টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে – Bangla It Blog

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে : টাকা হলো আমাদের সবার জীবনের প্রয়োজনীয় একটি বস্তু।

প্রবাদে আছে, টাকা থাকলে নাকি বাঘের দুধও পাওয়া সম্ভব ৷  আর সেই কারনেই আমরা প্রতিনিয়ত টাকা আয় করার চেস্টা করে যাচ্ছি।

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

এই চেস্টায় কেউ সফল হতে পারছে, আবার কেউবা এই টাকা ইনকাম করার চেস্টায় একেবারে হারিয়ে যাচ্ছে।

এর মূল কারন হলো, আমাদের মধ্যে অনেকেই টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে সম্পর্কে জানেনা।

আর যতক্ষন পর্যন্ত আপনি টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে সম্পর্কে জানতে পারবেন না।

ততোক্ষন আপনি অন্যদের মতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।

তো আজকের আর্টিকেলটি মূলত সেই উদ্দেশ্যেই লেখা হয়েছে। আজকে আমি আপনাকে টাকা ইনকাম করার কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে জানাবো।

যে উপায় গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করতে পারলে আপনিও অন্যদের মতো খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন। 

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

বর্তমান সময়ে এমন অনেক টাকা আয় করার সহজ উপায় আছে। মূলত আপনি আজকে মোট দুটি পদ্ধতিতে টাকা আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ 

  1. অনলাইন টাকা আয় করার পদ্ধতি এবং 
  2. অফলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি 

তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কিভাবে এই দুই পদ্ধতি তে টাকা আয় করা যায়।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

সেজন্য এবার আমি এই দুটো পদ্ধতিকে একটু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। চলুন এবার সেই দুটি পদ্ধতি সমন্ধে জেনে নেয়া যাক। 

অনলাইন টাকা আয় করার সহজ উপায় 

আজকের দিনে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজের ঘরে বসে অনলাইনের মধ্যে কাজ করে টাকা ইনকাম করে আসছে।

আর এই টাকার পরিমান কিন্তুু মোটেও কম নয়। বরং অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে টাকা আয় করার মাধ্যমে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার পর্যন্ত গড়ে নিতে পেরেছে।

মজার বিষয় হলো, এখনকার দিনে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অনেক গুলো সহজ উপায় রয়েছে।

আর আপনি আসলে কোন উপায় গুলো অনুসরন করে টাকা আয় করতে চান ৷ তা সম্পূর্ন আপনার নিজের উপরে নির্ভর করবে।

শুধু এটুকু জেনে রাখুন, তাহলো আপনি এখনকার দিনে অনলাইন থেকে যে পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন ৷

তা দিয়ে আপনি আপনার নিজের জন্য সুন্দর একটা ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন। 

অফলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় 

অনলাইন এর পাশাপাশি আপনি অফলাইনেও প্রচুর পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

তবে ব্যাপার টা দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমরা শুধুমাত্র চাকরি এর উপরেই ডিপেন্ড করে থাকি।

কিন্তুু কোনো একটা সময়ে যখন দেখা যায় যে, আমরা চাকরি নামক সোনার হরিনের ধারের কাছেও যেতে পারিনা। তখন আমরা রীতিমতো ডিপ্রেশনে পড়ে যাই।

কিন্তুু এই ডিপ্রেশনে না পড়ে আপনি যদি একটু আলাদা করে চিন্তা করে দেখুন।

একটু অন্য কিছু করার চিন্তা করেন। তাহলে আর আপনাকে বেকারত্বের ঘানি টানার প্রয়োজন হবে না।

কেননা, চাকরি ছাড়াও এমন অনেক টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে পরিচিত।

যেগুলোর মাধ্যমে আপনি চাকরির মতোই সমপরিমাণ কিংবা চাকরির থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। 

টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

উপরের আলোচনা থেকে আপনি মোট ২ টি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় সম্পর্কে জানেত পেরেছেন।

সত্যি বলতে আজকে টাকা আয় করার এই দুইটি উপায় কে আমি এমনভাবে আলোচনা করবো।

যেন আপনার বুঝতে কোনো প্রকার ঘাটতি না থাকে। কেননা, আপনি যেন কিছু জানতে পারেন ৷ সে উদ্দেশ্যেই কিন্তুু আজকে এই মূল্যবান আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

তো উপরে দুটি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে সম্পর্কে জানার পর আপনাকে আরও বেশ কিছু বিষয়ে ধারনা রাখতে হবে। যেমনঃ 

  1. কিভাবে অনলাইন থেকে সহজে টাকা আয় করা যায়? এবং 
  2. কিভাবে অফলাইন থেকে সহজেই টাকা ইনকাম করা যায়?

