফ্যাশন ডিজাইনের ডিগ্রী কোর্স কমপ্লিট করতে হবে।

কেননা আপনি একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার মধ্যে সৃজনশীল দক্ষতা থাকার পাশাপাশি।

আপনার ফ্যাশন ডিজাইন এর ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে হবে।

আর আপনি যখন ফ্যাশন ডিজাইন এর ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করবেন। তখন উক্ত প্রোগ্রাম এর মধ্যে আপনাকে ফ্যাশন এর কালার থিওরি এবং ফেব্রিক্স সম্পর্কে যাবতীয় কিছু শেখানো হবে।

এর পাশাপাশি আপনি এই প্রোগ্রাম চলাকালীন কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন সফটওয়্যার এর সাহায্য শিখে নিতে পারবেন।

মূলত এই ধরনের সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ডিজাইন তৈরি করার কাজ গুলো একজন শিক্ষার্থী কে এসাইনমেন্ট হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে।

আর যখন আপনি সেই ফ্যাশন ডিজাইন এর ডিগ্রী প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত থাকবেন।

তখন আপনাকেও এসাইনমেন্ট হিসেবে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে নতুন নতুন ফ্যাশন ডিজাইন তৈরি করার কাজ গুলো করতে হবে।

অভিজ্ঞতা অর্জন করা

যখন আপনি ফ্যাশন ডিজাইন শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোর্স করবেন। তখন আপনাকে এই ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কিত যে সকল বিষয় রয়েছে।

সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা প্রদান করা হবে। এবং আপনি যদি নিজেকে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনার মধ্যে এই অভিজ্ঞতা গুলো সঠিক ভাবে অর্জন করতে হবে। কারণ ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স করা কালীন সময়ে আপনি এই ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কিত ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন।

আর এই ইন্টার্নশিপ এর মধ্যে আপনি যদি আপনার দক্ষতা কে প্রকাশ করতে পারেন।

এবং আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন ফ্যাশন ডিজাইন করতে পারেন।

তাহলে আপনি ইন্টারসিপ এর সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পারবেন।

ইন্ডাস্ট্রিতে নেটওয়ার্ক তৈরী করুন

দেখুন আপনি যখন ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স কমপ্লিট করবেন। তখন অবশ্যই আপনার বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি এর সাথে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে হবে।

কেননা আপনি আপনার এই ফ্যাশন ডিজাইন এর নেটওয়ার্ক যত বেশি বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার ঠিক তত বেশি মানুষের সাথে পরিচিত থাকবে।

এর ফলে এই পরিচিত মানুষ গুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই ফ্যাশন ডিজাইন এর ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন।

এর পাশাপাশি আপনার মধ্যে থাকা শৈল্পিক সৃজনশীলতা কে খুব সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন। সেই কারণে যত বেশি সম্ভব আপনি আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে নেটওয়ার্ক বিল্ড আপ করার চেষ্টা করবেন।

যা আপনার একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার পথ কে আরো সহজ করে তুলবে।

ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকুন

দেখুন যখন আপনি ফ্যাশন ডিজাইন এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনি একটা বিষয় খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারবেন। যে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের পোশাক ট্রেন্ডিং থাকে।

এবং আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে অবশ্যই নিজেকে আপ টু ডেট রাখার চেষ্টা করবেন।

আপনাকে সর্বদাই খবর রাখতে হবে যে, বর্তমান সময়ে কোন ধরনের পোশাক গুলো ট্রেন্ডিং এ রয়েছে।

এবং আপনাকে সেই পোশাক গুলোর মধ্যে নতুনত্ব নিয়ে আসতে হবে। এবং আপনার ডিজাইন এর মধ্যে অনেক ভিন্নতা প্রয়োগ করতে হবে।

যার ফলে আপনি অন্যদের তুলনায় নিজেকে অনেক এগিয়ে রাখতে পারবেন। এবং চলমান সময় এর চাহিদা কে কাজে লাগিয়ে।

আপনি মানুষের পোশাক এর অভাব কে পূরণ করতে পারবেন। যা মূলত একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা

এতক্ষণের আলোচনা থেকে ফ্যাশন ডিজাইন কি এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার কারণ গুলো জানার পরে।

এবার অনেকেই ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করবে। তো আপনি যদি নিজেকে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

তাহলে আপনার এই ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স করতে হলে বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে। আর আপনি যখন সেই যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হতে পারবেন।