কিন্তুু এই বিষয় গুলো কে আমি চাইলেও স্বল্প কথায় বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবো না।

কেননা,  আপনি টাকা আয় করার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে এসেছেন ৷ সেহুুতু একটু সময় নিয়ে আজকের পুরো বিষয় গুলো সমন্ধে ধারনা নিতে হবে। 

অফলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে 

সহজভাবে বলতে গেলে,যে টাকা আয় করার উপায় গুলোতে কোনো প্রকার ইন্টারনেট কানেকশন এর দরকার হয়না।

মূলত সেইসব টাকা ইনকাম করার উপায় গুলোকে বলা হয়, অফলাইন টাকা আয় করার উপায়।

আর সেজন্য এই ধরনের উপায় গুলোতে মূলত ব্যবসা কে বেশি করে প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।

অর্থ্যাৎ, আপনি ব্যবসা করে যে পরিমান টাকা ইনকাম করবেন। সেটিই হলো, অফলাইনে টাকা আয় করার উপায়।

এখন এই ব্যবসা করার কথাটি শোনার পর অনেকের কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে ৷

কেননা, আমরা যদি ব্যবসা করার সংঙ্গাটি পড়ি তাহলে সেখানে স্পষ্ট করে লেখা থাকবে যে,

ব্যবসা করার সর্বপ্রথম ধাপ হলো ইনভেস্ট করার মতো যোগ্যতা থাকতে হবে।

আর এই ইনভেস্ট করতে পারবেনা বলেই অনেকেই ব্যবসার জগতে আসতে চায় না।

তবে মজার বিষয় হলো যে, ব্যাবসায় ইনভেস্ট লাগবে। এটা তো আমরা সবাই জানি।

কিন্তুু প্রতিটা ব্যবসায যে আপনাকে লাখ লাখ কিংবা কোটি কোটি টাকা ইনভেষ্ট করতে হবে।

আসলে বিষয়টা কিন্তুু এমন নয় ৷ বরং আপনার মধ্যে যদি ব্যবসা করার একান্ত ইচ্ছা থাকে।

তাহলে আপনি অনেক স্বল্প পরিমান ইনভেস্ট করেই অনেক ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। যেমনঃ 

০১| মৌসুমী ফল বিক্রি করে টাকা ইনকাম করার উপায়

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসার নাম হলো মৌসুমী ফল বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা। আপনি যদি নিজেকে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত করেন ৷

তাহলে আপনি অনেক কম পরিমান ইনভেস্ট এবং অনেক কম পরিশ্রমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যে ব্যবসাটি আপনার মতো এমন অনেক মানুষ দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে।

যেমন ধরুন, আপনি কিছু পরিমান টাকা দিয়ে স্বল্প পরিমান মৌসুমী ফল কিনলেন।

এরপর সেগুলো কে আপনার বাড়ির আশেপাশে হাটবাজার কিংবা কোনো খোলা স্থানে বিক্রি করলেন। এতে কিন্তুু আপনি একটা মোটা অংকের টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

যে ব্যবসাতে আপনার খুব বেশি পরিমান টাকা ইনভেষ্ট করার দরকার পড়বে না। অথচ আপনি বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

মৌসুমী ফলের ব্যবসা করার জন্য কিছু লক্ষনীয় বিষয় 

উপরের আলোচনা থেকে আপনি মৌসুমী ফলের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

যেখানে আমি এই ব্যবসা কে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করে দিয়েছি।

তবে আপনি যদি এই ব্যবসার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় এর দিকে নজর রাখতে হবে। যেমনঃ

  1. সবার আগে আপনাকে নির্ধারন করতে হবে যে, মৌসুমে কোন কোন ফলের অনেক বেশি পরিমানে চাহিদা থাকে। 
  2. এরপর আপনাকে নজর রাখতে হবে যেন, আপনি অনেক কম পরিমান টাকা দিয়ে অধিক ফল কিনে নিতে পারেন। 
  3. যখন আপনি ফল কিনবেন। তখন আপনাকে নজর রাখতে হবে যেন, ঐ ফলের দাম যেন কোনো ভাবেই ক্রেতার সামর্থ্যের বাইরে না যায়। 
  4. যখন আপনি উপরোক্ত বিষয় গুলো মেনে মৌসুমী ফল কেনার কাজটি সম্পন্ন করবেন ৷ তখন আপনাকে ভাবতে হবে এই ফল গুলো আপনি আসলে কিভাবে বিক্রি করতে চান। 
  5. আপনি চাইলে আপনার বাড়ির পাশে কোনো বাজার কিংবা কোনো দোকানে বসে এই ফল গুলো বিক্রি করতে পারবেন। 
  6. মনে রাখবেন, ব্যবসার কাজ গুলো নিজেই সর্বদা করার চেস্টা করবেন। এতে করে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে বেড়ে যাবে।

তো আপনি যদি উপরোক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারেন ৷ তাহলে আপনি এই ব্যবসা থেকে বেশ ভালো অংকের টাকা আয় করে নিতে পারবেন ৷

আর আমার মতে মৌসুমী ফলের ব্যবসা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে এক এবং অদ্বিতীয়। 

০২| ঝালমুড়ি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

ঝালমুড়ির কথাটি শুনে হয়তবা আপনার মনে একটু দ্বিধাবোধ তৈরি হতে পারে।

আপনি ভাবতে পারেন যে, এত ছোটো কাজ কেউ করে।

কিন্তুু আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারন, এই ব্যবসাটি বর্তমান সময়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে একটি।

কেননা, আপনি এই ব্যবসা থেকেও প্রচুর পরিমানে প্রফিট অর্জন করে নিতে পারবেন।

শহর কিংবা গ্রামের অলিতে গলিতে অথবা স্কুল কলেজের সামনে আমরা প্রায় সময়ই ঝালমুড়ির দোকান দেখতে পাই।

আর আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এই ঝালমুড়ি খেতে অনেক পছন্দ করে থাকেন।

আপনার জন্য আরো লেখা…

কেননা, এই মুড়ি গুলো কে এমনভাবে তৈরি করা হয়। যার স্বাদ আপনি তখনি পাবেন ৷ যখন আপনিও এই ঝালমুড়ি গুলো মুখে নিবেন।

কিন্তুু কখনও কি আপনি ভেবে দেখেছেন যে, এই ঝাল মুড়ির ব্যবসাতে কি পরিমান লাভ হয়ে থাকে?

হুমম! আপনি যদি সঠিকভাবে এই ব্যবসা টি পরিচালনা করতে পারেন ৷

তাহলে কিন্তুু আপনি খুব ভালো অংকের টাকা এই ব্যবসা থেকে আয় করে নিতে পারবেন।

যা আপনার বা আমার মতো এমন অনেক মানুষ ই দীর্ঘদিন থেকে এই ব্যবসা করে আসছে। 

ঝালমুড়ি ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় 

যদি আপনার তেমন বেশি পরিমানে ইনভেষ্ট করার মতো সামর্থ্য না থাকে ৷

তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো একটা টাকা আয় করার উপায় হবে ঝালমুড়ি এর ব্যবসা করা ৷

তবে এই ব্যবসায় লাভ আছে এটা শুনেই আপনার ঝাপিয়ে পড়ার কোনো দরকার নেই ৷  কেননা, এই ব্যবসাটি করতে গেলেও আপনাকে এমন অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ

  1. যদি আপনি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় হিসেবে ঝালমুড়ির ব্যবসা করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে ঝালমুড়ি তৈরি করার রেসিপি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। 
  2. সেজন্য সবার আগে আপনাকে এমন একজন মানুষের কাছে যেতে হবে। যে আপনাকে একেবারে হাতে করে শিখিয়ে দিতে পারবে। 
  3. যখন আপনি ঝালমুড়ি তৈরি করার রেসিপি সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারনা নিতে পারবেন। তখন আপনার দ্বিতীয় কাজ হবে ভালো কোনো জনবহুল স্থানকে নির্বাচন করা।
  4. কেননা, আপনি যতো বেশি জনবহুল স্থানকে নির্বাচন করতে পারবেন। আপনার বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা ঠিক ততোবেশি থাকবে।

তো আপনি যদি উপরে আলোচিত বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট ফোকাস রাখেন। তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনিও এই ঝারমুড়ির ব্যবসা করে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আর এই ব্যবসার সবচেয়ে ভালো দিক হলো। এই ব্যাবসাটি অনেক স্বল্প পরিমান ইনভেস্ট দিয়েই শুরু করা সম্ভব। 

০৩| ফুচকা বিক্রি করে টাকা ইনকাম করার উপায়

ঝালমুড়ি ব্যবসা করার মতো আরও একটি লাভ জনক ব্যবসার নাম হলো ফুচকা বিক্রি করার ব্যবসা। যেখানে আপনি অনেক কম মুলধন দিয়েই অনায়াসে শুরু করে দিতে পারবেন।

বলা যায়, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে এই ব্যবসাটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। যা থেকে আপনিও টাকা আয় করার সহজ উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারবেন।

রাস্তাঘাটে চলাচল করার সময় আমরা প্রায় ফুচকা বিক্রি করতে দেখি। আর এই খাবারটি এতোটাই মুখরোচক যে, বেশিরভাগ মেয়েরা এই খাবার টি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে।