তখন আপনি নিশ্চিন্তে ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স করতে পারবেন। এবং নিজেকে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা কি কি। চলুন এবার তাহলে সেই যোগ্যতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর নাগরিক হয়ে থাকেন। এবং আপনার মধ্যে যদি ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন থাকে।

তাহলে আপনার ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স করার জন্য খুব বেশি একটা শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে না। কেননা আপনার যদি এসএসসি পাস কিংবা এইচএসসি পাশ থাকে।

তাহলে আপনি এই শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমেই ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স করতে পারবেন।

আর এই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পাশাপাশি আপনার মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইন শেখার আগ্রহ থাকতে হবে।

এবং আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রকারের স্বল্প মেয়াদি কিংবা দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এর মাধ্যমে ফ্যাশন ডিজাইন শিখতে পারবেন।

এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমে ফ্যাশন ডিজাইন শেখার জন্য আপনার এস এস সি কিংবা এসএসসির মধ্যে GPA 2.50 থাকলেই আপনি ফ্যাশন ডিজাইনের কোর্স করতে পারবেন।

ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন (ইনকাম) কত?

এই ফ্যাশন ডিজাইন হল এমন একটা সেক্টর। যেখানে একজন মানুষ তার পেশা হিসেবে এই ডিজাইনিং কাজ করতে পারবে।

আবার যে মানুষ গুলো অর্থ আয় করার জন্য কাজ করে থাকে।

সেই মানুষ গুলো এই ফ্যাশন ডিজাইন কে কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবে। তো যে মানুষ গুলো আসলে ফ্যাশন ডিজাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে চায়।

তাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। আর সেই প্রশ্নটি হল যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের বেতন কত টাকা।

অর্থাৎ আপনি যদি নিজেকে একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।

তাহলে আপনি প্রতি মাসে কত টাকা বেতনে চাকরি করতে পারবেন। তো চলুন এবার সেই বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

মনে করুন, আপনি একজন নতুন ফ্যাশন ডিজাইনার। এবং আপনি সবেমাত্র ফ্যাশন ডিজাইনার এর কোর্স কমপ্লিট করেছেন।

এখন একজন ফ্রেশার হিসেবে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজ করতে পারবেন। এবং এই অবস্থায় আপনি শুরুতেই ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন পাবেন।

আর এর পরবর্তীতে আপনার ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে দক্ষতার পরিমাণ যত বেশি বৃদ্ধি পাবে। ঠিক তত বেশি আপনার মাসিক বেতন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

কেননা একজন দক্ষতা সম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার এর মাসিক বেতন ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এখন আপনি আসলে আপনার দক্ষতা কে কতটুকু অর্জন করতে পারবেন। তার উপর ভিত্তি করে আপনার মাসিক বেতন বৃদ্ধি পাবে।

তাই অবশ্যই আপনি আপনাকে এই ফ্যাশন ডিজাইনে দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ

FASHION DESIGN কি এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স / ফ্যাশন ডিজাইন কোর্স নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

যে আলোচনা থেকে আপনি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন যে, ফ্যাশন ডিজাইন কি। আর এ বিষয় গুলো জানার পরে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেই প্রশ্ন টি হল যে, ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার জন্য কি পরিমাণ খরচ করতে হয়। অর্থাৎ আপনি যদি ফ্যাশন ডিজাইনের সম্পূর্ণ কোর্স করতে চান।

তাহলে আপনাকে মোট কত টাকা ব্যয় করতে হবে। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি যদি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স কমপ্লিট করতে চান।

তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হবে।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

এছাড়াও আপনার ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার জন্য মোট কত টাকা ব্যয় হবে। সেটা মূলত আপনার প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করবে।

এর পাশাপাশি আপনার ব্যক্তিগত খরচের উপর নির্ভর করবে।

তবে একাডেমিক ভিত্তিতে আপনাকে মোট তিন থেকে ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার প্রয়োজন হবে।

ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে আমাদের কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, যে মানুষ গুলো মূলত ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, ফ্যাশন ডিজাইন কি।

এবং ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার জন্য কি রকম যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি একজন ব্যক্তি যখন ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স কমপ্লিট করবে।

তখন তার কত টাকা ব্যয় হবে সে সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জেনে নিতে পেরেছেন।

আর এই ধরনের নতুন নতুন বিষয় গুলো কে খুব সহজভাবে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।

1 thought on “ফ্যাশন ডিজাইন কি | ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার উপায়”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top