তবে শুধু মেয়েরাই নয় বরং ছেলেদের ও ফুচকা খাওয়ার প্রবনতা অনেক বেশি রয়েছে।

এই ব্যবসা গুলোতে আপনাকে খুব বেশি পরিমান টাকা ইনভেষ্ট করার প্রয়োজন হয়না। অপরদিকে স্বল্প পরিমান ইনভেস্ট হলেও এখান থেকে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে ফুচকা বিক্রি করার কাজটা অনেকের কাছে ছোট মনে হতে পারে।

কিন্তুু একটা কথা জেনে রাখুন, চাকরিতে অন্যের আন্ডারে না থেকে নিজেই একটা ব্যবসা করা অনেক ভালো। 

ফুচকা বিক্রি করে টাকা আয় করার উপায় 

আপনি যদি ফুচকা বিক্রি করার মতো লাভজনক ব্যবসাটি করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে।

তাহলে এই ছোট্ট একটা ব্যবসা থেকে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। যেমনঃ 

  1. ফুচকা বিক্রি করার আগে আপনাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে। আসলে আপনি নিজে থেকে ফুচকা তৈরি করবেন। নাকি অন্যের তৈরি করা ফুচকা কিনে তারপর বিক্রি করবেন। 
  2. যদি আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন ৷ তাহলে আপনার অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তুু অন্যের তৈরি করা ফুচকা কিনতে গেলে আপনার বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। 
  3. প্রতি প্লেট ফুচকায় কি কি রাখবেন। সেটা আপনাকে পূর্বে থেকেই নির্ধারন করে রাখতে হবে। কেননা, সেই দামের উপর নির্ভর করেই ফুচকার প্লেটে আইটেম যুক্ত করতে হবে। 
  4. ফুচকা বিক্রি করার ব্যবসাটি আপনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে কিংবা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি জনবহুল স্থান নির্বাচন করে নিতে হবে।

যদি আপনি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ফুচকা বিক্রি করতে চান। তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।

তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি করে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন। 

০৪| ফলের রস বিক্রি করে টাকা ইনকাম

আজকের দিনে প্রায় সব বয়সের মানুষেরা ফলের রস খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাছাড়া গ্রীষ্মের প্রখর তাপে যদি আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারেন ৷

তাহলে আপনি অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিমানে ফলের রস বিক্রি করতে পারবেন।

কেননা, এটি হলো টাকা আয় করার এমন একটি উপায়। যেখানে আপনি অনেক কম শ্রম দিয়েই অধিক টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

যদি আপনি ফলের রস বিক্রি করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে ভালো এবং যথেষ্ট পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ফল সংগ্রহ করতে হবে।

এরপর আপনাকে এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে। যেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা থাকে ৷

তাহলে আপনার ফলের রস বিক্রির পরিমান অনেক গুন বেড়ে যাবে। এবং সেখান থেকে আপনি অধিক টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ফলের রস বিক্রি করতে পারবেন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন।

সেটি হলো, আপনি যে ফল গুলো থেকে রস সংগ্রহ করবেন। সেগুলো যেন পরিস্কার এবং পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হয় ৷

কেননা, মানুষকে পচা ফলের রস খাইয়ে বেশি টাকা আয় করার চাইতে। ভালো ফলের রস খাইয়ে কম টাকা আয় করার মধ্যে আলাদা তৃপ্তি আছে। 

০৪| চা পান বিক্রি করে টাকা ইনকাম করার উপায়

চা হোক কিংবা পান, এই সৌখিন খাবার গুলো যে কতটা জনপ্রিয়। সেটা আপনি তখনি বুঝতে পারবেন। যখন আপনি কোনো চায়ের দোকানে বসে সময় কাটাবেন।

কেননা, অধিকাংশ মানুষ তাদের অবসর সময় গুলোতে আড্ডা দেয়ার জন্য এই চা পানের দোকান গুলোতে বসে থাকে। আর গল্পের মাঝে মাঝে একের পর এক চায়ের কাপ সাবার করে ফেলে।

আর পানের কথা তো বাদ দিলাম। এই চা পান বিক্রি করার আইডিয়া টা মোটেও খারাপ নয়।

কারন এই ব্যবসাটি করার জন্য ছোট্ট একটু জায়গা হলে আপনি একেবারে অনায়াসে এই ব্যবসা টি চালিয়ে যেতে পারবেন।

তাছাড়া কম শ্রম এবং কম ইনভেস্ট দিয়ে খুব সহজেই এই ব্যবসাটি শুরু করা যাবে।

আপনি যদি চা অথবা পান বিক্রি করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ

  1. চা পান বিক্রি করার দোকান গুলো সাধারনত রাস্তার মোড়ে কিংবা হাট বাজারের মধ্যে খুব ভালো বিক্রি হয়। কেননা, এই জায়গা গুলো তে মানুষরা বেশি সময় আড্ডা দিতে পছন্দ করে থাকে। 
  2. আমরা সবাই জানি যে, মানুষ পান খায় শখের বশে ৷
  3. তাই আপনি যদি অন্যান্য পানের দোকানের চাইতে আলাদা কোনো মসলা দিয়ে পান তৈরি করতে পারেন ৷ সেক্ষেএে আপনার কাছে বেশি মানুষ পান খেতে আসবে। 
  4. মনে রাখবেন, চায়ের দোকানের পরিমান অনেক বেশি থাকলেও। সব দোকানে কিন্তুু মানুষের সমান ভিড় থাকেনা।
  5. তাই চা তৈরি করার সময় একটু স্পেশাল ভাবে তৈরি করার চেস্টা করবেন ৷ এতে করে চা খোররা আপনার চায়ের স্বাদে দোকানে এসে ভিড় জমাবে। 
  6. যেসব দোকানে চা পান বিক্রি হয় ৷ সেসব দোকানে সিগারেট খাওয়া মানুষেরও অভাব হয়না। তাই চেস্টা করবেন আপনার দোকানে সব ধরনের সিগারেট রাখার।

তো আপনি যদি টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে হিসেবে চা পান বিক্রি করতে চান। তাহলে উপরের টিপস গুলো আপনার জেনে রাখা উচিত।

যেগুলো অনুসরন করে আপনিও সহজেই টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

উপরের আলোচনা থেকে আপনি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে যে ব্যবসা গুলো করা যায়। সেগুলো সম্পর্কে পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন।

তো উপরের আলোচনার মূল বিষয় বস্তুু ছিলো কিভাবে আপনি অফলাইনে সহজে টাকা আয় করবেন।

কিন্তুু এবার আপনি জানতে পারবেন, অনলাইনে টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে সম্পর্কে।

আমরা সবাই জানি যে, সময়ের সাথে সাথে বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিগত ভাবে অনেকটাই এগিয়ে আছে। আর সেই উন্নতির ধারায় বাদ যায়নি কোনোকিছু।

এমনকি আজকের দিনের মানুষরা অনলাইন থেকে বিপুল পরিমান টাকা আয় করে আসছে। আপনাকে এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো।

আপনি আরো পরে দেখুন…

যারা মূলত অনলাইন থেকে আয় করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পেরেছে।

আসলে এই বিষয় গুলো আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তুু একজন মানুষ আসলে টাকা আয় করার সহজ উপায় হিসেবে কিভাবে অনলাইন কে বেছে নিবে।

সে সম্পর্কে সঠিকভাবে বুঝতে পারেনা। কেননা, অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনার বেশ কিছু বিষয়ে ধারনা থাকতে হবে।

এবার আমি সেই বিষয় গুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো। মূলত আপনি টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকে কিভাবে অনলাইন মাধ্যম থেকে টাকা আয় করবেন।

তার প্রত্যেকটি বিষয় কে এবার স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিষদভাবে জেনে নেয়া যাক। 

০১| ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করুন

বর্তমান সময়ে টাকা আয় করার জন্য অন্যতম একটি প্লাটফর্ম হলো ফ্রিল্যান্সিং।

যেখান থেকে আপনি এতো বেশি টাকা আয় করতে পারবেন যে, সেই পরিমান টাকা একটি সরকারী কর্মকর্তার বেতনের চাইতেও কয়েক গুন বেশি হতে পারে।

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা চাকরির পেছনে না ছুটে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করেই বিপুল পরিমান টাকা আয় করতে সক্ষম হয়েছে।

এখন হয়তবা আপনি ভাবছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। এটা তো আমরা কমবেশি সবাই জানি।

কিন্তুু এই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা আসলে কি? আর কিভাবে একজন মানুষ এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম এর সাথে নিজেকে যুক্ত করবে? – তো চলুন এবার সে বিষয়টা ক্লিয়ার করা যাক। 

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে? (What is Freelancing)

সহজ কথায় বলতে গেলে আমরা যেমন টাকা আয় করার জন্য নানা ধরনের কাজ করে থাকি। যেমন, কেউ চাকরি করি, কেউ বিভিন্ন সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি।

এবং সেই কাজের বিনিময়ে আমরা টাকা আয় করে থাকি।

ঠিক একইভাবে আপনি যখন এই ধরনের কাজ গুলো কোনো অনলাইন প্লাটফর্মে করবেন। এবং অনলাইনে এই কাজগুলো করার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করবেন।

তখন এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে বলা হয়ে থাকে ফ্রিল্যান্সিং। 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কি ?

যাক, উপরের আলোচনায় আপনি জানতে পারলেন যে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়।

কিন্তুু এবার আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। সেটি হলো, একজন মানুষ আসলে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কি কি কাজ করে থাকে। যে কাজের বিনিময়ে সে টাকা ইনকাম করে।

তো দেখুন, বাস্তবিক জীবনের মতো ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ করতে হলেও এখানে কাজের মাত্রা গুলো কিছুটা ভিন্ন।

কেননা, এই ধরনের কাজ গুলো আপনি নিজের ঘরে বসে থেকে করতে পারবেন। মূলত ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যেমনঃ

  1. Graphic Design 
  2. Web Design 
  3. Content Writer 
  4. Video Editing 
  5. Audio Editing 
  6. Virtual Assistant

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে একটু সময় ব্যয় করেন। তাহলে আপনি আরও অনেক ধরনের কাজ দেখতে পারবেন।

যে কাজ গুলো আপনার মতো লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে। তাই ইচ্ছে করলে আপনিও এই কাজ গুলি করে ব্যাপক পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?

টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং হলো অন্যতম একটি মাধ্যম। আর সে কারনে আমি এই বিষয়টিকে সবার আগে উল্লেখ করেছি।

তো উপরে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কি এবং এই প্লাটফর্মে কি কি কাজ করা হয়। সে সম্পর্কে একটু হলেও ধারনা পেয়েছেন।

এবার আপনি জানবেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।

দেখুন, এই প্লাটফর্ম গুলোতে সাধারনত দুইটি মাধ্যম থাকে। একটি হলো, বায়ার বা ক্লায়েন্ট। এরা মূলত বিভিন্ন মানুষ কে নানা রকম কাজ দিয়ে থাকে।

আর দ্বিতীয় মাধ্যম হলো, ফ্রিল্যান্সার বা ওয়ার্কার। এরা মূলত অনলাইনে যে কাজ গুলো দেওয়া হয়। সেই কাজ গুলো যারা করে। আর সে কারনে তাদেরকে বলা হয়, ফ্রিল্যান্সার

তো বিষয়টা কিন্তুু এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারন, এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো আসলে কোথায় দেয়। আর কিভাবে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে উক্ত কাজ গুলো করবেন।

সে বিষয়ে কিন্তুু এখন কোনো কিছু বলা হয়নি। এবার আপনাকে সেই বিষয়টি সম্পর্কে একটু ক্লিয়ার ধারনা দিবো। 

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে। যেখানে আপনি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

এবং সেই কাজের বিনিময়ে আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। যেমনঃ

  1. Freelancer 
  2. Fiverr
  3. Guru
  4. 99Design
  5. Upwork 
  6. People Per Hour

এগুলো ছাড়াও আজকের দিনে অনলাইনে এমন অনেক অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে।

যেখানে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সার সার্ভিস প্রদান করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন। 

💡PRO TIPS: আপনি যদি জানতে চান  ফ্রিল্যান্সিং কি ? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করবেন এ  সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারনা নিতে চান। তাহলে উপরের নিল লেখাতে ক্লিক করুন।

কেননা, এখানে ফ্রিল্যান্সিং এর অদ্যোপন্ত বিষয় গুলো নিয়ে একেবারে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 

০২| আউটসোরসিং করে টাকা ইনকাম করুন

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে আউটসোর্সিং বেশ অন্যতম একটি মাধ্যম।

যেখানে আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে প্রচুর পরিমান টাকা অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আয় করে নিতে পারবেন।

কিংবা আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার পাশাপাশি আউটসোর্সিং করেও বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং কে একই বিষয় মনে করে ৷

কিন্তুু এই দুটো প্লাটফর্মের উদ্দেশ্যে টাকা ইনকাম করা হলেও এখানে কাজের ক্ষেত্রে আপনি অনেকটাই ভিন্নতা খুজে পাবেন ৷ চলুন বিষয়টাকে আরেকটু খোলাসা করে আলোচনা করা যাক। 

আউটসোর্সিং কাকে বলে ? (What is Outsourcing)

সহজ ভাবে বলতে গেলে Out শব্দের অর্থ হলো বাইরে আর Source শব্দের অর্থ হলো, উৎস। আর এ দুটো শব্দকে একসাথে করলে যা আসবে ৷ সেটি হলো বাইরের উৎস।

যার মূল অর্থ দাড়াবে, যখন আপনি কোনো বাইরের উৎস থেকে যেমন, কোনো ব্যাক্তি বা সংগঠনের নিকট চুক্তিবদ্ধ হয়ে কোনো কাজ করিয়ে নিবেন ৷

তার পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হয় আউটসোর্সিং। 

আউটসোরসিং এর কাজ কি কি ?

আপনি যদি নিজেকে আউটসোর্সিং এর সাথে যুক্ত করাতে চান। তাহলে আপনি এই প্লাটফর্মে অনেক ধরনের কাজ দেখতে পারবেন।

যেগুলোর মাধ্যমে আপনিও বেশ ভালো পরিমান অর্থ অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন ৷ যেমনঃ

  1. It
  2. Accounting 
  3. Graphic Design 
  4. Web Design 
  5. App Development 
  6. Website Development 
  7. Digital Marketing etc

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের আউটসোর্সিং কাজ আছে। যা আপনি অনলাইনের মার্কেটপ্লেস গুলো তে দেখতে পারবেন ৷

কেননা, আমি যদি প্রতিটা কাজ কে আলাদা আলাদা করে আলোচনা করি। তাহলে এই আর্টিকেল টি অনেক বড় হয়ে যাবে। 

আউটসোরসিং করে কোথায় থেকে ইনকাম করা যাবে?

তো আপনি যে আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো করবেন। সেগুলোর জন্যও কিন্তুু অনেক ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম আছে ৷ যেখানে আপনি এই ধরনের কাজ গুলো করে টাকা আয় করতে পারবেন। যেমনঃ

  1. Upwork
  2. Freelancer
  3. Guru
  4. Amazon’s Mechanical Turk
  5. DesignHill
  6. Fiverr

উপরে যে আউটসোর্সিং করার ওয়েবসাইট গুলো দেখানো হয়েছে। সেগুলো আজকের দিনে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম আছে। যেগুলোতে আপনিও অনলাইন থেকে আউটসোর্সিং করে অনেক টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

০৩| ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে। অথচ ইউটিউব চিনেনা, এমন মানুষকে খুজে পাওয়া সম্ভব না।

কেননা, গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মে আমরা প্রতিনিয়ত ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করছি ভিডিও দেখার জন্য ৷ কিন্তুু আপনি কি জানেন আজকের দিনে ইউটিউব থেকেও টাকা আয় করা যায়?

হুমম, আপনি ঠিকই দেখেছেন। আমি আপনাকে এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো। যারা মূলত ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করে আসছে।

এবং এই টাকা গুলো শুধু এক মাসের জন্য নয় বরং তারা বছরের পর বছর ধরে এই ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবে।

তো সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আপনিও এই ইউটিউব প্লাটফর্মে কাজ করে বিপুল পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

যদি আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। যেমনঃ

  1. সবার আগে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। 
  2. এরপর সেই চ্যানেলে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে একের পর এক ভিডিও আপলোড করতে হবে। 
  3. যখন আপনি আপনার চ্যানেলে মানসম্মত ভিডিও আপলোড করবেন। তখন আপনার চ্যানেলটি ইউটিউব কতৃক মনিটাইজ করিয়ে নিতে হবে। 
  4. আপনি যখন আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজ করিয়ে নিতে পারবেন। তখন থেকে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। 
  5. তবে আপনি যদি আপনার চ্যানেল কে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

তো আপনি যদি বিশ্বের বড় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউব থেকে আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করতে হবে।

তাহলে আপনিও অন্যদের মতো ইউটিউব থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। 

০৪| বাংলা ব্লগিং করে টাকা ইনকাম

আপনি এখন যে ওয়েবসাইটে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন। সেটি হলো একটি বাংলা ব্লগ। কারন যে ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন টপিক এর উপরে লেখা লেখির কাজ করা হয়।

সেগুলো কে বলা হয় ব্লগ ওয়েবসাইট। আর মজার বিষয় হলো, এসব ব্লগে লেখালেখি করে আপনিও বেশ ভালো পরিমান টাকা অনলাইন ইনকাম জেনারেট করে নিতে পারবেন ৷

যদি আপনার লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে। তাহলে আপনার জন্য সহজে টাকা আয় করার উপায় হিসেবে ব্লগিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কেননা, আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন ৷ তাহলে আপনার লেখা পড়ার জন্য অনেক পাঠক আসবে। আর আপনি সেই পাঠকদের কাজে লাগিয়ে অনেক উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে আপনি এই লেখালেখি করার কাজটি বাংলা অথবা ইংলিশ যে কোনো ভাষাতেই করতে পারবেন। কিন্তুু আপনি একটি ইংলিশ ব্লগে লেখালেখি করে যে পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

তার তুলনায় একটি বাংলা ব্লগ থেকে কিছুটা কম পরিমানে আয় করতে পারবেন। 

০৫| গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম

গুগলের নিজস্ব একটি প্রোডাক্টের নাম হলো এডসেন্স। যা একজন পাবলিশার এবং বিজ্ঞাপন দাতার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।

তবে আপনি সরাসরি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন না। কিন্তুু এই এডসেন্স আপনাকে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য অনেক গুলো পথ খুলে দিবে।

উপরে আপনি জানলেন যে, আজকের দিনে একটি ব্লগ বা একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা সম্ভব।

কিন্তুু মজার বিষয় হলো, এই সব গুলো প্লাটফর্ম থেকে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কেননা, আপনি ঐ প্লাটফর্ম গুলো থেকে যে পরিমান টাকা আয় করবেন ৷ সেগুলো প্রথমে আপনার এডসেন্স একাউন্টে যুক্ত হবে।

এরপর আপনি সেই টাকা গুলো আপনার নিজের ব্যাংক একাউন্টের সাহায্য উওলন করতে পারবেন। 

০৬| ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

আমরা সবাই জানি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর জন্য ফেসবুক হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া।

আর সে কারনে আমরা আমাদের পরিচিত মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তুু আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারন এখনকার দিনে ফেসবুক থেকেও টাকা আয় করা যায়।

কি অবাক হলেন, হুমম এখন আপনি চাইলে ফেসবুক থেকেও প্রচুর পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন। যদি আপনি ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চান।

তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ

  1. যদি আপনি ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। 
  2. এরপর সেই ফেসবুক পেজে নিযমিত যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও আপলোড করতে হবে। 
  3. যখন আপনি ফেসবুক থেকে আয় করার সকল টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো পূরন করতে পারবেন। তখন আপনি আপনি আপনার পেজকে ফেসবুক কতৃক মনিটাইজ করিয়ে নিতে পারবেন। 
  4. আর একবার যখন আপনি আপনার শখের ফেসবুক পেজকে মনিটাইজ করাতে পারবেন ৷ ঠিক তখন থেকে আপনিও অনেক টাকা ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন ৷

তো যদি আপনি ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফেসবুকের দেওয়া সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।

যখন আপনি তাদের সকল নিয়ম মেনে চলতে পারবেন। ঠিক তখনি আপনিও অন্যদের মতো অনেক টাকা ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

আমি এতোক্ষন ধরে সহজ উপায়ে টাকা ইনকাম করার অনেক গুলো পথ নিয়ে আলোচনা করেছি। যে উপায় গুলো অনুসরন করতে পারলে, আপনিও বেশ বড় অংকের টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।

আপনি আরো দেখে ফেলুন…

কিন্তুু এগুলো ছাড়াও আরও অনেক গুলো টাকা ইনকাম করার উপায় আছে। যে উপায় গুলো আপনার টাকা আয় করার স্বপ্নকে পূরন করিয়ে দিবে ৷ যেমনঃ

  • বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম বাংলাদেশে
  • বাংলা স্ক্রিপ্ট লিখে টাকা ইনকাম
  • ভার্চুয়াল এসিস্ট্যেন্টের কাজ করে টাকা ইনকাম
  • অনলাইনে সার্চ করে টাকা ইনকাম
  • অনলাইনে রিভিউ করে টাকা ইনকাম বাংলাদেশে
  • অনলাইনে সার্চ করে টাকা ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম বাংলাদেশে
  • গ্রাফিক ডিজাইন করে টাকা ইনকাম
  • ভিডিও এডিটিং করে টাকা ইনকাম বাংলাদেশে
  • ভাষা ট্রান্সলেট করে আয়

আজকে আমি যে টাকা আয় করার উপায় গুলো শেয়ার করেছি। সেগুলো তুলনামূলক ভাবে অনেক সহজ। যা আপনি একটু চেস্টা করলেই সম্পন্ন করতে পারবেন।

এবং আপনিও সহজেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় নিয়ে কিছুকথা

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে নিয়ে বিষদ ভাবে আলোচনা করেছি।

যদি আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আপনার টাকা আয় করার সহজ উপায় বাংলাদেশে নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

তবে আপনি যদি আরও টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে চান৷ তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি তো আছিই আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য।

আর এমন সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে অবশ্যই Bangla It Blog এর সাথে থাকবেন ৷ ধন্যবাদ

3 thoughts on “টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে – Bangla It Blog”

      1. Md Chaynul Haque

        I am a Retired General Manager of a Govt. Commercial Bank (National Pay Scale Grad 2). I know the Banking works! I have thorough experience in Banking! As well root to a high level of ICT system Management in Banks! May I have a freelancing job at this stage? If so what may be? Would you help me in this regard?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top